হেফাজত
'নিরাপত্তার জন্য' কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে: ডিবি প্রধান হারুন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপদে রয়েছেন বলে তাদের পরিবারকে নিশ্চিত করেছেন ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশীদ।
তিনি বলেন, তাদের আপনজনরা নিরাপদে আছেন, উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
রবিবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হারুন বলেন, 'সমন্বয়কারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। আমরা তাদের পরিবারকে আশ্বস্ত করছি যে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি এবং তাদের পরিবারকেও আশ্বস্ত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ‘নয়াপল্টন কার্যালয় ভাঙচুর’: ডিবি প্রধান ও আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বিএনপির
এর আগে শুক্রবার তিন সমন্বয়ককে এবং শনিবার সন্ধ্যায় আরও দুজনকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন বলেন, 'যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করেছে এবং জামায়াত-শিবিরের দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করা আমাদের দায়িত্ব।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'কেউ যদি অনিরাপদ বোধ করে এবং প্রকাশ করে যেকোনো মুহূর্তে তার ক্ষতি হতে পারে, তবে তাকে নিরাপদে আনা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা কেন তাদের নিরাপত্তার দিকে নজর দিচ্ছি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। মনে রাখতে হবে, নিরীহ ছাত্রদের মধ্যে অনুপ্রবেশ ও সহিংসতা উসকে দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে যে ঘৃণ্য গোষ্ঠী রয়েছে, এরা তাদের দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল।’
ডিবি প্রধান বলেন, 'শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বা আন্দোলনের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য আমরা সমন্বয়কারীদের সুরক্ষার জন্য ডিবি হেফাজতে নিয়েছি।’
তাদের কতদিন হেফাজতে রাখা হবে- সে সম্পর্কে হারুন বলেন, 'এ বিষয়ে আমরা সমন্বয়কারী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করব।’
আরও পড়ুন: পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে: ডিবি প্রধান হারুন
সমন্বয়কারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'নিরাপত্তার জন্য তারা আমাদের সঙ্গে থাকলেও তাদের সঙ্গে আমাদের নানা আলোচনা হয়েছে। আমরা জানতে চেয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় কারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে এবং কারা তাদের উসকানি দিয়েছে। তারা আমাদের কিছু নাম ও নম্বর দিয়েছে।’
ডিবি হেফাজতে নির্যাতনের গুজব প্রসঙ্গে হারুন বলেন, 'আমার দেশ ছেড়ে পালানোর মিথ্যা দাবিসহ ফেসবুকে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এমন গুজবে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। যারা এই গুজব ছড়াচ্ছে তাদের লক্ষ্য বেশি মন্তব্য পাওয়া এবং অর্থ উপার্জন করা। আমাদের হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে আমরা কোনো দুর্ব্যবহার করিনি।’
পুলিশ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে বাধা দিতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে- বিভিন্ন মহলের এমন অভিযোগের জবাবে হারুন বলেন, 'এসব গুজবে বিশ্বাস করবেন না। আইনের স্বার্থে আমরা অতীতে ২৮ অক্টোবরের সহিংসতায় জড়িতসহ অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। তখন আমাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। আজ, আমরা তাদের সুরক্ষার জন্য ব্যক্তিদের হেফাজতে নিয়েছি এবং এই গুজব বিশ্বাস করা উচিত নয়।’
পরিবার ও শিক্ষকদের পারিবারিক চ্যানেলের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়ার অনুরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন বলেন, 'আমরা এ ধরনের কোনো অনুরোধ পাইনি। আমরা শুধু তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে হেফাজতে নিয়েছি এবং তাদের আন্দোলন সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করেছি।’
আরও পড়ুন: ডিবি প্রধান ও আরও ৯জনের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আদালতে খারিজ
৪ মাস আগে
যশোরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
যশোরের অভয়নগরে পুলিশের হেফাজতে আফরোজা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অভয়নগর থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়।
