নিবন্ধন
নিবন্ধনভুক্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করার সিদ্ধান্ত
দেশের নিবন্ধনভুক্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে শাহবাগে এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে এসব মাদরাসা জাতীয়করণ করা হবে।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, ইবতেদায়ি মাদরাসা নিবন্ধন স্থগিতাদেশ ২০০৮ প্রত্যাহার করতে হবে, রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোডবিহীন মাদরাসাগুলো মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্তকরণ, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার আলাদা নীতিমালা, পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, বেতন-ভাতা, নীতিমালা-২০২৫ অনুমোদন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অফিস সহায়ক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি খোলার অনুমোদনের ব্যবস্থা নেওয়া।
আরও পড়ুন: ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের থানা ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার
ইবতেদায়ি শিক্ষকরা বলছেন, বর্তমানে এক হাজার ৫১৯টি অনুদানভুক্ত মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ৩ হাজার ৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষক ৩ হাজার ৩০০ টাকা অনুদান পায়। ৪০ বছর অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন মাদরাসার শিক্ষকরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা পেশায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
২৫ দিন আগে
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দিবে’: সিইসি
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা এবং আগামী নির্বাচনে দলটি অংশ নিতে পারবে কিনা, তা সময় বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, সময় আসলে দেখা যাবে কোন কোন দলের নিবন্ধন থাকে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সময় আসলে দেখা যাবে। সেজন্য কাজ করছে সিইসি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সিলেট সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন সিইসি।
সিইসি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারক নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। অনেকে একদিনে নির্বাচন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে একদিনে সব নির্বাচন করা কোনোভাবেই সম্ভব না।
আরও পড়ুন: ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
সিইসি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম’র মাধ্যমে হবে না। প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময় অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য কাজ করছি। যা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে দিয়ে হবে। এবার নির্বাচনে প্রবাসীরাও অংশ নিতে পারবেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম।
আরও পড়ুন: নারীর তুলনায় পুরুষ ভোটার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
৪২ দিন আগে
অনলাইনে কর দিতে ১০ লাখ করদাতা নিবন্ধন করেছেন: এনবিআর
স্বেচ্ছায় অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য www.etaxnbr.gov.bd পোর্টালের ই-রিটার্ন অপশন ব্যবহার করে প্রায় ১০ লাখ করদাতা নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানিয়েছে, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে।
নির্বিঘ্নে রিটার্ন দাখিল ও ঝামেলামুক্ত সেবার জন্য সব করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের আহ্বান জানিয়েছে এনবিআর।
২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিল ও পরিশোধের সুবিধার্থে করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করেছে।
স্বতন্ত্র করদাতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.etaxnbr.gov.bd ব্যবহার করে সহজেই এবং দ্রুত অনলাইনে তাদের রিটার্ন প্রস্তুত এবং দাখিল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে মূলধনি মুনাফার ওপর কর কমিয়েছে এনবিআর
এ পদ্ধতি ব্যবহার করে করদাতারা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড), মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর পরিশোধ এবং দাখিলকৃত রিটার্নের কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করার সুবিধা, রসিদ, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদের সুবিধা পেতে পারেন।
যে কেউ পূর্ববর্তী বছরের জন্য দাখিল করা ই-রিটার্নটি ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করতে পারেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা করার জন্য একটি কল সেন্টার চালু করেছে।
করদাতারা অফিস চলাকালীন সময়ে কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১৭১ ৭১ নম্বরে কল করে ই-রিটার্ন সংক্রান্ত প্রশ্নের তাৎক্ষণিক টেলিফোন সমাধান নিতে পারবেন।
ইতোমধ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের দুইজন আইটি দক্ষ প্রতিনিধির টিওটি প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা www.etaxnbr.gov.bd ই-ট্যাক্স সার্ভিস অপশন থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে জানাতে পারবেন, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করা হচ্ছে।
এছাড়াও অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবপেজ (www.nbr.gov.bd), ইউটিউব চ্যানেল www.youtube.com/@nbr.bangladesh এবং ফেসবুক পেজে www.facebook.com/nbr.bangladesh পাওয়া যাচ্ছে।
ইতোমধ্যেই ই-রিটার্ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া করদাতাদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে।
ই-রিটার্নে সফল নিবন্ধনের জন্য করদাতার নিজস্ব জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধিত বায়োমেট্রিক সিম প্রয়োজন হয়।
করদাতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত কিনা *১৬০০১# ডায়াল করে তা জানা যায়।
যাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত সিম নেই তারা নতুন সিম সংগ্রহ করে এর মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা বিশেষ আদেশে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলের আওতাধীন সকল সরকারি কর্মচারী, সকল তফসিলি ব্যাংক, সকল মোবাইল টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন এই পেজের (www.etaxnbr.gov.bd) মাধ্যমে। তাদের জন্য (ই-রিটার্ন) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ই-রিটার্ন ব্যবস্থাকে করদাতাবান্ধব করে তুলতে নিবন্ধন ব্যবস্থার হালনাগাদ করাসহ www.etaxnbr.gov.bd পোর্টালে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করতে ডাটা অটোমেশনে ঝুঁকছে এনবিআর
১০৮ দিন আগে
ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে স্থানান্তরে বিগত আওয়ামী লীগের আমলে প্রণীত আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির মহাসচিব এবং ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের সই করা স্মারকলিপিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজস্ব জনবল ব্যবহার করে গত ১৭ বছর ধরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
কমিশন ২০০৭-২০০৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় জাতীয় ভোটার ডাটাবেজ তৈরির পর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুযায়ী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে আসছে।
যেহেতু ইসির জনবল নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়, তাই এতে বাড়তি কোনো খরচের প্রয়োজন হয় না।আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির যে কোনো সংখ্যাই গ্রহণযোগ্য: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব অবকাঠামো, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল রয়েছে।
কিন্তু বিগত সরকার সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করেছিল
ইসির কর্মকর্তারা তাদের স্মারকলিপিতে বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, সেন্ট লুসিয়া এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রানাডা দ্বীপপুঞ্জসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কমিশন সফলভাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তারা বলেন, নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানান্তর করা হলে তা অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করবে।
সমস্যার কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আইনি জটিলতা ও ভোটার তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হবে, নতুন অবকাঠামো স্থাপন ও জনবল নিয়োগে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হবে এবং ডাটাবেজের সত্যতা নষ্ট হয়ে যাবে এবং ডেটার জন্য নিরাপত্তা হুমকি দেখা দেবে।
গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হলেও নিবন্ধন কার্যক্রম এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়নি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
১৭৯ দিন আগে
হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল
শেষ সময়ের ঝামেলা এড়াতে ২০২৪ সালের হজ নিবন্ধনের সময়সীমা আবারও ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
শুক্রবার(২ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা হজ করতে চান তাদের প্রাথমিক নিবন্ধনের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং বাকি টাকা চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো উন্নত হওয়ায় শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো সহজ হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে জিলহজ মাসের ৯ তারিখে (১৬ জুন) হজ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হাজীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বাকিরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে পারবেন।
গত ২ নভেম্বর ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা খরচ কমিয়ে ২০২৪ সালের জন্য হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার।
আরও পড়ুন: ‘শ্রমিক সংগঠনের প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে’
সাধারণ প্যাকেজের আওতায় ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজের আওতায় ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
গত ১৫ নভেম্বর থেকে হজ নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
৩৮৬ দিন আগে
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ সময়ের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন বা প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহা. আবু তাহিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিবন্ধন করার পর ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে প্যাকেজের অবশিষ্ট মূল্য জমার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, ২ হাজার ৯৫২ জন সরকারিভাবে এবং ২২ হাজার ৯৬১ জন বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন।
আরও পড়ুন: হজের জন্য নিবন্ধনকারীরা টাকা ফেরত পাবেন: ধর্ম মন্ত্রণালয়
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি
বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা
৪২২ দিন আগে
