ওটিটি
আসছে তাহসান-মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’
স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়শৈলীর দৌলতে বর্তমান এপার ও ওপার বাংলার শোবিজ অঙ্গনে একটি সুপরিচিত মুখ রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। বিনোদন জগতের বিভিন্ন বিভাগে নিজের সমৃদ্ধ ছাপ রেখে বর্তমানে তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। অপরদিকে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে জনপ্রিয় একটি নাম তাহসান রহমান খান। স্বতন্ত্র অভিনয় ধারায় নিজের একটি স্বাধীন ক্ষেত্র তৈরি করেছেন রোমান্টিক ঘরানার নাট্যজগতে। নিজেদের এই প্রতিভাগুলোর দারুণ মেলবন্ধনে ছোট পর্দার ভেতরে ও বাইরে সমান জনপ্রিয় জুটিতে পরিণত হয়েছিলেন তাহসান-মিথিলা। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে তাদেরকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি। অবশেষে ‘বাজি’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে দীর্ঘ বিরতির পর আবার একত্রিত হয়েছেন এই প্রাক্তন তারকা দম্পতি। চলুন, সদ্য নির্মিত এই ওয়েব সিরিজটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
‘বাজি’ নির্মাণের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী
তাহসান-মিথিলা জুটির ছাড়াও ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক, নাজিয়া হক অর্ষা, তাসনুভা তিশা, মিম মানতাশা, পার্থ শেখ, শাহাদাত হোসেন এবং আবরার আতহারসহ আরও অনেকে।
ওয়েব কন্টেন্টটি পরিচালনার মধ্য দিয়ে ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকির সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করলেন নব নির্মাতা আরিফুর রহমান। এর আগে তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন ‘স্কুটি’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে। তাছাড়া তার হাতে চরকির আরও একটি কাজ রয়েছে ‘জুঁই’ নামে, যেটি মুলত ‘চরকি মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ এর একটি ওয়েব ফিল্ম।
‘বাজি’র কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ভারতের আদিত্য সেন গুপ্ত এবং বাংলাদেশের হাসানাত।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এ মুক্তির অপেক্ষায় কিছু চমকপ্রদ বাংলা নাটক
‘বাজি’ ওয়েব সিরিজের গল্প
৭ পর্বের এই সিরিজের গল্পের পটভূমিতে রয়েছে ক্রিকেট ম্যাচের উপর বাজি ধরা। এই বাজি সংক্রান্ত নানা সমস্যা বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে খেলার সঙ্গে জড়িত থাকা মানুষগুলোর জীবনকে। এই আবহ নিয়ে সাসপেন্স ও থ্রিলারের সন্নিবেশে দারুণ এক নাটকীয় পরিবেশন হতে যাচ্ছে ‘বাজি’। এর মাধ্যমে দর্শকদের সামনে উঠে আসবে ক্রিকেটের নানা অজানা গল্প। সেই সঙ্গে এটিই হতে যাচ্ছে ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ওয়েব সিরিজ।
‘বাজি’তে মিথিলা ও তাহসানের ভূমিকা
ওটিটি মাধ্যমে মিথিলা ইতোমধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। ‘একাত্তর’, ‘মন্টু পাইলট ২’, এমনকি চরকির ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’-এ বিচিত্র রূপে হাজির হয়েছেন এই মেধাবী অভিনেত্রী। এবার ‘বাজি’তে তিনি আবির্ভূত হবেন একজন ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে।
অন্যদিকে টিভি নাটকে আনাগোনাটা বেশি থাকলেও প্রথমবারের মতো ওটিটিতে অভিষেক ঘটছে তাহসানের। এর মাধ্যমে আড়াই বছরের বিরতির পর তাহসান অভিনয়ে ফিরছেন। এখানে তাকে দেখা যাবে একজন ক্রিকেটারের ভূমিকায়।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এ বাংলাদেশি যেসব সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়
চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে এই সঙ্গীতশিল্পীকে। ফ্লাড লাইটের আলোয় আলোকিত মাঠে কোন রূপ স্টান্ট ডাবল না নিয়ে নিজেই খেলেছেন ক্রিকেট। একটা ছক্কা হাকাতেই খেলেছেন ২০টা বল।
মিথিলা-তাহসানের জুটি নিয়ে বেশ হাইপ থাকলেও ৭ পর্বের এই সিরিজে শুধুমাত্র একটি দৃশ্যে তাদেরকে একসঙ্গে দেখা যাবে।
৫ মাস আগে
এল গার্লস স্কোয়াড সিজন-৩
জারা, তন্বী, রিয়া, ফারিয়া, মিম আর সাবরিনা। এই ছয় ব্যাচেলর বান্ধবী থাকে একই ফ্ল্যাটে। তাদের একেকজন একেক রকম। তাদের জীবনের নানা ঘটনা, অঘটন, প্রেম ও ঝামেলার গল্প নিয়ে ২০২১ সালে জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে এসেছিল ড্রামা সিরিজ ‘গার্লস স্কোয়াড’।
রিলিজের পরপরই সিরিজটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। লোকের মুখে মুখে চলে আসে সিরিজটির নাম। এই সিরিজের টাইটেল সং দিয়ে হয় টিকটক, পায় হাজার হাজার শেয়ার। সেই থেকে শুরু।
এরপর কেটে গেল একটি বছর। বের হলো এই সিরিজের আরেকটি সিজন। সেটিও পেল তুমুল জনপ্রিয়তা।
আর এই বছর এল সেই গার্লস স্কোয়াডের তৃতীয় সিজন!
মূল অভিনেত্রীদের পাশাপাশি এই সিজনে যোগ হয়েছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিকটক সেলিব্রেটি শামীমা আফরিন অমি।
গত দুই সিজনের মতো এবারের গল্পও স্কোয়াডের মেয়েদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে এগিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: অনন্ত জলিলের ‘দিন: দ্য ডে’ দেখা যাচ্ছে ওটিটি বঙ্গ বিডিতে
এখানে দেখা যায় টিকটকার অমি স্কোয়াডের নতুন ফ্ল্যাটমেট হয়ে এসেছেন। অন্যদিকে, জারা অর্থাৎ নাবিলার বিয়ে হচ্ছে। সেই বিয়ের দাওয়াতে স্কোয়াডের সবাই যায়। তারা গিয়ে জানতে পারে জারার বিয়ে হচ্ছে অন্য কারো সঙ্গে, গাঙ্গুয়া ভাইয়ের সঙ্গে নয়। এখান থেকেই শুরু হয় মূল গল্প। এরপর নানা ঘটনা, অঘটন ঘটতে থাকে স্কোয়াডের সদস্যদের জীবনে।
গার্লস স্কোয়াড সিজন-৩ নিয়ে বঙ্গের কন্টেন্ট ম্যানেজার হৃদয় জুলফিকার বলেন, ‘গার্লস স্কোয়াড অলরেডি মানুষের কাছে খুব পপুলার একটা সিরিজ। নতুন সিজনের জন্য অনেকদিন ধরেই আমাদের দর্শক বসেছিলেন। তাই রিলিজের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা খুব ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। আশাকরি আগের দুই সিজনের মতো এই সিজনটিও মানুষের খুব ভালো লাগবে।’
গতকাল রাত ১২টা ০১ মিনিটে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে রিলিজ পায় গার্লস স্কোয়াড সিজন-৩।
রিলিজের পরপরই অসংখ্য দর্শক সিরিজটি দেখছেন বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ওটিটিতে ঝড় তুলছে দিন-দ্য ডে!
ওয়েব ফিল্মে জুটি নিশো ও মেহজাবীন
১১ মাস আগে
ওটিটিতে ঝড় তুলছে দিন-দ্য ডে!
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে এসেছে অনন্ত জলিল ও বর্ষা অভিনীত চলচ্চিত্র দিন-দ্য ডে। ইরানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত অ্যাকশনধর্মী এই ছবি গত ২৩ নভেম্বর রিলিজ পায়।
রিলিজের পর পরই সিনেমাটি দর্শক মহলে দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছে। মাত্র ৩ দিনে দুর্দান্ত ভিউজ পেয়েছে মুভিটি।
এই সিনেমায় নায়ক অনন্ত জলিলকে একজন আন্তর্জাতিক সংস্থার পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে দেখা যায়। নানা সন্ত্রাসগোষ্ঠী দমনে অভিযানে অংশ নেন তিনি।
সেই সূত্র ধরে তিনি আফগানিস্তানে একটি মিশনে যান। সেখানে মুখোমুখি হোন দুর্ধর্ষ টেরোরিস্ট আবু খালিদের সঙ্গে। জড়িয়ে পড়েন জীবন-মৃত্যুর এক কঠিন লড়াইয়ে!
সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ইরানি পরিচালক মোর্তেজা অতাশ জমজম। বাংলাদেশ ছাড়াও সিনেমাটির শুটিং হয়েছে ইরান, তুরস্ক ও আফগানিস্তানে।
আরও পড়ুন: নতুন সিনেমার লুক প্রকাশ করলেন অনন্ত জলিল
এত কম সময়ে এত ভিউ পাওয়ায় দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ কর্তৃপক্ষ।
তারা বলেন, ‘দিন-দ্য ডে’র মাত্র তিন দিনে এত জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া ওটিটিতে একটা বড় ব্যাপার। অনন্ত জলিলের এটি অন্যতম বিগ বাজেটের মুভি। মুভিটি আনার জন্য দর্শক অনেকদিন ধরেই আমাদের স্যোশাল মিডিয়াতে অনুরোধ করছিলেন। মুভিটি আনতে পেরে এবং এত ভালো সাড়া পেয়ে আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ! আমরা আশা রাখি, সামনের দিনগুলোতেও দর্শক আমাদের এভাবেই ভালোবেসে যাবেন!’
উল্লেখ্য, দিন-দ্য ডে সিনেমাটি ২০২২ সালের ঈদুল আজহায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টি দেশে পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পায়। তবে মুক্তির পর সিনেমাটিকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন অনন্ত জলিল।
আরও পড়ুন: ‘দিন: দ্য ডে’ এর বাজেট নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন অনন্ত জলিল
অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন ‘দিন: দ্য ডে’র পরিচালক
১১ মাস আগে
কড়ক সিং: জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা আসছে ওটিটির পর্দায়
বলিউড সিনেমায় অভিষেক ঘটতে চলেছে ৫ বার বাংলাদেশের জাতীয় পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসানের। চলচ্চিত্রের নাম কড়ক সিং। যার প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হয় ৯ নভেম্বর। তবে কোনো প্রেক্ষাগৃহে নয়, ছবিটি শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে ভারতের ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে।
২০২২-এর শেষের দিকে প্রজেক্টটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন দুই বাংলার এই জনপ্রিয় তারকা। শুটিং ও নির্মাণের যাবতীয় কাজ শেষে ফার্স্ট লুক পোস্টারের মাধ্যমে তার হিন্দি সিনেমার ব্যাপারটি চূড়ান্ত হলো।
শুধু ক্যারিয়ারের একটি নতুন অধ্যায়ই নয়; এর মাধ্যমে ভারতের প্রতিভাবান সব চলচ্চিত্র কর্মীদের সাহচর্য পেলেন চির তরুণ এই অভিনেত্রী। চলুন, জয়ার এই নতুন যাত্রার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কড়ক সিং নির্মাণের নেপথ্যের মানুষেরা
এই মুভির মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো হিন্দি ভাষায় নির্দেশনা দিলেন ভারতের বাঙালি নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি অনুরণন (২০০৬) দিয়েই তিনি দর্শকদের কাছে নিজের একটি আলাদা পরিচয় তৈরি করেছিলেন। অনুরণনসহ অন্তহীন (২০০৮) এবং পিঙ্ক (২০১৬ ফিল্ম) তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয়।
কড়ক সিং-এর কাস্টিং পরিচালনার কাজ করেছেন যোগী মল্লং, যিনি পূর্বে অস্কার জয়ী আরআরআর মুভির কাস্টিং ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি নিজেও ছবির একটি ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তার সঙ্গে কাস্টিংয়ে সহপরিচালক হিসেবে রয়েছেন অভিষেক বাগচী।
আরও পড়ুন: অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
প্রোডাকশন ডিজাইনের দায়িত্বে ছিলেন নাতাশা গৌউবা, যিনি এর আগে সালমান খানের রেস-৩ (২০১৮) ও দীপিকার রামলীলা (২০১৩) এর প্রোডাকশন ডিজাইন করেছিলেন।
সঙ্গীত আয়োজন করেছেন ভারতের খ্যাতিমান সুরকার, গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু মৈত্র।
চিত্রগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন অভিক মুখোপাধ্যায়, যিনি অনিরুদ্ধর পিঙ্ক মুভির সিনেমাটোগ্রাফি করেছিলেন।
ছবির সামগ্রিক সম্পাদনায় নিয়োজিত ছিলেন অর্ঘকমল মিত্র।
কড়ক সিংয়ে জয়ার সহঅভিনয় শিল্পীরা
ছবির নাম ভূমিকায় এখানে দেখা যাবে বলিউড অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী। যদিও চলচ্চিত্রের ভাষা বাংলা নয়; কিন্তু একজন বাঙালি পরিচালকের সঙ্গে এ নিয়ে পঙ্কজ তৃতীয়বারের মতো কাজ করলেন।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে 'দিল বেচারা'(২০২০) খ্যাত অভিনেত্রী সঞ্জনা সাংঘী, এবং মালায়ালাম অভিনেত্রী পার্বতী থিরুভোথু। এছাড়াও রয়েছেন দিলীপ শঙ্কর, পরেশ পাহুজা, বরুণ বুদ্ধদেব সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ‘বিউটি সার্কাস’ টিমের প্রতি কৃতজ্ঞ: জয়া আহসান
১ বছর আগে
পুনর্মিলনে: প্রতিটি চরিত্র গল্পের প্রাণ
ওটিটি বাংলাদেশের ফিকশন জগতের জন্য আশীর্বাদ বলাটাই হয়তো স্বার্থকতা হবে। কারণ আমাদের দেশের নির্মাতারাও যে এভাবে এত সুন্দর ও স্পষ্টভাবে গল্প বলতে পারে তা আগে আর জনা যায়নি। এখন তো সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ নিয়ে আলোচনায় বাংলা কনটেন্ট সবচেয়ে গুরুত্ব পায়।
এবার এই লেখার শিরোনাম প্রসঙ্গে আসি। গত ২১ সেপ্টেম্বর ‘চরকি’র পর্দায় মুক্তি পেল মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘পুনর্মিলনে’। যেটির খবর প্রকাশের পর থেকে ব্যাপক আলোচনায় ছিল। সিনেমাটি নিয়ে বলতে গেলে সবার আগে নির্মাতার লোকেশন সিলেকশন নিয়ে প্রশংসা করতে হয়। চা বাগানের এলাকার আঁকাবাঁকা পথ, উপর থেকে সবুজের সমারহ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিন্নাত বরকতুল্লাহ মারা গেছেন
পৌনে দুই ঘণ্টার এই সিনেমার আরও যেই বিষয়ে নির্মাতা খুব যত্ন দিয়েছেন তা হলো চরিত্র। প্রতিটি চরিত্রকে তিনি আলাদাভাবে ভেবে ডিজাইন করেছেন তা শেষ পর্যন্ত দেখলে বোঝা যায়। বাড়ির মুরুব্বি থেকে শুরু করে ছোটদের স্ক্রিন টাইম বেশ গুছিয়ে নিয়েছেন আরিয়ান।
যে দুটি চরিত্র নিয়ে একটু আলাদাভাবেই বলতে হয় তারা হলেন অন্তু ও নয়ন। নূর ইমরান মিঠুকে প্রথম দেখি ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ সিনেমায়। পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ে তার সাবলীলতা বরাবরই ভালো লাগবে। মিজানুর রহমান আরিয়ানের কারণে তার প্রতি ভালো লাগাটা বাড়লো।
শুরুতে থেকে শেষ পর্যন্ত চরিত্রটি তিনি যেভাবে বয়ে নিয়ে গেছেন তা প্রশংসনীয়। আর ‘পুনর্মিলনে’র অন্তু হচ্ছেন সিয়াম আহমেদ। ধরা যাক আপনার সামনে একটি ফুলের বাগানে আছেন, সেখানে যেই ফুলের স্নিদ্ধতা আপনাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করবে সে অন্তু। বিশেষ করে সিনেমার প্রায় শেষাংশ যেন অন্তুময়।
‘পুনর্মিলনে’ যে তাসনিয়া ফারিণ করছেন সেটি তো সবারই জানা। পুরো সিনেমায় অল্প সময় পাওয়া গেছে তাকে। হয়তো তিনি যেই চরিত্রে ছিলেন সেটির স্পেস নির্মাতা নিজেই খুব বেশি দিতে চাননি। অবশ্যই সেটি নির্মাতার নিজস্বতা। কিন্তু যেহেতু তাসনিয়া ফারিণের শেষ কয়েকটি কাজে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে তাই হয়তো এখানে তার অভিনয়ের জায়গাটা পেলে দর্শক হিসেবে ভালো লাগতো।
এবার একটু গল্প নিয়ে বলি। গল্প চলে বর্তমান আর অতীতের পথ ধরে। এমন ছকে গল্প বলাটাও নতুন না। মানে দর্শক এভাবে গল্প দেখে অভ্যস্ত। এটি বলার কারণ, নির্মাতা এখানে প্রতিটি সিকোয়েন্স যেভাবে গল্পটাকে গেঁথেছেন তার শুরুর অনেকটা সময় চোখে খটকা লাগার মতো। মানে মনে হবে একটা ঘটনা শুরু হয়ে সেটার শেষ না হয়েই অন্য ঘটনায় চলে গেছে।
আর এটি যখন কয়েকবার হয় তখন দর্শকের মাঝেও একটা অপূর্ণতা তৈরি হয়। যেহেতু বর্তমান ও অতীত গল্পের সংমিশ্রন তাই এই যত্নে খানিকটা কমতি দেখা গেছে।
‘পুনর্মিলনে’ যদি এবার একটা ফুলের ঝুড়ি ভাবেন সেখানে দেখবেন সব সুন্দর সুন্দর ফুল, শুধু মালা গাঁথাটা মনে হয় আরেকটু ঠিকঠাক হতে পারতো।
তবে আপনি যখন সিনেমাটা দেখা শেষ হবে এসবকিছু যেন ভুলে যাওয়া যায়। তার কারণ সিয়াম আহমেদ। তিনি যে প্রতি নিয়ত অভিনয়ে আরও দক্ষ হয়ে উঠছেন ‘পুনর্মিলনে’ সেটি প্রমাণ করে। শেষ পর্যন্ত গল্পের আবেগ ধরে রেখেন এই অভিনেতা। সিনেমা শেষে ভাবনার বেশিরভাগ জায়গাজুড়েই সিয়াম।
আরও পড়ুন: 'বাঘা যতীন' লুকে দেবের চমক
বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে যা বললেন রাজ
১ বছর আগে
আমি কী তুমি: মেহজাবিনকে নিয়ে ভিকি জাহেদের নতুন ওয়েব সিরিজ
নিজের একটি আলাদা দর্শক শ্রেণী তৈরির পাশাপাশি বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে পরিবর্তনের হাওয়া দিয়ে চলেছেন নাট্য নির্মাতা ভিকি জাহেদ। যুগের চলমান সম্প্রচার মাধ্যম ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্মেও ঘটে চলেছে তার সরব বিচরণ। সেই অবিস্মরণীয় কাজগুলোর সারিতে শামিল হওয়া আরও একটি কাজ ‘আমি কী তুমি’। গত ২৭ জুলাই চ্যানেল আইয়ের ওটিটি আই স্ক্রিনের পর্দায় দুপুর ৩টায় স্ট্রিমিং হয়ে গেলো ওয়েব সিরিজটির। নারীপ্রধান সিরিজটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন মেহজাবিন চৌধুরী। চলুন, সদ্য শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আমি কী তুমি: বৈজ্ঞানিক পটভূমির রহস্য গল্প
একদিনে মুক্তিপ্রাপ্ত আট এপিসোডের সিজনকে খুব সংক্ষেপে বলা যেতে পারে রহস্য গল্প। প্রতিটি এপিসোডে সঙ্গতিপূর্ণ ভাবে রহস্যের জাল বুনে ধীরে ধীরে খোলা হয়েছে জটগুলোকে।
