কোম্পানি
ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী সূচকে লেনদেন, দর বেড়েছে ৩৭৩ কোম্পানির
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রেকর্ড ৩৭৩টি কোম্পানির মূল্য সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫১৯ কোটি টাকা, যা মঙ্গলবার ছিল ৩৪৬ কোটি টাকা।
ডিএসইর রেকর্ডে দেখা যায়, লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। অংশগ্রহণকারী ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭৩টির শেয়ারমূল বেড়েছে, কমেছে ১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টায় ১৯২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন
প্রাথমিক ডিএসইএক্স সূচক ১৪৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৬৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৩৬ দশমিক ২১ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ ব্লু-চিপ সূচক ৫৭ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯১৫ দশমিক ৮৬ এ অবস্থান করছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৩৪৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ২ হাজার ৬০৪টি লেনদেনে ২৫ লাখ ৭৯ হাজার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৭টি কোম্পানির মধ্যে ১৭৫টির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ২৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে বুধবারের লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১০ কোটি ৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ৪ দিন দরপতনের পর ৩১২ কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেড়েছে
১ মাস আগে
সৌদি আরবের ৮০ কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী এমন ৮০টি সৌদি আরবের কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরব সফররত সালমান এফ রহমান সৌদি আরবের মন্ত্রী ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্য সুযোগগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এসব বৈঠক করেন সালমান এফ রহমান।
তিনি সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) চিফ অব স্টাফ ও পরিচালনা পর্ষদের সেক্রেটারি জেনারেল সাদ আলক্রুদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
সালমান বলেন, ‘পিআইএফ মহাসচিব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন এবং বৈঠকে সৌদির ৮০টি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করার তথ্য তুলে ধরেছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: সালমান এফ রহমান
তিনি বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতায় আগ্রহী। সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানিমন্ত্রী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের ভিত্তিতে অপরিশোধিত তেল কেনার প্রস্তাব সৌদি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। এ সময় তারা দুই দেশের অংশীদারিত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। এখন কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবে। সভায় জেভি ডিপিটি সার কারখানা নিয়েও আলোচনা করা হয় এবং বিজ্ঞপ্তির কথা জানানো হয়।
সাদ আলক্রুদ পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: সালমান এফ রহমান
৭ মাস আগে
তামাক কোম্পানির অব্যাহত হস্তক্ষেপ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে প্রধান বাধা
তামাক কোম্পানির অব্যাহত হস্তক্ষেপ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করছে।
‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক ২০২৩’- এ বাংলাদেশের স্কোর ৭২। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ঘিরে সবচেয়ে বেশি হস্তক্ষেপ হয়েছে। তিন বছরেও খসড়া সংশোধনী পাস করতে পারেনি সরকার।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) আয়োজিত ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক: এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ২০২৩’- বিষয়ক ওয়েবিনারে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, ‘আইন শক্তিশালীকরণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও আইন সংশোধনে এত সময় লাগছে কেন। আমরা বলি স্বাস্থ্যখাতে আমাদের অর্জন অনেক। তাহলে তামাকের কারণে এত মানুষ মারা যায়, আমরা কেন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারিনা। জনস্বাস্থ্যকে আমাদের প্রাধান্য দিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার করতে হবে। তামাক কোম্পানিকে পুরস্কৃত করা যাবেনা এবং সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। কয়েক বছর ধরেই আমরা এসব বলে আসছি, কিন্তু কাজ হচ্ছেনা। হয়ত একসময় আমাদের নীতিনির্ধারক ও সরকারি দপ্তরগুলোতে যারা আছেন তারা আমাদের কথা শুনবেন।’
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, ‘আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় আমরা অনেকটাই অগ্রগতি লাভ করেছি। তবে তামাক কোম্পানিগুলো বার বার বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সংশোধিত তামাক আইন পাস হলে মৃত্যু কমবে, এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে
গ্লোবাল সেন্টার ফর গুড গভার্নেন্স ইন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (জিজিটিসি) হেড অব গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ড. মেরি আসুন্তা বলেন, ‘স্পষ্টতই বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো এশিয়া ও বাংলাদেশকে তাদের মুনাফা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে পেতে চায়। কাজেই মুনাফা হুমকিতে পরে এমন যেকোনো সরকারি পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ ও বিরোধিতা করবে তারা। তবে সরকার জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে বাধ্য, মৃত্যুবিপণনকারী কোন শিল্পকে নয়। ডব্লিউএইচও এফসিটিসি’র আর্টিক্যাল ৫.৩ একটি শক্তিশালী হাতিয়ার; যা সরকার জীবন বাঁচাতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবহার করতে পারে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ মোকাবিলা এবং আর্টিক্যাল ৫.৩ এর নির্দেশনাবলী বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতিই হয়নি বাংলাদেশে।
আইন সংশোধন হলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে উল্লেখ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি দেয় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবি)।
তামাক কোম্পনির এধরনের অপব্যাখা আমলে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরবর্তীতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে চিঠি দেয় এনবিআর।
আইন সংশোধনের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি প্রদান করে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি (নাসিব)।
এছাড়া, তামাক কোম্পানির মদদপুষ্ট বেশকিছু তথাকথিত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ই-সিগারেট নিষিদ্ধ না করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠায় এসময়।
স্বাস্থ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন মন্ত্রণালয়, সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ, পানি বিশুদ্ধকরণ, সোলার প্যানেল, কোভিড ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন বুথ স্থাপন ইত্যাদি সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে কোম্পানিগুলোকে।
বরাবরের মতোই মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবদের উপস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে তামাক কোম্পানিগুলোকে পুরস্কৃত করতে দেখা গেছে।
এভাবে প্রভাবশালী সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও নীতি-নির্ধারকদের সান্নিধ্যে এসে ভবিষ্যত হস্তক্ষেপের পথ সুগম করার সুযোগ পেয়েছে কোম্পানিগুলো।
তবে, রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের জন্য তামাক কোম্পানিকে অযোগ্য ঘোষণা করা, তামাক কোম্পানির আর্থিক সহায়তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য কর্মশালা বাতিলসহ বেশ কিছু ইতিবাচক ঘটনা উঠে এসেছে গবেষণায়।
গবেষণার সুপারিশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপমুক্ত থেকে আইন সংশোধনের পাশাপাশি ডব্লিউএইচও এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ প্রতিপালনে সচেতনতা সৃষ্টি, তামাক কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ বা আলোচনার ক্ষেত্রে আর্টিক্যাল ৫.৩- এর আলোকে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা, তামাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করা, ১৯৫৬ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে সিগারেটকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার, এবং একটি সহজ তামাককর ও মূল্য নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাসের দাবিতে সিগনেচার ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
এবছর বিশ্বের ৯০টি দেশে এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। সরকারসমূহ তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ কিভাবে আমলে নেয় এবং হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ গাইডলাইনের আলোকে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে এই গবেষণার মাধ্যমে। স্কোর যত কম, হস্তক্ষেপ তত কম।
তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপের বৈশ্বিক সূচক ২০২৩ অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো করেছে ব্রুনাই (স্কোর, ১৪) এবং সবচেয়ে খারাপ করেছে ডোমিনিকান রিপাবলিক (স্কোর, ১০০)। বাংলাদেশের স্কোর ৭২, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ।
প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ২০১৮ সাল থেকে ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক, বাংলাদেশ’ প্রকাশ করে আসছে।
ব্লুমবার্গ ফিল্যানথ্রপিসের সহায়তায় এই গবেষণা কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেছে সাউথইস্ট এশিয়া টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যালায়েন্স (সিটকা) এবং গ্লোবাল সেন্টার ফর গুড গভার্নেন্স ইন টোব্যাকো কন্ট্রোল (জিজিটিসি)।
অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লিড পলিসি অ্যাডভাইজর, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে), বাংলাদেশ; সৈয়দ মাহবুবুল আলম, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস, বাংলাদেশ; নাদিরা কিরণ, কো-কনভেনর, আত্মা এবং এবিএম জুবায়ের, নির্বাহী পরিচালক, প্রজ্ঞা।
আত্মা’র কনভেনর মতুর্জা হায়দার লিটন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
প্রজ্ঞা’র কোঅর্ডিনেটর নাফিউর আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞা’র কর্মসূচি প্রধান মো: হাসান শাহরিয়ার।
গবেষণা ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ তামাকবিরোধী সংগঠন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনায় তামাকের দাম কমবে: প্রজ্ঞা
১ বছর আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরবের অনেক নামকরা কোম্পানি: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি এবং সৌদি আরব বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
সৌদি আরবের ৯৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘অনেক বিখ্যাত সৌদি কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সঠিক ব্যবহারের আহ্বান রাষ্ট্রদূত মুহিতের
২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সৌদি দূতাবাস দিবসটি পালন করবে। তবে সৌদি আরবের জাতীয় দিবস পালিত হয় ২৩ সেপ্টেম্বর।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরব প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষার জন্য বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, এতিমখানা ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি হাসপাতাল, সেতু এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মতো বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফর এবং সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন সৌদি মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের পর সৌদি-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদার হয়।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের সম্পর্ক গভীর ও অসামান্য।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে দুঃসময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো ও সহায়তা করে থাকে সৌদি আরব। বাংলাদেশ ইসলাম ও সৌদি আরবকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসে, যা সৌদি আরবকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বিশ্বের বৃহত্তম শ্রমবাজার হিসেবে স্বীকৃত সৌদি আরবে লাখ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘এই দেশের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সৌদি আরব একটি দুর্দান্ত অবদান রেখেছে, কারণ অভিবাসী শ্রমিকরা ক্রমাগত তাদের প্রিয় পরিবারের সদস্যদের কাছে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যখনই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন সৌদি আরব সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এবং বাংলাদেশকে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা করতে পারে ঢাকা-ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: কূটনীতিকদের সঙ্গে রাখাইন সফরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি পেতে ২ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করবে সরকার
এলএনজি টার্মিনাল পরিষেবা প্রদানকারী হিসেবে তাদের বিদ্যমান চুক্তির বাইরে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এলএনজি সরবরাহ পেতে সামিট গ্রুপ ও এক্সেলারেট এনার্জির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করতে যাচ্ছে সরকার।
বুধবার অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের দেওয়া পৃথক দুটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৫ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এক্সেলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের স্থাপিত কক্সবাজারের মহেশখালীর একটি ভাসমান টার্মিনাল এবং রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এর মাধ্যমে ২০২৬ সাল থেকে প্রতি বছর ১ থেকে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) এলএনজি সরবরাহ করবে।
অনুরূপ আরেকটি প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৫ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অধীনে সামিট গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের স্থাপিত কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি এফএসআরইউ এর মাধ্যমে ২০২৬ সাল থেকে বার্ষিক ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
মন্ত্রিপরিষদ কমিটির বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল আহসান। তবে তিনি সামিট ও এক্সেলারেট এনার্জি এবং এলএনজির দর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে (সিসিজিপি) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এলএনজির দর সম্পর্কে জানতে পারবেন।’
বর্তমানে এক্সেলারেট এনার্জি ও সামিট উভয়ই কাতার ও ওমান থেকে পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য যথাক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে সরকারকে এফএসআরইউ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
দুটি কোম্পানি আরও দুটি এফএসআরইউ স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। এর একটি সামিটের মহেশখালীতে, আরেকটি পটুয়াখালীর পায়রায়।
সামিট গ্রুপ মহেশখালীতে দ্বিতীয় এফএসআরইউ স্থাপনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জির প্রস্তাবটি অনুরূপ অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ মরিয়া হয়ে এলএনজি আমদানির দিকে তাকিয়ে আছে।
পেট্রোবাংলা প্রতিদিনি ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে যার মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। আর আমদানি করা হয় ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ
ফলে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার এমএমসিএফডি ঘাটতি থাকছে।
সম্প্রতি, পেট্রোবাংলা কাতার ও ওমানের সঙ্গে দু’টি নতুন চুক্তি সই করেছে যাতে দুটি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান দু’টি চুক্তির বাইরে ২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ পাওয়া যায়।
