নির্বাচন কমিশন (ইসি)
জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা বদলে বড় উদ্যোগ ইসির
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ প্রক্রিয়ায় ২০০১ সালের সীমানা ফিরিয়ে আনার দাবিকে ঘিরে আসা ৪০০টির বেশি আবেদন যাচাই করছে কমিশন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৬টি আসনের সীমানা পরিবর্তনের দাবিতে ৪১৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ আবেদনেই ২০০১ সালের সীমানা পুনর্বহালের দাবি করা হয়েছে।
পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভাণ্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসনের জন্য জমা পড়েছে সর্বোচ্চ ১০৩টি আবেদন। এরপর রয়েছে কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসন, যার জন্য জমা পড়েছে ৯২টি আবেদন।
এ ছাড়া মানিকগঞ্জে একটি নতুন আসনের দাবিতে ৩৮টি এবং চাঁদপুরে অতিরিক্ত একটি আসনের দাবিতে ৯টি আবেদন জমা পড়েছে।
সম্প্রতি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারির পর ইসি সীমানা পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়। এ প্রক্রিয়ায় জনগণের আবেদন, সর্বশেষ আদমশুমারি এবং প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক ঐক্যতানকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার শনিবার ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা আবেদনগুলো খতিয়ে দেখছি। যেটির যুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে সব আসনের সীমানা বদলাবে এমন নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যৌক্তিক আবেদন ছাড়াও আদমশুমারির তথ্য ও প্রশাসনিক বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরাঞ্চলের আসন কমে গ্রামীণ এলাকায় বাড়তে পারে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হতে পারে।
খসড়া সীমানা গেজেট আকারে প্রকাশ করে আপত্তির সুযোগ দেওয়া হবে। আপত্তির নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করবে কমিশন। ২০০৮ সালের পর এবারই সবচেয়ে বড় পরিসরে সীমানা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের নয়, সরকার-নির্বাচন কমিশনের: মঈন খান
ওই বছর ১০০টির বেশি আসনের সীমানা বদলানো হয়েছিল। তবে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে খুব সামান্য পরিবর্তনই হয়।
সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেছেন, ‘আলোচনার ভিত্তিতে কাজটি না হলে আদালতে রিট হতে পারে, যা নির্বাচনে বিলম্ব ঘটাতে পারে।’
উল্লেখযোগ্য ৬৬টি আসনের মধ্যে রয়েছে— সাতক্ষীরা-৩ ও ৪, রংপুর-১, বরগুনা-১ ও ২, পিরোজপুর-১ ও ২, কিশোরগঞ্জ-২, মানিকগঞ্জ-১, ২ ও ৩, মুন্সিগঞ্জ-১, ২ ও ৩, ঢাকা-১, ২, ৩, ৭ ও ১২, গাজীপুর-৩ ও ৫, নারায়ণগঞ্জ-১ থেকে ৫, রাজবাড়ী-১ ও ২, ফরিদপুর-৪, শরিয়তপুর-২, সিলেট-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০, চাঁদপুর-১ থেকে ৫, ফেনী-২ ও ৩, নোয়াখালী-১ থেকে ৪, চট্টগ্রাম-৪, ৫, ৭ ও ৮, গাইবান্ধা-৩, সিরাজগঞ্জ-২, ৫ ও ৬, যশোর-২, ঝালকাঠি-২ এবং বরিশাল-৩।
১৯১ দিন আগে
দিনের ভোট রাতে হওয়ার সুযোগ নেই: ময়মনসিংহে সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এবার আর দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
সোমবার (৫ মে) সকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সিইসি।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিকের সভাপতিত্বে সভায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের সব অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াবে না। কমিশনের সব সিদ্ধান্ত সম্মিলিতভাবে নেওয়া হয়, এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না।’
তিনি জানান, ‘রমজানের প্রথম দিনে সারাদেশের নির্বাচন কর্মকর্তাদের শপথ পড়ানো হয়েছে— তারা নিরপেক্ষ থেকে কোনো প্রকার প্রভাবিত না হয়ে আইন মেনে নির্বাচন পরিচালনা করবেন। অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি না করাই কমিশনের লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: মেয়র পদের গেজেট সম্পর্কে জানতে সিইসির সঙ্গে দেখা করলেন ইশরাক
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা— এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘যা রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয়, সে বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আমরা রাজনীতি পরিহার করে সচেতনভাবে এগিয়ে চলছি। এজন্য অনেকের মন খারাপ হলেও আমরা আমাদের দায়িত্ব ও সীমাবদ্ধতার জায়গা বুঝে কাজ করছি।’
তিনি জানান, ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে যেগুলোর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তা আমরা সতর্কভাবে পরিহার করছি। কোনো রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে হলে তবেই কমিশন অবস্থান নেবে।’
দিনের ভোট রাতে হওয়ার আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমি চাই না, কোনো অপবাদ নিয়ে বিদায় নিতে। তাই যতদিন দায়িত্বে আছি, ততদিন সঠিক নিয়তে আইন মেনে ও বিবেকের সায় নিয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাব।’
২১৩ দিন আগে
চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল
চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিকাল ৪টায় নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ: ইসি
ইসি সচিব বলেন, ‘তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হুমকি দিয়েছেন। এর আগেও তিনি কোড লঙ্ঘন করেছেন।’
মুস্তাফিজুর রহমান এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।
আরও পড়ুন: নরসিংদী-৪ আসনে ভোট কারচুপির অভিযোগে আ.লীগ প্রার্থীর ছেলেকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ ইসির
৪ ঘণ্টায় ১৮.৫ % ভোট পড়েছে: ইসি সচিব
৬৯৭ দিন আগে
৪ ঘণ্টায় ১৮.৫ % ভোট পড়েছে: ইসি সচিব
দ্বাদশ জাতয়ি নির্বাচনে প্রথম চার ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তিনি ভাবছেন না।
ঢাকার হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আউয়াল বলেন, 'ভোটার উপস্থিতি কম নাকি বেশি সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ভোটার উপস্থিতি নিয়ে ভাবছি না। আমার কাজ হচ্ছে নির্বাচন আয়োজন করা।’
কম ভোটার উপস্থিতি ও বিক্ষিপ্ত সহিংসতার মধ্যে দিয়েই রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
ঢাকা, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, ভোলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনাসহ ইউএনবির সারাদেশের সংবাদদাতারা প্রত্যাশার চেয়ে কম ভোটার উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন।
এ ছাড়া দেশজুড়ে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
৬৯৭ দিন আগে
৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এসব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও কোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
এসব সংস্থার বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগ না থাকলে সেগুলো চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে। আর কোনোটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে কমিশন সেগুলো শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এ প্রক্রিয়ায় যেসব পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পাবে, সেগুলো আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: নতুন ২ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ইসির শুনানি
মঙ্গলবার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, এর আগে ২০১৮ সালে ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। ওই সংস্থার পাঁচ বছর মেয়াদ গত ১১ জুলাই শেষ হয়েছে। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৯টি এবং নির্ধারিত সময়ের পরে আরও ১১টি আবেদন ইসিতে জমা পড়ে।
প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় অভিযোগ শুনানি প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার সময়ে সংখ্যা আরও কমতে পারে। এর ফলে গত নির্বাচনের চেয়ে আগামী নির্বাচনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়াবে।
ইসি সূত্র জানায়, ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। প্রথমবারের মতো সেইবার ১৩৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার রোধ: ফেসবুকের সঙ্গে ইসির বৈঠক বৃহস্পতিবার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার হচ্ছে না সিসিটিভি ক্যামেরা
৮৪৯ দিন আগে
নির্বাচনে অপপ্রচার রোধে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুক: ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর অপপ্রচার রোধে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকরপোরেশনের একটি প্রতিনিধি দল।
কমিশনের পক্ষে জানানো হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠকটি হওয়ার থাকলেও পরে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচি শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। সময় যত গড়াবে নির্বাচন নিয়ে তৎপরতাও তত বাড়বে। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: অপপ্রচার রোধ: ফেসবুকের সঙ্গে ইসির বৈঠক বৃহস্পতিবার
এমন পরিস্থিতিতে অপপ্রচার রোধে ফেসবুকের সহায়তা নিতে চায় ইসি, উল্লেখ করেন তিনি।
মেটা’র বাংলাদেশবিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি রুজান সারোয়ারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকটিতে অংশ নেন। প্রতিনিধি দলে বাকিরা হলেন- এপিএসি গ্লোবাল রেসপন্সের প্রধান এইড্যান হো এবং নিয়ন্ত্রক বিশেষজ্ঞ ইউজিন পো।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম এবং এনআইডি সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বৈঠক শেষে অশোক কুমার বলেন, ‘আজকে আমরা ফেসবুকের একটা টিমের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমাদের যে টেকনিক্যাল লোক আছে, তাদের নিয়ে বসেছিলাম। কারণ এখানে কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার ছিল। মূল বিষয়টি হচ্ছে, ফেসবুকে যেসব অপপ্রচার হয়, সেই অপপ্রচারগুলো কীভাবে রোধ করা যায়। বিশেষ করে ঘৃণাত্মক মন্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা বা অন্যান্য যেসব ভায়োলেশন হয় সেগুলো তারা ডিলিট করবে, ব্লক করবে। মূলত এই ছিল মিটিংয়ের বিষয়।’
আজকের আলোচনাকে প্রাথমিক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের ‘ফোকাল পয়েন্ট’ নির্ধারণ করা হবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য। আমাদের কাছে যেটা ‘নেগেটিভ’ মনে হবে আমরা তাদের সেটা জানাব। পরে তারা সেটাকে রিমুভ করবে।’
শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন কনটেন্টের বিষয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর এই কার্যক্রম শুরু হবে। কমিশন নয়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারাই কমিশনের কাছে সময় চেয়েছিল।’
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সিইসি
৮৫৪ দিন আগে
আরপিও নিয়ে 'অস্পষ্টতা' দূর করতে ডাকা ইসির সভা হঠাৎ স্থগিত
সম্প্রতি সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) নিয়ে 'অস্পষ্টতা' দূর করতে ২০ জুলাই নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত ১৩ জুলাই ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত আমন্ত্রণপত্র সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন ওই সভা স্থগিত করে।
আরও পড়ুন: একতরফাভাবে আগামী নির্বাচন করতে আরপিও সংশোধন করেছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আরপিও বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ পেতে আগামী ২০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য বৈঠক অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে।
কমিশন সকল আমন্ত্রিতদের চিঠি ও ফোনে সভা স্থগিত করার কথা জানিয়েছে। গত ৪ জুলাই জাতীয় সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বিল-২০২৩ পাস হয়।
আরও পড়ুন: আরপিও সংশোধনী বিল মড়ার ওপর খাড়ার ঘা: টিআইবির উদ্বেগ
ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রেখে আরপিও সংশোধনের অধ্যাদেশে রাষ্ট্রপতির সই
৮৭০ দিন আগে
রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঢাকাস্থ নির্বাচন কমিশন (ইসি) মিলনায়তন থেকে পর্যবেক্ষণ করছে ইসি।
দুই সিটিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা সকাল ৬টা থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড এবং ২ হাজার ৫২০টি ভোটকক্ষে ৩৬৮টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।
আরও পড়ুন: রাসিক নির্বাচন: গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে আ.লীগ নেতা আটক
৩৪৫টি ভোটকেন্দ্রে প্রতি ১০ সেকেন্ড পর পর অটোরোটেশনসহ ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সকাল ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সিলেট সিটি নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন এবং রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ৩০ হাজার ১৫৭ জন নতুন ভোটারসহ ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সিলেটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ আট মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ চার মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: সিটি করপোরেশন নির্বাচন: রাজশাহী ও সিলেটে ভোটগ্রহণ চলছে
সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
৮৯৮ দিন আগে
কেসিসি নির্বাচন: প্রস্তুত ইসি, বিজিবি মোতায়েন
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার বেলা ১১টা থেকে নির্বাচনী মালামাল বিতরণ শুরু হবে। নগরীর বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে নির্বাচনী মালামাল বুঝে নেবেন ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তারা।
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
রবিবার (১১ জুন) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি প্লাটুনে ২০ জন করে বিজিবি সদস্য রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে চারদিন তারা নির্বাচনের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। বিজিবির টহল টিমের সঙ্গে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
কেসিসি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, ১২ জুনের নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের নিরাপত্তায় ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে বসানো হচ্ছে ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা
এবারের নির্বাচনে নগরের ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
আগামীকাল (সোমবার) ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করা হবে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন থেকে।
এবার কেসিসির সব কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: সিইসি
৯০৮ দিন আগে
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন ৩০ জুলাই
চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপনির্বাচন ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনটির তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনে সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন ২৭ এপ্রিল
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৬ জুলাই। আপিল করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দের শেষ দিন ১৩ জুলাই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
ইসি সচিব সাংবাদিকদের আরও বলেন, চট্টগ্রাম-১০ ও ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সব কেন্দ্রে ক্লোজসার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে এবং ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে ৪ জুন (গত রবিবার) সংসদ সচিবালয় চট্টগ্রাম-১০ আসন (ডবলমুরিং-হালিশহর-খুলশী-কাতালগঞ্জ) ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচন: ৬ আসনে আ.লীগের ৩ প্রার্থীর জয়
৯১০ দিন আগে