নিন্দা
কলকাতায় ড. ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো-জাতীয় পতাকার অবমাননার নিন্দা বাংলাদেশের
ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের বাইরে উগ্রবাদী বিক্ষোভে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসকনের সাম্প্রতিক আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন নজরুলের
বাংলাদেশ সরকার যেকোনো ধরনের সহিংস কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছে এবং ভারত সরকারকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশন এবং ভারতে বাংলাদেশের অন্যান্য কূটনৈতিক মিশনের পাশাপাশি এর কূটনীতিক এবং অ-কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের সামনে 'বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ' নামের কলকাতার একটি হিন্দু সংগঠনের আয়োজনে সহিংস বিক্ষোভে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
আরও পড়ুন: ইসকন ইস্যুতে দেশি বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল সমাবেশ ও বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সীমানায় পৌঁছে যায়।
তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ্য করে।
যদিও এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তবে ডেপুটি হাইকমিশনের সকল সদস্য নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় মিডিয়ার ভুল প্রচারণার বিরুদ্ধে সত্য দিয়ে লড়াই করুন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
৩ সপ্তাহ আগে
৮ দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক যুক্ত বিবৃতিতে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেছেন, 'অপশক্তির অবৈধ সরকার কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত দেখে দেশের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষের মতো আমরা প্রবাসীরাও অবাক হয়েছি।’
তারা বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের দোসররা মানুষ হত্যা ও জঙ্গি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে ৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তারা পাকিস্তানিদের মাস্টারপ্ল্যান মতো সর্ব প্রথম বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। ঢাকাসহ সারা দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও ম্যুরাল এবং মুক্তি সংগ্রামের স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে শাখা কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, সন্ত্রাস চলছে। আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শতশত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এই অর্জনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাকে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যরা। তাদের অবদান মুছে ফেলা যাবে না। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিবস ও ১৭ মার্চের শিশু দিবস ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। ১৫ আগস্ট বাঙালির সবচেয়ে বড় শোক দিবস। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এইসব দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
'রিসেট বাটন চেপে ইতিহাস মুছার নজির বিশ্বে নাই। কাজেই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির জাতীয় ইতিহাস মুছে ফেলা অসম্ভব,’ বলে উল্লেখ করেন নেতারা।
২ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা আইন বাতিলের নিন্দা জানিয়েছে অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রণীত 'জাতির পিতা পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯' বাতিলের নিন্দা জানিয়েছে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ গ্রেপ্তার
বিবৃতিতে তারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা আইন পুনর্বহালের জোর দাবি জানান।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালের আইন বাতিল করে 'জাতির পিতা পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা (বিলোপ) অধ্যাদেশ, ২০২৪' জারি করেন।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ
৩ মাস আগে
কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের ক্যাডারদের লেলিয়ে দেওয়ায় সরকারের নিন্দা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের 'ক্যাডার' ও পুলিশকে যারা লেলিয়ে দিয়েছে তারা মানবতা বিবর্জিত।
সোমবার(১৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে 'ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের' হামলায় ২৫০ শিক্ষার্থী আহত
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মিলে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালায় তারা মানবতাবিরোধী ও অমানবিক। যারা দুর্নীতি ও সহিংসতায় লিপ্ত তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন নিয়েও সন্দিহান।’
তিনি বলেন, লুটপাটের আদর্শে পরিচালিত সরকারের মাধ্যমে কখনো জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ‘তাই সম্মিলিত কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে তারা চরম বর্বরতার আশ্রয় নিয়েছে। কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদের কাপুরুষোচিত হামলার ও ঘৃণ্য ঘটনার জন্য আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিএনপি মহাসচিব আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনে সরকার উদ্বিগ্ন ও মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: চবি-ষোলশহরে কোটাবিরোধী ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ১০
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আন্দোলন দমনের জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে এখন নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য।’
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার কোটা ইস্যুতে প্রতিনিয়ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ‘কারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে ভিন্ন পদ্ধতিতে তা পুনর্বহাল করেছেন।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে রক্তাক্ত করার মাধ্যমে দমন করার চেষ্টা করছে। ‘তাদের হাতে জনগণ, রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কখনো নিরাপদ নয়।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী মহল ভয়ংকর দমন-পীড়নের মাধ্যমে দেশের জনগণকে চুপ করিয়ে দিতে চায়। সাধারণ ছাত্রদের চলমান আন্দোলন দমনের মনোভাব আওয়ামী সরকার যেমন গ্রহণ করেছে, তেমনি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের ওপর স্টিমরোলার চালাচ্ছে। তাই এ ধরনের পৈশাচিক কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা বিএনপির
৫ মাস আগে
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা বিএনপির
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'তারা (শিক্ষার্থীরা) তাদের দাবি নিয়ে সফলভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করছেন তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন রয়েছে এবং সবাই ন্যায্য সমাধানের অপেক্ষায় আছেন।’
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শরিক গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সমাধান খোঁজার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ডুবাচ্ছে: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিক্ষোভকারীদের রাজাকার স্লোগান সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে খসরু বলেন, শিক্ষার্থীরা বোঝাতে চেয়েছে তাদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে তাদের রাজাকার হিসেবে দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ষড়যন্ত্রের কথা বলে, বিএনপির উসকানি দিয়ে এবং আন্দোলনকারীদের স্বাধীনতাবিরোধী ও রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও ষড়যন্ত্রের কথা বলে গোটা জাতিকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
তিনি বলেন, 'এসব বিষয়কে পুঁজি করার কোনো সুযোগ নেই। এটা নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এমনটাই বলছেন তারা। নতুন প্রজন্ম এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে এগুলোকে (রাজাকার ট্যাগ) পুঁজি করে কেউ মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।’
খসরু বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী ও দখলদার সরকার দেশের জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয় বলেই কোটা সংস্কার সমস্যার সমাধান করছে না।
আরও পড়ুন: চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
বিএনপি মনে করে, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ একটি নির্বাচিত সরকার থাকলে খুব সহজেই এ সমস্যার ন্যায্য সমাধান পাওয়া যেত।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খসরু ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া গত চার দিন ধরে ১২ দলীয় জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এনডিএ, গণফোরাম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, এলডিপি এবং গণঅধিকার পরিষদের আরেকটি অংশের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে তাদের ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা করছে সরকার: মির্জা আব্বাস
৫ মাস আগে
ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
শনিবার নির্বাচনি জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখজনক। তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। আমরা অবশ্যই তার ওপর এ ধরনের হামলার নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: চীন সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত: শেখ হাসিনা
সম্প্রতি চীন সফরের ফলাফল তুলে ধরতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আমেরিকা সব সময় তাদের গণতন্ত্র নিয়ে গর্ববোধ করে উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন।
শেখ হাসিনা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, 'গণতন্ত্রের অগ্রপথিক যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি সভ্য দেশে কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল তা আমাদের প্রশ্ন।’
রিপাবলিকান পার্টি এই হামলার জন্য সরকারকে দোষারোপ করেনি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সরকারকে দায়ী করা হতো।’
শনিবার পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনি সমাবেশে এ হামলা করা হয়। বুলেটের আঘাতে অল্পের জন্য বেঁচে যান ট্রাম্প। তবে তার কান সামান্য কেটে যায়, মুখমণ্ডল থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। এরপরই তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হয়। এ সময় হামলাকারী ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী এক ব্যক্তি নিহত হন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
আদালতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছু করার নেই: কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দেন।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ করে জনগনসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর আরও তীব্র মাত্রায় দমনপীড়ন চালাচ্ছে, নির্মম নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আরও একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটল গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আহত করা এবং একজন নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করার মধ্যে দিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এহেন পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
বিএনপি মহাসচিব আহত জোনায়েদ সাকিসহ নেতা-কর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা বিদ্রোহের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
৯ মাস আগে
প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
আবাসিক প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সরকারি সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও গণবিরোধী আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে নয়া পল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নিন্দা জানায় দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রিপেইড মিটারের ভাড়া রাতারাতি ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে- মিটার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সমন্বয় করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ এটিকে অযৌক্তিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন দলটির এই নেতা।
আরও পড়ুন: বিএনপির গয়েশ্বরের অভিযোগ নাকোচ করলেন রুশ রাষ্ট্রদূত
রিজভী বলেন, এমন এক সময়ে এই ভাড়া বাড়ানো হলো, যখন আবাসিক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে।
তিনি বলেন, বাড়িগুলোতে দিনরাত অধিকাংশ সময় গ্যাস সরবরাহ থাকে না, কিন্তু 'অবৈধ সরকার' গ্যাস ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নানা কৌশল অবলম্বন করে টাকা আদায় করছে।
তিনি বলেন, গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত না করে মিটারের ভাড়া(হঠাৎ করে ভাড়া বাড়ানো) দ্বিগুণ করা এবং সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দেওয়া সরকারের গণবিরোধী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই প্রিপেইড মিটারের ভাড়া ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করেছে।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড জানায়, মিটার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় সমন্বয়ের সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিটারের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
রিজভী বলেন, জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় সরকার জনগণের অর্থ লুটপাট করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (সরকার) জানে যে তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে না এবং তাদের অন্য নির্বাচন বা কোনও নির্বাচনে জনগণের কাছে যেতে হবে না। কারণ তারা বন্দুক এবং রাষ্ট্রের সমস্ত মাধ্যম ব্যবহার করে জনগণকে বশীভূত করে। তাই তারা জনবিরোধী নীতি গ্রহণ করতে পারে এবং তাদের খেয়ালখুশি অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ: ওবায়দুল কাদের
তিনি অভিযোগ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন এবং ৭ জানুয়ারি সরকারের নির্বাচনী 'সার্কাস' নীরবে প্রত্যক্ষ করায় আবাসিক প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া বাড়িয়ে সরকার জনগণকে শাস্তি দিয়েছে।
ডলার সংকট এরই মধ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে নগদ প্রণোদনা না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব।
তিনি বলেন, ক্রেতাদের কাছ থেকে তৈরি পোশাকের অর্ডার ইতোমধ্যে অর্ধেকে নেমে এসেছে। চামড়া, পাটজাত পণ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে নগদ প্রণোদনাও অনেক কমানো হয়েছে। তাই এসব পণ্যের রপ্তানি মারাত্মকভাবে কমে যাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার তথাকথিত উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্পের নামে লুটপাট অব্যাহত রাখতে রপ্তানি খাত থেকে অর্থ কাটছাঁট করছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'অব্যাহতভাবে বিচার বিভাগীয় হয়রানি ও সম্ভাব্য কারাগারে আটকানো' নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ২৪২ জন বিশ্ব নেতার খোলা চিঠিকে খাটো করে দেখার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সমালোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস-জালিয়াতি ও দেশবিরোধী অপপ্রচারই বিএনপির রাজনীতির উপাদান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরেরওসমালোচনা করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, 'গতকাল (বুধবার) ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি সারা বিশ্বে আছে, কিন্তু শুধু বাংলাদেশকেই কলঙ্কিত করা হয়। আমরা বলতে পারি সারা বিশ্বে কমবেশি দুর্নীতি থাকতে পারে, কিন্তু আওয়ামী কায়দায় দুর্নীতির কলঙ্ক পৃথিবীর আর কোথাও আছে কি না তা আমরা জানি না।’
