নাগরিক ঐক্য
গণ অধিকার পরিষদসহ ১০টি দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল ইসি
আলোচিত গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও নাগরিক ঐক্যসহ ১০টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চিঠিতে কেন তারা নিবন্ধন দেয়া হয়নি সেই কারণও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৬ জুলাই) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. আবদুল বাতেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইসির যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন বলেন, প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২ দলের মধ্যে ১০টিই বাদ পড়ে উপজেলা কমিটির সঠিকতা না পাওয়ায়। তবে তাদের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটি সঠিক আছে। তালিকায় থাকা দুটি দলের বিরুদ্ধে কয়েকটি আপত্তি জমা পড়েছে। এখন শুনানি হবে। এক্ষেত্রে শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিবন্ধন পাবে না, আর প্রমাণিত না হলে নিবন্ধন পাবে।
নির্বাচন কমিশন নতুন দলের নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে আবেদন আহ্বান করলে ৯৩টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে ১২টি প্রাথমিক বাছাইয়ে টেকে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
এই ১২ দলের মধ্যে অধিকতর তদন্তে বাদ পড়ে আটটি দল।
আর গণ অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বিএনএম) ও এবি পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় ইসি।
সেই কমিটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দিলে বিএনএম ও বিএসপি দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সংস্থাটি।
এক্ষেত্রে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে দুই দল নিয়ে আপত্তি আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তিও দেয় ইসি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেবে না: আনিসুর রহমান
ইসি অবাধ, নিরপেক্ষ পরিচ্ছন্ন নির্বাচন করতে চায়: নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব
১ বছর আগে
লেবার পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকের তিন দিন পর ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
পরে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, তারা দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মপন্থা এবং এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল নিয়েও কথা বলেছি।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
তবে বৈঠকের ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে তিনি জানান, তারা অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনার পরে তাদের ভবিষ্যত কর্মপন্থা সম্পর্কে একটি ঘোষণা নিয়ে আসবে।
এ প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর ইরান বলেন, দেশের এক সঙ্কটময় সময়ে তারা বিএনপির সঙ্গে বসেছেন। ‘আপনারা জানেন যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার নেই... এমন সময়ে আমরা বিএনপির সংলাপকে স্বাগত জানাই।’
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় বিএনপি সফল হবে। ‘জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আমাদের দল বিএনপিকে সর্বাত্মক সমর্থন দেবে।’
মঙ্গলবার নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা বিএনপির
সেতু প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের কারণেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে: ফখরুল
২ বছর আগে
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সংলাপ শুরু করল বিএনপি
নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছে বিএনপি। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করেছে দলটি।
বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারসহ জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারে বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য আমরা আলোচনা শুরু করেছি।’
রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করে একটি সত্যিকারের সরকার ও জনগণের সংসদ’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের মানুষ আশা করছে বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে ফলপ্রসূ ও কার্যকর আন্দোলন করবে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি সরকার ও জনগণের সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবর্তন আসবে।’
আরও পড়ুন: খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পরিকল্পনা বিএনপির
তিনি বলেন, তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কথা বলবেন এবং তারা আশা করছেন দ্রুত সংলাপ শেষ করে যৌথ আন্দোলনের সূচনা করতে পারবেন। ‘আমরা আশা করি খুব শিগগিরই এটি করতে পারব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয়গুলো হলো- গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, জাতীয় সরকার গঠন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য সব বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি, ওই সব মামলা প্রত্যাহার এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কার্যকর আলোচনা করেছি। আমরা আশা করি অন্যান্য দলের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হবে এবং আমরা খুব শিগগিরই একটি আন্দোলনের কর্মসূচি উপস্থাপন করতে সক্ষম হব।’
বিকেল ৫টার দিকে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম ও জহির উদ্দিন স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে মির্জা ফখরুল নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে আসেন এবং মাহমুদুর রহমান মান্না ও তার দলের জ্যৈষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা আলোচনা করেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না বলেন, তারা আন্দোলন করার মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। দেশের সব বিরোধী দল বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু আজ
এর ভিত্তিতে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠায় বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। ‘আমরা এই বৈঠককে একটি বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করার পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছি।’
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংলাপ শুরুর ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।
২ বছর আগে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে আছে সরকারি সিন্ডিকেট: মান্না
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না শনিবার দাবি করেছেন, সরকার-সমর্থিত সিন্ডিকেট দ্রুত টাকা কামানোর জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
৪ বছর আগে