পূর্বাচল
মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর পূর্বাচলে রবিবার (২১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের ২৮তম মেলায় বিদেশি ৬টি দেশের (তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইরান) পাশাপাশি দেশীয় কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।
এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান উপস্থিত ছিলেন।
মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু রবিবার
ডিআইটিএফ সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শুরু হয়। তবে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কারণে মেলা স্থগিত করে ইপিবি।
বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
মেলায় এবার প্রবেশমূল্য বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইপিবি। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এ বছর প্রবেশ টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা ও শিশুদের (১২ বছরের নিচে) জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনলাইনেও টিকিট কেনা যাবে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বছর মেলায় দেশি-বিদেশি ৩৫১টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকবে।
এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫টি খাবারের স্টল থাকবে, যেখানে ৫০০ জন বসতে পারবেন।
এছাড়াও রয়েছে একটি প্রার্থনা কক্ষ, শিশুদের খেলার জায়গা, মিডিয়া কর্নার, অফিস কক্ষ, মেডিকেল কক্ষ, কর্মকর্তাদের জন্য অতিথি কক্ষ ও বিপণিবিতান।
পার্কিং এলাকায় ৫০০টি যানবাহন রাখার সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় ইইউ: প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
১০ মাস আগে
ঢাকার পূর্বাচলে ১০টি মনোরম রিসোর্ট: সারাদিনের খরচ
কোনো কাজের চাপ ছাড়াই পুরো একটা দিন, নিজেকে ভীষণ ব্যস্ত প্রমাণ করা নিরস মানুষটিও ভেতরে ভেতরে পোষণ করেন এমন ইউটোপিয়া। কাজের মাঝেই আনন্দ খুঁজে পাওয়া মনটিও এক সময় খেই হারিয়ে ফেলে প্রশান্তির দিন গুনতে যেয়ে। তখনি প্রয়োজন হয় ছকে বাধা বন্দিশালা থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া। যেখানে প্রিয়জনদের সঙ্গে হাসি-আড্ডায় থাকবে না কোনো জটিলতা নিরসনে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার চুক্তি। পাশেই কোনো নদী বয়ে নিয়ে যাবে মনের সকল অস্থিরতা।
ঠিক এই অনুভূতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্যই যেন গড়ে উঠেছে ঢাকার পূর্বাচলের মনোমুগ্ধকর রিসোর্টগুলো। প্রাকৃতিক নৈসর্গের মাঝে অতি যত্নে গড়া এই শৈল্পিক স্থাপনাগুলোতে নিমেষেই করা যেতে পারে নিশ্চিন্ত থাকার অনুশীলন। তাই চলুন, দৃষ্টিনন্দন রিসোর্টগুলোতে অবকাশ যাপনের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জেনে নেই।
ঢাকার পূর্বাচলে এক দিনে বেড়ানোর ১০টি মনোহর রিসোর্ট
লা রিভেরিয়া রিসোর্ট
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাঠের তৈরি কটেজ, ১০০-এরও বেশি কার পার্কিং, বিস্তৃত খেলার মাঠ এবং সুইমিং পুলের বিশাল রিসোর্ট লা রিভেরিয়া। পূর্বাচল ৩০০ ফিটের শেষ প্রান্তে কাঞ্চন ব্রিজ পেরিয়ে মাত্র ১০ মিনিট দূরত্বেই এর অবস্থান। ২০১৯ সালে শীতলক্ষ্যা নদীর ধারে গড়ে ওঠা এই স্থাপনায় পাওয়া যাবে ৩৬০ ডিগ্রী রিভারভিউ। আর এই ভিউ উপভোগ করতে করতেই সেরে নেয়া যাবে মধ্যাহ্নভোজ।
সবুজের ঘেরা মাঠ, বার্বিকিউ আর মঞ্চ বানানোর ব্যবস্থা থাকায় যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্যই উপযুক্ত লা রিভেরিয়া। তবে উদ্যানসম এই রিসোর্ট ঘুরে দেখতে হলে দিতে হবে ২৫০ টাকা প্রবেশ মূল্য। দিনব্যাপী প্যাকেজগুলো শুরু হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে। কটেজে থাকতে গেলে খরচ করতে হবে ৩ হাজার ৫৫০ টাকা। রাত্রি যাপনে তা বেড়ে হবে ৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
এছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমে থাকে এদের আকর্ষণীয় সব অফার।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
ছুটি রিসোর্ট
স্যুট, কুটির, ভিলা, রেস্তোরাঁ, পুল ক্যাফে, কনভেনশন হল, সুইমিং পুল, জাকুজি, বিউটি শপ, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, এবং তাঁবু খাটানোর জায়গা মিলে বেশ বিলাসবহুলই বলা চলে ছুটি রিসোর্টকে।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সজ্জিত ২২টি স্যুট এবং কটেজে মোট ৬০ জন অতিথি থাকতে পারেন।
১ বছর আগে
ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক: কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন
অবকাঠামোগত উন্নয়নে ধীরে ধীরে অনেকটা পথ এগিয়ে গেছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। স্বভাবতই দেশজুড়ে দিন বদলের এই হাওয়ার সবচেয়ে বেশি সান্নিধ্য পেয়েছে রাজধানী ঢাকা। ছোট্ট ভূখণ্ডে আকাশসম জটিলতা নিয়ে বিশ্বমানের সভ্যতার সঙ্গে তাল মেলানো শুরু করেছে প্রায় ৪০০ বছরেরও পুরানো এই শহর। ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক বজ্রকণ্ঠে যেন তারই ঘোষণা দিচ্ছে। উপশহর গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ঢেলে সাজানো এই বিস্তৃত অঞ্চলটি ইতোমধ্যে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়েতে। চলুন, খুব শিগগিরই উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা নতুন এই মাইলফলকের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্ব মানের ৩০০ ফিট সড়ক
সংশোধিত নকশায় ২৩৫ ফিট হলেও পূর্বের নামেই এখনও পরিচিত কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত সাড়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েটি। মূলত প্রস্থ বরাবর ৩০০ ফিট সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সূচনালগ্ন থেকেই প্রসিদ্ধি লাভ করে ৩০০ ফিট নামটি।
এখন কুড়িল থেকে সড়কটি ১৪ লেনে ভাগ হয়ে সাড়ে ৬ কিলোমিটার চলে গেছে বালু ব্রিজ পর্যন্ত। ১৪ লেনের ৮টি এক্সপ্রেসওয়ে, যে পথে দ্রুতগামী যানবাহনগুলো ঢাকার বাইরে থেকে যাওয়া-আসা করবে। আর ৬টি হলো সার্ভিস রোড, যেগুলোতে চলাচল করবে স্থানীয় গাড়িগুলো।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
তারপর বালু ব্রিজের পর থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কটি ১২ লেনের। এখানে ৬টি এক্সপ্রেসওয়ে, ৬টি সার্ভিস রোড।
এগুলোতে না আছে কোনো স্টপওভার পয়েন্ট, না কোনো ট্র্যাফিক সিগনাল। কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই আপন গতিতে চলতে পারবে প্রতিটি যানবাহন। সার্ভিস লেন থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে যাওয়ার জন্য পুরো সড়কটিতে নির্দিষ্ট দূরুত্ব পর পর রয়েছে মোট ৫টি এ্যাটগ্রেড ইন্টার-সেকশন। এগুলোর নিচের আন্ডারপাস বা পাতাল সড়ক দিয়ে গাড়িগুলো চলে যেতে পারে এক্সপ্রেসওয়েতে। এরকম পাতাল সড়ক রয়েছে ১২টি।
বালু ব্রিজসহ ৬টি প্রশস্ত সেতু তো আছেই, সেই সঙ্গে হাতিরঝিলের আদলে বানানো হয়েছে ১৩টি আর্চ ব্রিজ। এগুলোর মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী এলাকার ছোট ও মাঝারি গাড়িগুলো সার্ভিস লেন হয়ে ঢুকতে পারে মূল সড়কে। পাখির চোখে দেখলে ৪টি আইলুপ আলাদা করে দৃষ্টি কাঁড়ে।
এছাড়াও রয়েছে ৩০০ ফিটের সব থেকে চোখে পড়ার মতো বিষয় হচ্ছে সড়কের দু’পাশে ১০০ ফুটের দৃষ্টিনন্দন খাল। এর পাশ দিয়ে ৩৯ কিলোমিটার পায়ে হাটা পথ রীতিমতো উদ্যানে পরিণত করেছে জায়গাগুলোকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
৩০০ ফিটে রয়েছে ১টি পাম্প হাউজ এবং খালের পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে ৫টি স্লুইস গেট। পানি গিয়ে মিলিত হয়েছে বালু নদীতে।
বর্ষা মৌসুমে আশেপাশের আবাসিক এলাকাসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসণকল্পে আরও খাল খননের কাজ চলছে। পার্শ্ববর্তী ডুমনি, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খালের পানি এক হয়ে এসে মিশবে এই ১০০ ফুট খালের সঙ্গে। এডি-৮ খাল খনন করা হবে ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ করে, আর বোয়ালিয়া খাল হবে ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ। ৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ করে খনন করা হবে ডুমনি খাল। ৩০০ ফিট সড়কের খালের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তিনটি খালেরই প্রস্থ ১০০ ফুট রাখা হবে।
বোয়ালিয়া, এডি-৮ ও ১০০ ফুট খালের পানি এক হয়ে গিয়ে পড়বে বালু নদীতে। অন্যদিকে খননের পর ডুমনি খালটি যুক্ত হবে পাশের কাঁঠালিয়া খালের সঙ্গে, যার শেষ গন্তব্য বালু নদী। ফলে ডুমনি খালেরও বালু নদীতে বের হওয়ার পথ থাকবে।
আরও পড়ুন: মিরসরাই খৈয়াছড়া ঝর্ণা: যাওয়ার উপায় ও ভ্রমণ খরচ
এতে করে নিকুঞ্জ, বারিধারা ডিওএইচএস, বারিধারা, জোয়ারসাহারা, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সেনানিবাস, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, কালাচাঁদপুর, কাওলাসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।
ঢাকার ৩০০ ফিট সড়কের অবস্থান
সড়কটির অবস্থান ঢাকার উত্তর-পূর্ব দিকে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায়। শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর মাঝখানে প্রায় ৬২১৩ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে মনোরম সড়কটি। ঢাকার সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সংযোগ স্থাপন করেছে এই বিরতিহীন সড়কটি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, নারায়ণগঞ্চ, নরসিংদী, গাজীপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, ও কিশোরগঞ্জ। মূলত ৩০০ ফিটের মাধ্যমে ঢাকার পশ্চিমাংশের সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যাতায়াত পথ সুগম হয়েছে।