১০ মাস আগে
বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগে ইআরডিএফবির নিন্দা
ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকদের সংগঠন এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সহিংসতার পরিবর্তে গণতন্ত্রকে সমর্থন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষাবিদদের এই প্লাটফর্ম।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ-অপরাজনীতির প্রতিবাদে ইআরডিএফবির মতবিনিময় সভা শনিবার
আসন্ন নির্বাচন ব্যাহত করতে বিএনপির ডাকা হরতালের প্রাক্কালে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় চলন্ত বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে চারজনের মৃত্যু হয়।
ইআরডিএফবি সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, যে সংখ্যাগরিষ্ঠ নিবন্ধিত দলের অংশগ্রহণে দেশ যখন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে অপরাজনীতির নৃশংস উদাহরণ তৈরি করল বিএনপি-জামায়াত জোট।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে ইআরডিএফবির সেমিনার অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী সভা-সমাবেশ, ধর্মঘটের অনুমতি দেয়।
তিনি আরও বলেন, যাই হোক, সংবিধান কখনই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নামে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ বা কোনো ধরনের নাশকতার অনুমতি দেয় না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘গো ভোট’ র্যালি করেছে ইআরডিএফবি
দেশের গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য ভোট দিতে এবং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে যোগ্য জবাব দিতে তরুণসহ সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই শিক্ষাবিদ।
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবি আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
১১ মাস আগে
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের নিন্দা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বানের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নিন্দা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে সব ধরনের কর, খাজনা, পানি, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাহলে তাদের (বিএনপি নেতা-কর্মীদের) বাসায় বিদ্যুৎ-গ্যাস বন্ধ হয়ে গেলে তারা কী করবে?’
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসের কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, এখন থেকে বর্তমান সরকারকে আর কোনো সহযোগিতা না করতে প্রশাসন ও দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। সেইসঙ্গে আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের আহ্বানও জানিয়েছে দলটি।
বিএনপির 'অসহযোগ আন্দোলন' প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন যারা এই অসহযোগ আন্দোলন করছেন তাদের বাসায় বিদ্যুৎ- পানি বন্ধ হয়ে গেলে কি হবে? যেহেতু উনারাই অসহযোগ চাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, তারা কি বুঝতে পারছেন যে গ্যাস বিদ্যুৎ বা পানির বিল না দিলে ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগ অন্য গ্রাহকের সঙ্গে যা করে, তাদের সঙ্গেও তাই করবে; তখন কি হবে? সেটা নিয়ে তাদের মাথায় চিন্তা আসা উচিত।
মন্ত্রী বলেন, এ দেশের জনগণ তাদেরকে চেনে। এসব ডাকে জনগণ কোনোদিনই প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। আমাদের জনগণ সময় মতো নির্বাচনে ভোট দেবে এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) আমাদেরকে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে যারা তারেকের নেতৃত্ব মানছেন না, নির্বাচনে আসতে তারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি সবসময় বলেছি তারা নিশ্চিত জানে এ দেশের জনগণ তাদেরকে ভোট দেবে না, তাদের কর্মকাণ্ডে জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং ক্রমাগতভাবে তারা একটার পর একটা কর্মসূচি দিচ্ছে। যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা যায় এবং নির্বাচন না হয় তারা সে চেষ্টা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে তারা ক্রমাগত নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। বাসের ভেতর অগ্নিদগ্ধ করে হেলপারকে পুড়িয়ে মেরেছে, এখন শুরু করেছে রেললাইন উপড়ে ফেলা।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন চারজন মানুষকে চলন্ত গাড়িতে পুড়িয়ে মেরেছে তারা। এর আগেও গাজীপুর এলাকায় এরকম একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা অনবরত এ ধরনের নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। একটা অস্থিতিকর পরিস্থিতি কিভাবে তৈরি করা যায় তারা শুধু সেই পায়তারা করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের মেন্ডেট নিয়েই ক্ষমতায় আসছেন এবং জনগণের ম্যান্ডেডকেই তিনি সরকার বদলানোর একমাত্র উপায় বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে