আবাসিক হোটেল
আবাসিক হোটেলে ‘গোপন বৈঠকের’ অভিযোগে ১৯ ইউপি সদস্য আটক
কক্সবাজার শহরে একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ‘গোপন বৈঠকের’ অভিযোগে ১৯ জন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে শহরের কলাতলী ইউনি রিসোর্টের পঞ্চম তলার হল রুম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক হওয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জহির আহমেদ বলেন, ‘জেলার ৯টি উপজেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা চলছিল। আমরা প্রায় ৭০ জনের মতো ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দেশের ক্রান্তিকালে কীভাবে কাজ করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। পুলিশ ও সমন্বয়করা ঢুকে আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে আটক করে। আমাদের যদি গোপন বৈঠক থাকতো তাহলে সড়কের পাশে হোটেলে এতবড় অনুষ্ঠান হতো না। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পর্যটন কেন্দ্রে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া মহেশখালী এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম বলেন, ‘আজ আমাদের মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা ছিল। সেখানে সব রাজনৈতিক দলের মানুষও ছিলেন। কিন্তু এভাবে আমাদের ভাইদের আটক করার তীব্র নিন্দা জানাই।’
এদিকে পুলিশ হোটেল ঘেরাও করায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একারণে হোটেলের পর্যটদের কাউকে কাউকে হোটেল ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
ইউনি রিসোর্টে ৫০৫ নম্বর কক্ষের পর্যটক মিরাজ বলেন, ‘আমি আমার পরিবারকে নিয়ে এই হোটেলে উঠেছিলাম। হঠাৎ পুলিশ হোটেল ঘেরাও করে। কিছুক্ষণ পর কেয়কজন ছাত্র পরিচয় দিয়ে হোটেলে ডুকে পড়েন। আমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছি না। তাই চলে যাচ্ছি।‘
এদিকে অভিযানের নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ভিডিও ফুটেজ নিতে বাধা দেন সমন্বয়ক পরিচয়ধারীরা। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপর হামলাও করেন তারা।
দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি আশরাফ বিন ইউছুফ বলেন, হোটেলে পুলিশের অভিযান চলছে এমন খবরে আমরা নিউজ সংগ্রহ করতে আসি। আমরা ছবি তুলতে গেলে আমাদের বাধা দেওয়া হয়। ভিডিও ধারণ করতে গেলে দালাল বলে গালিগালাজ করেন এক যুবক। তিনি নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্যরা ইউনি রিসোর্টে গোপন বৈঠক করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এখানে অনেক ইউপি সদস্য আছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাদের আটক করা হবে এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের অভিযানে অর্ধশত কথিত সমন্বয়ক কেন- এমন প্রশ্নের জবাব দেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে পিস্তল-গুলি জব্দ, আটক ১
১ সপ্তাহ আগে
রাজবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে লাশ উদ্ধার
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার আবাসিক হোটেল থেকে দাউদ মোল্লা নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া গরম খার গলির ভেতরের পাবনা কাশিনাথপুর আবাসিক বোডিং থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদী থেকে হাত বাঁধা যুবকের লাশ উদ্ধার
দাউদ মোল্লা (৫০) ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের মৃত মোকছেদ মোল্লার ছেলে। তিনি ওই হোটেলের ব্যবস্থাপক পদে চাকরি করতেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু বিশ্বাস বলেন, ‘স্থানীয়রা বোডিংয়ের একটি কক্ষে দাউদ মোল্লার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।’
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পিকনিকের ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ২ জনের লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি। এছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: ঢাকা কলেজের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
৩ মাস আগে
সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ জুন) সকালে নগরীর দরগাহ গেইট এলাকার জমজম আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাকির হোসেন (৩০) মাদারীপুরের শিবচর থানার কদমতলী গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শাহবাগ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে শাহজালাল (র.) তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ সোমবার সকালে জমজম আবাসিক হোটেলের ৪১৭ নম্বর কক্ষ থেকে জাকির হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২ শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
ধানমন্ডি লেক থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
