অর্থনৈতিক
অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের মূল শক্তি তারা নিজেরাই।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে সাপাহার উপজেলা অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতদাররা দেশের শত্রু: খাদ্যমন্ত্রী
নারীদের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আটজন নারী রয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে নয়জন নারী সচিব দায়িত্ব পালন করছেন। সংসদে স্পিকারের দায়িত্বও পালন করছেন একজন নারী।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে নারীর সংখ্যা অর্ধেক নয় বরং অর্ধেকেরও বেশি। ভোটার তালিকা দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়।
তিনি বলেন, নারীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে নারীদের অগ্রযাত্রার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু কিছু অশুভ শক্তি নারীদের পিছিয়ে দিতে চায়।
অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল হতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
সাপাহারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন- সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহজাহান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সরকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আমেনা বেগম।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর প্রভাব পড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী
রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চাল দেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অর্থনৈতিক সব সূচক বাড়ছে, অনিশ্চয়তা-হতাশার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
অর্থনৈতিক সবগুলো সূচক বাড়ছে, কাজেই এখানে অনিশ্চয়তা ও হতাশার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সোমবার (৪ মার্চ) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিসিদের জন্য কোনো পরামর্শ ছিলো কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি বিষয় তাদের বলেছি। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা আজ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে সূচকগুলো আছে উন্নয়নের, সেগুলো বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের রেমিট্যান্স ২১৬ মিলিয়ন ডলার। আমাদের সবগুলো সূচকই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বিশ্বব্যাংক: অর্থমন্ত্রী
কাজেই আমদের এখানে অনিশ্চয়তার কিছু নেই, হতাশারও কিছু নেই। এগুলো নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এটা চলছেই।
যেমন বিএনপির যিনি মহাসচিব, তিনি তার জায়গা থেকে বলেছেন যে তিনি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। ওরা তো এসব কথাই বলে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির যিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম জিয়া, তিনি বলেছেন এ ব্রিজ (পদ্মা সেতু) ভেঙে পড়বে। এসব কথাবার্তা সিরিয়াস কোনো কিউরিসিজম না।
এটা কীভাবে বলেন, উনি সিরিয়াসলি বলেছেন- এ ব্রিজ আওয়ামী লীগ বানিয়েছে, এটা ভেঙে পড়তে পারে। কাজেই আপনারা উঠবেন না পদ্মা সেতুতে।
এগুলো থেকে সত্যিকার যেটা আসল চিত্র, সেটি তুলে ধরার জন্য ডিসিদের আহ্বান করা হয়েছে। তাহলেই মানুষ বুঝতে পারবে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। আজ শেখ হাসিনার যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, সেটি ধরে বাংলাদেশ এগুচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের যে অব্যাহত উন্নতি মানুষের মধ্যে যে আশার সঞ্চার হয়েছে সেটি আপনি রাস্তায় ঘুরলেই দেখতে পাবেন।
মেট্রোরেলে চড়লেই বুঝতে পারবেন মানুষ কতটা খুশি হয়েছে, আশ্বস্ত হয়েছে। নারীরা কীভাবে একা চলতে পারেন মেট্রোতে, তারা সন্তুষ্ট।
মানুষের মূল নজর মূল্যস্ফীতিতে, সেই ব্যাপারে ডিসিদের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালি ইনফ্ল্যাশনটাই কনসার্ন হয়ে গেলো! আর কিছু না? এক কোটি লোককে কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা সস্তা দামে পাচ্ছে।
আয়কর আদায়ে ডিসিদের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, হ্যাঁ দিয়েছি। তারা সহায়তা করবে। তারা যেটা করছেন সেটা করবেন তারা। আরও ভালো করে করবেন, মন দিয়ে করবেন।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদ পরিশোধে অর্থনীতি চাপে থাকলেও তা গুরুতর নয়: অর্থমন্ত্রী
সরকার সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে: অর্থমন্ত্রী
‘অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র’
আগামী ৫০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে 'অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে' বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কাজ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো কীভাবে সহযোগিতা করছে তা জানতে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আইলিন লাউবাচার; এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ এসেছেন।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী এবং একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আমাদের নেতারা স্থানীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে এমন একটি ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র 'প্রস্তুত' রয়েছে।
প্রতিনিধি দলটি ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করার মাধ্যমে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগকে আরও আকর্ষণীয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে তিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করছেন। ’
