সরকারি কর্মচারী
জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷ এছাড়া যৌথ প্রচেষ্টার পাশাপাশি তাদের মধ্যে থাকতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তাই সবাই মিলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোনো বাধা সামনে দাঁড়াতে পারবে না।’
শনিবার (২৯ জুন) সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদসমুহের ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে উভয়কেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদসমূহের ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি মাইলফলক। ক্যাশলেস করার কারণে রাজস্ব সংগ্রহ বহুগুণ বাড়বে। এই সেবা শুধু ঢাকা জেলায় নয়, সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে৷ দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম চালু করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি নয়, স্মার্ট ক্যাশলেস সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তিও কমবে৷ আগে আমরা দেখেছি, দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে রাজস্ব প্রদানসহ যেকোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধে অনীহা দেখা যেত। কিন্তু, ক্যাশলেস স্মার্ট সেবার মাধ্যমে জনগণ খুব সহজেই বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারবে।’
ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমদ, জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ আনার কলি পুতুল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
৪ মাস আগে
সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের জনসেবকরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছে।
তিনি বলেন, রাজ্য ও ক্ষমতাসীন দল এখন এক সত্তায় পরিণত হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করার কথা, কিন্তু তারা ক্ষমতাসীন দলের হয়ে কাজ করছেন।
রবিবার জাতীয় পার্টির কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা সরকারের কোনো অন্যায় আদেশ মানতে বাধ্য নয়।
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসনের মনে রাখা উচিত যে তারা জনসেবক ও তাদের উচিত প্রতিটি মানুষ এবং প্রতিটি দলের মানুষের সঙ্গে সমান আচরণ করা।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, যারা লুণ্ঠনে লিপ্ত তারা এখন সমাজে সম্মানিত এবং সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তিরা অযোগ্য ও মূর্খ হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন তাদের সম্পদ ও জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করে জিএম কাদের বলেন, সাধারণ মানুষ ইভিএমে বিশ্বাস করে না এবং তারা এই মেশিন ব্যবহার করে ভোট দিতে চায় না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ মনে করে ইভিএম হচ্ছে ভোট কারচুপির আধুনিক মেশিন।
এছাড়া দেশের মানুষ মনে করে সরকার ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন করতে চায় ফলাফল কারচুপির জন্য।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলাপের কথা স্মরণ করে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ও কয়েকটি দল ছাড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে।
তবে নির্বাচন কমিশন এখনও ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
এমনকি নির্বাচন কমিশন অকার্যকর ও অকেজো ইভিএম চালাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এই উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখছে। ইভিএম দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় এবং দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ইভিএমে বিশ্বাস করে না।
তিনি আরও বলেন, তাদের দল কোনো কারচুপির নির্বাচন দেখতে চায় না এবং এ ধরনের নির্বাচনে জিততেও চায় না।
আমরা চাই জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে।
আরও পড়ুন: যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল ফোন ট্যাপিং অনৈতিক: জিএম কাদের
১ বছর আগে
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতির বিধান বাতিল
সরকারি কোনো কর্মচারীকে ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতির বিধান অসাংবিধানিক উল্লেখ করে তা বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, সংবিধান হলো দেশের মূল আইন। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতির বিধান করে একটি সুনির্দিষ্ট গ্রুপকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। এটা বৈষম্যমূলক। সংবিধানের ২৬. ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদেও পরিপন্থী (ভায়োলেশন)।
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের গেজেট জারি হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে বলা হয়- ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হবে। আইনের ৪১(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।’
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন ৪১(১) ধারায় বিশেষ সুবিধা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে এ রিট করা হয়। আদালতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪১(১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ২৬(১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই রুলের ওপর বুধবার চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী আজ রায় দেয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, একই ধরনের সুযোগ দিয়ে ২০১৩ সালে দুদক আইনের ৩২(ক) ধারা প্রণয়ন করলে জনস্বার্থে রিট করলে আদালত আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে বাতিল ঘোষণা করেন। একই সুযোগ সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দেয়ার জন্য ২০১৮ সালে প্রণীত সরকারি চাকরি আইনের ৪১(১) ধারা আদালতের ওই রায়ের এবং সংবিধানের পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: একদিন পরেই এনামুল বাছিরের জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
ইসি নিয়োগে নাম প্রস্তাবকারীদের তথ্য না দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
২ বছর আগে
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে সরকারের পূর্ব অনুমতি নেয়ার বিধান কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সাথে ফৌজদারি মামলার পলাতক আসামি হওয়ার পরও কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিনকে পোস্টিং দেয়া থেকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া এনডিসি এস এম রাহাতুল ইসলামকে বরিশালে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পোস্টিং দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ রবিবার এ রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
গত ২৩ আগস্ট ফৌজদারি মামলার আসামি কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীনসহ চার জনের পোস্টিংয়ের বৈধতা নিয়ে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রুল জারি করেন হাইকোর্ট। নির্যাতনের শিকার কুড়িগ্রামের সাংবাদিক মো. আরিফুল ইসলাম রিগান এ রিট দায়ের করেন। রিটে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