এদিকে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মূল প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে ইলেকট্রিক (সুইজারল্যান্ড) জিএমবিএইচ সরাসরি সংগ্রহ পদ্ধতি (ডিপিএম) এর অধীনে ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ারড কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের গ্যাস টারবাইনের ক্ষতিগ্রস্ত কম্প্রেসারের মেরামত পরিষেবা গ্রহণের জন্য নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদের অর্থনীতিবিষয়ক কমিটি।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) অধীনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর ‘পূর্বাচল নিউ টাউনে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ কমিটি নীতিগতভাবে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
রাজউক পূর্বাচল নিউ টাউনে একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সামিট গ্রুপ আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন পেল
১ বছর আগে
দেশীয় কোম্পানির জন্য আন্তর্জাতিক মানের অ্যাওয়ার্ড চালু
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক স্তরের কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড চালু করল বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম)।
রবিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা কনফারেন্স হলে এই অ্যাওয়ার্ড লঞ্চিং অনুষ্ঠিত হয়। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত কোয়ালিটিগুরু, ভোক্তা তুষ্টি মডেলের (কানো মডেল) প্রবক্তা অধ্যাপক ড. নরিয়াকি কানো। সভাপতিত্ব করেন বিএসটিকিউএমের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম আর কবির।
ড. কানোর সঙ্গে অংশীদারিত্বে চালু হওয়া এই পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে- কানো-বিএসটিকিউএম কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড (কেবিকিউএ)।
পুরস্কারের প্রচার, পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠার জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এহসানুল হককে চেয়ারম্যান করে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান, বিজয়ী জিম্বাবুয়ের প্রতিষ্ঠানকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিবাদন
কেবিকিউএ জাপানের ডেমিং অ্যাওয়ার্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যালকম বালড্রিজ অ্যাওয়ার্ডের মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
ড. নরিয়াকি কানো বলেন, ‘‘আমাদের অবশ্যই 'ফলাফল' এবং 'প্রভাব' বুঝতে হবে। ফলাফল যেকোনো ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয়। টিকিউএম প্রভাব অর্জনের মাধ্যমে ফলাফল উপলব্ধি করতে চায়। জাপানে ডেমিং প্রাইজ টিকিউএমের মাধ্যমে ফলাফলের মূল্যায়ন করে, শুধু ফলাফল বিবেচনা করে না। টিকিউএম চর্চা না করে কেউ যদি ভালো ফলাফলও পায়, তারপরও সে ডেমিং প্রাইজ পাবে না।’’
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'যেকোনো ব্যবসার জন্য টিকিউএম চর্চা ও প্রচার করা উচিত। পুরস্কারপ্রাপ্তি টিকিউএম চর্চা ও প্রচারের জন্য একটি অনুঘটক মাত্র।'
কেবিকিউএ-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরে, কেবিকিউএ জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য প্রকৌশলী এএমএম খায়রুল বাশার বলেন ‘কানো-বিএসটিকিউএম কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড দেশের শিল্প ও সেবা খাতে কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: হামদ-নাত প্রতিযোগিতার শীর্ষ ১০ জনের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান
দেশে প্রথমবারের মতো ৮ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে দেওয়া হবে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে তামাক কোম্পানি!
ই-সিগারেট ও ভেপিং ব্যবহার উৎসাহিত করতে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে ভয়েস অব ভেপারস এবং এশিয়া হার্ম রিডাকশন অ্যালায়েন্স একটি সম্মেলন এবং গোলটেবিল বৈঠক করেছে।
তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব আয়োজনের নেপথ্যে ছিল ফিলিপ মরিসের (পিএমআই) অর্থপুষ্ট ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক ফ্রি ওয়ার্ল্ড এর অনুদানপ্রাপ্ত সংস্থা এবং প্রতিনিধি।
তবে এসব অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ কিছু মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে, যা হতাশাজনক।
আরও পড়ুন: ক্ষতি কমাতে তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি
প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং যেখানে ই-সিগারেট ও ভেপিং পণ্য নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া ভয়েস অব ভেপারস দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে ই-সিগারেট ও ভেপিং পণ্যের পক্ষে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, পিএমআই এর অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ‘ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক-ফ্রি ওয়ার্ল্ড’- এর নানা তৎপরতা জনস্বাস্থ্য এবং তামাকবিরোধী কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
এফএসএফডব্লিউ মূলত ই-সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের ভেপিং পণ্যের ব্যবহার ও বাজারজাতকরণকে উৎসাহিত করে থাকে।
এ কারণেই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পরপই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, তামাক কোম্পানির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের সুস্পষ্ট স্বার্থ সংঘাত রয়েছে।
এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ফাউন্ডেশনের সব ধরনের সহযোগিতা কিংবা যৌথ উদ্যোগ প্রত্যাহার করবে।
আরও পড়ুন: তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে করবৃদ্ধি ও আইন শক্তিশালীকরণের তাগিদ
সরকার এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই নীতি অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়াও ডব্লিউএইচও এফসিটিসি সেক্রেটারিয়েট এক পৃথক বিবৃতিতে বলে, ‘তামাক কোম্পানির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যে কোনো সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড হবে এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
উদ্বেগের বিষয় হলো, বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশেও সংগঠনটির তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতসহ বেশকিছু দেশ ‘ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক-ফ্রি ওয়ার্ল্ড’- এর বিতর্কিত কার্যক্রম প্রতিহত করতে সরকারিভাবে সংগঠনটির সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও বাংলাদেশে এ ধরনের কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি।
এফসিটিসি এর স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও উচিত হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী তামাক কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়া এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক ২০২১ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে ভেপিং, ই-সিগারেটের মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (ইটিপি) গুলোকে ‘মারাত্মক স্বাস্থ্য হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে ইতোমধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ ৩২টি দেশ ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে।
দ্রুতততম সময়ের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশেও এসব পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণকে এগিয়ে নিতে কারখানায় তদারকি আবশ্যক: গবেষণা
১ বছর আগে
বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইন্সের নামে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খোলার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
এসব শিপিং ও এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বিদেশে তাদের সেবা সম্প্রসারণ করছে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এসব হিসাব থেকে কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে পারবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিবির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইন্সের বৈদেশিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ বিবেচনায় বিদেশ থেকে আয় হিসেবে যে অর্থ আসবে তার ৭৫ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে জমা করা যাবে।
আরও পড়ুন: এলসি খোলার সংকট শিগগিরই স্বাভাবিক হবে: বিবি গভর্নর
অবশিষ্ট পরিমাণ টাকা নগদ করা হবে। জাহাজ এবং বিমানের পরিচালন ব্যয় বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট স্ট্যাটাস সহ করা যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানি এবং এয়ারলাইন্স যারা বিদেশি কোম্পানিকে জাহাজ, কন্টেইনার বা বিমান ভাড়া দেয় তারাও বৈদেশিক মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার ৫০ শতাংশ এই হিসাবে জমা করা যেতে পারে। যা জাহাজ, কন্টেইনার বা বিমানের প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিবি কর্মকর্তারা বলছেন, এখন এজেন্টের ওপর নির্ভর করে বিদেশে ব্যবসা করছে শিপিং ও এয়ারক্রাফট কোম্পানিগুলো। নতুন নির্দেশিকা সেই নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।
বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব শিথিল করার কারণে স্থানীয় শিপিং ও এয়ারলাইন কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারিত হবে।
আরও পড়ুন: এমএফএসের দৈনিক লেনদেন ৩২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে: বিবি
বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিবেদন দ্রুত পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে বিবি’র নির্দেশ
১ বছর আগে
রবির নতুন সিইও রাজীব শেঠি
রাজীব শেঠিকে চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। মিয়ানমারের শীর্ষ অপারেটর উরিডুতে সিইও হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর রবিতে যোগ দিলেন তিনি। এর আগে তিনি এয়ারটেল আফ্রিকার চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২১ সালের আগস্ট থেকে রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে দায়িত্বপালকারী এম. রিয়াজ রশীদের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। এখন থেকে চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে তার নিজস্ব ভূমিকা পালন করবেন রিয়াজ রশীদ।
আরও পড়ুন: ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য টাটা পাওয়ার ডিডিএল ও ব্লকনটসের মধ্যে চুক্তি
আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের যৌথ ভারপ্রাপ্ত গ্রুপ সিইও ড. হানস বিজয়াসুরিয়া এবং বিবেক সুদ বলেন, ‘আজিয়াটা গ্রুপ ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে রবি পরিবারে রাজীবকে স্বাগত জানাই। ফোরজি সেবা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনের দিক থেকে বর্তমানে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে রবি এবং পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার জন্য সামগ্রিকভাবে প্রস্তুত অপারেটরটি। এমন সময় রবিতে রাজীবের মতো বলিষ্ঠ ও দক্ষ নেতৃত্ব পেয়ে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার ২৫ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে রবি। এই মুহূর্তে রাজীবের নেতৃত্ব বাংলাদেশের বাজারে রবির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে নতুন মাত্রা দেবে।’
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ব্যবসায়িক লক্ষ্যে দৃঢ় থাকার জন্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিইও ও বর্তমান সিএফও এম. রিয়াজ রশীদের প্রশংসা করেন ড. বিজয়াসুরিয়া।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে রবি টিমকে সংঘবদ্ধ রাখতে দারুণ ভূমিকা পালন করেছেন রিয়াজ। পাশাপাশি তিনি যে পাঁচ প্রান্তিক দায়িত্ব পালন করেছেন সেই সময়টিতে রবির ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে তার অবদান অসামান্য। কোম্পানিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানকে সঠিক অবস্থানে রেখে রাজীবের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন তিনি।’
স্টার্টআপ থেকে শুরু করে সুপ্রতিষ্ঠিত দেশি-বিদেশি কোম্পানিতে কাজের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ রাজীব শেঠি; বৈচিত্র্যময় ও চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
রবির সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে রাজীব শেঠি বলেন, ‘বাংলাদেশের শীর্ষ ডিজিটাল কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। বছরের পর বছর ধরে উদ্ভাবনী শক্তির বদৌলতে সত্যিকার অর্থে একটি ডিজিটাল টেলকোতে রূপান্তরিত হয়েছে রবি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই উদ্ভাবনই মূল শক্তি যা রবির কাজের সংস্কৃতিতে মিশে গেছে। টিম রবির সহায়তায় আগামী দিনগুলোতে আমরা বাজারে নিজেদের অবস্থান আরো সৃদৃঢ় করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।’
তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পে কাজের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ রাজীব ভোডাফোন, এইচপি, হাচিসন টেলিকম ও এশিয়া পেইন্টসের মতো কোম্পানিতে নেতৃত্বস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। লখনৌয়ের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে মার্কেটিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড অপারেশনস-এ এমবিএ করেছেন শেঠি।
বাংলাদেশে রাজীব টেলিনরের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
২ বছর আগে
বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সুযোগ খুঁজতে ফিনিশ কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান
ফিনল্যান্ডের ব্যবসায়িক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে ব্যবসার ‘আকর্ষণীয়’ বিভিন্ন সুবিধা থেকে উপকৃত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কোক্কু-রন্ডে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা দুই দেশের মধ্যকার সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা করেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা (ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) উভয়েই বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। বিশেষত ব্যবসা ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পদক্ষেপ, এসডিজি, অভিবাসন ও গতিশীলতা, শিক্ষা ও গবেষণা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং ডিজিটাল সহযোগিতার ক্ষেত্রে সম্পর্ক সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এ সময় দুই পক্ষই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর প্রভাবসহ আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয়েও মতবিনিময় করে।
আরও পড়ুন: আমরা শুধু চাই জনগণের অবাধ অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অভিবাসন ও গতিশীলতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছার বিষয়েও তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান।
ফিনিশ রাষ্ট্রদূত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া এবং তাদের টেকসই জীবিকা ও শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণে বাংলাদেশের সুপরিচিত ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট বন্দর নির্মাণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ফিনল্যান্ডের জ্বালানি কোম্পানিগুলোর সহযোগিতা সম্পর্ক তৈরির করার আগ্রহের কথাও জানান।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের প্রার্থীতার প্রতি ফিনল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ফিনল্যান্ডে যাওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টিও তারা আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত উচ্চশিক্ষা খাতে আরও সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং শিগগিরই ভিসা জটিলতা কমানোর আশ্বাস দেন। দুই পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিবাচক গতি অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বর্তমানে বাংলাদেশে একটি দ্বিপক্ষীয় সফরে এসেছেন। সফরকালীন তার বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
ভাসানচর পরিদর্শন করলেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি
২ বছর আগে