মো. মাহবুব আলী
এভিয়েশন শিল্পে বাংলাদেশ সম্ভাবনার নাম: বিমান প্রতিমন্ত্রী
গত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পে দ্বিগুণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, এভিয়েশন শিল্পে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার নাম। ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণ এবং আগামী ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রবৃদ্ধি হবে তিন গুণ।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এশীয়-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশসমূহের অংশগ্রহণে ‘৫৮তম ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে স্মার্ট এভিয়েশন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এবছর বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। বিগত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্প আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে বিকশিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন শিল্পের দ্রুত প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য সারাদেশের সব বিমানবন্দরে সময়োপযোগী অবকাঠামো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, জনদক্ষতা উন্নয়ন, নিরাপত্তা উন্নয়নের কাজ চলছে। এ ছাড়া নিরাপদ বিমান চলাচল নিশ্চিতকরণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন উন্নয়নকাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও ভৌগলিক গুরুত্ব কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি অন্যতম এভিয়েশন হাবে পরিণত করা।
মাহবুব আলী বলেন, এবারের ডিজিসিএ কনফারেন্সের থিম ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এভিয়েশন পেশাজীবীদের জন্য জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিশ্চিতকরণ’ এর প্রতি সরকারের সর্বাত্মক সমর্থন রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এভিয়েশন পেশাজীবীদের মধ্যে জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিশ্চিত করার জন্য এরই মধ্যে আমরা ‘বঙ্গবন্ধু নেক্সট জেনারেশন এভিয়েশন প্রফেশনালস’ স্কলারশিপ চালু করেছি।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
শিগগিরই নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশের ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশেরভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত। আজকে সৌদি আরব ভিসা দিয়ে দিচ্ছে সহজেই। তারা আলোচনা করছে ভিসা ছাড়া কীভাবে পর্যটকদের বিনোদন দেওয়া যায়। এরা (সৌদি আরব) আমাদের চেয়ে অনেক রক্ষণশীল। আমরা অনেক এগিয়েছি স্বাধীনতার পরে। তাই এ বিষয়ে আমাদের আরও এগিয়ে আসতে হবে।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের এভিয়েশন এন্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।
সেমিনারে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা আছে। আমাদের এখন দরকার বিদেশ পর্যটক আকর্ষন করা। আমাদের নতুন নতুন হোটেল হচ্ছে। এজন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা দরকার। ভিসার ক্ষেত্রে আমাদের উদার হওয়ার দরকার।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে নেগেটিভ বিষয়গুলো গণমাধ্যমে সচেতন হতে হবে। যেন দেশ ভুক্তভোগী না হয়। মাস্টারপ্ল্যান প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
দেশে পর্যটকের অভাব নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে পর্যটকের কোনো অভাব নাই। ধারণক্ষমতারও বেশি। এখন আমাদের দরকার বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করা।
তিনি বলেন, আমরাও অনুভব করি, আমাদের বিদেশি পর্যটক দরকার। আমাদের পর্যটন করপোরেশনের যে মোটেলগুলা ৫০ বছর আগে করা, আপনি চিন্তা করেন কতটুকু রুচিশীল এই সময়ে। কিন্তু, আমরা পরিচালনাও করেছি, সরকারকে কোটি, কোটি টাকা ট্যাক্স দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
পর্যটনের বিকাশে গণমাধ্যমকে স্টেক হোল্ডার বিবেচনা নিতে হবে
বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার ও বিকাশে গণমাধ্যমকে স্টেকহোল্ডার হিসেবে বিবেচনা করে কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। গণমাধ্যম কর্মীদেরও পর্যটন বিকাশে যথাযথ অংশীদারত্বের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সেক্টরে নীতি নির্ধারক এবং ব্যবসায়ীদের একটি সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, গণমাধ্যম কর্মীদের ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে আহ্বান করেন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও বাংলাদেশের পর্যটন এবং এভিয়েশন খাতের বিকাশে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তেমন কোন উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মিডিয়ার গঠনমূলক ভূমিকা ছাড়া কোন দেশের পর্যটন বিকাশসম্ভব নয়। এর জন্য সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পর্যায়ে থেকে গণমাধ্যমকে পর্যটনের স্টেকহোল্ডার হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, এবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে আমরা দেশ ব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। পর্যটন এমন একটি বিষয়ে যা প্রচার করতে হয়, আর এজন্য মিডিয়ার ভূমিকা প্রয়োজন। আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মিডিয়ার সাথে গ্যাপ কমিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি।
পর্যটন সচিব বলেন, আমরা সেন্ট মার্টিনকে প্লাস্টিক ফ্রি করবো। এজন্য মিডিয়া ভূমিকা প্রয়োজন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের পর্যটনের অনেক উপদান আছে। সরকারের নানা উদ্যোগ আছে, মিডিয়াও এগিয়ে আসছে। আমাদের আশে পাশের দেশ পর্যটনে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের ট্যুরিজম সেক্টর সেরকম প্রমোট হয়নি। আমাদের আরও করনীয় আছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, মালদ্বীপের কোনো কর্মকর্তা যখন অন্য দেশে যান তাদের একটা এজেন্ডা থাকবেই, সেটা হলো ট্যুরিজম। আমাদেরও এভাবেই এগিয়ে আসতে হবে।
প্যাসেফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশনের (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব তৌফিক রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি মেলায় অংশ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ নেপাল ও শ্রীলংকার মতো দেশ আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিচ্ছে।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট শিবলুল আজম কোরায়েশি বলেন, মিডিয়ার প্রচারের ফলে পর্যটনের নতুন নতুন গন্তব্য মানুষের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। শ্রীলংকা দেউলিয়া হলেও পর্যটনের প্রচারে পিছিয়ে নেই।
এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার আরও বেগবান করতে হবে। প্রমোশনের অভাবে বাংলাদেশের পর্যটন পণ্যের প্রচার হচ্ছে না। আমাদের পর্যটনার সম্ভবনা মিডিয়ার মাধ্যমে আরও বেশি প্রচার করতে হবে।
বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমাদের মিডিয়া পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আমাদের দেশে নেগেটিভ নিউজ বেশি পছন্দ করে, একারণে কিছু খারাপ খবর বেশি আসে। আমাদের মিডিয়াকে পর্যটনের বিষয়ে আরও আন্তরিক হতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের পর ফেরত নেওয়া যাবে পাসপোর্ট
১ বছর আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে স্মার্ট এভিয়েশন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম এভিয়েশন হাবে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই লক্ষ্যকে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সবার আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে স্মার্ট এভিয়েশন শিল্পে রূপান্তর করা।
আরও পড়ুন: পর্যটন কেন্দ্রে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
এ ছাড়া এদেশের স্মার্ট এভিয়েশন শিল্প শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সোমবার (৩১ জুলাই) ‘যশোর বিমানবন্দর’র নবনির্মিত টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মানেই দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ, কৃষি, অবকাঠামো, রাস্তা-ঘাট, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, এভিয়েশন ও পর্যটনসহ দেশের প্রতিটি খাত উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন জনগণের জীবনমান উন্নত করার পাশাপাশি আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নীতিগত সমর্থনের কারণে দেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের এভিয়েশন শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কারিগরি ও জনদক্ষতা উন্নয়ন এবং সময়োপযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নের ফলে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি লাভ করছে।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সব বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সম্মানিত যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এরই অংশ হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এয়ার ফিল্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৬০ সালে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করা যশোর বিমানবন্দরে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে।এর অপারেশনাল কার্যক্রমও বেড়েছে বহুগুণ।
তিনি বলেন, নতুন এই টার্মিনাল নির্মাণের ফলে যাত্রীরা বিমান যাত্রায় এখন থেকে আরও উন্নত ও আধুনিক সেবা পাবেন। এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারেও ভূমিকা রাখবে এই বিমানবন্দর।
এ ছাড়া এই দৃষ্টি নন্দন ও আধুনিক টার্মিনাল এই এলাকার মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
শিগগিরই নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
থার্ড টার্মিনালের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, দৃষ্টিনন্দন টার্মিনাল ভবন এখন দৃশ্যমান। এছাড়া বর্তমানে টার্মিনাল ভবনের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ইন্সটলের কাজ চলছে। এ বছরের অক্টোবরেই থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে।
মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বর্তমান ১ ও ২ নং টার্মিনালের যাত্রীসেবা ও বিভিন্ন কার্যক্রম এবং থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীসেবা বৃদ্ধি ও নিরাপদ বিমান পরিচালনা নিশ্চিতে বাংলাদেশের সকল বিমানবন্দরে রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ, নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সত্যিকার অর্থে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে উন্নয়নের নীরব বিপ্লব সাধিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান টার্মিনালের অবকাঠামগত সীমাবদ্ধতার জন্য যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত মানে সেবা দিতে না পারলেও সেবার মান উন্নয়নে আমাদের সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা রয়েছে। বিমানবন্দরের কোথাও যেন কোন যাত্রীর হয়রানির শিকার হতে না হয় সেজন্য মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত টার্মিনালের কার্যক্রম মনিটরিং করছে। এছাড়া, থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধনের পর অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা দূর হওয়ায় যাত্রীরা আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়ের ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেমকে (আইএলএস) ক্যাটাগরি-১ থেকে ক্যাটাগরি-২ এ উন্নীত করণের কাজ চলমান থাকায়, বর্তমানে রাতে পাঁচ ঘন্টা এই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ থাকছে। তবে এই কারণে যাতে যাত্রীদের সমস্যা না হয় সেজন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি।
আইএলএস সিস্টেম আপডেটের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ঘন কুয়াশার মধ্যে বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ অবতরণে বর্তমানে যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা অনেকাংশেই দূর হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের ই-গেইটগুলো চালু আছে। তবে এর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত থাকায়, এগুলো শতভাগ চালু করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। অন-অ্যারাইভাল ভিসার বিষয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। ইতোমধ্যেই তারা এ বিষয়ে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ ও ২ নম্বর টার্মিনাল পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস হল, চেক-ইন কাউন্টার, ব্যাগেজ এরিয়া, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও গ্রিনচ্যানেল পরিদর্শন করেন।
বিমানবন্দর পরিদর্শনকালে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম সহ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর প্রস্তুতি আছে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
অসুস্থ সেই পাইলটের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস বিমান প্রতিমন্ত্রীর
১ বছর আগে
৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর প্রস্তুতি আছে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেছেন, ৩১ মে যাতে হজ ফ্লাইট শুরু করা যায় সেজন্য প্রস্তুতি আছে। কিন্তু হজে যারা যাবেন, তাদের জন্য বাড়ি ভাড়া এবং মোয়াল্লেম নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো করতে পারেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়গুলো এখনও ক্লিয়ার হয়নি। তবে আমাদের বিশ্বাস নির্দিষ্ট সময়ে কাজগুলো সম্পন্ন করবে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়গুলো দেখছে। আমাদের বিশ্বাস এই সময়ের মধ্যে সব হয়ে যাবে।সোমবার বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা নিজস্ব বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ দিয়েই হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানের বহরের ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে চারটি বোয়িং-৭৭৭। ২০১৯ সালে এই চারটি দিয়েই হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছিল। এ বছরও সেটি করা হবে। এতে বিমানের কম গুরুত্বপূর্ণ ও কম লাভজনক রুটের ফ্রিকোয়েন্সি কমানো হবে। এটা দুই মাসের বিষয়। শিডিউল ফ্লাইটে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে না।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের ওয়েব চেক-ইন শুরু জুন থেকে
মাহবুব আলী বলেন, আমরা আজকে এয়ারপোর্টে এসেছি, এখানকার ব্যবস্থাপনা, যাত্রী সেবাসহ সবকিছু ঠিক রাখতে সবাই যথাযথভাবে কাজ করে কিনা দেখতে। আমরা সার্বক্ষণিক এগুলো মনিটরিং করছি। মন্ত্রণালয়ে একটা টিম করেছি। সপ্তাহে তিন দিন মন্ত্রণালয়ের লোকজন এখানে থাকে। কোনও ধরনের অব্যবস্থাপনা হয় কিনা তারা দেখেন। সামনে হজ। হজের সকল ফ্লাইট যাতে নির্বিঘ্নে পরিচালিত হয় সেই বিষয়ে কাজ করছি। হজ ফ্লাইট কার্যক্রমের বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছি।বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ট্রলি সংকট ছিল, সেটা এখন আর নেই। লাগেজ বেল্টে যেন কোনও সমস্যা না হয়, এ জন্য অনেকগুলো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়েছি। আমরা চাই, বিমানবন্দর সুন্দরভাবে চলুক, এখানে কোনও প্রকার যাত্রী হয়রানি যাতে না হয়। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারি না, তবে থার্ড টার্মিনাল হয়ে গেলে এসব সমস্যা থাকবে না। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন হলে সেখানে যাত্রীরা সকল ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা পাবেন।
বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘বিমানবন্দরে যার যা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। যারা ডিউটি করে তাদের নির্দিষ্ট সময়ের আধাঘণ্টা আগে এয়ারপোর্টে ঢুকতে হবে। ডিউটি শেষে আধা ঘন্টা পর বের হতে হবে। যাতে আমরা যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে পারি।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ সরকারেরমাহবুব আলী বলেন, কাস্টমসের সঙ্গে কথা হয়েছে, যাতে ঢালাওভাবে সব যাত্রীর ব্যাগ চেক করা না হয়। কাস্টমস এর আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট হারে এবং তথ্যের ভিত্তিতে যাকে সন্দেহ হবে তাকে চেক করা হবে। চেক করতে গিয়ে যাত্রীদের আসা যাওয়ায় যাতে কোনো হয়রানি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে কর্মকর্তারা হয়রানি ও অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে- সাংবাদিকদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে প্রত্যেক যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ না করা হয়। যাতে হয়রানি না করা হয়। যাদেরকে তারা প্রয়োজন মনে করবে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। প্রয়োজনে তাদেরকে আলাদা করে জিজ্ঞাসা করা হবে। দেশের বিমানবন্দরে প্রতিদিন ২১ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে। এত সংখ্যক যাত্রীকে প্রশ্ন করা একদিনে সম্ভব নয়। যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন কেবল তাদেরকেই করা হচ্ছে। বাকিরা যাত্রী কি না এই বিষয়টি ইমিগ্রেশন পুলিশ নিশ্চিত করবে।বিমান বন্দর পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
আরও পড়ুন: ওয়েবসাইটে বিমানের টিকিট ক্রয়ে ১০ শতাংশ ছাড়
২ বছর আগে
পর্যটন করপোরেশনকে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে: প্রতিমন্ত্রী
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে পর্যটন করপোরেশনকে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
৩ বছর আগে
বিমান যাত্রীদের হতাহতে ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে সংসদে বিল পাস
বিমান যাত্রায় মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ ৬০ হাজার ডলারের (১.৪ কোটি) ব্যবস্থা রেখে জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন, ১৯৯৯) বিল ২০২০’ পাস হয়েছে।
৩ বছর আগে