দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে মিলে বাবাকে হত্যার দায়ে এক মেয়ের ফাঁসির আদেশ এবং অপর মেয়ে ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সময় প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরের ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত হাফেজ আবুল বাশার জেলার সালথা উপজেলার খোয়ারাগট্টি এলাকা বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত নিলুফা আক্তার নিহতের মেয়ে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি দুজন হলো- (স্ত্রী) সাহিদা পারভিন ও (মেয়ে) হাফিজা বেগম।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, নিহত হাফেজ আবুল বাশার তার প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে ফরিদপুর শহরের আলীপুর এলাকায় বসববাস করতেন। আবুল বাশার দ্বিতীয় বিবাহ করায় প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না।
এর জের ধরে ২০১৬ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে মিলে বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর গভীর রাতে জবাই করে হত্যা করে।
এ ঘটনার পরের দিন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নিহতের ভাই লোকমান ফকির বাদি হয়ে হত্যা মামলা করে। মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
ফরিদপুর জজ কোটের পিপি মো. নওয়াব আলী মৃধা জানান, হাফেজ আবুল বাশার হত্যা মামলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