আফরোজা বেগম যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া মহাশ্মশান নর্থ বেঙ্গল রোডের জলিল মোল্লার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু
স্বজনদের দাবি মিথ্যা অভিযোগে আটকের পর আফরোজাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, মাদকসহ আটক নারী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আফরোজা বেগমের ছেলে মুন্না মোল্লা ও স্বামী জানান, অভয়নগর থানার এএসআই সিলন আলি, এএসআই শামসুল হক শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে আফরোজাকে থানায় নিয়ে যায়।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ তাদের ঘরে থাকা ইজিবাইক বিক্রির ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে এবং আরও ২ লাখ টাকা ঘুষের দাবিতে নির্যাতন করে আফরোজাকে হত্যা করেছে। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আব্দুস সামাদ বলেন, ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া তার মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়।
অভয়নগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ফোনে বলেন, পুলিশ তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছিল ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে পাঠানো হয়েছিল।
আফরোজা বেগমকে পুলিশ ৩০ পিচ ইয়াবাসহ আটক করেন। পরে তার বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১৮ সালের ৩৬(১) ১০ (ক) ধারায় একটি মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: নৌকার ইঞ্জিনে বোরকা আটকে নারীর মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বাগেরহাটে গাছচাপায় নারীর মৃত্যু
৬ মাস আগে
বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরল ১৯ বাংলাদেশি
ভারতে পাচার হওয়া ১৯ নারী-পুরুষ ও শিশুকে বেনাপোল দিয়ে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পেট্রাপোল পুলিশ।
এরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ধ্রুবাশ্রম, লিলুয়া, কিশোরালয় ও আনন্দ আশ্রম নামে শেল্টার হোমের হেফাজতে ছিল।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশে ফেরত আসারা হলেন- স্নেহ বালা, হাসিবুল শেখ, শান্ত বর্মন, রিয়াজ মোল্লা সিয়াম শেখ, আকাশ চন্দ্র দাস, আফরিন জাহান, প্রিয়ন্তি খাতুন, আকলিমা খাতুন, মাসুম বিল্লাহ, সন্দীপ পাল, তৌফিক, অনিক চৌধুরী, মাসুদ সর্দার, সৌরভ বালা, রবিউল শেখ, মধু খান, আন্নি আক্তার, জেসমিন আক্তার, জাকিয়া আক্তার।
এদের বাড়ি জামালপুর, নাটোর, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, পঞ্চগড়, চাঁদপুর, বাগেরহাট, খুলনা, লালমনিরহাট ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার পর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ৭ জন, মহিলা আইন সমিতি ৬ জন ও রাইটস যশোর নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ৬ জনকে গ্রহণ করে।
ফেরত আসা নারী-পুরুষ ও শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে এই তিন সংস্থা।
জাস্টিক অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে দালালরা এদের ভারতে নিয়ে যায়। বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় এরা পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে পুলিশ তাদের জেলখানায় পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, সেখান থেকে কয়েকটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে নিজেদের আশ্রয়ে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে শুক্রবার তাদের ফেরত আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় ‘ড্যানিয়েলের’ আঘাতে ৬ বাংলাদেশি নিহত
পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
১ বছর আগে
হেফাজত নেতা মাওলানা ইয়াহিয়া আর নেই
হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক হযরত মাওলানা ইয়াহিয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন)।
শুক্রবার (৩ জুন) দিবাগত রাত দেড়টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন।
মৃত্যুকালে মাওলানা ইয়াহিয়ার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
মাওলানা ইয়াহইয়ার ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ জুনাইদ রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে চট্টগ্রাম নগরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মাওলানা ইয়াহিয়াকে। অবস্থার অবনতি হলে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক হিসেবে ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাওলানা ইয়াহিয়া দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আবদুস সালামকে মহাপরিচালক ও ইয়াহিয়াকে সহকারী পরিচালক ঘোষণার পরপরই আবদুস সালাম অসুস্থ হয়ে পড়েন বৈঠকে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুফতি আবদুস সালামের জানাজার পরপরই সেদিন ইয়াহিয়াকে মহাপরিচালক ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: টাকা আত্মসাৎ মামলায় চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা কারাগারে
কর্মজীবন-
১৯৭৩ সালে তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে হাটহাজারীর গড়দুয়ারা মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। গড়দুয়ারা মাদরাসায় ১০ বছর শিক্ষকতার পরে তিন বছর মাদার্শা মাদরাসা ও হাজী ইউনুস সাহেব (রহ.) প্রতিষ্ঠিত ইছাপুর ফয়জিয়া তাজবিদুল কুরআন মাদরাসায় ছয় বছর শিক্ষকতা করেন। হাটহাজারী মাদরাসার মজলিশে শূরার ডাকে ১৯৯১ সালে উম্মুল মাদারিস খ্যাত হাটহাজারী মাদরাসায় যোগ দেন।
শিক্ষকতার শুরু থেকে আজ অবধি তার মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে উর্দুখানা থেকে তাফসির জামাত পর্যন্ত সব বিভাগের বিভিন্ন কিতাবের পাঠদান করে আসছেন।
২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত মজলিশে শূরার বৈঠকে মসলিশে এদারির (মাদরাসা পরিচালনা বোর্ড) সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
খেলাফত লাভ-
হাটহাজারী মাদরাসায় অধ্যায়নকালে শুধু জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই তৃপ্ত হননি বরং আধ্যাত্মিক সাধনার জন্যও অস্থির ছিলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তাসবিহ তাহলিল আদায়ে সুষ্ঠু নিয়ম, উন্নত চরিত্রের অধিকারী, ইখলাস ও আমল-আখলাক দেখে শায়খুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানীর (রাহ.) খলিফা আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) চার তরিকার খেলাফত দান করে বাইয়াত ও মুরিদ করার অনুমতি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের আরও ৭ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
৯ বছর পর কবর থেকে উঠে আসা ওই নারী পুলিশ হেফাজতে
আজগুবি এক কান্ড ঘটেছে গাইবান্ধায় । এই খবর এখন টপ অব দ্যা টাউন। ৯ বছর পর মৃত ব্যক্তি কবর থেকে উঠে এসেছে-এই খবরে গাইবান্ধায় শহর তোলপাড় অবস্থা। রহস্যজনক ওই নারীকে দেখতে শ শ মানুষ একটি বাড়িতে ভিড় জমায়। লোকজন ঠেকাতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বুধবার দুপুরে তাকে পুলিশের গাড়িতে করে গাইবান্ধায় সদর থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গাইবান্ধা শহরের ডেভিট কোং পাড়ার বাসিন্দা আনিসুর রহমানের স্ত্রী ৯২ বছর বয়সী বাছিরন বেওয়া ৯ বছর আগে বয়স্ক জনিত কারণে মারা যান। দুদিন ধরে তার মতো দেখতে এক নারীকে গাইবান্ধা রেল স্টেশন চত্বরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ঈদের জামা দেয়ার কথা বলে ২ মেয়েকে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে
তাকে দেখতে পেয়ে নিজের মৃত মা কবর থেকে উঠে এসেছে বলে মেয়ে মাজেদা বেগম স্টেশনের পাশেই তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে তিনি নিজেকে মাজেদা বেগমের মা বলে দাবি করে খিচুরী রান্না করতে বলেন। মায়ের এই কথা শুনে হতবাক মেয়ে মাজেদা আশেপাশের সবাইকে ঘটনাটি খুলে বলেন। তিনি বলেন, আমার মা বাছিরন বেওয়া ৯ বছর পর কবর থেকে উঠেছে। একই কথা বলেন, তার মা সাদৃশ্য মহিলা। কবর থেকে উঠে আসা মাকে পেয়ে মেয়ে মাজেদা খুশিতে গদগদ। তিনি মায়ের আবদার পালন করতে খিচুরী রান্না করে খাওয়ান। মা ফিরে এসেছে এই বিশ্বাসে তার স্বজনরা আসেন মাকে এক নজর দেখতে। কেউ কেউ মা বা বাছিরন দাদী মনে করলেও অনেকেই আবার বলেন ইনি তার মা নয়। কারণ মৃত্যুর পর তাকে স্টেশন জামে মসজিদে জানাজার পর পৌর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তারপর কবর থেকে উঠে আসার বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারেনি ।
এলাকার বাসিন্দা রাজনীতিক শফিকুল ইসলাম রুবেল বলেন, মৃত ব্যক্তি কখনোই কবর থেকে উঠে আসতে পারেনা। এর পেছনে অন্যকোন রহস্য থাকতে পারে।
অন্যদিকে কবর থেকে উঠে এসেছে এই খবর চাউড় হয়ে যায় গাইবান্ধা শহরের সর্বত্র। মৃত ব্যক্তি কবর থেকে উঠে এসেছে -শুনে শ শ নারী পুরুষ ভিড় জমায় ওই বাড়িতে। লোকজনকে ঠেকানো যাচ্ছিল না। পরে বেগতিক দেখে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা থানায় নিয়ে যান। তবে এলাকার লোকজন বলেন, মৃত নারীর মতো দেখতে বলে তার মেয়ে তাকে নিয়ে বাড়িতে যায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই মহিলা তার মা নয় বলে জানায়। গাইবান্ধা পৌর কবরস্থানের গোড়খোদক টুলু মিয়া বলেন, ঘটনা সত্য নয়। ধর্মীয় বিধানে এমন কিছু নেই যে, কবর থেকে মানুষ উঠে আসতে পারে। এটা ভৌতিক বিষয়। এরমধ্যে বাস্তবতা নেই।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপারেশন জাহাঙ্গীর আলম জানান, দর্শনার্থী লোকজনের ভিড় ঠেকানো যাচ্ছিলো না । শ’ শ’ লোকের ভিড়ে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । সেজন্য ওই নারীকে আমরা পুলিশের হেফাজতে নিয়েছি। তার কোন অভিভাবক খুঁজে পাওয়া গেলে তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর মৃত্যুদণ্ড
২ বছর আগে
জাপানি দুই শিশু থাকবে বাবার হেফাজতে: হাইকোর্ট
জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান দম্পতির দুই কন্যা তাদের বাবার হেফাজতে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই শিশুর জিম্মায় নেয়ার দাবিতে জাপানি মায়ের করা রিট চলমান রেখে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রায় দেন।
আদালত তার রায়ে মাকে তার সুবিধাজনক সময়ে প্রতি বছর তিনবার ১০ দিন করে শিশুদের সাথে থাকার সুযোগ দিয়েছেন। এই তিনবারের ওই জাপানি মায়ের বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার খরচ শিশুদের বাবাকে বহন করতে বলা হয়েছে। তবে এর চেয়ে বেশি বার আসলে সে খরচ মাকে বহন করতে হবে।
এছাড়াও ছুটির দিনে মাসে অন্তত দুই বার ভিডিও কনফারেন্সে মায়ের সাথে শিশুদের কথা বলিয়ে দিতে বাবার প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এই রিটকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে থাকা বাবদ মাকে ১০ লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে শিশুদের বাবার প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রিটটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদেশ প্রতিপালিত না হলে বা অন্য কোনো আদেশের জন্য আদালতে পক্ষগুলো আসতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা কর্মকর্তাকে শিশুদের দেখভাল অব্যাহত রাখতে এবং তাকে প্রতি তিন মাস পর পর শিশুদের বিষয়ে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে জাপানে থাকা ছোট মেয়ে হেনাকে হাইকোর্টে হাজির করানোর নির্দেশনা চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: জাপানি ২ শিশুকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার নির্দেশ
চিকিৎসক এরিকো ও প্রকৌশলী ইমরান শরীফ (৫৮) ২০০৮ সালের ১১ জুলাই টোকিওতে বিয়ে করেন। এক যুগের দাম্পত্য জীবনে তারা তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এ দম্পতির ১১, ১০ ও ৭ বছর বয়সী তিন মেয়ে টোকিওর একটি স্কুলে পড়ত। তবে বিভিন্ন কারণে দাম্পত্য বিবাদের জেরে চলতি বছরের গত ১৮ জানুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন শিশুদের মা এরিকো। সন্তানদের জিম্মায় চেয়ে টোকিওর পারিবারিক আদালতে গত ২৮ জানুয়ারি মামলা করেন এরিকো। এর মধ্যেই গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন ইমরান শরীফ। এরপর জাপানের আদালত এরিকোর জিম্মায় সন্তানদের ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গত ১৮ জুলাই শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন নাকানো এরিকো।
পরে দুই মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে ঢাকায় এসে গত ১৯ আগস্ট জাপানি নারী রিট করেন। সেদিন রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে দুই মেয়েসহ তাদের বাবা ও ফুপুকে ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন। ৩১ আগস্ট হাজির হওয়ার পর সবার বক্তব্য শুনে দুই পক্ষের প্রস্তাবের ভিত্তিতে হাইকোর্ট আদেশ দেন। এরই মধ্যে বাবা ইমরান শরীফ তার ছোট মেয়েকে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট করেন। গত ৩১ অক্টোবর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। এরিকো নাকানোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের রিট: ২ মেয়েসহ বাবা ও ফুপুকে ৩১ আগস্ট হাজিরের নির্দেশ
জাপানি মাকে নিয়ে অবমাননাকর ভিডিও অপসারণের নির্দেশ
৩ বছর আগে
সাড়ে সাত মাস পর হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন চালু
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবে ভস্মীভূত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন শনিবার থেকে পুরোপুরি চালু হয়েছে।
সকালে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কমলাপুর স্টেশন থেকে এবং সদর আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে থেকে স্টেশনটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে স্টেশনটির পুর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয়। এতে জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের লাঘব হয়। এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ রেলস্টেশনে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। এতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ামিন হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিসহ জেলা আওয়ামীলীগ নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী রেলস্টেশন সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর অনন্য ভূমিকার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি স্টেশন ভাংচুরের সাথে জড়িতদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৭ মাস পর সচল হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন
উল্লেখ্য, হামলায় সিগন্যাল সিস্টেম ধ্বংস হওয়ায় দীর্ঘ আট মাস স্টেশনটি বন্ধ থাকে। এরপর রেল মন্ত্রণালয়ের দৃঢ় হস্তক্ষেপে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশ থেকে সিগন্যাল সিস্টেম এনে পুনঃসংযোগের মাধ্যমে শনিবার থেকে পুনরায় রেলস্টেশনটি চালু হয়েছে।
রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শোয়েব মিয়া জানান, আজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনটি আবারও ডি ক্যাটাগরি থেকে বি ক্যাটাগরিতে রূপান্তরিত হল।
৩ বছর আগে
সাড়ে ৭ মাস পর সচল হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন
দীর্ঘ সাড়ে ৭ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও সচল হচ্ছে হেফাজত তান্ডবে বিধ্বস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন। প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষে আগামী ১৩ নভেম্বর স্টেশনটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
ওইদিন থেকেই পূর্বাঞ্চল রেলপথে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এতোদিন ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ থাকায় যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল রেলপথের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে প্রতি মাসে অর্ধ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী ৭টি আন্তঃনগর, ৭টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করে স্টেশনটিতে। প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন দিয়ে অন্তত দুই হাজার যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬-২৮ মার্চ এই তিনদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ ও জেলা গণগ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় ২৬মার্চ বিকেলে। স্টেশন মাস্টারের কক্ষ, টিকিট কাউন্টার ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সিগন্যালিং সিস্টেম পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলায় ২৭মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে সকল ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন না থামায় যাত্রীদেরকে ট্রেনে করে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরবর্তী আখাউড়া ও আশুগঞ্জ রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠতে হতো। গত ১২সেপ্টেম্বর আশুগঞ্জ রেলস্টেশনে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পথিমধ্যে তালশহর রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বাবা ও দুই ছেলের মৃত্যু হয়।
যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ অবসানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন দ্রুত সংস্কার করে সকল ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি চালুর দাবিতে আন্দোলন শুরু করে নাগরিক সংগঠনগুলো। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মর্যাদা ‘বি ক্লাস থেকে ‘ডি’ ক্লাসে নামিয়ে ১৫ জুন থেকে তিনটি মেইল ও একটি কমিউটার এবং ১৬জুন থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রারিবতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্টেশনের সংস্কার শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক মাস ধরেই চলছে সংস্কার কাজ। নতুন করে স্থাপন করা হচ্ছে সিগন্যালিং সিস্টেম।
সরেজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, আগুনে পুড়িয়ে দেয়া টিকিট কাউন্টার ও স্টেশন মাস্টারের কক্ষ ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষগুলোর সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। নতুন সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন কাজও শেষ পর্যায়ে। এছাড়া উঁচু করা হয়েছে প্ল্যাটফর্মও। উদ্বোধনের জন্য এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
আশিকুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের জন্য ট্রেনে যাতায়াত করতে সুবিধা। কম খরচে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। রেলস্টেশনটি আবার চালু হওয়ার মাধ্যমে যাত্রীদের সাড়ে ৭ মাস ধরে পোহানো অসহনীয় দুর্ভোগের অবসান হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের মাস্টার মো. শোয়েব বলেন, স্টেশনের সংস্কার কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৩ নভেম্বর স্টেশনটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। সেলক্ষ্যেই সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উদ্বোধনের দিন থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাস্টবিন থেকে মৃত নবজাতক উদ্ধার
অবশেষে ‘ডি ক্লাস’ মর্যাদায় চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন
৩ বছর আগে
ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ এর আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমান এই মামলার অভিযোগ গঠন করেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল জেলার সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। ওই মামলায় গ্রেপ্তার মামুনুল হককে বুধবার নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে এদিন সকাল ১০টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে এক নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। ঘটনার খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুরসহ স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা।
সেদিন রিসোর্টে মামুনুল জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। ঘটনার প্রায় এক মাস পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ঝর্ণা।
আরও পড়ুন:মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর’ ধর্ষণ মামলা
মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী নিখোঁজ; পল্টন থানায় জিডি
মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা ডিবি হেফাজতে
৩ বছর আগে
টাকা আত্মসাৎ মামলায় চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা কারাগারে
এহসান সোসাইটি নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে কয়েকশ' গ্রাহকের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ছলিম উল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক কামরুন নাহার রুমি আদালতে হাজির হলে তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী শেখ আল জাবেদ বলেন, ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ও সুদমুক্ত প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে বিভিন্ন গ্রাহকের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় ছলিম উল্লাহ রবিবার আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত আবেদন নাকচ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভা সদরে ‘এহসান সোসাইটি’ নামে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ছলিম উল্লাহ দেড় হাজার মানুষকে মোটা অংকের লাভের লোভ দেখিয়ে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ও সুদমুক্ত প্রতিষ্ঠান উল্লেখ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মাওলানা ছলিম উল্লাহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন গ্রাহক আসাদুজ্জামান। ওই মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে মাওলানা ছলিম উল্লাহসহ অন্যরা গা ঢাকা দেয়।
প্রতারিত গ্রাহকদের মধ্যে নাজিরহাট কুম্ভরপাড়া গ্রামের মো. হারুনের লভ্যাংশসহ পাওনা ১৩ লাখ টাকা, দৌলতপুরের এবিসি এলাকার এয়াকুবের আট লাখ, মাওলানা ছলিম উল্লাহ’র নিজের বাড়ির জাহেদুল আলমের চার লাখ, দৌলতপুরের আবদুল মান্নানের ২০ লাখ, নাজিরহাট বাজারের ন্যাশনাল ফার্মেসির মালিক মোস্তফার নয় লাখ, জান্নাত হোটেলের মালিক জাকির সওদাগরের পাঁচ লাখ টাকা।
প্রতারিত গ্রাহক ও মামলার বাদী আসাদুজ্জামান অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার একজন শিক্ষক হয়েও চট্টগ্রাম শহর ছাড়াও কক্সবাজার ও ফটিকছড়িতে অসংখ্য বিলাসবহুল আবাসিক ভবন ও ভূসম্পদের মালিক ছলিম উল্লাহ। বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চিত রয়েছে তার মোটা অঙ্কের টাকা।
আরও পড়ুন: হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মারা গেছেন
হাটহাজারীতে তাণ্ডব: হেফাজত নেতা নাসির উদ্দিন মুনির গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে