নিবন্ধন
হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল
শেষ সময়ের ঝামেলা এড়াতে ২০২৪ সালের হজ নিবন্ধনের সময়সীমা আবারও ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
শুক্রবার(২ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা হজ করতে চান তাদের প্রাথমিক নিবন্ধনের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং বাকি টাকা চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো উন্নত হওয়ায় শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো সহজ হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে জিলহজ মাসের ৯ তারিখে (১৬ জুন) হজ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হাজীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বাকিরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে পারবেন।
গত ২ নভেম্বর ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা খরচ কমিয়ে ২০২৪ সালের জন্য হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার।
আরও পড়ুন: ‘শ্রমিক সংগঠনের প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে’
সাধারণ প্যাকেজের আওতায় ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজের আওতায় ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
গত ১৫ নভেম্বর থেকে হজ নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ সময়ের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন বা প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহা. আবু তাহিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিবন্ধন করার পর ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে প্যাকেজের অবশিষ্ট মূল্য জমার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, ২ হাজার ৯৫২ জন সরকারিভাবে এবং ২২ হাজার ৯৬১ জন বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন।
আরও পড়ুন: হজের জন্য নিবন্ধনকারীরা টাকা ফেরত পাবেন: ধর্ম মন্ত্রণালয়
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি
বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. তফিকুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ২০২৪ সালের হজযাত্রীদের চূড়ান্ত তালিকা আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত হজযাত্রীর সংখ্যা পাওয়া না গেলে মিনায় সুবিধাজনক স্থানে তাবু পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে মিনায় জামারাহ’র তুলনামূলক দূরবর্তী এলাকায় তাবু নিতে হবে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে নিবন্ধন সময়সীমা বাড়ানো হলো। তবে এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীরা হজের নিবন্ধন করতে পারবেন। সরকারি মাধ্যম ও এজেন্সির জন্য নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারি মাধ্যমে সব প্যাকেজে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশ সরকারের
প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখের মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের পর অবশিষ্ট টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে ব্যর্থ হলে তিনি হজে যেতে পারবেন না এবং প্রদত্ত টাকা মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি বাবদ ব্যয় হবে। তাই টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
হজযাত্রীর নিবন্ধনের ক্রম অনুসারে সরকারি মাধ্যমে ভাড়া করা বাড়ির মধ্যে হারাম শরিফ থেকে অপেক্ষাকৃত কাছের বাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার পর প্যাকেজ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ থাকবে না। সরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজে ট্রেন ব্যতীত নিবন্ধনের অপশন বাতিল করা হলো।
এছাড়া, বিমান ভাড়া ও সৌদি আরবের ব্যয় বাবদ ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে বেসরকারি এজেন্সিতে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে। হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন ফি ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ থেকে ৩০ হাজার ৭৫২ টাকার পরিবর্তে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
হজ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব ব্যতীত প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা কোনো ব্যক্তির কাছে নগদ দেওয়া যাবে না এবং হজ এজেন্সিও নগদ অর্থ গ্রহণ করতে পারবে না। হজ কার্যক্রমের সব সেবা ও প্যাকেজ মূল্য বিস্তারিত উল্লেখ করে হজযাত্রী ও এজেন্সির মধ্যে লিখিত চুক্তি সম্পাদন কর হবে। এর ব্যত্যয় হলে কোনো পক্ষের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, হজে যাওয়ার শর্তাবলী, করণীয় ও হজযাত্রীর সুযোগ-সুবিধা ‘হজ প্যাকেজ ২০২৪’থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে ১১৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
৮ জুলাই পর্যন্ত ৯১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন: মন্ত্রণালয়
নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেল আরও ২৯ প্রতিষ্ঠান
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিতীয় ধাপে আরও ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা নিবন্ধন প্রাপ্ত ২৯টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে।
