পর্যটন স্পট
বসন্ত উৎসবে বর্ণিল সাজে চট্টগ্রাম
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বসন্ত বরণে বর্ণিল উৎসব চলছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পর্যটন স্পটগুলোতে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে প্রাণের মেলা বসেছে।
নগরীর সিআরবি শিরষতলা, শিল্পকলা একাডেমি ও চারুকলা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে নানা অনুষ্ঠান চলছে দিনভর। ফুলে ফুলে বসন্ত উৎসবের আয়োজনে আছে সুস্থ সাংস্কৃতিক আয়োজন। বিভিন্ন সংগঠন পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে তরুণ তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ যোগ দিয়েছেন।
মেয়েরা খোঁপায় গাঁদা-পলাশসহ নানা রকম ফুলের মালা গুঁজে বাসন্তী রঙের শাড়ি আর ছেলেরা পাঞ্জাবি-পায়জামা ও ফতুয়ায় শাশ্বত সাজে পহেলা ফাল্গুনে উৎসবের হাওয়ায় যোগ দিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড়। অনুষ্ঠান চলবে বিকাল পর্যন্ত।
ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন, পহেলা ফাল্গুন। করোনা ভীতি আর নিষ্প্রাণ প্রায় এই কংক্রিটের নগরী তারুণ্যের প্রাণের উচ্ছাস আর ভালোবাসায় মুখর হয়ে উঠেছে।
নগরীর চেরাগী পাহাড় ও মোমিন রোডের ফুলের দোকানগুলোতে ক্রেতার ভিড় লেগেছে। সকাল থেকে সেখানে মানুষের ভিড় আরও বাড়ছে, আর তাই হরেক ফুলের সম্ভার প্রতিটি দোকানে। দোকানিদের আশা এবার কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে। তবে অন্য বারের মতো এবার জমজমাট ব্যবসা নেই।
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের সঙ্গে প্রকৃতিতে লেগেছে তার ছোঁয়া। ন্যাড়া গাছগুলোতে আসতে শুরু করেছে নতুন পাতা। শিমুল আর পলাশ গাছে ফুটেছে আগুন রঙের রঙিন ফুল। হালকা শীতে মৃদু বাতাসে ঘুরে বেড়ানোর অন্যরকম পরিবেশ। বসন্তের প্রথম দিনে নগরীর পর্যটন স্পটগুলোতে উপচে পড়া মানুষের ভিড়ে তৈরি করেছে এক ভিন্ন আবেশ।
পর্যটন স্পটে মাস্ক না পরায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে মানুষ মাস্ক না পরায় করোনা (নতুন ধরণ ওমিক্রন) সংক্রমণ বাড়ার আশংকা রয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ মাস্ক না পরেই ভিড় করছেন, রাজনৈতিক সমাবেশেও মাস্ক পড়ছে না মানুষ। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ সহায়ক হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন,করোনা টিকার বুস্টার ডোজ সবাইকে দিতে সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করা হচ্ছে। এখন সীমিত আকারে দেয়া হচ্ছে ফ্রন্টলাইনারদেরকে। টিকা গ্রহণের কার্ড নিয়ে ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনাররা টিকা দিতে পারবেন। এ মাসের শেষের দিকে অ্যাপস এর মাধ্যমে তা শুরু হবে আগেরগুলোর মত। এখন তা নিয়ে কাজ করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়।তিনি বলেন,দেশে এখনও ওমিক্রন ছড়ায়নি।ওমিক্রন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সারাদেশের মানুষ যাতে আগের মত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এজন্য জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।এ পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ সাত কোটি ও দ্বিতীয় ডোজ সাড়ে চার কোটি মানুষকে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ৬০ শতাংশ মানুষকে। ৩৫ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এখন কোনো লকডাউন দেয়া হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকা একটা বড় কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশ কোভিড নিয়ন্ত্রণে সফলতার উদাহরণ হয়েছে। এখন যে সংক্রমণ কমে গেছে এটা ধরে রাখতে হবে। সব হাসপাতালে এখন অক্সিজেন সাপোর্ট আছে।জাহিদ মালেক আরও বলেন, মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হবে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার-নার্স নেবে তারা।
সব পর্যটন স্পট ২ সপ্তাহ বন্ধের ঘোষণা সিলেটে
সিলেটের সকল পর্যটন স্পট আগামী দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে করোনার সংক্রমণ রোধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সিলেট রিজিওনের সব হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও পর্যটন স্পট আগামী দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। করোনার সংক্রমণ রোধে সকলকে মাক্স পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসচাপায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশের সকল পর্যটন স্পট ও বিনোদন কেন্দ্র দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ সিলেটের সকল পর্যটন স্পট বন্ধের ঘোষণা দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। ছয় মাস পর গত ৯ সেপ্টেম্বর ২৫ শর্তে এসব পর্যটন স্পট ও রিসোর্ট সেন্টার খোলার অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু, কোনো পর্যটন কেন্দ্রই এসব নির্দেশনা পালন করেনি। এ অবস্থায় ফের সিলেটের পর্যটন স্পটসমূহ বন্ধের ঘোষণা এলো।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘কোয়ারেন্টাইন’ ভঙ্গ করায় ২ প্রবাসীকে ৭ দিনের কারাদণ্ড
করোনা পরিস্থিতি
বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩৫৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৫৮ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা দেশে করোনা শনাক্তের পর একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৪২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৪টি পরীক্ষাগারে ২৬ হাজার ৬৭১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৬ হাজার ৯৩১টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯.৯০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১৮.৯৪ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ২১৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমকি ৭৩ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
হিমছড়ি পাহাড়ের সিঁড়ি থেকে পড়ে শিশু পর্যটকের মৃত্যু
কক্সবাজারের পর্যটন স্পট হিমছড়ির পাহাড়ে উঠতে গিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে শুক্রবার এক শিশু পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।