ফরিদপুর
ফরিদপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক
ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের বাস্তপট্টি গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে নগরকান্দা থানা পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ হাসিনা বেগম (২৫) একই গ্রামের ফরহাদ মোল্লার স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে ঘটনাটি ঘটতে পারে। ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনরা।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে।
তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা তদন্তের পরে জানা যাবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পাবনায় ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে নির্মাণাধীন সেতুর মাটি ধসে ৩ জনের মৃত্যু, আহত ৪
ফরিদপুরে নির্মাণাধীন সেতুতে কাজ করার সময় মাটি ধসে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছে আরও চারজন।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সদরপুর উপজেলার জমাদারডাঙ্গী এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলার কবিরপুর এলাকার মো. অন্তর (২০), কুজুকদিয়া এলাকার জুলহাস মীর (২৪) এবং বাগেরহাট জেলার উদয়পুর গ্রামের মো. জাবের (২৮)।
এছাড়া আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাদের সদরপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পা পিছলে জাম গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, জেলার সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের জমাদার ডাঙ্গী এলাকায় একটি সেতুর কাজ করছিল। এ সময় শ্রমিকরা সেতুর নিচের অংশের রড বাধাঁর কাজ করার সময় সেতুর পাশে থাকা মাটির স্তুপ থেকে মাটি ভেঙে পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
চারজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
সদরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ছুটে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করি।
এলজিইডির অর্থায়নে (জম্মাদার ভায়া সদরপুর) সড়কের এই সেতুর নির্মান কাজ করছে মেসাস আসিফ ইমতিয়াজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফের ভাই।
এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী মো. আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। বিষয়টি খুবই মর্মাহত।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
এছাড়া এ কাজে কোন ত্রুটি কিংবা কোন অবহেলার বিষয় থেকে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ফরিদপুরে ২ জন আটক, ১৩ লাখ টাকার গাঁজা জব্দ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে আন্তঃজেলা মাদক কারবারি দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকার গাঁজা জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ফরিদপুর র্যাব-০৮।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা সদরের ভাঙ্গা বাজারের নতুন মুরগীর হাট এলাকা থেকে ওই দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৩ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
এদিকে শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে ওই দুই কারবারিকে ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটক দুই মাদক কারবারি হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ধনপুর এলাকার মৃত ইয়াসিন মিয়ার ছেলে বাহার মিয়া (৫৫) ও একই জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার কবরুয়া এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আলমগীর হোসেন সুফল (৩৪)।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-০৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে, এম শাইখ আকতার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারের নতুন মুরগীর হাট এলাকায় মাদকের একটি বিশাল চালান প্রোবক্স প্রাইভেটকার করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আমার নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দুইজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, পরে তল্লাশি চালিয়ে আসামিদ্বয়ের কাছ থেকে ৫৩ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১৩ লাখ টাকা।
এছাড়া এসময় একটি প্রোবক্স প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-২৭-৯৮৪১), তিনটি মোবাইল এবং তিনটি সিম জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটক হওয়া ওই দুই মাদক কারবারি দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাদক পরিবহনে করে ফরিদপুর ও শরীয়তপুর এলাকায় বিক্রি করে আসছে।
আটকের পর তাদের ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণির ১৯(গ) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ১: র্যাব
ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে মেয়ের মৃত্যুদণ্ড
দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে মিলে বাবাকে হত্যার দায়ে এক মেয়ের ফাঁসির আদেশ এবং অপর মেয়ে ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সময় প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরের ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত হাফেজ আবুল বাশার জেলার সালথা উপজেলার খোয়ারাগট্টি এলাকা বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত নিলুফা আক্তার নিহতের মেয়ে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি দুজন হলো- (স্ত্রী) সাহিদা পারভিন ও (মেয়ে) হাফিজা বেগম।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, নিহত হাফেজ আবুল বাশার তার প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে ফরিদপুর শহরের আলীপুর এলাকায় বসববাস করতেন। আবুল বাশার দ্বিতীয় বিবাহ করায় প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না।
