অর্থনৈতিক
শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত 'পার্বত্য জেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সম্পদে পরিপূর্ণ পার্বত্য জেলাগুলো বাংলাদেশের সবচাইতে উন্নত অঞ্চল হতে পারত। কিন্তু সবচেয়ে পেছনে পড়ে আছে। এটা হওয়ার কথা না। আপনাদের ফসল, ফল-ফলাদি, ঐতিহ্যবাহী পণ্য দিয়ে অর্থনীতিতে আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার কথা। পার্বত্য এলাকাগুলো দুর্গম, সেজন্য যোগাযোগ করা কঠিন হয়। আর এ কারণেই সেখানে প্রযুক্তির প্রসার দরকার। প্রযুক্তি দিয়ে এই দুরত্ব জয় করা যাবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করবে নয়া দিল্লি: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
নারী ফুটবল টিমে পার্বত্য জেলা থেকে আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠকের স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আপনাদের এলাকার মেয়েরা কী দুর্দান্ত খেলল! কীভাবে বলবেন পিছিয়ে আছে? যারা আপনাদের এলাকা থেকে এসেছে তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। কী কঠিন পরিস্থিতি! কত কষ্ট করে পাহাড় মাড়িয়ে বাড়িতে পৌঁছাতে হয়! বাবা মা ঢাকায় আসলে কত কষ্ট করে তাদের আসতে হয়। এই প্রতিকূলতার মধ্যেই কিন্তু তারা বিশ্বজয় করে এসেছে।’
পার্বত্য এলাকার তরুণরা যেন বিশ্ব নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠে এ আশাবাদ জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বজয় এনে দিয়েছে। তরুণদের শুধু বাংলাদেশের নাগরিক না, বিশ্ব নাগরিক হতে হবে। দুর্গম এলাকা বলে পিছিয়ে থাকলে হবে না। সীমাবদ্ধতা থাকবে, কিন্তু মনের সীমারেখাকে বাড়িয়ে দিতে হবে। সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে নিজ কৃতিত্ব দিয়ে পৌঁছে যেতে হবে।’
জানুয়ারিতে তারুণ্যের উৎসবে পার্বত্য অঞ্চলের তরুণদের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের শিশুদের, তরুণদের এ উৎসবে যোগ দিতে উৎসাহ দিন। স্থানীয় খেলা হোক, রচনা প্রতিযোগিতা, গান-নাচ তারা যা পারে, যা চায় তা নিয়ে যেন অংশ নেয়। এটা সবার উৎসব। উৎসবটি বৈচিত্র্যময় হোক। সরকারি নির্দেশ তাই অংশ নেবে এরকম না। তাদেরকে আপনারা উৎসাহ দিন, যেন নিজ থেকেই তারা উদ্যমী হয়ে এ উৎসবে অংশ নেয়।’
পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার ও সঠিক পদ্ধতি, প্রশিক্ষণের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক কঠিন সংকটে আছে। আপনাদের অঞ্চলে এটা আরও বেশি কঠিন। শিক্ষকদের কষ্ট হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট হয়। অনিয়মের পরিমাণ সারা বাংলাদেশে আছে। আপনাদের অঞ্চলে আরও বেশি করে আছে। আপনাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে। আমরাও চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় দিক থেকে কীভাবে কী করা যায়। পার্বত্য জেলার তরুণরা দুর্গম অঞ্চলে আছে বলে বড় শহর থেকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকবে সেটা হতে দেওয়া যাবে না। লেখাপড়ায় তাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের রূপান্তরে ইইউ'র সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীতে এক কর্মশালায় ভার্চুয়াল সমাপনী বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। তাই যেকোনো মূল্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই অধিকার আদায় করতে হবে।’
বাংলাদেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া কোনো সংস্কারই কার্যকর হবে না বা জাতির কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক মুক্তি মানে সব জনপ্রতিনিধিকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
তিনি বলেন, সরকার, বিরোধী দল, রাজনৈতিক দল, স্থানীয় নেতা যেমন উপজেলা বা পৌরসভার চেয়ারম্যান, সদস্য বা কাউন্সিলর কাউকেই তাদের ব্যক্তিগত মর্জি অনুযায়ী কাজ করতে দেওয়া উচিত নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সবাইকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হলে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যেকোনো গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।’
তারেক বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের রাজনৈতিক, ভোটাধিকার ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে লিপ্ত। ‘এটি এমন একটি সংগ্রাম ছিল, যার জন্য অনেক জীবনকে উৎসর্গ এবং গুরুতর নিপীড়ন ও দমনকে সহ্য করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই বলি, ষড়যন্ত্র কখনো থেমে থাকে না। আপনারা (বিএনপির নেতা-কর্মীরা) পত্রিকার সাম্প্রতিক খবর থেকে যেমন দেখেছেন, তেমনি বুঝতে পারছেন কোথাও একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' স্লোগানের কথা স্মরণ করেন বিএনপি নেতা। এই স্লোগান ছিল মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মজবুত ভিত্তি স্থাপনের প্রতীক। আমি একজন সহকর্মী হিসেবে আপনাদেরকে অনুরোধ করব এবং নেতা হিসাবে আপনাদেরকে আদেশ করব: আজ থেকে কেউ আমার নামের পাশে 'দেশনায়ক' বা 'রাষ্ট্রনায়ক' ব্যবহার করবেন না।’
