কোম্পানি
সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: ক্ষুদ্র কোম্পানির উত্থান ভালো, হোঁচট খেল ব্যাংক খাত
সপ্তাহজুড়ে রাজধানীর পুঁজিবাজারে লেনদেনে ভালো অবস্থানে আছে ক্ষুদ্র ও মধ্যম আকারের কোম্পানির এসএমই সূচক। অন্যদিকে এর আগের সপ্তাহে উত্থানের পর গত সপ্তাহে আবারও হোঁচট খেল ব্যাংক খাত।
গত পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ৯৭০ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া এ সূচক সপ্তাহে শেষে ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫ পয়েন্ট।
শুধু এসএমই খাত না, সপ্তাহান্তে ডিএসই'র প্রধান সূচক বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। এছাড়া বাছাইকৃত ব্লু-চিপ কোম্পানি ডিএস-৩০ এর সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট এবং শরীয়া ভিত্তিক সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় রেখে লেনদেন বেড়েছে পুঁজিবাজারে
অন্যদিকে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাংক খাতের শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব বজায় থাকলেও এবার রীতিমতো হোঁচট খেয়েছে এ খাত। ব্যাংক খাতের শেয়ারের দাম কমেছে ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
দাম কমতে শুরু করায় বিনিয়োগকারীরা লেনদেন কমিয়ে দিয়েছেন এ খাতের শেয়ারে। সপ্তাহ ব্যবধানে এ খাতের শেয়ারের লেনদেন কমেছে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে ১৫ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়লেও দাম কমেছে ১৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫ ব্যাংকের শেয়ারের দাম।
ব্যাংক খাতের শেয়ারের পাশাপাশি আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোও সুবিধা করে উঠতে পারেনি গেল পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে। লেনদেনে অংশ নেয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে মাত্র ৩, কমেছে ১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়লেও গেল সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নগামী। ১৭৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ১৮৪ কোম্পানির। অন্যদিকে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দামে আসেনি কোনো পরিবর্তন।
সপ্তাহের প্রথমদিন ৯ মার্চ পতন দিয়ে লেনদেনে শুরু হওয়ার পর উত্থানের বাকি দিনগুলোতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ারবিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায়। সপ্তাহের শেষদিন ১৩ মার্চ এসে ঢাকার পুঁজিবাজারের গড় লেনদেন দাঁড়ায় ৩৯০ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৬২ কোটি টাকা।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
ডিএসইতে গেল সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইউফিউশান, বিচ হ্যাচারি এবং লভেলো কোম্পানির শেয়ার। এরমধ্যে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ লেনদেন বেড়ে শীর্ষে আছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
ঢাকার বাজারে দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা বেশিরভাগ কোম্পানিই বি এবং জেড ক্যাটাগরির। শীর্ষ দশে এ ক্যাটাগরির কোম্পানি মাত্র তিনটি। ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেন শেষে দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে বি ক্যাটাগরির কোম্পানি এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস।
অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে এ ক্যাটাগরির কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় আছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
ডিএসইতে খারাপ কোম্পানির দৌরাত্ম্য প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, এখনো পুঁজিবাজার স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসেনি। এতে করে প্রায়শই খারাপ কোম্পানিকে পুঁজি করে কারসাজিকারিরা ফায়দা লুটতে চায়। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা চায় ক্ষতি পোষাতে এসব কোম্পানিতে অর্থলগ্নি করে দ্রুত মুনাফা তুলতে। এজন্যই শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় বি কিংবা জেড ক্যাটাগরির আধিপত্য দেখা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির এক সদস্য বলেন, পুঁজিবাজারে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে এখনো সময় লাগবে। বিনিয়োগকারীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলে বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়বে।
ভালো কোম্পানির বিনিয়োগ এবং দেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী বিদেশি কোম্পানির আইপিও বাজারে আসলে পুঁজিবাজার আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা।
৩৩ দিন আগে
টানা তিন দিন উত্থানের পর পুঁজিবাজারে ফের পতন
টানা তিন কার্যদিবস উত্থানের পর আবারও পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা, চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। এতে করে একদিকে কমেছে সূচক, অন্যদিকে দর নেমে গেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ২ এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট।
গত কার্যদিবসের বছরের সর্বোচ্চ ৬০০ কোটি টাকার ওপর লেনদেন একদিনের মাথায় আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬৩ কোটি টাকায়।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৭টি কোম্পানির। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—সবকটিতেই ছিল কোম্পানিগুলোর দরপতনের প্রাধান্য। বিশেষ করে, ভালো কোম্পানির শেয়ার নামে খ্যাত ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২১৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দরবৃদ্ধি এবং অপরিবর্তিতের তালিকায় ছিল সিংহভাগ কোম্পানি। বিপরীতে দাম কমেছে ১০টি কোম্পানির।
এদিন সরকারি ৪ করপোরেট বন্ডের সবকটির দাম বেড়েছে। দাম বেড়েছে লেনদেন হওয়া একটি সরকারি সিকিউরিটিজেরও।
আরও পড়ুন: রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি প্রকাশ
ব্লক মার্কেটে আজ মোট ২৭টি কোম্পানির ২৬ লাখ শেয়ার ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার বাজারে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে সারা দিনের লেনদেনে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে, ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি।
চট্টগ্রামেও পতন
ডিএসইর মতো পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই)। সকালে উত্থান দিয়ে শুরু করলেও দিনের শেষে সিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২১২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে আজ মোট ১০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড।
অন্যদিকে, ১০ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে ভ্যানগার্ড এএমএল রুপালি ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড।
৫০ দিন আগে
উত্থানের ধারা অব্যাহত পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে টানা উত্থানের ধারা বজায় আছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। সূচক বাড়ার পাশাপাশি দুই বাজারেই বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সারাদিনের লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৭ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে গতদিনের তুলনায় ২৭ কোটি টাকা। একদিনের শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয়ে মোট ৪৭১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট। সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনেও ঊর্ধ্বগতি। একদিনে সিএসইতে মোট ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে; যা গতদিন ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৪০১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৭, কমেছে ১২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দরবৃদ্ধির হিসাবে তিন ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানিরই দাম বেড়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৯৯ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮০, অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৫৭ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ ৫০ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ২৭ এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ১৭ কোম্পানির।
আরও পড়ুন: উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে দুই পুঁজিবাজারে
লেনদেন হওয়া মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম অপরিবর্তিত ছিল। ১৭ কোম্পানির দামে আসেনি কোনো পরিবর্তন, দাম বেড়েছে ১৩ কোম্পানির এবং কমেছে ৭ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৮ কোম্পানির ৪১ লাখ শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এর মধ্যে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড একাই ৭ লাখ শেয়ার ৭ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নাম। একদিনের ব্যবধানে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। অন্যদিকে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে আছে শিকদার ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার।
ডিএসই'র মতো সিএসইতেও ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে আছে লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি।
৭১ দিন আগে
পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে সামান্য, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
ঢাকার পুঁজিবাজারে উত্থান দিয়ে লেনদেন শেষ হলেও সূচক বেড়েছে সামান্য। পাশাপাশি বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে মাত্র ১ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০-এর উত্থান ছিল দশমিকের ঘরে।
সারাদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪০, কমেছে ১৮৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিতে দামবৃদ্ধির পরিমাণ বেশি। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৭৮, কমেছে ১০৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ২৪, কমেছে ৪৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু দেশের পুঁজিবাজারে
অন্যদিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৩৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে অপরিবর্তিত ছিল ১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম। দাম বেড়েছে ৬ এবং কমেছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ১৯ কোম্পানির ২৫ লাখ শেয়ার ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এরমধ্যে বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের ২ লাখ ৩৭ হাজার শেয়ার সর্বোচ্চ ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ডিএসইতে দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে আছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। একদিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ দাম কমে তলানিতে অবস্থান করছে অনিলমায়ার্ন ডায়িং লিমিটেড।
বিনিয়োগকারীদের ১৭০ শতাংশ ফেসভ্যালু প্রতি লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে টেলিকম খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন। চলতি বছর এপ্রিলের ২৩ তারিখে কোম্পানিটির বার্ষিক সভা হওয়ার কথা। ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, গ্রামীণফোনে শেয়ারপ্রতি লাভ হয়েছে ২৬ টাকা ৮৯ পয়সা। লভ্যাংশ ঘোষণা দেওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী, মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে সার্কিট ব্রেকার তুলে দেয়া হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লভ্যাংশ না দেওয়ায় ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি বেকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এবং রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেডকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে প্রেরণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ডিএসই। ২০২৪ সালে বেকন ফার্মাসিটিক্যালস ২০ শতাংশ এবং রহিমা ফুড ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিলেও পেরিয়ে গেছে নির্ধারিত সময়।
‘বি’ ক্যাটাগরির আরেক কোম্পানি বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস পিএলসি দশমিক ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিলেও নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ডিএসসি কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে প্রেরণ করেছে। মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউসকে ‘জেড’ ক্যাটাগরির নতুন এ তিন কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের কোনো ঋণ না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ডিএসই।
মঙ্গলবার ডিএসই তালিকাভুক্ত মোট পাঁচ কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের পূর্বঘোষিত লভ্যাংশ প্রদান করেছে। এদের মধ্যে ফার্মা এইডস সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড ২৩ শতাংশ, লাভেলো আইসক্রিম ১০ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেম লিমিটেড ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং জিকিউ বলপেন লিমিটেড ৩ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে।
খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে, একদিনের লেনদেন ডিএসইতে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে কাগজ এবং প্রিন্টিং খাতের কোম্পানি। এ খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। দাম বেড়েছে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির সবকটির।
এদিকে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ দাম হারিয়ে পতনের মুখে পড়েছে সিমেন্ট খাত। এ খাতের সাত কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৫ এবং বেড়েছে ২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেড়েছে সূচক। সারাদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮০, কমেছে ৮৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: টানা দুদিন ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
সিএসইতে দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে আছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানি। একদিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দাম হারিয়ে এভিন্স টেক্সটাইল লিমিটেড অবস্থান করছে তলানিতে।
ডিএসসিতে সামান্য সূচক বাড়ার পাশাপাশি গতদিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৩ কোটি টাকা। একদিনে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪৪ কোটি টাকা। তবে লেনদেন কমেছে সিএসইতে। একদিনে সিএসইতে মোট ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
৭২ দিন আগে
টানা চতুর্থদিনের মতো পতনের মুখে পুঁজিবাজার
টানা চতুর্থদিনের মতো সূচকের পতন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুর ঘণ্টা থেকে পতনের ধারা অব্যাহত ছিল শেষ পর্যন্ত। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি সূচকের পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
ডিএসইর শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে ৭ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক কমেছে দশমিক ৬৭ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ২০৬, বেড়েছে ১২৪ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: টানা পতনের মুখে পুঁজিবাজার, তিন দিনে সূচক কমেছে ৪০ পয়েন্ট
ক্যাটাগরি হিসেবে, ‘এ’ ক্যাটাগরির ৯৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে ৮০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৩ কোম্পানির শেয়ার দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৬২ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে ২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ ৪৯ কোম্পানির দাম কমেছে। বেড়েছে ২১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে অপরিবর্তিত ছিল ১৯ কোম্পানি, কমেছে ১০ এবং বেড়েছে ৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৯ কোম্পানির ২৯ লাখ ১০ হাজার শেয়ার ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে ডিএসইতে। সারাদিনের লেনদেনে মোট ৩১৪ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩২৮ কোটি টাকা।
ডিএসইর এসএমই খাতের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ঢিলেঢালাভাবে। এই খাতের ডিএসএমইএক্সের সূচক বেড়েছে ১ শতাংশেরও কম।
সারাদিনের লেনদেন এ খাতে মোট ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বেড়েছে ৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও এ খাতে গতদিনের তুলনায় লেনদেন সামান্য বেড়েছে। মঙ্গলবার এই ইনডেক্সে মোট ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিশেষ বিনিয়োগের পরিমাণ ও সময়সীমা বাড়াতে গভর্নরকে চিঠি
সূচকের পতনের দিনেও হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলসের শেয়ারের দাম ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে ছিল কোম্পানিটি। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ দাম কমে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রিমিয়াম সিমেন্ট মিলস পিএলসি।
সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৪৩ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৯১ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৯৭, বেড়েছে ৬৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমার পাশাপাশি সিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সিএসইতে গত দিনের ১০ কোটি টাকার লেনদেন বুধবার নেমে এসেছে ৪ কোটির ঘরে।
৭৮ দিন আগে
বড় পতন পুঁজিবাজারে, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
উত্থান দিয়ে শুরু করলেও সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারের লেনদেন। দিন শেষে কমেছে তিনটি সূচকই, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৫ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৫ পয়েন্ট।
দিনের প্রথম ঘণ্টায় সূচক বেড়ে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ২১২ পয়েন্ট থেকে দিনের শেষ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। লেনদেন অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির ১২ কোটি ৬২ লাখ শেয়ার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৭ বার হাতবদল হয়েছে।
লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯২, কমেছে ২৪৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৫৬, কমেছে ১২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ২০ কোম্পানির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৬১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: উত্থানের ধারা বজায় রেখে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা ৮৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২০, কমেছে ৬১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। নতুন ইস্যুকৃত শেয়ার ‘এন’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ১ এবং কমেছে ৩ কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪, কমেছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসই তালিকাভুক্ত দুটি কর্পোরেট বন্ডের দুটির দামই কমেছে।
এদিকে গতবছর তৃতীয় প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এক শতাংশ করে লভ্যাংশ দেওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করলেও মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিএসইসি।
একইভাবে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড এবং শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। নির্ধারিত লভ্যাংশ না দেওয়ায় কোম্পানি দুটির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিএসইসি। তবে কোম্পানি দুটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বেসরকারি ব্যাংক ডাচ-বাংলা পিএলসিকে বাজারে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেট বন্ড ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আন্তর্জাতিক নীতিমালা ব্যাসেল-৩ অনুসারে, মূলধন বৃদ্ধিতে ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাজারে বন্ড ছাড়ার অনুমতি চায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ডাচ বাংলাকে বাজারে বন্ড ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যানুযায়ী, আন সিকিউরড, নন-কনভার্টেবল ও রিডিমেবল ক্যাটাগরির মোট ১ হাজার ২০০ বন্ড বাজারে ছাড়বে ব্যাংকটি। প্রতিটি বন্ডের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি টাকা।
বুধবার পুঁজিবাজারে দাম বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল বঙ্গোজ লিমিটেড। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানি রেনউইক জাজেন্সওয়্যারের শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।
ডিএসই'র ব্লক মার্কেটে ৩০ কোম্পানির ৪৮ লাখ ৪৬ হাজার শেয়ার ৮২ বার হাতবদল হয়ে মোট ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে।
গত দিনের তুলনায় ডিএসইতে ৮৬ কোটি টাকা লেনদেন কমে মোট ৪১৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
মূল সূচক কমলেও ডিএসই'র এসএমই খাতে বেড়েছে সূচকের পয়েন্ট। একদিনের লেনদেনে ডিএসএমইএক্সের সূচক বেড়েছে ১২ পয়েন্ট, যা গতদিনের তুলনায় ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি এ খাতে লেনদেনও বেড়েছে প্রায় ৩ কোটি। গতদিন ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন হলেও বুধবার লেনদেন ছাড়িয়েছে ১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
বুধবার চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন শেষে সিএসসিএক্সের সূচক বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে ১০৩ কোম্পানিরই দাম কমেছে। দাম বেড়েছে ৬৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন বেড়েছে ৯০ লাখ টাকা। মোট লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট।
৮৫ দিন আগে
বড় উত্থান পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে সূচকের বড় উত্থান দেখল ঢাকার পুঁজিবাজার। লেনদেন শেষে প্রধান সূচকসহ তিনটি সূচকই বেড়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫০ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজার ১৯৫ পয়েন্ট।
শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত শেয়ার ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
এদিন দাম বেড়েছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। দাম বাড়ার তালিকায় আছে ২৪৮ কোম্পানি, কমেছে ৮১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭১ কোম্পানির শেয়ারের দামে।
দাম বেড়েছে প্রতিটি ক্যাটাগরির কোম্পানির। ‘এ’ ক্যাটাগরির ২০০ শেয়ারের মধ্যে ১২৬ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৫৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৬৫ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ ৫৪ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পাঁচ কার্যদিবস পর সূচকের উত্থান দেখল পুঁজিবাজার
৩৭ মিচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে। ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দামে আসেনি পরিবর্তন, দাম বেড়েছে ১২ এবং কমেছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি গতদিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা। আট কার্যদিবস পর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে। সোমবার পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৪২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল মিডল্যান্ড ব্যাংক। দিনের শীর্ষ দশ শেয়ারের মধ্যে ব্যাংক খাতে একমাত্র মিডল্যান্ডই জায়গা করে নিয়েছে। একদিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। গতকাল কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের সর্বশেষ মূল্য ২৫ টাকা থেকে একদিনের ব্যবধানে শেয়ারপ্রতি দাম বেড়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা।
এছাড়া দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা বাকি কোম্পানি রানার অটোমোবাইল, জেএমআই হাসপাতাল, মুন্নু সিরামিকস, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, ফাইন ফুডস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, কোহিনূর কেমিক্যালস, কনফিডেন্স সিমেন্টস এবং শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন লিমেটেডকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠিয়েছে ডিএসই। কোম্পানিটির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ঋণ না দিতে ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ দেওয়ায় সিভিও পেট্রোক্যামিকেল রিফাইনারিকে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়েছে। সাত বছর পর ২০২৪ সালের হিসাবে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ করে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।
অন্য আরেক কোম্পানি একমি ল্যাবরোটারিজ লিমিটেড গত বছর জুন প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। প্রতিষ্ঠানটি থেকে শেয়ারপ্রতি বিনিয়োগকারীরা ৩৫ শতাংশ করে লভ্যাংশ পেয়েছে, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতে সূচকের সামান্য উত্থান
ঢাকার পুঁজিবাজারের মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রামেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসসিএক্সের সূচক বেড়েছে ৫৬ পয়েন্ট। সূচক বাড়লেও গত কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৬৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
সোমবার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২০০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৪, কমেছে ৫৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
৮৭ দিন আগে
ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী সূচকে লেনদেন, দর বেড়েছে ৩৭৩ কোম্পানির
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রেকর্ড ৩৭৩টি কোম্পানির মূল্য সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫১৯ কোটি টাকা, যা মঙ্গলবার ছিল ৩৪৬ কোটি টাকা।
ডিএসইর রেকর্ডে দেখা যায়, লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। অংশগ্রহণকারী ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭৩টির শেয়ারমূল বেড়েছে, কমেছে ১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টায় ১৯২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন
প্রাথমিক ডিএসইএক্স সূচক ১৪৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৬৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৩৬ দশমিক ২১ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ ব্লু-চিপ সূচক ৫৭ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯১৫ দশমিক ৮৬ এ অবস্থান করছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৩৪৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ২ হাজার ৬০৪টি লেনদেনে ২৫ লাখ ৭৯ হাজার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৭টি কোম্পানির মধ্যে ১৭৫টির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ২৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে বুধবারের লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১০ কোটি ৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ৪ দিন দরপতনের পর ৩১২ কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেড়েছে
১৬৯ দিন আগে
সৌদি আরবের ৮০ কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী এমন ৮০টি সৌদি আরবের কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরব সফররত সালমান এফ রহমান সৌদি আরবের মন্ত্রী ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্য সুযোগগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এসব বৈঠক করেন সালমান এফ রহমান।
তিনি সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) চিফ অব স্টাফ ও পরিচালনা পর্ষদের সেক্রেটারি জেনারেল সাদ আলক্রুদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
সালমান বলেন, ‘পিআইএফ মহাসচিব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন এবং বৈঠকে সৌদির ৮০টি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করার তথ্য তুলে ধরেছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: সালমান এফ রহমান
তিনি বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতায় আগ্রহী। সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানিমন্ত্রী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের ভিত্তিতে অপরিশোধিত তেল কেনার প্রস্তাব সৌদি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। এ সময় তারা দুই দেশের অংশীদারিত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। এখন কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবে। সভায় জেভি ডিপিটি সার কারখানা নিয়েও আলোচনা করা হয় এবং বিজ্ঞপ্তির কথা জানানো হয়।
সাদ আলক্রুদ পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: সালমান এফ রহমান
৩৫০ দিন আগে
তামাক কোম্পানির অব্যাহত হস্তক্ষেপ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে প্রধান বাধা
তামাক কোম্পানির অব্যাহত হস্তক্ষেপ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করছে।
‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক ২০২৩’- এ বাংলাদেশের স্কোর ৭২। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ঘিরে সবচেয়ে বেশি হস্তক্ষেপ হয়েছে। তিন বছরেও খসড়া সংশোধনী পাস করতে পারেনি সরকার।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) আয়োজিত ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক: এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ২০২৩’- বিষয়ক ওয়েবিনারে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, ‘আইন শক্তিশালীকরণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও আইন সংশোধনে এত সময় লাগছে কেন। আমরা বলি স্বাস্থ্যখাতে আমাদের অর্জন অনেক। তাহলে তামাকের কারণে এত মানুষ মারা যায়, আমরা কেন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারিনা। জনস্বাস্থ্যকে আমাদের প্রাধান্য দিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার করতে হবে। তামাক কোম্পানিকে পুরস্কৃত করা যাবেনা এবং সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। কয়েক বছর ধরেই আমরা এসব বলে আসছি, কিন্তু কাজ হচ্ছেনা। হয়ত একসময় আমাদের নীতিনির্ধারক ও সরকারি দপ্তরগুলোতে যারা আছেন তারা আমাদের কথা শুনবেন।’
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, ‘আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় আমরা অনেকটাই অগ্রগতি লাভ করেছি। তবে তামাক কোম্পানিগুলো বার বার বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সংশোধিত তামাক আইন পাস হলে মৃত্যু কমবে, এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে
গ্লোবাল সেন্টার ফর গুড গভার্নেন্স ইন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (জিজিটিসি) হেড অব গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ড. মেরি আসুন্তা বলেন, ‘স্পষ্টতই বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো এশিয়া ও বাংলাদেশকে তাদের মুনাফা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে পেতে চায়। কাজেই মুনাফা হুমকিতে পরে এমন যেকোনো সরকারি পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ ও বিরোধিতা করবে তারা। তবে সরকার জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে বাধ্য, মৃত্যুবিপণনকারী কোন শিল্পকে নয়। ডব্লিউএইচও এফসিটিসি’র আর্টিক্যাল ৫.৩ একটি শক্তিশালী হাতিয়ার; যা সরকার জীবন বাঁচাতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবহার করতে পারে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ মোকাবিলা এবং আর্টিক্যাল ৫.৩ এর নির্দেশনাবলী বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতিই হয়নি বাংলাদেশে।
আইন সংশোধন হলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে উল্লেখ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি দেয় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবি)।
তামাক কোম্পনির এধরনের অপব্যাখা আমলে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরবর্তীতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে চিঠি দেয় এনবিআর।
আইন সংশোধনের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি প্রদান করে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি (নাসিব)।
এছাড়া, তামাক কোম্পানির মদদপুষ্ট বেশকিছু তথাকথিত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ই-সিগারেট নিষিদ্ধ না করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠায় এসময়।
স্বাস্থ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন মন্ত্রণালয়, সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ, পানি বিশুদ্ধকরণ, সোলার প্যানেল, কোভিড ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন বুথ স্থাপন ইত্যাদি সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে কোম্পানিগুলোকে।
বরাবরের মতোই মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবদের উপস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে তামাক কোম্পানিগুলোকে পুরস্কৃত করতে দেখা গেছে।
এভাবে প্রভাবশালী সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও নীতি-নির্ধারকদের সান্নিধ্যে এসে ভবিষ্যত হস্তক্ষেপের পথ সুগম করার সুযোগ পেয়েছে কোম্পানিগুলো।
তবে, রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের জন্য তামাক কোম্পানিকে অযোগ্য ঘোষণা করা, তামাক কোম্পানির আর্থিক সহায়তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য কর্মশালা বাতিলসহ বেশ কিছু ইতিবাচক ঘটনা উঠে এসেছে গবেষণায়।
গবেষণার সুপারিশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপমুক্ত থেকে আইন সংশোধনের পাশাপাশি ডব্লিউএইচও এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ প্রতিপালনে সচেতনতা সৃষ্টি, তামাক কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ বা আলোচনার ক্ষেত্রে আর্টিক্যাল ৫.৩- এর আলোকে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা, তামাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করা, ১৯৫৬ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে সিগারেটকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার, এবং একটি সহজ তামাককর ও মূল্য নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাসের দাবিতে সিগনেচার ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
এবছর বিশ্বের ৯০টি দেশে এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। সরকারসমূহ তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ কিভাবে আমলে নেয় এবং হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ গাইডলাইনের আলোকে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে এই গবেষণার মাধ্যমে। স্কোর যত কম, হস্তক্ষেপ তত কম।
তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপের বৈশ্বিক সূচক ২০২৩ অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো করেছে ব্রুনাই (স্কোর, ১৪) এবং সবচেয়ে খারাপ করেছে ডোমিনিকান রিপাবলিক (স্কোর, ১০০)। বাংলাদেশের স্কোর ৭২, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ।
প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ২০১৮ সাল থেকে ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক, বাংলাদেশ’ প্রকাশ করে আসছে।
ব্লুমবার্গ ফিল্যানথ্রপিসের সহায়তায় এই গবেষণা কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেছে সাউথইস্ট এশিয়া টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যালায়েন্স (সিটকা) এবং গ্লোবাল সেন্টার ফর গুড গভার্নেন্স ইন টোব্যাকো কন্ট্রোল (জিজিটিসি)।
অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লিড পলিসি অ্যাডভাইজর, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে), বাংলাদেশ; সৈয়দ মাহবুবুল আলম, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস, বাংলাদেশ; নাদিরা কিরণ, কো-কনভেনর, আত্মা এবং এবিএম জুবায়ের, নির্বাহী পরিচালক, প্রজ্ঞা।
আত্মা’র কনভেনর মতুর্জা হায়দার লিটন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
প্রজ্ঞা’র কোঅর্ডিনেটর নাফিউর আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞা’র কর্মসূচি প্রধান মো: হাসান শাহরিয়ার।
গবেষণা ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ তামাকবিরোধী সংগঠন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনায় তামাকের দাম কমবে: প্রজ্ঞা
৫০৮ দিন আগে