অক্টোবর
অক্টোবরে সড়কে মৃত্যুর ৪১.৭৯% মোটসাইকেল দুর্ঘটনায়
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে ৪৪৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ৪৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় ৮৩৭ জন আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ৭৪ জন নারী এবং ৬৬ জন শিশু।
মোট ২০৮টি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ৪১.৭৯ শতাংশ এবং মোটরবাইক দুর্ঘটনার হার ৪৬.৯৫ শতাংশ।
এছাড়া, ১০২ জন পথচারী (২১.৭৪ শতাংশ) এবং ৬৭ জন যানবাহন চালক বা তাদের সহকারী (১৪.২৮ শতাংশ) নিহত হন।
এ সময়, ৪টি নৌ দুর্ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু এবং ৩ জন আহত হন, আর ২১টি রেল দুর্ঘটনায় ১৮ জন মারা যান এবং ৬ জন আহত হন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সংগঠনটি জানায়, ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং এর নিজস্ব রেকর্ডের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০, আহত ২৪
যানবাহন অনুযায়ী মৃত্যুর হিসাব
যানবাহনের ধরন অনুযায়ী মৃত্যুর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোটরবাইক চালক বা যাত্রীদের মধ্যে ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে (৪১.৭৯ শতাংশ)। বাস যাত্রীদের মধ্যে ৩১ জন (৬.৬০শতাংশ) মারা গেছেন এবং ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, ট্রলি বা লরির যাত্রীদের মধ্যে ২০ জন (৪.২৬ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
এছাড়া প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স যাত্রীদের মধ্যে ১২ জন (২.৫৫ শতাংশ) মারা গেছেন, আর তিন চাকার যান (যেমন অটো রিকশা, সিএনজি, টমটম) যাত্রীদের মধ্যে ৯৪ জন (২০.০৪ শতাংশ) প্রাণ হারিয়েছেন।
নসিমন ও করিমনের মতো স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন দুর্ঘটনা ১০ জন (২.১৩ শতাংশ) এবং সাইকেল চালক ও রিকশা যাত্রীদের মধ্যে ৪ জন (০.৮৫ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার স্থান অনুযায়ী সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৭৩টি (৩৯.০৫ শতাংশ) দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে ঘটেছে, ১৬২টি (৩৬.৫৬ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৬৪টি (১৪.৪৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৩৮টি (৮.৫৭ শতাংশ) শহুরে এলাকায় এবং এছাড়া অন্যান্য অপ্রত্যাশিত স্থানে ৬টি (১.৩৫ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন
দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল ১১২টি (২৫.২৮ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭১টি (৩৮.৬০ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৪টি (২৩.৪৭ শতাংশ) পথচারীকে আঘাত, ৪২টি (৯.৪৮শতাংশ) পেছন থেকে ধাক্কা এবং ১৪টি (৩.১৬শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটে।
দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহন
দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহনের মধ্যে ২৫.৪৮ শতাংশ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, ট্র্যাক্টর, ট্রলি, লরি ও ড্রাম ট্রাক জড়িত ছিল।
মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, অ্যাম্বুলেন্স ও জিপ দুর্ঘটনা ছিল ৪.৩৯ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ছিল ১৪.৪৮ শতাংশ, মোটরবাইকের ছিল ২৮.০৭ শতাংশ এবং তিন চাকার যান (যেমন অটো-রিকশা) ছিল ১৭.৫৯ শতাংশ।
এছাড়া স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ছিল ৫.৪৩ শতাংশ, সাইকেল ও রিকশা ছিল ১.৮১ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ছিল ২.৭১ শতাংশ।
যানবাহনের সংখ্যা
মোট ৭৭৩টি যানবাহন দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। এর মধ্যে ১১২টি বাস, ১১৯টি ট্রাক, ২২টি কাভার্ড ভ্যান, ২৫টি পিকআপ, ৭টি ট্র্যাক্টর, ৬টি ট্রলি, ৯টি লরি, ৮টি ড্রাম ট্রাক, ১টি ১৮-চাকার লরি, ১২টি মাইক্রোবাস, ১৪টি প্রাইভেট কার, ৫টি অ্যাম্বুলেন্স, ৩টি জিপ, ২১৭টি মোটরবাইক, ১৩৬টি তিন চাকার যান, ৪২টি স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন, ১৪টি সাইকেল বা রিকশা এবং ২১টি অজ্ঞাত যানবাহন।
দুর্ঘটনার সময়
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫.৪১ শতাংশ দুর্ঘটনা হয়েছিল ভোরে, ২৬.৬৩ শতাংশ সকালে, ১৬.৯৩ শতাংশ দুপুরে, ১৫.৫৭ শতাংশ সন্ধ্যা, ৯.২৫ শতাংশ গোধূলি এবং ২৬.১৮ শতাংশ রাতে।
বিভাগ অনুযায়ী দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান
বিভাগীয় পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ২৯.৫৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর ৩০.৭০ শতাংশ গটেছে ঢাকা বিভাগে। মোট দুর্ঘটনার ১৫.৩৪ শতাংশ ও মৃত্যুর ১৩.৮৫ শতাংশ হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। দুর্ঘটনার ১৭.৮৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর ১৭.২৭ শতাংশ ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। মোট দুর্ঘটনার ৯ শতাংশ ও মৃত্যুর ৮ দশমিক ১০ শতাংশ গয়েঠে খুলনা বিভাগে, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৩১টি ঘটনায় ১৪৪ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট। সেখানে ২২টি ঘটনা এবং ২৪ জন মারা গেছে।
বিভিন্ন জেলা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম সর্বোচ্চ দুর্ঘটনা ও মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিকে, মাগুরা, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পঞ্চগড়ে দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
রাজধানী ঢাকা শহরে ২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু এবং ৩৪ জন আহত হয়েছেন।
মৃত্যুর পেশাগত বিশ্লেষণ