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে বিএনপি। সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসবে যদি তাদের নেতাকর্মীরা দেশের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ ও আচরণ করে।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের জন্য বিএনপি দেশের সব গণতান্ত্রিক দলের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনেকেই এখন বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু যখন অন্য কেউ তা নিয়ে ভাবেনি, তখন বিএনপি বহু বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল।’
তবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৩১ দফা প্রস্তাব অপরিবর্তনীয় নয়। ‘আমরা যেকোনো ভাল প্রস্তাব বা পরামর্শ পেলে তা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
৩১ দফা প্রস্তাব গ্রামীণ এলাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে অবহিত ও মতামত নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে জনগণকে পরিষ্কার ধারণা দিতে গ্রামাঞ্চলসহ সারা দেশে ছোট ছোট সভা করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করেন।
তারেক রহমান দুর্নীতি রোধে প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ, শিক্ষকদের ভালো বেতন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের শিক্ষার মানের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।’
তিনি মানসম্মত সেবা প্রাপ্তিসহ একটি সুস্থ জাতি গঠনে স্বাস্থ্য খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘ দুর্নীতি কমাতে পারলে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব।’
বৈশ্বিক শ্রমবাজার মূল্যায়ন এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষ ও স্বল্প-দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে দলের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
১ মাস আগে
নতুন সভ্যতার জন্য 'বুদ্ধিবৃত্তিক, অর্থনৈতিক, যুব শক্তিকে' একত্রিত করার আহ্বান ইউনূসের
একটি নতুন সভ্যতা, একটি আত্মসংরক্ষিত এবং আত্ম-শক্তিশালী সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনে বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে একত্রিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে। আমরা আত্ম-ধ্বংসাত্মক মূল্যবোধের লালন অব্যাহত রাখায় আমাদের সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ দুই দিনের ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটে (ডাব্লুএলসিএএস) অংশ নিতে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কপ২৯: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (কপ২৯) পক্ষগুলোর ২৯তম সম্মেলন ১১ থেকে ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
ভিন্ন দৃষ্টিকোণে 'জলবায়ু বিপর্যয়কে' উপস্থাপন করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পরিবেশের নিরাপত্তার জন্য নতুন জীবনধারা প্রয়োজন। যা চাপিয়ে দেওয়া হবে না, তবে এটি একটি পছন্দ হবে।
তিনি বলেন, ‘তরুণরা এই জীবনধারাকে পছন্দ করে। প্রতিটি তরুণ তিন শূন্য ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে- শূন্য নীট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদের কেন্দ্রীকরণ, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে এবং নিজেদেরকে উদ্যোক্তায় পরিণত করে শূন্য বেকারত্ব।’
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বলেন, প্রতিটি মানুষ ‘থ্রি জিরো’ ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং তিনি সারা জীবন এই নীতিতেই থাকবেন এবং এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে যুব উৎসবে যোগ দিচ্ছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট
অন্যরাও তার এই স্বপ্নে যোগ দেবেন এমন আশা প্রকাশ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটা করা যেতে পারে। আমাদের যা করতে হবে তা হলো গ্রহ এবং এতে বসবাসকারী সকলের সুরক্ষায় সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা। বাকিটা আজকের প্রজন্মই করবে। তারা তাদের গ্রহকে ভালোবাসে।’
তিন শূন্যের নতুন পৃথিবী গড়ার দীর্ঘদিনের স্বপ্নের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা যদি একসঙ্গে স্বপ্ন দেখি, তাহলে তা হবেই।’
এই দৃষ্টিভঙ্গি তাদের জলবায়ু ধ্বংস রোধ করা থেকে শুরু করে আরও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করার দিকে নিয়ে যাবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারাই পৃথিবী ধ্বংসের জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করছি। আমরা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছি যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। আমরা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামোর সঙ্গে ন্যায্যতা দিচ্ছি, যা গ্রহের সিস্টেমের মতো প্রাকৃতিক হিসাবে বিবেচিত হয়।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান বলেন, অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন ভোগের উপর সমৃদ্ধ হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যত বেশি গ্রাস করবেন তত বেশি বাড়বেন। আপনি যত বেশি বাড়বেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন।
তিনি বলেন, মুনাফার সর্বোচ্চ বৃদ্ধিকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা সিস্টেমের সমস্ত কিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুসারে তার ভূমিকা পালন করতে দেয়।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অধ্যাপক ইউনূসকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস এরদোয়ানের
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, টিকে থাকতে হলে বিশ্বকে আরেকটি সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে- একটি পাল্টা সংস্কৃতি যা ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ‘এটি শূন্য বর্জ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি প্রয়োজনীয় চাহিদার মধ্যে খরচ সীমাবদ্ধ করবে, কোনো অবশিষ্ট বর্জ্য রাখবে না। এই জীবনধারাও শূন্য কার্বনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। জীবাশ্ম জ্বালানি নেই। শুধু নবায়নযোগ্য জ্বালানি।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটা এমন একটি অর্থনীতি হবে, যা প্রাথমিকভাবে শূন্য ব্যক্তিগত মুনাফা– সামাজিক ব্যবসার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে।
এই ব্যবসাকে সামাজিক এবং পরিবেশগত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি অ-লাভজনক ব্যবসা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
'সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতি রক্ষায় মনোনিবেশ করবে,' উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিত নয়, গুণগতভাবে উন্নত করা হবে। এটি তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুবিধা দেবে।
তরুণরা উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে প্রস্তুত হবে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'চাকরি খোঁজার জন্য শিক্ষার জায়গা নেবে উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা'।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, কপ-২৯ চলাকালীন আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের ডাব্লুএলসিএএস-এ আমন্ত্রণ বিশ্ব নেতাদের জড়িত হওয়া এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়ানো। এটি নির্গমন হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ, জলবায়ু সম্পর্কিত মূল সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন ও রূপান্তর করার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ এবং বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনায় রূপান্তর করার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে, উন্নতি করবে: আল-আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম
কপ-২৯ সম্মেলনটির লক্ষ্য হলো অংশীজনদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি এবং কর্ম সক্ষম করার জন্য পরিকল্পনার ঘিরে ঐকমত্য গড়ে তোলা। এছাড়া গতিবেগ তৈরি করা এবং সকল অংশীজনদের কাছে একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক ইচ্ছা প্রদর্শন করা।
এটি জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি), জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) এবং দীর্ঘমেয়াদি নিম্ন-নির্গমন উন্নয়ন কৌশল (এলটি-এলইডিএস) এর মাধ্যমে প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়ানো, জলবায়ু সম্পর্কিত নতুন সমষ্টিগত কোয়ান্টিফাইড গোল (এনসিকিউজি) এবং বাস্তবায়ন ও সহায়তার অন্যান্য উপায়সহ কর্ম সক্ষম করবে।
অধ্যাপক ইউনূস জার্মানি ও চিলি আয়োজিত রুদ্ধদ্বার জলবায়ু নেতাদের বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের যৌথ আয়োজনে আয়োজিত 'অ্যাকসেস টু ফাইন্যান্স ফর স্মল স্কেল ফারমার্স' শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের বৃহত্তম জলবায়ু সম্মেলন, কপ-২৯ এ যোগ দিতে সোমবার সন্ধ্যায় বাকুতে পৌঁছেছেন। এটিকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করার একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ’ হিসাবে দেখা হচ্ছে।
সোমবার বিকাল সোয়া ৫টায় (বাকু সময়) প্রধান উপদেষ্টা বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানাতে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস একটি ছোট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং ১৪ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকি কীভাবে এড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে তেল শিল্পের জন্মস্থান ছিল এমন একটি জায়গায় সারা বিশ্বের নেতা এবং কূটনীতিকরা বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত, নেপাল ও ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরির চিন্তা করা উচিত: অধ্যাপক ইউনূস
১ মাস আগে
অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দিয়ে করেছেন প্রধানমন্ত্রী: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোরারোপ করেছেন জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘তার নির্দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।’
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: বোতলজাত পানির দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রপ্তানির বাজার বহুমুখী করতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আমাদের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।’
বাংলাদেশের ট্রেড নেগোশিয়েশনে সক্ষমতা বাড়াতে ইউএনডিপি, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান সহযোগিতা করতে আগ্রহী বলে এসময় জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া ট্যারিফ কমিশনকে আরও সক্ষম করে গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংক আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী যে ভিশন দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে সকলে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
এসময় মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা সেলের যুগ্মসচিব শায়লা ইয়াসমিন, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, উপসচিব ফিরোজ আল মামুনসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শহরের নির্ধারিত আয়ের মানুষ খুব বেশি চাপে আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
নিত্যপণ্য আমদানি করতে ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গেও চুক্তি হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের মূল শক্তি তারা নিজেরাই।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে সাপাহার উপজেলা অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতদাররা দেশের শত্রু: খাদ্যমন্ত্রী
নারীদের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আটজন নারী রয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে নয়জন নারী সচিব দায়িত্ব পালন করছেন। সংসদে স্পিকারের দায়িত্বও পালন করছেন একজন নারী।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে নারীর সংখ্যা অর্ধেক নয় বরং অর্ধেকেরও বেশি। ভোটার তালিকা দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়।
তিনি বলেন, নারীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে নারীদের অগ্রযাত্রার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু কিছু অশুভ শক্তি নারীদের পিছিয়ে দিতে চায়।
অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল হতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
সাপাহারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন- সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহজাহান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সরকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আমেনা বেগম।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর প্রভাব পড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী
রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চাল দেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
অর্থনৈতিক সব সূচক বাড়ছে, অনিশ্চয়তা-হতাশার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
অর্থনৈতিক সবগুলো সূচক বাড়ছে, কাজেই এখানে অনিশ্চয়তা ও হতাশার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সোমবার (৪ মার্চ) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিসিদের জন্য কোনো পরামর্শ ছিলো কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি বিষয় তাদের বলেছি। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা আজ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে সূচকগুলো আছে উন্নয়নের, সেগুলো বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের রেমিট্যান্স ২১৬ মিলিয়ন ডলার। আমাদের সবগুলো সূচকই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বিশ্বব্যাংক: অর্থমন্ত্রী
কাজেই আমদের এখানে অনিশ্চয়তার কিছু নেই, হতাশারও কিছু নেই। এগুলো নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এটা চলছেই।
যেমন বিএনপির যিনি মহাসচিব, তিনি তার জায়গা থেকে বলেছেন যে তিনি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। ওরা তো এসব কথাই বলে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির যিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম জিয়া, তিনি বলেছেন এ ব্রিজ (পদ্মা সেতু) ভেঙে পড়বে। এসব কথাবার্তা সিরিয়াস কোনো কিউরিসিজম না।
এটা কীভাবে বলেন, উনি সিরিয়াসলি বলেছেন- এ ব্রিজ আওয়ামী লীগ বানিয়েছে, এটা ভেঙে পড়তে পারে। কাজেই আপনারা উঠবেন না পদ্মা সেতুতে।
এগুলো থেকে সত্যিকার যেটা আসল চিত্র, সেটি তুলে ধরার জন্য ডিসিদের আহ্বান করা হয়েছে। তাহলেই মানুষ বুঝতে পারবে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। আজ শেখ হাসিনার যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, সেটি ধরে বাংলাদেশ এগুচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের যে অব্যাহত উন্নতি মানুষের মধ্যে যে আশার সঞ্চার হয়েছে সেটি আপনি রাস্তায় ঘুরলেই দেখতে পাবেন।
মেট্রোরেলে চড়লেই বুঝতে পারবেন মানুষ কতটা খুশি হয়েছে, আশ্বস্ত হয়েছে। নারীরা কীভাবে একা চলতে পারেন মেট্রোতে, তারা সন্তুষ্ট।
মানুষের মূল নজর মূল্যস্ফীতিতে, সেই ব্যাপারে ডিসিদের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালি ইনফ্ল্যাশনটাই কনসার্ন হয়ে গেলো! আর কিছু না? এক কোটি লোককে কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা সস্তা দামে পাচ্ছে।
আয়কর আদায়ে ডিসিদের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, হ্যাঁ দিয়েছি। তারা সহায়তা করবে। তারা যেটা করছেন সেটা করবেন তারা। আরও ভালো করে করবেন, মন দিয়ে করবেন।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদ পরিশোধে অর্থনীতি চাপে থাকলেও তা গুরুতর নয়: অর্থমন্ত্রী
সরকার সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে: অর্থমন্ত্রী
৯ মাস আগে
‘অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র’
আগামী ৫০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে 'অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে' বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কাজ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো কীভাবে সহযোগিতা করছে তা জানতে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আইলিন লাউবাচার; এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ এসেছেন।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী এবং একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আমাদের নেতারা স্থানীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে এমন একটি ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র 'প্রস্তুত' রয়েছে।
প্রতিনিধি দলটি ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করার মাধ্যমে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগকে আরও আকর্ষণীয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে তিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করছেন। ’
মার্কিন প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা, যুব কর্মী এবং মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম তৈরিতে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে মার্কিন দূতাবাস এক পৃথক বার্তায় জানায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেসব বিষয়ে আলোচনা করেছি।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
আরও পড়ুন: আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
৯ মাস আগে
ঢাকা-মস্কো সম্পর্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী : রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি বলেছেন, বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় ও শক্তিশালী প্রমাণিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ তিনি বলেন, '২০২৪ সালটিও সমানভাবে আশাব্যঞ্জক বলে মনে হচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে তারা দুই দেশের জনগণের স্বার্থে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্যময় করতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই যে, আমাদের সব পূর্বশর্ত এবং একই প্রতিশ্রুতি রয়েছে।’
অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার রাশিয়ার।
