লোডশেডিং
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা
গত দুইদিন ধরে খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ফলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষজন। এতে করে বিদ্যুৎ নির্ভর সব কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে শিল্প কারখানাগুলোর উৎপাদন। এছাড়া শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিংয়ের হার আরও বেশি।
এদিকে খুলনায় দিনে রাতে সমান তালে চলছে লোডশেডিং। এছাড়া চরম বিপাকে খুলনা ও বরিশাল এবং ফরিদপুর এলাকার পাঁচ জেলার মানুষ।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ, দিনাজপুরে তীব্র লোডশেডিং
খুলনার ১০ জেলা, বরিশালের ৩ জেলা ও ফরিদপুরের ৫ জেলাসহ মোট ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)।
সংস্থাটির খুলনার বয়রার প্রধান কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২১ জেলায় বিদ্যুতের গ্রাহক প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার। শুধুমাত্র খুলনায় আছে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার গ্রাহক।
২১ জেলায় ওজোপাডিকোর আওতাধীন এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় চাহিদা ছিল ৬৫৯ মেগাওয়াট। সরবরাহ ছিল ৫৬০ মেগাওয়াট।
এদিকে রাতে ২১ জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। লোডশেডিং ছিল ১০০ মেগাওয়াটের বেশি।
এছাড়া খুলনাতে ৪৫ মেগাওয়াট, বরিশালে ১১ মেগাওয়াট, গোপালগঞ্জে ৫ মেগাওয়াট, নড়াইলে ২ মেগাওয়াট, মাগুরায় ৩ মেগাওয়াট, সাতক্ষীরায় ২ মেগাওয়াট, কুষ্টিয়ায় ৬ মেগাওয়াট, চুয়াডাঙ্গায় ৫ মেগাওয়াট, ফরিদপুরে ৬ মেগাওয়াট, রাজবাড়িতে ৪ মেগাওয়াট, মাদারীপুরে ৪ মেগাওয়াট, শরীয়তপুরে ২ মেগাওয়াট ও ঝালকাঠিতে ৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল।
নগরীর মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা কলেজছাত্র ইমন শেখ বলেন, খুলনায় আবার লোডশেডিং শুরু হয়েছে। লোডশেডিংয়ের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক দিন মোমবাতি কেনা লাগত না, এখন আবার কিনতে হচ্ছে।
দাকোপ উপজেলার গুনারি গ্রামের সাব্বির হেসেন বলেন, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ থেকে ৮ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমেও ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ যাওয়ার পর এক ঘণ্টার মধ্যে আর আসে না।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, লোডশেডিং হলে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কোল্ড স্টোরেজে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
এছাড়া লোডশেডিং চলাকালে জেনারেটর চালিয়ে রাখতে বাড়তি ব্যয় হয় বলে জানান ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক।
খুলনা বিদ্যুৎ বিভাগ ৪ এর সহকারী প্রকৌশলী মামুন হক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে। কিন্তু আমরা অপারগ।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওজোপাডিকোর এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। সে কারণে ঘাটতিপূরণে লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এটা শুধু খুলনা অঞ্চলে নয়, আরও অনেক জেলায় হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কম, সারাদেশে বাড়ছে লোডশেডিং
১ মাস আগে
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ, দিনাজপুরে তীব্র লোডশেডিং
দিনাজপুরের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বড় পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট অচল হয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার কবে উৎপাদন ও সরবরাহ সম্ভব হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ৬ মিনিট থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি অচল হয়ে পড়ে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী (তত্ত্বাবধায়ক) আবু বকর সিদ্দিক জানান, কেন্দ্রের ৩টি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি চলতি বছরের শুরু থেকেই নষ্ট। ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি ওভার হোলিংয়ের কারণে বন্ধ রয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গতকাল ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে গেছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর ইউনিটটি চালু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার ১২
ওভার হোলিং থাকা ১ নম্বর ইউনিটটি দু-একদিনের মধ্যে চালু হতে পারে বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী।
এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ জাতীয় গ্রিডে কিছু বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তারা।
এদিকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ায় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে দিনাজপুর। বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে দিনাজপুরবাসী। ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন বিদ্যুৎনির্ভর কার্যক্রম। কৃষি ও শিল্প খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নেসকোর রংপুর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক শাহজাহান জানান, সরবরাহ ঘাটতির কারণে লোডশেডিং হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১৬ দিন পর ফের উৎপাদন শুরু রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে
৩ মাস আগে
গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কম, সারাদেশে বাড়ছে লোডশেডিং
গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এখনও প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে কম থাকায় সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৩টায় দেশে ১৪ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াটের চাহিদা ছিল কিন্তু লোডশেডিং হয়েছে ১ হাজার ৮৭৪ মেগাওয়াট।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির দাপ্তরিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ওই সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল ১২ হাজার ৭৮৮ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন: গ্যাস সংকট: ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে দেশ
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় চাহিদা বেড়ে ১৫ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যে কারণে লোডশেডিং বাড়বে।
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঢাকার অনেক এলাকার বাসিন্দাদের কয়েক দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ জানান, দিনের শুরুতেই সকাল ১১টায় এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
রাজধানীর গুলশান, মোহাম্মদপুর, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছেন না বলে জানান বিপিডিবির কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সিলেট নগরবাসী
বিপিডিবি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় ৪ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সামিট গ্রুপ তাদের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারছে না। যে কারণে আমদানি করা সরবরাহ থেকে জাতীয় গ্রিড প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস পাচ্ছে না।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার ৬০৯ দশমিক ৪ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন হয়েছে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সিলেট, ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা
৩ মাস আগে
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-গ্রামে লোডশেডিংয়ের সরকারের নীতির সমালোচনা বিএনপির
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের গণবিরোধী নীতির কারণে ইউটিলিটি সার্ভিসসহ সব পণ্যের দাম বেড়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) এক বিক্ষোভের বক্তব্যে তিনি তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামাঞ্চলে জনদুর্ভোগের জন্য সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের গণবিরোধী নীতির কারণে জ্বালানি, পানি ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সব জিনিসপত্রের দামও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, যারা ঈদুল আজহা উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হন।
রিজভী আরও বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকায় গ্রামাঞ্চলের মানুষ আইপিএস থেকে ব্যাকআপ বিদ্যুতও পান না। প্রতি দুই-তিন ঘণ্টা পর পর ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।’
ঈদের সময় ঢাকায় গ্যাসের ঘাটতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। যার ফলে মানুষ রান্নাবান্না ঠিকমতো করতে না পারে।
রিজভী আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে কোরবানির পশুর মাংস নষ্ট হয়ে গেছে। ‘লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজ কাজ করছিল না, গ্যাস সংকটের কারণে চুলা জ্বালানো যাচ্ছিল না।’
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন নেতারা
'তথাকথিত' উন্নয়নের নামে কিছু ব্যক্তিকে লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি দাবি করেন, একটি গোষ্ঠী সাধারণ গরিব মানুষের জমি ও সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় না দিতে, কিন্তু তার সরকার সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বেনজীর পরিবার দেশের ভিতরে-বিদেশে কত টাকার মালিক হয়েছেন তা আমরা জানি না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেল যোগাযোগ পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ
৬ মাস আগে
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং
গ্যাস সংকটের জন্য ৪ হাজার ৭৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাইরে রয়েছে
সোমবার আগের দিনের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম থাকলেও মঙ্গলবার দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি দেখা দেয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, দিনের ব্যস্ত সময়ে বিকেল ৩টায় দেশে ২১০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়। সে সময় ১৬ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ২৭৩ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন: দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ
যেকোনো সময়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ এবং তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্য হলো লোডশেডিংয়ের পরিমাণ।
পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে চাহিদা ১৭,৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত উঠবে এবং লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ২,২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, দেশে অন-গ্রিড স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৫৭ মেগাওয়াট, তবে জ্বালানি ঘাটতি এবং প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির কারণে এর প্রায় ৭ হাজার মেগাওয়াট বর্তমানে হিসাবের বাইরে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এনএলডিসির তথ্য উল্লেখ করে ইউএনবিকে বলেন, ‘গ্যাসের ঘাটতির কারণে প্রায় ৪ হাজার ৭৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।’
নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে আরও ২ হাজার ১৯৬ মেগাওয়াট উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।
স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ২ হাজার ৩১৭ এমএমসিএফডির চাহিদার বিপরীতে তারা প্রতিদিন ১ হাজার ২৯৩ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস পাচ্ছেন।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকরা এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রধান শিকার কারণ অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একজন কর্মকর্তার মতে, ‘গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত ঘন ঘন হয়। যেকোনো বিপত্তি হলেই গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ফিরে পেতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ঢাকা অঞ্চলে ৩৬০ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামে ১৬৫ মেগাওয়াট, খুলনায় ১৩২ মেগাওয়াট, রাজশাহীতে ১৮২ মেগাওয়াট, কুমিল্লায় ২৪৫ মেগাওয়াট, ময়মনসিংহে ২৭৫ মেগাওয়াট, সিলেটে ৪৪ মেগাওয়াট এবং রংপুরে ১৩০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি, লোডশেডিং রেকর্ড ৩২০০ মেগাওয়াট
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ঘাটতি, লোডশেডিং ছাড়িয়েছে ১৮৬০ মেগাওয়াট
৭ মাস আগে
তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি, লোডশেডিং রেকর্ড ৩২০০ মেগাওয়াট
সোমবার দেশে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময় নজিরবিহীন বিদ্যুৎ ঘাটতির ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়ে লোডশেডিং প্রায় ৩২০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।
বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সোমবার দুপুর ২টায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারে (এনএলডিসি) রেকর্ড ৩ হাজার ১৯৬ মেগাওয়াট ঘাটতির কথা জানানো হয়।
দিনের ‘পিক আওয়ারে’ ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৫৩ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ ঘাটতি ৩ হাজার ৪৪৭ মেগাওয়াটের।
সন্ধ্যার ‘পিক আওয়ারে’ চাহিদা ১৭ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে বিদ্যুৎ ঘাটতি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রবিবারেও অত্যধিক লোডশেডিং দেখা যায়। এদিন দুপুরে ১ হাজার ৮৬৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়।
এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টায় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড করা হয় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট; তবে চলমান তাপপ্রবাহে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে লোডশেডিং অব্যাহত রয়েছে।
বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অবস্থা ভয়াবহ।
তবে বিভিন্ন বিদ্যুৎ সংস্থার গ্রামীণ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, যে পরিমাণ লোডশেডিং হয় রিপোর্টে তার চেয়ে কম আসে। কারণ বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থানীয়ভাবে হওয়া বিঘ্নগুলো সবসময় তালিকাভুক্ত হয় না। এতে গ্রাহকদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। যে কারণে দিন-রাতে কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ ছাড়াই কাটিয়ে দিতে হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত ঘন ঘন হয় যেকোনো সমস্যা হলে গ্রাহকদের দিনে ও রাতে উভয় ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ পেতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।’
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে কৌশলগতভাবে গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তর করা হয়। এই নীতিগত সিদ্ধান্ত এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট।
এই গ্যাস সংকটের কারণে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে, যা এই সংকটময় সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহে আরও চাপ সৃষ্টি করেছে।
৭ মাস আগে
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ঘাটতি, লোডশেডিং ছাড়িয়েছে ১৮৬০ মেগাওয়াট
বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়লেও অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘাটতি এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। রবিবার লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৮৬০ মেগাওয়াট।
গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টায় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশজুড়ে লোডশেডিং অব্যাহত। এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গেছে।
উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ও তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্যের কারণেই লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দুপুর ১২টায় লোডশেডিং ১ হাজার ৮৬৪ মেগাওয়াটে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ
তবে বিভিন্ন বিদ্যুৎ সংস্থার গ্রামীণ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, লোডশেডিংয়ের মাত্রা এনএলডিসির দেখানো সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থানীয়ভাবে হওয়া বিঘ্নগুলো সবসময় তালিকাভুক্ত হয় না।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত ঘন ঘন হয় যেকোনো সমস্যা হলে গ্রাহকদের দিনে ও রাতে উভয় ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ পেতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘স্থানীয় বিভ্রাট বিবেচনায় নিলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ২ হাজার মেগাওয়াটের চেয়েও বেশি হতে পারে।’
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
আরও পড়ুন: গরমের কারণে ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যে ১ হাজার মেগাওয়াটের লোডশেডিং
এনএলডিসির রেকর্ডে আরও দেখা যায়, রবিবার রাত ১টায় ১ হাজার ৭৮৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করলেও এক পর্যায়ে সকাল ৭টায় তা কমে ১৩ হাজার ১৯ মেগাওয়াটে নেমে আসে। কিন্তু আবার তা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে লোডশেডিংয়ের পরিমাণও বেড়ে যায়।
স্বাভাবিক চাহিদা বাড়লে সন্ধ্যায় ‘পিক আওয়ারে’ লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে দিনের চাহিদার পূর্বাভাস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট এবং সান্ধ্যকালীন চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিংয়ে প্রথম কর্মদিবস শুরু
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার তথ্যে দেখা যায়, প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট।
এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৪২৩ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাড়ছে লোডশেডিং-তাপপ্রবাহ
৭ মাস আগে
দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ
বিদ্যুৎ উৎপাদন নতুন রেকর্ড গড়লেও সারাদেশে লোডশেডিং কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আগের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) রেকর্ডে দেখা যায়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে, যা মঙ্গলবারে ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।
এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। তবে বুধবার দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতির মাত্রা কমে সকাল ৭টায় ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে আসে।
কিন্তু আবারও লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যায় এবং বুধবার বিকাল ৩টায় তা বেড়ে ৮২১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়।
আরও পড়ুন: হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিকাল ৫টায় দেশে সন্ধ্যার গুরুত্বপূর্ণ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৪ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট হয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে লোডশেডিং এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে
৭ মাস আগে
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে
ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে মঙ্গলবার দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ এক হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এবারই প্রথম বিদ্যুতের ঘাটতি এত বেশি দেখা দিয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়। অথচ এদিন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় দেশে চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
৭ মাস আগে
সিলেটে লোডশেডিংয়ে ক্ষুব্ধ নগরবাসী
রোদ ও ভ্যাপসা গরমের মধ্যে সিলেটে লোডশেডিংয়ে ক্ষুব্ধ উঠেছে নগরীর বাসিন্দারা।
একদিকে তীব্র গরম অন্যদিক রমজান মাস। বিদ্যুৎ চলে গেলে সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে হচ্ছে বলে জানান নগরবাসী।
লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। আর লোডশেডিংয়ের কারণে সিটি করপোরেশনের পানি সরবরাহও বিঘ্নিত হচ্ছে।
আর কয়দিন পর ঈদ। ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরাও নিজদের মার্কেট, শপিংমল ও দোকানপাটে করেছেন আলোকসজ্জা। কিন্তু দিন ও রাতের বেশিরভাগ সময় লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটর দিয়ে চলছে তাদের ব্যবসা। এমন অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
আরও পড়ুন: তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জের জনজীবন
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। এমনকি সেহরি ও ইফতারের সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না। মোমবাতি, মোবাইল চার্জার জ্বালিয়ে ইফতার ও সেহেরি করতে হচ্ছে।
গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা মো. জাকির বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা সব থেকে বেশি ভুক্তভোগী। সামনে আসছে গরমের দিন, তাই লোডশেডিংও আরও বাড়বে। দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে সিলেটে কলকারখানা তুলনামূলক অনেক কম তবুও আমরা বিদ্যুতের ভেলকিবাজি থেকে মুক্তি পাচ্ছি না।
সিলেট নগরীর লালা দিঘীরপাড়ের গৃহবধূ আইরিন সুলতানা নিপা বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এরমধ্যে গরমে ভোগান্তি। এই কয়দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে বাসায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ইফতার ও সেহরির আগে বিদ্যুৎ চলে যায়। এমন সময়ও যে বিদ্যুৎ চলে যাবে তা ভাবতেই অনেক খারাপ লাগে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, ঝড়ের পর সরবরাহে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। সেটি মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার পর লোডশেডিং মেনে নেওয়া যায় না। এক বছর পর পর ব্যবসায়ীরা একটি ঈদ পান। আর এতে লোডশেডিং হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগের পাশাপাশি লোকসানেও পড়ছেন। এই অবস্থায় ক্রেতা ও বিক্রেতারাও স্বস্তিতে নেই।
জানা যায়, সিলেট অঞ্চলে বর্তমানে চাহিদা রয়েছে ১৪০-১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেখানে ঘাটতি রয়েছে ৪০-৬০ মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ কম পাওয়ার কারণে এত বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। এছাড়াও অর্থনৈতিক মন্দভাবের কারণে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন কম হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে গত তিন দিনের মধ্যে মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪১ মেগাওয়াট। আর সরবরাহ করা হয়েছে ৫৬ মেগাওয়াট।
পরদিন বুধবার (৩ মার্চ) চাহিদার পরিমাণ ছিল ১২০ থেকে ১৩০ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যায় মাত্র ৬৬ মেগাওয়াট।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সিলেটে বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩৫ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে সরবরাহ ছিল ৬৯ মেগাওয়াট। ঘাটতি ছিল ৬৬ মেগাওয়াট।
এ ব্যাপারে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. জারজিসুর রহমান রনি বলেন, চাহিদার তুলনায় প্রতিদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ কম হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত আমাদের চাহিদা ছিল ১৩৫ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে সরবরাহ ছিল ৬৯ মেগাওয়াট। ঘাটতি ছিল ৬৬ মেগাওয়াট। আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছি তা সব বিতরণ বিভাগকে সমানভাবে ভাগ করে দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লাইন বা অন্য কোনো সমস্যা নেই। ডলার ও কয়লা সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাড়ছে লোডশেডিং-তাপপ্রবাহ
কনকনে শীতেও তীব্র গ্যাস সংকটের মধ্যেই চলছে লোডশেডিং
৮ মাস আগে