রিটকারীর আইনজীবীরা বলেন, ওই চার সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে। সে মামলায় তারা এখনো জামিন নেননি। ফলে আইনের দৃষ্টিতে তারা এখনো পলাতক। অথচ তারা ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে বরখাস্ত না করে একজনকে পোস্টিং দেয়া হয়েছে এবং অন্য তিন জনকে পোস্টিংয়ের চেষ্টা চলছে। যা আইনবহির্ভূত। তাই এক জনের পোস্টিংয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং মামলার তিন আসামিকে যেন পোস্টিং দেয়া না হয় সেজন্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী আইনে গোপনে একটি ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করতে হলে সরকারের পূর্বানুমতি নিতে হবে। এই ধারা সংবিধান পরিপন্থী।’
সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। আমলযোগ্য অপরাধে যে কারও বিরুদ্ধে মামলা হলেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। কিছুদিন আগে কয়েকজন ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা হওয়ার পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। অথচ প্রশাসনের এদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান বৈষম্যমূলক।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
তিনি বলেন, ‘আমি শুনানিতে বলেছি, মাননীয় আদালত পলাতক আসামি এখন বিচারকের ভূমিকায় পদায়ন করা হয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব? হাইকোর্টের নির্দেশে কুড়িগ্রামের ঘটনায় সাবেক ডিসিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সে মামলায় ডিসি ছাড়াও তিনজন সহকারি কমিশনার পলাতক। তাদের গ্রেপ্তার না করে বরং একজনকে পোস্টিং দেয়া হয়েছে।
মামলা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মৌখিকভাবে বলেছে, তাদের গ্রেপ্তার করতে হলে সরকারের পূর্বানুমতি লাগবে। এজন্য রিটটি করা হয়। আদালত রুল দিয়েছেন।
কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনের নামে জেলা প্রশাসনের একটি পুকুরের নামকরণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা। এরপর তাকে ক্রসফায়ারে দেয়ার হুমকি দিয়ে জেলা প্রশাসনে নিয়ে বিবস্ত্র করে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। পরে তার কাছে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়ার অভিযোগ এনে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে মধ্যরাতেই কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনা গণমাধ্যমগুলো তুলে ধরলে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় পরদিন ঘটনাস্থলে যান রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। তার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এনডিসি এসএম রাহাতুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: কারাগারে চিকিৎসকের ২৯ শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা শুরু করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যার ধারাবাহিকতায় সুলতানা পারভীনকে দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) স্থগিত, এনডিসি রাহাতুল ইসলামের তিনটি ইনক্রিমেন্ট কর্তন, আরডিসি নাজিম উদ্দিনকে নিম্নধাপে নামিয়ে দেয়া ও রিন্টু বিকাশ চাকমাকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যদিও রিন্টু বিকাশ চাকমার বিষয়টির এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। তবে অন্যদের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। তাদের মধ্যে এনডিসি রাহাতুল ইসলামকে বরিশালে পোস্টিং দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে
মন্ত্রিসভার সদস্যদের সম্পদের হিসাব দেয়ার পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও সম্পদের হিসাব দেয়ার পক্ষে মত দিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, আগামী থেকে আমরা সম্পদের হিসাব দিয়ে দেব।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ-সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’অনুযায়ী পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ নিয়ম মানছেন না।
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে সম্প্রতি নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
সরকারি চাকরিজীবীদের মতো প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনি সম্পদের হিসাব দেবেন কি না, অন্যান্য মন্ত্রীদেরও সম্পদের হিসাব দেয়া উচিৎ? প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।
‘আমি তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, কথা দিয়েছি, আমরা নিয়মিতভাবে যেহেতু রিটার্ন জমা দেই, আমরা অবশ্যই তিন বছর পর পরই কিন্তু এটি জমা দেব। আমরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হই। অন্তত আমাদের এখানে একবার বা দুবার জমা পড়বেই,’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনে কিন্তু আপনি যে কোন মন্ত্রীর ট্যাক্স রিটার্ন কপি নিতে পারেন। কোন অসঙ্গতি থাকলে আপনারা কিন্তু অভিযোগ করতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন অনিয়ম দেখলে সেখানেও কিন্তু ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ও রয়েছে। আমাদের বিচার বিভাগ একদম স্বাধীন। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন অত্যন্ত ভালো কাজ করছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ: ওসি প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
সম্পদের হিসাব দেয়ার পক্ষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই আপনার মতের সঙ্গে আমরা একমত। আমরা চাই যে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার জন্য আমরা আগামী থেকে সকলেই কর্মকর্তারা এবং আপনি জানেন যে নির্বাহী বিভাগের প্রধান যেমন আমাদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা সকলেই কিন্তু এ জিনিসটা আমরা দিব। তবে এটুকু বলতে চাই, প্রতি বছরই কিন্তু আমাদেরকে দিতে হচ্ছে। আমরা যারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের কিন্তু এ বিষয়টি অত্যন্ত সচেতনভাবে করতে হয়, কারণ নির্বাচনী বিধি-আইন, অনেক কিছুই আছে।
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা যেটি মেনে চলবেন স্যার, ম্যাডাম বা এমন কিছু সম্বোধন করতে হবে এমন কোনো রীতি নাই।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া এসময় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার আহ্বান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর
পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
৩ বছর আগে
রাজনীতিবিদের চেয়ে সরকারি কর্মচারীরা বিদেশে বেশি অর্থপাচার করেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কানাডার টরোন্টোতে রাজনীতিবিদদের পেছনে ফেলে সরকারি কর্মচারীরা বেশি অর্থপাচার করেছেন জেনে নিজে অবাক হয়েছেন বলে বুধবার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
৪ বছর আগে