কোভিড-১৯ সময়ের আবাসিক হোটেলে চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের খরচ বাবদ ৭.৮৫ কোটি টাকা পেলেন মালিকরা
অবশেষে আড়াই বছর পর কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ের আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক ও নার্সদের থাকা, খাওয়া ও পরিবহন ভাড়াসহ মোট বকেয়া বিলের মধ্যে ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকার চেক পেয়েছে হোটেল মালিকরা।
বাকি টাকার চেক আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।
আরও পড়ুন: শ্রমিক-মালিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত রচনা করতে হবে: স্পিকার
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে হোটেল মালিকদের কাছে তাদের পাওনা টাকার চেক তুলে দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।
তিনি বলেন, তাদের মোট বকেয়া ছিল ১১ কোটি ৯৪ লাখ ৭১ হাজার ২ টাকা। এর মধ্যে আজ ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।
টাকা পেয়ে হোটেল মালিকরা স্পংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
১ বছর আগে
বেনাপোলের আবাসিক হোটেল থেকে কসমেটিকস ও কাপড় জব্দ, গ্রেপ্তার ৮
যশোরের বেনাপোলে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কসমেটিকস ও কাপড় জব্দ করার দাবি করা হয়। এ সময় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুইটি আবাসিক হোটেলে ভোর ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- ঢাকার হাজারীবাগ বটতলা মাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মোস্তাকিন আরাফাত সালেহীন (৩২), চাঁদপুরের মতলব উপজেলার পাঁচআনি গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সেলিম হোসেন (২৯), বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার পূর্বশুলতানি গ্রামের নান্নু তালুকদারের ছেলে সুমন তালুকদার (৩৬), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কুসুমদিয়া গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক (৫৪), খুকরা গ্রামের কাঞ্চন আলী খানের ছেলে খবির উদ্দিন খান (৪৫), চাঁদপুর সদরের শাহাতলী এলাকার আব্দুর রব চৌধুরীর ছেলে ইসহাক চৌধুরী (৪৭), ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে তানভীর আক্তার (৪২) ও ভারতের পেট্রাপোল এলাকার ফকির চাঁদ হালদারের ছেলে সমির হালদার (৩৫)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে ভোর ৫টার দিকে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিতাই চন্দ্র দাস ও এসআই রইচ আহমেদ বেনাপোলের বড়আঁচড়াস্থ ডায়মন্ড আবাসিক হোটেল ও নাহিদ আবাসিক হোটেলে অভিযান চালান। এ সময় দু’টি হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে উল্লিখিত আট ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় অবৈধভাবে নিয়ে আসা ভারতীয় ৫৫টি শাড়ি, ১২৫টি লেহেঙ্গা, থ্রিপিস ৫৫১টি, ১২ বান্ডিল চুড়ি ও দুই বান্ডিল ইমিটেশন গহনা। যার মূল্য ৯ লাখ ১৩ হাজার ১০০ টাকা। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ১: র্যাব
১ বছর আগে
সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে নগরীর বাগবাড়ি এলাকার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের চৌধুরী হোটেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মঞ্জু দাস (৪০) গোলাপগঞ্জ উপজেলার ছয়ঘরি গ্রামের মৃত সুভাস দাসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে পরিচয় গোপন করে হবিগঞ্জের করিমপুর ঠিকানা উল্লেখ করে চৌধুরী হোটেলের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে উঠে মঞ্জু দাস। দীর্ঘসময় পার হওয়ার পরও তিনি রুম থেকে না বের হওয়ায় রাত ৯টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ডাকতে গিয়ে কোনো সাড়াশব্দ পায়নি। এ সময় দরজা খুলে বেডের মধ্যে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারী এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ চীনা প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
নিকলীতে আবাসিক হোটেল থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আবাসিক হোটেল থেকে তামান্না (২২) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে নিকলী উপজেলা সদরের পুরান বাজারে অবস্থিত আওয়ার হাওর প্যারাডাইস নামে একটি আবাসিক হোটেলের ৬ষ্ঠ তলার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় 'প্রলয় গ্যাংয়ের' দুই সদস্য গ্রেপ্তার
নিহত তামান্না কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম জগন্নাথপুর গ্রামের অহিদ মিয়া মেয়ে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়েটির কথিত স্বামী হুমায়ুনকে (২৯) আটক করেছে পুলিশ। হুমায়ুন একই জেলার কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
জানা যায়, গত ২৫ মার্চ তামান্না ও হুমায়ুন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নিকলী উপজেলা সদরে প্যারাডাইস আবাসিক হোটেলের ৬০৯ নম্বর রুমে তারা অবস্থান করেন।