মার্কিন প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা, যুব কর্মী এবং মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম তৈরিতে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে মার্কিন দূতাবাস এক পৃথক বার্তায় জানায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেসব বিষয়ে আলোচনা করেছি।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
আরও পড়ুন: আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
ঢাকা-মস্কো সম্পর্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী : রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি বলেছেন, বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় ও শক্তিশালী প্রমাণিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ তিনি বলেন, '২০২৪ সালটিও সমানভাবে আশাব্যঞ্জক বলে মনে হচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে তারা দুই দেশের জনগণের স্বার্থে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্যময় করতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই যে, আমাদের সব পূর্বশর্ত এবং একই প্রতিশ্রুতি রয়েছে।’
অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার রাশিয়ার।
২০২৩ সালের জানুয়ারি-নভেম্বরে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়া রেলপথ, সড়ক নির্মাণ, ভবন, ধাতুবিদ্যা এবং অন্যান্য শিল্প ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে নিজেদের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পশ্চিমা দেশগুলোর কৃত্রিম ও বিপরীতমুখী প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মস্কো বাংলাদেশে প্রধান কৃষি-শিল্পজাত পণ্য, প্রধানত গম ও সার রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে।’
বাংলাদেশ ২০২৩ সালে রাশিয়া থেকে ২৭ মিলিয়ন টন শস্য আমদানি করেছে।
রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ভোজ্য তেল, মটরশুঁটি, ছোলা ও মসুর ডাল দিয়ে রপ্তানি পণ্যের তালিকা বৃদ্ধি করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতার মেরুদণ্ড হলো জ্বালানি। ২০২৩ সালেও বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে গ্যাজপ্রম।
ভোলা দ্বীপে আরও তিনটি কূপ খনন সম্পন্ন হওয়ায় মোট খননকৃত কূপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০টিতে।
গ্যাস উত্তোলন এবং নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানের জন্য কোম্পানির প্রস্তাবগুলো বিবেচনাধীন রয়েছে।
মানতিৎস্কি বলেছেন, ‘প্রক্রিয়াধীন আরও প্রস্তাবনা এবং প্রকল্প রয়েছে, যেমন আরও স্থানীয় পরিশোধনের জন্য রাশিয়ান এলএনজি এবং অপরিশোধিত তেল সরবরাহ, রাশিয়ান সৌর শক্তি প্রযুক্তি, স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর আপগ্রেড এবং আরও অনেক কিছু।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প শিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে চলছে।
সাম্প্রতিক মাইলফলকগুলির মধ্যে, ইউনিট-২ এ প্যাসিভ তাপ অপসারণ সিস্টেমের ইনস্টলেশন রয়েছে।
প্রথম ইউনিটটি এই বছরের শেষের দিকে পরীক্ষামূলক অপারেশন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রকল্পের সাধারণ ঠিকাদার জেএসসি 'এএসই'র নিরাপত্তা সবসময়ই অগ্রাধিকার পেয়েছে। রাশিয়ান বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে উন্নত প্রকৌশল সমাধান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে।’
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্থাপিত একই ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ইতোমধ্যে রাশিয়ায় চালু রয়েছে, যা তাদের দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে।
ভূমিকম্প থেকে শুরু করে বিমান দুর্ঘটনা পর্যন্ত প্রায় সবকিছুতেই এরা বেঁচে থাকতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুক্তি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
পারমাণবিক জ্বালানি পরিবেশ বান্ধব, কোনও কার্বন নিঃসরণ করে না এবং দূষণ করে না।
এটি সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং পরিষ্কার। রাশিয়া পরমাণু প্রকল্পের পুরো জীবনচক্রে আমাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সহায়তা করবে- যার মধ্যে রয়েছে চুল্লির জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ, প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ এবং পারমাণবিক বর্জ্য পরিচালনার জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতা।
তিনি বলেন, রূপপুর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়েও বেশি কিছু। কয়েক ডজন বাংলাদেশি কোম্পানি নির্মাণ কাজের জন্য তাদের সেবা ও উপকরণ সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, এনপিপি প্রকল্পটি স্থানীয়দের জন্য ১৮ হাজারেরও বেশি কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে অর্থনীতির একটি নতুন খাত তৈরি করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়ায় পরমাণু বিশ্ববিদ্যালয় এবং রূপপুরের শিক্ষা কেন্দ্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ দক্ষ প্রকৌশলী যুক্ত করতে সহায়তা করছে যা কেবল পারমাণবিক শিল্পেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও অর্থবহ অবদান রাখতে সক্ষম।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তাদের জানা গেছে যে, কিছু পশ্চিমাপন্থী মহল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে কলঙ্কিত করার পরিকল্পনা করছে।
মানতিৎস্কি বলেন, অর্জনগুলোর দিকে মনোনিবেশৃ করার পরিবর্তে স্থানীয় সুযোগ-সন্ধানী সাংবাদিকরা স্বল্পস্থায়ী বিবেচনার জন্য আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতীককে ক্ষুণ্ন করতে প্রস্তুত।
তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের কোনো প্রকল্পে অনিবার্য ছোটখাটো ত্রুটিগুলোকে অতিরঞ্জিত করে এবং এর সুফলের দিকে চোখ বন্ধ করে রাখে।
ইউক্রেন ও ইউক্রেন পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি রাশিয়া-বাংলাদেশ বিষয়ের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, গত বছর পশ্চিমা দেশগুলোর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অসহিষ্ণুতা দেখা গেছে। অন্য সবার মতামতকে উপেক্ষা করে নিজেদের কায়েমী স্বার্থের উপর ভিত্তি করে যারা এখনও বিশ্বে তাদের ক্ষয়িষ্ণু আধিপত্যকে আঁকড়ে ধরে আছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমারা সৎ চুক্তি করতে উদ্বেগজনক অক্ষমতা প্রদর্শন করেছে এবং একটি অনির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য বহুপক্ষীয় মঞ্চে রাশিয়া সার্বভৌম সমতা ও অবিভাজ্য নিরাপত্তার নীতির ভিত্তিতে সমস্ত রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ বিকাশের পক্ষে মত দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্মানজনক সংলাপ ও বাস্তবসম্মত সহযোগিতার সুযোগ বজায় রেখে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার পরিকল্পনা কার্যকরভাবে ব্যর্থ করে দিয়েছে।’
নভেম্বরে রুশ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের একটি যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে শুভেচ্ছা সফর করে।
গত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম রুশ নৌবাহিনীর জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে প্রবেশ করল।
১৯৭২-১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে মাইন অপসারণ ও মুক্ত করার কাজে নিয়োজিত দুজন প্রবীণ রুশ নাবিক ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ সফরে ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশের নেতৃত্বের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ সদস্যের ব্রিটিশ ক্রস-পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দল সফরে আসছে।
২৮ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
তাদের আজ (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটিই যুক্তরাজ্যের প্রথম সংসদীয় সফর।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ চায় যুক্তরাজ্য
সাবেক কনজারভেটিভ টেক অ্যান্ড ডিজিটাল ইকোনমি মন্ত্রী পল স্কালি এমপির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এই সংসদীয় প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- ৩ জন লেবার দলের সংসদ সদস্য (এমপি)। তারা হলেন- বাংলাদেশবিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশ বিষয়ে এপিপিজির চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপি, ইউকে হাউস অব কমন্সের পররাষ্ট্রবিষয়ক নির্বাচন কমিটির সদস্য নিল কোয়েল এমপি ও হাউস অব কমন্সে বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন এমপি। হাউস অব কমন্সের জ্যৈষ্ঠ সংসদীয় সহকারী ডমিনিক মফিটও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
এছাড়া, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকবেন কুইন্স কমনওয়েলথ ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও সিডব্লিউইআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই এবং কানেক্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ইভেলিনা বানিয়ালিয়েভা।
প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়া সফর করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এবারই প্রথম ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ পরিদর্শন করছে।
সফরকালে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করার পর একটি সবুজ পোশাক কারখানা পরিদর্শন করবে।
তারা ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য সিলেট সফর করবেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আশ্রয় প্রদান এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে ৩০ জানুয়ারি প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল এবং কমনওয়েলথ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কানেক্ট এই সফরের সমন্বয় করছে।
প্রতিনিধি দলটির ৩১ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের
সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নতুন সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এই তিন চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে। এই তিন খাতে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা এত সহজ নয়।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন বলেন, 'এই সংকট কাটিয়ে আমরা আজ একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী প্রভাবের কারণে।’
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পথে কখনো ফুল আসেনি। জন্ম থেকেই আমাদের কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যত্যয় হবে না। সবার প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার প্রার্থী এবং নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে যে- নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেওয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোনো দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেওয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি ও ইউনিয়নে একটি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি থাকলে সেগুলো স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচারণার সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এরপর কেউ প্রচারণা চালালে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেওয়া যাবে না।
আনিছুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল দিয়ে কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র যাচাই করা হবে। কাগজপত্র না থাকলে সেগুলোকে আটক করা হবে।
কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া দিতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ের সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন ও ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ভুয়া নির্বাচন কমিশনার গ্রেপ্তার
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)
সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রমিকদের কল্যাণ এবং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন নিশ্চিত করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বে একটি দায়িত্বশীল পোশাক উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি না যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার কোনো বৈধ ভিত্তি আছে।
গত দুই দিনে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত এলসির একটি অতিরিক্ত ধারা মিডিয়ায় উল্লেখযোগ্যভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃত্তি দিয়েছে। বিবৃতিতে সংস্থাটির সভাপতি এসব কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে: বিজিএমইএ সভাপতি
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা এখনো লক্ষ্য করেছি বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় সরব আলোচনা চলছে এবং জনমনে এখনো বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা মূল ক্রেতা ও বাংলাদেশে তাদের এজেন্টের কাছ থেকে অফিসিয়াল মন্তব্য পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই বিবৃত্তির লক্ষ্য হচ্ছে এই বিষয়ে আরও পরিষ্কার করা। আমরা আশা করছি যে এর মাধ্যমে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তির অবসান ও আতঙ্ক দূর হবে এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর থেকে মনোযোগ সরানো সম্ভব হবে।
এতে বলা হয়, প্রথমত, মূল ক্রেতা (ফরাসি প্রতিষ্ঠান) বাংলাদেশ এজেন্টের কাছে তার মাস্টার এলসিতে এই অতিরিক্ত ধারাটি সন্নিবেশ করা যায়নি।
দ্বিতীয়ত, এজেন্ট তার এলসি একটি বাংলাদেশি পোশাক কারখানায় ট্রান্সফার করেছে, যা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক দুবাই দ্বারা জারি করা হয়েছিল এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক নিজস্বভাবে এলসিতে এই অতিরিক্ত ধারাটি সন্নিবেশিত করেছে।
তাই কোনো ক্রেতা এলসিতে অতিরিক্ত ধারা সন্নিবেশ করেনি, একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক তার ক্লায়েন্টের নির্দেশনা ছাড়াই এটি করেছে।
তৃতীয়ত- এজেন্ট নিশ্চিত করেছে যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক দুবাই ইতোমধ্যে এলসি থেকে অভিযুক্ত ধারাটি সরিয়ে বাংলাদেশি কারখানায় হস্তান্তর করেছে। তাই অতিরিক্ত ধারাটি আর বিদ্যমান নেই।
এজেন্ট আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তারা নিশ্চিত করবে যে বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের কাছে ট্রান্সফার করা কোনো এলসিতে এই ধরনের ধারা সন্নিবেশিত থাকবে না। এলসির এই অতিরিক্ত ধারার ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার অবসান হওয়া উচিত।
২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এলসি সংশোধন করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় আমি সংশ্লিষ্ট ক্রেতা এবং এজেন্টকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রমিকদের কল্যান এবং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন নিশ্চিত করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বে একটি দায়িত্বশীল পোশাক উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
আমরা বিশ্বাস করি না যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার কোনো বৈধ ভিত্তি আছে।
আমরা সকল বৈশ্বিক ক্রেতাদের তাদের এলসি’তে এই ধরনের ধারা সন্নিবেশ না করার জন্য এবং তাদের ব্যাঙ্কগুলোকে এই ধরনের অগ্রহণযোগ্য ধারা সন্নিবেশ না করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
আমরা বাংলাদেশি কারখানাগুলোকে তাদের ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছি, যাতে করে কোনো এলসিতে এই ধরনের অতিরিক্ত ধারার পুনরাবৃত্তির ঘটনা না ঘটে।
আমরা আমাদের সদস্য কারখানাগুলোকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এ ধরনের ধারাসহ এলসি গ্রহণ না করে।
আমি সমস্ত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়াকে অনুরোধ করছি, আমাদের শিল্প ও অর্থনীতির স্বার্থে তাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই স্পষ্টীকরণটি তুলে ধরার জন্য।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বাহ্যিক বিষয়গুলোর সঙ্গে বাণিজ্যকে জটিল না করার আহ্বান বিজিএমইএর
‘শুধু বাংলাদেশের ক্রেতাদের এলসির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ধারা সমর্থন করে না বিজিএমইএ’
নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক-অর্থনৈতিক-পরিবেশগত বাধাই প্রধান: জাতিসংঘ
সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতাই নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূরী করার পথে উল্লেখযোগ্য বাধা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গ্উইন লুইস।
তিনি বলেন, সারাদেশে অগ্রগতি সত্ত্বেও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতা নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূরীকরণের পথে উল্লেখযোগ্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এটি খুলনা ও বরিশালের নারী ও মেয়েদের কাছ থেকে তারা শুনেছেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের খুলনা ও বরিশাল বিভাগ সফরের ফলাফল তুলে ধরে তিনি বলেন, 'দেশের ভিশন অর্জনে আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং এই পরিবর্তনে নারীদের সমান অংশীদার হতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোনটা এগুচ্ছে, নারীর ক্ষমতায়ন, নাকি পুরুষতান্ত্রিকতা?
জাতিসংঘের দলটি এই অঞ্চলে নারীরা যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তা অনুসন্ধান করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলা ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রচেষ্টার অগ্রগতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
সম্প্রতি বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে সফর করে বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘ ও তাদের উন্নয়ন অংশীদারী সংস্থার একটি যৌথ প্রতিনিধি দল। সফরের পর তারা জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকল্পে অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তারা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে জেন্ডার সমতা অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য অর্জন করলেও, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাবের কারণে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের নারীরা অনেক সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ইউএন উইমেন, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ গীতাঞ্জলী সিং বলেন, ‘মিশনের প্রতিটি দিন আমরা নারী ও মেয়েদের কাছে থেকে তাদের সংকল্প ও সাহসিকতার কথা শুনেছি। এখানে দেখছি জেন্ডার নিয়ে নানা পুরোনো রীতি-আচার মেয়েদের রয়ে গেছে। এটি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাধাগ্রস্ত করছে। জেন্ডার সমতার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে পরিবর্তনের অংশীদার হিসেবে, যুবক, তরুণ ও কিশোরদেরও একইসঙ্গে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি।
আইএলও, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেন বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা শ্রমবাজারের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে আছে। এটি শ্রমবাজারে তাদের কম অংশগ্রহণের জন্য দায়ী।’
আরও পড়ুন: ‘প্লানেট ৫০-৫০’ অর্জনে নারীর ক্ষমতায়নের পূর্ণ বাস্তবায়ন অপরিহার্য: স্পিকার
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহকারী প্রতিনিধি নুর আহমেদ খোন্দকার বলেন, ‘আগে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের কথা শোনা হতো না কিন্তু এখন নারীরা কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জলজ চাষ প্রকল্পের মালিকানা গ্রহণ করছেন। পাইকারি বাজার ব্যবস্থাপনাসহ সক্রিয়ভাবে মাছ চাষে অংশ নিচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের ক্ষমতায়ন তাদের পারিবারিক অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনছে। সেই সঙ্গে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করছে।’
জাতিসংঘের এ মিশনের মূল বিষয় হলো জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা (জিবিভি) রোধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং শিশু ও নারীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
এই প্রসঙ্গে, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি, শেলডন ইয়েট বলেন, ‘দেশে বাল্যবিবাহের মতো ক্ষতিকর প্রথা প্রতিরোধে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সহিংসতার মৌলিক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সামাজিক রীতিনীতি।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিসের তত্ত্বাবধায়নে তিন দিনব্যাপী জেন্ডার সমতা মিশনে জাতিসংঘের ৫টি সংস্থার প্রতিনিধি ও তাদের অংশীদাররা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়ন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: রাষ্ট্রদূত
ফরিদপুরকে অর্থনৈতিক হাব গড়ে তুলতে হবে: এফবিসিসিআই সহসভাপতি
দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সহসভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাদক্ষ ড. যশোদা জীবন দেব নাথ জানিয়েছেন, ফরিদপুরকে অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধিসহ সবার ভূমিকা রাখতে হবে।
বেকারত্বদূর করার জন্য সরকারি ও ব্যক্তি পযায়ে শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সের টেমস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এফবিসিসিআই নেতা জীবন দেবনাথের ডি.লিট ডিগ্রি অর্জন
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালুর মধ্যদিয়ে ফরিদপুর জেলা আধুনিক রূপে রূপান্তরে দাবি উঠেছে। আর এই চাহিদা পূরণ করতে হলে প্রথমে এ জেলায় বিশ্বাবিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।
আমরা চাই দিল্লি আইআইটি যে শাখা বাংলাদেশে স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সেটি ফরিদপুরে করা হোক।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি ফরিদপুর পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য হিসেবেও রয়েছেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে ডাউন-টাউন সিটি গড়ে তোলার উপর গুরুত্বরাপ করেন। এতে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক ভাগ্য পরিবর্তন হবে।
আরও পড়ুন: আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলাদেশ হতে পারে: এফবিসিসিআই
নেপাল বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ভালো উৎস হতে পারে: এফবিসিসিআই