এর জের ধরে ২০১৬ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে মিলে বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর গভীর রাতে জবাই করে হত্যা করে।
এ ঘটনার পরের দিন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নিহতের ভাই লোকমান ফকির বাদি হয়ে হত্যা মামলা করে। মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
ফরিদপুর জজ কোটের পিপি মো. নওয়াব আলী মৃধা জানান, হাফেজ আবুল বাশার হত্যা মামলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মামলা
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের (৬৫) বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মানহানি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ১নং আমলী আদালতে এ মামলাটি করা হয়।
মামলা করেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। তিনি জেলা শহরের দক্ষিণ আলীপুরের ওলিউল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
দুপুরে ফরিদপুর কোর্টের পরিদর্শক আবুল খায়ের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির ফলে তার জীবনহানি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
তাছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে বিএনপি নেতার বক্তব্য প্রচার হওয়ায় তা মানহানি হয়েছে। মানহানির ঘটনায় ২০ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়।
অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ১নং আমলী আদালতের বিচারক তরুণ বাছার মামলাটি আমলে নিয়ে তা এফআইআর এর জন্য কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ দেন।
মামলাটি দায়েরের সময় জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংঘঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির পর সারা বাংলাদেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষুব্ধ মানুষ হুমকিদাতার বিচার চাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, মেরে ফেলে ও কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি জাতিসহ বিশ্ব বিবেক মানে না।
তিনি আরও বলেন, এজন্য আমরা আইনের দারস্থ হয়ে বিচার চেয়েছি। আশা করছি আদালতে সুষ্ঠু বিচার পাবো।
তিনি দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে বিএনপির যে এটা নীলনকশা ছিলো তা ফাঁস হয়ে গেছে। জাতি জেনে গেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
ফরিদপুরে বাসচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বাসচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাগাট পশ্চিমপাড়া নবাব আলীর বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খিলগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নিহতরা হলেন- মধুখালী উপজেলার বাগাট গ্রামের বিশ্বাস পাড়া এলাকার বাদশা বিশ্বাসের ছেলে জুবায়ের বিশ্বাস(১৭), ইদ্রিস আলী বিশ্বাসের ছেলে নাহিদ বিশ্বাস (১৮) ও মজিবর সরদারের ছেলে মিম সরদার (১৭)। নিহতরা পরস্পর বন্ধু বলে জানা যায়।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ৮টার দিকে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্য ওই তিন মোটরসাইকেল আরোহী কামারখালী থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। বাগাট পশ্চিমপাড়া নবাব আলীর বাড়ির সামনে একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে তিন মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলে নিহত হন।
তিনি বলেন, দ্রুতগামী কোনো বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এর পরপরই এলাকাবাসী ওই তিন মোটরসাইকেল আরোহীকে উদ্ধার করে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, নিহত তিনজন পরস্পরের বন্ধু। তাদের মধ্যে হুসাইন সরদার স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
টাঙ্গাইলে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ফরিদপুরে খাদ্য কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক
ফরিদপুরে দুর্নীতি মামলায় একজন উপ-খাদ্য পরিদর্শককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।রবিবার বেলা আড়াইটায় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নিকট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. ছানোয়ার হোসেন (৪১) ঢাকার ধামরাইয়ের নওগাঁও বাজারের মো. আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি বোয়ালমারী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের উপ-খাদ্য পরিদর্শক ছিলেন। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
দুদুকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপপরিচালক রেজাউল করিম জানান, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চরভদ্রাসনের বিএসডাঙ্গী খাদ্য গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ ধান, চাল ও গম আত্মসাৎ করেন ছানোয়ার। আত্মসাৎকৃত মালামালের মধ্যে এক হাজার ২৮৯ বস্তায় ৭৩ হাজার ৭৬৩ মেট্রিক টন চাল ৬৭ বস্তার তিন হাজার ৩৭৪ মেট্রিকটন গম, ৪০০ বস্তায় ১৯ হাজার ৯৫০ মেট্রিকটন ধান এবং আট হাজার ৮৪১টি খালি বস্তা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা (সংশোধিত), ২০১৯ এর বিধি ১০ (৫) মোতাবেক দণ্ডবিধি ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার বাদি হয়ে ছানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান আকন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। দ্রুতই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।
এ অবস্থায় দুদুকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপপরিচালক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল ছানোয়ার হোসেনকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে ১৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর চিকিৎসাধীন শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় লিটন মাতুব্বর (২২) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ মে) দুপুর ১২টায় ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিুজুর রহমান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ২০০২ সালে হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৪ জনের যাবজ্জীবন, ৪৪ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা বাজারে চায়ের দোকানে পানি সরবরাহ করে থাকেন। এজন্য তাকে বেশিরভাগ সময় কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর সুবাদে শিশুটি বাড়িতে একাই থাকতো।
