ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়া শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আশরাফুল ইসলাম নামে একজনকে হত্যার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিন্টু ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিন্টু ফকির কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের বকচত্বরের উত্তর দিকে রউফ চৌধুরীর মার্কেটের সামনে আশরাফুল ইসলামকে তলপেটে, বাম পায়ের উরুসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট নিহত আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী লাবণী আক্তার ইতি কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা-কর্মীসহ মোট ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে।
নিহত আশরাফুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার শালদহ গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি রঙ মিস্ত্রির কাজ করতেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘আন্দোলকারী আশরাফুল ইসলামকে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন মিজানুর রহমান। বটতৈল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মামলার পর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত।
১ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমার মোড় এলাকা থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মেহেদী হাসান ডিক্রিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত।
এর আগে নিক্সনের আরেক ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সিতে পাস, গ্রেপ্তার ৩
দীর্ঘদিন ধরে ডিক্রিরচর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু তোলার অভিযোগ রয়েছে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। তাকে হত্যা মামলায় আপাতত গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে তাকে অপর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, হত্যা মামলার বাদী ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা রুমন শেখ। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিঅ্যান্ডবিঘাট টোল প্লাজার সামনে বিএনপি প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের পক্ষে পোস্টার লাগান ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা হিরু শেখ। এ সময় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মেহেদী হাসানকে আসামি করে সম্প্রতি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন হিরুর ছেলে রুমন শেখ। এছাড়া শহরের কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা আজাদ শেখ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির আহমেদ বলেন, ‘মেহেদী হাসানকে রবিবার (১ ডিসেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাকে পুলিশের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হবে।’
উল্লেখ,ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খালিদ হোসাইন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ১ কোটি সাত লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকা অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় দুদক এ মামলাটি রুজু করা হয়।
আরও পড়ুন: রাবিতে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
৩ সপ্তাহ আগে
জয়পুরহাটে সেনা সদস্যকে লাঠিপেটা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
জয়পুরহাট সদরে এক সেনা সদস্যকে লাঠিপেটা করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট শহরের ধানমন্ডি এলাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যানকে এবং সদর উপজেলার মীরগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপর জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু (৫১) ও একই এলাকার আবদুল ওহাব (৫৩)।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে পালানো হত্যা মামলার আসামি ফের গ্রেপ্তার
জানা গেছে, প্রতিবেশি আবদুল ওহাবের সঙ্গে সেনা সদস্য রুহুল আমিন জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। বুধবার দুপুরে ওই জমি নিয়ে রুহুল আমিন ও প্রতিবেশি ওহাবের তর্কবির্তক ও একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দুজনের মধ্যে সমঝোতা হয়।
ওই দিন বিকালে আমদই ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান মোবাইল ফোনে সেনাসদস্য রুহুল আমিনকে স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে তার ব্যক্তিগত অফিসে (কার্যালয়ে) আসতে বলেন। কয়েকজন স্বজনসহ রুহুল আমিন সেখানে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু তাকে একটি ফাঁকা আপসনামায় স্বাক্ষর করতে চাপ দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাবু গ্রাম পুলিশের কাছ থেকে লাঠি নিয়ে সেনাসদস্য রুহুল আমিনকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে বগুড়ার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) ভর্তি করেন স্বজনরা।
এ ঘটনায় আহত সেনাসদস্য রুহুল আমিনের চাচা মাহফুজুল হক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবুসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে জয়পুরহাট সদর থানায় দায়ের মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে গ্রেপ্তার ১০: জুয়ার সরঞ্জাম জব্দ
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান জানান, সেনাসদস্যকে লাঠিপেটার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবুসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারেপুলিশ ও র্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবুসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হযেছে।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।
২ বছর আগে
ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ধর্ষণ মামলায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান বাদলকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ বছর আগে