অভিযোজন
বাংলাদেশে জলবায়ু অভিযোজনে শক্তিশালী সম্পদ ব্যবহারের আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের
বাংলাদেশের মতো জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য শক্তিশালী সম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
নিউ ইয়র্কের শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, 'উদ্ভাবনী সমাধান ও অতিরিক্ত অর্থায়নের মাধ্যমে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড পরিচালনা করাও গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলায় দেওয়া ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একইভাবে তাদের প্রযুক্তির সুবিধা এবং আরও ব্যাপক সক্ষমতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে আমাদের জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তিগুলোর সুবিধা দরকার, বিশেষত কৃষি, পানি বা জনস্বাস্থ্যে, যেখানে পরিমিত সমাধান বা উদ্ভাবন লাখ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে পারে।’
ইউনূস বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সবার জন্য অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এই গ্রীষ্মে স্মরণকালের তাপপ্রবাহ বিশ্বকে জলবায়ু-প্ররোচিত পরিবর্তনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।আরও পড়ুন: দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো জলবায়ুতে ন্যায়বিচার।- যাতে দায়িত্বজ্ঞানহীন পছন্দ বা উদাসীন পদক্ষেপ বা ক্ষতির হিসাব করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি চারদিকে অপূরণীয় ক্ষতি করে। আমরা জীব-বৈচিত্র্য হারাচ্ছি, রোগজীবাণু পরিবর্তন নতুন রোগের দিকে পরিচালিত করে, চাষাবাদ চাপে পড়ছে, পানিসম্পদের সংকোচন আবাসস্থলের জন্য হুমকিস্বরূপ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও লবণাক্ততা জীব-বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছে।’
ঘূর্ণিঝড় বা বন্যার ক্রমবর্ধমান তীব্রতা এবং ফ্রিকোয়েন্সির দিক থেকে ক্ষয়ক্ষতি উপেক্ষা করা যায় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র কৃষক এবং কারিগরি কাজ নির্ভররা আরও গভীরভাবে জলবায়ু ঝুঁকির সম্মুখীন হন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'আমি যখন কথা বলছি, তখন বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের জীবদ্দশায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা প্রত্যক্ষ করছে।
তবুও, মহাসচিব গুতেরেস দেখিয়েছেন যে ‘বর্তমান গতিপথ’র বিশ্ব +২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিস্থিতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বিশ্ব ক্রমবর্ধমানভাবে ডি-কার্বনাইজেশনের দিকে মনোনিবেশ করছে। এ ধরনের পরিবর্তন যাতে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের জন্য উপকারী হয়, সেজন্য নেটজিরো বিশ্বের রূপান্তরমূলক রূপকল্প বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্যও পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
অন্যথায়, আমরা 'অংশীদারিত্বমূলক দায়িত্বের' মাধ্যমে 'অংশীদারিত্বমূলক সমৃদ্ধি'র অঙ্গীকার থেকে ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছি বলে উল্লেখ করেন ইউনূস।
তিনি বিশ্বাস করেন, শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নীট কার্বন নিঃসরণকে লক্ষ্য করে বিশ্বকে 'তিনটি শূন্য'র একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে জড়িত হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, যেখানে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে একজন তরুণ চাকরিপ্রার্থী হিসেবে নয়, উদ্যোক্তা হিসেবে বেড়ে ওঠার সুযোগ পাবে। যেখানে একজন তরুণ সব ধরনের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তার সুপ্ত সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারে। একজন উদ্যোক্তা সামাজিক সুবিধা, অর্থনৈতিক মুনাফা এবং প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধতার মধ্যে সর্বোত্তমভাবে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। সামাজিক ব্যবসা একজন ব্যক্তিকে ভোগবাদের ঊর্ধ্বে উঠতে সাহায্য করতে পারে এবং চূড়ান্তভাবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক রূপান্তরে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সময় নতুন মনোভাব, মূল্যবোধ, চুক্তি, সম্প্রদায় এবং দেশগুলোতে, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে একইভাবে সকল শীর্ষ ব্যক্তি এবং স্টেকহোল্ডারদের কাছে দাবি করে।
তিনি বলেন, 'আমরা যদি এ ধরনের পথ সংশোধন করতে চাই, তাহলে জাতিসংঘ ব্যবস্থা, জাতীয় ও উপ-জাতীয় সরকার, বেসরকারি সংস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জনহিতকর প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসঙ্গে চলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বিদ্যমান অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে 'সামাজিক ব্যবসা'কে মেনে নিই এবং এর অন্তর্ভুক্ত করি, তাহলে আমরা প্রতিটি সমাজে জনগণের নীচের অর্ধেকের জীবনে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারি।’