এর আগে প্রথম ধাপে ৬৭টি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দেয় ইসি। নতুন ২৯টি সংগঠন নিয়ে নিবন্ধিত নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠনের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৬টিতে।
নতুন নিবন্ধন প্রাপ্ত ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পল্লী দরিদ্র উন্নয়ন সংস্থা (শেওড়াপাড়া, ঢাকা), প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (চুয়াডাঙ্গা), সোসাইটি ফর রুরাল বেসিক নিড-স্রুবান (বরিশাল), সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন (বনানী, ঢাকা), ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (বনানী, ঢাকা), রুরাল ভিশন-আরভি (গাংনী, মেহেরপুর), তরফসারতাজ শান্তি সংঘ-টিএসএস (বগুড়া), পিপলস এসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (পাসা), ইমপাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্যা কমন পিপল (ধানমন্ডি, ঢাকা), জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট (বনানী, ঢাকা), নাইস ফাউন্ডেশন (দৌলতপুর, খুলনা), নারী উন্নয়ন সংস্থা (কচুয়া, চাঁদপুর), সুফিয়া হানিফ ফাউন্ডেশন (পুরানা পল্টন, ঢাকা) এবং সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিউনিটি অর্গানাইজেশন-সাকো (মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী)।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচন: ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ১৯৮৫টি গৃহীত
বাকি সংগঠনগুলো হলো- সবার তরে আমরা ফাউন্ডেশন-স্টাফ (আদাবর, ঢাকা), বিয়ান মনি সোসাইটি (শ্যামলী, ঢাকা), অগ্রগতি সেবা সংস্থা (বেলাবো, নরসিংদী), আল-কুরআন প্রচার সংস্থা বাংলাদেশ (মোহাম্মদপুর, ঢাকা), ইন্টারন্যাশনাল এএসএফ লিগ্যাল। এইড ফাউন্ডেশন (শ্যামলী, ঢাকা), এআরডি-অ্যাসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (সিলেট), বাংলাদেশ মনবাধিকার সমন্বয় পরিষদ-বিএএমএএসপি (কাজীপাড়া, ঢাকা), রাজারহাট স্বাবলম্বী সংস্থা (কুড়িগ্রাম), সংগতি সমাজ কল্যাণ সংস্থা (মিরপুর, ঢাকা), উদ্ভবনী মহিলা সংস্থা। (ফুলতলা, খুলনা), ভোলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর দ্য নিডি-ভন (মানিকগঞ্জ), দিনাজপুর পল্লী উন্নয়ন প্রচেষ্টা (দিনাজপুর), সেলফ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ-এসডিআই (বদরগঞ্জ, রংপুর) এবং বেদো আর্থ-সামাজিক কেন্দ্র (বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ)।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমদিন ৪২ প্রার্থীর আপিল
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল: দলের আপিল খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রবিবার (১৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জামায়াতে ইসলামীর দায়ের করা লিভ-টু-আপিল খারিজ করে দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ শুনানির নির্ধারিত তারিখে অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীসহ দলের আইনজীবীদের ঘন ঘন অনুপস্থিতির কারণে এ খারিজের আদেশ দেন।
আইনজীবী এ জে আলীর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান রবিবার শুনানির জন্য সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন।
রিট আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট তানিয়া আমির বলেন, খারিজের আদেশের পর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায় কার্যকর থাকবে।
জামায়াত নিযুক্ত আইনজীবী এ জে আলী তার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কাছে এর আগে ছয় সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু আপিল বিভাগ সময় আবেদন নাকচ করে দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
পরে গত ১২ নভেম্বর জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের আবেদনের শুনানির জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে জামায়াতে ইসলামীর করা আবেদনের শুনানির জন্য ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহার না দেওয়া পর্যন্ত সমাবেশ ও মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে গত ২৬ জুন আইনজীবী তানিয়া আমীর একটি আবেদন করেন।
২০০৯ সালে চাঁদপুরী এবং আরও ২৪ জনের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের আগস্টে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে।
আবেদনে তারা বলেন, জামায়াত একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।
হাইকোর্টের রায়ের পর জামায়াতের নিবন্ধন স্থগিত রাখে ইসি।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর ইসি হাইকোর্টের আদেশ মেনে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
চট্টগ্রামে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ
জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ: আপিলের শুনানি ১২ নভেম্বর
রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর করা আপিল শুনানি পিছিয়ে রবিবার (১৯ নভেম্বর) দিন ধার্য করা হয়েছে।
আপিল শুনানির জন্য জামায়াতের আইনজীবীর পক্ষ থেকে আট সপ্তাহ সময় চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার (১২ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন অবৈধের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ প্রস্তুতির ২ মাস সময় পেল জামায়াত
এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদন দুইটির উপরও ওই দিন শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের শুনানির জন্য রবিবার (১২ নভেম্বর) ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
