অক্টোবর
অক্টোবরের শেষ থেকে হরতাল-অবরোধে ২৫৩টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
অক্টোবরের শেষ থেকে বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা অবরোধ ও হরতাল চলাকালে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ২৫৩টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিরোধী দলগুলোর ডাকা সর্বশেষ সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনে ১১টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার জানান, সোমবার দুপুর ২টা ২৩ মিনিটে ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিটের ১০ জন সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘন্টায় ফায়ার সার্ভিসের ৮টি অগ্নিকাণ্ডের রেকর্ড
ঢাকার মধ্যে মিরপুরে অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বলেছে, গত মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৪৭৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মধ্যে ঢাকা শহরে ১৬৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, অক্টোবরে ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে ৮টি। সেপ্টেম্বরে ছিল ১৫৫টি ঘটনা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে ঢাকা শহরে প্রতিদিন গড়ে ৫টির বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং মিরপুরে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে আইআইজি, ইন্টারনেটের গতি ব্যাহত
তবে মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ১ হাজার ৫৭৭ টি থেকে অক্টোবরে ১০২টি কমেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত মাসে ঢাকা বিভাগে ৫০১টি, ময়মনসিংহে ৫৫টি, চট্টগ্রামে ২৩৯টি, রাজশাহী বিভাগে ২১৩টি, খুলনা বিভাগে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগে ৫৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬৬টি এবং রংপুর বিভাগে ১৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অন্যান্য দুর্ঘটনায় ১৬৭ জন নিহত ও ৮৩০ জন আহত হয়েছেন এবং ফায়ার সার্ভিস ৮৪৬টি ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৬৯০টি ছিল সড়ক দুর্ঘটনা।
এ ছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০টি, গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণে ১৩টি, লিফটে ত্রুটির কারণে ২১টি, বজ্রপাতে ৩টি এবং পানিতে ডুবে ৫৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সারাদেশে ৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
গত মাসে সারা দেশে নদী, পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ে পানিতে ডুবে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা শহরেই ৪৪টি ঘটনা ঘটেছে, এতে ৮ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, অক্টোবরে অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনার ঘটনায় সারা দেশে তাদের কার্যালয়গুলো ৪ হাজার ৮১৭টি কলের জবাব দিয়েছে।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ১ হাজার ১৩৯টি কলের জবাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করেছে। অক্টোবর মাসে সারা দেশে ১ হাজার ১৬৪ জন রোগীকে পরিবহন করে সেবা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার
রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত প্রণোদনা দেয়ায় বৈধ উপায়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে অক্টোবরে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সময়োপযোগী উদ্যোগের কারণে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেকেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারবে। মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। ফলে বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স আসছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, রেমিট্যান্স প্রণোদনার দীর্ঘমেয়াদি সুফল আসবে না।
তিনি বলেন, সরকার ডলারের হারে অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ দেবে। রেমিট্যান্সের ওপর মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা এ ধরনের পদক্ষেপ সাময়িকভাবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি করবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না।
আরও পড়ুন: আমদানি নিয়ন্ত্রণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে
ড. রায়হান বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে চাইলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখন প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। যে কোনো উপায়ে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো যত বেশি প্রণোদনা দেবে, হুন্ডি ব্যবসায় আগ্রহীরা আরও বেশি প্রণোদনা দেবে।
‘সুতরাং যতদিন হুন্ডি থাকবে, ততদিন বৈধ পথে প্রত্যাশিত রেমিট্যান্স আসবে না।’
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
১৪-১৫ অক্টোবর বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল পরিষেবা
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেলের রুট ও সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন পরীক্ষার জন্য ১৪-১৫ অক্টোবর (শনিবার ও রবিবার) যাত্রী পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া ইউএনবিকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
ফলে, মেট্রোরেলের পরিষেবা শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ১৩-১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিন মেট্রোরেল পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন হবে ২০ অক্টোবর
মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু প্রমাণ করে আ. লীগ কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী: কাদের
খেলা হবে অক্টোবর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ অক্টোবর, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে খেলা খেলবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে তার সরকারকে অপসারণে বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রাজপথে নামবে বলে হুঁশিয়ারির জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এই ঘোষণা দেন।
বিএনপি হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে যে দলটি এবং তার সহযোগীরা নির্বাচনের আগে ঢাকার রাজপথ দখল করবে। কারণ তারা আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি এখন দুর্বল ব্যাটারির পুরোনো গাড়ি: হাছান মাহমুদ
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সময়ই বলে দেবে কে ঢাকা দখল করবে। ফখরুল (বিএনপি মহাসচিব) ইদানীং কাঁদছেন। খালেদা জিয়ার জন্য ৪৮ মিনিটেরও আন্দোলন করতে পারেননি।’
আরও পড়ুন: কোনো নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনাকে থামাতে পারবে না: কাদের
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান।
যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগে নিজের যত্ন নিন। আপনারা ট্রাম্পকেও সামলাতে পারবেন না; তাহলে আপনারা আমাদের কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চান ?’
