তথ্যসচিব
তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হয়নি: বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো তথ্যসচিব
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের পদ থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো মো. মকবুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি কখনও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেননি।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও আমার নৈতিকতার সঙ্গে আপস করিনি এবং আমি এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত নই।
তাকে সম্প্রতি অবসরে পাঠানোর একদিন পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে রবিবার (১৬ অক্টোবর) একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: সচিবের অবসর: কারণ জানেন না তথ্যমন্ত্রী
এদিকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গতকাল গেজেট প্রজ্ঞাপন দেখেছি। কিন্তু এ বিষয়ে আমার কোনও ধারণা নেই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর ব্যাখ্যা দিতে পারে।’
নিজ কার্যালয়ে টেলিভিশন শিল্পী, পরিচালক ও প্রযোজকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন হাসান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে এবং সরকার যে কোনও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তা সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে।’
রবিবার জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে মকবুলকে ‘জনস্বার্থে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ধারা ৪৫ অনুসারে’ সরকারি চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে।
মকবুল ২০২১ সালের ৩১ মে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদানের আগে তিনি জয়েন্ট ক্যাপিটাল কোম্পানি ও খামার অধিদপ্তরে একজন রেজিস্ট্রার ছিলেন। তিনি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সদ্য সাবেক সচিব মো. মকবুল হোসেন ১৯৯১ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের দশম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির চট্টগ্রামের সমাবেশের চেয়ে জব্বারের বলি খেলায় বেশি ভিড় হয়: তথ্যমন্ত্রী
গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ প্রমাণ করে কমিশনের সিদ্ধান্ত সবার ঊর্ধ্বে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
মৌলবাদীগোষ্ঠীর অপচেষ্টা রুখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
মৌলবাদী অপশক্তিগুলো দেশকে পিছিয়ে দেবার যে অপচেষ্টায় লিপ্ত, তা রুখে দিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
৪ বছর আগে