অক্টোবর
রপ্তানিতে সামগ্রিক পতন সত্ত্বেও অক্টোবরে তৈরি পোশাকে আয় বেড়েছে
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, রপ্তানি আয়ের সামগ্রিক পতন সত্ত্বেও বাংলাদেশের পোশাক খাত আগের বছরের তুলনায় অক্টোবরে রাজস্বে তিন দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে।
চলতি অর্থবছরের অক্টোবরে মোট রপ্তানি আয় সাত দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে ৪৩৫ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে, যা ২০২১-২০২২ অর্থবছরে একই মাসে ৪৭২ কোটি মার্কিন ডলার ছিল।
তবে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় বেড়ে ৩৬৭ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে, যা পূর্বের অর্থবছরে ছিল ৩৬৫ কোটি মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
ইপিবি অনুসারে, ২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বছরে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে দেশে এক হাজার ২৬২ কোটি মার্কিন ডলার এসেছে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘যদিও অক্টোবরে তৈরি পোশাকের চালান কমবে বলে আশা করা হয়েছিল, এই উৎসাহজনক উন্নতিকে স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
যাত্রা শুরু করেছে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের বিটুবি প্ল্যাটফর্ম ‘মার্চেন্ট বে’
অক্টোবরে ৯৮ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, তারা অক্টোবরে অস্ত্র ও মাদকসহ ৯৮ কোটি পাঁচ লাখ টাকার পণ্য জব্দ করেছে।
বুধবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, জব্দ পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৩৯৩টি ইয়াবা ট্যাবলেট, দুই দশমিক ১২০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ১৩ হাজার ৬৭০ বোতল ফেনসিডিল, ২০ হাজার ২২৭ বোতল বিদেশী মদ, ১২০ লিটার দেশি মদ, তিন হাজার ৮১৫টি বিয়ারের ক্যান, দুই হাজার ২১৪ কেজি গাঁজা, ৫২৭ গ্রাম হেরোইন, ৪৪ হাজার ২৩৭টি উদ্দীপক ইনজেকশন, সাত হাজার ২২৯টি এসকুফ সিরাপ এবং এক হাজার ৬০৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবি-বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত
এছাড়াও আরও জব্দ করা হয়েছে- ২৭ দশমিক ৮২৯ কেজি সোনা, ২৪ দশমিক ৪৮৯ কেজি রূপা, এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭টি প্রসাধনী, পাঁচ হাজার ৭০২টি ইমিটেশন গহনা, ১২ হাজার ৩৬৪টি শাড়ি, পাঁচ হাজার ৩২৩টি থ্রি-পিচ কাপড়-কম্বল-শার্টের কাপড়, দুই হাজার ৮৭০টি তৈরি পোশাক, তিন হাজার ৫৬৪ ঘনফুট কাঠ, চার হাজার ৭০৯ কেজি চা-পাতা, ৩৫ হাজার ২৫০ কেজি কয়লা, একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ৮১টি মোটর সাইকেল, সাতটি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ১০টি পিক-আপ ভ্যান, ১৯টি সিএনজি অটোরিক্সা-ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা-কার।
জব্দ অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে চারটি পিস্তল, তিনটি বন্দুক, ২৯ রাউন্ড গুলি ও চারটি ম্যাগজিন।
এছাড়াও, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ২২৯ ‘চোরাকারবারী’, ১১৯ বাংলাদেশি ও ১১ ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান শরিফুল।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে বিজিবি ও বিজিপির পতাকা বৈঠক রবিবার
পঞ্চগড় সীমান্তে বিজিবির অস্ত্র ও গুলি জব্দ
অক্টোবরে হত্যাকাণ্ডের শিকার ২২২ জন: বিএইচআরসি
বাংলাদেশে গত অক্টোবর মাসে ২২২ জন মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির অক্টোবর মাসের প্রস্তুত করা প্রতিবেদনের আলোকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বিএইচআরসি’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন প্রতিবেদনটি সম্পন্ন করেছে।
বিএইচআরসি’র জরিপ অনুযায়ী অক্টোবরে মোট ২২২ জন মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে দেশে ২৬১ জন খুন হয়েছেন: বিএইচআরসি
এছাড়া সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬১ জনের। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে করোনা ভাইরাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুইজনের মৃত্যু এবং হত্যাকাণ্ড ঘটেছে প্রায় ৭টি করে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অধিক দায়িত্ববান হওয়ার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয় প্রতিবেদনে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব বলেও উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, গেল অক্টোবর মাসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২৬১ জন মানুষ। এরমধ্যে পারিবারিক সহিংসতায় ১৬ জন, সামাজিক সহিংসতায় পাঁচজন, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে পাঁচজন, চিকিৎসা অবহেলায় পাঁচজন, অপহরণের শিকার হয়ে মৃত্যু তিনজনের, গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন ৩১ জন এবং রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। এছাড়া ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে আরও ছয়জনকে।
এছাড়া বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৩ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ১৬ জন মানুষ।
আরও পড়ুন: মার্চে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন, আর করোনায় ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে: বিএইচআরসি
সামাজিক দূরত্ব: কাঁচাবাজারের সময় বাড়ানোর দাবি বিএইচআরসি’র
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নব উদ্যোগে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। নতুন করে পথচলার শুরুতেই দেশজুড়ে থাকা ইভ্যালির লাখো গ্রাহক, ব্যবসায়ী এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে প্রতিষ্ঠানটি ‘ধন্যবাদ উৎসব’ আয়োজন করতে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসের ২৮ তারিখ রাত ১০টায় ‘ধন্যবাদ উৎসব’ শুরু করবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই উৎসবে ইভ্যালি থেকে কেনা যাবে দেশের নামীদামী আর বড় ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য। মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার এক্সেসরিজ, গৃহস্থালি সরঞ্জাম থেকে শুরু করে থাকছে পোশাক-জুতার মতো লাইফস্টাইল পণ্য।
আরও পড়ুন: ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
এতে আরও বলা হয়, পিক অ্যান্ড পে, ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি; মূল্য পরিশোধের এই তিনটির যেকোনো একটি উপায় ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় এখন ইভ্যালি থেকে কেনাকাটা করা যাবে।
এছাড়াও ইভ্যালি থেকে কেনাকাটায় প্রতিটি অর্ডার ডেলিভারির জন্য একটি ‘স্টার’ পাবেন গ্রাহকেরা। অর্জিত স্টার ব্যবহার করে বিশেষ মূল্যছাড়ে কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন সময় চমকপ্রদ অফার দেবে ইভ্যালি।
ধন্যবাদ উৎসব সফল করার আহ্বান জানিয়ে ইভ্যালির সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শামীমা নাসরিন বলেন, সময়ের সঙ্গে আমরা আমাদের অতীতের দেনা পরিশোধ করতে পারবো বলে জোরালোভাবে বিশ্বাস করি। ইভ্যালি এখন এমন একটা ব্র্যান্ড যা এই জাতির আবেগের সঙ্গে মিশে আছে। আমাদের এখন দুইজন স্বাধীন পরিচালক আছেন। একজন ই-ক্যাব থেকে এবং একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। কাজেই এখন আমরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আছি।
শামীমা আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি এখন থেকে আমরা আর লসে পণ্য বিক্রি করব না। তবে ইভ্যালির গ্রাহকরা আকর্ষণীয় মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন না, তা নয়। আমরা বিশ্বাস করি ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ই-কমার্সকে ব্যবহার করে লাভ করে পণ্য বিক্রি করলেও, গতানুগতিক বাজারের তুলনায় গ্রাহকদের ‘বেস্ট প্রাইস’ দিতে পারবো আমরা। তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য ও গুণগত পণ্য সরবরাহ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কুইক ডেলিভারি এবং গ্রাহক সেবার দিকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করব।
শামীমা নাসরিন বলেন, আমরা ইভ্যালিকে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ বান্ধব ই-কমার্স তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পূর্বের সকল অর্ডার ডেলিভারি করতে কাজ করে যাচ্ছি। ইভ্যালির হাত ধরে সম্ভাবনাময় এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে দেশের জিডিপি সমৃদ্ধি, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে অবদান রাখবে সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাব। আমাদের গতি বেগবান করতে ও ইভ্যালিকে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের প্রাক্তন সিইও রাসেলের দ্রুত মুক্তি কামনা করছি।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ইভ্যালির মালিকদের বিরুদ্ধে কয়েকশ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। একজন ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চলতি বছরের ৬ এপ্রিল জামিন পান শামীমা।
আরও পড়ুন: নতুন করে ইভ্যালি চালু করতে আদালতে আবেদন
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
৩১ অক্টোবর থেকে ঢাকা-মালদ্বীপ ফ্লাইট চালু করবে ইউএস-বাংলা
বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে সপ্তাহে ছয়দিন ঢাকা থেকে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ফ্লাইট চালু করবে। যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতকালীন সময়সূচীতে মালদ্বীপ প্রবাসী ও পর্যটকদের ভ্রমণ পরিকল্পনাকে সাবলীল করতে বৃহস্পতিবার ব্যতীত সপ্তাহের প্রতিদিন ঢাকা থেকে মালে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান সংস্থাটি।
এর আগে ২০২১ সালের১৯ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশের প্রথম এয়ারলাইন্স হিসেবে ইউএস-বাংলা প্রবাসী বাংলাদেশীদের সেবা দেয়ার লক্ষ্যে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ দিয়ে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। বর্তমানে ঢাকা-মালে রুটে চারটি ফ্লাইট চলছে। প্রতি মূহূর্তে নীলাভ সৌন্দর্য উপভোগ করতে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে যাওয়া পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে প্রতি সোম,মঙ্গল ও শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে মালদ্বীপের রাজধানী মালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে ইউএস-বাংলা ও এছাড়া প্রতি বুধ,শুক্র ও রবিবার ঢাকা থেকে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে মালের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করবে।
প্রতি সোম,মঙ্গল ও শনিবার মালদ্বীপের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২০ মিনিটে মালের ভেলেনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে এবং প্রতি বুধ,শুক্র ও রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫মিনিটে মালে থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করবে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট।
বর্তমানে ইউএস-বাংলা বিমান বহরে মোট ১৬টি এয়ারক্রাফট আছে। যার মধ্যে ছয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০,সাতটি এটিআর ৭২-৬০০ এবং তিনটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট।
মালদ্বীপ ছাড়াও ইউএস-বাংলা চেন্নাই, কলকাতা, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, গুয়াংজু, শারজাহ, দুবাই, মাস্কাট ও দোহা ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
এছাড়াও, অভ্যন্তরীণ সকল রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা।
টিকেট রিজার্ভেশন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৬ অথবা ১৩৬০৫ নম্বরে।
আরও পড়ুন: যাত্রী রেখে ফ্লাইট, ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ
কক্সবাজার রুটে ইউএস বাংলার ফ্লাইট শুরু ১ জুন
ইউএস বাংলার ঢাকা-দোহা ফ্লাইট পুনরায় শুরু হচ্ছে ৩১ আগস্ট
ঘূর্ণিঝড় ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের সংলগ্ন এলাকাগুলোতে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশের উপকূল ও পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
আইএমডি বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ওপর একটি ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাওয়ার প্রভাবে বুধবার উত্তর আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল এবং এটি একইভাবে অব্যাহত ছিল।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
এটি পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২২ অক্টোবরের দিকে পূর্ব-মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ হবে এবং ২৩ অক্টোবর গভীর নিম্নচাপে ঘনীভূত হওয়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে।
পরবর্তীকালে এটি ২৪ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিম-মধ্য এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যা উত্তর দিকে ফিরে আসতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এটি ধীরে ধীরে উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব অংশগুলোতে অগ্রসর হতে পারে এবং ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ওডিশা উপকূল ঘেঁষে বাংলাদেশের উপকূল পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
আইএমডি উপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ২৩ অক্টোবর থেকে গভীর সমুদ্রে জেলেদের না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়াও যারা বর্তমানে গভীর সাগরে রয়েছেন তাদের ২২ অক্টোবর রাতের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
দেশের অধিকাংশ স্থানে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে
অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
চলতি অক্টোবর মাসের দুই সপ্তাহে (২-১৩ তারিখ) দেশে ৭৬৯ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে প্রবাসী বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবরেও রেমিটেন্সের প্রবাহের নিম্নমুখিতা দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান,অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহে প্রবাসীরা ৭৬৯ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। চলতি মাসের শেষে রেমিটেন্স প্রবাহ ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়ার আহ্বান
চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে নগদ প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ করা সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্সের অভ্যন্তরীণ প্রবাহে কমে যেতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান,বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৫৯ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাওয়া যাবে।
অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স বৃদ্ধির প্রবণতা নিয়ে এই অর্থবছর শুরু হয়েছিল। যেখানে জুলাই মাসে বাংলাদেশ দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগস্ট মাসে দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে এসে তা নিম্নমুখী হয়ে যায়।
আর্থিক খাতের পর্যবেক্ষকরা মনে করেন যে প্রবাসীরা দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য হুন্ডিকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ সেখানে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার খুচরা বাজারে ৮ থেকে ১৪ টাকা বেশি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (২ থেকে ৬ অক্টোবর) দেশে ৩৫৭ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এতথ্য প্রকাশ করেছে।
চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে নগদ প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়ানো সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্সের অভ্যন্তরীণ প্রবাহ কমে যায়। অক্টোবরেও এই প্রবণতা বজায় রয়েছে।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা সেপ্টেম্বরে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা ছিল গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ কমার পর অক্টোবরেও রেমিটেন্স প্রবাহের ধীর গতি দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসের প্রথম ছয় দিনে ৩৫৭ দশমিক সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় বাংলাদেশে এসেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাচ্ছে। এই বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসের শেষ নাগাদ এক দশমিক ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাওয়া যাবে।
অথচ অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স বৃদ্ধির প্রবণতা দিয়ে অর্থবছর শুরু হয়েছিল। যেখানে জুলাই মাসে বাংলাদেশ দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগস্ট মাসে দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে এসে তা নিম্নমুখী হয়।
আর্থিক খাতের অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষকরা মনে করেন যে প্রবাসীরা অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের জন্য হুন্ডিকে বেছে নিচ্ছেন,কারণ মার্কিন ডলারের বিনিময় হার খুচরা বাজারে ৮ থেকে ১৪ টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: আগস্টে রেমিটেন্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
রেমিটেন্স: ১ অক্টোবর থেকে প্রতি ডলারে ১০৮ টাকার পরিবর্তে ১০৭.৫ টাকা পাবেন প্রবাসীরা
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হচ্ছে অক্টোবরে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,৭অক্টোবর (ইউএনবি)-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লি. এর ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শেষে কমিশনিং কাজ চলছে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ কমিশনিং শেষ হবে। এরপরই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো.আবদুল মজিদ জানান, বর্তমানে প্রকল্পটির বাস্তব অগ্রগতি ৯৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ । নির্মাণ কাজ শেষে কমিশনিং কাজ চলছে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ কমিশনিং শেষ হবে। এবং এরপরই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার পরই বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হবে।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান জানান,দেশের প্রথম অর্থ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রকল্পটি চালু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ যেমন বাড়বে তেমনি জ্বালানি দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে।
জানা যায়, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ২০০৩ সালের পহেলা জুন আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন যাত্রা শুরু করে কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১১ সালে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন নিজস্ব অর্থায়নে ৫৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় চালান মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে বিদ্যমান জ্বালানি ব্যবহার করে কম জ্বালানি দক্ষতা সম্পন্ন ইউনিটগুলোকে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ২০১৫ সালে ২০০ মেগাওয়াট মডিউলার পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (সাউথ) এবং ২০১৭ সালে আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (নর্থ) দুইটি স্থাপন হয় এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র দু’টি জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পুরাতন অবসরপ্রাপ্ত ইউনিটসমূহের (জিটি-এক, জিটি-দুই ও এসটি লে এসটি ইউনিট-তিন এর গ্যাস ব্যবহার করে উচ্চ ক্ষমতা ও জ্বালানি দক্ষতা সম্পন্ন আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (পূর্ব) প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
প্রকল্পটি ২২শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে একনেকে এর অনুমোদন লাভ করে। প্রকল্পটি এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, এপিএসসিএল এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
গত ২০ মার্চ ২০১৮ সালে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান চীনা ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট করপোরেশন এবং চীনা ন্যাশনাল করপোরেশন ফর ওভারসিস্ ইকনমিক কোঅপারেশন এর সঙ্গে প্রকল্পটির ইপিসি চুক্তি সাক্ষরিত হয় এবং ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই চুক্তিটি কার্যকর হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ইপিসি চুক্তি মূল্য প্রায় এক হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নেট উৎপাদন ক্ষমতা ৪২০.০০ মেগাওয়াট এবং জ্বালানি দক্ষতা প্রায় ৫৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অন্যান্য অনুসাঙ্গিক ব্যয় (পরামর্শক, সিডি ভ্যাট, ট্যাক্স) সহ মোট ব্যয় হবে প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটির অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২ লাখ ৯৩১ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা।
গত ১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী এর ডি-রেটেড উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট।
আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (পূর্ব) প্রকল্পটি উৎপাদনে গেলে এপিএসসিএল-এর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে প্রায় ১৭০০ মেগাওয়াট। এপিএসসিএল ডিপ্যান্ডেবল ও রিলেয়্যাবল বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পাসি হিসেবে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রকল্পটি গত জুন ২০২১ হতে উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও বিশ্বজুড়ে করোনা সক্রমণের কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে এক বছর পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে জেনারেটরের কারিগরি ত্রুটি এবং গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির ফলে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
‘মোংলা বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ স্থাপনে চুক্তি সাক্ষর রবিবার
রেমিটেন্স: ১ অক্টোবর থেকে প্রতি ডলারে ১০৮ টাকার পরিবর্তে ১০৭.৫ টাকা পাবেন প্রবাসীরা
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ অক্টোবর, ২০২২ থেকে রেমিটেন্সের জন্য প্রতি মার্কিন ডলার ১০৮ টাকার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ৫ টাকা পাবেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে স্থিতিশীল করতে আগামী মাসে রেমিটেন্সের জন্য এই হার নির্ধারণ করেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা হলে বর্তমান রেমিটেন্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অর্থনীতিবিদ ও পিআরআই-এর চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, যখন খোলা বাজারে প্রতি ডলারের দাম ১১৪ টাকার বেশি হয়, তখন আরও রেমিটেন্স আকর্ষণ করার জন্য এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্তটি অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোকে উৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের সংকট সমাধানে কোনো সহায়তা হবে না।
সিপিডি-এর বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, যখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের চাহিদা বাড়তে থাকে তখন বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা সহায়ক নয়।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের বিভিন্ন দামে অসঙ্গতি সৃষ্টি করবে এবং রেমিটেন্স প্রবাহকে নিরুৎসাহিত করবে।
প্রফেসর মুস্তাফিজুর বলেন, ফলে অবৈধ খাতকে উৎসাহিত করা হবে এবং ব্যাংক ও খোলা বাজারের মধ্যে বিনিময় হারের পার্থক্য বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রেরকরা প্রতি মার্কিন ডলার সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ৫ টাকা পাবেন। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর, এবিবি ও বাফেদা রেমিটেন্সের জন্য প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ মূল্য ১০৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল।
তবে, রপ্তানি আয় নগদীকরণের ডলারের হার আগের মতোই থাকবে প্রতি ডলার ৯৯ টাকা। আমদানি দায় পরিশোধ এবং আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য প্রবাসী ও রপ্তানি আয় থেকে কেনা ডলারের গড় মূল্যের চেয়ে ১ টাকা বেশি হবে।
বৈঠক শেষে বাফেদা’র চেয়ারম্যান আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ডলারের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সময়ে সময়ে মূল্য পর্যালোচনা করার কথা ছিল। ‘এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নতুন দাম নির্ধারণ করেছি। নতুন দাম ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন: আগস্টে রেকর্ড ৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৯ মাস ছাড়