প্রকাশিত গণমাধ্যম তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য, দুইজন আনসার সদস্য, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নয়জন শিক্ষক এবং চারজন সাংবাদিক ছিলেন।
দুর্ঘটনা ও হতাহতের এসব ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা উন্নত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জন নিহত, আহত ৯৭৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
১ মাস আগে
অক্টোবরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে
বাংলাদেশে সাধারণ পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার চলতি বছরের অক্টোবরে বেড়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে অক্টোবরে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ শতাংশ: সালেহউদ্দিন
১ মাস আগে
অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ২.৩৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এই সময়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৮ হাজার ৯৩৮ মিলিয়ন ডলার; ২০২৩ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ছিল ৬ হাজার ৮৭৮ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ চ্যানেলে ১.৯৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে
শুধু ২০২৪ সালের অক্টোবরেই রেমিট্যান্স প্রবাহ ২ হাজার ৩৯৫ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রাপ্ত ১ হাজার ৯৭১ মিলিয়ন ডলার ছিল।
বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি, উন্নত রেমিট্যান্স চ্যানেল এবং মৌসুমি প্রবাহ, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণ।
৩১ অক্টোবর একদিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮ মিলিয়ন ডলার।
অর্থনীতিবিদরা এসব পরিসংখ্যানের ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরে বলেছেন, মজবুত রেমিট্যান্স প্রবাহ অভ্যন্তরীণ খরচ বাড়াতে পারে এবং দেশের জন্য বহিরাগত অর্থনৈতিক চাপের প্রভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে।
স্থায়ী রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার চলমান প্রচেষ্টায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ১৯ দিনে ১.৫৫৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
১ মাস আগে
অক্টোবরে ১৯ দিনে ১.৫৫৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
চলতি অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে ১৫৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। এটি প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার আহরণকে চিহ্নিত করে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে রেমিট্যান্স আহরণের এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে দেখা যায়, তুলনামূলকভাবে সেপ্টেম্বরের একই সময়ে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আহরণ করেছিল ১৪৭ কোটি ডলার, যা অক্টোবরের পরিসংখ্যানে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ, বছরের ব্যবধানে ৮০.২ শতাংশ বৃদ্ধি
রেমিট্যান্সগুলো বিভিন্ন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ কোটি ৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছেঠ ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
বাংলাদেশে বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪১ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, গত ১৩ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসীরা ৫৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, ৬ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং মাসের প্রথম ৫ দিনে ৪২ কোটি ৪৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮৬ মিলিয়ন ডলার
২ মাস আগে
অক্টোবরের প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮৬ মিলিয়ন ডলার
অক্টোবরের প্রথম ১২ দিনে ৯৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এতে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৪ অক্টোবর) পর্যন্ত একদিনে ৮.২২ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ডলার
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকে ২৪৫.৫৭ মিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকেই এসেছে ৪৪.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৬৯৩.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৫টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ২.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১.৯১ বিলিয়ন ডলার, আগস্টে ২.২২ বিলিয়ন ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২.৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ, বছরের ব্যবধানে ৮০.২ শতাংশ বৃদ্ধি
সেপ্টেম্বরের ২১ দিনে বাংলাদেশে ১.৬৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে
২ মাস আগে
থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হবে অক্টোবরে, ২০২৫ সালে ফ্লাইট শুরুর আশা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ চলতি বছরের অক্টোবরেই শেষ হচ্ছে। আর আগামী বছরের শুরুতে থার্ড টার্মিনাল থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হতে পারে বলে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেবিচক জানায়, তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পের সময়সীমা অনুযায়ী আগামী অক্টোবরেই শেষ হবে। অক্টোবরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টার্মিনালের দায়িত্ব বুঝে নেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বেবিচক দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর আগামী বছর থেকে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক করা হবে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই তৃতীয় টার্মিনালের কাজ যথাসময়ে শেষ করা নিয়ে তৈরি হয় এক ধরনের অনিশ্চয়তা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কিছুদিন পর আবার থার্ড টার্মিনালের কাজ স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় থার্ড টার্মিনাল ভবনের ওপর দৃষ্টিনন্দন নকশার কাজ সবার নজর কাড়ছে। ভেতরে বাইরে ছোট-খাট বিভিন্ন ধরনের ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন করে টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি, কাজের মান এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্দেশ দেন।
