মানুষ
গোয়াইনঘাটের সালুটিকর-কচুয়ারপার সড়কে অন্তহীন দুর্ভোগে মানুষ
শত বছরের পুরনো সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের হাওরাঞ্চল। এই হাওরাঞ্চলে রয়েছে উপজেলার নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের ছোট বড় প্রায় ১৮টি গ্রাম। দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছর অতিবাহিত হলেও এসব গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, নির্মাণ করা হয়নি পাকা সড়ক।
সরেজমিনে দেখা যায়, সালুটিকর বাজার থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরেই নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের কচুয়ারপার, দারিকান্দি ও দারিরপার গ্রাম। দারিকান্দি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে চৌধুরী কান্দি, বাইমারপার, চলিতাবাড়ি ও শিয়ালা হাওর গ্রাম। শিয়ালা হাওর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে জলুরমুখ গ্রাম এবং জলুরমুখ থেকে লক্ষীনগর, মেউয়ারকান্দি, চদিবদি হাওর, পূর্ব পেকেরখাল, জামলাকান্দি গ্রামগুলোর দূরত্ব আরও দুই কিলোমিটার। মাত্র ১০ কিলোমিটার পাকা সড়কের অভাবে এ যুগেও নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের এসব গ্রামের উপাধি হাওরাঞ্চল হিসেবে। এসব গ্রাম থেকে থেকে সালুটিকর বাজার, গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর কিংবা জেলা শহরে যাওয়ার রাস্তা মাত্র একটি। এই একমাত্র রাস্তায়ও দৃষ্টি পড়েনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। হাওর এলাকায় দৃষ্টি দিলে দেখা মেলে 'বর্ষায় নাও আর হেমন্তে পাও' প্রবাদের বাস্তব চিত্র।
স্থানীয়রা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়েই পড়াশোনার ইতি টানছে।
চলিতাবাড়ি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কাশেম আলী বলেন, নন্দিরগাওঁ ও তোয়াকুল ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলের গ্রামে জনবসতি শত বছরের পুরোনো। এখনে ১৫ হাজার মানুষের বাস। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সব রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরাই শুধু ভোটের সময় গ্রামে আসেন। নির্বাচন শেষ হলে তারা উধাও। একটি রাস্তার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ফল মেলেনি।
আরও পড়ুন: সিলেটের সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক সংস্কারে 'রাস্তার পেট কেটে' মাটি ভরাটের অভিযোগ
কৃষি, নদী, গবাদি পশু লালন পালন ও বর্ষায় মাছ ধরার মধ্যেই এ সকল গ্রামের মানুষের জীবিকা সীমাবদ্ধ। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারণেই তারা এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইউনুস আলী ও একই ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা রমযান আলী বলেন, 'আমাদের গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ৬ থেকে ৭ বছর আগে বিদ্যুতের আলো পৌঁছালেও রাস্তায় মাটির কাজ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন জনপ্রতিনিধিরা করেননি।
নন্দিরগাওঁ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া বলেন, '১৫ বছর যাবৎ সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ হাওরাঞ্চলে কুড়ি বার মাটির রাস্তা পরিদর্শন করে পাকাকরণের আশ্বাসও দিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
আমাদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নেই। অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যসেবা পাই না। রাস্তাঘাট নেই। ভোটের সময় এলে অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোটের পর তাদের আর দেখা যায় না। গত ১৫ বছর শুধু রাস্তা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিই শুনে গেলাম। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি।
নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নের আরেক বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন লেবু বলেন, রাস্তার অভাবে গ্রামের লোকজন অসুস্থ হলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা মেলে না। মুমূর্ষু রোগীদের পলো অথবা গরুর গাড়িতে করে নিয়ে যেতে হয় চিকিৎসকের কাছে। এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে বিনা চিকিৎসায় মারা যায় অনেকে। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তায় চলতে পারি না। এখন তো হেঁটে আমরা সালুটিকর বাজারে যেতে পাড়ি। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ মাসে সবাইকে হাঁটুর উপরে কাপড় তুলে দুই কিলোমিটার রাস্তা যাতায়াত করতে হয়।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন সালুটিকর-গোয়াইনঘাট রাস্তা থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর পর্যন্ত গাংকিনারী রাস্তা নামে এলজিইডিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর থেকে গাংকিনারী রাস্তায় দুই কিলোমিটার আরসিসি ঢালাই করে পাকা করা হয়েছে। অপর দিকে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কের কচুয়ারপার গ্রাম পর্যন্ত পাকাকরণের লক্ষে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলীকে ডাটাবেইজ সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ মাস ধরে বেতন বন্ধ সিলেট সরকারি ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষকদের
২ সপ্তাহ আগে
ঝুঁকিতে কাঠের সেতু, ৫ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ৭ নম্বর পাইকপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল গ্রামসহ আশপাশের ৪-৫ গ্রামের শত শত লোকের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে একমাত্র কাঠের সেতুটি। মেরামত না করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