তিনি বলেন, তারা যদি বাস্তবিকভাবে সামাজিক ব্যবসার অবস্থান তৈরি করতে পারে, তাহলে আমরা বিদ্যমান বাজার অর্থনীতির মধ্যে জলবায়ু-সংবেদনশীল বিকৃতি রোধ করতে পারি।
অধ্যাপক ইউনূস এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'নতুন বাংলাদেশের' সঙ্গে নতুন করে সম্পৃক্ত হোন: জাতিসংঘে অধ্যাপক ইউনূসের আহ্বান
২ মাস আগে
জলবায়ু সংকটের বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানসহ অভিযোজন তহবিল দ্বিগুন করার দাবি বাংলাদেশের
বিশ্ব জলবায়ু সংকটের বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানের পাশাপাশি অভিযোজন তহবিল দ্বিগুন করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বলছে, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে জীবাশ্ম জালানির ব্যাপারে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এসময় দুর্বল অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রার খসড়ার ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করে বৈশ্বিক জলবায়ু অভিযোজনের অর্থ দ্বিগুণ করারও দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশ চাইছে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাসে প্রধান নির্গমনকারী দেশগুলোর রাজনৈতকি প্রতিশ্রুতি। এক্ষেত্রে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে উন্নত দেশগুলোকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় জলবায়ু সংকট থেকে মনোযোগ সরানো উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পার্টি হেড প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ুবিষয়ক দূত সাবের হোসেন চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হলে ফসিল ফুয়েলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। অনেক দেশ অনেক কথা বলছে। কিন্তু বিজ্ঞান কী বলছে আমদের সেটাতে গুরুত্ব দিতে হবে। ২৮তম জলবায়ু সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অবশ্যই বিজ্ঞানের ভিত্তিতে গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আলোচনার খসড়াগুলোতে সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার ও আগামীকাল (মঙ্গলবার) দুই দিন হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই দিনে আশা করছি, আমরা এই সম্মেলন থেকে একটি গ্রহণযোগ্য ফল বের করে আনতে পারব।’
অভিযোজনের লক্ষ্যের দুর্বল খসড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “‘বৈশ্বিক অভিযোজন লক্ষ্যে’র যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে তা আমরা পর্যালোচনা করছি। আশা করছি, সমমনা দেশগুলোকে নিয়ে আমরা শেষ দুই দিনে এই খসড়াকে শক্তিশালী করতে পারব।”
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, আমরা নতুন ও অতিরিক্ত সরকারি অর্থায়নে গুরুত্ব দেব। বাংলাদেশ দৃঢভাবে ন্যাপ বাস্তবায়নের জন্য দ্বিগুণ অভিযোজন তহবিল চাই। আমরা জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা অর্জনের জন্য সময়সীমাবদ্ধ বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্যগুলোর ওপর জোর দিয়ে অভিযোজন সংক্রান্ত গ্লোবাল গোলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উন্মুখ।
ক্ষয়ক্ষতির অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়ে পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, এই তহবিল থেকে অর্থ নিতে বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রস্তত। এ ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।
আগামীকাল মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে বহুল আলোচিত দুবাই জলবায়ু সম্মেলন। উদ্বোধনের দিনেই ক্ষয়ক্ষতি তহবিলকে কার্যকর করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্যদিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করা দুবাই জলবায়ু সম্মেলন শেষ দিনে চূড়ান্ত চুক্তিতে বিশ্ববাসীকে কী উপহার দেবে সেটা দেখার অপেক্ষায় অধীর বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো।
দুবাই জলবায়ু আলোচনা সোমবার চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। সেই সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রও ছোট হয়ে এসেছে। এখন কেবলমাত্র দুটি ইস্যু সামনে আছে। একটি হচ্ছে, জলবায়ু প্রশমনে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমানোর উচ্চাভিলাসী লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে- জলবায়ু সংকট উত্তরণে দেশগুলোর সদিচ্ছা প্রকাশ।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ জলবায়ু সংস্থার প্রধান সাইমন স্টিয়েল সোমবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুবাইয়ে একটি অর্থবহ চুক্তিতে উপনীত হতে হলে আমাদের বাধা সৃষ্টির মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। বৈশ্বিক মূল্যায়ন (গ্লোবাল স্টকটেক) অনুমোদনে সব দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন। এখানে হারজিতের কিছু নেই। আমি জিতব, আপনি হারবেন- এই মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে। এখানে একজনের পরাজয় মানে সবার ব্যর্থতা। যা বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে। তাই আলোচনার টেবিলে প্রত্যেককে মঙ্গলের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সব দেশের লক্ষ্য হতে হবে বিশ্বের সব মানুষের মঙ্গলের জন্য চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হওয়া।’
দুবাইয়ে গত ৩০ নভেম্বর থেকে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ-২৮) শুরু হয়েছে। তা চলবে আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। ১৩ দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ১৯৮টি দেশের সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন জলবায়ু সংকট এড়াতে প্রধান অর্থনীতিগুলোকে অবশ্যই ন্যায্য অংশীদারিত্ব করতে হবে: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলার কৌশল নিয়ে ইইউ, দক্ষিণ এশিয়ার নীতি নির্ধারক-বিশেষজ্ঞদের আলোচনা
১ বছর আগে
জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে সেমিনার
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীতে সংস্থাটির সভাকক্ষে ‘জলবায়ু অভিযোজনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’- শীর্ষক এক সেমিনার আয়োজন করে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নূরুন নাহার হেনা তার বক্তব্যে প্রথমেই সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য গণমাধ্যমকর্মী ও জলবায়ুকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু প্রভাবের ফলে নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।
এক্ষেত্রে, লবণাক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় নারীরা সুপেয় পানির অভাবে পিরিয়ড বন্ধ রাখার জন্য ওষুধ খাওয়ার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
জলবায়ু বিষয়ে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণে এ বিষয়ে সেশন রাখা হচ্ছে বলেও সবাইকে জানান তিনি।
সেমিনারের প্রধান আলোচক মালিক ফিদা এ খান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণে এগিয়ে আছে।
ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৫০ সাল নাগাদ জলবায়ুবান্ধব সমাজ গঠনের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান প্রণয়নে বিশ্বের ৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে প্রথম পাঁচটির মধ্যে বিবেচিত হয়েছে।
মুক্ত আলোচনায় সুইডিস দূতাবাসের প্রথম সচিব নায়োকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সার্বিক তথ্য প্রকাশের জন্য গণমাধ্যম ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের যৌথভাবে কাজ করার অনুরোধ করেন।
এক্ষেত্রে, বৈজ্ঞানিক ও স্থানীয় জ্ঞানের সমন্বয় করে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন অংশীজনদের মধ্যে অংশীদারীত্ব বিনির্মাণের জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটকে এই সেমিনার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ দেন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফায়জুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক সূফী জাকির হোসেন, পরিচালক এ, কে, এম আজিজুল হক, পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ, বিসিজেএফের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন সেমিনারে অংশ নেন।
ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক নাফিস আহমেদ এবং সমন্বয়ক হিসেবে উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান দায়িত্ব পালন করেন।
সেমিনারে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, জলবায়ু কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীসহ মোট ৫০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনার সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন সিইজিআইএস’র নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, এনএনআরসির সিইও এএইচএম বজলুর রহমান, বাংলাদেশস্থ সুইডেন দুতাবাসের প্রথম সচিব নায়োকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় রাশিয়ায় অধ্যয়নের সুযোগ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
পর্যটন শিল্পের বিকাশে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি: সেমিনারে বক্তারা
১ বছর আগে
বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন চায়: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগীদের নিকট হতে জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তাকারী অর্থায়নের উপকরণ ও কাঠামোতে অংশগ্রহণ করতে গভীরভাবে আগ্রহী। আমরা সহযোগিতার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং টেকসই ও রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের জন্য বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাঘ সংরক্ষণে ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত আইএমএফের রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট (আরএসটি) তহবিল সংক্রান্ত বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য আইএমএফ থেকে নীতি পরামর্শ এবং সক্ষমতা উন্নয়ন সহায়তা পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট।
মন্ত্রী বলেন, আইএমএফ কিভাবে বাংলাদেশকে তার জলবায়ু এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে এবং জলবায়ু অর্থায়নকে গতিশীল করতে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করার সুযোগ চাই।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শনে বাংলাদেশ বৈশ্বিক নেতৃত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ), মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রস্তুত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ বাস্তবায়নে অগ্রণী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোজন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে স্থিতিস্থাপকতা ও সমৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত হাতিয়ারে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও বাস্তুচ্যুতদের জন্য জলবায়ু সহনশীল আবাসনসহ জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার প্রস্তাব দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২২-২৩ জুন প্যারিসে অনুষ্ঠিত একটি নতুন গ্লোবাল ফাইন্যান্সিং প্যাক্টের শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে একটি সিভিএফ-ভি২০ সভায় সমাপ্তি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মোমেন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রকৃতির জন্য ইতিবাচক উন্নয়নের জন্য জলবায়ু অর্থায়নের ওপর ভি২০ অ্যাকরা-মারাকেচ এজেন্ডার জন্য সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি প্যারিস চুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিশ্রুতি মেনে চলার জন্য জলবায়ু অর্থায়নের ওপর কংক্রিট বিতরণযোগ্যতার ওপর সিভিএফ অবস্থানের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও ওষুধ আমদানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ইইউএন-হ্যাবিট্যাট সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
অভিযোজন গ্লোবাল হাব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ঢাকায় ভার্চুয়ালি গ্লোবাল হাব অন লোকালি-লিড অ্যাডাপ্টেশন (এলএলএ) উদ্বোধন করবেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজন (এলএলএ), যা অভিযোজন কর্মে নেতৃত্ব দিতে এবং অর্থপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের কাছে ক্ষমতা স্থানান্তরিত করে সমাধানগুলোর বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য সম্প্রদায়ের বিপুল সম্ভাবনা এবং সৃজনশীলতাকে বিকাশের সুযোগ দিতে পারে, অভিযোজনকে আরও কার্যকরী, ন্যায়সঙ্গত এবং স্থানীয় চাহিদার লক্ষ্যে আরও ভালোভাবে অনুঘটক করে।
বাংলাদেশ সরকার এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজনে বিশ্ব নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য অনুষ্ঠানটি একটি ‘মূল মাইলফলক’ হবে।
জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন বোর্ডের সভাপতি বান কি-মুন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. প্যাট্রিক ভারকুইজেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রান্তিক মানুষদের দ্বারা সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভূত হয়, কারণ তাদের উচ্চতর দুর্বলতা এবং অভিযোজন ক্ষমতা নিম্ন।
যাইহোক, এই সম্প্রদায় এবং ব্যক্তিরা শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার নয়। উন্নয়ন এবং পরিবেশ সেক্টরে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা দেখিয়েছে যে যখন সক্রিয় করা হয়, তারা স্থানীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সমাধান খুঁজে বের করতে এবং বাস্তবায়নে অত্যন্ত কার্যকরী নেতা।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলার বিষয়ে বাংলাদেশের এবং অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়ার জন্য জিসিএর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিসিএ ঢাকা অফিসে স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজন-এর ওপর গ্লোবাল হাব চালু করছে, যা স্থানীয় সম্প্রদায়কে অভিযোজনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সহায়তা করতে একটি গ্লোবাল সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশ সরকার জিসিএ আঞ্চলিক অফিস এবং এলএলএ-তে গ্লোবাল হাব হোস্ট করে, এই প্রচেষ্টার একটি মূল কৌশলগত অংশীদার।
এলএলএ-তে গ্লোবাল হাবের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হল জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা এবং সমাজের অংশগুলোর জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাস করতে দ্রুততার সঙ্গে এলএলএর প্রচার করা।
হাব ২০২৫ সালের মধ্যে কমপক্ষে ২৫টি দেশে এলএলএ বৃদ্ধির দিকে অগ্রগতি তুলে ধরে এমন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
হাব এলএলএ সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো শনাক্ত করবে এবং বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সেগুলোকে পরিমাপ করবে; দেশগুলোতে স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনের দিকে বৃহত্তর পদ্ধতিগত পরিবর্তনের পক্ষে ওকালতি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
চট্টগ্রামে আ.লীগের সমাবেশ: প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবারের কপ-২৭ আলোচনার মূল ফোকাস: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির অভিযোজন ও প্রশমন নিয়ে এবারের জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে (কপ-২৭) ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা চিহ্নিত করা ও তা পূরণের জন্য অভিযোজন ও প্রশমনের সুনির্দিষ্ট পন্থা এবারের জলবায়ু সম্মেলনে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে, যা আশাব্যঞ্জক।
শুক্রবার জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের ষষ্ঠ দিন। মিশরের শারম-আল-শেখ শহরে ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে (কপ-২৭) প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানরত তথ্যমন্ত্রী ইউএনবিকে এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে যে পরিমাণ অর্থ জমার পড়ার কথা ছিল, সেটি এখনো জমা হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কমিয়ে আনতে সেই অর্থ সমবণ্টনের কথা ছিল, কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি যেভাবে সমাধান করার কথা ছিল, সেভাবে হচ্ছে না। এসব বিষষ নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।
কয়েকটি সাইড ইভেন্টে যোগদান শেষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের সম্মেলনে পৃথিবীর বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান অংশগ্রহণ করছেন। যেটি প্যারিস ও কোপেনহেগেনে হয়েছিল, কিন্তু গত কয়েকটি কপে হয়নি। এটি আশার কথা।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন বন্ধ না হলে ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা বাড়তে থাকবে। চলমান কপ সম্মেলনে ক্রমবর্ধমান অভিযোজন চাহিদা সমাধানের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক নির্গমণ হ্রাসের তাগিদ দিচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন: কপ ২৭: উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
মন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে হবে। যাতে জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজনের মধ্যে ৫০:৫০ ভারসাম্য থাকে। অভিযোজন অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ করা হলে তা বাংলাদেশসহ দুর্বল দেশগুলোর অভিযোজন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই বিশ্বব্যাপী প্রশমন প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিতে হবে।
এছাড়া উন্নত দেশগুলো; বিশেষ করে জি-২০ দেশগুলোকেও এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানচ্ছি।
বাংলাদেশ থেকে আগত জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানান, শুক্রবার ১১ নভেম্বর জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের ষষ্ঠ দিনে, আজকে জাতিসংঘ কপ২৭ এর ডিকার্বনাইজেশন দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।
আজকে মূলত বিভিন্ন সেক্টর থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ডিকার্বনাইজেশন এর ওপর আলোচনায় তেল, গ্যাস, স্টিল ও সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য বর্তমানে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও কিভাবে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী কলকারখানার মধ্যে স্টিল ইন্ডাস্ট্রি একটি। মূলত স্টিল ইন্ডাস্ট্রি থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর জন্য বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেয়া হবে।
তেল ও গ্যাস ইন্ডাস্ট্রিতে এবং সার কারখানাগুলোতে কিভাবে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এছাড়াও টেকনোলজি ট্রান্সফার, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এবং ফাইনান্সিং এর মাধ্যমে কিভাবে তেল এবং গ্যাস ইন্ডাস্ট্রি থেকে মানবসৃষ্ট মিথেন নিঃসরণ কমানো যায় তা নিয়েও আলোচনা করা হবে।
তাছাড়া এবারের সম্মেলনে এই প্রথমবারের মতো তরুণ ও শিশুদের জলবায়ু পরিবতর্ন মোকাবিলা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের জন্য সম্মেলন কেন্দ্রে স্টল খোলা হয়েছে। এতে তরুণ ও শিশুরা আনুষ্ঠানিকভাবে জলবায়ু কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলো।
এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, তরুণ ও শিশুদের জলবায়ু কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ফলে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সচেতনতা সৃষ্টিতে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বহুবিষয়ে অগ্রগতি নেই, তবে কপ২৭ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের যোগদান আশাপ্রদ: তথ্যমন্ত্রী
কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
২ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরোসির সঙ্গে বৈঠকের সময় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা অর্থাৎ এর প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য বর্ধিত তহবিলের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মোমেন বলেন, প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা যত শিগগিরই সম্ভব বাস্তবায়িত হওয়া উচিত।
এসময় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি এ বিষয়ে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা এবং রোহিঙ্গা শিশুদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত যায়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জবাবে সাধারণ পরিষদের সভাপতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের ভূমিকার উচ্চ প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও আইওএম-এর
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের তথ্যমতে, এ সংকট কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন সাধারণ পরিষদ সভাপতি।
সাবা কোরেসি সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অসাধারণ নেতৃত্ব, জিডিপির প্রবৃদ্ধি, কোভিড মোকাবিলাসহ বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সাধারণ পরিষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে মোমেন দুটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এগুলো হলো- ‘এসডিজি বাস্তবায়ন রিভিউ’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন এবং সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন এর আওতাধীন উন্নয়নশীল দেশসমূহের অর্থ, পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠা’।
বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টটির আয়োজন করা হলে তা এসডিজি’র বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা এবং তহবিল ঘাটতি মোকাবিলায় ফলপ্রসু ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া, সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন (এসএসসি) এর আওতায় মন্ত্রী পর্যায়ের উক্ত ফোরাম এসএসসি’র বিষয়ভিত্তিক আলোচনাকে আরও এগিয়ে নিতে একটি চমৎকার প্লাটফর্ম তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাধারণ পরিষদের সভাপতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাব দুটিকে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কোভিড-এর মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এছাড়া তিনি কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
এছাড়া সুবিধাজনক যে কোনো সময়ে সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বোঝা বাংলাদেশকে একা বহন করতে হবে না’
জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক
জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া এর সঙ্গে বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পিস অপারেশনে সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স (কিউআরএফ), বেজ্ ডিফেন্স কন্টিনজেন্ট, পদাতিক কন্টিনজেন্ট এবং পুলিশ কন্টিনজেন্ট পদায়নের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান আব্দুল মোমেন।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা; বিশেষ করে ফোর্স কমান্ডার নিয়োগের জন্যও আহ্বান জানান এবং নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা পুর্নব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জরুরি: গুয়েন লুইস
সংঘাতপূর্ণ দেশসমূহে টেকসই শান্তি বিনির্মাণে বাংলাদেশের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও উত্তম অনুশীলন কাজে লাগানোর অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার এবং শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন-এর ২৬তম বার্ষিক কনফারেন্স-এ অংশগ্রহণের জন্য আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়াকে আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়া বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের কর্তব্যপরায়ণতা, দায়িত্বশীলতা ও পেশাগত দক্ষতার ভূয়সী প্রসংশা করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ হতে সুদানের আবেইতে পদাতিক ব্যাটালিয়ন প্রেরণ, মালিতে আমর্ড্ হেলিকপ্টার এবং কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স কন্টিনজেন্ট মোতায়েন, মধ্য আফ্রিকায় হাতপাতাল ইউনিট প্রেরণ এবং কঙ্গোতে এক্সপ্লোসিভ অর্ডিনেন্স ডিস্পোজাল (ইওডি) কন্টিনজেন্ট মোতায়েনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ভবিষ্যতে আরও অধিক নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েনসহ জাতিসংঘের সার্বিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে অবদান রেখে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়া।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ করতে হবে: ইফাদ প্রধান
২ বছর আগে
অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে কিছু অর্থ বরাদ্দ হলেও দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজনের জন্য অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না, ফলে বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে পড়া দেশগুলোকে সংগ্রামে লিপ্ত হতে হচ্ছে।’
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ যোগদানের পাশাপাশি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে স্কটিশ পার্লামেন্টারিয়ান ফয়সল চৌধুরী এবং সারাহ বোয়াকের সাথে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের প্রেস মিনিস্টার আশেক-উন-নবী চৌধুরী এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
স্কটিশ পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত দেশগুলোর আরও তৎপর হওয়া এখন সময়ের দাবি।
পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পোষাতে উন্নত দেশগুলোর গড়িমসি কাম্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, অভিযোজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও উৎসাহে দেশীয় অর্থায়নেই বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা খরা, বন্যা, জলমগ্নতা ও লবণাক্ততা সহিঞ্চু জাতের শস্য উৎপাদন করেছেন ও গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, স্কটিশ পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশের সংসদের মধ্যে একটি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠন ও সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কীভাবে একসাথে কাজ করা যায় সেবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় এমএসপি ফয়সল চৌধুরী বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকাকে সাধুবাদ জানান।
পড়ুন: জলবায়ু সংকট এখনই মোকাবিলা করতে হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
৩ বছর আগে
তিস্তায় সার্বিক নদী ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু অভিযোজন জরুরী: ক্লাইমেট পার্লামেন্ট
তিস্তা নদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং নদী অববাহিকায় জলবায়ু অভিযোজন ও সহনশীলতা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেছে সংসদ সদস্যদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নেটওর্য়াক ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) নিলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়াস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসর রেস্টহাউজের সভাকক্ষে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এক সংলাপে ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্যরা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙন: কুড়িগ্রামের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে
আলোচনায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতার অংশ হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনায় একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পেতে শুধু তিস্তাই নয়, তিস্তার শাখা-প্রশাখা-উপশাখার খনন এখন সময়ের দাবি। তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা বলতে শুধুমাত্র পানি ব্যবস্থাপনা নয়, তিস্তাকে ঘিরে জীববৈচিত্র্য, তিস্তা-নির্ভর মানুষের জীবন-জীবিকা, তিস্তা অববাহিকার ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা একইসাথে গুরুত্বপুর্ণ।
বক্তারা বলেন, নদীর বিজ্ঞানসম্মত খনন, তীর রক্ষা, শাখা নদীগুলো উন্মুক্তকরণ, শাখা নদী খনন করা জীবনের স্বার্থেই অপরিহার্য। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি ধরে রাখার জন্য জলাধার নির্মাণও করতে হবে। নদী-তীরবর্তী কৃষি ব্যবস্থাপনা, সমবায়ী কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। তিস্তার দুই পাড় ভালোভাবে বাঁধানো গেলে ভাঙনের হাত থেকে পাঁচ জেলার নদীর তীরবর্তী মানুষ নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: তিস্তা-ধরলা পাড়ে ভাঙন, সরকারি ভাতার বদলে বাঁধ চায় এলাকাবাসী
ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারুল আবেদীন খান এমপি, সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ কর্মসূচির আইবিপি ম্যানেজার আবুল বাশার, প্রতীকি যুব সংসদের চেয়ারপার্সন মো. আমিনুল ইসলাম, নির্বাহী প্রধান ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান,ও আর্থ সোসাইটির মাইশা নওশীন প্রমুখ।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তবিবুল ইসলাম, ভাইস-চেয়ারম্যান নীরেন্দ্র নাথ রায়, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোছা.আয়েশা আক্তারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, উন্নয়ন সংস্থা ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
আরও পড়ুন: তিস্তা সেচ এলাকায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
আলোচনা শেষে ক্লাইমেট পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প ও ভাঙন কবলিত এলাকা এবং চর পরিদর্শন করেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ কর্মসূচির আওতায় এই পরিদর্শন ও ক্লাইমেট টক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করছে প্রতীকি যুব সংসদ, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং আর্থ সোসাইটি।
৩ বছর আগে