মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
কাশিমপুর কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামির পালানোর চেষ্টা
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি দেয়াল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেছেন। এজন্য তারা বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে দেয়াল খুঁড়ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে বন্দিদের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে উপকরণগুলো জব্দ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
পরে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার(৭ আগস্ট) রাতে কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করা আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর থানার চৌবাড়িয়া এলাকার শাহাদাত হোসেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার মাঝিনা এলাকার রনি মহন্ত ও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম মজনু। তারা সবাই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারী প্রধানরক্ষী মোখলেছুর রহমান। এসময় তিনি কারা কমপ্লেক্সের তমাল ভবনের নিচতলায় ১২ নং কক্ষ হতে দেয়ালে আঘাতের শব্দ শুনতে পান। পরের দিন ৬ আগস্ট সকালে ওই রুমে তল্লাশি করা হয়। পরে সেখান থেকে ১টি লোহার পাত, ২ টুকরা রড, কম্বল কেটে বানানো ২৮ ফুট লম্বা ১টি রশি, কম্বল দিয়ে তৈরি ২৫ ফুট লম্বা ১টি বেল্ট, লোহার তৈরি ২টি আংটা, ১০ ফুট লম্বা ১টি খুটিসহ বিভিন্ন উপরকরণ জব্দ করা হয়েছে।
পড়ুন: পাপুয়া নিউ গিনিতে জেল ভেঙে পালানোর সময় গুলিতে ১১ বন্দী নিহত
এ বিষয়ে বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, জেল হতে পলায়নের জন্য প্রস্তুতির সহায়ক উপরকরণ হিসেবে উদ্ধারকৃত মালামাল তাদের সংগ্রহে রেখেছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা জেল হতে পলায়ন করতো অথবা পলায়নের সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন জানান, হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার এ বিষয়ে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১১৯ দিন আগে
এটিএম আজহারের রিভিউ শুনানি ২৫ ফেব্রুয়ারি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামানের রিভিউ আবেদনের শুনানির কথা উল্লেখ করার পর জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: আজহারের মুক্তি দাবি: কারাবরণের ঘোষণা জামায়াত আমিরের
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ২০ ফেব্রুয়ারি পুনঃ শুনানির দিন ধার্য করেন। ওই দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু আদালতের কর্মঘণ্টা শুনানি ও আগের মামলাগুলো নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যাওয়ায় ওই দিন আবেদনের শুনানি হয়নি।
আবার আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে 'মানবতাবিরোধী অপরাধের' ৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার ২৫৬ জনকে হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ ও ১৩ জন নারীকে ধর্ষণের 'নেতৃত্বে' ছিলেন তিনি।
এ ছাড়া তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। শত শত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করেছেন এবং অন্যান্য নৃশংসতা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৯টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আজহারুল।
আরও পড়ুন: আজহারের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে মিছিল-সমাবেশ
পরে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আজহারুল ইসলাম আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদন করেন।
আপিল শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হলে এটিএম আজহার রিভিউ আবেদন দাখিল করেন।
২৮৫ দিন আগে
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ জন খালাস
চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয় আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে এ মামলায় ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) প্রধান পরেশ বড়ুয়ার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিমকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সিলেটে চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) জেটিতে ১০ ট্রাক অস্ত্র জব্দ করার পর ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় পরদিন কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইনে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। আর বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেকটি মামলায় ৫২ জন আসামি করা হয়।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অস্ত্র মামলায় দুই ধারায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়া, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিমসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালান সংক্রান্ত অভিযোগগুলো আনা হয়েছিল।
এদের মধ্যে ২০১৬ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন ৮ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন বাবর
৩৫২ দিন আগে
বগুড়া কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদির পালানোর ঘটনায় ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
বগুড়া জেলা কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ৩ জন কারারক্ষীকে ঘটনার দিন সাময়িক বরখাস্ত এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শুনেছেন। এটি তার বিষয় নয়। বিষয়টি কারা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি রাতেই গ্রেপ্তার
এ ব্যাপারে জেল সুপার মনির হোসেনের সঙ্গে যেগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জেলা কারাগারের জাফলং কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যান ৪ আসামি। পরে তাদেরকে চেলোপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
৫২৬ দিন আগে
নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: বিমানবন্দরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার(২ মে) মধ্যরাতে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে সাব্বির ওরফে আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের একটি দল র্যাব-১ এর সহযোগিতায় ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাব্বির আহমেদের সঙ্গে বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের এক কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর সাব্বির মেয়েটিকে কালাম মির্জাপুর গ্রামে নিয়ে যান। পরে মির্জাপুর ঈদগাহের কাছে বন্ধুদের নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
পরে মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৯০ হাজার দিরহামসহ যাত্রী আটক
এ ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
দীর্ঘ শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাব্বির আহমেদ, রেজাউল ওরফে রাব্বি, নাজমুল হক, রাজিবুল হাসান, রিপন ও শহিদুল।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মনিরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আতাউল ইসলাম ও রেজাউল করিম।
এরপর থেকে সাব্বিরসহ কয়েকজন আসামি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার আটক
৫৮১ দিন আগে
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুজনকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ৫ ও র্যাব-১০।
র্যাব -৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. বাইতুল হোসেন সুজন (৩৮) জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেবীপুর- মন্ডলপুর মহল্লার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালে ২৮ জুন জয়পুরহাট পৌর এলাকার প্রামাণিক পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেনকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মৃত মোয়াজ্জেমের বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জের হত্যা মামলার ২ আসামি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৩১ জানুয়ারি জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন অভিযুক্ত ১১ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সুজনসহ ৬ জন আসামি পলাতক ছিলেন।
মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজর বৃদ্ধি করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের যৌথ দল।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার রাতে সুজনকে জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় ২ কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ১৬, অস্ত্র-ককটেল জব্দ
৬৬৭ দিন আগে
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার লক্ষ্মীবরদী এলাকার মৃত ফাজিল উদ্দিনের ছেলে জহিরুল হক ভূঁইয়া (৭০)।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
গত রাতে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়ে জহিরুল হক ভূঁইয়া। এসময় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন জহিরুল হক ভূঁইয়া মারা যান।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে আনা হয়েছিল জহিরুল হক ভুঁইয়াকে। হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল, শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
আড়াইহাজার থানার একটি মামলায় তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
৭৩৫ দিন আগে
চট্টগ্রামে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে মা ও মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলায় বেলাল হোসেন (২৭) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আলাদত।
এই মামলায় অপর আসামি টিটু সাহাকে (৪৬) তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ষষ্ঠ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বেলাল হোসেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোরবানপুর গ্রামের মন মিয়ার ছেলে এবং টিটু সাহা একই উপজেলার বাখরাবাদ গ্রামের রঞ্জিত মাস্টারের বাড়ির নেপাল সাহার ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২ জনকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু জানান, এ মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৭ মে চট্টগ্রাম সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার নিজ বাসায় খুন হন নাছিমা বেগম (৩৭) ও তার মেয়ে রিয়া আক্তার ফাল্গুনী (১০)। হত্যাকারীরা ঘর থেকে ১ লাখ ১১ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শাহ আলম বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
৭৮৫ দিন আগে
সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে শনিবার ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
গ্রেপ্তার খান রোকনুজ্জামান (৭২) সাতক্ষীরার সদর উপজেলার মহব্বত আলী খানের ছেলে।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২২ সালের ২৪ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রোকনুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
৭৯৬ দিন আগে
নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরের লালপুর থেকে মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ফসিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যশোর র্যাবকে সঙ্গে নিয়ে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের সরদারপাড়া পানঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছদ্মবেশে থাকা ফসিয়ারকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ফসিয়ার রহমানের বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া থানার ছোট খুদরি গ্রামে।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার সঞ্জয় কুমার সরকার জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যশোরের বাঘাপাড়া এলাকায় খুন,অপহরণ,নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় চলতি বছরের ২৫ জুন রাজাকার ফসিয়ার রহমানসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এরপর থেকে পলাতক ছিলো ফসিয়ার।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে র্যাব-৬এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
৮৬৩ দিন আগে