বেগুন
রাজধানীর কাঁচাবাজারে বেগুনে আগুন, লেবু আকাশচুম্বী
রমজানের প্রথম দিনে রাজধানীতে বেড়েছে সবজির দাম। বিশেষ করে বেগুন, শসা এবং লেবুর দাম ঢাকার প্রতিটি বাজারে আকাশচুম্বী। রবিবার (২ মার্চ) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কদিন আগেও যেখানে বেগুনের কেজি ছিল ৬০-৮০ টাকা, আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০-১২০ টাকায়।
মালিবাগ কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আবু সালাম বলেন, রোজার শুরুর কদিন সবজির দাম বেশি থাকলেও আগামীতে দাম কমে আসবে।
শুধু বেগুন না, কয়েকদিন আগেও ২০-৪০ টাকা হালিতে বিক্রি হওয়া লেবুর হালি জাতভেদে ছাড়িয়েছে ৮০-১২০ টাকা। বাজারে এলাচি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা হালিতে, কাগজি লেবু ৮০-৯০ টাকা এবং শরবতি লেবুর হালি ১০০-১২০ টাকা।
জাতভেদে বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকা কেজিতে। তবে টমেটোর দাম তুলনামূলক কম। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: রোজার শুরুতেই খুলনার বাজারে আকাশছোঁয়া দাম
মালিবাগ বাজার করতে আসা ক্রেতা হাসিব বলেন, ‘ইফতারিতে মূলত যেসব সবজি আইটেম জনপ্রিয় সবকটির দাম বেড়েছে। এর বাইরে লাউ, শিম, ধুন্দল, পেঁপে, ফুলকপি এবং করলার দাম আগের মতোই আছে।
সবজির পাশাপাশি ফলের দামও আগের তুলনায় বাড়তি বাজারে। আমদানি বাড়ায় কেজিতে ১০০-৪০০ টাকা খেজুরের দাম কমলেও বেড়েছে অন্যান্য ফলের। বাজারে নতুন আসা তরমুজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। মাল্টার কেজি দাঁড়িয়েছে ২৮০-৩০০ টাকা। আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকা কেজিতে।
এছাড়া পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ৬০-৮০ টাকা, বাঙ্গি পিস আকারভেদে ৫০-১০০ টাকা এবং ডাব প্রতি পিস ১২০-১৮০ টাকা।
আলু-পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা, পাল্লা হিসাবে দাম পড়ছে ২১০-২২০ টাকা। আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা।
এছাড়া ডালের বাজারে বড় দানার মুসুরির ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা এবং ছোট দানা ১৪০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে দেশি ছোলা কেজিপ্রতি ১৩০-১৪০ টাকা এবং পাকিস্তানি ডাবলি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজিতে। বেসন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে।
বাজারে এখনো কাটেনি সয়াবিন তেলের সংকট। বিক্রেতারা বলছেন, ‘তারা তেল সরবরাহকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। রমজানের শুরুর দিন থেকেই তেল সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: প্রশান্তির বাজার: রমজানে ঝালকাঠিতে অভিনব উদ্যোগ
এর বাইরে মাংসের বাজারে মুরগির মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা। ২৮০ টাকার সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩০০ টাকা কেজি, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৬০-৫০০ টাকা কেজিতে।
মুরগির মাংসের পাশাপাশি গরুর মাংসের দামও কেজিতে বেড়েছে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এতদিন ৭৬০-৭৮০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলেও রমজানের প্রথম দিন থেকে আবারও মাংসের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা কেজি।
মাছের বাজারে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ৮০০-১২০০ টাকা কেজিতে। রুই মাছের দাম বেড়ে হয়েছে ৩২০-৩৪০ টাকা। কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৮০ টাকা। এছাড়া পোয়া মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৪০ টাকা, শিং ৪৫০-৫৫০ টাকা এবং রূপচাঁদা ১২০০-১৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও রমজানের শুরুতে বাজারমূল্য বেশি হলেও কয়েকদিন বাদে দাম স্বাভাবিকে নেমে আসবে বলে প্রত্যাশা করেন বিক্রেতারা। এদিকে ক্রেতারা জোর দিচ্ছেন বাজার মনিটরিংয়ের দিকে।
৬১ দিন আগে
যশোরাঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিটি বেগুন চাষ
বৃহত্তর যশোরাঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিটি বেগুন চাষ। লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা বিটি বেগুন চাষে ঝুঁকছে। আর কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছে যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কৃষি সরেজমিন গবেষণা বিভাগ।
সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ অঞ্চলে বারি বিটি বেগুন-১, বারি বিটি বেগুন- ২, বারি বিটি বেগুন-৩ এবং বারি বিটি বেগুন-৪ সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। জৈব পদার্থ ও পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি এবং উঁচু জমিতে এ বেগুন সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। জমিতে সেচ প্রয়োগের পরে মাটি মালচিং করতে হয়। এরপর সার প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হয়। এ জন্য আগাছা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে আগাছা বেশি হলে নিড়ানী দিয়ে জমি আগাছামুক্ত করতে হয়। প্রয়োজনীয় নিড়ানী ও মাটি মালচিং করলে গাছের শিকড়ের বৃদ্ধি ভাল হয়।
আরও পড়ুন: বেগুন খেতের আড়ালে গাঁজা চাষ!
আবহাওয়া ও মাটির অবস্থাভেদে ৪-৬টি সেচ প্রয়োগ করতে হয়। চারা রোপনের ১২০ থেকে ২০০ দিন পর্যন্ত ফসল সংগ্রহ করা যায়। ভালেঅ ব্যবস্থাপনায় হেক্টর প্রতি ৫০-৬০ টন বেগুন উৎপাদন সম্ভব।
কৃষি গবেষকরা বলছেন, প্রচলিত বেগুনের জাতে কীটনাশক প্রয়োগের পরও ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের কারণে ৩০ থেকে ৬০ ভাগ ফসল নষ্ট হয়। ২০১৪ সালে প্রথম মাঠপর্যায়ে বিটি বেগুন চাষাবাদ শুরু হয়। কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাওয়ায় অন্যান্য জাতের বেগুনের তুলনায় বিটি বেগুন চাষে ছয় গুণ বেশি আয় হয়।
আরও পড়ুন: বেগুন খেলে কমে ওজন, ঝলমল করে ত্বক
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, অধিক ফলন এবং কম কীটনাশক ব্যবহারের কারণে বিটি বেগুন চাষ করতে কৃষক অনেক বেশি আগ্রহী। অধিক ফলন ও কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন না হওয়ায় বিটি বেগুন চাষে ঝুকে পড়েছেন যশোরাঞ্চলের কৃষকরা। এই জাতের বেগুনের উৎপাদনে যেমন খরচ অনেক কম, তেমনি বাজারে এর দামও ভালো।
১৪৯৯ দিন আগে
বেগুন খেলে কমে ওজন, ঝলমল করে ত্বক
বেগুন এখন সারা বছর পাওয়া গেলেও বেগুনকে শীতকালীন সবজি বলা হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের বেগুন পাওয়া যায়। বেগুন ভাজা, বেগুনের ভর্তা, বেগুন পোড়া তো আছেই।
১৬৩৩ দিন আগে