কৃষক
ফেনীতে দুই তৃতীয়াংশ জমিতে আবাদ হয়নি, খাদ্য সংকটের আশঙ্কায় কৃষক
আগস্টের বন্যার কারণে ফেনীর কৃষিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। গত মৌসুমের অর্ধেক জমিতেও এবার আমন চাষাবাদ হয়নি। এছাড়া জেলার ছয়টি উপজেলায় শুধু কৃষিজাত ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
জমি খালি পড়ে থাকায় দুশ্চিন্তায় প্রান্তিক কৃষকেরা। প্রণোদনাসহ সার, বীজের সহায়তার কথা থাকলেও তা কাগজে কলমে। ঘরে ধান তোলার কথা থাকলেও কৃষকের মনে হতাশা। ক্ষতি পোষাতে চাইছেন সরকারি সহায়তা।
জেলার সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম, দাগনভূঞাঁসহ জেলার সবখানে ফসলের মাঠের এমন চিত্র।
ফেনীতে চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে মাত্র ২৬ হাজার ৭৬৪ হেক্টর জমিতে। অথচ গত বছরে জেলায় আমনের আবাদ হয়েছিল ৬৬ হাজার ৭৫২ হেক্টর জমিতে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, বন্যায় জেলার ৩০ হাজার ৩৫২ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মোট ফসলি জমির ৭৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তার মধ্যে ১ হাজার ৮৬৫ হেক্টর আমন বীজতলা, ২৬ হাজার হেক্টর আমন খেত, ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর আউশ, আবাদ করা ৫২৫ হেক্টর শরৎকালীন সবজির পুরো অংশ, ৬৯ হেক্টর ফলবাগান, ৭ হেক্টর আদা, ১৬ হেক্টর হলুদ এবং ১৬ হেক্টর আখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলায় শুধু কৃষিজাত ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে চলতি আমন মৌসুমে মাত্র ১৭৩ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। যেখানে গত আমন মৌসুমে (২০২৩ এর ১৫ জুন থেকে ১৫ অক্টোবর) আবাদ হয়েছিল ১ হাজার ২৬০ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছিল ৬ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ধান। অনাবাদি রয়েছে ১ হাজার ৮৭ হেক্টর জমি।
আরও পড়ুন: 'স্মার্ট এগ্রিকালচার কৃষিপণ্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে সক্ষম’
সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া এলাকার কৃষক আবুল হোসেন বলেন, বন্যার কারণে বেশির ভাগ জমিই খালি রয়েছে। ঘরের খোরাকি কীভাবে মেটাবে সেই চিন্তা মাথায়। ধান আবাদের যেটুকু জমি ছিল। বন্যার প্রভাবে ফসলি জমি থেকে খালি পড়ে আেছে। তাই সম্ভব হয়নি আমন আবাদ।
সোনাগাজী এলাকার আরেক কৃষক এসহাক আহমেদ বলেন, বন্যার পর আরেক সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের পোকা। আর্মিওয়ার্মসহ নানা ধরনের পোকায় যেমন নষ্ট হচ্ছে ধান তেমনি নষ্ট হচ্ছে সবজিসহ সব ধরনের ফুল-ফসল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফেনীর অতিরিক্ত উপপরিচালক পুষ্পেন্দু বড়ুয়া বলেন, বন্যার কারণে মাঠের অনেক জমির ধান নষ্ট হয়েছে। আবাদি জমিগুলো খালি পড়ে রয়েছে। তবে বীজ ও প্রণোদনাসহ সার্বিক সহায়তা নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আমন আবাদ বিঘ্ন ঘটায় সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে সবজি আবাদ, রবি ফসল এবং বোরো আবাদে কৃষকদের উৎসাহ যোগাচ্ছে কৃষি বিভাগ। এরই মধ্যে সরকার জেলার ৬ উপজেলায় ৬০ হাজার কৃষককে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় এনেছেন। এদের মধ্যে উপসি জাতের ৫ কেজি বীজ, ৫ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সারসহ মোট ২৫ কেজি কৃষি উপকরণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এদের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ১৫ হাজার, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১১ হাজার, ফুলগাজী উপজেলায় ৯ হাজার ৫০০, পরশুরাম উপজেলায় ৭ হাজার, দাগনভূঞা উপজেলায় ১৩ হাজার ও সোনাগাজী উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০ কৃষক রয়েছেন।
ফেনীস্থ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. একরাম উদ্দিন জানান, বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে কৃষকদের উৎসাহিত করছে সরকার। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক তাদের পাশে রয়েছেন। এরই মধ্যে উপকারভোগী ৭০ ভাগ কৃষকের হাতে পুনর্বাসন কর্মসূচির বীজ-সার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ৫ কৃষি-ইকোলজিক্যাল এলাকায় কাজ করবে ইউএনডিপি
১ সপ্তাহ আগে
গুপ্তধন ভেবে কৃষকের ঘরে রাখা পুরাতন গ্রেনেড উদ্ধার
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় নদীতে মাটি কাটতে গিয়ে পুরাতন একটি গ্রেনেড পান কৃষক লেবু মিয়া। একমাস ধরে গুপ্তধন ভেবে রেখে দিলেও পরে গ্রেনেডটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।
লেবু মিয়া উপজেলার বাউরা বাজার এলাকার মোফাজ উদ্দিনের ছেলে এবং পেশায় তিনি একজন কৃষক।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, একমাস আগে লেবু মিয়া বাউরা নবীনগরে সানিয়াজান নদীতে মাটি কাটতে গিয়ে গ্রেনেডটি পান।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ সব আসামি খালাস
পরে গুপ্তধন ভেবে বাড়িতে রেখে দেন। অবশেষে তিনি বুঝতে পারেন এটি গুপ্তধন নয় পুরাতন গ্রেনেড হবে। তখন বিষয়টি স্থানীয় বিজিবি নবীনগর ক্যাম্পকে অবগত করেন। বিজিবি'র ক্যাম্প কমান্ডার পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ গ্রেনেডটি উদ্ধার করে।
এটিকে নিষ্ক্রিয় করতে সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি আশরাফুজ্জামান সরকার।
২ সপ্তাহ আগে
তিস্তার বালুচরেই দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা
লালমনিরহাটে কয়েক দফা বন্যার পর তিস্তার পানি নেমে গেলে জেগে ওঠা বালুচরে ভুট্টার বীজ বুনতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তার বালুচরে ভুট্টা, আলু, পেঁয়াজ, রসুনসহ অন্য ফসলের বীজ বুনতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। কোথাও দেখা গেছে ভুট্টার চারা গজিয়েছে। পোকামাকড়ের হাত থেকে ভুট্টার গাছ বাঁচাতে অনেকে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন।
লালমনিরহাটে ব্যাপক ফলনের কারণে জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য হিসেবে স্থান পেয়েছে ভুট্টা। পাঁচটি উপজেলাজুড়ে সবুজ পাতায় স্বপ্ন বুনছেন ভুট্টা চাষিরা।
তবে বর্তমানে ভুট্টার বীজ ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাষিরা। এ বছর প্রতি কেজি বীজের দাম ৪৫০-৫০০ টাকা বেড়েছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবার রবি মৌসুমে ৩২ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপরদিকে জেলার ৩টি উপজেলায় চর উন্নয়ন প্রকল্প চালু হয়েছে। এতে প্রতি ব্যাচে ৩০ জন করে ১৬টি ব্যাচে কৃষকদের প্রযুক্তি কলাকৌশলে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল ও পোকার আক্রমণ না থাকলে কৃষকেরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
তিস্তা চরের কৃষক সাবেদ আলী বলেন, কয়েক বছর ধরে ভুট্টা চাষ করে বেঁচে আছি। অন্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।
৩ সপ্তাহ আগে
নওগাঁয় রোপা আমন ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা
নওগাঁয় রোপা আমন ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কৃষকরা জমি থেকে ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় নিয়ে এসে বিশেষ কৌশলে ধানগাছ থেকে ধান গুলোকে আলাদা করতে এবং গৃহিনীরা সেই ধান ঝেড়ে পরিষ্কার করে গোলায় ভরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বুধবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত জেলার মোট জমির শতকরা ২৫ ভাগ খেতের ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, চলতি খরিপ-২/২০২৪-২৫ মৌসুমে মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। জেলার ১১টি উপজেলায় আমন ধান চাষের পরিমাণ হচ্ছে- নওগাঁ সদরে ১১ হাজার ২৫০ হেক্টর, রানীনগরে ১৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর, আত্রাইয়ে উপজেলায় ৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর, বদলগাছিতে ১৪ হাজার ৪৮৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ২৮ হাজার ৯২৫ হেক্টর, পত্নীতলায় ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর, ধামইরহাটে ২১ হাজার ১০ হেক্টর, সাপাহারে ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর, পোরশায় ১৫ হাজার ২৯০ হেক্টর, মান্দায় ১৬ হাজার ১০০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা।
জেলার কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক চলতি মৌসুমে স্বর্ণা, ব্রি-ধান-৩৪, ব্রি-ধান-৫১, ব্রি-ধান-৫২, ব্রি-ধান-৪৯, ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭, ব্রি-ধান-৯০, ব্রি-ধান-৯৩, ব্রি-ধান-৯৪, ব্রি-ধান-৯৫, ব্রি-ধান-১০৩ এবং স্থানীয় জাতের মধ্যে বিন্নাফুল, বিনা ধান-১৭ এবং চিনি আতপ জাতের ধান চাষ করেছেন।
কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, উল্লিখিত পরিমাণ জমি থেকে চলতি মৌসুমে ৯ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে। চালের আকারে যার পরিমাণ ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৭০ মেট্রিকটন।
আরও পড়ুন: ‘ভবদহের জলাবদ্ধতায় অভয়নগরে পূরণ হয়নি আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা’
৩ সপ্তাহ আগে
জাতিসংঘের আলোচনায় কৃষকদের জন্য জলবায়ু তহবিলের অংশ দাবি
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে এ বছর ফিলিপাইনের এসথার পেনুনিয়ার ছোট খামারে আনারস নষ্ট হয়ে গেছে।
এশিয়ান ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল পেনুনিয়া জীবিকা নির্বাহের জন্য খামারের উপর নির্ভর করেন না। তাই তিনি বিপর্যস্ত হওয়ার চেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন।
তবে পেনুনিয়া চিন্তিত তার মতো বিশ্বব্যাপী লাখো ক্ষুদ্র কৃষকদের নিয়ে। কারণ তারা ধানখেত, নারকেল বাগান এবং সবজি খেতের উপর নির্ভরশীল। অথচ সবই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে।
এটাই কারণে এ বছরের জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে বরাদ্দের কিছু অংশ কৃষি খাতে দেবে বলে আশা করছেন তিনি। বিশেষ করে যারা বিশ্বের অনেক অঞ্চলে অধিকাংশ মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করে, এমন কৃষিজীবী পরিবারের জন্য।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ক্ষুদ্র কৃষকদের সাহায্য না করেন, তাহলে আপনি খাবার কোথা থেকে পাবেন? কে আপনার জন্য কৃষিকাজ করবে? কে মাছ ধরবে, কে মধু সংগ্রহ করবে, কে আপনার সবজি রোপণ করবে?’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাখাইনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস জাতিসংঘের
গ্লোবাল সাউথের অনেক দেশের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন। বিশেষ করে টাইফুনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মাঠের পুনরুদ্ধার, কৃষকদের অত্যাধিক খরা থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং উষ্ণ পৃথিবীর জন্য ভালো বীজ, ভালো সার ও উন্নত সেচ অবকাঠামো প্রস্তুত করতে এই অর্থ প্রয়োজন।
তবে, বিশ্ব সম্পদ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের মতে, দরিদ্র দেশগুলোর প্রয়োজন ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু অর্থায়ন। অর্থাৎ ধনী দেশগুলো যে পরিমাণ অর্থ দিতে প্রস্তুত তার মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে।
যে চুক্তিই হোক না কেন, এটা নিশ্চিত যে টাকা সংগ্রহ করতে হবে। এখানে একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে-ঠিক কতটুকু অর্থ কৃষির জন্য এবং কতটুকু অর্থ জীবাশ্ম জ্বালানির নির্গমন কমানোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া উচিত।
ক্লাইমেট পলিসি ইনিশিয়েটিভের গত বছরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষুদ্র কৃষকরা জলবায়ু অর্থায়নের ১ শতাংশেরও কম পান। একই সময়, খাদ্য ব্যবস্থা—অর্থাৎ খাবার তৈরি, পরিবহন ও নিষ্পত্তির সব প্রক্রিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ উষ্ণায়নের জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন দায়ী।
উষ্ণ হয়ে যাওয়া জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কৃষকদের প্রচেষ্টা আরও কঠিন হয়ে ওঠছে বলে মন্তব্য করেছেন সিজিআইএআরের নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাহানে এলৌফি। কপ২৯-এ ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য জলবায়ু-স্মার্ট সমাধান নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা চলাকালে তিনি বলেন, ‘যদি আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে চাই, তবে আমরা কীভাবে এমন একটি খাতে বিনিয়োগ না করে থাকব, যা সমস্যার তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী?’
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষির অভিযোজনের জন্য কেন দেশগুলোকে সহায়তা করা উচিত তার একটি সহজ কারণ তুলে ধরেন সেভ সয়েল নামে একটি আন্দোলনের প্রধান বৈজ্ঞানিক এবং কারিগরি কর্মকর্তা প্রবীনা শ্রীধর।
যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে সম্মত হওয়া অনেক কঠিন, সেখানে কৃষি সমাধানগুলোর জন্য সহায়তা প্রদান করা তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও ধাঁধাটি সমাধান করতে পারিনি। কিন্তু সেসব ধাঁধার যেটুকু সমাধান করতে পেরেছি আমরা, সেগুলো দেখে কাজ শুরু করছি না কেন?’
তবুও অন্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন, এর ফলে জীবাশ্ম জ্বালানি মোকাবিলান মতো সবচেয়ে বড় সমস্যা থেকে মনোযোগ সরে যাবে।
বার্কলে আর্থের একটি গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানী জেক হাউসফাদার একটি ইমেইল বার্তায় বলেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন কমাতে ভূমি ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনে ‘সত্যিকার সম্ভাবনা’ রয়েছে।
তবে তিনি বলেন, বৈশ্বিকভাবে এর মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় এক বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড কমানো সম্ভব। যদিও বিশ্বে প্রতি বছর যে ৪০ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়, এটি তার একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র।
আরও পড়ুন: যেকোনো হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হওয়া উচিত: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
৪ সপ্তাহ আগে
বাকৃবিতে কৃষকদের বিনামূল্যে টমেটোর চারা ও গাজরের বীজ বিতরণ
বাকৃবিতে ৩৫ জন কৃষককে দেশি ও বিদেশি জাতের টমেটোর ৩ হাজার চারা ও জনপ্রতি ১০০ গ্রাম গাজরের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বাকৃবির উদ্যানতত্ত্ব খামারে বাকৃবি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের উদ্যোগে বীজ ও চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, ইন্ডিয়ান ও দেশি জাতসহ মোট ৪০টি জাতের গাজরের জার্মপ্লাজমের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বীজগুলো থেকে প্রচলিত রঙের বাইরে লাল, বেগুনি, হলুদ ও সাদা গাজর পাওয়া যাবে।
এছাড়া যুক্তরাজ্য, ভারতীয়, ইতালীয়, দেশি ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রায় ২০ জাতের টমেটোর জার্মপ্লাজমের চারা বিতরণ করা হয়। এতে করে লাল ও কালো রঙয়ের টমেটো পাওয়া যাবে।
এছাড়া উপস্থিত কৃষকদের বিতরণ করা বীজ ও চারা থেকে গাজর ও টমেটো উৎপাদন পদ্ধতি ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু বাকৃবি প্রশাসনের
এসময় গাজর ও টমেটো গবেষণার প্রজেক্ট ইনভেস্টিগেটর ও বাকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রতিকূল পরিবেশ, বিশেষ করে খরা বর্তমানে বাংলাদেশের একটি উদীয়মান হুমকি। যা গাজর ও টমেটোর উৎপাদনশীলতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। বর্তমান বাজারে গাজর ও টমেটোর চাহিদা বৃদ্ধির তুলনায় কম প্রাপ্যতার কারণে দৈনন্দিন খাবারের পুষ্টিমানে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি’র ঘাটতি থেকে যায়। সুতরাং, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য প্রতিকূল পরিবেশে পুষ্টিসমৃদ্ধ রঙিন গাজর ও টমেটোর উন্নয়ন ও প্রসারণই এই প্রকল্পের সামগ্রিক লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, প্রায় সাড়ে ৩ কেজি গাজরের বীজ দেওয়া হয়েছে যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তবে কৃষকদের দেওয়া বীজ থেকেই তারা পরবর্তীতে আবারও বীজ উৎপাদন করতে পারবে।
তিনি বলেন, এটি তাদের অর্থনৈতিক লাভ নিশ্চিত করবে। কৃষকদের বর্তমান পুষ্টিগত তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। যাতে ফসল উৎপাদনের পর সেটি গ্রহণে তাদের শরীরের পুষ্টিগত পার্থক্যও পরিমাপ করা যায়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম হাম্মাদুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।
এসময় তিনি বলেন, এই দুটি রঙিন সবজির বাজার মূল্য ও চাহিদা অত্যন্ত বেশি। এদের চমৎকার পুস্টিগুণ। কৃষকদের এই সবজি দুইটি থেকে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ব্যাংকিং চ্যানেলগুলোকে আরও অধিকতর সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
শেষ মোড় এলাকার কৃষক আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বিনামূল্যে উন্নত জাতের গাজর ও টমেটোর বীজ ও চারা পেয়ে ভালো লাগছে। স্যারেরা চাষাবাদ সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আশা করি বিভিন্ন রঙয়ের ফলন পেলে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারব।
সুপারিবাগান এলাকার কৃষাণী ছালমা আক্তার বলেন, গাজর যে এত রঙয়ের হয় সেটি জানা ছিলো না। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন রঙয়ের গাজরের ও টমেটোর নানান ধরনের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। আমি নিজে এগুলোর চাষাবাদ করব ও পাশাপাশি অন্যদেরকে উৎসাহিত করব।
বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো গোলাম রাব্বানী। এছাড়াও বাকৃবির স্মার্ট এগ্রিকালচারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো সহিদুজ্জামান এবং স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংকের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: গবাদিপশুর ব্রুসেলোসিস রোগের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবির গবেষক দলের
১ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বজ্রপাতে সাকের আলী (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে পুটিমারী গ্রামের গাংনী বিলের মাঠে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু
সাকের আলী উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, কৃষি কাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন সাকের আলী। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে ঘটনাস্থলেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তার। সাকের আলীর শরীরের বাম পাশ ও মুখমন্ডল পুড়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লিপন হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে একজন মারা গেছে বলে শুনেছি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে ২ জেলের মৃত্যু
২ মাস আগে
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে ধানের চারা দেবে বাকৃবি
বন্যা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে নাবী আমন ধানের চারা বিতরণের উদ্যোগে ‘লেইট আমন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এরই মধ্যে বাকৃবিতে দুই দিনে আড়াই একর জমিতে ৮০০ কেজি বীজ বপন করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ৭৬০ বিঘা জমির জন্য চারা তৈরি করছেন।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বীজ বপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, গত ২৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা মাঠের এক একর জমিতে ও ৩১ আগস্ট খামার ব্যবস্থাপনা শাখার দেড় একর জমিতে ধানের বীজ বপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় নষ্ট হয়েছে রোপা আমন ধানের চারা ও বীজতলা। বন্যার পানি নেমে গেলেও চারা তৈরি করতে অন্তত এক মাসের মতো সময় লাগবে। এতে আমন ধান লাগানোর সময় পার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার তৈরি করতে না পারলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। দেশের খাদ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধানের চারা দিয়ে সহায়তা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাকৃবির সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ১ সেপ্টেম্বর
তিনি যোগ করেন, চারার দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি উপকরণ, সার, কীটনাশক বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা আমরা তৈরি করছি। তালিকা অনুযায়ী তাদের সাহায্য করা হবে। এছাড়া পরবর্তীতে কৃষকদের মাঝে শাক-সবজির বীজ বিতরণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে সফল করতে বাকৃবি এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বীজ কোম্পানি ও কৃষি উদ্যোক্তারা একত্র হয়ে ‘অ্যাগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডি’ গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানা যায়।
লেট আমন প্রকল্পে বাকৃবিতে ৫ একর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক একর, চট্টগ্রামের হাট হাজারীতে ৪ একর ও লক্ষীপুরে ২ একরসহ মোট ১২ একর জমিতে বীজ বপন করে এক হাজার কৃষককে বিনামূল্যে চারা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১২ একর জমিতে উৎপাদিত চারা দিয়ে সর্বনিম্ন ৭৬০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করা যাবে।
১৮ থেকে ২০ দিন পর ধানের চারা গজাবে বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা।
এরপর শিক্ষার্থীরা বন্যাকবলিত এলাকার কৃষকদের কাছে বিনামূল্যে সেইসব চারা পৌঁছে দেবেন।
এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডি সংগঠনটির সূত্রে জানা যায়, বায়ার বাংলাদেশ ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সমমূল্যের ৫০০ কেজি ধানী গোল্ড হাইব্রিড জাতের বীজ ও বাকৃবির ৯৬-৯৭ সেশনের শিক্ষার্থীদের সংগঠন কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটির পক্ষ থেকে লেট আমন প্রকল্পে ২ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গবাদিপশুর জন্য ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
এছাড়া প্রকল্প সফল করতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ময়মনসিংহ শাখা এক টন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) চাঁপাইনবাবাগঞ্জ শাখা থেকে ১৫০ কেজি বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
শিক্ষার্থী বকুল আলী বলেন, কৃষির সঙ্গে, বাকৃবির ৫ একর, নোবিপ্রবিতে এক একর, চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ৪ একর ও লক্ষীপুরে ২ একরসহ মোট ১২ একর জমিতে নাবি আমন ধানের চারা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা। উৎপাদিত চারাগুলো বন্যাকবলিত কৃষকদের বিতরণ করব। যারা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে ও শ্রম দিয়ে সাহায্য করেছেন তাদের এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রকল্পে কাজ করা আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুল ইসলাম জ্যোতি বলেন, একজন কৃষিবিদের প্রধান দায়িত্ব বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখা ও কৃষকদের পাশে থাকা। যেহেতু আমন মৌসুমের বীজ বপনের সময় প্রায় শেষের দিকে এবং বন্যাকবলিত এলাকাসমূহে এই মুহূর্তে বীজ বপন সম্ভব নয়। এজন্যই লেইট আমন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পাশাপাশি কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখবে। আমি একজন ভবিষ্যৎ কৃষিবিদ হিসেবে আমার দায়িত্ববোধ ও মানবিকতা থেকে সহায়সম্বলহীন কৃষকের পাশে দাড়াতেই এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।
নেত্রকোনার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান বলেন, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে আমরা চারাগুলো বিতরণ করব। আশা করছি আমরা প্রায় এক হাজার কৃষককে চারা বিতরণের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারব। প্রতি কৃষককে আমরা প্রায় এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করার জন্য চারা বিতরণ করব।
মুখলেছুর রহমান আরও বলেন, বাকৃবির শিক্ষক ও গবেষক এবং বিভিন্ন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বিনা ১৭ এবং হাইব্রিড জাত ধানী গোল্ডের চারা তৈরি করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন্। কৃষকরা এই বীজের চারাগুলো বপন করলে শতভাগ ফলন না পেলেও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ফলন পাবে বলে আমরা আশাবাদী। যেমন বিনা ১৭ জাতটি মাত্র ১২০ দিনের মধ্যে ফলন দেয় এবং এটি গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীতকাল যেকোনো সময় ফলন দিতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রথম নারী পরিচালক পেল বাকৃবির আইকিউএসি
৩ মাস আগে
শেরপুরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বজ্রপাতে সোহেল রানা (৫২) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার কোন্নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল রানা ওই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে মাঠে ধানখেতে কাজ করার সময় বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুপুর আড়াইটার দিকে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান সোহেল রানা।
পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
মরিচপুরান ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিহারে বজ্রপাতে ১৯ জনের মৃত্যু
৪ মাস আগে
কৃষকের কিডনি চুরি, দুই চিকিৎসকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে কিডনি চুরির অভিযোগে ডা. রবিউল হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মো. আবু বক্কর নামে এক কৃষক।
রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম এবং তাদের ছেলে ডা. রাজিব হোসেন।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
আসামিরা মীরসরাই উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও নগরীর খুলশী থানার চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বসবাস করেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে এক কৃষকের কিডনি চুরির অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী মো. আবু বক্কর গ্রামে কৃষিকাজ ও পশু লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ডা. রাজিব হোসেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ২০১২ সালে চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বাসায় নিয়ে গিয়ে ডা. রবিউলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিঙ্গাপুরে ডা. রবিউলের চিকিৎসা করার জন্য তাদের একজন অ্যাটেন্ডেন্ট প্রয়োজন বলে জানান আবু বক্করকে। ২০১২ সালে ১০ মার্চ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম, ডা. রাজীব হোসেনসহ তিনি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ডা. রবিউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডা. রাজিব হোসেনের চিকিৎসার জন্য আবু বক্করকে টিস্যু দেওয়ার অনুরোধ করেন ডা. রাজিব। একই বছরের ৩ এপ্রিল বক্করের অপারেশন সম্পন্ন করে ৯ এপ্রিল বক্করকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
১৫ এপ্রিল বক্করকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে আসামিদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে চাকরি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফিজিক্যাল আনফিট দেখিয়ে বক্করকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এরপর থেকে বক্করের শারীরিক সমস্যা হলে ২০২৪ সালের ২১ মে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করান। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তাকে চিকিৎসক জানান, তার ডান কিডনি নেই। সার্জারির মাধ্যমে তার ডান কিডনি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এরপর আসামিদের বিষয়টি বললে, তারা কাউকে বিষয়টি না জানাতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা শিপইয়ার্ডের সাবেক এমডিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শাহবাগ থানায় কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা
৫ মাস আগে