বিচারপ্রার্থী
মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগকে সবধরনের সহযোগিতা দিতে সরকারের কোন কার্পণ্য থাকবে না। কিন্তু বিচার বিভাগের কাছে একটি চাওয়া থাকবে, সেটি হচ্ছে বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায় এবং তারা যেন মামলার দীর্ঘসূত্রিতার অবস্থান থেকে পরিত্রাণ পায়।
শনিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ১৪৮তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের জুডিসিয়াল ডিসিপ্লিন মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সুপ্রতিষ্ঠত জুডিসিয়াল ডিসিশনগুলো মেনে না চললে জুডিসিয়াল অ্যানার্কি তৈরি হতে পারে। নিশ্চয়ই আমরা কেউই এই অ্যানার্কি চাই না। তার কারণ সমাজ ও দেশের ওপর এর ইমপ্যাক্ট ভয়াবহ হবে।
তিনি বলেন, দেশের দীর্ঘদিনের পূঞ্জিভূত মামলাজট কমানোর দায়িত্ব আমাদের কাঁধে নিতে হবে এবং এই দায়িত্ব কাধে নিয়ে জনগণ যাতে তড়িৎ সুষ্ঠু বিচার পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আনিসুল হক বলেন, অন্য যেকোনো সরকারের চেয়ে বিচার বিভাগের জন্য বাজেট বাড়ানো হয়েছে। বিচারকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন বিচারকদের দায়িত্ব মানুষ যেন দ্রুত বিচার পায়, সেটা নিশ্চিত করা।
তিনি প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, সহকারী জজ থাকা অবস্থায় তারা সকলেই এই ইনস্টিটিউটে একটি মানসম্পন্ন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করে গেছেন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে আবারও নতুন প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। একটি সুদক্ষ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দ্রুত মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের জন্য এমনটিই হওয়া উচিত। কিন্তু অন্যান্য সরকারের আমলে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের কি অবস্থা ছিল, তার ইতিহাস অনেকেরই জানা। এক কথায় বলা যায়, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক কোন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সরকার গঠন করার পর প্রথম বিচারকদের জন্য এই প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে দেন। তাঁর সরকারের সদিচ্ছার কারণেই দেশে আরও একটি বিশ্বমানের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে। যেখানে বিচারকরা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বিচারকদের আশ্বস্ত করে বলেন, তাদের প্রশিক্ষণের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। শুধু তাই নয়, দেশিও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি বিদেশি প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
আইনমন্ত্রী একথাও স্মরণ করিয়ে দেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রধান লক্ষ্য ছিল এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। জাতির পিতা তার এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিজয়ের মাত্র ১০ মাস ১৮ দিনের মাথায় সদ্য স্বাধীন বাঙালি জাতিকে যে অনন্য সংবিধান উপহার দেন, সেই সংবিধানের পরতে পরতে তার দর্শনের প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়। এই সংবিধানের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো প্রজাতন্ত্রের সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান, সকলেই আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী এবং ফৌজদারী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রত ও প্রকাশ্য বিচারলাভের অধিকারী। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলেও যুগযুগ ধরে ন্যায়, সাম্য ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার মতো সূক্ষ্ণ ও স্পর্শকাতর দায়িত্বগুলো সুচারুরূপে পালন করায় এদেশের জন-মানুষের হৃদয়ে ও মননে গভীর আস্থা ও নির্ভরশীলতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের বিচার বিভাগ।
আনিসুল হক মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন, দক্ষতার সঙ্গে সুচারুরূপে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আদালতের বিভিন্ন সমস্যার যুক্তিসঙ্গত সমাধানসহ বিজ্ঞ বিচারকদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানো অপরিহার্য। আর পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। সেকারণে তারা দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করে যাচ্ছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে: আইনমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চাপ নেই: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিচারপ্রার্থীদের ডিজিটাল পাস চালু আপিল বিভাগের
নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ডিজিটাল পাস চালু করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে বলা হয়, এন্ট্রি পাস না দেখিয়ে কোনো বাদী আপিল বিভাগ ও বেঞ্চ সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে এই পাস সংগ্রহ করে আপিল বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন বিচারপ্রার্থীরা।
কিউআর কোড স্ক্যান করে অথবা ওয়েবসাইটের মেনুতে প্রবেশ করে তারিখ, মামলা নম্বর, বাদীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর টাইপ করে ডিজিটাল পাস পাওয়া যাবে। পরে রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করে পাস প্রিন্ট করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই পাসের মুদ্রিত কপি বা স্ক্রিনশট বা ডাউনলোড করা কপি দেখিয়ে মামলাকারীরা আপিল বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
১ বছর আগে
বিচারপ্রার্থীদের আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর জন্য সকলকে যথাযথভাবে বিচারকর্ম পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার সারাদেশের অধস্তন আদালতের জেলা ও দায়রা জজগণের উদ্দেশ্যে অভিভাষণ প্রদানকালে প্রধান বিচারপতি এই নির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, আইনজীবীরা বারবার সময় আবেদন করলেই তা যেন গ্রহণ করা না হয় সেদিকে সচেষ্ট থাকতে হবে। অযথা শুনানি মুলতবি করলে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি বাড়ে। বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে জেলা জজদের আইনানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিচারকদের সুশৃঙ্খলভাবে কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
তিনি সততা ও দক্ষতা নিয়ে ন্যায়বিচার করার মানসে মনোনিবেশ করার জন্য দেশের সকল বিচারকগণকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় চাই শক্তিশালী বিচার বিভাগ: প্রধান বিচারপতি
এছাড়াও দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত কোনো বিচারককে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধান বিচারপতি।
এছাড়া দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেনহাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সারা দেশের তিন শতাধিক জেলা ও দায়রা জজ এবং সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বিচারকগণের পক্ষ থেকে মোট ১২জন বিচারক বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বর্তমানে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েছে: প্রধান বিচারপতি
আদালতে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া বরদাশত করা হবে না: প্রধান বিচারপতি
১ বছর আগে
বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্টে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন
বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে একটি বিশ্রামাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘর সংলগ্ন বিশ্রামাগারটি উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহানউদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্রামাগার শেডে বিচারপ্রার্থীদের বসতে অর্ধশতাধিক আসন বসানো হয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ শেডের পাশের ভবনে টয়লেট ও একটি স্টেশনারি দোকান রয়েছে। উচ্চ আদালতের পাশাপাশি এখন জেলা ও দায়রা জজ আদালতেও ‘ন্যায়কুঞ্জ’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ৬০ দিনের মধ্যে তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ হাইকোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার জেনারেল হলেন বজলুর রহমান
২ বছর আগে
রায়ের কপির জন্য যেন দিনের পর দিন ঘুরতে না হয়: রাষ্ট্রপতি
মামলার রায়ের পর যাতে কপির জন্য বিচারপ্রার্থীদের আদালতের বারান্দায় দিনের পর দিন ঘুরতে না হয় সে দিকে নজর দিতে শুক্রবার বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
৪ বছর আগে
বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
৪ বছর আগে