এআই
কীভাবে বুঝবেন ছবিটি এআই দিয়ে বানানো কিনা
একজন দক্ষ চিত্রশিল্পী তার তুলির ছোঁয়ায় পটে আঁকা ছবিতে ফুটিয়ে তোলেন বাস্তব অভিব্যক্তি। তবে অত্যন্ত দক্ষ শিল্পীর আঁকা ছবিতেও তার রঙের উপাদানগুলোর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় ক্যানভাস জুড়ে। আর এটিই ব্যবধান গড়ে দেয় অঙ্কিত কোনও ছবির সঙ্গে বাস্তবতার। ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রেও ক্যামেরার মানের উপর ভিত্তি করে ধরা পড়ে কিছু সুক্ষ্মে পার্থক্য। কিন্তু এই সীমানাকে চমকপ্রদভাবে অতিক্রম করেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মানুষের তৈরি সফটওয়্যার এমনভাবে স্থিরচিত্র তৈরি করছে যা দেখে বোঝার উপায় নেই, যে এটি আসলে একটি কৃত্রিম ছবি। তবে খুব সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই এআইকেও তোলা যাবে সমালোচনার কাঠগড়ায়। চলুন, এআইয়ের তৈরি ছবি শনাক্ত করার কয়েকটি কৌশল জেনে নেওয়া যাক।
এআই দিয়ে বানানো ছবি চেনায় উপায়
ডিটেইলিং-এর সুক্ষ্ম বিশ্লেষণ
একটি ছবি তৈরিতে তার ডিটেইলিংয়ে যত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তার গুণগত মান তত বেশি হয়। সফটওয়্যার কেন্দ্রিক গ্রাফিক সামগ্রী সূক্ষ্ম হলেও সেগুলো কিন্তু অসঙ্গতিমুক্ত নয়। বরং অতিমাত্রায় ডিটেইলিংয়ের উপাদানগুলোর সংযোজনের কারণে ত্রুটিগুলো উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যেমন, ছবির বিষয়বস্তুর প্রান্তিক অংশ বা ধারগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে টেক্সচারগুলো অত্যধিক মসৃণ।
তাছাড়া মূল অংশের মাঝে এমন অদ্ভুত কিছু শৈলী ফুটে উঠে যা কখনোই বাস্তব ফটোগ্রাফির অন্তর্ভুক্ত নয়। বিশেষ করে চুল, লোম ও পাপড়িতে এই অতিরঞ্জিত বিষয়গুলো সাধারণত বেশি থাকে।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
মেটাডেটা পরীক্ষা
সত্যিকারের ছবিতে ক্যামেরা মডেল, লেন্সের ধরন, এক্সপোজার সেটিংস এবং জিপিএস স্থানাঙ্কসহ বিস্তারিত মেটাডেটা থাকে। অপরদিকে এআই ব্যবহার করে ডিজাইনকৃত চিত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই তথ্যাবলি অনুপস্থিত থাকে।
এখানে মেটাডেটা হিসেবে থাকে ছবিটি এডিট করা সফটওয়্যার, প্ল্যাটফর্ম বা ডিজাইন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত নির্দিষ্ট সরঞ্জামের তথ্য। সুস্পষ্টভাবে সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্মটির নামও উল্লেখ থাকতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোডের তথ্যসহ কোন ওয়েব ঠিকানায় ছবিটি সর্বপ্রথম ডিজাইন করা হয়েছিল তার বিস্তারিত লিপিবদ্ধ থাকতে পারে। এই ভিন্নতাগুলো ক্যামেরায় তোলা ছবির সঙ্গে কৃত্রিম ছবির পার্থক্য গড়ে দেয়।
এআই-এর অঙ্কন শৈলীর আঙ্গিকে পর্যবেক্ষণ
কম্পিউটার-প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট শিল্পকর্মগুলো প্রায় ক্ষেত্রে পরাবাস্তব উপাদান এবং আকর্ষণীয় রঙের কারসাজি থাকে। এটি এআইয়ের নিজস্ব অঙ্কন শৈলী, যা স্বাভাবিকভাবেই ফটোগ্রাফি থেকে আলাদা।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
এআই মূলত স্বতন্ত্রভাবে ছবির নানা ধরনের সূচকের মাত্রা নির্ধারণ করে। এই নির্ধারণীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কতগুলো নির্দেশনার আঙ্গিকে। ফলে সংখ্যাগত মানগুলো একদম সুনির্দিষ্ট হলেও সামগ্রিকভাবে ছবিটিতে বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্যতা থাকে না। যেমন কোথাও দেখা যেতে পারে নিতান্ত মসৃণ ধারায় ঝর্ণা পড়ছে অথবা দিনের আলোয় অস্বাভাবিক গাঢ় ছায়া। আর এই জন্যেই একরকম পরাবাস্তব দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।
রিভার্স ইমেজ সার্চ
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সরাসরি নির্দিষ্ট ছবি বা ছবির অংশ কেটে তা দিয়ে সার্চ করা যায়। এতে করে ব্যবহারকারীরা ছবির সম্ভাব্য উৎস বা ওয়েব ঠিকানাগুলো খুঁজে পান। সেই সঙ্গে ছবিটি সম্পর্কিত অন্যান্য ডিজিটাল শিল্পকর্মগুলোও সামনে চলে আসে। এর মাধ্যমে ছবিটি কোনও এআই ডাটাবেসের সঙ্গে লিঙ্ক করা আছে কিনা তা জানা যায়।
এছাড়াও এই অনুসন্ধানের ফলে ছবিটি অনলাইনে কতগুলো জায়গায় কতটা পরিবর্তন করে ব্যবহার করা হয়েছে তাও নজরে আসে। আর এই মূল্যায়নের মধ্য দিয়েই নিশ্চিত হওয়া যায় ছবিটির কৃত্রিমতার ব্যাপারে।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
ছবির বিষয়বস্তুর অবস্থান ও আনুষঙ্গিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ
এই বিষয়টির জন্য সুক্ষ্ম দৃষ্টির দরকার নেই। ওয়েবসাইটে কন্টেন্টের প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে অনেক সময় এমন ছবি তৈরি করা হয়, আপাতদৃষ্টে যার কোনো যৌক্তিকতা থাকে না। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে এগুলো দেখতে একদম বাস্তব মনে হয়। পূর্বে এগুলো ফটোশপের মাধ্যমে যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে একাধিক ছবি জুড়ে দিয়ে তৈরি করা হতো। এআই আসার পর এই সন্নিবেশ প্রক্রিয়া এতটাই উন্নত হয়েছে যে তা বাস্তব জগতের অনুভূতি দেয়।
তাছাড়া অভিনব হওয়ার কারণে প্রথম দর্শনেই ছবিগুলো দর্শককে দারুণভাবে চমকে দেয়। তবে যতই প্রাণবন্ত হোক না কেন, মূল বিষয়বস্তুর পারিপার্শ্বিক পরিবেশের অবাস্তবতাই এই ছবিগুলোর কৃত্রিমতার আসল মাপকাঠি।
শেষাংশ
সব মিলিয়ে এআই দিয়ে বানানো ছবি চেনার এই পদ্ধতিগুলোর জন্য প্রয়োজন তীক্ষ্ম দৃষ্টি এবং সফটওয়্যার নির্মিত কন্টেন্ট সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা। সূক্ষ্ম অসঙ্গতি বিশ্লেষণ এবং মেটাডেটা নিরীক্ষণে উন্মোচিত হয় চিত্রাঙ্কনের নেপথ্যে থাকা সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্মের নামটি। ছবি আঁকার ক্ষেত্রে এআইয়ের বিশেষত্ব বোঝা এবং সরাসরি ছবি দিয়ে গুগল সার্চের মাধ্যমে এর প্রথম ওয়েব ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। ছবির বিষয়বস্তুর ত্রিমাত্রিক অবস্থান এবং আলো-ছায়ার অসামঞ্জস্যতায় উল্লেখযোগ্য তারতম্য ধরা পড়ে ক্যামেরায় তোলা ছবির সঙ্গে। সর্বসাকূল্যে, এই সূচকগুলো ছবির মৌলিকতা যাচাইয়ের জন্য যথেষ্ট কার্যকর।
আরো পড়ুন: অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজে নতুন কি থাকছে
৩ মাস আগে
এআই’র বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আইন করা হচ্ছে: টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী
আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের (এআই) বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০২৪ উদযাপনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
আরও পড়ুন: এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পলক বলেন, এআই মানুষের জীবনধারা যেমন সহজ করবে ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি। প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ করে এআইর বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে।
এছাড়াও তিনি জানান, ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ণ করা হবে।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউর সদস্যপদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিস্যাটের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, তিনটি মোবাইল কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়া এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজলভ্য করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বেরই ফসল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিগত বছরগুলোর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে সামিল করেছে বলে জানান তিনি।
পলক আরও বলেন, ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: স্মার্ট জেনারেশন তৈরিতে এআই আইন গুরুত্বপূর্ণ: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি সেবা (আইটি) রপ্তানি খাতে একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪০০ প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবা রপ্তানি করছে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন এবং এই দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বাংলাদেশে এ বছর প্রথমবারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম, আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: এআই নীতি প্রণয়নে নাগরিক অধিকার সংস্থা-অংশীজনকে সম্পৃক্ত করুন: টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন
৭ মাস আগে
এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে স্বাগত জানায়, তবে এক্ষেত্রে কিছু প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে স্বাগত জানাই, তবে এর অপব্যবহার রোধে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
হলি সি টু বাংলাদেশের অ্যাপোস্টলিক নুনসিও আর্চবিশপ কেভিন এস র্যান্ডাল আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ, যেখানে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাই মিলে উৎসব উদযাপন করি।’
জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপের প্রশংসা করেন আর্চবিশপ।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ছেলেরা কেন পিছিয়ে তা খুঁজে দেখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর
৭ মাস আগে
এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কথা বিবেচনা করে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বিষয়ক একটি আইন প্রণয়ন করার উদ্যোগ সরকার নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, এ আইন প্রণয়ন করার আগে অংশীজনদের সঙ্গে অবশ্যই আলাপ-আলোচনা করা হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে 'সেন্টার ফর এনআরবি'র একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে চায়। সেজন্যই তার সরকার আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ—আলোচনার সুযোগ রেখেছে।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
প্রতিনিধি দলের প্রধান 'সেন্টার ফর এনআরবি'র চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নন—রেসিডেন্ট বাংলাদেশিরাও (এনআরবি) যাতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তাদের মতামত জানাতে পারেন, সে বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নেবেন।
আনিসুল হক বলেন, সময়ের চাহিদার কারণে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আদালত কতৃর্ক তথ্য—প্রযুক্তি ব্যবহার আইন প্রণয়ন করেছে। ভার্চুয়াল আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। বৃটিশ আমলের সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করা হয়েছে। এখন দেশি—বিদেশি সব শ্রেণি—পেশার মানুষ সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের সুফল পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
১০ মাস আগে
ভারতে এআই প্রযুক্তি নিয়ে মাইক্রোসফটের নতুন কৌশল
ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিকাশ ও এটি নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের ক্ষমতায়ন এবং দেশটিতে শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অংশীদার হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুরক্ষিত করার জন্য বিস্তৃত কৌশল ঘোষণা করেছে মাইক্রোসফট।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এআই ব্যবহারের সুযোগকে গণতান্ত্রিক অধিকারে পরিণত করার মিশনের রূপরেখা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও সত্য নাদেলা। বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ পড়ার সময় তিনি এ রূপরেখা তুলে ধরেন। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবার জন্য এবং এ বিষয়ে আমরা ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার হতে চাই।’ এআই ডোমেইনে অন্তর্ভুক্তি ও প্রবেশাধিকার বাড়ানো নিয়ে মাইক্রোসফটের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেয় এই উদ্যোগ।
প্রতিশ্রুতির অংশ অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের ২০ লাখ মানুষকে এআই প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মাইক্রোসফট। এই উদ্যোগ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের শহরের মানুষের উপর এবং বিশেষ করে দেশটির গ্রামীণ এলাকাগুলোতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রচারের জন্য গ্রহণ করা হবে। প্রযুক্তির এই অগ্রগতিকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে এআই বিধিবিধান ও আইন প্রতিষ্ঠায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন সত্য নাদেলা।
জিপিটির মতো চ্যাটভিত্তিক এআই প্রযুক্তিগুলোর বিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরে নাদেলা কমপিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক অগ্রগতি উদযাপন করেছেন। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের (মানব) প্রয়োজন বুঝে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ‘স্বাভাবিক কথোপকথন’ চালিয়ে যেতে পারে এমন মেশিন তৈরির লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেছেন।
বিপুল পরিমাণে তথ্য বিশ্লেষণ ও প্যাটার্ন শনাক্ত করে তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একটি নিউরাল ইঞ্জিন ব্যবহারের কথা মাইক্রোসফটের এই কৌশলে তুলে ধরা হয়েছে। মাইক্রোসফট কোপাইলটের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে এআই প্রযুক্তি দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করে সংস্থাটি। এআই ল্যান্ডস্কেপে মাইক্রোসফটের ভূমিকা তুলে ধরার লক্ষ্যে এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে বিশাল আকারে বিপণন ও প্রচার চালানো হবে।
যাই হোক, মডেল প্রশিক্ষণ ও অনুমান ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ এআই অবকাঠামোর উন্নয়নে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে মাইক্রোসফট। জিপিটির বৈচিত্র্য এবং বেশকিছু উন্নত বড় মডেলের অধিকারী হওয়া নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে নাদেলা সংস্থাটির এআই প্রযুক্তিগত ক্ষমতা সম্প্রসারণের বিষয়ে উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন।
১০ মাস আগে
৪০% চাকরিকে প্রভাবিত করবে এআই: আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্ভবত সামগ্রিক বৈষম্যকে আরও খারাপ করবে।’
তিনি আরও বলেন, নীতিনির্ধারকদের ‘উদ্বেগজনক প্রবণতা’ মোকাবিলা করা উচিৎ, যাতে এই প্রযুক্তি ‘সামাজিক উত্তেজনা’ আরও বাড়িয়ে তুলতে না পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এআইয়ের বিস্তার বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিটির সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
আইএমএফ বলেছে, এআই সম্ভবত চাকরির বাজারের বড় অংশকে প্রভাবিত করবে। এর ছোঁয়া ভবিষ্যতের অর্থনীতির ৬০ শতাংশে লাগতে পারে।এই পরিস্থিতিতে অর্ধেক ক্ষেত্রে এআইয়ের সমন্বিত প্রয়োগে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলবে এমনটা প্রত্যাশা করতে পারেন কর্মীরা।
অন্য ক্ষেত্রে, আগে মানুষের করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার সক্ষমতা থাকবে এআইয়ের। ফলস্বরূপ, কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং বেতন কাঠামোতে প্রভাব পড়বে। ক্ষেত্র বিশেষে আগের চাকরি নিঃশেষও হতে পারে।
তবে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে প্রযুক্তিটি চাকরির বাজারকে ২৬ শতাংশ প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ।
জর্জিয়েভা বলেন, ‘এগুলোর অনেক দেশে এআইয়ের সুযোগসুবিধা কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল নেই। এতে সময়ের আবর্তনে প্রযুক্তিটি বিশ্বে দেশগুলোর বৈষম্যমূলক অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।’
সামগ্রিক বিবেচনায় এআই গ্রহণ ও প্রয়োগের পর উচ্চ আয়ের ও কমবয়সী কর্মীরা অন্যান্যদের সঙ্গে মজুরিতে অসামঞ্জস্য অবস্থার বৃদ্ধি দেখতে পারে। এই অবস্থায় আইএমএফ মনে করছে, নিম্ন আয়ের ও বয়স্ক কর্মীরা পিছিয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম এআই সংবাদ উপস্থাপক 'অপরাজিতা'
বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
১১ মাস আগে
এআই’র নজরদারি ও বিভ্রান্তি নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা আবশ্যক: অধিকার বিশেষজ্ঞরা
জাতিসংঘের নিযুক্ত স্বাধীন অধিকার বিশেষজ্ঞদের মতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-চালিত স্পাইওয়্যার এবং বিভ্রান্তি বাড়ছে বলে মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল নিযুক্ত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে নতুন প্রযুক্তি, যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক বায়োমেট্রিক নজরদারি ব্যবস্থা, মানুষের জ্ঞান বা সম্মতি ছাড়াই ‘সংবেদনশীল প্রেক্ষাপটে’ ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘জরুরি এবং কঠোর নিয়ন্ত্রক সতর্ক সীমা প্রয়োজন যে প্রযুক্তির জন্য আবেগ বা লিঙ্গ স্বীকৃতি সঞ্চালনের দাবি করে।’ যারা সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় মানবাধিকারের প্রসার ও সুরক্ষার জন্য বিশেষ র্যাপোর্টার ফিওনুয়ালা নি আওলাইনকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
তারা মানবাধিকার রক্ষক এবং সাংবাদিকদের কাজে স্পাইওয়্যার এবং নজরদারি প্রযুক্তিকে ইতোমধ্যেই ‘আতঙ্কজনক’ ব্যবহার এবং ‘প্রায়শই জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপের আড়ালে’ প্রভাবের নিন্দা করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারকে সস্তা শ্রমের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে: জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ
তারা জেনারেটিভ এআই-এর বিদ্যুত-দ্রুত বিকাশকে মোকাবিলা করার জন্য নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে যা মিথ্যা অনলাইন সামগ্রীর ব্যাপক উৎপাদনে সক্ষম করে যা বিভ্রান্তি এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন যে এই পদ্ধতিগুলো ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়গুলোকে আরও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য প্রকাশ না করে। যার মধ্যে গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুপ্রবেশকারী নজরদারি অনুশীলনের সম্প্রসারণ এবং অপব্যবহারের মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম, বৈষম্য সহজতর এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে কমিশনকে সক্রিয় করে।
তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তাভাবনা, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, এবং প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার এবং মানবিক পরিষেবাগুলোতে ব্যবহারের জন্য সম্মানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘যেখানে মানবাধিকারের অভিযোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় সেখানে নির্দিষ্ট প্রযুক্তি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কৃত্রিম মিডিয়ার সম্মুখীন হলে জনগণকে সতর্ক করতে এবং ব্যবহৃত প্রশিক্ষণের ডেটা এবং মডেলগুলো সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য প্রবিধান জরুরিভাবে প্রয়োজন।’
বিশেষজ্ঞরা মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বড় আকারের ডেটা সংগ্রহ থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহসহ উন্নত লক্ষ্যযুক্ত নজরদারি প্রযুক্তির ব্যবহার পর্যন্ত ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সতর্কতার জন্য তাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তারা বলেন, ‘আমরা এই ধরনের পদক্ষেপগুলো ব্যবহারে সংযম করার আহ্বান জানাই যতক্ষণ না বৃহত্তর মানবাধিকারের প্রভাবগুলো সম্পূর্ণরূপে বোঝা না হয় এবং শক্তিশালী ডেটা সুরক্ষা সুরক্ষা ব্যবস্থা না হয়।’
স্পেশাল র্যাপোর্টর্স এবং অন্যান্য অধিকার বিশেষজ্ঞরা সকলেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল দ্বারা নিযুক্ত হন। তারা নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক সমস্যা বা দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং রিপোর্ট করার জন্য বাধ্য হন। তারা জাতিসংঘের কর্মী নন এবং তাদের কাজের জন্য বেতন পান না।
আরও পড়ুন: মানবাধিকারের ওপর দারিদ্র্যের প্রভাব পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ সফর করবেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
১ বছর আগে
চ্যাটজিপিটিকে টক্কর দিতে গুগলের ‘বার্ড’!
মার্কিন টেক জায়ান্ট গুগল চ্যাটজিপিটিকে টক্কর দিতে ‘বার্ড’ নামে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত চ্যাটবট চালু করছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বার্ড আগামী সপ্তাহগুলোতে জনসাধারণের জন্য চালু করার আগে একদল পরীক্ষকদের দ্বারা পরখ করে দেখবে।
বার্ড গুগলের বিদ্যমান বৃহৎ ভাষার মডেল ল্যামডায় নির্মিত। যাকে একজন প্রকৌশলী তার প্রতিক্রিয়ায় এতটাই মানুষের মতো বলে বর্ণনা করেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে এটি সংবেদনশীল।
প্রযুক্তি জায়ান্টটি এর বর্তমান সার্চ ইঞ্জিনের জন্য নতুন এআই টুলও ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: গুগলের নতুন এআই টেক্সট থেকে তৈরি করতে পারে মিউজিক
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে বলা হয়েছে যে এআই চ্যাটবটগুলো প্রশ্নের উত্তর ও তথ্য সন্ধানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ হচ্ছে চ্যাটজিপিটি। এই এআইগুলো ইন্টারনেটকে একটি বিশাল তথ্যভাণ্ডার হিসেবে কাজে লাগিয়ে উত্তর দিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আপত্তিকর উপাদান বা ভুল তথ্য চলে আসতে পারে এমন উদ্বেগ কেউ কেউ প্রকাশ করেছেন।
গুগল প্রধান সুন্দর পিচাই এক ব্লগে লিখেছেন, ‘বার্ড আমাদের বৃহৎ ভাষা মডেলগুলোর শক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতার সঙ্গে বিশ্বের জ্ঞানের বিস্তৃতিকে একত্রিত করতে চায়।’
পিচাই জোর দিয়ে বলেন যে তিনি গুগলের এআই পরিষেবাগুলোকে সাহসী ও দায়িত্বশীল করতে চান, তবে কীভাবে বার্ডকে ক্ষতিকারক বা আপত্তিকর উত্তর দেয়া থেকে বিরত রাখা হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
মাইক্রোসফট তাদের সার্চ ইঞ্জিন বিং-এ এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি আনতে যাচ্ছে বলে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার পর গুগলের এই ঘোষণা এসেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
দৈনন্দিন প্রযুক্তির কাজকে সহজ করবে ৫ 'লাইফ হ্যাক'
১ বছর আগে
গুগলের নতুন এআই টেক্সট থেকে তৈরি করতে পারে মিউজিক
মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের গবেষকরা এমন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রোগ্রাম তৈরি করেছে যা দিয়ে যেকোনো লেখা থেকে মোটামুটি মিনিটখানেক দৈর্ঘ্যের মিউজিক তৈরি করা যায়। এই এআই ব্যবহার করে শিস বা গুনগুন করা সুরকে অন্য বাদ্যযন্ত্রের মিউজিকেও পরিবর্তন করা যায়। এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ।
গুগলের কিছু গবেষক তাদের গবেষণা নিয়ে ‘মিউজিকএলএম: জেনারেটিং মিউজিক ফ্রম টেক্সট’ শীর্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। পুরো মডেলটিকে বলা হচ্ছে ‘মিউজিকএলএম’। তবে আপাতত এটি ব্যবহার করে কিছু বাজানো যাবে না। গুগলের গবেষকরা যদিও কিছু স্যাম্পল গবেষণাপত্র সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে জুড়ে দিয়েছেন।
তবে যেটাই জুড়ে দিক না কেন তারা, সেগুলোকে বেশ চমকপ্রদ হিসেবেই উল্লেখ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই। কারণ একটি অনুচ্ছেদের বর্ণনা থেকে ৩০ সেকেন্ডের একটি মিউজিক তৈরি করা হয়েছে যা শুনতে প্রকৃত গানের মতো।
মিউজিকএলএম এমনকি মানুষের কণ্ঠও অনুকরণ করতে পারে। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ এটিই প্রথম নয়। তবে মিউজিকএলএমের রয়েছে সমৃদ্ধ ডেটাবেজ। যেখানে দুই লাখ ৮০ হাজার ঘণ্টার মিউজিক দিয়ে উক্ত এআই প্রোগ্রামকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। যাতে টেক্স থেকে ভালোমানের মিউজিক তৈরি করা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
দৈনন্দিন প্রযুক্তির কাজকে সহজ করবে ৫ 'লাইফ হ্যাক'
১ বছর আগে
অপো এফ১৯ এর এআই ফিচারে বদলে যাবে ছবি তোলার অভিজ্ঞতা
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে একটা ভালো মানের ক্যামেরা মোবাইল সবাই চায়। ছবি তোলা, সেলফি ধারণ, ভিডিও ধারণ প্রায় সব কাজেই ক্যামেরার প্রয়োজন হয়। তাই একটি ভালো মানের ক্যামেরা ফোন নিয়ে গ্রাহকের, বিশেষ করে তরুণদের ভাবনার শেষ নেই।
শুধু ক্যামেরা নয় সার্বিক পারফরমেন্সের দিকে নজর থাকে সবার। সম্প্রতি বাজেটের মধ্যে এমন এক দারুণ ফোন এফ১৯ নিয়ে এসেছে অপো। ফোনটির বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
৪৮ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা ও ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা
ক্যামেরার জন্য বরাবরই অপোর আলাদা সুখ্যাতি রয়েছে। ওয়াইড রেঞ্জ ভিডিও ও ফটোগ্রাফির জন্য এফ১৯ ফোনে রয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা ও ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। ৪৮ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরার মধ্যে রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং এআই সিন এনহেন্সমেন্ট। এর ফলে যেকোন আলোতে ছবির মান হবে ঝঁকঝঁকে সুন্দর। কেউ যদি কম আলো বা রাতে ছবি তোলে তাহলে এআই বিউটিফিকেশন মোড উজ্জ্বল ছবি প্রদান করবে। টোন ও ত্বকের রং অনুযায়ী ছবি সামঞ্জস্য করে নিবে।
তাছাড়া সেলফি প্রিয় মানুষের জন্য ফোনটিতে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের এআই ফ্রন্ট ক্যামেরা। ফ্রন্ট নাইট মোড থাকার ফলে রাতের বেলায়ও ভালো মানের সেলফি তোলা যাবে। এর সোলুপ এডিটিং অ্যাপে অটো হাইলাইট সেকশন ও অপো মিউজিক ম্যাচিং ফিচার রয়েছে।
এমোলেড এফএইচডি ও পাঞ্চ হোল ডিসপ্লে
যেকোন ফোনের ডিসপ্লে এর সার্বিক চেহারা পাল্টে দেয়। ডিসপ্লে ভালো হলে ব্যবহারের অভিজ্ঞতাও ভালো হয়। এফ১৯ প্রো এর ফোনটিতে রয়েছে ফুল হাই ডেফিনেশন (এফএইচডি) পাঞ্চ হোল ডিসপ্লে। এতে আছে ২৪০০*১০৮০ আল্ট্রা-হাই রেজ্যুলেশন ডিসপ্লে যার পিক্সেল ঘনত্ব ৪০৯ পিপিআই পর্যন্ত। এর ৯০.৮ শতাংশ বডি টু স্ক্রিন রেশিও, ১৬.৩৪ সেন্টিমিটার স্ক্রিন এবং ১.৬ মিলিমিটারের বেজেল এর ৩.৬৮ মিলিমিটার পাঞ্চ হোল ক্যামেরার কারণে মনে হবে ফোনটির পুরোটাই স্ক্রিন।
এর অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে পাঞ্চ হোল লাইট রিং। ফোনে কল আসলে এটি এমনিতেই জ্বলে ওঠে। চোখে স্বস্তি আনতে এতে আরো রয়েছে আই কেয়ার ফিচার। দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে যাতে চোখে সমস্যা না হয় তাই এফ১৯ প্রো স্ক্রিন ব্রাইটনেস স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠানামা করবে। সহজে আনলক করার জন্য এতে রয়েছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ৩.০।
৫০০০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার শক্তিশালী ব্যাটারি
দৈনন্দিন জীবনে ফোনে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার মতো উটকো ঝামেলা থেকে সবাইকে মুক্তি দিতে শক্তিশালী ব্যাটারির দুর্দান্ত এফ১৯ ফোন নিয়ে এসেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপো। ফোনটির ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৩০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জ থাকায় গ্রাহককে চার্জ নিয়ে আর কোন দুশ্চিন্তা করতে হবে না। একবার পূর্ণ চার্জে সারাদিনের কাজ চলে যাবে। আবার ঘরে ফিরে অল্প সময়ের মধ্যে চার্জ করেও নেওয়া যাবে।
শুধু ব্যাটারি ও চার্জ নয়, ডিজাইনের দিক থেকেও এফ১৯ অনন্য। থ্রিডি কার্ভ ডিজাইনের আল্ট্রা স্লিম ফোনটির ওজন মাত্র ১৭৫ গ্রাম, ও পুরুত্ব ৭.৯৫ মিলিমিটার। স্লিম ডিজাইন ও সুপার কুল ডিসপ্লে এফ১৯ প্রো যেন একের ভেতরে সব।
মাত্র ৩০ মিনিটে ৫৪ ভাগ চার্জ!
এফ১৯ ফোনে রয়েছে ৩৩ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জ। ফলে মাত্র ৭২ মিনিটে ফুল চার্জ এবং ৩০ মিনিটে ৫৪ ভাগ চার্জ হয়ে যাবে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে মাত্র ৫ মিনিটের চার্জে ৫.৭৩ ঘণ্টা ফোনে কথা বলা যাবে অথবা ১.৩৭ ঘণ্টা ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করা যাবে অথবা ১.৮১ ঘণ্টা ইউটিউব দেখা যাবে যা অনেক হাই-এন্ড ফোনও দিতে পারে না।
হার্ডওয়্যার ও পারফরমেন্স
বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ফোনে দুটি বিষয়ের দিকে নজর রাখেন। তিনি যা যা চান তা ফোনে রাখতে রাখছে পারছেন কিনা এবং এসব জিনিস নিয়ে ফোনটির পারফরমেন্স কেমন। অপো এফ১৯ ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৬২ চিপ এবং ৬জিবি র্যামএব! ১২৮ জিবি রম। র্যাম-রম দিবে স্টোর করার সুবিধা এবং স্ন্যাপড্রাগন দিবে শক্তিশালী পারফরমেন্স। সুতরাং এই দুটি জিনিসের জন্য ব্যবহারকারীর ফোনের সার্বিক ব্যবহার নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। চিন্তা করতে হবে কোন ছবি, ব্যক্তিগত ফাইল, ভিডিও স্টোর করা নিয়ে।
প্রিজম ব্লাক ও মিডনাইট ব্লু এই দুই ভ্যারিয়েন্টের এফ১৯ বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে যার দাম পড়বে ২১,৯৯০ টাকা।
৩ বছর আগে