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. তফিকুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ২০২৪ সালের হজযাত্রীদের চূড়ান্ত তালিকা আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত হজযাত্রীর সংখ্যা পাওয়া না গেলে মিনায় সুবিধাজনক স্থানে তাবু পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে মিনায় জামারাহ’র তুলনামূলক দূরবর্তী এলাকায় তাবু নিতে হবে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে নিবন্ধন সময়সীমা বাড়ানো হলো। তবে এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীরা হজের নিবন্ধন করতে পারবেন। সরকারি মাধ্যম ও এজেন্সির জন্য নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারি মাধ্যমে সব প্যাকেজে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশ সরকারের
প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখের মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের পর অবশিষ্ট টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে ব্যর্থ হলে তিনি হজে যেতে পারবেন না এবং প্রদত্ত টাকা মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি বাবদ ব্যয় হবে। তাই টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
হজযাত্রীর নিবন্ধনের ক্রম অনুসারে সরকারি মাধ্যমে ভাড়া করা বাড়ির মধ্যে হারাম শরিফ থেকে অপেক্ষাকৃত কাছের বাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার পর প্যাকেজ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ থাকবে না। সরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজে ট্রেন ব্যতীত নিবন্ধনের অপশন বাতিল করা হলো।
এছাড়া, বিমান ভাড়া ও সৌদি আরবের ব্যয় বাবদ ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে বেসরকারি এজেন্সিতে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে। হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন ফি ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ থেকে ৩০ হাজার ৭৫২ টাকার পরিবর্তে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
হজ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব ব্যতীত প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা কোনো ব্যক্তির কাছে নগদ দেওয়া যাবে না এবং হজ এজেন্সিও নগদ অর্থ গ্রহণ করতে পারবে না। হজ কার্যক্রমের সব সেবা ও প্যাকেজ মূল্য বিস্তারিত উল্লেখ করে হজযাত্রী ও এজেন্সির মধ্যে লিখিত চুক্তি সম্পাদন কর হবে। এর ব্যত্যয় হলে কোনো পক্ষের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, হজে যাওয়ার শর্তাবলী, করণীয় ও হজযাত্রীর সুযোগ-সুবিধা ‘হজ প্যাকেজ ২০২৪’থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে ১১৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
৮ জুলাই পর্যন্ত ৯১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন: মন্ত্রণালয়
৪৪০ দিন আগে
নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেল আরও ২৯ প্রতিষ্ঠান
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিতীয় ধাপে আরও ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা নিবন্ধন প্রাপ্ত ২৯টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে।
এর আগে প্রথম ধাপে ৬৭টি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দেয় ইসি। নতুন ২৯টি সংগঠন নিয়ে নিবন্ধিত নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠনের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৬টিতে।
নতুন নিবন্ধন প্রাপ্ত ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পল্লী দরিদ্র উন্নয়ন সংস্থা (শেওড়াপাড়া, ঢাকা), প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (চুয়াডাঙ্গা), সোসাইটি ফর রুরাল বেসিক নিড-স্রুবান (বরিশাল), সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন (বনানী, ঢাকা), ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (বনানী, ঢাকা), রুরাল ভিশন-আরভি (গাংনী, মেহেরপুর), তরফসারতাজ শান্তি সংঘ-টিএসএস (বগুড়া), পিপলস এসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (পাসা), ইমপাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্যা কমন পিপল (ধানমন্ডি, ঢাকা), জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট (বনানী, ঢাকা), নাইস ফাউন্ডেশন (দৌলতপুর, খুলনা), নারী উন্নয়ন সংস্থা (কচুয়া, চাঁদপুর), সুফিয়া হানিফ ফাউন্ডেশন (পুরানা পল্টন, ঢাকা) এবং সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিউনিটি অর্গানাইজেশন-সাকো (মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী)।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচন: ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ১৯৮৫টি গৃহীত
বাকি সংগঠনগুলো হলো- সবার তরে আমরা ফাউন্ডেশন-স্টাফ (আদাবর, ঢাকা), বিয়ান মনি সোসাইটি (শ্যামলী, ঢাকা), অগ্রগতি সেবা সংস্থা (বেলাবো, নরসিংদী), আল-কুরআন প্রচার সংস্থা বাংলাদেশ (মোহাম্মদপুর, ঢাকা), ইন্টারন্যাশনাল এএসএফ লিগ্যাল। এইড ফাউন্ডেশন (শ্যামলী, ঢাকা), এআরডি-অ্যাসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (সিলেট), বাংলাদেশ মনবাধিকার সমন্বয় পরিষদ-বিএএমএএসপি (কাজীপাড়া, ঢাকা), রাজারহাট স্বাবলম্বী সংস্থা (কুড়িগ্রাম), সংগতি সমাজ কল্যাণ সংস্থা (মিরপুর, ঢাকা), উদ্ভবনী মহিলা সংস্থা। (ফুলতলা, খুলনা), ভোলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর দ্য নিডি-ভন (মানিকগঞ্জ), দিনাজপুর পল্লী উন্নয়ন প্রচেষ্টা (দিনাজপুর), সেলফ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ-এসডিআই (বদরগঞ্জ, রংপুর) এবং বেদো আর্থ-সামাজিক কেন্দ্র (বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ)।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমদিন ৪২ প্রার্থীর আপিল
৪৪৪ দিন আগে
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল: দলের আপিল খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রবিবার (১৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জামায়াতে ইসলামীর দায়ের করা লিভ-টু-আপিল খারিজ করে দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ শুনানির নির্ধারিত তারিখে অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীসহ দলের আইনজীবীদের ঘন ঘন অনুপস্থিতির কারণে এ খারিজের আদেশ দেন।
আইনজীবী এ জে আলীর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান রবিবার শুনানির জন্য সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন।
রিট আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট তানিয়া আমির বলেন, খারিজের আদেশের পর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায় কার্যকর থাকবে।
জামায়াত নিযুক্ত আইনজীবী এ জে আলী তার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কাছে এর আগে ছয় সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু আপিল বিভাগ সময় আবেদন নাকচ করে দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
পরে গত ১২ নভেম্বর জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের আবেদনের শুনানির জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে জামায়াতে ইসলামীর করা আবেদনের শুনানির জন্য ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহার না দেওয়া পর্যন্ত সমাবেশ ও মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে গত ২৬ জুন আইনজীবী তানিয়া আমীর একটি আবেদন করেন।
২০০৯ সালে চাঁদপুরী এবং আরও ২৪ জনের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের আগস্টে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে।
আবেদনে তারা বলেন, জামায়াত একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।
হাইকোর্টের রায়ের পর জামায়াতের নিবন্ধন স্থগিত রাখে ইসি।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর ইসি হাইকোর্টের আদেশ মেনে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
চট্টগ্রামে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ
৪৬১ দিন আগে
জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ: আপিলের শুনানি ১২ নভেম্বর
রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর করা আপিল শুনানি পিছিয়ে রবিবার (১৯ নভেম্বর) দিন ধার্য করা হয়েছে।
আপিল শুনানির জন্য জামায়াতের আইনজীবীর পক্ষ থেকে আট সপ্তাহ সময় চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার (১২ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন অবৈধের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ প্রস্তুতির ২ মাস সময় পেল জামায়াত
এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদন দুইটির উপরও ওই দিন শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের শুনানির জন্য রবিবার (১২ নভেম্বর) ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
একই দিন জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননার আবেদন এবং দলটির সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞার আবেদনেরও শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
সে অনুযায়ী রবিবার (১২ নভেম্বর) আবেদনগুলো আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে।
এদিকে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এ সময় চেয়েছেন। তার পক্ষে আইনজীবী জিয়াউর রহমান আট সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।
এসময় জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন- ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও আইনজীবী আহসানুল করিম।
এসময় আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ২৬ জুন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে চলা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদন করেন আইনজীবী তানিয়া আমীর।
এছাড়া আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সমাবেশ করে রেজিস্ট্রেশন দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে পৃথক আরেকটি আবেদন করেন মাওলানা রেজাউল হক চাঁদপুরী।
এটিও দাখিল করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
এই আবেদনের পর ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেছিলেন, ‘আমরা দুটি আবেদন করেছি। একটি হচ্ছে হাইকোর্টের রায় বলবৎ থাকার পরও ১০ বছর পরে জামায়াতে ইসলামী কর্মসূচি পালন করেছে। আরেকটা আদালত অবমাননার।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমরা জামায়াতের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি। কারণ তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন, যেখানে আদালত অবমাননার বিষয় রয়েছে। অথচ হাইকোর্টের রায়ে তাদের নিবন্ধন অবৈধ।’
রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় ইসি।
এই নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরীকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেওয়া হয়। পরে ওই বছরই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ লিভ টু আপিল করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের দানকর নিয়ে আপিলে শুনানি ২৩ জুলাই
ভিকারুননিসা’র ৫৬ শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেয়ার নির্দেশ আপিলে বহাল
৪৬৮ দিন আগে