বেবিচক চেয়ারম্যান ইউএনবিকে বলেন, থার্ড টার্মিনালের কাজ ইতোমধ্যে ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সার্বিক কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষজনক। অবশিষ্ট কাজসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দশনা দিয়েছি।
কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অক্টোবরেই সব কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। টার্মিনাল ভবন বুঝে পাওয়ার পর আমরা ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নেব।
কনসালটেন্সি ফার্ম নিপ্পন কোইয়ের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, টার্মিনালে অপারেশন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তার জন্য ৬ হাজার দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য প্রায় ৪ হাজার কর্মীর প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, যেহেতু এত লোকবল অক্টোবরের মধ্যে পাওয়া যাবে না, তাই প্রথম কয়েক মাসে টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু নাও হতে পারে। শুরুর কয়েক মাস বেবিচক ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স টার্মিনালটি পরিচালনা করবে। আগামী বছরের প্রথম দিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে আরও ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। আর বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালে দিনে ৩০টির বেশি উড়োজাহাজ সংস্থার ১২০ থেকে ১৩০টি বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। প্রতিদিন এসব উড়োজাহাজের প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল ব্যবহার করেন। এই হিসাবে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর তড়িঘড়ি করে টার্মিনালটির আংশিক উদ্বোধন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখনই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, চলতি বছরের অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনাল থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনালের ফিজিক্যাল পার্ট শেষ হয়ে যাবে। আর ডিসেম্বর বা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। শাহজালালের প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালের অধিকাংশ কাজ ম্যনুয়ালি হয়। তৃতীয় টার্মিনালে সবকিছু অনলাইনভিত্তিক হবে। এজন্য বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হবে ৫ এপ্রিলের মধ্যে
বেবিচক জানায়, ২০১৭ সালে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেয় সরকার। তবে নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং।
বেবিচক সূত্র জানায়, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে দুটি টার্মিনালে জায়গা রয়েছে ১ লাখ বর্গমিটারের কিছু বেশি। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে এর সঙ্গে যুক্ত হবে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার স্থান। তিনতলা টার্মিনাল ভবনে থাকছে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি ডিপারচার ও ৬৪টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ডেস্ক। নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবে ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ৪০টি স্ক্যানিং মেশিন, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১৬টি ক্যারোসেল ও ১১টি বডি স্ক্যানার।
তৃতীয় টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করা যাবে। রানওয়েতে উড়োজাহাজের অপেক্ষা কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ে। পণ্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য নির্মাণ করা হয়েছে দুটি ভবন। একসঙ্গে ১ হাজার ৩৫০টি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তিনতলা ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। তৃতীয় টার্মিনালের মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের মধ্যে প্রথম ধাপে চালু হবে ১২টি। বহির্গমনের জন্য মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টারের মধ্যে ১৫টি থাকবে সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টার। ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারও থাকবে।
তৃতীয় টার্মিনালটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে যাত্রীদের ভেতরে ঢুকতে ও বের হতে সুবিধা হয়। টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ এবং বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে একটি টানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে। এছাড়া হজযাত্রীরা আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে আরেকটি টানেল দিয়ে তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের ৯৭ ভাগ সম্পন্ন: মন্ত্রী
৩ মাস আগে
অক্টোবরের শেষ থেকে হরতাল-অবরোধে ২৫৩টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
অক্টোবরের শেষ থেকে বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা অবরোধ ও হরতাল চলাকালে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ২৫৩টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিরোধী দলগুলোর ডাকা সর্বশেষ সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনে ১১টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার জানান, সোমবার দুপুর ২টা ২৩ মিনিটে ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিটের ১০ জন সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘন্টায় ফায়ার সার্ভিসের ৮টি অগ্নিকাণ্ডের রেকর্ড
১ বছর আগে
ঢাকার মধ্যে মিরপুরে অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বলেছে, গত মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৪৭৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মধ্যে ঢাকা শহরে ১৬৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, অক্টোবরে ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে ৮টি। সেপ্টেম্বরে ছিল ১৫৫টি ঘটনা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে ঢাকা শহরে প্রতিদিন গড়ে ৫টির বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং মিরপুরে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে আইআইজি, ইন্টারনেটের গতি ব্যাহত
তবে মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ১ হাজার ৫৭৭ টি থেকে অক্টোবরে ১০২টি কমেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত মাসে ঢাকা বিভাগে ৫০১টি, ময়মনসিংহে ৫৫টি, চট্টগ্রামে ২৩৯টি, রাজশাহী বিভাগে ২১৩টি, খুলনা বিভাগে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগে ৫৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬৬টি এবং রংপুর বিভাগে ১৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অন্যান্য দুর্ঘটনায় ১৬৭ জন নিহত ও ৮৩০ জন আহত হয়েছেন এবং ফায়ার সার্ভিস ৮৪৬টি ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৬৯০টি ছিল সড়ক দুর্ঘটনা।
এ ছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০টি, গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণে ১৩টি, লিফটে ত্রুটির কারণে ২১টি, বজ্রপাতে ৩টি এবং পানিতে ডুবে ৫৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সারাদেশে ৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
গত মাসে সারা দেশে নদী, পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ে পানিতে ডুবে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা শহরেই ৪৪টি ঘটনা ঘটেছে, এতে ৮ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, অক্টোবরে অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনার ঘটনায় সারা দেশে তাদের কার্যালয়গুলো ৪ হাজার ৮১৭টি কলের জবাব দিয়েছে।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ১ হাজার ১৩৯টি কলের জবাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করেছে। অক্টোবর মাসে সারা দেশে ১ হাজার ১৬৪ জন রোগীকে পরিবহন করে সেবা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
১ বছর আগে
অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার
রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত প্রণোদনা দেয়ায় বৈধ উপায়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে অক্টোবরে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সময়োপযোগী উদ্যোগের কারণে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেকেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারবে। মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। ফলে বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স আসছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, রেমিট্যান্স প্রণোদনার দীর্ঘমেয়াদি সুফল আসবে না।
তিনি বলেন, সরকার ডলারের হারে অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ দেবে। রেমিট্যান্সের ওপর মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা এ ধরনের পদক্ষেপ সাময়িকভাবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি করবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না।
আরও পড়ুন: আমদানি নিয়ন্ত্রণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে
ড. রায়হান বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে চাইলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখন প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। যে কোনো উপায়ে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো যত বেশি প্রণোদনা দেবে, হুন্ডি ব্যবসায় আগ্রহীরা আরও বেশি প্রণোদনা দেবে।
‘সুতরাং যতদিন হুন্ডি থাকবে, ততদিন বৈধ পথে প্রত্যাশিত রেমিট্যান্স আসবে না।’
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
১ বছর আগে
১৪-১৫ অক্টোবর বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল পরিষেবা
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেলের রুট ও সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন পরীক্ষার জন্য ১৪-১৫ অক্টোবর (শনিবার ও রবিবার) যাত্রী পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া ইউএনবিকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
ফলে, মেট্রোরেলের পরিষেবা শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ১৩-১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিন মেট্রোরেল পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন হবে ২০ অক্টোবর
মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু প্রমাণ করে আ. লীগ কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী: কাদের
১ বছর আগে