দুই বছর আগে উপজেলা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অফিসে আবেদন করে সেতু কিংবা কালভার্ট নির্মাণে আজও কোনো বরাদ্দ মেলেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, কাঠের সেতুটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। হেঁটে চলাও বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ। মাসখানেক আগে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। ওই সময় সেতুর দুই পাশ ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল নিয়ে পার হতে গিয়ে স্থানীয়রা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
পূর্ব ভাওয়ালের দুলাল তালুকদার বলেন, ‘৫ গ্রামের মানুষসহ স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। তাই এখানে একটি সেতু কিংবা কালভার্ট নির্মাণ করা খুবই জরুরি।’
আরও পড়ুন: দুই প্রতিষ্ঠানের বিরোধে ভোগান্তির শিকার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের ৬ লক্ষাধিক আবেদনকারী
এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের বহুবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শামীম বলেন, ‘প্রায় ২ বছর আগে এখানে ছোট একটি সেতু করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছিলাম। বছরের শুরুতে একবার পিআইওসহ অন্যান্য লোকজন সরেজমিনে পরিদর্শন করেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ আসেনি।’
ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা শামীম ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি ৮ মাস আগে এই ইউনিয়নে যোগদান করেছি। এই কাঠের সেতু সম্পর্কে কিছুই জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।’
ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মিল্টন দস্তিদার ইউএনবিকে বলেন, ‘স্থানীয়দের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেতু নির্মাণের স্বার্থে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকাবাসীর দবি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংকে তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে ৬ ব্যাংকের গ্রাহক
৩ সপ্তাহ আগে
মানুষকে ভোটাধিকার ছাড়া রাখলে পরিণতি ভালো হবে না: বঙ্গবীর
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, ভোটাধিকার চায়। তাই মানুষকে দীর্ঘদিন ভোটাধিকার ছাড়া রাখলে বর্তমান সরকারের পরিণতি খুব ভালো হবে না।
তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার এই রকম ন্যক্কারজনক পতনের প্রধান কারণ, তিনি মানুষের ভোটাধিকারকে সম্মান করেননি। পরপর কয়েকবার মানুষকে সঠিকভাবে ভোট দিতে দেননি। এর ফলে এটা হয়েছে। দীর্ঘ সময় মানুষকে ভোটাধিকার ছাড়া রাখলে এখন যারা আছে, তাদের পরিণতিও খুব ভালো হবে না। এটা আমার বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন: ভিসা নীতি আমাদের জন্য লজ্জার, অসম্মানের: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
রবিবার (১৭ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে এ দেশের মানুষের খুব আশা ছিল, কিন্তু এই তিন মাসে সেই আশার ফল তারা পায়নি। সাধারণ মানুষের যে উপার্জন, তারা বাজারে যেতে পারছে না, স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার নিয়ে ভালোভাবে খেতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘যারা সরকার চালাচ্ছে তাদের আমি অনুরোধ করব, তারা যেন দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করেন। ক্ষমতা কারও জন্য চিরস্থায়ী নয়। যারা ছিলেন তাদের জন্য যেমন চিরস্থায়ী ছিল না, তেমনি আজকে যারা এসেছেন তাদের জন্যও চিরস্থায়ী নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের একটা মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অতীতকে বর্জন করে এই পরিবর্তন যদি কেউ করতে চায়, তাহলে আহাম্মকের স্বর্গেই বাস করছে। দুদিন পরে তাদেরও এরকম হতে হবে।’
এ সময় সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীবসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবীর ওসমানীর জন্মশতবার্ষিকী আজ
১ মাস আগে
মানুষের আশা-প্রত্যাশা বিগত ৩ মাসে খুব একটা পূরণ হয়নি: দুদু
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিগত তিন মাসে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদ, এমপি, প্রধান বিচারপতি, বায়তুল মোকাররমের প্রধান খতিব পালিয়ে যাওয়ায় দেশে যে শূন্যতা তৈরি হয় তার প্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আটক
বিএনপি নেতা বলেন, মানুষের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও আশা ছিল; তার ভেতর সবচেয়ে বড় হচ্ছে দেশের মানুষ দুমুঠো খেয়েপরে বেঁচে থাকবে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের সময় যে সিন্ডিকেট হয়েছিল সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। কিন্তু এই ৩ মাসে সেটি খুব একটা পূরণ হয়নি।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে চুয়াডাঙ্গা শহরে নিজ বাসভবনে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছিল যে তারা ভোটাধিকার ফিরে পাবে। তারা নিজেদের অধিকারের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে। কিন্তু সেই নির্বাচন এখনও পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি।
বিএনপি দাবি করেছিল রোডম্যাপ এবং যৌক্তিক একটি সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের। সেটিও সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত সরকার উদ্যোগী হয়েছে ও নির্বাচন দেবে বলেছে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট তারিখ-মাস ঘোষণা করেনি।
তিনি বলেন, সেটি ঘোষণা করলে আগামী দিনে দেশের মানুষ আরও উৎফুল্ল হবে, আরও সফল হবে। যতক্ষণ ঘোষণা না করছে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ একটু উদগ্রীব বা হতাশই থাকবে।
এসময় জেলা বিএনপির সদস্য আইনজীবী ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগের আগে কোনো সংলাপ নয়: শামসুজ্জামান দুদু
১ মাস আগে
এক বছরে যক্ষ্মায় আক্রান্ত ৮০ লাখ মানুষ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাব অনুযায়ী গত বছর ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর নতুন প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছর প্রায় ১.২৫ মিলিয়ন মানুষ যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
করোনা মহামারী চলাকালে কোভিড -১৯ বিশ্বের শীর্ষ সংক্রামক ঘাতক রোগের তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিলেও যক্ষ্মা আবারও তালিকার শীর্ষস্থানে ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩ জনের করোনা শনাক্ত
২০২৩ সালে এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ এই মৃত্যু।
ডব্লিউএইচও জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের যক্ষ্মা আক্রান্ত হওয়া সংখ্যা বেশি। বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এক বিবৃতিতে বলেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থাকার পরও যক্ষ্মা এখনও অনেক মানুষের মৃত্যু ও অসুস্থতার কারণ।
তবে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা কমছে এবং নতুন করে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যাও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, প্রায় চার লাখেরও বেশি মানুষ গত বছর ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে অর্ধেকের কম মানুষের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা হয়েছিল।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষের যক্ষ্মা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৫-১০ শতাংশ মানুষের যক্ষ্মার লক্ষণগুলো প্রকাশ হয়।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসসহ অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলো দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন কোম্পানি সেফিডকে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা পরীক্ষা সহজলভ্য করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। এ মাসের শুরুর দিকেও ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স ও আরও ১৫০টি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিয়ে কর্মরত সংস্থা সেফিডকে খোলা চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিতে আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: এলএনজি-সার, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানির অনুমোদন
১ মাস আগে
মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: জামায়াত আমির
জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তারা জাতির ঘাড়ে এখনও বসে আছে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে দেশের মানুষ আরও নির্যাতিত হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
বিগত সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের কথা তুলে ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সকলকে দেশে ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী দিনে জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে নারীদের সবোর্চ্চ সম্মানের সঙ্গে সমাজ উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে যেখানে নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোনো নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। যেখানে সবাই মিলেমিশে সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হিংসামুক্ত সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, যারা একদিন গর্ব করে বলতেন এ দেশে জালিম কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। দেশ থেকে জালিমদের বিতারিত করতে হবে। অথচ আজ তারা নিজেরাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
তিনি বলেন, বিদেশে বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভুত্ববাদ মেনে নেওয়া হবে না। কেউ যদি প্রভুত্ব করতে আসে তাহলে জাতি তাদের উচিত জবাব দেবে।
জামায়াতের প্রধান বলেন, এমন একটি সমাজ গড়া হবে যেখানে আদালত প্রাঙ্গণে কোনো বিচারপ্রার্থীকে হয়রানির শিকার হতে হবে না। বিচারক দুর্নীতিমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের আইন ও বিবেক দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করবে।
জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের মানুষ স্বৈরাচার সরকার দ্বারা নির্যাতিত। তবে দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে নির্যাতিত ও মজলুম দল। এই দলের নেতাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিচারের নামে জুলুম করে গুম, খুন করা হয়েছে। বিগত সরকার জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে নানা পাঁয়তারা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা গণআন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রতীক কেড়ে নেয়। তবে জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে দেশপ্রেমিক আলেম-ওলামাদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
২ মাস আগে
যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: জিএম কাদের
বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘বন্যাদুর্গতরা আমাদের ভাই। যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ তহবিল গঠনবিষয়ক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা তাদের পাশে ছিলাম, আছি ও পাশে থাকব। এমন মানবিক বিপর্যয়ে ভাইদের পাশে আমরা সবসময় থাকব। একইসঙ্গে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজেও জাতীয় পার্টি দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে।’
আরও পড়ুন: আগে আওয়ামী লীগ গাছের মতো ছিল কিন্তু এখন পরগাছা হয়ে গেছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকেই জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীরা স্থানীয়ভাবে বন্যাদুর্গতদের পাশে আছে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলে আমরা তাদেরও সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলেন, ‘যারা বন্যায় নিহত হয়েছেন তাদের যেন মহান আল্লাহ শহিদী মর্যাদা দান করেন।’
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কোনো সতর্কীকরণ ছাড়া ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে এই ভয়াবহ বন্যা।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী উজানের কোনো রাষ্ট্র যদি নদীর গেট খুলে দেয় তাহলে অবশ্যই ভাটির দেশগুলোকে আগাম জানিয়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে। অথচ ভারত সরকার বাংলাদেশকে সতর্ক করেনি।’
এই সভা থেকে ভারতের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান মুজিবুল হক চুন্নু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আইনজীবী মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, মোস্তফা আল মাহমুদ, শেরীফা কাদের, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন, ড. নুরুল আজহার শামীমসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান জিএম কাদের
সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন: জিএম কাদের
৩ মাস আগে
বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু, ১১ জেলায় ৪৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বাংলাদেশে চলমান বন্যায় ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১১টি জেলায় ৪৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.কামরুল হাসান জানান, ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারে ব্যাপক বন্যাসহ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ২ হাজার জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী
বন্যায় ৭৭টি উপজেলার ৫৮৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি পরিবার ক্ষয়ক্ষতির কবলে পড়েছে।
দুই নারীসহ ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সচিব। হতাহতদের মধ্যে কুমিল্লার চারজন, ফেনীর একজন, চট্টগ্রামে দুজন, নোয়াখালীর একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও কক্সবাজারে তিনজন রয়েছেন।
সংকট মোকাবিলায় সরকার ৩ হাজার ১৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। এসব কেন্দ্রে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৬৩৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
দুর্গতদের সহায়তার জন্য মন্ত্রণালয় নগদ ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০ হাজার ১৫০ টন চাল এবং ১৫ হাজার খাদ্যের প্যাকেট বিতরণ করেছে। চলমান দুর্যোগ মোকাবিলায় সব জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ রয়েছে বলেও আশ্বস্ত করেন সচিব।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে 'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল' গঠন
৩ মাস আগে
ফেনীতে বন্যা: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
ভারী বৃষ্টি ও উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফেনীর সাড়ে তিন লাখ মানুষ।
জেলার সদর উপজেলা,পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া বন্যার কারণে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় ডুবছে একের এক জনপদ। সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা, ফেনী-চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত: এফএফডব্লিউসি
জানা গেছে, বন্যার পানিতে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকেই জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সব এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় পুরোপুরি সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পরশুরামের স্থানীয় সাংবাদিক মহি উদ্দিন বলেন, বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। পানির তীব্র স্রোতের কারণে ঠিকভাবে উদ্ধার কাজও করতে পারছেন না। তারমধ্যে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আরও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, জেলায় চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখের বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক ছিল।
ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, আমাদের প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভবন গুলোর নিচ তলায় পানি ঢুকে মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই পানি নামা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবে। বন্যার পানি কমার আগে সংযোগ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে কত মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছেন এই হিসাব তিনি দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বন্যার কবলে ৮ জেলা, বিস্তৃত হতে পারে আরও
৪ মাস আগে
শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের সমাগম
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে।
শনিবার বিকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নানা পেশাজীবীরা আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগ কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
এতে শিল্পী, শিক্ষার্থী, রিকশাচালকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন বলে ঘটনাস্থল থেকে ইউএনবির এই ফটো সাংবাদিক জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগ চেয়ে শহীদ মিনার থেকে এক দফা দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী শিক্ষা আন্দোলনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে 'অসহযোগ আন্দোলনের' জরুরি নির্দেশনা
৪ মাস আগে