কৃষক
বাকৃবিতে কৃষকদের বিনামূল্যে টমেটোর চারা ও গাজরের বীজ বিতরণ
বাকৃবিতে ৩৫ জন কৃষককে দেশি ও বিদেশি জাতের টমেটোর ৩ হাজার চারা ও জনপ্রতি ১০০ গ্রাম গাজরের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বাকৃবির উদ্যানতত্ত্ব খামারে বাকৃবি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের উদ্যোগে বীজ ও চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, ইন্ডিয়ান ও দেশি জাতসহ মোট ৪০টি জাতের গাজরের জার্মপ্লাজমের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বীজগুলো থেকে প্রচলিত রঙের বাইরে লাল, বেগুনি, হলুদ ও সাদা গাজর পাওয়া যাবে।
এছাড়া যুক্তরাজ্য, ভারতীয়, ইতালীয়, দেশি ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রায় ২০ জাতের টমেটোর জার্মপ্লাজমের চারা বিতরণ করা হয়। এতে করে লাল ও কালো রঙয়ের টমেটো পাওয়া যাবে।
এছাড়া উপস্থিত কৃষকদের বিতরণ করা বীজ ও চারা থেকে গাজর ও টমেটো উৎপাদন পদ্ধতি ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু বাকৃবি প্রশাসনের
এসময় গাজর ও টমেটো গবেষণার প্রজেক্ট ইনভেস্টিগেটর ও বাকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রতিকূল পরিবেশ, বিশেষ করে খরা বর্তমানে বাংলাদেশের একটি উদীয়মান হুমকি। যা গাজর ও টমেটোর উৎপাদনশীলতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। বর্তমান বাজারে গাজর ও টমেটোর চাহিদা বৃদ্ধির তুলনায় কম প্রাপ্যতার কারণে দৈনন্দিন খাবারের পুষ্টিমানে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি’র ঘাটতি থেকে যায়। সুতরাং, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য প্রতিকূল পরিবেশে পুষ্টিসমৃদ্ধ রঙিন গাজর ও টমেটোর উন্নয়ন ও প্রসারণই এই প্রকল্পের সামগ্রিক লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, প্রায় সাড়ে ৩ কেজি গাজরের বীজ দেওয়া হয়েছে যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তবে কৃষকদের দেওয়া বীজ থেকেই তারা পরবর্তীতে আবারও বীজ উৎপাদন করতে পারবে।
তিনি বলেন, এটি তাদের অর্থনৈতিক লাভ নিশ্চিত করবে। কৃষকদের বর্তমান পুষ্টিগত তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। যাতে ফসল উৎপাদনের পর সেটি গ্রহণে তাদের শরীরের পুষ্টিগত পার্থক্যও পরিমাপ করা যায়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম হাম্মাদুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।
এসময় তিনি বলেন, এই দুটি রঙিন সবজির বাজার মূল্য ও চাহিদা অত্যন্ত বেশি। এদের চমৎকার পুস্টিগুণ। কৃষকদের এই সবজি দুইটি থেকে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ব্যাংকিং চ্যানেলগুলোকে আরও অধিকতর সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
শেষ মোড় এলাকার কৃষক আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বিনামূল্যে উন্নত জাতের গাজর ও টমেটোর বীজ ও চারা পেয়ে ভালো লাগছে। স্যারেরা চাষাবাদ সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আশা করি বিভিন্ন রঙয়ের ফলন পেলে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারব।
সুপারিবাগান এলাকার কৃষাণী ছালমা আক্তার বলেন, গাজর যে এত রঙয়ের হয় সেটি জানা ছিলো না। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন রঙয়ের গাজরের ও টমেটোর নানান ধরনের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। আমি নিজে এগুলোর চাষাবাদ করব ও পাশাপাশি অন্যদেরকে উৎসাহিত করব।
বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো গোলাম রাব্বানী। এছাড়াও বাকৃবির স্মার্ট এগ্রিকালচারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো সহিদুজ্জামান এবং স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংকের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: গবাদিপশুর ব্রুসেলোসিস রোগের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবির গবেষক দলের
৩ সপ্তাহ আগে
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বজ্রপাতে সাকের আলী (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে পুটিমারী গ্রামের গাংনী বিলের মাঠে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু
সাকের আলী উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, কৃষি কাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন সাকের আলী। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে ঘটনাস্থলেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তার। সাকের আলীর শরীরের বাম পাশ ও মুখমন্ডল পুড়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লিপন হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে একজন মারা গেছে বলে শুনেছি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে ২ জেলের মৃত্যু
১ মাস আগে
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে ধানের চারা দেবে বাকৃবি