বুধবার দুপুরে হুমায়ুন তামান্নাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তামান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া তামান্নার গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে।
পরে, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠায়। এছাড়া কথিত স্বামী হুমায়ুনকে আটক করা হয়েছে।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো মনসুর আলী আরিফ, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়েছে।
তামান্নার পরিবারকে জানানো হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দিনাজপুরে মিজান হত্যা মামলার অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বন্দরবাজারের লালবাজারে অবস্থিত লাভলী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাহেদ মোশারফ (৩৫) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও মিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: নানার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে কিশোরীর মৃত্যু
সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল করিম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শাহেদ মোশাররফ লাভলী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। তিনি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করে বেড়াতেন। তার যক্ষা রোগ ছিল এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজও পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন মোশারফ। সুরতহাল শেষে লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল থেকেই তিনি অসুস্থ ছিল। দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে হোটেলের ২৫ নম্বর কক্ষ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, দুদিন আগে সিলেটের আরেকটি আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খুলনায় পানিতে ডুবে মাদ্রাসারছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
ভয়াবহ দূষণের মুখে পর্যটন শহর কক্সবাজার
কক্সবাজারের পর্যটন এলাকায় পাঁচ শতাধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে। কিন্তু স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান (এসটিপি) রয়েছে মাত্র চারটি হোটেলে। যার কারণে ভয়াবহ দূষণের মধ্যে পড়েছে পর্যটন এলাকা।
জেলা প্রশাসনের র্যটন সেলেপর দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, কক্সবাজারে এসটিপি রয়েছে তিনটি পাঁচ তারকা ও একটি তিন তারকা হোটেলে। এছাড়া এসটিপিবিহীন তারকা মানের আরও আটটি হোটেল রয়েছে।
কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্র সংলগ্ন এলাকায় মাঝারি, ছোট, বড় আবাসিক হোটেল রয়েছে পাঁচ শতাধিক। এর মধ্যে শুধু পর্যটন শহরে রয়েছে সাড়ে তিন শতাধিক হোটেল।
তিনি জানান, তারকা মানের হোটেলকে নিজস্ব এসটিপি করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে অন্যান্য সব হোটেলের জন্য সেন্ট্রাল এসটিপি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ আইন না মেনে কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় গড়ে উঠেছে শত শত আবাসিক হোটেল, বহুতল ভবন, স্টুডিও এপার্টমেন্ট। কক্সবাজার শহরের সাড়ে তিন শতাধিক আবাসিক হোটেলকে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান (এসটিপি) স্থাপনের নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ হোটেলে এসটিপি করার জায়গা নেই। তাই জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার পৌরসভা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে সেন্ট্রাল এসটিপি করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সৈকতে বিশাল ‘প্লাস্টিকের দৈত্য’
তিনি আরও বলেন, এসটিপি না থাকায় ভয়াবহ পবিবেশ দূষণের কবলের পড়েছে পর্যটন জোন। পয়ঃনিষ্কাশনের ময়লাপানি আসে নালায়। যার কারণে পর্যটন এলাকায় থাকা নালা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
সেভ দ্য ন্যাচার এর চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসাইন জানান, দেশবিদেশের পর্যটকরা নির্মল পরিবেশে ভ্রমণ করতে কক্সবাজারে আসেন। কিন্তু নানা কারণে এখানকার পরিবেশ দূষিত হওয়ায় পর্যটকদের মাঝে কক্সবাজার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। হোটেলে এসটিপি স্থাপন না করায় পর্যটন শহরের পরিবেশ দূষিত হয়েছে। পর্যটকদের নাকে মুখে হাত দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ভয়াবহ দূষণে পড়েছে পর্যটন জোন। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এটি দুর্গন্ধের শহরে পরিণত হবে।