একই দিন জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননার আবেদন এবং দলটির সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞার আবেদনেরও শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
সে অনুযায়ী রবিবার (১২ নভেম্বর) আবেদনগুলো আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে।
এদিকে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এ সময় চেয়েছেন। তার পক্ষে আইনজীবী জিয়াউর রহমান আট সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।
এসময় জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন- ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও আইনজীবী আহসানুল করিম।
এসময় আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ২৬ জুন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে চলা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদন করেন আইনজীবী তানিয়া আমীর।
এছাড়া আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সমাবেশ করে রেজিস্ট্রেশন দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে পৃথক আরেকটি আবেদন করেন মাওলানা রেজাউল হক চাঁদপুরী।
এটিও দাখিল করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
এই আবেদনের পর ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেছিলেন, ‘আমরা দুটি আবেদন করেছি। একটি হচ্ছে হাইকোর্টের রায় বলবৎ থাকার পরও ১০ বছর পরে জামায়াতে ইসলামী কর্মসূচি পালন করেছে। আরেকটা আদালত অবমাননার।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমরা জামায়াতের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি। কারণ তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন, যেখানে আদালত অবমাননার বিষয় রয়েছে। অথচ হাইকোর্টের রায়ে তাদের নিবন্ধন অবৈধ।’
রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় ইসি।
এই নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরীকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেওয়া হয়। পরে ওই বছরই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ লিভ টু আপিল করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের দানকর নিয়ে আপিলে শুনানি ২৩ জুলাই
ভিকারুননিসা’র ৫৬ শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেয়ার নির্দেশ আপিলে বহাল
কিছু বিদেশি সংস্থার রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য নিবন্ধনের আবেদন করা উচিত: মোমেন
রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে ওয়াশিংটনের বক্তব্যের বিষয়ে স্পষ্টতই অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে কিছু বিদেশি সংস্থার রাজনৈতিক নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা উচিত এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতে ও রাজনীতি করার জন্য রাজনৈতিক দলে পরিণত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় মনে করি বোধহয় কোনো কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান এদেশে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া উচিত। তারা বোধহয় রেজিস্টেশনের জন্য অ্যাপ্লাই করা উচিত। তারা একটা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান করবেন এবং আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয়ে তারা রাজনৈতিক অবস্থান নেবেন। তারা একটা দল করুন, আর দেখা যাক জনগণের কাছে তারা কত ভোট পান।’
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মন্তব্যের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস আশা প্রকাশ করেন, উত্তেজনা কমাতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অগ্রসর হওয়ার পথ খুঁজে বের করতে সব পক্ষ একটি শর্তহীন ‘সংলাপ’ করবেন।
ইসি কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো পক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘এ কথা ভুলে যান। এটা কোনো ব্যাপার না...আমাদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: পূর্বশর্ত ছাড়াই সব পক্ষ সংলাপে অংশ নেবে: সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত হাসের প্রত্যাশা
বিএনপির ‘বর্বরতা ও ধ্বংসযজ্ঞ’ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, এটা তাদের দলের জন্য লজ্জাজনক এবং পুলিশ, হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার সঙ্গে জড়িত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বহিষ্কার করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘এটা লজ্জার বিষয়, দলের সদস্যদের করা এসব অপকর্মের জন্য তাদের (বিএনপি) প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়া উচিত। আমি বিএনপির কাছ থেকে আশা করব, তারা যেন তাদের বহিষ্কার করে।
মোমেন বলেন, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার কারণে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির হরতাল ও অবরোধে সারাদেশে মোট ১৬০০ কোটি টাকা (বা ১৯২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বা প্রতিদিন জিডিপির শূন্য দশমিক ২ শতাংশ খরচ হয়েছে।
মোমেন সোমবার কূটনীতিকদের বলেন, ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ তৈরি করেছিল। বিশেষ করে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় ব্যাপক সহিংসতা ও ভোট কারচুপির মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা লুটপাট, ধর্ষণ ও খুন করেছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে।
২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি ও তার মিত্ররা কয়েক হাজার গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পেট্রোলবোমা ব্যবহার করে অনেক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ির ভেতরে আটকে থাকা যাত্রীদের জীবন্ত পুড়িয়েও মেরেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও ভয়াবহ ক্ষত ও ট্রমা নিয়ে বেঁচে আছেন।
তিনি বলেন, পেট্রোল বোমা ও হ্যান্ড গ্রেনেড হামলায় ২০ জন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাসহ ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিক-জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে আজ ব্রিফ করবে সরকার
গণ অধিকার পরিষদসহ ১০টি দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল ইসি
আলোচিত গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও নাগরিক ঐক্যসহ ১০টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চিঠিতে কেন তারা নিবন্ধন দেয়া হয়নি সেই কারণও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৬ জুলাই) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. আবদুল বাতেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইসির যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন বলেন, প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২ দলের মধ্যে ১০টিই বাদ পড়ে উপজেলা কমিটির সঠিকতা না পাওয়ায়। তবে তাদের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটি সঠিক আছে। তালিকায় থাকা দুটি দলের বিরুদ্ধে কয়েকটি আপত্তি জমা পড়েছে। এখন শুনানি হবে। এক্ষেত্রে শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিবন্ধন পাবে না, আর প্রমাণিত না হলে নিবন্ধন পাবে।
নির্বাচন কমিশন নতুন দলের নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে আবেদন আহ্বান করলে ৯৩টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে ১২টি প্রাথমিক বাছাইয়ে টেকে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
এই ১২ দলের মধ্যে অধিকতর তদন্তে বাদ পড়ে আটটি দল।
আর গণ অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বিএনএম) ও এবি পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় ইসি।
সেই কমিটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দিলে বিএনএম ও বিএসপি দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সংস্থাটি।
এক্ষেত্রে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে দুই দল নিয়ে আপত্তি আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তিও দেয় ইসি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেবে না: আনিসুর রহমান
ইসি অবাধ, নিরপেক্ষ পরিচ্ছন্ন নির্বাচন করতে চায়: নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব
ইসি’র নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন ২টি রাজনৈতিক দল
নির্বাচন কমিশন (ইসি) রবিবার নতুন দুটি রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে (বিএসপি) নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদসহ দশটি দল নিবন্ধনের দৌড় থেকে বাদ পড়েছিল। নিবন্ধন চাওয়া ১২টি দলের মধ্যে মাত্র দুজনই পরবর্তী রাউন্ডের বাছাইয়ে অংশ নিয়েছেন।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কমিশন সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
তিনি বলেন, ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধন নিয়ে কারো কোনো আপত্তি আছে কিনা তা জানতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিবন্ধনের আবেদন করা দুই পক্ষের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতিযোগিতায় বাদ পড়া রাজনৈতিক দলগুলো হলো- এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট (বিএইচপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
আরও পড়ুন: রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
সিইসি’র পদত্যাগের দাবিতে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ
হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ল
হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এতে আরও বলা হয়, নিবন্ধন কোটা পূরণ হলে হজ নিবন্ধনের সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
এর আগে ৯ জানুয়ারি হজ নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে সরকারের একটি চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।
এ বছর ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি হজযাত্রী জেদ্দা বিমানবন্দর দিয়ে যাবেন এবং বাকি ৩০ শতাংশ মদিনা বিমানবন্দর দিয়ে যাবেন।
এদিকে, সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী ইচ্ছুক হজযাত্রীদের জন্য একটি সার্ভিস চার্জ কমানোয় সরকার সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়েছে।
১১ হাজার ৭২৫ টাকা বাদ দিয়ে এ বছর হজ করতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনকারীদের প্রত্যেককে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা দিতে হবে।
এছাড়া যারা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন তাদের প্রত্যেককে টাকা বাদ দিয়ে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা দিতে হবে।