মশাবাহিত রোগ
বরিশালে ডেঙ্গুতে ৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৩০৭
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪ নারীসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০৭ জন।
বুধবার (১১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরিশালের উপ-পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ১৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫৫৫
মারা যাওয়ারা হলেন- বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার উজ্জলা বেগম , বরগুনা সদর উপজেলার এমদাদুল হক, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার আলো বেগম, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার কুলসুম ও পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার লাবনী আক্তার।
এদের মধ্যে তিন জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, একজন পিরোজপুর সদর হাসপাতালে এবং একজন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বরিশালের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ২৭ হাজার ৯৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৬ হাজার ৮৬১ জন। বিভাগে এখন পর্যন্ত ১২৩ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে বরিশালের দুই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৮৯ জন, ভোলা সদর হাসপাতালে ৯ জন, বরগুনা সদর হাসপাতালে ৫ জন, পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ১২ জন ও পটুয়াখালীর দুই হাসপাতালে ৭ জন ও ঝালকাঠি হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে সর্বোচ্চ ১০৩ জন, পটুয়াখালীতে ৫৯ জন, পিরোজপুরে ৬৪ জন, ভোলায় ১৮ জন, বরগুনায় ৫৩ জন ও ঝালকাঠিতে ১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
বুধবার সকাল পর্যন্ত ছয় জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ৯৯১ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৬৬০
ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৭৪২
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ৮ মৃত্যু
দেশে মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও আট জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬৯২ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭২ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৩২০ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ৮৫১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২০০ ছাড়াল
এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ৬৩৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে এক হাজার ২১৩ জন রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৪৯ হাজার ৯৯২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩২ হাজার ৫৩৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১৭ হাজার ৪৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৪৬ হাজার ৯২৮ জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদের মধ্যে ৩০ হাজার ৭৭১ জন ঢাকার এবং বাকি ১৬ হাজার ১৫৭ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২০০ ছুঁইছুঁই
ডেঙ্গু: ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৭৬০
ডেঙ্গু: চিকিৎসা দিতে হিমশিম রাজধানীর হাসপাতালগুলো
ডেঙ্গু রোগীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বৃদ্ধিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ রাজধানীর অনেক হাসপাতাল শয্যা স্বল্পতার কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
২০১৯ সালে দেশে সবচেয়ে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। এ বছরও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, এ পরিস্থিতিতে ঢাকার কোন হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা নেই।
নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হলি ফ্যমিলি হাসাপাতাল, মুগদা মেডিকেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা হাসপাতালসহ বেশকিছু হসপাতালে সিট ফাঁকা নেই। মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছে। মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীতে ওয়ার্ড ভর্তি হয়ে গেছে।
তবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সংক্রমণের সংখ্যা কমতে শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সারাদেশে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বাড়ছে মৃত্যু সংক্রমণ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর চাপ তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবার ডেঙ্গু বেড়েছে। এছাড়া সচেতনতার অভাবে মশাবাহিত রোগবালাই বেড়েছে।
চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইউএনবিকে বলেন, ‘ডেঙ্গুর ভয়ঙ্কর লাগাম টেনে ধরতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা আবশ্যক। আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা উত্তর কর্পোরেশন হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ-এর একটি নতুন ইউনিট এবং লালকুঠি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, মশা নিধনে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মশার সংখ্যা কমলে রোগীর সংখ্যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যাবে ফলে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ কম থাকবে।
পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪ রোগী।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে চারজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান: সপ্তম দিনে ৩.৪৫ লাখ টাকা জরিমানা
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) সোমবার সপ্তম দিনের মতো বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) চালানো হয়।