তবে নিজের প্রথাগত থ্রিলার ও সাসপেন্স আবহের সঙ্গে ভিকি জাহেদ এবার যোগ করেছেন বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট।
তিথি নামের একটি মেয়ের জীবনের একটাই লক্ষ্য; আর তা হলো সিনেমার নায়িকা হওয়া। শহরে একের পর এক ঘটতে থাকা নারী হত্যা এবং সিনেমায় কাজ করার ব্যাপারে পরিবারের চাপ কোন কিছুই তার পথের কাঁটা হতে পারে না। কিন্তু একদিন রহস্যময় ক্রিস্টাল বৃষ্টির পর থেকে অদ্ভূত সব ঘটনা ঘটতে শুরু করে তিথির জীবনে। শুধু তাই নয়, পুরো জীবনের মানেটাই বদলে যায় তিথির কাছে।
আরও পড়ুন: ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে এবার বলিউড নায়িকা
এমনি রহস্যে মোড়া জীবনচরিতের চারপাশ জুড়ে চিত্তাকর্ষক এক আবহের সৃষ্টি করা হয়েছে আকাশের গায়ে সবুজ বলয়রেখা দেখিয়ে। ট্রেলারের সময় থেকেই দৃশ্যটি দর্শকদের মনে একটাই সম্ভাবনার উদয় ঘটায়; আর তা হচ্ছে পৃথিবীতে এলিয়েন আগ্রাসন। কিন্তু তার সত্যতা এই প্রথম সিজনেই যাচাই করা হয়নি। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় সিজনের জন্য।
তবে প্যারালাল বা সমান্তরাল জগতের বিষয়টি এই প্রথমবারের মত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হলো বাংলাদেশি কোনও নাটকে। বাংলাদেশের প্যারালাল ভার্সন; বা সিগমা বাংলাদেশ শব্দ দুটো ইতোমধ্যেই ঠাই করে নিয়েছে দর্শকদের হৃদয়ে।
ট্রেলার বা পোস্টার দর্শন পর্যন্ত ‘আমি কি তুমি’ শিরোনামটিকে ভাবা হয়েছিলো মনস্তাত্ত্বিক অথবা প্রতীকী হিসেবে। কিন্তু তা যে আসলে আক্ষরিক, তা নিশ্চিত হওয়া গেছে সিরিজটি মুক্তির পর।
কিন্তু এরপরেও টুইস্টে ভরপুর সিজনটি নতুন কিছু রহস্যের বীজ রেখে গেছে দর্শকদের জন্য। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দিয়ে গেছে দ্বিতীয় সিজন দেখার অদম্য আগ্রহ।
ভিকি জাহেদের নৈপুণ্যে নাট্যশাস্ত্রের অভিজাত ষোলকলা
রেডরাম, দ্যা সাইলেন্স ও পূনর্জন্ম-এর দর্শকরা ভিকি জাহেদের অনন্য গল্প বলার সঙ্গে অভ্যস্ত। সেই সঙ্গে বিদেশি গল্প ও সিনেমা অনুসরণের ব্যাপারটিও জড়িয়ে আছে তার নাটক নির্মাণের সঙ্গে। কিন্তু এই অনুসরণ তাকে নগ্ন অনুকরণের দিকে ঠেলে দেয়নি। বরং তাকে সাহায্য করেছে নাট্যশাস্ত্রের অভিজাত উপাদানগুলোকে আবিষ্কার করতে এবং তা রপ্ত করতে। আর তারই প্রভাব দেখা গেছে তার প্রতিটি কাজে।
২০১৬-এর সেই ‘মোমেন্ট্স’ শর্টফিল্ম থেকে শুরু করে এই ‘আমি কী তুমি’ ওয়েব সিরিজ পর্যন্ত গল্প দেখানোর ব্যাকরণগুলোর উত্তোরোত্তর আগমন ঘটেছে তার নির্মাণশৈলীতে।
অধিকাংশ কাজে তার অনুসৃত পূর্বসূরীদের কিছুটা ঝলক থাকে। তবে এবার তিনি যেন উজাড় করে পরিবেশন করেছেন আলফ্রেড হিচকক, ডেভিড ফিঞ্চার ও মার্টিন স্করসেজের মত বিশ্বখ্যাত থ্রিলার নির্মাতাদের।
তাছাড়া এর সম্পাদনা এবং ভিজুয়াল ইফেক্টের কাজও বাংলাদেশি নাটকে আগে কখনোই দেখা যায় নি। তিনি দারুণ ভাবে দেখিয়েছেন, কিভাবে কারিগরি বিভাগের অল্প পরিবেশনা দিয়েও বিশ্ব মানের কন্টেন্ট তৈরি করা যায়।
নিজের কন্টেন্ট নির্মাণে যে তিনি কোনও রকম তাড়াহুড়ো করেন না, সে ব্যাপারে ভিকি ভক্তরা অবহিত আছেন।
আরও পড়ুন: সাড়ে ষোলো: হইচই ওটিটিতে আফরান নিশোর নতুন ওয়েব সিরিজ
কিন্তু এবার আরও মজবুত ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তিনি বেশ পড়াশোনা করে তবেই মাঠে নামেন। সুতরাং দর্শক শুধু নির্মল বিনোদনই পাবেন না, তার নাটক দেখে অনেক চমকপ্রদ বিষয় সম্পর্কে জানবেনও। সেই অবাক করা তথ্যচিত্রের সাক্ষী হওয়ার জন্য হলেও দর্শকরা চোখ রাখতে চাইবেন এই নব্য নির্মাতার কাজে। এরকম বিস্ময়কর তথ্য সমৃদ্ধ কন্টেন্ট নির্মাণ করতে বাংলাদেশে এর আগে কেবল একজনকেই দেখা গেছে। তিনি হলেন প্রয়াত ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ুন আহমেদ।
১ বছর আগে
পাতালঘর: চরকিতে আসছে নুসরাত ফারিয়ার ওয়েব ফিল্ম
মডেলিং থেকে শুরু করে টিভি শো ও বড় পর্দা, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সমানভাবে পরিচিত মুখ নুসরাত ফারিয়া। ভারত ও বাংলাদেশে সমানভাবে নিজের স্বাক্ষর রাখা এই তারকা এবার পদার্পণ করতে চলেছেন ওটিটি জগতে। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ওটিটি চরকিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘পাতালঘর’। বাণিজ্যিক ঘরানার চলচ্চিত্রের বাইরে ভিন্ন বেশে দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে। চলুন, তারকাবহুল এই চলচ্চিত্রটির ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
পাতালঘরের গল্প
বহুদিন পর ঘরে ফিরে আপন মানুষগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে ভীষণ অস্বস্তিতে পড়ে যায় মেয়েটি। যেমনটা অস্বস্তির সৃষ্টি হয় কোনো অপরিচিত মানুষের সান্নিধ্যে। মায়ের সঙ্গেই যেখানে স্বাভাবিক হওয়া দায় হয়ে পড়ছে, সেখানে অন্যান্য মানুষগুলোকে রীতিমতো অচেনা ঠেকে মেয়েটির কাছে।
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনকে সমৃদ্ধ করতে পেশাগত জীবনে সর্বোচ্চ শিখরে জায়গা করে নেওয়া অপরিহার্য। কিন্তু কর্মজীবনের সেই খ্যাতি যখন চিরচেনা সম্পর্কগুলোতে জটিলতা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন পুরো জীবনটা যেন বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
এমনি সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে আবর্তিত হয়েছে পাতালঘরের কাহিনী। পরিণত সংলাপের মাধ্যমে নানা ধরনের চরিত্রের মাঝে সবচেয়ে বেশি আলোকিত হয়েছে মা ও মেয়ের গল্প।
দীর্ঘদিনের জীবনধারার দৌরাত্ম্য ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে ছাড়িয়ে চির সত্য এই সম্পর্কটি তার গন্তব্য খুঁজে পাবে কি না- তারই জবাব মিলবে এই পাতালঘরে।
পাতালঘর ওয়েব ফিল্মের নেপথ্যে রয়েছেন যারা
পাতালঘরের পরিচালনা করেছেন ‘কমলা রকেট’ খ্যাত নূর ইমরান মিঠু। ২০১৮ সালের কমলা রকেট ছিল তার প্রথম চলচ্চিত্র, যেটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
পাতালঘরের প্রযোজনা কমিটিতে আছেন আবু শাহেদ ইমন, মীর মোকাররম হোসেন, ফরিদুর রেজা সাগর ও তাহরিমা খান। চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থাগুলো হলো- বক্স অফিস, গল্প রাজ্য ফিল্মস, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড, বাতায়ন প্রোডাকশনস এবং জয়া স্যানিটারি ন্যাপকিন।
চলচ্চিত্রটির শুটিং হয়েছিল কোভিড মহামারির সময় ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে রাজবাড়ীর পাংশা এলাকায়।
আরও পড়ুন: দর্শক আগ্রহে এগিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘প্রহেলিকা’
পাতালঘর ওয়েব ফিল্মের অভিনয়শিল্পীরা
তারকাবহুল ওয়েব ফিল্মটিতে নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রয়েছেন ৯০ দশকের জনপ্রিয় নাট্যাভিনেত্রী আফসানা মিমি। এ পর্যন্ত মাত্র চারটি চলচ্চিত্রে কাজ করলেও অভিনয় দক্ষতার ক্ষেত্রে নাটকের তুলনায় কোনো অংশে যে কম হবে না তা অনুমেয়। ফারিয়ার মতো তারও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এটা প্রথম কাজ। এই প্রথমবারের মতো তারা একসঙ্গে কাজ করছেন।
ওয়েব ফিল্মটিতে সেই তারকা খ্যাতি পাওয়া মেয়েটির ভূমিকায় থাকবেন নুসরাত ফারিয়া। আর তার মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে আফসানা মিমিকে।
অন্যান্য তারকারা হলেন- রওনক হাসান, নাজিয়া হক অর্ষা, নাসির উদ্দিন খান, ফজলুর রহমান বাবু, সালাউদ্দিন লাভলু, এবং মামুনুর রশীদ। এছাড়াও রয়েছেন দীপান্বিতা মার্টিন, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, মামুন-উল-হক, আরফান মৃধা শিবলু, চন্দনা বিশ্বাস, হাসনাত রিপন, মৌটুসী বিশ্বাস এবং শাদাত রাসেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সিনেমার বড় বাজার তৈরি হবে: নিরব
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাতালঘর
ওয়েব চলচ্চিত্রটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে উৎসবে সম্মানিত হয়েছে। ২০২২ সালে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৩-তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (আইএফএফআই) চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছিল। বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ার অন্যান্য প্রতিযোগী চলচ্চিত্রগুলোর সঙ্গে একই সারিতে শামিল ছিল পাতালঘর।
এ বছর মার্চে নেপালের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৩৫টি দেশের ৯৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। সেগুলোর মধ্যে থেকে বাংলাদেশের পাতালঘর সেরা ফিচার চলচ্চিত্র হিসেবে ‘দন কিহোতে পুরস্কার’ জিতে নেয়।
শেষাংশ
চরকি অরিজিনাল ওয়েব ফিল্ম পাতালঘর তারকা নুসরাত ফারিয়ার জন্য হতে পারে এক বিশাল অর্জনের ক্ষেত্র। গ্ল্যামার জগতের বিচিত্র অঙ্গনে ইতোমধ্যে নিজের একটি সপ্রতিভ জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন ফারিয়া। সেই সূত্রে, এই মেধাবী তারকা ওটিটি চলচ্চিত্রের অভিনয় ধারায় কতটুকু উতড়ে যেতে পারছেন- এখন সেটাই দেখার বিষয়। এই ওয়েব ফিল্মের সম্ভাব্য সফলতায় নিজের পোর্টফোলিও ভারি হওয়ার বিষয়তো থাকছেই। পাশাপাশি একজন পূর্ণাঙ্গ ও দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবেও দর্শকদের নিকট এক নতুন পরিচয় সৃষ্টি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সাড়ে ষোলো: হইচই ওটিটিতে আফরান নিশোর নতুন ওয়েব সিরিজ
১ বছর আগে
সাড়ে ষোলো: হইচই ওটিটিতে আফরান নিশোর নতুন ওয়েব সিরিজ
ভক্ত থেকে শুরু করে নাট্যপাড়া; সর্বত্র আফরান নিশো মানেই এক বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিনেতার নাম। আর বর্তমান সময়ের ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ)ঘরানার কন্টেন্টগুলো সেই বিচিত্রতায় যেন জোয়ার এনেছে। সেই দক্ষতারই আরও এক ঝলক ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এর ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোলো’। দর্শক ইতোমধ্যে নিশোর অভিনয়ের ষোলকলায় মশগুল হয়ে আছে। তাদের সম্বিত ফেরার আগেই আগামী ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘সাড়ে ষোলো’। নতুন এই হইচই অরিজিনাল সিরিজটি নিয়েই আজকের বিনোদন কড়চা।