২০২৩ সালের জানুয়ারি-নভেম্বরে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়া রেলপথ, সড়ক নির্মাণ, ভবন, ধাতুবিদ্যা এবং অন্যান্য শিল্প ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে নিজেদের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পশ্চিমা দেশগুলোর কৃত্রিম ও বিপরীতমুখী প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মস্কো বাংলাদেশে প্রধান কৃষি-শিল্পজাত পণ্য, প্রধানত গম ও সার রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে।’
বাংলাদেশ ২০২৩ সালে রাশিয়া থেকে ২৭ মিলিয়ন টন শস্য আমদানি করেছে।
রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ভোজ্য তেল, মটরশুঁটি, ছোলা ও মসুর ডাল দিয়ে রপ্তানি পণ্যের তালিকা বৃদ্ধি করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতার মেরুদণ্ড হলো জ্বালানি। ২০২৩ সালেও বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে গ্যাজপ্রম।
ভোলা দ্বীপে আরও তিনটি কূপ খনন সম্পন্ন হওয়ায় মোট খননকৃত কূপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০টিতে।
গ্যাস উত্তোলন এবং নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানের জন্য কোম্পানির প্রস্তাবগুলো বিবেচনাধীন রয়েছে।
মানতিৎস্কি বলেছেন, ‘প্রক্রিয়াধীন আরও প্রস্তাবনা এবং প্রকল্প রয়েছে, যেমন আরও স্থানীয় পরিশোধনের জন্য রাশিয়ান এলএনজি এবং অপরিশোধিত তেল সরবরাহ, রাশিয়ান সৌর শক্তি প্রযুক্তি, স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর আপগ্রেড এবং আরও অনেক কিছু।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প শিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে চলছে।
সাম্প্রতিক মাইলফলকগুলির মধ্যে, ইউনিট-২ এ প্যাসিভ তাপ অপসারণ সিস্টেমের ইনস্টলেশন রয়েছে।
প্রথম ইউনিটটি এই বছরের শেষের দিকে পরীক্ষামূলক অপারেশন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রকল্পের সাধারণ ঠিকাদার জেএসসি 'এএসই'র নিরাপত্তা সবসময়ই অগ্রাধিকার পেয়েছে। রাশিয়ান বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে উন্নত প্রকৌশল সমাধান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে।’
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্থাপিত একই ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ইতোমধ্যে রাশিয়ায় চালু রয়েছে, যা তাদের দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে।
ভূমিকম্প থেকে শুরু করে বিমান দুর্ঘটনা পর্যন্ত প্রায় সবকিছুতেই এরা বেঁচে থাকতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুক্তি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
পারমাণবিক জ্বালানি পরিবেশ বান্ধব, কোনও কার্বন নিঃসরণ করে না এবং দূষণ করে না।
এটি সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং পরিষ্কার। রাশিয়া পরমাণু প্রকল্পের পুরো জীবনচক্রে আমাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সহায়তা করবে- যার মধ্যে রয়েছে চুল্লির জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ, প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ এবং পারমাণবিক বর্জ্য পরিচালনার জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতা।
তিনি বলেন, রূপপুর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়েও বেশি কিছু। কয়েক ডজন বাংলাদেশি কোম্পানি নির্মাণ কাজের জন্য তাদের সেবা ও উপকরণ সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, এনপিপি প্রকল্পটি স্থানীয়দের জন্য ১৮ হাজারেরও বেশি কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে অর্থনীতির একটি নতুন খাত তৈরি করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়ায় পরমাণু বিশ্ববিদ্যালয় এবং রূপপুরের শিক্ষা কেন্দ্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ দক্ষ প্রকৌশলী যুক্ত করতে সহায়তা করছে যা কেবল পারমাণবিক শিল্পেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও অর্থবহ অবদান রাখতে সক্ষম।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তাদের জানা গেছে যে, কিছু পশ্চিমাপন্থী মহল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে কলঙ্কিত করার পরিকল্পনা করছে।
মানতিৎস্কি বলেন, অর্জনগুলোর দিকে মনোনিবেশৃ করার পরিবর্তে স্থানীয় সুযোগ-সন্ধানী সাংবাদিকরা স্বল্পস্থায়ী বিবেচনার জন্য আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতীককে ক্ষুণ্ন করতে প্রস্তুত।
তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের কোনো প্রকল্পে অনিবার্য ছোটখাটো ত্রুটিগুলোকে অতিরঞ্জিত করে এবং এর সুফলের দিকে চোখ বন্ধ করে রাখে।
ইউক্রেন ও ইউক্রেন পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি রাশিয়া-বাংলাদেশ বিষয়ের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, গত বছর পশ্চিমা দেশগুলোর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অসহিষ্ণুতা দেখা গেছে। অন্য সবার মতামতকে উপেক্ষা করে নিজেদের কায়েমী স্বার্থের উপর ভিত্তি করে যারা এখনও বিশ্বে তাদের ক্ষয়িষ্ণু আধিপত্যকে আঁকড়ে ধরে আছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমারা সৎ চুক্তি করতে উদ্বেগজনক অক্ষমতা প্রদর্শন করেছে এবং একটি অনির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য বহুপক্ষীয় মঞ্চে রাশিয়া সার্বভৌম সমতা ও অবিভাজ্য নিরাপত্তার নীতির ভিত্তিতে সমস্ত রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ বিকাশের পক্ষে মত দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্মানজনক সংলাপ ও বাস্তবসম্মত সহযোগিতার সুযোগ বজায় রেখে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার পরিকল্পনা কার্যকরভাবে ব্যর্থ করে দিয়েছে।’
নভেম্বরে রুশ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের একটি যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে শুভেচ্ছা সফর করে।
গত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম রুশ নৌবাহিনীর জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে প্রবেশ করল।
১৯৭২-১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে মাইন অপসারণ ও মুক্ত করার কাজে নিয়োজিত দুজন প্রবীণ রুশ নাবিক ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
১০ মাস আগে
অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ সফরে ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশের নেতৃত্বের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ সদস্যের ব্রিটিশ ক্রস-পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দল সফরে আসছে।
২৮ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
তাদের আজ (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটিই যুক্তরাজ্যের প্রথম সংসদীয় সফর।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ চায় যুক্তরাজ্য
সাবেক কনজারভেটিভ টেক অ্যান্ড ডিজিটাল ইকোনমি মন্ত্রী পল স্কালি এমপির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এই সংসদীয় প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- ৩ জন লেবার দলের সংসদ সদস্য (এমপি)। তারা হলেন- বাংলাদেশবিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশ বিষয়ে এপিপিজির চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপি, ইউকে হাউস অব কমন্সের পররাষ্ট্রবিষয়ক নির্বাচন কমিটির সদস্য নিল কোয়েল এমপি ও হাউস অব কমন্সে বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন এমপি। হাউস অব কমন্সের জ্যৈষ্ঠ সংসদীয় সহকারী ডমিনিক মফিটও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
এছাড়া, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকবেন কুইন্স কমনওয়েলথ ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও সিডব্লিউইআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই এবং কানেক্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ইভেলিনা বানিয়ালিয়েভা।
প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়া সফর করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এবারই প্রথম ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ পরিদর্শন করছে।
সফরকালে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করার পর একটি সবুজ পোশাক কারখানা পরিদর্শন করবে।
তারা ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য সিলেট সফর করবেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আশ্রয় প্রদান এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে ৩০ জানুয়ারি প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল এবং কমনওয়েলথ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কানেক্ট এই সফরের সমন্বয় করছে।
প্রতিনিধি দলটির ৩১ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের
১০ মাস আগে
সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নতুন সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এই তিন চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে। এই তিন খাতে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা এত সহজ নয়।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন বলেন, 'এই সংকট কাটিয়ে আমরা আজ একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী প্রভাবের কারণে।’
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পথে কখনো ফুল আসেনি। জন্ম থেকেই আমাদের কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
১১ মাস আগে