মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
মওলানা ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
'মজলুম জননেতা' নামে বহুল পরিচিত ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মারা যান।
বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও ভাসানী ফাউন্ডেশন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন, শিল্প প্রতিযোগিতা ও কবিতা আবৃত্তি, খাদ্য বিতরণ ও রক্তদান।
টাঙ্গাইল জেলা শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল মাওলানা ভাসানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: ৫২ ঘন্টা পর অবমুক্ত হয়েছেন ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি
বিভিন্ন দল ও বিভিন্ন সংগঠনের স্থানীয় ইউনিটও প্রয়াত নেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান জাতীয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।
১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জের ধানগড়ায় জন্ম নেওয়া ভাসানী কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
তাকে বর্তমান বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ ও বামপন্থী রাজনীতির প্রবক্তা হিসেবে গণ্য করা হয়।
তিনি পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন, যা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ হয়।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে একটি প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনও গঠন করেন।
আরও পড়ুন: মাওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার
১১ মাস আগে
আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
আজ ২৩ জুন, উপমহাদেশের ইতিহাসে স্বাক্ষী এবং স্বাক্ষর রাখা ঐতিহাসিক এবং অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।মঙ্গলবার ৭২ বছর পেরিয়ে আসা দলটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে ওতপ্রোতভাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই দলের মাধ্যমেই দেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা, পরিচালনা এবং বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: জনগণের জীবন-জীবিকা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তীতে নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়ার মাধ্যমেই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির যাত্রা শুরু হয় এই ভূখণ্ডে।দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক। কারাগারে অবরুদ্ধ থাকা অবস্থাতেই ওই কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু।
আরও পড়ুন: দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তীতে দলে ভাঙন, বিভিন্ন ঐতিহাসিক আন্দোলন এবং মুক্তিসংগ্রামের পরিচালনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করে নিলে কিছুটা নিভৃতেই চলে যায় আওয়ামী লীগ।
তবে ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু তনয়া এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর আওয়ামী লীগের হাল ধরলে, দীর্ঘ-লড়াই সংগ্রামের পর সুদীর্ঘ ২০ বছর পর দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন।
১৯৯৬ সালের ঠিক এই দিনেই (২৩ জুন) দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর ছয় পরামর্শ
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো অন্যান্য বছর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করলেও, এবছর করোনা মহামরির কারণে আয়োজন বেশ সীমিত।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ, বিএনপি মানুষকে হতাশ করেছে: জিএম কাদের
আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
৩ বছর আগে
মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।
৩ বছর আগে