মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুজনকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ৫ ও র্যাব-১০।
র্যাব -৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. বাইতুল হোসেন সুজন (৩৮) জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেবীপুর- মন্ডলপুর মহল্লার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালে ২৮ জুন জয়পুরহাট পৌর এলাকার প্রামাণিক পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেনকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মৃত মোয়াজ্জেমের বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জের হত্যা মামলার ২ আসামি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৩১ জানুয়ারি জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন অভিযুক্ত ১১ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সুজনসহ ৬ জন আসামি পলাতক ছিলেন।
মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজর বৃদ্ধি করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের যৌথ দল।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার রাতে সুজনকে জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় ২ কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ১৬, অস্ত্র-ককটেল জব্দ
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার লক্ষ্মীবরদী এলাকার মৃত ফাজিল উদ্দিনের ছেলে জহিরুল হক ভূঁইয়া (৭০)।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
গত রাতে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়ে জহিরুল হক ভূঁইয়া। এসময় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন জহিরুল হক ভূঁইয়া মারা যান।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে আনা হয়েছিল জহিরুল হক ভুঁইয়াকে। হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল, শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
আড়াইহাজার থানার একটি মামলায় তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে মা ও মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলায় বেলাল হোসেন (২৭) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আলাদত।
এই মামলায় অপর আসামি টিটু সাহাকে (৪৬) তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ষষ্ঠ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বেলাল হোসেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোরবানপুর গ্রামের মন মিয়ার ছেলে এবং টিটু সাহা একই উপজেলার বাখরাবাদ গ্রামের রঞ্জিত মাস্টারের বাড়ির নেপাল সাহার ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২ জনকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু জানান, এ মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৭ মে চট্টগ্রাম সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার নিজ বাসায় খুন হন নাছিমা বেগম (৩৭) ও তার মেয়ে রিয়া আক্তার ফাল্গুনী (১০)। হত্যাকারীরা ঘর থেকে ১ লাখ ১১ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শাহ আলম বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে শনিবার ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
গ্রেপ্তার খান রোকনুজ্জামান (৭২) সাতক্ষীরার সদর উপজেলার মহব্বত আলী খানের ছেলে।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২২ সালের ২৪ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রোকনুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরের লালপুর থেকে মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ফসিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যশোর র্যাবকে সঙ্গে নিয়ে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের সরদারপাড়া পানঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছদ্মবেশে থাকা ফসিয়ারকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ফসিয়ার রহমানের বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া থানার ছোট খুদরি গ্রামে।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার সঞ্জয় কুমার সরকার জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যশোরের বাঘাপাড়া এলাকায় খুন,অপহরণ,নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় চলতি বছরের ২৫ জুন রাজাকার ফসিয়ার রহমানসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এরপর থেকে পলাতক ছিলো ফসিয়ার।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে র্যাব-৬এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল আবেদন খারিজ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় আসামির ফাঁসির রায় স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
এরফলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে এখন কোনো বাধা নেই।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ, অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্তদের একজনঅধ্যাপক তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী।
গত ৩ মে রিভিউ আবেদন খারিজ করে পূর্ণাঙ্গ লিখিত রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এরআগে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ এই মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
চলতি বছরের ২ মার্চ অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ তিনজনের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন হলেন- তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমের আত্মীয় নাজমুল আলম ও আবদুস সালাম।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক ড. তাহের খুন: ২ আসামির ফাঁসি স্থগিত চেয়ে রিট
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর অধ্যাপক তাহেরের লাশ তার বাড়ির পাশের একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদের অভিযোগে রাজশাহীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং রাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহীসহ দুইজনকে খালাস দেয়।
পরে ২০১৩ সালের ১৩ মে হাইকোর্ট মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও সালাম ও নাজমুলকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। আদেশের পর মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর ও সালাম সুপ্রিম কোর্টে যান।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ, দানকর দিতে হবে ১২ কোটি টাকা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপের সম্পদের খোঁজে ৭ দেশে দুদকের চিঠি
টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ কুমার দাশের সম্পদের খোঁজে সাতটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের যেসব দেশে চিঠি পাঠিয়েছে- কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত।
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৯ সালে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকিকে সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে চুমকির জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকিকে দুদকের মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট
নুরুল ইসলাম বলেন, দেশের বাইরে ওসি প্রদীপের কোনো সম্পদ আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে সাতটি দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৭ জুলাই দুদকের দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকিকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে প্রদীপের ঘুষের টাকায় চুমকির নামে নেওয়া কোটি টাকার বাড়ি, গাড়ি ও ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজার জেলার টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ হত্যা মামলায় প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এ রায় দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুনানি ২০ জুন
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানাকে (৮৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
অপরদিকে র্যাব-৩ ঢাকা এর এএসপি মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের দিক নির্দেশনায় র্যাব-৩ এর সিনিয়র এএসপি অভিজিত দাসকে নিয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদারীপুরের একটি কওমী মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
নেত্রকোণার পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মামলার বরাত দিয়ে জানান, মজিদ মাওলানাসহ পূর্বধলা উপজেলার সাত আসামি ১৯৭১ সালের দুপুর ১টায় রাজাকার বাহিনী নিয়ে বাড়হা গ্রামের আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যা করে তার মৃতদেহ কংস নদীতে ভাসিয়ে দেয়। ২০১৩ সালে তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলা করেন শহীদ আব্দুল খালেকের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের। ওই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ছিলেন আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানা।
একাত্তরে মজিদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, নির্যাতন, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ ছিল। মজিদ মাওলানা মুক্তিযুদ্ধের সময় নেজামে ইসলামীর নেতা হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামিকে ঢাকার দক্ষিণখান ও সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেছুর রহমান মুকুল।
র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের এএসপি ইমরান খান জানান, সোমবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আজ দুপুরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাভারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
আদালত থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঢাকার একটি আদালতের লক-আপ থেকে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যেক ব্যক্তির তথ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়ার এআইজি মো. মনজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে সহায়তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর-রশিদ জানান, পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
আরও পড়ুন : আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে
হারুন বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই পুলিশ সদস্যের চোখে কিছু স্প্রে করে এবং তাদের আদালতে নেয়ার সময় পালিয়ে যায়। আমরা কাছাকাছি এলাকায় তাদের খোঁজ করছি। দেশে এমন ঘটনা এই প্রথম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাহধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন শাহবাগ থানায় মামলা হয় এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর এ মামলায় আনসার-আল-ইসলামের আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
এরপর ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামি হলেন- মো. আবদুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খায়রুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন ওরফে শাহরিয়ার, মো. শেখ আবদুল্লাহ আলী জুয়াস আলী। জাভেদ, সৈয়দ জিয়াউল হক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন বরখাস্ত মেজর যিনি সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড়ভাই এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ নামে পরিচিত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাঈদ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন হত্যার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গুলিতে নারী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত