সামরিক বাহিনী
সিরিয়ায় সামরিক বাহিনীর অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলায় নিহত ৮০, আহত ২৪০
সিরিয়ার হোমস শহরে বৃহস্পতিবার সামরিক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৪০ জন।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-গাবাস বলেছেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সেনাবাহিনীর ওপর সাম্প্রতিকতম সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি।
তিনি বলেন, এই হামলায় ছয় শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক ও সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ না করে জানায়, তরুণ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আইএসের হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩
সামরিক বাহিনীর উপর এই হামলার জন্য 'পরিচিত আন্তর্জাতিক বাহিনী সমর্থিত' বিদ্রোহীদের অভিযুক্ত করে এতে আরও বলা হয়, 'তারা যেখানেই থাকুক না কেন, এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে চিহ্নিত করে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
সিরিয়ার ১৩ বছর ধরে চলা সংঘাতের মধ্যে এই হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, হোমসে ড্রোন হামলা এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাল্টা গোলাবর্ষণের খবরে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে দেশটিতে সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
দেশটির সামরিক বাহিনী হতাহতের কোনো সংখ্যা প্রকাশ না করলেও সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, সরকার শুক্রবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।
এর আগে ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এবং সরকারপন্থী শাম এফএম রেডিও এই হামলার খবর প্রচার করেছে।
২০১১ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার সংকট শুরু হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারের নৃশংস দমনপীড়নের পর তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
২০১৫ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আসাদ সরকার সফলতা পেতে থাকে। এসময় সিরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহায়তা প্রদান করে সমর্থন দিতে থাকে রাশিয়ার পাশাপাশি ইরান ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ এবং দেশের অনেক অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধের ফলে ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ লাখেরও বেশি সিরিয়ার বাইরে শরণার্থী হিসেবে রয়েছে।
যদিও বেশিরভাগ আরব সরকার দামেস্ক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক পুনস্থাপন করেছে,কিন্তু সিরিয়া এখনও বিভক্ত রয়েছে। হায়াত তাহরির আল-শাম গ্রুপের আল-কায়েদা-সম্পর্কিত জঙ্গি এবং তুর্কি সমর্থিত সুন্নি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে উত্তর-পশ্চিম একটি অঞ্চল রয়েছে। আর মার্কিন সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
হোমস শহরটি সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের কেন্দ্রে অবস্থিত,যেখানে সরকার ও বিদ্রোহী বাহিনী নিয়মিত সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আইএসের ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত
ড্রোন হামলার পর সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে গোলাবর্ষণ করে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সিভিল ডিফেন্স অর্গানাইজেশন হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, ইদলিব শহরের পূর্বে আল-নায়রাব ও সারমিন শহরে অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে। সরকারি বাহিনী তাদের অনিয়ন্ত্রিত ওই অঞ্চলের অন্যান্য এলাকাতেও গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হোমসের ওপর ড্রোন হামলার আগে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলের আরেকটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করে। এতে অন্তত পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। পশ্চিম আলেপ্পো প্রদেশের কাফর নুরান গ্রামের উপকণ্ঠে একটি পারিবারিক বাড়িতে গুলি চালিয়েছে সরকারি বাহিনী।
অবজারভেটরি জানিয়েছে, ওই হামলায় এক নারী ও তার চার সন্তান নিহত হয়েছেন। এতে ওই পরিবারের আরও নয়জন আহত হয়েছেন।
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় বসবাসরত প্রায় ৪১ লাখ মানুষের বেশিরভাগই দারিদ্র্যপীড়িত। তারা বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার উপর নির্ভর করে। তাদের অনেকেই সিরীয়, যারা যুদ্ধের কারণে দেশের অন্যান্য অংশ থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাসাকেহ ও কামিশলি প্রদেশে তুর্কি ড্রোন হামলায় তেল উৎপাদন কেন্দ্র, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় কুর্দি কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এদিকে তিন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বৃহস্পতিবার তুরস্কের একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের মোকাবিলায় সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০০ সৈন্য রয়েছে।
তুরস্ক তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও আঙ্কারা বলেছে, সিরিয়ার প্রধান কুর্দি মিলিশিয়া তুরস্কের নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে জোটবদ্ধ, যারা ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আঙ্কারা পিকেকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীর প্রধান মিত্র হলো যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে পরাজিত করেছিল তারা।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত
১ বছর আগে
দুর্নীতির মামলায় সু চির ৫ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে। বুধবার সামরিক শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত এই রায় দিয়েছেন।
যদিও গত বছর সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সু চি, একজন শীর্ষ রাজনৈতিক সহকর্মীর কাছ থেকে ঘুষ হিসাবে স্বর্ণ এবং কয়েক হাজার ডলার গ্রহণ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তার সমর্থকরা এবং স্বাধীন আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ রায়ের মাধ্যমে সু চিকে অসম্মান এবং ৭৬ বছর বয়সী এ নেতাকে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় ফিরে আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সু চির আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড
অনেকেই সু চির সাজার সিদ্ধান্ত সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেয়ার অন্যতম পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।
তিনি ইতোমধ্যে অন্যান্য মামলায় ছয় বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত আছেন এবং আরও ১০ টি দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।
বুধবারের এ রায়ের খবর নাম প্রকাশে অপারগ এক আইনি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
সু চির এ বিচার কার্যক্রম গণমাধ্যম ও দর্শকদের দেখার সুযোগ দেয়া হয়নি। এছাড়া এই নেত্রীর পক্ষের আইনজীবীদেরও গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সু চির সঙ্গে দেখা করার আহ্বান
২ বছর আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানে ২ ফিলিস্তিনি নিহত
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ‘অভিযান’ ও বন্দুকযুদ্ধে দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন-১৭ বছর বয়সী সানাদ আবু আতিয়েহ এবং ২৩ বছর বয়সী ইয়াজিদ আল-সাদি।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায়। এ সময় শুরু হওয়া বন্দুক যুদ্ধে দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
এদিকে পৃথক আরেক ঘটনায় এক ফিলিস্তিনিকে পশ্চিম তীরে একটি বাসে ২৮ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন ‘টার্নিং পয়েন্টে’: জেলেনস্কি
উল্লেখ্য, জেনিন শরণার্থী শিবিরের কাছের একটি গ্রামের এক ফিলিস্তিনি নাগরিক পাঁচ ইসরায়েলিকে গুলি করে হত্যা এবং এর জেরে শুরু হওয়া সংঘাতে ১১ ইসরায়েলির মৃত্যুর দুদিন পরে এই অভিযান চালানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করতে জেনিনে প্রবেশ করলে সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এ সময় একজন সেনা আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় বাইডেন সাম্প্রতিক হামলায় ইসরায়েলের ১১ নাগরিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: অনাস্থা ভোটের আগেই ইমরানের পক্ষ ছাড়ছে মিত্ররা
ইসরায়েলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৫
২ বছর আগে
ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা সম্পদ এবং বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করেছে।
বৃহস্পতিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ হামলায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার সময় তারা পাঁচটি রুশ বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুযারি) সকালে একটি টেলিভিশন ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এই অভিযান বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার উদ্দেশে বলে দাবি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে থামান, ‘শান্তিকে সুযোগ দিন’: পুতিনকে জাতিসংঘ প্রধান
২ বছর আগে
রাজধানীতে ৮ ‘ডাকাতকে’ আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ
মহানগর ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মূল হোতাসহ নগরীর সন্দেহভাজন আট ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। রবিবার রাতে মোহাম্মদপুর বসিলা এলাকা থেকে তাদের আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা এ তথ্য জানিয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মো. মোজাম্মেল হোসেন আপেল, হাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. জামির খান, মো. মুজিবুর রহমান মজিদ মোক্তার, মো. মাসুম গাজী, শফিকুল খারাদী, মো. কুদ্দুস আলী ও মো.কাউছার মিয়া।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ‘ডাকাত’ সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ৩
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির (তেজগাঁও বিভাগ) একটি দল এদের আটক করে। গোয়েন্দারা তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি বন্দুক, একটি ওয়্যারলেস সেট, একটি হাতকড়া, দু’টি নকল ডিবি জ্যাকেট এবং চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই চক্রটি গত কয়েক মাসে সারাদেশে বেশ কয়েকটি ডাকাতি করেছে। এছাড়া বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত ও বরখাস্ত সদস্য এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৯
২ বছর আগে
নির্যাতনে হত্যা: মিয়ানমারে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
জুলাই মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী পরিচালিত বেসামরিক লোকদের উপর ধারাবাহিক গণহত্যায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে বিবিসির এক অনুসন্ধানে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন সৈন্যরা (যাদের মধ্যে অনেকের বয়স মাত্র ১৭) গ্রামবাসীদের জড়ো করে তাদের মধ্য থেকে পুরুষদের আলাদা করে হত্যা করেছে।
ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবিতে দেখা গেছে, নিহতদের বেশিরভাগকে প্রথমে নির্যাতন করা হয় এবং পরে অগভীর কবরে মাটি চাপা দেয়া হয়।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের সাগাইং জেলায় বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কানি শহরাঞ্চলে জুলাই মাসে চারটি পৃথক ঘটনায় এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস জাপানের
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের প্রতিরোধের মুখে পড়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী ।
বিবিসি কানির অন্তত ১১ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছে এবং তাদের অ্যাকাউন্টের সাথে মোবাইল ফোনের ফুটেজ ও দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করা যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি এনজিওর মিয়ানমার উইটনেসের সংগৃহীত ফটোগ্রাফের সাথে তুলনা করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
২ বছর আগে
সুদানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানসহ আটক ৫, অভ্যুত্থানের আশঙ্কা
সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে দেশটির সামরিক বাহিনী আটক করেছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সম্ভাব্য অভ্যুত্থান মোকাবিলায় দেশটির প্রধান গণতন্ত্রপন্থী দলের নেতারা জনগণকে রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছে।
সুদানের তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী খার্তুমে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ চ্যানেল দেশাত্মবোধক ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত এবং নীল নদের দৃশ্য সম্প্রচার করছে।
দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল উম্মা পার্টি সরকারের উধ্বতন কর্মকর্তাদের আটককে একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং জনগণকে প্রতিরোধে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
অঅরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ এরদোয়ানের
এর আগে গণতন্ত্র উত্তরণের দাবিতে নেতৃত্বদানকারী একটি সংগঠন সুদানিজ প্রফেশনালস অ্যাসোসিয়েশনও অনুরূপ আহ্বান জানিয়েছে।
সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে দেশটিতে সম্ভাব্য অভ্যুত্থান হবে সুদানের জন্য এক বড় ধাক্কা। বছর দুয়েক আগে দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক ওমর-আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।
গত মাসে ওমর-আল-বশিরের সমর্থকরা অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এরপর থেকেই দেশটিতে বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এর মধ্যেই সোমবার আটকের খবর এলো।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, আটক কর্মকর্তাদের সম্পর্কে কোনো খবর জানা যায়নি। কারা আটক হয়েছে সে সম্পর্কেও বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, কমপক্ষে পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
পড়ুন: ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার মাইলফলকে ভারত
৩ বছর আগে
সৈন্য প্রত্যাহারের পর প্রথম তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
আফগানিস্তানে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ধরে রাখা এবং বিদেশি নাগরিক ও আফগানদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে তালেবান জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও মার্কিন প্রতিনিধিরা শনিবার ও রবিবার আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে উভয়পক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আগস্টের শেষের দিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর সেখানে এই ধরনের বৈঠক এই প্রথম। কাতারের রাজধানী দোহায় এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাবুলে আইএসের আস্তানায় তালেবানের অভিযান
শনিবার এপিকে দোহায় অবস্থানরত তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন জানান, আলোচনায় ২০২০ সালে ওয়াশিংটনের সাথে তালেবান স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির পুনর্বিবেচনা হবে।চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পথ সুগম করেছে।
শাহীন বলেন, ‘হ্যাঁ একটা বৈঠক আছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক,দোহা চুক্তির বাস্তবায়ন ও সামগ্রিক বিষয়ে।’
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইবে আমেরিকান ও অন্যান্য বিদেশি নাগরিক সেইসাথে সেসব আফগান যারা একসময় মার্কিন সামরিক বাহিনী বা সরকার এবং অন্যান্য আফগান মিত্রদের জন্য কাজ করেছিল সেসব নাগরিকদের আফগানিস্তান ত্যাগের অনুমতি দিতে তালেবান নেতাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করতে।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে লাশ ঝোলাল তালেবান: অতীতে ফিরে যাওয়ার সংকেত
এছাড়া মার্কিন কর্মকর্তারা তালেবানদের ক্ষমতা দখল এবং মার্কিন প্রস্থানের পর দেশটিতে অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে মানবিক সংস্থাগুলিকে প্রয়োজনীয় এলাকায় বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার দিতে তালেবানে নেতাদের উৎসাহিত করবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে, এই অধিবেশনটি কোনোভাবেই তালেবানদের বৈধ সরকার হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়াকে নির্দেশ করে না।
আরও পড়ুন: তালেবানের ওপর হামলার দায় স্বীকার করল ‘আইএস’
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের অঙ্গীকার মিয়ানমার প্রবাসী সরকারের
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ওপর সামরিক বাহিনীর নিপীড়ন এবং সংঘটিত সকল অপরাধের ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রবাসী সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশ্যসতার এবং অত্যাচারের চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে প্রকাশ এনইউজি। বিবৃতি বলা হয়, সত্য এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। তারা বিশ্বাস করে পূর্বের অপরাধের বিচার হলে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন নৃশংসতা করার সাহস পাবে না।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে পানিতে ডুবে ৩ রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
এনইউজি জানিয়েছে, ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের সকল মৌলিক অধিকারের সঙ্গে এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে প্রত্যাবাসন করার ব্যাপারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তারা বিশ্বাস করে যে ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনটি নতুন করে বাতিল করার ফলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৭৪ রোহিঙ্গা আটক
রোহিঙ্গা নীপিড়নের এবারের বার্ষিকীতে, এনইউজি ফেডারেল ডেমোক্রেটিক চার্টারে অন্তর্ভুক্ত মৌলিক নীতির প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে মৌলিক মানবাধিকার এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা। সেইসাথে তারা এমন একটি ফেডারেল গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতার কখনোই পুনরাবৃত্তি হবে না।
আরও পড়ুন: সাগরে নৌকাডুবি: ১১ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার
বিবৃতিতে এনইউজি জানায়, তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ফেডারেল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করে সকল জাতিগোষ্ঠী শান্তিপূর্ণভাবে একসাথে বসবাস করতে পারবে। দেশ ও সকল জাতিগোষ্ঠীর জন্য স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে তারা সকলের সাথে সেই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করছে।
৩ বছর আগে
বিদ্রোহ রুখতে মিয়ানমারে গ্রাম পোড়ালো জান্তা বাহিনী
মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন রুখতে পুরো একটি গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এমনটাই জানানো হয়েছে কয়েকটি স্বাধীন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।বুধবার দেশটির কেন্দ্রে অবস্থিত মাগউয়ি বিভাগের পাউক শহরতলীর কিনমা গ্রামটি প্রায় পুরোটাই আগুনে দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় সেনা সদস্যরা।
আরও পড়ুন: আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান
তবে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের খবরে বলা হয় সশস্ত্র জঙ্গীরা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। উল্লেখ্য, সরকার এবং বিরোধীপক্ষ উভয়েই একে অপরকে ঘটনার জন্য দায়ী করে জঙ্গী হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিকট ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন জটিল হয়ে উঠছে: জাতিসংঘ
গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচতি অং সাং সুকি সরকারের ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই মিয়ানমারে অহিংস জান্তা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু জান্তা সরকারের হত্যা ও নির্যাতনের মুখে এই আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান ফর্টিফাই রাইটসের
মিয়ানমারের কিনমা গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বর্বরতা আরও গভীরবাবে ফুটে উঠেছে। দেশব্যাপী জান্তা সরকারের প্রতি বিদ্রোহ দমনের লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীর বর্বরতা চালিয়েই যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিনমা গ্রামের অনেক ছবিতে দেখা যায়, পুরো গ্রাম জ্বলে গেছে। আর কিছু গৃহপালিত পশুর পুড়ে যাওয়া কঙ্কাল পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের আহ্বান বাংলাদেশের
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামটিতে প্রায় এক হাজার লোকের বসবাস ছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মোট ২৩৭ টি বাড়ির মধ্যে বর্তমানে শুধু ১০টি ঘর টিকে আছে।
৩ বছর আগে