বিমান বন্দর সড়ক ও প্রগতি সরণির সঙ্গে ঢাকার পূর্বের ইস্টার্ন বাইপাসের সংযোগ ঘটায় বহিরাগতরা ঝামেলাবিহীন ভাবে নানা গন্তব্যে যেতে পারবেন।
এছাড়া ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে নামে নির্মাণাধীন এক্সপ্রেসওয়েটি পূর্বাচল ১০০ ফিট মাদানী এভিনিউকে সংযুক্ত করবে এই এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
১ বছর আগে
ঢাকার পূর্বাচলে ট্রাকের ধাক্কায় আহত জাবি ছাত্রীর মৃত্যু
ছোট বোনের সঙ্গে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী ফাবিহা আফিফা সৃজনী মারা গেছেন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানী বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
নিহত ফাবিহা সৃজনী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রনি হোসেন জানান, ফাবিহাকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শুক্রবার নগরীর পূর্বাচল এলাকায় ছোট বোনের সঙ্গে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় আহত হন ফাবিহা। পরে তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ছেলের লাশ দেখে বাবার মৃত্যু
রাজধানীতে ‘অতিরিক্ত মদপানে’ তরুণীর মৃত্যু
১ বছর আগে
দৃষ্টিনন্দন পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষের দিকে
বহুল প্রতীক্ষিত পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করবে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জানায়, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হবে।
এই এক্সপ্রেসওয়েটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এক্সপ্রেসওয়ে।
রাজধানীর প্রগতি সরণি ও বিমান বন্দর সড়কের সঙ্গে পূর্বের ইস্টার্ন বাইপাসকে সংযুক্ত করবে এই সড়কটি।
পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে সড়কটি ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে (বিরতিহীন সড়ক, যেখানে কোনো সিগনাল থাকবে না)।
রাজউক সূত্রে জানা যায়, সাড়ে ১২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে রাজধানীর কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে ১৪ লেন বিশিষ্ট। এরমধ্যে ৮ লেন সড়ক হবে এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি ৬ লেন সড়ক হবে স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য সার্ভিস রোড।
বালু নদী থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক হবে ১২ লেনের। এরমধ্যে ৬ লেন সড়ক হবে এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি ৬ লেন হবে সার্ভিস রোড। এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬৪ কোটি টাকা।
এছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের জন্য ১০টি বড় সেতু নির্মাণ করা হবে (২০১৫ সালের মূল প্রকল্প সেতু ছিল ৬টি)। সেতুগুলো নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে বাংলাদেশসহ এতদঞ্চলের ৩ বিলিয়ন মানুষ উপকৃত হবে
কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত পুরো এলাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। এখন চলছে সড়ক ও খালের পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ। অনেক জায়গায় সড়কের মাঝে ডিভাইডার নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রকল্প নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে রাজউক। জলাবদ্ধতা নিরসনে এই খাল খনন ও সংস্কার করা হচ্ছে।
রাজউক আরও জানায়, হাতিরঝিলের আদলে ১৩টি আর্চ ব্রিজ (বাঁকানো সেতু) নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ২২৭ কোটি টাকা। এক্সপ্রেসওয়ের পাশের এলাকার লোকজন যাতে গাড়ি নিয়ে সার্ভিস লেন থেকে মূল সড়কে ঢুকতে পারে। সেজন্য ৫টি এ্যাটগ্রেড ইন্টার সেকশন নির্মাণ করা হচ্ছে। ইন্টার সেকশনের নিচ দিয়ে পাতাল সড়ক যুক্ত হবে এক্সপ্রেসওয়েতে।
এছাড়াও এ প্রকল্প এলাকায় চার কিলোমিটার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের লাইন, ২টি কালভার্ট, ১২টি ওয়াটার বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হবে।
তাছাড়া ২০১৫ সালের মূল প্রকল্পে উল্লেখ থাকা পথচারী-সেতুর সংখ্যা ৪টি থেকে বাড়িয়ে ১২টি, পাম্প হাউস ১টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি, সুইটগেইট ৪টি থেকে বাড়িয়ে ১০টি করা হয়েছে।
রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ইউএনবিকে বলেন, কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন প্রকল্পে বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হবে। আশা করছি আগামী ৩ মাসের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে। এ সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হবে। এই সড়ক নির্মাণ হলে রাজধানীর সঙ্গে পূর্বাচলের যোগাযোগ সড়ক ও আধুনিক হবে। রাস্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানে রাজউক ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি খাল ডুমনি, বোয়ালিয়া ও এডি-৮। এগুলো দিয়ে এক সময় বিমানবন্দর, নিকুঞ্জ, বারিধারাসহ আশপাশের এলাকার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু তিনটি খালই প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। এখন এসব খাল সংস্কারের জন্য এই প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। তাই প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়েছে। এই খালের মাধ্যমে বর্ষা মৌসুমে কুড়িল ডিওএইচএস, বারিধারা, সেনানিবাস ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকাসমূহের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবন ও অবস্থার পরিবর্তন
চেয়ারম্যান বলেন, সড়ক নির্মাণ ও খাল সংস্কারের কাজ শেষ হলে এই এলাকাটি ঢাকার নিকটতম পর্যটন স্পটে রূপ নিবে। অতি দ্রুতই ওই রাস্তার নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশসহ পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। আগামী ২/১ মাসের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বিমানবন্দর থেকে পূর্বাংশের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা হবে না। কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই লোকজন যাতায়াত করতে পারবেন। এতে ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হবে।
প্রকল্প বিষয়ে তিনি জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্কার হচ্ছে তিনটি খাল। বর্ষা মৌসুমে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর,নিকুঞ্জ, সেনানিবাস, বারিধারা, বারিধারা ডিওএইচএস, জোয়ারসাহারা, কালাচাঁদপুর, কাওলা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ১০০ ফুট খালটি খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে শুধুমাত্র কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট খাল দিয়ে বিশাল এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব নয়। তাই প্রকল্পের সঙ্গে নতুন করে ডুমনি, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খাল তিনটি যুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০০ ফুট সড়কটি এক্সপ্রেসওয়ে করা হচ্ছে। এছাড়া ১০০ ফুট খাল খনন, ১৩টি আর্চ ব্রিজ, ৫টি এ্যাটগ্রেড ইন্টার সেকশন, বিদ্যমান ৬টি ব্রিজ প্রশস্ত করা, কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ১৪ লেন সড়ক উন্নয়ন, বালু নদী থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ১২ লেন উন্নয়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি এডি-৮ খাল, বোয়ালিয়া খাল ও ডুমনি খাল উন্নয়ন হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাউন্ডারি ওয়াল, ইউড্রেন নির্মাণ, জিআরপি পাইপ লাইন স্থাপন ও নিকুঞ্জ লেক উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প থেকে জানায়, কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে (কুড়িল-বালু নদী পর্যন্ত) ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আবাসন প্রকল্পের বাইরে এটিই রাজউকের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প।
প্রকল্পটি সর্বপ্রথম মেয়াদ ছিল ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট। তিন বছরের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৫ হাজার ২৮৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এরসঙ্গে আরও তিনটি খাল, সড়ক, সেতুসহ আনুষঙ্গিক বিষয় যুক্ত হওয়ায় সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৫ হাজার ৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। এতে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩২৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ৮টি বিমানবন্দরের অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে চলতি বছরেই: বেবিচক প্রধান
১ বছর আগে
দৃষ্টিনন্দন পূর্বাচল সিবিডি প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে চালু
দুবাইতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম ২০২২-এ দৃষ্টিনন্দন পূর্বাচল সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট (সিবিডি) প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুবাইয়ের একটি উচ্চমানের হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং শেখ আহমেদ বিন ফয়সাল আল কাসিমির প্রাইভেট অফিসের চেয়ারম্যান টমাস জালেস্কির উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বাচলের নিউ টাউনে সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত হাই-অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড রিয়েল এস্টেট প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নের কাজ হাতে নিয়েছে সিকদার গ্রুপ।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান প্রকল্পে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার: পররাষ্ট্র সচিব
এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশকে ‘বিশ্বব্যাপী সমন্বিত আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।
এই প্রকল্পের মূল আকর্ষণ হবে এর আইকনিক ট্রাই টাওয়ার, ল্যাঙ্গুয়েজ টাওয়ার, লিবারেশন টাওয়ার ও লিগ্যাসি টাওয়ার।
এই মেগা সিবিডি প্রকল্পটি পূর্বাচল নিউ টাউনে ১৪৪ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত। সিকদার গ্রুপের অধীনে পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস লিমিটেড প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন করবে।
পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই আনুষ্ঠানিকতা প্রকল্পটির চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: পেনশন প্রকল্প জনগণের টাকা লুটপাটের ষড়যন্ত্র: বিএনপি
২ বছর আগে
শেষ হলো ঢাকা বাণিজ্য মেলা, রপ্তানি আদেশ ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
মাসব্যাপী ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আজ সোমবার শেষ হয়েছে। মেলায় এ বছর ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও পণ্যের বিশেষায়িতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে।
সোমবার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ‘২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু
রপ্তানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের আরও বেশি উৎপাদন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের কথাও উল্লেখ করেন টিপু মুনশী।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
এ বছর মেলায় ৪০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে এবং ভ্যাট হিসেবে সরকার দেড় কোটি টাকার রাজস্ব পেয়েছে।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন।
সারাদেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় এ বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেলার সময়সীমা বৃদ্ধি করেনি।
এছাড়া অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মেলায় স্টলের সংখ্যাও ছিল অর্ধেক। এ বছর মেলায় বিভিন্ন বিভাগে ২৩টি প্যাভিলিয়ান, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ান, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি খাবারের স্টল ছিল।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে বাণিজ্য মেলার আয়োজন: বাণিজ্যমন্ত্রী
মার্চে পূর্বাচলের অত্যাধুনিক ভেন্যুতে হবে বাণিজ্য মেলা
২ বছর আগে
পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন এবং আইসিটি পণ্য ও সেবাকে ‘প্রডাক্ট অফ দ্য ইয়ার ২০২২’ ঘোষণা করেছেন।
প্রথমবারের মতো রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ মেলা শুরু হয়েছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা বার্ষিক এ মেলার উদ্বোধন করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে মেলার অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভাপতিত্ব করেন।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মো. জসিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলায় মানুষের ঢল
বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ২২৫টি স্টলকে এবাররে মেলায় লিজ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২৩টি প্যাভিলিয়ান, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ান, ১৬০টি স্টল ও ১৫টি ফুড কোর্ট রয়েছে।
এছাড়া মেলায় প্রার্থনা কক্ষ, শিশুদের খেলার জায়গা, অফিস কক্ষ, চিকিৎসা কেন্দ্র, কর্মকর্তাদের জন্য অতিথি কক্ষ ও স্টোর রুম রয়েছে।
এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হতো। তবে এ জায়গাটি দর্শনার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছোট হয়ে যেত।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করা যাবে। তবে সরকারি ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলার স্টল খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মেলায় প্রবেশের টিকিট মূল্য ৪০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ শুরু বৃহস্পতিবার