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুনাইদ জানান- এসটিপি স্থাপন তো দূরের কথা, এখনও পরিবেশ আইন না মেনে যেভাবে স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। এতে বসবাস অনুপযোগী হয়ে উঠছে পুরো শহরটি। তাই বর্তমান পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন। আর যারা আগে নির্মাণ করেছে তাদের স্থাপনা পরিবেশবান্ধব করতে পুনঃসংস্কার করা জরুরি। সেইসঙ্গে এসটিপি বাধ্যতামূলক করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করে। তাদের মলমূত্র এসটিপি ছাড়াই সাধারণ টয়লেট রিং এ জমা হয়। সেখান থেকে সরাসরি যায় নালায়। আর নালা থেকে সরাসরি যাচ্ছে স্থানীয় বাঁকখালী নদীতে। আর বাকঁখালী নদী হয়ে যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। এসটিপি না থাকার কারণে পর্যটন, এলাকা, নদী ও বঙ্গোপসাগর দূষিত হচ্ছে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়া প্রয়োজন। তা না হলে পর্যটকরা যেমন বিমুখ হবে, তেমনি স্থানীয়দের জন্য বসবাস অনুপোযোগী হয়ে পড়বে এই কক্সবাজার শহর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রঘুরে দেখলেন ৩৮ ভারতীয় ট্যুরিস্ট
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ে সেন্ট্রাল এসটিপি করা হবে। তা না হলে দূষণের মুখে পড়বে পর্যটন শহর কক্সবাজার শহর। তবে বর্তমানে যে সব নালা নর্দমা রয়েছে তা নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার জানান, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তিনস্তর বিশিষ্ট তার উর্ধ্ব হোটেলে নিজস্ব এসটিপি স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ‘সাধারণ আবাসিক হোটেল, মোটেল, কটেজ, গেস্ট হাউসের জন্য সেন্টাল এসটিপি করতে বলা হয়েছে। এসটিপি স্থাপন করা না হলে সংশ্লিষ্ট হোটেলের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, কক্সবাজার শহরে আগে থেকে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এখন থেকে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী স্থাপনা হবে। এছাড়া পর্যটন শহরকে দূষণমুক্ত করতে এসটিপি স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজারে ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেছেন, কক্সবাজারে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। তারকা মানের অসংখ্য হোটেল হয়েছে। এখন এসটিপি না থাকায় পরিবেশ প্রতিবেশ দূষণের মুখে পড়েছে। এতে পর্যটকরা বিমুখ হতে পারে। তাই কক্সবাজারে উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সেন্ট্রাল এসটিপি স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২৯ টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
আবাসিক হোটেল কক্ষে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় একটি আবাসিক হোটেলে শয্যা বিশ্বাস (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সৌরভ সরকার জয় নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের মজমপুর এলাকার রাতুল আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
আটক সৌরভ টাঙ্গাইল জেলা সদরের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন।
নিহত শয্যা বিশ্বাস কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের উদায় বিশ্বাসের মেয়ে ও খোকসা সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকার রাতুল আবাসিক হোটেলে আসেন তারা। সেখানেই দু’জন অবস্থান করছিল। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ করেই শয্যা বিশ্বাস অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৯ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার
এ বিষয়ে রাতুল আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার রিপন বলেন, রবিবার দুপুরে তারা দু’জন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে উঠেছিল। তারা হোটেলেই অবস্থান করছিল। সন্ধ্যার দিকে শয্যা বিশ্বাস নামে ওই নারী অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা উদায় বিশ্বাস বলেন, রবিবার সকালে শয্যা কলেজ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজখবর নেয়া হয়।
পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে শয্যার মৃত্যুর খবর আসে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ল্যাট্রিনের কুয়া থেকে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার, স্বামী-শাশুড়িসহ আটক ৩
এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই এ ব্যাপারে থানায় আমরা মামলা দায়ের করব।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, আবাসিক হোটেলে ওই কলেজছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি।
এছাড়া ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, হোটেলে নিহত কলেজছাত্রীর সঙ্গে অবস্থানরত সৌরভ নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তবে ওই যুবকের দাবি, তারা দু’জন স্বামী-স্ত্রী।
তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি নিহতের পরিবারের লোকজন।
অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: তামাবিলে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে