মার্কিন সরকার
টিকটক বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে!
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে মার্কিন সরকার পদক্ষেপ না নিলে আগামী রবিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক আর কার্যক্রম চালাবে না।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) টিকটক কর্তৃপক্ষের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
এক বিবৃতিতে টিকটক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘বাইডেন প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ উভয়ই টিকটকের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য পরিষেবা সরবরাহকারীদের প্রয়োজনীয় স্পষ্টতা এবং আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, সরকার যদি অবিলম্বে ভিডিও অ্যাপটিকে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হবে না এমন নিশ্চয়তা দিতে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এটি ‘১৯ জানুয়ারি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে’।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর টিকটকের এই বিবৃতি প্রকাশ করা হলো। এতে বলা হয়েছে, চীনভিত্তিক মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স রবিবারের মধ্যে অ্যাপটি বিক্রি না করলে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার আইন বহাল রেখেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
টিকটক এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে যুক্তি দেখিয়েছে যে, এই সিদ্ধান্তটি দেশটিতে তার ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর বাক স্বাধীনতার সুরক্ষার লঙ্ঘন করে।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে আগামী দিনগুলোতে যদি কোনো ক্রেতা না পাওয়া যায়, তাহলে অ্যাপটির মার্কিন সংস্করণ অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েব হোস্টিং সেবা থেকে সরিয়ে ফেলা হবে।
ধারণা করা হচ্ছিল, যাদের ফোনে টিকটক অ্যাপটি ডাউনলোড করা আছে, এই নিষেধাজ্ঞা সেই ব্যবহারকারীদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: সংবাদ-রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কমিয়ে দেওয়ায় ফেসবুক নিউজ ট্যাব থাকছে না
কিন্তু শুক্রবার টিকটকের নতুন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যমান ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি যারা এটি ডাউনলোড করতে চান— তাদের জন্যও অবিলম্বে এটি সহজপ্রাপ্য হবে না।
মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। ওই দিনই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, তাই আইনটি কার্যকর করার দায়িত্ব নতুন প্রেসিডেন্টের উপর বর্তাবে।
প্রাথমিকভাবে এই পদক্ষেপকে সমর্থন করলেও ট্রাম্প ইঙ্গিত হলো তিনি এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নন।
শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘টিকটক নিয়ে আমার সিদ্ধান্ত অদূর ভবিষ্যতে নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য আমার অবশ্যই সময় থাকতে হবে।’
অন্যদিকে বাইটড্যান্স টিকটক বিক্রি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, যেকোনো প্রতিকার না পাওয়া পর্যন্ত রবিবার অ্যাপটির মার্কিন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা গত বছর ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেন। টিকটক বারবার বলেছে, তারা বেইজিংয়ে তথ্য পাচার বা পাঠায় না।
আরও পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
৬১ দিন আগে
সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে টিকটকের মামলা
অনলাইন ভিডিও বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টিকটকের চীনের নাগরিকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে।
টিকটকের মতো অতি জনপ্রিয় অ্যাপটি বিক্রি করতে বা দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে বাইটড্যান্সকে বাধ্য করার আইনের বৈধতা নিয়ে মঙ্গলবার এ মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে গত মাসে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি বিলে সই করে একে আইনে পরিণত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া সার্কিটের আপিল আদালতে দায়ের করা আবেদনে টিকটক জানিয়েছে, ‘কংগ্রেস টিকটককে স্পষ্টভাবে একঘরে করা এবং নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ১৭০ মিলিয়ন আমেরিকান ভিডিও তৈরি-অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করা ও মত প্রকাশের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে থাকে। আইন প্রণয়নের মাধ্যমে টিকটককে স্থায়ী ও দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মাধ্যমে প্রত্যেক আমেরিকানকে বিশ্বজুড়ে ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করার ক্ষেত্রে বাধা দেয়।’
'প্রোটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভার্সারি কন্ট্রোল্ড অ্যাপ্লিকেশন্স অ্যাক্ট' আইনটি অসাংবিধানিক বলে টিকটক আবেদনে উল্লেখ করেছে।
টিকটক কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘টিকটক নিষিদ্ধ করা এতটাই অসাংবিধানিক যে এই আইনের স্পনসররাও এই বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাই আইনটিকে মোটেও নিষেধাজ্ঞা হিসেবে নয়, বরং টিকটকের মালিকানার নিয়ন্ত্রণ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।’
আইনটির মাধ্যমে বাইটড্যান্সকে চীনের বাইরের কোনো ক্রেতার কাছে টিকটক বিক্রি করতে ২৭০ দিনের সময় দেওয়া হয়। আর বলা হয় যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রয়োজন মনে করেন, তবে আরও ৯০ দিন বাড়ানো হতে পারে।
টিকটক জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক চালু রাখতে এই আইন অনুযায়ী ‘যোগ্য বিভাজন’ সম্ভব নয়। সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রযুক্তিগতভাবে বা আইনতই হোক না কেন।
‘বাস্তবতা হলো, কোনও বিকল্প নেই’ উল্লেখ করে টিকটক বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনত ‘যোগ্য বিভাজন’সম্ভব নয়। যা বাণিজ্যিকভাবে, প্রযুক্তিগতভাবে কিংবা আইনতও সম্ভব নয়।
চীনা মালিকানার কারণে ভিত্তিহীন জাতীয় সুরক্ষা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষযে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাইরের বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কী কারণে ওয়াশিংটন জনপ্রিয় এই অ্যাপটি বন্ধে উঠেপড়ে লেগেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে সাংবিধানিক অধিকার এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার নীতি লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
৩১৫ দিন আগে
মার্কিন সরকারের নতুন ভিসা নীতিতে বাংলাদেশ সরকার বিচলিত নয়: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বুধবার বলেছেন যে মার্কিন সরকার ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি বাংলাদেশ সরকারকে ‘বিচলিত করে না’, কারণ কর্তৃপক্ষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
তার প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় ইউএনবিকে বলেন, ‘এটা কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। বরং বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত, কেননা নির্বাচনের আগে বা সময়ে সহিংসতা ভিসা বিধিনিষেধের আরেকটি মানদণ্ড।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর তারা আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে উৎসাহিত করতে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা দেন- ‘এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
৬৬৫ দিন আগে
রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান অব্যাহত থাকবে: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম রবিবার বলেছেন, আদালতের রায় কার্যকর করতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য মার্কিন প্রশাসনকে অনুরোধ করা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ।
১৫৯২ দিন আগে