মানুষ
মানুষকে ভোটাধিকার ছাড়া রাখলে পরিণতি ভালো হবে না: বঙ্গবীর
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, ভোটাধিকার চায়। তাই মানুষকে দীর্ঘদিন ভোটাধিকার ছাড়া রাখলে বর্তমান সরকারের পরিণতি খুব ভালো হবে না।
তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার এই রকম ন্যক্কারজনক পতনের প্রধান কারণ, তিনি মানুষের ভোটাধিকারকে সম্মান করেননি। পরপর কয়েকবার মানুষকে সঠিকভাবে ভোট দিতে দেননি। এর ফলে এটা হয়েছে। দীর্ঘ সময় মানুষকে ভোটাধিকার ছাড়া রাখলে এখন যারা আছে, তাদের পরিণতিও খুব ভালো হবে না। এটা আমার বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন: ভিসা নীতি আমাদের জন্য লজ্জার, অসম্মানের: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
রবিবার (১৭ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে এ দেশের মানুষের খুব আশা ছিল, কিন্তু এই তিন মাসে সেই আশার ফল তারা পায়নি। সাধারণ মানুষের যে উপার্জন, তারা বাজারে যেতে পারছে না, স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার নিয়ে ভালোভাবে খেতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘যারা সরকার চালাচ্ছে তাদের আমি অনুরোধ করব, তারা যেন দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করেন। ক্ষমতা কারও জন্য চিরস্থায়ী নয়। যারা ছিলেন তাদের জন্য যেমন চিরস্থায়ী ছিল না, তেমনি আজকে যারা এসেছেন তাদের জন্যও চিরস্থায়ী নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের একটা মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অতীতকে বর্জন করে এই পরিবর্তন যদি কেউ করতে চায়, তাহলে আহাম্মকের স্বর্গেই বাস করছে। দুদিন পরে তাদেরও এরকম হতে হবে।’
এ সময় সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীবসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবীর ওসমানীর জন্মশতবার্ষিকী আজ
৪ দিন আগে
মানুষের আশা-প্রত্যাশা বিগত ৩ মাসে খুব একটা পূরণ হয়নি: দুদু
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিগত তিন মাসে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদ, এমপি, প্রধান বিচারপতি, বায়তুল মোকাররমের প্রধান খতিব পালিয়ে যাওয়ায় দেশে যে শূন্যতা তৈরি হয় তার প্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আটক
বিএনপি নেতা বলেন, মানুষের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও আশা ছিল; তার ভেতর সবচেয়ে বড় হচ্ছে দেশের মানুষ দুমুঠো খেয়েপরে বেঁচে থাকবে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের সময় যে সিন্ডিকেট হয়েছিল সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। কিন্তু এই ৩ মাসে সেটি খুব একটা পূরণ হয়নি।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে চুয়াডাঙ্গা শহরে নিজ বাসভবনে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছিল যে তারা ভোটাধিকার ফিরে পাবে। তারা নিজেদের অধিকারের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে। কিন্তু সেই নির্বাচন এখনও পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি।
বিএনপি দাবি করেছিল রোডম্যাপ এবং যৌক্তিক একটি সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের। সেটিও সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত সরকার উদ্যোগী হয়েছে ও নির্বাচন দেবে বলেছে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট তারিখ-মাস ঘোষণা করেনি।
তিনি বলেন, সেটি ঘোষণা করলে আগামী দিনে দেশের মানুষ আরও উৎফুল্ল হবে, আরও সফল হবে। যতক্ষণ ঘোষণা না করছে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ একটু উদগ্রীব বা হতাশই থাকবে।
এসময় জেলা বিএনপির সদস্য আইনজীবী ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগের আগে কোনো সংলাপ নয়: শামসুজ্জামান দুদু
১ সপ্তাহ আগে
এক বছরে যক্ষ্মায় আক্রান্ত ৮০ লাখ মানুষ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাব অনুযায়ী গত বছর ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর নতুন প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছর প্রায় ১.২৫ মিলিয়ন মানুষ যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
করোনা মহামারী চলাকালে কোভিড -১৯ বিশ্বের শীর্ষ সংক্রামক ঘাতক রোগের তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিলেও যক্ষ্মা আবারও তালিকার শীর্ষস্থানে ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩ জনের করোনা শনাক্ত
২০২৩ সালে এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ এই মৃত্যু।
ডব্লিউএইচও জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের যক্ষ্মা আক্রান্ত হওয়া সংখ্যা বেশি। বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এক বিবৃতিতে বলেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থাকার পরও যক্ষ্মা এখনও অনেক মানুষের মৃত্যু ও অসুস্থতার কারণ।
তবে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা কমছে এবং নতুন করে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যাও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, প্রায় চার লাখেরও বেশি মানুষ গত বছর ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে অর্ধেকের কম মানুষের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা হয়েছিল।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষের যক্ষ্মা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৫-১০ শতাংশ মানুষের যক্ষ্মার লক্ষণগুলো প্রকাশ হয়।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসসহ অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলো দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন কোম্পানি সেফিডকে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা পরীক্ষা সহজলভ্য করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। এ মাসের শুরুর দিকেও ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স ও আরও ১৫০টি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিয়ে কর্মরত সংস্থা সেফিডকে খোলা চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিতে আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: এলএনজি-সার, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানির অনুমোদন
৩ সপ্তাহ আগে
মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: জামায়াত আমির
জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তারা জাতির ঘাড়ে এখনও বসে আছে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে দেশের মানুষ আরও নির্যাতিত হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
বিগত সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের কথা তুলে ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সকলকে দেশে ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী দিনে জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে নারীদের সবোর্চ্চ সম্মানের সঙ্গে সমাজ উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে যেখানে নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোনো নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। যেখানে সবাই মিলেমিশে সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হিংসামুক্ত সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, যারা একদিন গর্ব করে বলতেন এ দেশে জালিম কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। দেশ থেকে জালিমদের বিতারিত করতে হবে। অথচ আজ তারা নিজেরাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
তিনি বলেন, বিদেশে বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভুত্ববাদ মেনে নেওয়া হবে না। কেউ যদি প্রভুত্ব করতে আসে তাহলে জাতি তাদের উচিত জবাব দেবে।
জামায়াতের প্রধান বলেন, এমন একটি সমাজ গড়া হবে যেখানে আদালত প্রাঙ্গণে কোনো বিচারপ্রার্থীকে হয়রানির শিকার হতে হবে না। বিচারক দুর্নীতিমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের আইন ও বিবেক দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করবে।
জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের মানুষ স্বৈরাচার সরকার দ্বারা নির্যাতিত। তবে দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে নির্যাতিত ও মজলুম দল। এই দলের নেতাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিচারের নামে জুলুম করে গুম, খুন করা হয়েছে। বিগত সরকার জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে নানা পাঁয়তারা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা গণআন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রতীক কেড়ে নেয়। তবে জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে দেশপ্রেমিক আলেম-ওলামাদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
১ মাস আগে
যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: জিএম কাদের
বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘বন্যাদুর্গতরা আমাদের ভাই। যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ তহবিল গঠনবিষয়ক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা তাদের পাশে ছিলাম, আছি ও পাশে থাকব। এমন মানবিক বিপর্যয়ে ভাইদের পাশে আমরা সবসময় থাকব। একইসঙ্গে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজেও জাতীয় পার্টি দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে।’
আরও পড়ুন: আগে আওয়ামী লীগ গাছের মতো ছিল কিন্তু এখন পরগাছা হয়ে গেছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকেই জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীরা স্থানীয়ভাবে বন্যাদুর্গতদের পাশে আছে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলে আমরা তাদেরও সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলেন, ‘যারা বন্যায় নিহত হয়েছেন তাদের যেন মহান আল্লাহ শহিদী মর্যাদা দান করেন।’
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কোনো সতর্কীকরণ ছাড়া ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে এই ভয়াবহ বন্যা।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী উজানের কোনো রাষ্ট্র যদি নদীর গেট খুলে দেয় তাহলে অবশ্যই ভাটির দেশগুলোকে আগাম জানিয়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে। অথচ ভারত সরকার বাংলাদেশকে সতর্ক করেনি।’
এই সভা থেকে ভারতের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান মুজিবুল হক চুন্নু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আইনজীবী মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, মোস্তফা আল মাহমুদ, শেরীফা কাদের, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন, ড. নুরুল আজহার শামীমসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান জিএম কাদের
সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন: জিএম কাদের
২ মাস আগে
বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু, ১১ জেলায় ৪৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বাংলাদেশে চলমান বন্যায় ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১১টি জেলায় ৪৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.কামরুল হাসান জানান, ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারে ব্যাপক বন্যাসহ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ২ হাজার জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী
বন্যায় ৭৭টি উপজেলার ৫৮৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি পরিবার ক্ষয়ক্ষতির কবলে পড়েছে।
দুই নারীসহ ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সচিব। হতাহতদের মধ্যে কুমিল্লার চারজন, ফেনীর একজন, চট্টগ্রামে দুজন, নোয়াখালীর একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও কক্সবাজারে তিনজন রয়েছেন।
সংকট মোকাবিলায় সরকার ৩ হাজার ১৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। এসব কেন্দ্রে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৬৩৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
দুর্গতদের সহায়তার জন্য মন্ত্রণালয় নগদ ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০ হাজার ১৫০ টন চাল এবং ১৫ হাজার খাদ্যের প্যাকেট বিতরণ করেছে। চলমান দুর্যোগ মোকাবিলায় সব জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ রয়েছে বলেও আশ্বস্ত করেন সচিব।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে 'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল' গঠন
২ মাস আগে
ফেনীতে বন্যা: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
ভারী বৃষ্টি ও উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফেনীর সাড়ে তিন লাখ মানুষ।
জেলার সদর উপজেলা,পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া বন্যার কারণে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় ডুবছে একের এক জনপদ। সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা, ফেনী-চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত: এফএফডব্লিউসি
জানা গেছে, বন্যার পানিতে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকেই জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সব এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় পুরোপুরি সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পরশুরামের স্থানীয় সাংবাদিক মহি উদ্দিন বলেন, বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। পানির তীব্র স্রোতের কারণে ঠিকভাবে উদ্ধার কাজও করতে পারছেন না। তারমধ্যে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আরও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, জেলায় চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখের বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক ছিল।
ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, আমাদের প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভবন গুলোর নিচ তলায় পানি ঢুকে মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই পানি নামা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবে। বন্যার পানি কমার আগে সংযোগ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে কত মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছেন এই হিসাব তিনি দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বন্যার কবলে ৮ জেলা, বিস্তৃত হতে পারে আরও
২ মাস আগে
শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের সমাগম
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে।
শনিবার বিকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নানা পেশাজীবীরা আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগ কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
এতে শিল্পী, শিক্ষার্থী, রিকশাচালকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন বলে ঘটনাস্থল থেকে ইউএনবির এই ফটো সাংবাদিক জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগ চেয়ে শহীদ মিনার থেকে এক দফা দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী শিক্ষা আন্দোলনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে 'অসহযোগ আন্দোলনের' জরুরি নির্দেশনা
৩ মাস আগে
দেশের মানুষকে কোটা আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে সারা দেশে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীসহ সকল রাজনৈতিক দলে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক আলোচনা সভায় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের বেডে শুয়ে রক্তাক্ত শিক্ষার্থীরা তাদের রক্ষা করতে, তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের আন্দোলনের সঙ্গে থাকার জন্য আমাদের আহ্বান জানাচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের আবেদন... আমি মনে করি পুরো জাতির এই আহ্বানে সাড়া দেওয়া উচিত। সব রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী ও ভয়ানক শাসন থেকে মুক্তি পেতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে অংশ নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মশিউর রহমানের (যাদু মিয়া) জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানান ফখরুল। তিনি বলেন, 'গতকাল (সোমবার) এই সরকার যা করেছে, বাংলাদেশে এর আগে তা কখনো দেখিনি। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের কখনো হাসপাতালে ঢুকে আহতদের ওপর হামলা করতে দেখিনি। এটা আমরা কখনো ভাবতে পারি না, এমনকি পাকিস্তান আমলেও না।’আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান নৃশংসতা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয় মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনের জন্য তার সশস্ত্র ক্যাডারদের নামিয়েছে। ‘তারা (সরকার) ভয়াবহ দমন-পীড়ন চালিয়ে শিক্ষার্থীদের দমন করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্য হারিয়ে এখন দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। ‘আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে তাদের তথাকথিত শক্তি এবং আমলা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা বাংলাদেশকে একটি সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: ঢাকা কলেজের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
৪ মাস আগে
মানুষের উপকারে আসবে এমন হাসপাতাল তৈরির কাজই আমি করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, মানুষের উপকারে আসবে এমন প্রকল্প বা হাসপাতাল তৈরির কাজই আমি করব।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরে বার্ন ইউনিট, ক্যান্সার, কার্ডিয়াক, নেফ্রোলজির যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করাটা আমার লক্ষ্য। একজন দরিদ্র মানুষ রংপুর থেকে ডায়ালাইসিসের জন্য ঢাকা আসবেন, সেটা তো হয় না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এমন প্রকল্প নিয়েই কাজ করব, যেটা শেষ করতে পারব। সেটা এখন থেকেই করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটার সদ্ব্যবহার করতে পারলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।’
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) কর্তৃক আয়োজিত বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য অভিঘাতের ফলে বাংলাদেশে দারিদ্র্য শীর্ষক সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা কমিয়ে আনার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি বিগত ৪৮ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্যসেবা বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক সব জায়গা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা যদি নিশ্চিত করতে না পারি, আমি ঢাকায় বসে যতই লেকচার দিই না কেন কোনও লাভ হবে না। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে ও প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করাটাকে আমি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমি নিজে প্রত্যেক জায়গায় গিয়ে চেকআপ করি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখি মেশিন ঠিক আছে কিনা। আমি ওখানে গিয়ে দেখলাম হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিসের রোগী অনেক বেশি। আমি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি, সব জায়গায় রোগীদের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আমরা যদি ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিসের যথাযথ চিকিৎসা ও ওষুধ দিতে পারি তাহলে ঢাকা শহরে এত বড় বড় বিশেষায়িত হাসপাতালের দরকার হবে না।’
এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেসক্রিপশন ছাড়া সামান্য সর্দি জ্বর হলেই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেসিস্টেন্ট ভয়ানক একটা জিনিস। এ প্রসঙ্গে আমি বলব ডিজি ড্রাগকে আরও শক্ত হতে হবে। ফার্মেসিতে গিয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে আমরা ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন সিস্টেম চালু করার চেষ্টা করছি। ইলেকট্রনিক প্রেসক্রিপশন সিস্টেম যদি চালু করা যায় তাহলে যথাযথ মনিটরিং করা সম্ভব হবে, ওষুধের যথেচ্ছ ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মন্ত্রী হবার মেয়াদ ছয় মাস। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে আমি অন্তত সাতটি সভা করেছি। রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করাটা আমার দ্বায়িত্ব।’
স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা নিরসনে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপার জনমত তৈরি করতে হবে। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ও সৃষ্ট জনমতের কারণে পাঁচ বেড থেকে ৫০০ বেডের বার্ন হাসপাতাল তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বার্ন হসপিটাল। একটা রোগীও বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে না। রোগীরা আইসিইউতেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন।’
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গবেষক ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ পারিবারিক আয় ব্যয় জরিপের ২০২২ (এইচআইইএস) ভিত্তিতে তার গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডিএসের গবেষক, শিক্ষক শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: মেডিকেল কলেজগুলোতে উন্নত শিক্ষা দিলে সুদক্ষ চিকিৎসক তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য বিভাগের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৪ মাস আগে