পেট্রোল পাম্প
মৌলভীবাজারে মাস শেষের আগেই ফুরিয়ে যায় গ্যাস, ভোগান্তিতে গাড়িচালক-যাত্রীরা
মৌলভীবাজারে পেট্রোল পাম্পের জন্য নির্ধারিত গ্যাস বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রতিমাসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গাড়ি চালক ও যাত্রীদের।
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের আওতাধীন ১১টি সিএনজি পাম্প রয়েছে। মৌলভীবাজার কার্যালয়ের আওতাধীন ৬টি, কুলাউড়ার আওতাধীন ২টি ও শ্রীমঙ্গলের আওতাধীন ৩টি রয়েছে।
প্রতি মাসের শেষের দিকে মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের আওতাধীন ৪ থেকে ৫টি পাম্পের নির্ধারিত গ্যাস বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ থাকে। এ কারণে চালু পাম্পগুলোতে গ্যাস নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে চালকদের।
কুলাউড়ায় গর্নভেলি সিএনজি স্টেশনে অপেক্ষারত এক সিএনজি অটোরকিশা চালক বলেন, রাত ৩টা কেউ রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে সিরিয়াল ধরে গ্যাস নিতে হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পাম্প বন্ধ থাকে। বন্ধের সময়টা কমিয়ে দিলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্রে ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ
মৌলভীবাজার মেসার্স সাজ্জাদুর রহমান সিএনজি স্টেশনে অপেক্ষারত গাড়ির চালক রফিক মিয়া জানান, সকাল থেকে পাম্প বন্ধ থাকার কারণে আমাদেও জ্বালানি সংগ্রহ করতে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। পাম্প বন্ধের সময়টা কমানো হলে খুবই ভালো হয়। নিদিষ্ট পাম্পে গ্যাস না পেয়ে অনেক পরিবহন চালক এলপিজি ব্যবহার করছে। এলপিজির দাম একটু বেশি এতে বাধ্য হয়ে ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছেন চালকরা।
মৌলভীবাজার জ্বালানি ব্যবসায়ীরা জানান, ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে মৌলভীবাজারে সিএনজি ফিলিংস্টেশনগুলো গড়ে ওঠে। ওই সময় জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের সঙ্গে প্রতিটি পাম্পের বরাদ্দের বিষয়ে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী এক লাখ থেকে তিন লাখ কিউবিক ফুট গ্যাস পায় ফিলিংস্টেশনগুলো। শুরুর দিকে সমস্যা না হলেও কয়েক বছর ধরে এর চাহিদা বাড়ছে।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, গ্যাস বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য জালালাবাদ গ্যাসের কাছে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈঠক ও করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান মিলছে না।
জালালাবাদ গ্যাস আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয় মৌলভীবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল করিম চৌধুরী জানান, ব্যবসায়ীরা নিয়ম না মেনে সময়ের আগেই গ্যাস বিক্রি করে দেন। ফলে মাস শেষে অনেক পাম্প বন্ধ হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে জনসাধারনের ভোগান্তি কথা বিবেচনা করে গ্যাস কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন চালক ও জনগণ।
আরও পড়ুন: অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা
৮ মাস আগে
ঢাকায় অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প স্থাপনে নিয়ম মানা হয়নি
ঢাকা শহরের অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি মানা হয়নি দুটি স্টেশনের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখার সুনির্দিষ্ট সরকারি নীতিমালাও।
পরিবহন ও পেট্রোলিয়াম খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে গ্রাহকদের সহজে গাড়ির জ্বালানি পেতে সমস্যা হচ্ছে।
তাদের মতে, মোটর গাড়ির সংখ্যা বাড়লেও শহরে পেট্রোল পাম্পের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
পেট্রোলিয়াম খাতের প্রধান সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা জানান, সিটি করপোরেশন এলাকা, জেলা শহর ও অন্যান্য স্থানে নতুন পেট্রোল পাম্প স্থাপনের বিষয়ে সরকার ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি কিছু সংশোধনীসহ একটি গেজেট প্রকাশ করেছে।
সরকারি নীতি অনুযায়ী, উল্টো দিকের দু'টি পেট্রোল পাম্পের মধ্যে ১ কিলোমিটার এবং একই দিকে ২ কিলোমিটারের দূরত্ব থাকা উচিত। সিটি করপোরেশন ও জেলা শহরের বাইরে যেসব পেট্রোল পাম্প মূলত মহাসড়কের পাশে সেগুলোর ক্ষেত্রে দূরত্ব হতে হবে দ্বিগুণ।
কিন্তু ঢাকা শহরে পাম্প স্থাপনের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন দূরত্ব সঠিকভাবে বজায় রাখা হয়নি।আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্প, কৃষকের মনে স্বস্তি
বিপিসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা স্বীকার করেন, ঢাকা শহরে পাম্পগুলো অপরিকল্পিতভাবে স্থাপন করা হয়েছে এবং সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি।
কিন্তু এসবই নতুন নীতিমালা প্রণয়নের আগেই করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে নতুন কোনো পাম্প স্থাপন করা হচ্ছে না।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আসলে জমির অতি মূল্যের কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ব্যক্তিগত জমিতে নতুন পেট্রোল পাম্প স্থাপনে মানুষের আগ্রহ নেই।’
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, জমি অন্য কাজে ব্যবহার বেশি লাভজনক হওয়ায় ব্যক্তি মালিকানায় পেট্রোল পাম্প ব্যবসা চালানো সত্যিই কঠিন।
অনেক পাম্প মালিক এখন তাদের রিফুয়েলিং ব্যবসা বন্ধ করে ভালো মুনাফার জন্য একই জমিতে আবাসিক বা বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণের চেষ্টা করছেন।
পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে প্রায় চার হাজার, ঢাকা জেলায় ৩০০টি এবং ঢাকা শহরে ৮০টি পেট্রোল পাম্প রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ৫০টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে ৩০টি পাম্প রয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের কাছাকাছি কয়েকটি স্থানে গুচ্ছ পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে- মহাখালী, গাবতলী এবং সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী অন্যতম।
নাজমুল হক জানান, গত ২০ বছরে ১১টি পেট্রোল পাম্প মালিকরা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং জমিগুলো বহুতল মার্কেট, অ্যাপার্টমেন্ট বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জেনারেল এরশাদের আমলে নিরাপত্তাজনিত কারণে মহাখালী থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ফিলিং স্টেশন স্থাপনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
তিনি বলেন, নিকুঞ্জ এলাকায় শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) স্থাপিত একটি পাম্প রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ঢাকা জেলার অভ্যন্তরে যেকোনো স্থানে যেকোনো পেট্রোল পাম্প স্থাপনের প্রাথমিক অনুমতি দেন এবং চূড়ান্ত অনুমতি আসে বিপিসির পক্ষ থেকে।
বিপিসির চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে পূর্বানুমতি নেওয়ার জন্য বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ ১৪টি পৃথক কর্তৃপক্ষ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণ: ঢামেক হাসপাতালে একজনের মৃত্যু
৮ মাস আগে
রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
রাজধানীর মহাখালীর রয়েল ফিলিং স্টেশনে বুধবার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনাথ মিত্র স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান।
আহতরা হলেন- সালাউদ্দিন (৩৮), মোহাম্মদ মামুন (৩০), মাসুম (২৫), আমির হোসেন সুমন (৩২), মো. রানা (৩০), কামাল আবেদীন (৫০), জীবন (২১) ও প্রকৌশলী খায়ের গাজী (৪৪)।
রয়েল ফিলিং স্টেশনের পাশের বিএন ফিলিং স্টেশনের কর্মীরাও দগ্ধ হয়েছেন বলে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে আগুন
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আহতদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।
রয়েল ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী কামরুল হাসান বলেন, ‘ফিলিং স্টেশনে ৩ দিন ধরে গ্যাস লাইনের কাজ চলছিল। আমি জানতে পেরেছি যে আজ (বুধবার) পরীক্ষার সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে আমাদের ফিলিং স্টেশনের ৪ জনসহ মোট ৮ জন দগ্ধ হন।’
বুধবার রাত ৮টা ৮ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (মিডিয়া সেল) উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মহাখালীর আগুন নিয়ন্ত্রণে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২
মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন: ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
১১ মাস আগে
বিদ্যুৎ বিপর্যয়: রাজধানীর পেট্রোল পাম্পগুলোতে বিশৃঙ্খলা
বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় মঙ্গলবার ঢাকার পেট্রোল পাম্পগুলোতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পেট্রোল পাম্প অপারেটরদের মতে, দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাতীয় গ্রিড ব্যর্থ হওয়ার পরপরই, অনেক বাসিন্দা তাদের জেনারেটর চালানোর জন্য ডিজেল সংগ্রহ করতে পেট্রোল পাম্পে ছুটে আসেন।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘ডিজেলের উচ্চ চাহিদার কারণে, কয়েক ঘন্টার মধ্যে পেট্রোলিয়াম শেষ হয়ে যায় এবং অনেক ক্রেতা পেট্রোলিয়াম কিনতে এসে ফিরে যায়।’
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৪০টি পাম্পের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ ডিজেল বিক্রি করে, বাকি ৭৫ শতাংশ পাম্পে ডিজেল বিক্রি হয় না; শুধু অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৭টায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ চালু হতে পারে: নসরুল হামিদ
নাজমুল হক আরও বলেন, অনেক পাম্প ডিপো থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিজেল সংগ্রহ করতে পারেনি, কারণ তাদের কয়েকজন কর্মচারী দুর্গাপূজার ছুটিতে রয়েছেন।
ফলে ডিজেল বিক্রি করা পাম্পগুলোও অতিরিক্ত চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, গুলশান, বনানী ও নিকেতন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তারা ডিজেল সংগ্রহ করতে অনেক রি-ফুয়েলিং স্টেশনে গিয়েছিলেন, কিন্তু পাম্প মালিকেরা তাদের মজুদে ডিজেল নেই বলে তাদের খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়: দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
সময়মতো বিদ্যুৎ বিল শোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন
২ বছর আগে
১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘটের হুমকি পেট্রোল পাম্প মালিকদের
জ্বালানি তেলের বিক্রির কমিশন ৭ শতাংশ বাড়ানোসহ ৬ দফা দাবিতে সারাদেশে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিপিওএ) একটি অংশ।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিপিও’র একাংশের সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলনে বিরত থাকবো।
এসময় বিপিপিওএ’র মহাসচিব মিজানুর রহমান রতনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) একতরফাভাবে জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর কমিশন লিটার প্রতি মাত্র দশমিক ২০ পয়সা বৃদ্ধি করেছে। অথচ আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিক্রয়ের ওপর কমিশন ১ টাকা ৬০ পয়সা বৃদ্ধি করার জন্য দাবি করে আসছি।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: কাজাখস্তানে ১২ পুলিশসহ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত
তাদের মতে, এটি অগ্রহণযোগ্য কারণ তাদের অন্যান্য ব্যয় অনেক বেড়েছে এবং সরকারও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়েছে।
তাদের অন্যন্য দাবিগুলো হলো- ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, সেলস কমিশন ঘোষণার গেজেট আকারে প্রকাশ, মালিক কর্তৃক প্রিমিয়াম পরিশোধ স্বাপেক্ষে ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল এবং জ্বালানি ডিপোতে ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামাগার নির্মাণ।
পড়ুন: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও প্রযুক্তি খাতে সমন্বিতভাবে কাজ করলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব
২ বছর আগে
পরিমাপে কারচুপির অপরাধে ২ পেট্রোল পাম্পকে জরিমানা
রাজধানীতে পরিমাপে কারচুপির অপরাধে সোমবার দুই পেট্রোল পাম্পকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)।
৪ বছর আগে
পেট্রোল পাম্পে ২য় দিনের মতো চলছে ধর্মঘট
পেট্রোল পাম্প মালিক ও শ্রমিকরা ১৫ দফা দাবি আদায়ে সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন।
৪ বছর আগে