মেলায় যাওয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা দিতে ৩০টি বিআরটিসির বাস প্রদান করেছে সরকার। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মেলা পর্যন্ত যাওয়া যাবে। সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে দর্শনার্থীরা মেলায় যেতে পারবেন।
১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গত বছর করোনার কারণে মেলা হয়নি।
এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা মাথায় রেখে মেলায় আয়োজন করা হয়েছে। ১১টি দেশের ব্যবসায়ীরা এবারের মেলায় অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বিজয় মেলা: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা
২ বছর আগে
পূর্বাচলে অত্যাধুনিক প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পূর্বাচলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কেন্দ্রটি সারা বছর বিভিন্ন পণ্য-ভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
ঢাকা ও বেইজিংয়ের যৌথ অর্থায়নে এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি) পূর্বাচল নিউ সিটি প্রজেক্ট এরিয়ায় বৃহৎ এ প্রকল্পটি গ্রহণ করে।
চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএসসিইসি)’ ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ একর জায়গাজুড়ে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে।
কেন্দ্রটির ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার স্কয়ার মিটার। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৪১৮ স্কয়ার মিটারের একটি প্রদর্শনী হল রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর সভাপতিত্বে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রদর্শনী কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: জমি সংকট থাকায় কূটনৈতিক এলাকা হতে পারে পূর্বাচলে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়: প্রধানমন্ত্রী
শিশুদের ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
প্রত্যেক জেলায় পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, শুধুমাত্র ঢাকা শহরের জন্যই নয়, বরং প্রত্যেক বিভাগ এবং জেলা শহরে পরিকল্পিত শহর তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, ‘কেবল ঢাকা কেন্দ্রিক পরিকল্পিত নগরায়নের কাজ আমরা করব না। প্রত্যেক বিভাগ এবং জেলায় মানুষের উন্নত জীবন মান নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পিত নগরায়ন গড়ে তোলা হবে।’
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকার ১ হাজার ৪৪০ জন সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত ও মূল অধিবাসীকে প্লটের বরাদ্দপত্র বুঝিয়ে দেয়ার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কোভিড সংকট মোকাবিলায় একসাথে কাজ করব: মমতাকে হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত প্লট বরাদ্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রান্তিক এবং গ্রাম এলাকার মানুষের মাঝে শহরের সকল সুবিধা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং করছে। প্রত্যেক গ্রামেই সরকার প্রয়োজনীয় রাস্তা, পুল, ব্রিজ এবং বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের জীবন মান উন্নয়নের কাজ করে চলেছে সরকার।
তিনি বলেন, কেউ যদি শহরের মতো গ্রামে ফ্ল্যাট বাসায় থাকতে চায়, সেকথা মাথায় রেখে সরকার ‘পল্লী জনপদ’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আবারও সকলের জন্য বসতবাড়ি নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা যেভাবেই হোক সকলের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করবে। আর প্রতিটি বাড়িতেই বিদ্যৎ সংযোগের মাধ্যমে আলোকিত করা হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ঘরের মানুষ শিক্ষিত হবে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত এক দেশ হিসেবে পরিচিত হবে।
আরও পড়ুন: করোনা: ভারতে একদিনে আরও ৪০৯২ মৃত্যু
এসময় ভারতে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ধরন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক থাকার এবং মাস্ক পরার আহ্বান জানান। ভারতের করোনা ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার কথাও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ঈদে মানুষের গ্রামে ফেরার ব্যাপারে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘মানুষ ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে যানবাহন ও ফেরিতে চলাচল করছে। কার শরীরে ভাইরাস আছে তা না জেনেই, আপনি আপনার পরিবারের সকলের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছেন।’
সাধারণ মানুষের পরিবারের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সকলকে নিজ অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এ. বি. এম. আমিন উল্লাহ নুরি।
৩ বছর আগে