ত্বক
শীতে বাড়তি যত্ন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়
শীত এসে গেছে! যদিও শীতল বাতাস উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে, তবে ঠাণ্ডায় ত্বক নিস্প্রাণ হয়ে যায়। কেউ কেউ অভিযোগ করেন শীতে তাদের ত্বকে কিছুটা কালো ছোঁপ পড়ে যায়।
তবে প্রত্যেকেই চায় সকল ঋতুতেই স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর ত্বক পেতে। আর তাই শীতকালে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন।
শীতে অল্প কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে এবং তারুণ্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।
১.সঠিকভাবে আপনার ত্বক পরিষ্কার করুন ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
নারী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্যই স্কিনকে পরিষ্কার করা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তবে, শীতের আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই সবার আগে দরকার একটি ভালো মানের ক্লিনজার ব্যবহার করা। এরপর শীতকালে উজ্জ্বল ত্বক পেতে ময়েশ্চারাইজিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে। শীতকালে আমাদের ত্বক শুকিয়ে যায়, কারণ বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে।
এই পরিস্থিতিতে আপনার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে এবং বাড়তি ক্ষতি এড়াতে হাইড্রেটিং ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
২. একটি ভারী ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করুন
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ত্বকের যত্নের পরিবর্তন বাধ্যতামূলক, কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আর্দ্রতার মাত্রা পরিবর্তিত হয়। কারণ আমরা যে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি এবং ত্বক শ্বাস নিচ্ছে; তার আর্দ্রতা পরিবর্তিত হয়। তাই গ্রীষ্মের ঋতুটিতে আমরা হালকা জেলভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু শীতকালে এমন একটি ময়েশ্চারাইজার বাছাই করা উচিৎ; যাতে ভিটামিন ই ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো থাকে।
এছাড়া নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, বাটারমিল্ক ও শসার মতো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এডেলউইসের পণ্যের সমাহার নিয়ে এলো দ্য বডি শপ
১ বছর আগে
জেনে নিন ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের ক্ষতিকর দিকগুলো!
সৌন্দর্যের প্রতি জন্মগত আকর্ষণের জন্য হরহামেশাই আপনি ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। যেকোনও পার্টিতে যাওয়ার পূর্বে সবার নিকট নিজেকে দর্শনীয় করার জন্য নির্ভর করেন বাজারের ফেয়ারনেস ক্রিমগুলোর ওপর।
কিন্তু এ ধরনের ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম সাময়িকভাবে ফর্সা ভাব দিলেও আপনার ত্বকের জন্য এগুলো খুবই ক্ষতিকর। আপনি প্রায়ই বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে দ্রুত রং ফর্সা করার লোভনীয় অফার দেখে থাকবেন। এগুলো কোনটাই দীর্ঘ মেয়াদী নয়। ত্বক বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই এই সাবধানবাণী দিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশে বিশেষ করে কোরিয়ান সৌন্দর্য বর্ধক পণ্যগুলোর অনেক চাহিদা। মনে রাখতে হবে, কোরিয়ান পণ্য মানেই কিন্তু ভালো পণ্য নয়। চলুন, এ ধরনের ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হতে পারে তা জেনে নেয়া যাক।
ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো
লালচে ফুস্কুড়ি
এর আরেক নাম রোসেসিয়া, যা আপনার মুখে লালচে ফুস্কুড়ি সৃষ্টি করে এবং চামড়ার ভেতরের রক্তনালীকে দৃশ্যমান করে তোলে। আপনার ত্বক যদি হাল্কা হয়ে থাকে আর সেই ত্বকে আপনি নিয়মিত ক্রিম ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি এই সমস্যার সম্মুখীন হবেন।
ত্বকের রং হারিয়ে ফেলা
এটি ক্রিম ব্যবহারের সবচেয়ে ক্ষতিকর দিকগুলোর মধ্যে একটি। এর ফলে আপনার শুধু ত্বক-ই নয়, ধীরে ধীরে সমস্ত শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যেতে শুরু করবে। চূড়ান্ত অবস্থায় এটি স্কিন ক্যান্সারের দিকে নিয়ে যায়।
চুলকানি
ঘন ঘন ক্রিম ব্যবহার আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া তেল শুষে নেয়। ফলে ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক। আর চুলকানি মাত্রা ছাড়ায় এই শুষ্ক ত্বকেই। আপনার সংবেদনশীল ত্বককে চুলকানির মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে নষ্ট করার জন্য একটি ক্রিম-ই যথেষ্ঠ।
ব্রণ
‘আপনার ব্রণের দাগ দূর করবে’ আপনি হয়ত ক্রিমের গায়ে এই কথাটি দেখেই কিনে ফেলছেন। কিন্তু এই ধরনের ক্রিমগুলোতে থাকে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ। এগুলো প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার ব্রণের কালচে দাগ দূর করবে না। বরং পরবর্তীতে যখন আপনি ব্রণের চিকিৎসার জন্য কোনো ওষুধ ব্যবহার করবেন, তখন সেগুলোর কার্যকারিতা কমিয়ে দিবে।
আরও পড়ুন: সুস্থ থাকতে কলা নয়, খোসা খান
রোদে জ্বালা পোড়া
অতিরিক্ত মাত্রায় ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহারে আপনার ত্বক হয়ে যায় পাতলা। আর পাতলা ত্বক সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি দ্বারা তুলনামুলকভাবে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতঃপর এর প্রভাবে খুব কম বয়সেই মুখে বলিরেখা পড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে স্কিন ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
ত্বকে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
মুখে ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারের ফলে ত্বকের উপরই যে শুধু আলাদা একটা স্তর পড়ে- তা নয়। বরং তা আপনার ত্বকের রোগ প্রতিরোধী কোষগুলোর স্বাভাবিক ক্ষমতাও নষ্ট করে দেয়। ফলশ্রুতিতে আপনার ত্বক অরক্ষিত হয়ে পড়ে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গালের কাছে।
কিডনী এবং স্নায়ুজনিত জটিলতা
বাজারে আপনি যে ফেয়ারনেস ক্রিমগুলো পাচ্ছেন তার অধিকাংশগুলোতেই অধিক মাত্রায় থাকে পারদ। আর এই পারদ আপনার কিডনী নষ্ট করে দেয়ার পাশাপাশি স্নায়ুজনিত নানাবিধ সমস্যার জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: সুস্থ থাকতে কলা নয়, খোসা খান
৩ বছর আগে
ত্বক থেকে শুরু করে চুলের যত্নে ব্যবহার করুন ভাতের মাড়!
প্রায় প্রতিদিনই বাঙালির প্রতিটি ঘরে ভাত রান্না হয়। এই রান্না করা ভাত ঝরঝরে করতে ভালোভাবে ভাতের মাড় ঝরিয়ে নেন সবাই। আর বেশির ভাগ সময়ে এই ভাতে মাড় ফেলে দেয়া হয়। তবে তা না ফেলে নানা উপায়ে কাজে লাগাতে পারেন। ত্বক থেকে চুলের যত্নে ভাতের মাড় কাজে লাগিয়ে দেখুন ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।
জেনে নেয়া যাক ভাতের মাড়ের ব্যবহার...
১) ভাতের মাড় গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে দিনে অন্তত ২ বার গোসল করতে পারলে ত্বকের অস্বস্তিকর জ্বালা ভাব, চুলকানি, র্যাশ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
২) ব্রণের সমস্যা কি কিছুতেই কমছে না? মাতের মাড় ঠান্ডা করে তুলো দিয়ে ত্বকের ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগান। দিনে অন্তত ২-৩ বার এইভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ব্রণ-ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দ্রুত সেরে যাবে।
আরও পড়ুন: সুস্থ জীবনধারাই সকল সুখের মূল
৩) ভাতের মাড় ঠান্ডা করে তুলো দিয়ে মুখের ও হাত-পায়ের রোদে পোড়া অংশে নিয়মিত মাখতে পারলে বাড়বে ত্বকের জেল্লা। এই পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ত্বক থাকবে সতেজ, বজায় থাকবে ত্বকের আর্দ্রতা। এ ছাড়াও ত্বকের হাইপার পিগমেন্টেশন আর ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে ভাতের মাড় অত্যন্ত কার্যকরী!
৪) ভাতের মাড়ে পানি মিশিয়ে খানিকটা পাতলা করে নিন। শ্যাম্পু করার পর চুলে ভাতের মাড় দিয়ে মিনিট তিনেক রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যার মোকাবিলায় এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এ ছাড়া চুল গোড়া থেকে মজবুত করতে আর চকচকে করতে এই পদ্ধতি সাহায্য করবে।
এ ছাড়াও শরীরের অপুষ্টিজনিত সমস্যার মোকাবিলায় ভাতের মাড় খুবই উপকারী।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া বাংলা
৩ বছর আগে
উজ্জ্বল-চকচকে ত্বকের রহস্য জানতে চান?
সুস্থ সজীব চকচকে ত্বক কার না ভালো লাগে? আর সেটা পাওয়ার জন্য কতই না পরিশ্রম। বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবহার থেকে চিকিৎসকের সাহায্যও নেন অনেকে। তা সত্ত্বেও সবসময় কী ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখা সম্ভব হয়? উত্তর বেশিরভাগ সময় নেতিবাচক পাওয়া যায়।
৪ বছর আগে