বন্যা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে নাবী আমন ধানের চারা বিতরণের উদ্যোগে ‘লেইট আমন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এরই মধ্যে বাকৃবিতে দুই দিনে আড়াই একর জমিতে ৮০০ কেজি বীজ বপন করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ৭৬০ বিঘা জমির জন্য চারা তৈরি করছেন।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বীজ বপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, গত ২৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা মাঠের এক একর জমিতে ও ৩১ আগস্ট খামার ব্যবস্থাপনা শাখার দেড় একর জমিতে ধানের বীজ বপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় নষ্ট হয়েছে রোপা আমন ধানের চারা ও বীজতলা। বন্যার পানি নেমে গেলেও চারা তৈরি করতে অন্তত এক মাসের মতো সময় লাগবে। এতে আমন ধান লাগানোর সময় পার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার তৈরি করতে না পারলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। দেশের খাদ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধানের চারা দিয়ে সহায়তা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাকৃবির সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ১ সেপ্টেম্বর
তিনি যোগ করেন, চারার দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি উপকরণ, সার, কীটনাশক বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা আমরা তৈরি করছি। তালিকা অনুযায়ী তাদের সাহায্য করা হবে। এছাড়া পরবর্তীতে কৃষকদের মাঝে শাক-সবজির বীজ বিতরণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে সফল করতে বাকৃবি এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বীজ কোম্পানি ও কৃষি উদ্যোক্তারা একত্র হয়ে ‘অ্যাগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডি’ গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানা যায়।
লেট আমন প্রকল্পে বাকৃবিতে ৫ একর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক একর, চট্টগ্রামের হাট হাজারীতে ৪ একর ও লক্ষীপুরে ২ একরসহ মোট ১২ একর জমিতে বীজ বপন করে এক হাজার কৃষককে বিনামূল্যে চারা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১২ একর জমিতে উৎপাদিত চারা দিয়ে সর্বনিম্ন ৭৬০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করা যাবে।
১৮ থেকে ২০ দিন পর ধানের চারা গজাবে বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা।
এরপর শিক্ষার্থীরা বন্যাকবলিত এলাকার কৃষকদের কাছে বিনামূল্যে সেইসব চারা পৌঁছে দেবেন।
এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডি সংগঠনটির সূত্রে জানা যায়, বায়ার বাংলাদেশ ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সমমূল্যের ৫০০ কেজি ধানী গোল্ড হাইব্রিড জাতের বীজ ও বাকৃবির ৯৬-৯৭ সেশনের শিক্ষার্থীদের সংগঠন কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটির পক্ষ থেকে লেট আমন প্রকল্পে ২ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গবাদিপশুর জন্য ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
এছাড়া প্রকল্প সফল করতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ময়মনসিংহ শাখা এক টন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) চাঁপাইনবাবাগঞ্জ শাখা থেকে ১৫০ কেজি বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
শিক্ষার্থী বকুল আলী বলেন, কৃষির সঙ্গে, বাকৃবির ৫ একর, নোবিপ্রবিতে এক একর, চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ৪ একর ও লক্ষীপুরে ২ একরসহ মোট ১২ একর জমিতে নাবি আমন ধানের চারা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা। উৎপাদিত চারাগুলো বন্যাকবলিত কৃষকদের বিতরণ করব। যারা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে ও শ্রম দিয়ে সাহায্য করেছেন তাদের এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রকল্পে কাজ করা আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুল ইসলাম জ্যোতি বলেন, একজন কৃষিবিদের প্রধান দায়িত্ব বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখা ও কৃষকদের পাশে থাকা। যেহেতু আমন মৌসুমের বীজ বপনের সময় প্রায় শেষের দিকে এবং বন্যাকবলিত এলাকাসমূহে এই মুহূর্তে বীজ বপন সম্ভব নয়। এজন্যই লেইট আমন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পাশাপাশি কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখবে। আমি একজন ভবিষ্যৎ কৃষিবিদ হিসেবে আমার দায়িত্ববোধ ও মানবিকতা থেকে সহায়সম্বলহীন কৃষকের পাশে দাড়াতেই এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।
নেত্রকোনার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান বলেন, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে আমরা চারাগুলো বিতরণ করব। আশা করছি আমরা প্রায় এক হাজার কৃষককে চারা বিতরণের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারব। প্রতি কৃষককে আমরা প্রায় এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করার জন্য চারা বিতরণ করব।
মুখলেছুর রহমান আরও বলেন, বাকৃবির শিক্ষক ও গবেষক এবং বিভিন্ন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বিনা ১৭ এবং হাইব্রিড জাত ধানী গোল্ডের চারা তৈরি করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন্। কৃষকরা এই বীজের চারাগুলো বপন করলে শতভাগ ফলন না পেলেও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ফলন পাবে বলে আমরা আশাবাদী। যেমন বিনা ১৭ জাতটি মাত্র ১২০ দিনের মধ্যে ফলন দেয় এবং এটি গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীতকাল যেকোনো সময় ফলন দিতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রথম নারী পরিচালক পেল বাকৃবির আইকিউএসি
২ মাস আগে
শেরপুরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বজ্রপাতে সোহেল রানা (৫২) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার কোন্নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল রানা ওই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে মাঠে ধানখেতে কাজ করার সময় বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুপুর আড়াইটার দিকে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান সোহেল রানা।
পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
মরিচপুরান ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিহারে বজ্রপাতে ১৯ জনের মৃত্যু
৩ মাস আগে
কৃষকের কিডনি চুরি, দুই চিকিৎসকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে কিডনি চুরির অভিযোগে ডা. রবিউল হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মো. আবু বক্কর নামে এক কৃষক।
রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম এবং তাদের ছেলে ডা. রাজিব হোসেন।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
আসামিরা মীরসরাই উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও নগরীর খুলশী থানার চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বসবাস করেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে এক কৃষকের কিডনি চুরির অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী মো. আবু বক্কর গ্রামে কৃষিকাজ ও পশু লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ডা. রাজিব হোসেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ২০১২ সালে চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বাসায় নিয়ে গিয়ে ডা. রবিউলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিঙ্গাপুরে ডা. রবিউলের চিকিৎসা করার জন্য তাদের একজন অ্যাটেন্ডেন্ট প্রয়োজন বলে জানান আবু বক্করকে। ২০১২ সালে ১০ মার্চ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম, ডা. রাজীব হোসেনসহ তিনি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ডা. রবিউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডা. রাজিব হোসেনের চিকিৎসার জন্য আবু বক্করকে টিস্যু দেওয়ার অনুরোধ করেন ডা. রাজিব। একই বছরের ৩ এপ্রিল বক্করের অপারেশন সম্পন্ন করে ৯ এপ্রিল বক্করকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
১৫ এপ্রিল বক্করকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে আসামিদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে চাকরি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফিজিক্যাল আনফিট দেখিয়ে বক্করকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এরপর থেকে বক্করের শারীরিক সমস্যা হলে ২০২৪ সালের ২১ মে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করান। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তাকে চিকিৎসক জানান, তার ডান কিডনি নেই। সার্জারির মাধ্যমে তার ডান কিডনি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এরপর আসামিদের বিষয়টি বললে, তারা কাউকে বিষয়টি না জানাতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা শিপইয়ার্ডের সাবেক এমডিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শাহবাগ থানায় কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা
৪ মাস আগে
‘কৃষকের সামাজিক সুনাম ও সম্মান বাড়ানোর জন্যই এআইপি সম্মাননা’
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের কৃষকের জীবনমানের উন্নয়ন করছে, একইসঙ্গে কৃষকের সম্মানও বাড়েছে। দেশের কৃষকের কল্যাণ ও কৃষির উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘কৃষকের সামাজিক সুনাম ও সম্মান বাড়ানোর জন্যই এআইপি সম্মাননা। এআইপি সম্মাননা প্রদান তাদের কৃষিকাজে আরও উৎসাহিত করবে। কৃষির চলমান অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে।’
আরও পড়ুন: ডিমের মজুতের বিষয়টি তদারকি করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে কৃষিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি)’- ২০২১ সম্মাননা দেন।
‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি)’- ২০২১ সম্মাননা পেয়েছেন ২২জন।
এআইপিপ্রাপ্ত গুণী ব্যক্তিদের ‘ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ’ উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এমন ত্যাগী ব্যক্তিদের অবদানে আমাদের কৃষি এগিয়ে চলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক নানা সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত বাজেট বরাদ্দে যত সমস্যাই থাকুক না কেন, সবসময়ই প্রধানমন্ত্রী কৃষিতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। কৃষিকে সামনে এগিয়ে নিতে তিনি সবসময় বাজেটে কৃষিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, বিশাল পরিমাণ ভর্তুকিও দিয়ে যাচ্ছেন।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
সভাপতিত্ব করেন, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বাড়াতে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
যান্ত্রিকীকরণের কারণে খুব কম সময়ে সারা দেশের ধানকাটা সম্ভব হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
৪ মাস আগে
লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাহাবুব রহমান নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের কেতকীবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পল্লি চিকিৎসকের মৃত্যু
মাহাবুর রহমান ওই গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মাহাবুর বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করার সময় একটি তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাতিবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নকলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
জাম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওষুধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
৪ মাস আগে
সাপের কামড় খেয়ে সাপ নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
রাজশাহীর চারঘাটে কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ের শিকার হন হেফজুল ইসলাম নামে এক কৃষক।
তবে তিনি ঘাবড়ে না গিয়ে উল্টো সাপটিকে মেরে বস্তাবন্দি করে চিকিৎসা নিতে ছুটে যান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমে সাপের কামড়ের হার বৃদ্ধি পায়
শুক্রবার (৩১ মে) সকালে উপজেলার পিরোজপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হেফজুল ইসলাম বলেন, অন্য কৃষকের সঙ্গে সকালে জমিতে ধান কাটছিলাম আমি। একপর্যায়ে কৃষকেরা জমিতে সাপ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এসময় আমি সাপটিকে ধরতে গেলে আমার মুখে কামড় দেয়। পরে আমি সাপটিকে মেরে বস্তাবন্দি করে হাসপাতালে চিকিৎসকের সামনে হাজির হই। এরপর তারা আমার চিকিৎসা শুরু করেন।
অন্যদিকে সাপের কামড়ে আহত হেফজুলকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রামেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ফাহিমা সুলতানা বলেন, সাপের কামড়ে আহত হেফজুল বিপদমুক্ত নয়। তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরামপুর থেকে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ
যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
৫ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় কৃষকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) নামে এক কৃষককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১ জুন) সকালে জেলার সদর উপজেলার যুগিরহুদা গ্রামের মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই একই উপজেলার সুবদিয়ায় গ্রামের মৃত বেছের আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন, পাশাপাশি গ্রামে কবিরাজি করতেন।
আব্দুর রাজ্জাক শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় রূপসা নদীতে নিখোঁজ মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে যুগিরহুদা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের মাঠে আব্দুর রাজ্জাকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় কৃষকরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ধলাই নদীতে নিখোঁজের ৪ দিন যুবকের লাশ উদ্ধার
৫ মাস আগে
ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নের চর খাজুরা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শরিফুল ইসলাম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শরিফুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত গোলাম নবী লস্করের ছেলে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কৃষক শরিফুলের বাড়ির বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায়। সকালে বাড়িতে কাজ করতে গেলে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ভেঙে পড়া গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু
৫ মাস আগে