সার
সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখা ও টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশে সার, বীজসহ কৃষি উপকরণের কোনরকম দাম বাড়ান হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পলিসি হলো যেকোন মূল্যে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা ও খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা। সেজন্য, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে যত কষ্টই হোক সরকার বীজ, সারসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়াবে না। অন্যান্য খাতে যে পলিসিই নেয়া হোক না কেন, কৃষিখাতে বিশাল ভর্তুকি প্রদানসহ সকল সহযোগিতামূলক নীতি অব্যাহত থাকবে। কৃষি উৎপাদন টেকসই করতে যা যা করা দরকার, তা অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার অদূরে সাভারের ব্র্যাক সিডিএম মিলনায়তনে সার্কভুক্ত দেশসমূহে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন নেটওয়ার্ক (বায়েন) ও ভারতের পার্টিসিপেটরি রুরাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ সোসাইটি (প্রাডিস) যৌথভাবে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, আমনে বাম্পার ফলন হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত আছে। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না, ইনশাল্লাহ এ গ্যারান্টি দিতে পারি।
ফসলের গবেষণা ও সম্প্রসারণের মধ্যে বিরাট গ্যাপ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গবেষক/বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত জাত যেটি গবেষণা পর্যায়ে বিঘাতে ৮ মণ উৎপাদন হয়, সেটি সম্প্রসারণের পর কৃষক পর্যায়ে দেখা যায় উৎপাদন হয় বিঘাতে ৩-৪ মণ। এটি কেন হবে, এই বিশাল গ্যাপ কমিয়ে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নত দেশগুলোর প্রতি খাদ্যকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ফসলের উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি খুবই ধীরে সম্প্রসারণ বা কৃষকের নিকট পৌঁছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি ধান, সরিষাসহ অনেক ফসলের কতগুলো উন্নত উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন। এদের মধ্যে লবণসহিষ্ণু জাতও রয়েছে। কিন্তু এগুলো মাঠে কৃষকের নিকট যাচ্ছে খুবই দেরিতে। এতো দেরিতে মাঠে যাওয়ার কারণ কি, তা সম্প্রসারণকর্মীদের খুঁজে বের করতে হবে। সম্প্রসারণকর্মীদেরকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রাডিসের সিনিয়র এডভাইজর ভিভি সাডামাতে, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি দানিয়েল গুস্তাফসন, বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, বায়েনের সভাপতি হামিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ভূইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কৃষি সম্প্রসারণকর্মীদের তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের ৩৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
সুগারমিলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী
ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট: খাদ্য, জ্বালানি, সারের ঘাটতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান
সদ্য অনুষ্ঠিত ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের ঘাটতির ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
তারা সমসাময়িক বাস্তবতাকে তুলে ধরে এমন পুনর্বক্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বহুপাক্ষিকতারও আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের সম্মিলিত জবাব দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অধিবেশনে, মন্ত্রীরা আন্তর্জাতিক ভৌগলিক পরিবেশের ক্রমবর্ধমান বিভক্তির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং গ্লোবাল সাউথের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের জন্য কীভাবে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যায় সে বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেন।
ভারত ১২ থেকে ১৩ জানুয়ারি এই দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক। সামিটটি ভার্চুয়াল ফর্ম্যাটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এতে মোট ১০টি সেশন ছিল।
এতে বাংলাদেশসহ গ্লোবাল সাউথের ১২৫টি দেশের নেতা ও মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র গঠনমূলক পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতাদের নিয়ে ১২ জানুয়ারির উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
এর পরে আটটি মন্ত্রী পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক বিভাগগুলো উন্নয়নশীল বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগগুলোকে সমাধান করার জন্য নিবেদিত হয়েছিল।
১৩ জানুয়ারি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত নেতাদের একটি সমাপনী অধিবেশনের মাধ্যমে শীর্ষ সম্মেলনটি সমাপ্ত হয়।
জ্বালানি মন্ত্রীদের অধিবেশনে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি এবং মানব উন্নয়নের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতার মধ্যে জ্বালানিতে অ্যাক্সেস, শক্তির উৎসের বৈচিত্র্যের মাধ্যমে জ্বালানির সাশ্রয়ীতা নিশ্চিত করা, নবায়নযোগ্য এবং বিকল্প জ্বালানি উদ্ভাবনের জন্য সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো ভাগাভাগি করা এবং জৈব জ্বালানির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো ছিল মিথস্ক্রিয়াটির মূল বিষয়।
বাণিজ্য/বাণিজ্য মন্ত্রীদের অধিবেশনে, মন্ত্রীরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যবসা এবং বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার কৌশলগুলো তুলে ধরেন; যোগাযোগ এবং বাণিজ্য সময়োপযোগী করা; জটিল প্রযুক্তি এবং সংস্থানগুলোতে ব্যবহার নিশ্চিত করা; তৃণমূল উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনের সুযোগ করে দেয়া; এবং সরবরাহ চেইনের বৈচিত্র্য আনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ চট্টগ্রাম পৌঁছেছে
মন্ত্রীরা একমত হয়েছেন যে মহামারি পরবর্তী একটি টেকসই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সহজীকরণ, প্রযুক্তি ভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়ন, অবকাঠামোতে বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক বাজারে ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর নির্ভরশীল হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের অধিবেশনে, অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল পাবলিক পণ্যের বিকাশ, ঐতিহ্যগত ওষুধের প্রচার, জনসাধারণের সক্ষমতা তৈরি এবং আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক বিকাশের উপায় ও উপায় এবং জ্ঞান ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিফলন হিসাবে মন্ত্রীরা কোভিড মহামারি চলাকালীন ভারতের ভ্যাকসিন মৈত্রী উদ্যোগের বিশেষভাবে প্রশংসা করেছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রীদের অধিবেশনে, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তরিত করার ধারণাগুলো তুলে ধরেন, যা ভবিষ্যতে দক্ষ কর্মশক্তি তৈরি করতে পারে।
মন্ত্রীরা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষায় সমতা ও গুণমান প্রদানের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারে সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো বিনিময় করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কথা বলেছেন।
ভারত তার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি ভাগ করে নিয়েছে যা এক্সেস, ইক্যুইটি, কোয়ালিটি, ক্রয়ক্ষমতা এবং জবাবদিহিতার মূল স্তম্ভের ওপর তৈরি করা হয়েছে।
ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সির জন্য ধারনা ভাগ করে নেয়ার সেশনে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর তার জি২০ প্রেসিডেন্সির জন্য ভারতের মূল অগ্রাধিকারগুলো ভাগ করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে ভারত ভয়েস অব-এ অংশীদার দেশগুলো থেকে উৎপন্ন মূল্যবান ইনপুটগুলো নিশ্চিত করতে কাজ করবে। গ্লোবাল সাউথ সামিট জি২০ আলোচনা সহ বিশ্বব্যাপী যথাযথ স্বীকৃতি পায়।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
অংশগ্রহণকারী দেশগুলো প্রশংসার সঙ্গে স্বীকৃত যে শীর্ষ সম্মেলন ফলপ্রসূ কথোপকথন তৈরি করেছে এবং তাদের অগ্রাধিকার এবং চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে একটি কর্মমুখী সূচির মাধ্যমে একটি নতুন পথ নির্ধারণ করেছে। তারা সূচির এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সমাধানের জন্য অনুসন্ধানের মধ্যে তার বৃহত্তম স্টেকহোল্ডার, গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
অর্থমন্ত্রীদের অধিবেশনে, মন্ত্রীরা গ্লোবাল সাউথের উন্নয়ন চাহিদার অর্থায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অর্জন, আর্থিকখাতে ডিজিটাল পাবলিক পণ্যের বাস্তবায়ন এবং ফলাফল-ভিত্তিক এবং আর্থিকভাবে টেকসই উন্নয়ন অংশীদারিত্বের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
পরিবেশ মন্ত্রীদের অধিবেশনে স্থায়িত্বের সঙ্গে বৃদ্ধির ভারসাম্য রক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণে সর্বোত্তম অনুশীলনের ভাগাভাগি করা এবং ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর চালু করা পরিবেশের জন্য লাইফ বা জীবনধারার গুরুত্বের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা হয়েছিল।
মন্ত্রীরা ইক্যুইটি অ্যান্ড কমন বাট ডিফারেনসিয়েটেড রেসপনসিবিলিটিস অ্যান্ড রিস্পেক্টিভ ক্যাপাবিলিটিস (সিবিডিআর-আরসি) নীতি অনুসারে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় জলবায়ু অর্থায়ন এবং ক্ষতি ও ক্ষতির তহবিল সরবরাহের জন্য দ্রুত জলবায়ু ব্যবস্থা এবং সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-টোকিও ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ ঘনিষ্ঠ ও গভীর সম্পর্ক উন্নীত করার সুযোগ দেখছে
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে বিসিআইসিকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দুদককে এ বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।একইসঙ্গে ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্কিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
‘৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ’-শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোতে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আইনজীবী খুরশিদ আলম খান প্রতিবেদনটি নজরে আনলে আদালত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইউএফএস’র ১৫৮ কোটি টাকা লোপাট: এমডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট
প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা।
মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন।
পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মে’র মধ্যে।
সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি।
সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
চট্টগ্রামে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানায় আগুন, উৎপাদন বন্ধ
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডে (সিইউএফএল) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার পর থেকে কারখানায় সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সিইউএফএলের প্রাইমারি রিফরমারি ওয়েস্টেস বয়লারে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
সিইউএফএলের নিজস্ব দুইটি ফায়ার ট্রাক একঘন্টা চেষ্টায় আগুন নির্বাপণ সম্ভব হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কাফকোর (কর্ণফুলি ফার্টিলাইজার) থেকে একটি ও আনোয়ারা, চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কার্টন কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কম দামে সার কিনছে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় স্বল্পমূল্যে সার আমদানিতে পৃথক তিনটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির(সিসিজিপি) বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে আটক ৬, সার জব্দ
প্রস্তাব অনুযায়ী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ২০৪ দশমিক ৭২ কোটি টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন (এমটি) বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
প্রতি মেট্রিক টনের বিপরীতে খরচ হবে ৬৩২ ডলার, যা পণ্যটির আগের প্রতিটনের ক্রয়মূল্য ৬৭৮ ডলার থেকে প্রায় ৪৬ ডলার কম।
একইভাবে, বিসিআইসি কাতারের মুনতাজাত থেকে প্রায় ২০৪ দশমিক ৭২ কোটি টাকায় আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করবে, যার প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৬৩২ ডলার, আগের ক্রয়মূল্য থেকে ৪৬ ডলার কম।
এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় ৩০৯ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সৌদি আরবের মা'আদেন থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে।
এতে প্রতি মেট্রিক টন সারের মূল্য পড়বে ৭২৬ দশমিক ৫০ডলার। যা আগের প্রতিটনের ক্রয়মূল্য ৮৬৬ ডলার থেকে ১৩৯ দশমিক পাঁচ ডলার কম।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া এবং এমওপি সারের মূল্য ৯০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় কলিঙ্গা নদীর ওপর ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ৬১৪ মিটার পিএসসি গার্ডার সেতুর সিভিল নির্মাণকাজ সম্পাদনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের একটি প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: নকল সন্দেহে বগুড়ায় ৭ ট্রাক টিএসপি সার জব্দ
বগুড়ায় দোকান থেকে ৬৫ বস্তা সার জব্দ
৯০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভার ক্রয় কমিটি
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ৯০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানিসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) পৃথক চুক্তির অধীনে তিনটি ভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে তিনটি পৃথক লটে সম্পূর্ণ সার কিনবে।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ১৯৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া সার সংগ্রহ করা হবে এবং কাতারের মুনতাজাত থেকে পাঁচ হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সরকারি প্রকল্পের ঘর ভেঙে ফ্লাট তৈরি
সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে একই দামে বাকি ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করবে বিসিআইসি।
বিসিআইসি তার ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের জন্য ২৩৩ কোটি ৮২ লাখ টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানি করবে।
কমিটি (১) দোহাটেক মিডিয়া বাংলাদেশ এবং(২) জিএসএস ইনফোটেক লিমিটেড এর যৌথ উদ্যোগে নিয়োগের জন্য বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়। এছাড়া ৫১ কোটি ২৩ লাখ টাকা মূল্যের চুক্তিতে ইন্ডিয়া তার ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রকল্পের জন্য পরামর্শক হিসাবে কাজ করবে।
এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত বিভাগের একটি ১৪৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪তলা আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস লিমিটেডকে একটি চুক্তি প্রদানের প্রস্তাবের অনুমোদন পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
এশিয়ায় খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ১৪ বিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
ধানখেতে সার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
খুলনার কয়রায় ধানখেতে সার দেয়ার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কালনা বিলে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত কৃষকের নাম নূর ইসলাম গাজী। তিনি ওই ইউনিয়নের কালনা গ্রামের মৃত আলি গাজীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নূর ইসলাম কালনা বিলে তার নিজের ধানখেতে সার দেয়ার সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয় আর সেই সঙ্গে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে তিনি আহত হন। স্থানীয়রা টের পেয়ে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, নূর ইসলাম তার নিজের ধানখেতে সার দিচ্ছিল। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণচরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
মেঘনায় বজ্রপাতে জেলে নিখোঁজ, আহত ১
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
সারের সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
মজুতদার এবং গুজবকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মঙ্গলবার বলেছেন, কেউ দেশে কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, 'গত বছরের থেকে এবার সারের বরাদ্দ এক টনও কমেনি, কিন্তু চাষের জমির পরিমাণ কমেছে। এ অবস্থায় সার সংকট হওয়ার সুযোগ নেই। সার নিয়ে গুজব সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ কারণে যাদের এক বস্তা সার প্রয়োজন তাঁরা দুই বস্তা সার সংগ্রহের চেষ্টা করছে।'
আরও পড়ুন: মদিনা সনদ আমাদের সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেয়: খাদ্যমন্ত্রী
সকালে ১০ টায় নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রস্তাবিত রাইস সাইলো নির্মাণের মাটি ভরাট কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, যাদের সার প্রয়োজন নেই, তারাও ডিলারের কাছে গিয়ে দীর্ঘ লাইন ধরে একটা ঝামেলা তৈরি করে অঘটন ঘটনার চেষ্টা করছে। নওগাঁয় সারের সংকট যাতে না হয় সেজন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ নেয়া হয়েছে। কোথাও সারের কোন সংকট নেই।
সাধন চন্দ্র বলেন, সার, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সাথে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করলে কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা, ডিলারশিপ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
নওগাঁয় প্রস্তাবিত অত্যাধুনিক রাইস সাইলো সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নওগাঁয় ১৫ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক সাইলো। ইতোমধ্যেই এখানে মাটি ভড়াটের কাজ শুরু হয়েছে। সাইলোর নির্মাণ সম্পন্ন হলে নিরাপদ মজুতের পাশাপাশি এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
সাইলোতে দুই বছর পর্যন্ত চাউল মজুত রাখলেও বিবর্ণ ও গুণগত মান নষ্ট হবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতির অসীম সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. সহিদুজ্জামান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবিরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নকল সন্দেহে বগুড়ায় ৭ ট্রাক টিএসপি সার জব্দ
গুদামজাত করার আগে নকল সন্দেহে বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) সাত ট্রাক সার জব্দ করেছে বগুড়া বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) কর্তৃপক্ষ। ট্রাকগুলোতে ৯৮ হাজার কেজি সার রয়েছে বলে জানা গেছে।
বগুড়া বাফার গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল জানান, সোমবার কয়েক বস্তা সারের মান পরীক্ষার পর সন্দেহ হলে সার খালাস না করে সার ভর্তি ট্রাকগুলো জব্দ করা হয়।
বাফা জানায়, গত রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে সাতটি ট্রাক বগুড়ায় পৌঁছায়। প্রতিটি ট্রাকে ২৮০ বস্তা সার রয়েছে। পরে সোমবার সকালে ২৪ বস্তা সার পরীক্ষা করে নকল ও ভেজাল বলে মনে হয় কর্তৃপক্ষ ট্রাকগুলো জব্দ করে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, বিপুল পরিমাণ নকল সারসহ কারখানার সন্ধান
মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। মঙ্গলবার সারগুলো ভালোভাবে পরীক্ষার জন্য একটি টিম আসবে। সারগুলোর পরিবহন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএইচআর করপোরেশন।
ট্রাকচালক আব্দুল আউয়াল বলেন, শনিবার পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে সাতটি ট্রাকে সার লোড করে রবিবার রাত ৩টার দিকে বগুড়া বাফার গুদামে পৌঁছাই। সকালে কর্মকর্তারা নকল সন্দেহে ট্রাকগুলো জব্দ করে।
আরও পড়ুন: ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল: কৃষি মন্ত্রণালয়
দেশে কৃষকদের জন্য সার উৎপাদনের পাশাপাশি ঘাটতি পূরণে সার আমদানি করে থাকে বিসিআইসি। দেশের ২৪টি বাফার গুদামের একটি বগুড়ার পুরান বগুড়া তিনমাথা এলাকায় অবস্থিত। বিদেশ থেকে আমদানি করা সার এখানে সংরক্ষণ করা হয়। বগুড়ার সার আসে সাধারণত সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি, খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন নৌ-বন্দর থেকে। বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার পরিবহন করা হয়। নিয়ম অনুয়ায়ী, পরিবহন ঠিকাদারের মাধ্যমে গুদামে আসা সার সম্পূর্ণ বুঝিয়ে দিলে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের (ঠিকাদার) ম্যাটেরিয়াল রিসিভ রিপোর্ট দেন। সেই রিপোর্ট দেখিয়ে পরিবহন ঠিকাদাররা তাদের প্রাপ্ত টাকা বুঝে নেন। এরপর বগুড়া গুদাম থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সার সরবরাহ করা হয়।
বগুড়ায় দোকান থেকে ৬৫ বস্তা সার জব্দ
বগুড়ার আদমদীঘির একটি মুদি দোকান থেকে ৬৫ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার ছাতিয়ান গ্রাম ইউপির অন্তাহার গ্রামের ‘স্বপন স্টোর’ নামের একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে এ সার জব্দ করা হয়।
জানা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় সার মজুদের অভিযোগে ওই দোকানের মালিক স্বপন হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারি উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, আদমদীঘির অন্তাহার গ্রামের ভেতর স্বপন স্টোর নামের একটি দোকানে বিপুল পরিমাণ সার অবৈধভাবে মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শ্রাবণী রায়ের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদ করা ২৫ বস্তা ডিএপি সার, ২০ বস্তা এমওপি সার ও ২০ বস্তা ইউরিয়া সারসহ মোট ৬৫ বস্তা সার জব্দ করেন।
এসময় অবৈধ ভাবে সার রাখার অপরাধে স্টোরের মালিক স্বপন হোসেনের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জব্দ করা সার এলাকার দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ন্যায্য মূল্যে গ্রামের কৃষকদের মাঝে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মজুদ ১৭ হাজার বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ, বগুড়ায় গুদাম সিলগালা
নাটোরে আটক ৬, সার জব্দ