আসামির যাবজ্জীবন
শিশু ধর্ষণ মামলার ৮ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলা হওয়ার ৮ বছর পর দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় শহিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর জ্যেষ্ঠ জেলা জজ মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহিদ মিয়া মেলান্দহ উপজেলার দিলালেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নাটোরে ডাকাতি, অস্ত্রসহ নওগাঁয় গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি মো. রেজাউল আমীন (শামীম) জানান, ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল শহিদ মিয়া ৭ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরদিন মেয়ের বাবা আছাদুল্লাহ বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। দীর্ঘ ৮ বছর পর ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্কের পর শহিদ মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। এরপর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
আসামি শহীদের বড় মেয়ে শাহানা বলেন, ‘বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
১ মাস আগে
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের লালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে রান্টু নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট লালপুর উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের শ্রমজীবী দম্পতির অনুপস্থিতিতে তাদের বাড়িতে ঢুকে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছিল প্রতিবেশি দিনমজুর রান্টু (৫৩)।
এ ঘটনায় মামলা হলে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিচারক বুধবার এ রায় দেন।
রায়ে আসামিকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সেই টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় থান কাপড় ব্যবসায়ী সেলিম হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই এলাকার ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী এবং তার কর্মচারী ফয়সাল।
এছাড়া এই মামলায় সোলেমান মিয়া ও আলী হোসেন নামে দুই আসামির অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতের নির্দেশে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার থান কাপড় ও ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করে একই এলাকার ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ও তার সহযোগীরা। পরবর্তীতে সেলিম পাওনা টাকা ফেরত চাইলে ২০১৯ সালে ৩১ মার্চ পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়।
এ ঘটনায় সেলিম নিখোঁজ হলে তার স্ত্রী রেহানা আক্তার রেখা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। নিখোঁজের আট দিন পর ৯ এপ্রিল পুলিশ মোহাম্মদ আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাটি খুঁড়ে সেলিমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। পরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলে তারা হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমিন আহমেদ বলেন, স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত এই রায় দিয়েছেন।
তবে আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানান নিহতের স্বজনরা।
২ বছর আগে
ফেনীতে হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ফকিরহাটে আমজাদ হোসেন বাবলু হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি মো. আবু ইউসুফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
৪ বছর আগে