কাদের বলেন, চলতি মাসের ২৮ তারিখ বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করা হবে। তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান ও সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন হবে ২০ অক্টোবর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম মেট্রোরেল আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করবেন আগামী ২০ অক্টোবর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
ওইদিন প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশন উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া ঢাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে ৭টি স্টেশন রয়েছে।
এগুলো হলো- বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেস ক্লাব ও মতিঝিল।
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশটি চালু হলে যাত্রীরা উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মাত্র ৩৮ মিনিটে যাতায়াত করতে পারবেন। যা ঢাকার জীবনযাত্রায় একটি অলৌকিক ঘটনা।
প্রাথমিকভাবে প্রতি ১৫ মিনিটে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পাঁচটি ট্রেন চলবে এবং সময়ের ব্যবধান কমিয়ে ধীরে ধীরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানান মন্ত্রী।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনগুলো ২০ অক্টোবর চালু হচ্ছে।
স্টেশনের যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে। এখন স্টেশনে যাত্রীবাহী ওয়াকওয়ের কাজ চলছে এবং ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিদ্দিক।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু প্রমাণ করে আ. লীগ কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী: কাদের
প্রাথমিকভাবে সব ট্রেন মতিঝিল পর্যন্ত যাবে না। ট্রেনের নম্বর দেওয়া থাকবে। নম্বর অনুযায়ী কোন ট্রেন আগারগাঁও যাবে আর কোনটি মতিঝিল যাবে, তা শনাক্ত করা যাবে।
ডিএমটিসিএল এমডির মতে, একটি ট্রেন বাণিজ্যিকভাবে চলার আগে লাইনে তিন ধাপের পরীক্ষা চালানো হয়। ট্রায়াল রানের প্রথম ধাপ হলো দক্ষতা পরীক্ষা বা কর্মক্ষমতা পরীক্ষা। দ্বিতীয় ধাপে হবে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন টেস্ট। চূড়ান্ত পর্যায়ে হবে ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক আন্দোলন।
সিদ্দিকী আরও বলেন, এখন আমরা দ্বিতীয় ধাপে আছি এবং উদ্বোধনের পাঁচ দিন আগে সব পরীক্ষা শেষ হবে।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের মতে, পুরো সিস্টেমটি চালু হলে প্রাথমিকভাবে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে এবং তারপরে এটি রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্যভাবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) প্রকল্পটি সমর্থন করার জন্য ঋণ আকারে ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা প্রদান করে এবং অবশিষ্ট অর্থ বাংলাদেশ সরকার প্রদান করে।
শুরুতে, এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অতিরিক্ত ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার অংশ নির্মাণের ফলে প্রতিটি স্টেশনের জন্য নতুন জমি অধিগ্রহণ এবং বিভিন্ন নতুন সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করায় ব্যয় বেড়েছে।
২০১৭ সালে প্রকল্পের মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ লাইনের উত্তরা-আগারগাঁও সেকশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে এই রুটের মাত্র ৩টি স্টেশন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। পরে উত্তরা-আগারগাঁও রুটের ৯টি স্টেশন পর্যায়ক্রমে চালু হয়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল রুট ২০ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, অক্টোবরে চলবে ট্রেন
আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবন্দর মোংলার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ। ইতোমধ্যে এই রেলপথের কাজ ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে খুঁটিনাটি কাজ; যা চলতি মাসেই শেষ হওয়ার আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারা জানিয়েছেন- মোংলা-খুলনা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। কারণ শুধু সারাদেশের সঙ্গে নয়, রেলপথটি আন্তর্জাতিক রেল রুট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে।
আরও পড়ুন: দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ঢাকা-ভাঙা রেলপথের কাজ
মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘চলতি মাসে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সেইসঙ্গে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এই পথ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে আশা করছি। সেভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমরা।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারত, নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহন সহজ করতে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে রয়েছে রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণ, মূল রেললাইন স্থাপন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং স্থাপন।
২০১১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, তা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দফায় সংশোধনের পর ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
সেইসঙ্গে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর উপর রেলসেতুর নির্মাণকাজ করেছে। বাকি কাজ করেছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক আরিফুজ্জামান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও নানা কারণে কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে। দুই দফায় প্রকল্প সংশোধনের কারণে ব্যয় বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। তবে তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। আশা করছি, এবার নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে।’
মোংলা-খুলনা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে জানিয়ে মোংলা বন্দরের ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ মিঠু বলেন, ‘বর্তমান সরকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগের জন্য যেমন পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, তেমনি নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এতে গার্মেন্টস পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য কম খরচে মোংলা বন্দর থেকে পরিবহন করা যাবে, তেমনি রপ্তানিও করা যাবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বেড়ে যাবে।’
একই কথা বলেছেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
তিনি বলেন, ‘রেললাইনটি ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে চিংড়ি ও গার্মেন্টস পণ্য পরিবহন সহজ হবে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে চলল পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল
অক্টোবরে ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে চালু হবে ১২ বোর্ডিং ব্রিজ: বেবিচক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালটি চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে আংশিকভাবে চালু করা হবে।
রবিবার (৬ আগস্ট) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ মফিদুর রহমান ইউএনবিকে এসব জানান।
তিনি বলেন, টার্মিনালের নির্মাণ কাজ বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৮৫ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।
ঢাকা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালটির আয়োতন ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার। এটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে ১ কোটিরও বেশি যাত্রীসেবাসহ অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাও দিতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে থাকায় তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য এখন দৃশ্যমান। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ৩০টিরও বেশি এয়ারলাইনসের ১২০ থেকে ১৩০টি উড়োজাহাজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ ও টার্মিনাল-২ থেকে উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।
প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দু’টি টার্মিনাল ব্যবহার করেন। সে হিসেবে ঢাকা বিমানবন্দর বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন টার্মিনালে একটি পার্কিং অ্যাপ্রোন থাকবে যা ৩৭টি উড়োজাহাজ ধারণ করতে সক্ষম হবে। এতে ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থাও থাকবে। এর মধ্যে আগামী অক্টোবরে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু করা হবে।
দ্রুত, আরও ভালো সেবা
যাত্রীদের দ্রুত ও উন্নত সেবা প্রদানের জন্য পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি কাউন্টার থাকবে। এ ছাড়া তৃতীয় টার্মিনালে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট এবং অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি আলাদা বেল্ট স্থাপন করা হবে।
টার্মিনালে ১৫টি সেলফ-সার্ভিস কাউন্টারসহ ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার এবং ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ ৬৬টি প্রস্থান ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে।
সিএএবি সূত্র জানায়, বিশ্বমানের টার্মিনালে ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বহুতল গাড়ির পার্কিংও নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করবে জাপান: বেবিচক চেয়ারম্যান
ঢাকায় ৭ম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ২৬-২৮ অক্টোবর
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সপ্তম বিগটেক্স ২০২৩ (বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো) এর ‘ইন অ্যাসোসিয়েশন পার্টনার’ হওয়ার জন্য রেডকার্পেট গ্লোবাল লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
রেডকার্পেট-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ ইমতিয়াজের নেতৃত্বে আয়োজক কমিটি ১৩ জুলাই ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সার্বিক সহযোগিতা ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন রেডকার্পেট এর পরিচালক ও প্রধান ব্যবসায়িক কর্মকর্তা লুৎফর হোসেন, পরিচালক ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মাজাহারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৩ দিনব্যাপি রোসা দ্বিতীয় কিচেন, বাথ অ্যান্ড লিভিং এক্সপো বাংলাদেশ-২০২৩ শুরু
বিজিএমইএ আগামী ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বহুল প্রত্যাশিত ৭ম বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপোতে অ্যাসোসিয়েশন পার্টনার হিসেবে কাজ করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
বিজিএমইএ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য ও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আয়োজকদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপোতে বিজিএমইএ-এর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের প্রাণবন্ত এবং সমৃদ্ধিশীল পোশাক শিল্পের প্রদর্শনের একটি উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম বলে তারা মনে করেন।
সমগ্র এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ প্রায় ১২টি দেশ হতে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব ধরনের যন্ত্রপাতি, টেকনোলজি ও এক্সেসোরিস উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, ও আমদানিকারকরা এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে। তারা তাদের পণ্যের নতুনত্ব ও এই খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরবেন। যার ফলে বাংলাদেশের শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী, উদ্যেক্তা, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্চেন্ডাইজাররা বেশ উপকৃত হবেন।
তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে দেশীয় ও বিদেশি প্রস্তুতকারক, ডিলার ও সরবরাহকারীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা হিসেবে বস্ত্র ও পোশাক খাতের প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বি-টু-বি সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হবেন।
এজন্য, বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক শিল্প এবং সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যবসায়ী, শিল্প মালিক, উদ্যোক্তা, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্চেন্ডাইজারদের নাগালের মধ্যে বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতির নতুনত্ব ও খুঁটিনাটি পৌঁছে দিতে এই প্রদর্শনী গুলো সন্দেহাতীতভাবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপো সোমবার
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলা করতে এসে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝির ওপর হামলা করতে এসে অন্যান্যদের প্রতিরোধে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শনিবার রাতে ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় রমিদা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা নারী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ৮ এপিবিএনের কমান্ডিং অফিসার আমির জাফর বলেন, ১৩ নম্বর ক্যাম্পের জি-১ ব্লকের সাব-মাঝি সৈয়দ হোসেনের ওপর হামলা করতে আসে ২৫/৩০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সৈয়দ হোসেনের মা রমিদা বেগম গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করে। এতে অজ্ঞাত ওই সন্ত্রাসী নিহত হয়। তার লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে আরসার গোলাগুলি, নিহত ২