জঙ্গি সংগঠন
মাগুরায় জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য গ্রেপ্তার
মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী থেকে জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলামে’র দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে আলমখালী যাত্রী ছাউনি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অবরোধে বিএনপির ২০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য হলেন—পাবনা জেলার রাঘবপুর গ্রামের মো. মনিরুল ইসলামের ছেলে মো. ঈশান হায়দার ও বরিশাল জেলার মানরাতুল কুশুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দস বারীর ছেলে আব্দুল করিম।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) খুলনা-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৬ এর একটি অপারেশন দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে আটক করে। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা তিন থেকে চারজন পালিয়ে গেছেন।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার ঈশান হায়দার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রোডাকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি একই দলের ইয়াকুব হুজুরের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের যোগদান করে দাওয়াতি কার্যক্রম করতেন। তিনি পাবনার দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে কাজ করছিলেন। পাশাপাশি তিনি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন।
এছাড়া আব্দুল করিম পেশায় মুদি দোকানদার ছিলেন। তিনি ও ঈশান হায়দার একই দলের আব্দুল এর মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগদান করেন। তিনি তার নিজ এলাকা বরিশালে দাওয়াতি কার্যক্রমের পাশাপাশি সংগঠনের নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন।
গ্রেপ্তারদের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলে আরও জানা যায়, উভয়ের নামেই পূর্বে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। এ কারণে তারা বিভিন্ন সময় স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ঝিনাইদহে মা ও মেয়েকে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ২ জন গ্রেপ্তার
১১ মাস আগে
বাগেরহাটে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
বাগেরহাট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও সংগঠনের নোট বই উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে র্যাব খুলনা-৬ এর সদস্যরা বাগেরহাট জেলার মোল্লাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের বাগেরহাট, খুলনা ও গোপালগঞ্জ অঞ্চলের দাওয়াতী শাখার সদস্য বলে র্যাব সূত্র জানায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পিরোজপুর জেলার কামাল গাজীর ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম (২৩), গোপালগঞ্জ জেলার গাউছ মোল্যার ছেলে মো. আকাশ ওরফে আব্দুল্লাহ (২৩), একই জেলার মোহাম্মদ জাকির ফকিরের ছেলে তাজিম উদ্দিন ওরফে জসীম উদ্দিন (২১), একই জেলার সৈয়দ আহাদুজ্জামানের ছেলে মো. রিপন (২০) এবং মাদারীপুর জেলার মতিউর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন অনিক (২০)।
আরও পড়ুন: 'অপারেশন হিলসাইড': নতুন জঙ্গি সংগঠন 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা'র ১০ সদস্য আটক
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদের মধ্যে তরিকুল গোপালগঞ্জে একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। আব্দুল্লাহা বাগেরহাটে একটি মাদ্রাসায় পড়তেন। তাজিমুদ্দিন গোপালগঞ্জের একটি স্থানীয় মাদরাসায় ইমামতী করতেন। ইসমাইল গোপালগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় পড়তেন এবং রিপন ২০২২ সালে আব্দুল্লাহার মাধ্যমে সংগঠনে যোগদান করেন।
গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সদস্য বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন।
তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্ধুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামে যোগ দেয়।
এরপর থেকে তারা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করছি বলে র্যাব জানায়।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ চালাচ্ছে সিটিটিসি
জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' নিষিদ্ধ
১ বছর আগে
'অপারেশন হিলসাইড': নতুন জঙ্গি সংগঠন 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা'র ১০ সদস্য আটক
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দুর্গম এলাকায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ নামে অভিযান চালিয়েছে নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা'র ১০ সদস্যকে আটক করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা।
শনিবার (১২ আগস্ট) উপজেলার পূর্ব টাট্রিউলি গ্রামেও জঙ্গিদের ওই আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ ছাড়া গোপন ওই আস্তানা থেকে তিন শিশুকেও উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শরিফুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আমিনা বেগম (৪০), তাদের ২০ বছরের মেয়ে হাবিবা বিনতে শরিফুল; কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার হাফিজ উল্লাহ (২৫); নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার খায়রুল ইসলাম (২২) ও তার স্ত্রী মেঘনা (২২); সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার রফিউল ইসলাম (২২); পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী শাপলা বেগম (২২); নাটোরের সোহেল তানজিম রানার স্ত্রী মাইশা ইসলাম (২০) এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার সুমন মিয়ার স্ত্রী সানজিদা খাতুন (১৮)।
অভিযানের পর শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তারা চার পুরুষ ও ছয় নারীকে আটক করেছেন এবং গোপন আস্তানা থেকে তিন শিশুকে উদ্ধার করেছেন।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ চালাচ্ছে সিটিটিসি
তিনি বলেন, আটকরা নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র সদস্য।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, তারা গোপন আস্তানা থেকে আড়াই কেজি বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ, ৫০টি বিস্ফোরক, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, যুদ্ধের বুট, জঙ্গিবাদী বই, স্থানীয়ভাবে তৈরি ধারালো অস্ত্র, নগদ ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ও অলংকার জব্দ করেছেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, তাদের কাছে তথ্য ছিল, একটি জঙ্গি সংগঠন জেলার একটি পাহাড়ে আস্তানা তৈরি করে নতুন করে সদস্য সংগ্রহ করে সংগঠিত হচ্ছে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, আটকদের কাছ থেকে তারা জঙ্গি সংগঠনের মূল পরিকল্পনাকারীর নাম জানতে পেরেছেন এবং তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশের সহায়তায় গ্রামের ওই ভবন ঘেরাও করেন সিটিটিসি সদস্যরা। পরে শনিবার সকালে গোপন ওই আস্তানায় অভিযান চালাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেন তারা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম জানান, আটক সন্দেহভাজন জঙ্গিরা অন্য জেলার বাসিন্দা এবং তারা গত দুই মাস ধরে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বাড়ি তৈরি করে ওই এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' নিষিদ্ধ
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জেলা শাখার সাবেক কমান্ডার এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৯ মে) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞা এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
দণ্ডিত এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুন দিনাজপুর জেলার সরকারপাড়া গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির চট্টগ্রাম জেলার কমান্ডার ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।
তিনি জানান, একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বুলবুল আহমেদ সরকার ওরফে ফুয়াদ (২৬), মো. সুজন (২৪) ও মাহাবুবুর রহমান ওরফে খোকন (৩৫)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানার মীর আউলিয়ার মাজার সড়কের এনআর স্টিল মিলের সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। ওই বাসা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বইসহ এরশাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানের সময়ে অন্য আসামিরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আকবর শাহ থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আকবর শাহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোলায়মান ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল চারজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে আদালত তাদের বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
১ বছর আগে
জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসারের নায়েবে আমির গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বলছে, ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার নায়েব-ই-আমিরকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিটিটিসি ইউনিটের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অভিযান চালিয়ে মহিবুল্লাহকে দু’টি মোবাইল ফোন সেট ও একটি ল্যাপটপসহ গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সোনাগাজীতে ১৬ বছর পর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
বুধবার সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার জঙ্গির নাম মহিবুল্লাহ ওরফে ভোলার শায়েখ।
ব্রিফিংকালে আসাদুজ্জামান বলেন, মহিবুল্লাহ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের পার্বত্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার পর খুতবা দিতেন এবং উদ্বুদ্ধ করতেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ধর্মীয় শাস্ত্রের অপব্যাখ্যা করার পর নতুন নিয়োগকারীদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে ‘জিহাদের’ জন্য প্রস্তুত করাই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য।
কিছুদিন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে থাকার পর মহিবুল্লাহ ঢাকায় ফিরে আসেন এবং এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ জোরদারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মহিবুল্লাহ ঢাকা, সিলেট ও কিশোরগঞ্জে তৎপরতা জোরদার করতে জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছেন।
তিনি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীর মাদ্রাসায়ও যেতেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।
হাটহাজারীর একটি মাদ্রাসার ছাত্রাবস্থায় মহিবুল্লাহ নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) একজন সক্রিয় সদস্যও ছিলেন। তিনি হুজি-বি-এর অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও ‘জিহাদি প্রশিক্ষণ’ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যাসহ ১০ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
সিরাজগঞ্জে ফেনসিডিল জব্দ, ৪ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ গ্রেপ্তার: র্যাব
১ বছর আগে
বান্দরবানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৩ সদস্য আটক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়া'র সন্দেহভাজন তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
সোমবার সিটিটিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সিটিটিসির একটি দল রবিবার নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ তাদের আটক করে।
আরও পড়ুন: জগন্নাথপুরে সন্দেহজনক ‘জঙ্গি আস্তানা’ ঘিরে রেখেছে পুলিশ
গ্রেপ্তারদের মধ্যে জঙ্গি সংগঠনের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারীও রয়েছে।
সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিং করে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।
গত বছরের ১০ অক্টোবর থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জেলায় লুকিয়ে থাকা চরমপন্থী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় দুই শিশুসহ নিহত ৪: পুলিশ
রাজধানীতে আল কায়েদা অনুপ্রাণিত ৬ জঙ্গি গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
১ বছর আগে
রাজধানীতে আনসার আল ইসলামের সদস্য গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
শনিবার রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার উজ্জল মিয়া ওরফে উজ্জল খন্দকার (২৩) হবিগঞ্জ জেলার সুনাহর খন্দকারের ছেলে।
সিটিটিসি ইউনিটের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুলিশ তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট, কিছু জিহাদি বই ও লিফলেট জব্দ করেছে।
এ ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে আনসার আল ইসলামের ২ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় আজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষক ও লেখক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে আজ বুধবার।
গত ২৭ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের এই দিন নির্ধারণ করেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক আহত হন অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ। পরের দিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। ওই হামলার পরে তিনি ২২ দিন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। একই বছর জার্মানিতে চলে যান তিনি। সেখানেই ১২ আগস্ট মারা যান তিনি। এরপর এটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপ নেয়।
আরও পড়ুন: হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ১৩ এপ্রিল
২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদশের (জেএমবি) প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, নূর মোহাম্মদ সাবু ওরফে শামীম, মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ওই বছরের ৩০ মার্চ ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাঁদের নাম বাদ দেয়া হয়।
সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটির মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনিই মামলাটির তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। তাদের মধ্যে আসামি নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের প্রিজনভ্যান থেকে এ মামলার দুই আসামি সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে এদের মধ্যে রাকিব ওই দিন রাতেই ধরা পড়েন এবং পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ মারা যান।
আরও পড়ুন: ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
২ বছর আগে
হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ১৩ এপ্রিল
লেখক ও শিক্ষাবিদ হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় আগামি ১৩ এপ্রিল নির্ধারণ করেছেন আদালত। রবিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এই রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। তাদের মধ্যে আসামি নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের প্রিজনভ্যান থেকে এ মামলার দুই আসামি সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে এদের মধ্যে রাকিব ওই দিন রাতেই ধরা পড়েন এবং পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ মারা যান।
উল্লেখ্য ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক আহত হন অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ। পরের দিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। ওই হামলার পরে তিনি ২২ দিন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। একই বছর জার্মানিতে চলে যান তিনি। সেখানেই ১২ আগস্ট মারা যান তিনি। এরপর এটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপ নেয়।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদশের (জেএমবি) প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, নূর মোহাম্মদ সাবু ওরফে শামীম, মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ওই বছরের ৩০ মার্চ ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাঁদের নাম বাদ দেয়া হয়।
সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটির মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনিই মামলাটির তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
২ বছর আগে
নড়াইলে আনসার আল ইসলামের ২ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
নড়াইলে ‘আনসার-আল ইসলাম’ নামের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাব। বুধবার সকালে নড়াইল পৌরসভার বেতবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নড়াইল সদরের বিছালী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আবু নাঈম (২৫) এবং সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শাহরিয়ার রানা (২২)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২ মার্চ) সকালে নড়াইল পৌরসভার বেতবাড়িয়া এলাকার মাসুদ মিয়ার বাড়িতে আনসার-আল-ইসলাম এর গোপন বৈঠক চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভুয়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট: র্যাবের হাতে আটক ১৪
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে শাহরিয়ার রানা আনসার-আল-ইসলাম এর খুলনা শাখার কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করছে। এরা সকলে আনসার-আল-ইসলাম খুলনার দাওয়াতি শাখার সঙ্গে যুক্ত।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)তদন্ত মাহমুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় র্যাব মামলা করেছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় আটক ৫
২ বছর আগে