সুরকার
কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার মারা গেছেন
চলে গেলেন কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার, পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন সংগ্রাম থেমে যায় তার। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবরটি নিয়ে নিশ্চিত করেছেন তার ভাগিনা অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন।
এছাড়াও গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পূত্রবধু শাহানা মির্জা জানান, গত কয়েকদিন ধরে এসিডিটির সমস্যায় ভুগছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। আমরা গতকালকে তাকে ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যাই। রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছিল। আজকে আরও অনেক কিছু পরীক্ষা করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তো তিনি চলে গেলেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৬০ বছরের ক্যারিয়ারের গাজী মাজহারুল আনোয়ার চলচ্চিত্রের বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রেখেছেন। তার লেখা কালজয়ী গানও অসংখ্য। গীতিকবিতায় অবদান রাখার জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। গত বছর পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক। এছাড়া পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
পড়ুন: আ.লীগ নেতা নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মারা গেছেন
সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ মারা গেছেন
২ বছর আগে
চলে গেলেন ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’ গানের সুরকার আলম খান
কিংবদন্তী সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার আলম খান মারা গেছেন। শুক্রবার সকাল ১১টা ৩২ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।খবরটি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন আলম খানের ছেলে আরমান খান। মৃত্যুর সময় উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, আব্বা চলে গেলেন না ফেরার দেশে! ইন্না লিল্লাহি ওয়া উন্না ইলাইহি রাজিউন…।আলম খানের হাতে সৃষ্টি হয়েছে এদেশের অসংখ্য জনপ্রিয় গান। যা গেয়ে অনেকে পেয়েছেন তারকাখ্যাতি, কেউ হয়েছেন কিংবদন্তী। জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘ওরে নীল দরিয়া’ ও ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলাতে চাই’ এমন অনেক কালজয়ী গানের সুরকার ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ আর নেইআলম খানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কি জাদু করিলা’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘সাথীরে যেও না কখনো দূরে’, ‘কাল তো ছিলাম ভালো’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’ ইত্যাদি।১৯৮২ সালে মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আলম খান। পরবর্তীতে ‘তিন কন্যা’ (১৯৮৫), ‘সারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘দিনকাল (১৯৯২) এবং ‘বাঘের থাবা’ (১৯৯৯), ‘এবাদত’ (২০০৯) সিনেমাগুলোতে সরকারি এই সম্মাননা পান তিনি।
এছাড়াও শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে ২০০৮ সালে ‘কি জাদু করিলা’র জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।
২ বছর আগে
‘আন্তর্জাতিক রত্ন’ সম্মাননায় ভূষিত হলেন সংগীত পরিচালক তাপস
বাংলা সংগীতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ভারতে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হলেন সংগীত পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস।গত শনিবার (২ অক্টোবর)পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া শরৎ সদনে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল রত্ন সম্মাননা’ প্রদান অনুষ্ঠানে ‘আন্তর্জাতিক রত্ন’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয় তাকে।
সম্মাননা প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় তাপস বলেন, ‘আয়োজকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এমন প্রেরণাদায়ী সম্মাননায় আমাকে ভূষিত করার জন্য। যে কোন সম্মাননাই আমাকে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করার ও দেশকে গর্বিত করার প্রচেষ্টায় দায়িত্বশীল করে তোলে।’
আরও পড়ুন: পুনঃমঞ্চায়ন হলো মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ‘ঘুমনেই’এছাড়াও, চলতি বছর এপ্রিলে ডানা সম্মান ‘গর্বের বাঙালি অ্যাওয়ার্ড ২০২১’-এ সংগীত পরিচালক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ ও শিল্পীজনদের পাশাপাশি সম্মাননায় ভূষিত করা হয় কৌশিক হোসেন তাপস।
সংগীত পরিচালনায় বিশেষ অবদান রাখায় এর আগে সম্মানজনক ‘দাদা সাহেব ফালকে এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড’ (২০১৮) ও ‘মাদার তেরেসা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন কৌশিক হোসেন তাপস। সুরকার হিসেবে ২০১৩ সালে গ্রহণ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
আরও পড়ুন: শুরু হলো রবি-গান বাংলার ‘রিদম অনলাইন’ সিজন ২
৩ বছর আগে
সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার নকীব খান করোনায় আক্রান্ত
দেশের প্রখ্যাত সুরকার, গীতিকার এবং পপ ব্যান্ড রেনেসাঁর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সঙ্গীতশিল্পী নকীব খান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
৩ বছর আগে