এই সুযোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া গ্রামের রাশেদ মাতুব্বরের ছেলে আসামি লিটন মাতুব্বর শিশুটির বাড়িতে যাতায়াত করে ও সখ্য গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে লিটন নানা প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটির মা বাড়িতে না থাকায় লিটন বাড়িতে প্রবেশ করে শিশুটির মুখে কাপড় গুজে তাকে ধর্ষণ করে এবং এ কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়।
কাউকে এ কথা বললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় লিটন।
পরবর্তীতে শিশুটি এ কথা কাউকে না বলে ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকে।
প্রায় দুই মাস পর শিশুটি তার মায়ের কাছে সব কথা খুলে বললে, শিশুটির মা তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
সেই সঙ্গে তিনি কয়েক দফা সালিশ বৈঠকও করেন। তবে ওইসব সালিশের রায় মানেনি লিটন।
পরে এ ঘটনার ৭৩ দিন পর শিশুটির চাচা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ লিটন মাতুব্বরকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরদিন ২৫ মার্চ শিশুটি চিকিৎসাধীন মারা যান।
ঘটনা তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার মন্ডল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি স্বপন পাল বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(২) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় একমাত্র আসামি লিটন মাতুব্বরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সকল প্রমাণাদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ৯(২) ধারায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায়, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসামিকে এক লাখ টাকা দিতেই হবে। এখানে অনাদায়ের বিষয় রাখা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ রায় সমাজে সুস্থতা ফিরতে ও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। আমরা এ রায়ে অত্যন্ত খুশি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে চাচার দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ভাতিজার মৃত্যু
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় চাচার দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার বিকাল পাঁচটার দিকে উপজেলার ঈশ্বরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওবায়দুর রহমান (৪৩) ঈশ্বরদী গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন কারিকরের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি মেসে রান্নার কাজ করতেন। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, সুন্নতের খাতনা অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার কোদালিয়া শহিদনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের মো. সিরাজুর রহমানের (চাচা) সঙ্গে ভাতিজা ওবায়দুরের কথা কাটাকাটি হয়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় চাচার দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ভাতিজা ওবায়দুর গুরুতর আহত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ঘটনার পর থেকেই চাচা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, আমরা অপরাধীকে ধরার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে চাচার ঘুষিতে ভাতিজার মৃত্যুর অভিযোগ!
বান্দরবানে বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
ফরিদপুরে কয়েক গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েক গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই এলাকার অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে চলা সংঘর্ষ রাত ৯টার দিকে শেষ হয়।
ভাঙা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুলপুনদী ও নাওরা, ছুলনা, শুয়াদী, চান্দ্রা, অপরপুর্টিসহ ছয় গ্রামের লোকজন দুই দলে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে আছাদ (২২) ও আজিজুলকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর এবং হেলাল, সাহাদাৎ, সবুজ, ফারুক, আলাউদ্দিন, হিরো, মনির মোল্লা, ফাইজুর, আক্কাস মাতুব্বরকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় কিশোর নিহত
এলাকাবাসীদের বরাত দিয়ে আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিকুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার সময় এলাকার কিছু যুবক ছুলনা বাজারে ছবি তুলছিল। এ নিয়ে যুবকদের মধ্যে গুলপুনদী গ্রামের বাবু বিশ্বাস, সুজন, আশরাফুল ও নাওরা এলাকার বাবু, রিফেলসহ কয়েকজন যুবকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এ ঘটনার জেরে গুলপুনদী ও নাওরা, ছুলনা, শুয়াদী, চান্দ্রা, অপরপুর্টি গ্রামের লোকজন দুই দলে বিভক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেড়-দুই ঘন্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জনের অধিক আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সংঘর্ষের বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, একটি তুচ্ছ ঘটনা (ছবি তোলা) নিয়ে একদল যুবকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে পরে গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, সংবাদ পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিস্থিতি শান্ত করতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পিকআপ-সিএনজি-মোটরসাইকেল ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ২