মাদরাসাছাত্রী
পিকআপের ধাক্কায় মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মাদরাসায় যাওয়ার পথে পিকআপের ধাক্কায় এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক মাদরাসাছাত্রী।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলায় শাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার গ্রামীণ সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে পিকআপের ধাক্কায় সিএনজির চালকসহ নিহত ২
নিহত মাদরাসাছাত্রী আরিফা জান্নাত (৬) একই এলাকার মোহাম্মদ ইমাম হোসেনের কন্যা এবং স্থানীয় খেয়ারহাট নূরিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। আহত মাদরাসাছাত্রী রিনা আক্তার আঁখি একই মাদরাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে আরিফা একটি অটোরিকশাযোগে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীতমুখী একটি দ্রুতগামী পিকআপ অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় শিশু আরিফা।
খেয়ারহাট নূরিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, ছয় শিক্ষার্থী সিএনজি অটোরিকশাযোগে আরবি পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে মাদরাসায় আসছিল। এ সময় একটি পিকআপ ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই আরিফা নিহত হয়।
তিনি আরও জানান, এছাড়া মাদরাসার প্রথম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী রিনা আক্তার আঁখি গুরুতর আহত হয়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিকআপের ধাক্কায় প্রকৌশলী নিহত
কালীগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
১১ মাস আগে
বাগেরহাটে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে ফরিদপুর জেলার আলমডাঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো. হাবিল শেখ (৩৫) বাগেরহাটের ফকিরহাটের দেয়াপাড়া গ্রামের আদম আলী শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সাজাপ্রাপ্ত ২ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৬ এর গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, আসামি হাবিল শেখ ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতো। ভুক্তভোগী তার প্রস্তাবে রাজি না-হওয়ায় হাবিল তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ১২ ডিসেম্বর রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে হাবিল শেখ ভুক্তভোগীর বসতঘরের বেড়া ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে তার বাবা-মা এগিয়ে আসলে হাবিল ভুক্তভোগীর মায়ের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলীমুজ্জামান জানান, ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হাবিল শেখকে র্যাবের পক্ষ থেকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৮ বছর পলাতক হিজবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ ১৮ মামলার আসামি গিট্টু জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
লোহাগাড়ায় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় উপজেলার আধুনগর খাঁনহাট স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. আরিয়ান চৌধুরী জোবাইর (২৬) উপজেলার আধুনগর চৌধুরী পাড়া এলাকার কায়কোবাদ চৌধুরীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫
জানা গেছে, ভুক্তভোগী মাদরাসায় যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করত অভিযুক্ত জোবাইর। ২৯ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে অভিযুক্ত জোবাইর ও তার সঙ্গে থাকা দুই-তিনজন প্রাইভেটকারে করে ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে যায়। একটি কটেজে নিয়ে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত জোবাইর।
পরে ২ ডিসেম্বর রাতে ভুক্তভোগীকে আধুনগর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত জোবাইরকে গ্রেপ্তার করে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর মা তার মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করলে ১১ ডিসেম্বর রাতে পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত জোবাইরকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সার্ভিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে পুলিশের অভিযানে নিহত ২, শতাধিক আহত, গ্রেপ্তার ৬০০: ফখরুল
ঢাকা থেকে চুরি হওয়া শিশু সিলেটে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় ২ মাদরাসাছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন: বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই মাদরাসা ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত বাড়িয়ালার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় এই মামলাটি করে।
অভিযুক্ত হাজী মো. শহিদুল ইসলাম পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার মৃত নুরুল হক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি উপজেলা সাব রেজিট্রার’র কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ট্যাক্স কালেক্টর ও দুই সন্তানের জনক।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মাদরাসার পরিচালনা পরিষদ জানায়, প্রায় সাত মাস আগে মহিলা মাদরাসাটি দুর্গাপুর এলাকার হাজী মো.শহিদুল ইসলামের বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। মাদরাসার একটি কক্ষে বাড়ি মালিক ও তার স্ত্রী থাকেন। মোবাইল চার্জ দিতে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই ওই কক্ষে যায়। সেই সুযোগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করেন বাড়ির মালিক মো.শহিদুল ইসলাম। এরপর থেকে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়মিত যৌন নিপীড়ন করে আসছিলেন তিনি।
গত বুধবার আরেক ছাত্রী মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে শহিদুলের অপকর্ম দেখে ফেলে। তাকেও হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়ন করে বাড়ির মালিক শহিদুল।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ চালকের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে প্রভাবশালী একটি মহল থানায় অভিযোগ না করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। তবে শুক্রবার মাদরাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন চলাকালে গণমাধ্যমকর্মীরা কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলমকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মামলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আতিকুল ইসলামকে কুমারখালী থানায় পাঠান।
আরও পড়ুন: রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ২০১৯ সালে হজ্জ করেছি। এমন কাজ আমি করতে পারি না আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ বছর আগে
চাঁদপুরে মাদরাসাছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
চাঁদপুরের কচুয়ায় ১৪ বছরের এক মাদরাসাছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কচুয়া থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মণি রাণী ভৌমিক জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা রবিবার থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেপ্তার করে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৫ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
গ্রেপ্তার রাসেল মিয়া (২৬) তেতৈয়া গ্রামের খায়রুল বাকি মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, শুক্রবার দুপুরে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নাতনিকে খাবার পৌঁছে দিয়ে বিকাল ৪টার দিকে সিএনজি অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন তার মেয়ে। এই সময় তিন ব্যক্তি ওই সিএনজিতে উঠে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে খিড্ডা বাজারের পশ্চিম পাশে পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে সে বাড়িতে এসে আমাদেরকে বিষয়টি অবগত করে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা দফারফা করতে ব্যর্থ হলে রবিবার তিনি কচুয়া থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিলেটে গ্রেপ্তার ৩
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে কচুয়া থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্যানুসারে আমরা অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছি।
ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানোসহ তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
২ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে বস্তাবন্দি মাদরাসাছাত্রী উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাহফুজা খাতুন (১৫) নামে এক মাদরাসাছাত্রীকে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের টাঙন নদীর পাড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মাহফুজা খাতুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের ক্বারী মৃত মোস্তফা কামালের মেয়ে। তিনি ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমী মহিলা মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, সকালে টাঙন ব্রিজের নিচে বস্তাটি মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেলে স্থানীয়দের মনে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা বস্তাবন্দি লাশ ভেবে এগিয়ে গিয়ে বস্তার মুখ খোলে। এসময় ওই কিশোরী নড়াচড়া করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। টাঙন নদী সংলগ্ন খালপাড়া এলাকার বাসিন্দা জয় মহন্ত অলক বলেন, নদীর ব্রিজের নীচে একটি বস্তার ভিতরে একটি মেয়েসহ পড়ে থাকতে দেখে আমাকে একজন মোবাইলে ফোন করে জানান। আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম মেয়েটি মারা গেছে। পরে ছবি তোলার জন্য একটু কাছে গিয়ে দেখি বস্তাটি নড়ে উঠল। তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের বস্তাটি খুলতে বললাম। বস্তা খোলার পর দেখা গেল মেয়েটি বেঁচে আছে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উজিরপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
মাহফুজা খাতুনের বড় বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার বোন টাঙন নদীর পাশে এক মাদরাসায় পড়াশোনা করে। ঘটনা কি ঘটেছে জানি না।
মাহফুজার মা সালমা খাতুন জানান, এর আগে গুলজার নামের এক ছেলে আমার মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। কিন্তু পরে সেই ছেলে আমার মেয়েকে ছেড়ে চলে যায়। সেই ছেলেই আমার মেয়ের ক্ষতি করার জন্যে এমনটা করতে পারে।
খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমী মহিলা মাদরাসার মুহতামিম হযরত আলী বলেন, স্বাভাবিক নিয়মের মতো রাত ১১টায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। ফজরের নামাজের সময় তাকে রুমে দেখতে না পেয়ে সহপাঠীরা তাকে খোঁজাখুঁজি করে। তার অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়। সকালে টাঙন নদীর পাড়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় তাকে পাওয়া গেলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানতে পারি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, মাহফুজা শহরের একটি মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করে। মেয়েটির সাবেক স্বামী তার দলবল নিয়ে রাত আনুমানিক ২-৩টার দিকে কৌশলে মাদরাসা থেকে তাকে বের করে নিয়ে আসে। পরে নির্যাতন করে তাকে বস্তাবন্দি করে টাঙন নদীর পাড়ে বাঁধের ঢালে ফেলে রাখে। কয়েক ফুট দূরেই ছিল গভীর নদী। সকালে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওসি কামাল হোসেনে আরও বলেন, বস্তার ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েটি বলছেন যে, তার সাবেক স্বামীসহ আরও কয়েকজন তাকে প্রলোভন দেখিয়ে রাতে মাদরাসা থেকে বের করে আনে ও টাঙ্গন ব্রিজের নীচে বস্তায় ভরে রেখে চলে যায়। কিন্তু তারা তাকে কোন প্রকার নির্যাতন করেনি। ওই মেয়েটির এমন স্বীকারোক্তি বা বক্তব্য রহস্যজনক। বিষয়টি আমরা গভীরভাবে খতিয়ে দেখছি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে তরুণের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
নাটোরে মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসাছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
রবিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মহানন্দাগাছা এলাকার এক আত্মীয় বাড়ি থেকে তাকে আটক করে র্যাব নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত স্বামীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে স্ত্রী আটক
সোমবার সকালে তাকে বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
আটক নাহিদ হাসান নাজমুল (২৬) উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের আজাহার হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত শ্বাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, পুত্রবধূ আটক
র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কমান্ডার ফরহাদ হোসেন জানান, শনিবার বিকালে বড়াইগ্রাম উপজেলার মাদরাসাছাত্রী পাশেই তার নানাবাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। এই সময় নাহিদ তাকে রাস্তা থেকে জোর করে পাশের আখ খেতে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে মাঠে থাকা কৃষকরা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত প্রবাসী নাহিদ পালিয়ে যায়।
২ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রী মাসুমা খাতুন (১৮) আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস বিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
গ্রেপ্তার আবুল কালাম ওরফে দা কালাম (২৪) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আরামপাড়া গোরস্থান এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ায় বাড়ি থেকে মাদরাসাছাত্রী মাসুমা খাতুনের গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাসুমা রেলবাজার আলিয়া মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
এ ঘটনায় মৃত ছাত্রীর বাবা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই আবুল কালামকে আসামি করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিবাহিত হয়েও কালাম বেশ কিছুদিন ধরে মাসুমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসলেও তাতে রাজি ছিল না মাসুমার পরিবার। পরে কালাম মাসুমাকে তার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে মাসুমাকে প্রকাশ্যে মারধর ও গালমন্দ করে কালাম। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে মাসুমা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আসামি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, কালামের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের রিগান ও তার মামা কৃষক লীগ নেতা মহসীন রেজাকে হত্যাচেষ্টাসহ অর্ধডজন মামলা রয়েছে।
পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বখাটের উত্ত্যক্তের জেরে মাদরাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা!
২ বছর আগে
পদ্মা নদীতে ডুবে মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ডুবে এক মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী নগরীর পদ্মপাড় লালন শাহ্ মুক্তমঞ্চ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মোসা. মাইমুনা খাতুন (১৩) চারঘাট উপজেলার অনুপমপুর এলাকার ফজলুল হকের মেয়ে ও মাদরাসাতুস সুফফাহ আল আরাবিয়াহর ছাত্রী।
এই ঘটনায় লুবনা (১২) নামে অপর এক ছাত্রী আহত হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বান্ধবীদের সঙ্গে মুক্তমঞ্চ এলাকায় হাঁটার সময় পা ভেজাতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়। এসময় তার বান্ধবীরা তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
একই ঘটনায় আরেক ছাত্রী বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে ওসি জানান।
২ বছর আগে
চাঁদপুরে বিয়ের আশ্বাসে মাদরাসাছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’, যুবক গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর এলাকায় বিয়ের আশ্বাসে মাদরাসার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মো. মিজান (রাসেল) জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষ্মীয়া গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে। তিনি জেলার হাজীগঞ্জে একটি গ্যারেজে শ্রমিকের কাজ করে।
এ ঘটনায় শনিবার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মতলব দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের করলে ওই দিন দুপুরে নারায়ণপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১১ দিন আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
পুলিশ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্র জানায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছাত্রীটির সাথে মিজানের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রীটি তার মাদসায় যায়। মিজান খবর দিয়ে ওই ছাত্রীকে মাদরাসার ফটকের সামনে নিয়ে আসেন এবং ফুসলিয়ে হাজীগঞ্জের তার নিজ বাসায় নিয়ে যান। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাবেক ইউপি সদস্যকে হত্যা: বরিশালে গ্রেপ্তার ৪
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ নারায়ণপুর এলাকা থেকে মিজান রাসেলকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি জানান, ওই ছাত্রীটিকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে এবং আসামি মিজানকে আজ (রবিবার) চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
৩ বছর আগে