ওয়েব সিরিজ সাড়ে ষোলোর গল্প
ধূর্ত শব্দটি একজন ব্যক্তি রেজার জন্য নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য হিসেবে জাহির করা যাবে না। কেননা ভালো-খারাপ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ। তবে এতটুকু নিশ্চিত করে বলা যায়, পরিবারের প্রতি নিবেদিত রেজা বেশ বুদ্ধিমান।
অন্যদিকে পেশাগত জীবনে তিনি বেশ প্রতিভাবান ও সফল একজন আইনজীবী। তাই মামলার জটিলতা, শুনানির চাপ, বাদি-বিবাদি নিয়ে চিন্তা তার কাছে কোন নতুন ব্যাপার নয়। কিন্তু হঠাৎ এক মামলার শুনানির দিনের আগের রাতে রহস্যময় কিছু ঘটনা আমূল বদলে দেয় তার জীবনকে।
এমনি গল্প নিয়ে এগিয়েছে ৬ পর্বের মিনি থ্রিলার সিরিজ ‘সাড়ে ষোলো’। পুরো সিরিজের কাহিনী একটি হোটেল আর রেজার শুনানিতে যাবার আগের সেই রাতের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে। আর সাড়ে ষোলো হচ্ছে ফ্লোরের সংখ্যা। এখানে ১৬ ও ১৭-তম ফ্লোরের মাঝামাঝি কোনো জায়গা বা ফ্লোরের রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সে খুবই চতুর কিন্তু একজন ফ্যামিলি ম্যান: নতুন চরিত্র সম্পর্কে আফরান নিশো
সাড়ে ষোলোর নেপথ্যের মানুষ
মিনি থ্রিলার সিরিজটির পরিচালকের নাম ইয়াসির আল হক। আর এই সিরিজটির মাধ্যমেই ওটিটি জগতে তার অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে। এছাড়া এটি তার নির্মিত প্রথম ওয়েব সিরিজও। মূল পরিচালনায় নব্য হলেও এই তরুণ নির্মাতা বেশ প্রতিশ্রুতিশীল এবং কাজের ব্যাপারে নিবেদিতপ্রাণ। তিনি ৭৪-তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘আন সার্তেন রিগার্দ’ পুরষ্কার প্রাপ্ত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর কাস্টিং ডিরেক্টর ও সহকারি পরিচালক ছিলেন।
সাড়ে ষোলোর আফরান নিশো
জীবনের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘কাইজার’ দিয়েই বাজিমাত করে দিয়েছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা আফরান নিশো। তারপর সবেমাত্র এক বছর পেরিয়েছে। কাইজার জ্বর এখনো কাটেনি নিশো ভক্তদের। এর মধ্যে আবার গত ঈদুল আযহায় মুক্তি পেলো তার অভিনীত সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’।
জীবনের প্রথম সিনেমাতেই বুঝিয়ে দিলেন, তিনি শুধু ছোট পর্দায় আরামপ্রিয় নন। এছাড়া ভিকি জাহেদের পূনর্জন্ম ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তার অভিনয়ের রেশ এখনো কাটেনি দর্শকদের মন থেকে।
চরিত্রের কর্মকান্ডকে আলাদা করে শুধুমাত্র তার আচরণ বা দৃষ্টিভঙ্গিকে বিবেচনা করলে, পুনর্জন্মের রাফসান ও সুড়ঙ্গের মাসুদ বেশ থ্রিলিং ও সাসপেন্সে ভরপুর ছিলো।
এবার সাড়ে ষোলোতেও কি ভক্তরা সেই রাফসান বা মাসুদকে দেখতে যাচ্ছেন কিনা তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে হৈচৈ অরিজিনাল সিরিজটির স্ট্রিমিং পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক মাতাচ্ছে 'সুড়ঙ্গ'
সাড়ে ষোলোর নির্মাণ ও হইচই যাত্রা
সিরিজটি মহা সমারোহে এর নির্মাণ যাত্রার সূচনা ঘটায় চলতি বছরের ১২ জুন ঢাকাতে শুটিং-এর মাধ্যমে। ১৪ দিন পর চিত্রগ্রহণের শেষ দিনটি ছিলো ২৬ জুন। এরপর গত ১৬ জুলাই রবিবার হইচই সিরিজটির ফার্স্ট লুক প্রকাশ করে। সেই সাথে ঘোষণা করা হয় আগামী ১৭ আগষ্টে এর মুক্তির দিনক্ষণও।
নির্মাতাগণ এখনো সিরিজটির বাকি কলাকুশলী ও অভিনয় শিল্পীদের কথা গোপন রেখেছেন। শিগগিরই প্রচারণার সময় তা প্রকাশ করা হবে, আর সেই সঙ্গে থাকবে সাড়ে ষোলো সংখ্যাটিকে ঘিরে আরও কিছু রহস্যের খোরাক।
শেষাংশ
ওটিটির কাজগুলো আফরান নিশোর অভিনয় ক্যারিয়ারের জন্য এক বিশাল মাইলফলক। সেই যাত্রায় হইচই ওটিটি প্লাটফর্মে আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোলো’ এক অভাবনীয় পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। এ কথা বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের নাটক এমনকি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্যও এ ধরনের কন্টেন্ট বিপুল প্রভাব বিস্তার করছে। ইতিবাচক এই পরিবর্তনে আশা করা যায়, বাংলাদেশ শিগগিরই বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সিরিজ নির্মাণের তালিকায় শামিল হতে পারবে।
আরও পড়ুন: এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
১ বছর আগে
ঈদুল আজহার বাংলাদেশি সিনেমা ২০২৩: ওটিটি ও হলে মুক্তি পাচ্ছে যে সিনেমাগুলো
ঈদ মানেই বড় পর্দাজুড়ে চমকপ্রদ আয়োজনের শুভ মহরত। প্রতিবারের মত এবারো নিত্য-নতুন সব ঈদুল আজহার বাংলাদেশী সিনেমা ২০২৩ কে ভরিয়ে তুলবে বিনোদনের আলোকসজ্জায়।
সেই প্রত্যাশাতেই সিনেমাপ্রেমীদের উৎসুক দৃষ্টি ঘুরে বেড়াচ্ছে উড়াল সড়কের স্তম্ভ থেকে সামাজিক মাধ্যমগুলোর নিউজফিডে। এই উদ্দীপনা শুধু হলে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর জন্য নয়!
বাংলাদেশের ঘরোয়া চলচ্চিত্রের অন্ধ ভক্তগণ এখন ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) ওয়েব ফিল্মের সঙ্গেও অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। বাংলা চলচ্চিত্রের এই শুভাকাঙ্ক্ষিদের কথা মাথায় রেখেই আসন্ন ঈদে ওটিটি ও হলে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমাগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে এই ফিচারটি।
চলুন দেখে নেয়া যাক- কোন সিনেমাগুলো ইতোমধ্যেই সমূহ উত্তেজনার খোরাক যোগাচ্ছে।
ঈদুল আজহা ২০২৩ এর সেরা বাংলা ১০ সিনেমা
প্রিয়তমা
গত ১০ মে সিনেমাটির ফার্স্ট লুক মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে শাকিবিয়ানদের মধ্যে। পেছনে টান করে বাঁধা লম্বা চুলের শাকিব খানের নতুন অবতারটির খুব একটা সময় লাগেনি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতে।
বৃষ্টির মধ্যে জ্বলন্ত সিগারেট ঠোটে চেপে অজানা বিষন্নতার দিকে চাহনীটা চমকে দিয়েছে লাখো ভক্তকে। পরিচালক হিমেল আশরাফ দাবী করেছেন শাকিবের এই স্বতঃস্ফূর্ত ভঙ্গিমাটি প্রথমবারের মত বের হয়ে এসেছে প্রিয়তমায়।
ফারুক হোসেনের সঙ্গে সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ নির্মাণে স্বয়ং পরিচালকও অংশ নিয়েছেন। ছবিটির প্রযোজনা করেছেন ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান। শাকিব খানের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে কলকাতার তারকা ইধিকা পালকে।
সুড়ঙ্গ
সিনেমার টিজার প্রকাশের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। বড় পর্দায় নিশোর অভিষেকটা রাজকীয় হতে যাচ্ছে এই থ্রিলার ঘরানার ছবিটির মাধ্যমে। সত্য ঘটনার ওপর নির্মিত চলচ্চিত্রটির নির্মাতা পরান-খ্যাত রায়হান রাফি।
আরও পড়ুন: ৩০ হলে দেখা যাবে ‘সুড়ঙ্গ’
২০১৪ সালের কিশোরগঞ্জের একটি ব্যাংকের নিচ থেকে দীর্ঘ এক সুড়ঙ্গ বানিয়ে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা চুরি করে সোহেল। গোটা ২ বছর ধরে সুড়ঙ্গ করলেও চুরির মাত্র ২ দিনের মধ্যেই সে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। সমালোচক ও ভক্তদের অনেকেই এই ঘটনার সঙ্গে ‘সুড়ঙ্গ’-এর কাহিনীর সাদৃশ্য করছেন।
নিশোর বিপরীতে মূল ভূমিকায় দেখা যাবে তমা মির্জাকে। এছাড়াও আছেন মোস্তফা মনোয়ার ও শহীদুজ্জামান সেলিম।
এবারের কোরবানি ঈদে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি এবং স্থানীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
প্রহেলিকা
প্রথিতযশা নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি উপহার দিতে চলেছেন। ইতোমধ্যেই ‘মেঘের নৌকা’ শিরোনামে ‘প্রহেলিকা’-এর একটি গান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
পান্থ শাহরিয়ারের গল্প, সংলাপ ও চিত্রনাট্যের মোড়কে দর্শকরা রোমান্সের পাশাপাশি এখানে খুঁজে পাবেন রহস্য। দীর্ঘ বিরতির পর এর মধ্য দিয়ে আবার সিনেমায় ফিরছেন প্রখ্যাত অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ।
তার বিপরীতে দেখা যাবে এ সময়ের বড় পর্দার আলোচিত তারকা শবনম বুবলীকে।
জামাল হোসেন প্রযোজিত চলচ্চিত্রটিতে আরও আছেন নাসির উদ্দিন খান, রাশেদ মামুন অপু, ও এ কে আজাদ সেতু।
আরও পড়ুন: ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দেবে ক্যাসিনো: নিরব
নিকষ
নাটক ও সিনেমা উভয় জগতে সমানভাবে নিজের স্বাক্ষর রাখা তাসনিয়া ফারিণ আবারো আসতে চলেছেন দারুণ চমক নিয়ে। হঠাৎ একদিন ফেসবুক লাইভে এসে হারিয়ে যাওয়া বোনকে খুঁজে দেওয়ার জন্য দর্শকদের কাছে আকুতি-মিনতি করেন ফারিণ।
এটা যে ‘নিকষ’-এর প্রোমো ছিলো তা বুঝতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো নেটিজেনদের।
স্কুলে পড়া ছোট বোন লিজা হঠাৎ একদিন লাপাত্তা হয়ে যায়। তাই বোনের খোঁজে হন্যে হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছোটি শুরু করে দেয় টাইপিস্টের চাকরি করা বড় বোন সুলতানা।
এই গল্প নিয়েই এগোতে থাকে সিনেমা।
কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন মেজবাহ উদ্দীন সুমন। থ্রিলার ঘরানার এই ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের মাধ্যমে ওটিটিতে যাত্রা শুরু করলেন রুবেল হাসান।
ছোট বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহিমা সুলতানা। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর নওফেল আশরাফী, জয়রাজ, রাকিব হোসাইন ইভন, খালেকুজ্জামান, ইসরাত জাহান হৃদিকা, সাবিহা জামানসহ আরও অনেকে।
এম আর নাইন
ধুর্ধর্ষ গুপ্তচর মাসুদ রানার ওপর সিনেমা বানানো নিয়ে অনেক আগে থেকেই তোড়জোড় ছিলো জাজ মাল্টিমিডিয়ার। অবশেষে কাজী আনোয়ার হোসেনের ১৯৬৬ সালের উপন্যাস ধংস পাহাড়ের স্বত্ত্ব নেওয়ার মাধ্যমে তা এবার সম্ভব হতে যাচ্ছে। শিরোনাম ‘এম আর নাইন: ডু অর ডাই’।
জাজ মাল্টিমিডিয়া এবং অ্যাভেল এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে ছবিটির পরিচালনা করেছেন আসিফ আকবর। মাসুদ রানা চরিত্রে দেখা যাবে এবিএম সুমনকে।
ছবিটি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশিয় প্রেক্ষাগৃহসহ টলিউডেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রটি। চলতি বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর, প্রিমিয়ার এন্টারটেইনমেন্ট বিশ্বব্যাপী ছবিটির পরিবেশনের কাজ করছে।
ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে তারিক আনাম খান, জেসিয়া ইসলাম, ইরফান সাজ্জাদ, সৈয়দা তিথি ওমনি, আনিসুর রহমান মিলন, শহিদুল আলম সাচ্চুসহ আরও অনেককে।
আরও পড়ুন: দুই চ্যানেলে ড. মাহফুজুর রহমানের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান
১ বছর আগে
‘ফাইনেস্ট সিরিজ ডিরেক্টর’ আশফাক নিপুণ
শিল্পকর্মে যখন সময়কে আঁকা হয় তখন তা নাকি বহু বছর টিকে যায়। নির্দিষ্ট এক সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকে সেই কাজ। আশফাক নিপুণ নির্মিত ‘মহানগর’ সিরিজটিকে ঠিক তেমনই একটি কাজ বললে পাঠকরা হয়তো দ্বিমত করবেন না।
ওটিটির জোয়ারে যখন বাংলাদেশের নির্মাতারা সিরিজ তৈরি করতে শুরু করলেন সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ‘মহানগর’।
২০২১ সালের ৫ জুন ‘হইচই’-তে মুক্তি পায় ‘মহানগর ১’। ঠিক এই সিরিজ দিয়ে যে আশফাক নিপুণকে দর্শক চিনেছে ঠিক তা কিন্তু নয়। এই নির্মাতা তার নাটক ও টেলিফিল্ম দিয়ে এর আগেই তাকে চিনিয়েছেন। তাকে পরিচিত করে তুলেছে তার গল্প বলার এক ভিন্ন ঢং। তার বিভিন্ন সাক্ষাৎকার বা ফেসবুক প্রোফাইল থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায় নিজের দর্শন ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখার অভিজ্ঞতা তার প্রতিটি কাজে তুলে আনার চেষ্টা করেন।
এই চেষ্টা সাহসিক এক জায়গায় তাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ‘মহানগর’ সিরিজ। ২০ এপ্রিল একই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেল সিরিজের দ্বিতীয় সিজন। আমাদের মহানগরে রাত-দিনের পার্থক্যটা অনেক না হলেও কিছু সংখ্যক সাধারণ মানুষের জানা আছে। আশফাক নিপুণ তার এক রূপ এঁকেছেন সিরিজের দুই সিজনে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার শিকার সবচেয়ে বেশি হয় নারীরা: আশফাক নিপুণ
‘মহানগর’ সিরিজের মূল চরিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংলাপ, ‘দুইটা কথা মনে রাখবেন, ক্রিমিনাল আর টাকা যদি থাকে নসিবে আপনে আপনে আসিবে’। আশফাক নিপুণ এক রেডিও অনুষ্ঠানে বলছিলেন মূল চরিত্রে তিনি মোশাররফ করিম ছাড়া কাউকে চিন্তা করতে পারেননি। যদি শিডিউল সমস্যা হতো, তাহলে তিনি অপেক্ষা করে হলেও মোশাররফ করিমকে চাইতেন।
সিরিজটি যারা দেখেছেন, তাদেরও হয়তো এমনটা মনে হওয়ার কথা। মোশাররফ করিম এদেশের ঝিনুকের মধ্যে মুক্তা। চরিত্রের মাঝে তিনি যেভাবে মিশে যান সেখান থেকে চোখ ফেরানো যায় না।
পুরো ‘মহানগর’ সিরিজের দুটি সিজনে ঢাকা মহানগরে রাতের ঘটনাগুলো উঠে এসেছে। ঢাকা মহানগরের কোতোয়ালি থানার ওসি হারুণ এই গল্পের নায়ক। যদিও তিনি নায়ক নাকি ভিলেন সেই দ্বিধায় পড়তে হয় কয়েকবার।
‘মহানগর ১’ শেষ হয় ওসি হারুণকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায়। এরপরই তাকে নেওয়া হয় অজানা এক জায়গায়। দীর্ঘক্ষণ চলে জিজ্ঞাসাবাদ। যেখান থেকে শুরু ‘মহানগর ২’। এই পর্বে এমন আরও একজন অভিনেতা যোগ হয়েছেন যিনি অভিনয় দিয়ে দর্শক কাঁদাতে পারেন। বলছিলাম ফজলুর রহমান বাবুর কথা।
ওসি হারুণকে জিজ্ঞসাবাদের প্রধান হিসেবে থাকেন তিনি। এরপর সেই অজানা জায়গায় কাটে ওসি’র আরও একটি রাত। এই জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে উঠে আসে পেছনের এক গল্প। সেখানে রয়েছেন দর্শকদের জন্য আরও এক চমক। আর যাকে দেখে চোখ আটকে যাবে তিনি আফসানা মিমি। দ্বিতীয় সিজনে নতুন আরও একটি পরিচিত মুখ রয়েছেন অভিনেত্রী তানজিকা আমিন।
সিরিজের প্রতিটি চরিত্রের যে আশফাক নিপুণ যত্ন নিয়েছেন সেটি দেখলে বোঝা যায়। খুবই অল্প সময়ের জন্য পর্দায় থাকা চরিত্রগুলোকেও তিনি অবহেলা করেননি। এই বিষয়গুলো তার পেশদারিত্বের ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে হইচই’র পর্দায় ‘মহানগর-২’
এদেশে সিরিজের সিক্যুয়াল দিয়ে বাজিমাত করতে পেরেছে এমন কেউ ‘মহানগর ২’ এর আগে পর্যন্ত ছিল না। কিন্তু এই দ্বিতীয় সিজন যেন প্রথম সিজনকেও ছাড়িয়ে গেছে। গল্পের বুনন, সংলাপ, চরিত্রগুলোর এক্সপ্রেশন সবকিছুই এতটা যত্ন নিয়ে নিপুণ সাজিয়েছেন তাকে এদেশের ‘ফাইনেস্ট সিরিজ ডিরেক্টর’ বললে মনে হয় খুব একটা বেশি বলা হবে না।
একটি সিরিজের প্রথম সিজন যখন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়, পরেরটার জন্য প্রেশার আর চ্যালেঞ্জ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সেই চাপ সামলে নিয়েছেন আশফাক নিপুণ। মাঝে এক বছর চলে গেলেও তিনি ধৈর্য্য ধরেছেন। তার ফলও পেয়েছেন। তাই ঈদের আনন্দটাও বেড়ে গেল কয়েক গুণ।
‘মহানগর ২’ এর বর্তমান গল্পের সঙ্গে দুই বছর আগের এক গল্প নিয়ে পুরো সিরিজ এগিয়ে যায়। একই ফ্রেমে দুই সময়ের গল্প ঠিকঠাক বলতে পারাটাও মুন্সিয়ানার বিষয়। নাহলে অনেক সময় চোখে দর্শক দ্বিধায় পড়ে যায়। সেই কাজটিও ঠিকঠাক করেছেন নিপুণ।
সিরিজের ডিআই কালার ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আলাদা করে প্রশংসার দাবি রাখে। যা সিরিজটি আবহ স্ক্রিনে আরও জীবন্ত করে তুলেছে।
সিরিজের শেষটায় যা হয়েছে সেটিই সবচেয়ে তাক লেগে যাওয়ার অবস্থা তৈরি করেছে। সঙ্গে কলকাতার অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের প্রবেশ তৃতীয় সিজনের এক ইঙ্গিত রেখে শেষ হয় ‘মহানগর ২’। যেহেতু আশফাক নিপুণ তার অন্য এক সিরিজ ‘সাবরিনা’র সিক্যুয়াল ও অন্য কাজ নিয়ে ব্যস্ততা রয়েছেন, তাই হয়তো ‘মহানগর ৩’ এর জন্য দর্শকের অপেক্ষাটা দীর্ঘ হবে।
তবুও আশফাক নিপুণ সময়ের গল্প বলে যাক।
আরও পড়ুন: প্রথমবার চরকি অরিজিনাল সিনেমায় মোশাররফ করিম
১ বছর আগে