নির্বাচনী সহিংসতা
চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী সহিংসতা: ১৩ দিন চিকিৎসার পর নৌকার সমর্থকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৩ দিন আগে দুই পক্ষের মারামারিতে আহত দবির আলী (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-তে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহত দবির আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর খোকন ও নাগদাহ ইউনিয়নে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলীর ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশিক স্বপন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় আতশবাজি ফোটানোর সময় আর্জেন্টিনা সমর্থক আহত
মোস্তাফিজুর খোকন বলেন, ‘আমার বাবা নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হায়াত আলীর কর্মী ছিলেন। গত ১১ মার্চ রাত ৮টার দিকে জহুরুলনগর গ্রামে আমার বাবাসহ কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করছিলেন। এ সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বর্তমানে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত) নিজে উপস্থিত থেকে তার কর্মীদের দিয়ে হামলা চালান। এতে আমার বাবা দবির আলীসহ কয়েকজন কর্মী আহত হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাতেই বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। টানা ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন বাবা। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলীর ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশিক স্বপন জানান, জহুরুলনগর গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করছিলেন। এসময় পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) চশমা প্রতীকের এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল নিজে উপস্থিত থেকে তার কর্মীদের দিয়ে আমার ভাইয়ের কর্মীদের ওপর হামলা চালান। দবিরসহ আমার কয়েকজন কর্মী আহত হন। ওই রাতেই দবিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। লাশ রাতেই ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরহুমের নিজ গ্রামে পৌঁছেছে। আমরা দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে আহত দবির শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জেনেছি।
এ ঘটনার পূর্বে মারধরের মামলা করেছিলেন নিহতের ছেলে। উক্ত মামলায় আসামিরা জামিনে আছে। তবে এবার ওই মামলা হত্যা মামলায় রুপ নেবে। পরবর্তী বিষয়গুলো আদালত দেখবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাফিক পুলিশের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বৃদ্ধার মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ভুষির বস্তা থেকে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ
১ বছর আগে
নরসিংদীতে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ব্যক্তির ঢামেকে মৃত্যু
নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় ফরিদ মিয়া (৩০) নামের আহত ব্যক্তির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার উত্তর বাহার নগর এলাকার প্রাইমারী স্কুলে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে রাত সোয়া ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের শ্যালক শাহ আলম জানান, রায়পুরা উত্তর বাহার নগর এলাকায় দুই মেম্বারের মধ্যে প্রাইমারী স্কুলের ভিতর গোলাগুলি শুরু হলে ফরিদ মিয়া গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ফরিদ মিয়া একজন রিকশাচালক। তিনি জেলার রায়পুরা থানার উত্তর বাহার নগর মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নরসিংদীর রায়পুরা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে ঢামেকে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকহা মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষীপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত
ইউপি নির্বাচন: ভোট শুরুর আগেই সহিংসতায় নিহত ২
২ বছর আগে
শরীয়তপুরে নির্বাচনী সহিংসতা: আহত আ’লীগ কর্মীর মৃত্যু
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আওয়ামী লীগের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় আহত বৃদ্ধের মৃত্যু
মৃত আবদুর রাজ্জাক মোল্লা (৬০) আংগারিয়া ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরযাদবপুর গ্রামের বাসিন্দাও রাজ্জাক মোল্লা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসমা আক্তারের সমর্থক।
শরীয়তপুর পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকতার হোসেন জানান, গত ৭ অক্টোবর ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থক ও প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুর রাজ্জাক আহত হন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত ৫
তাকে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং আট আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
২ বছর আগে
মুন্সিগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ ৫
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ায়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রবিবার রাত ৭টা থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফসার উদ্দিন ভূইয়া ও আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) আক্তারুজ্জামান জীবনের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময় ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ হয়। ভাঙচুর হয় অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়িতে।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছে নৌকা প্রতীকের পাঁচ সমর্থক। তাদের মধ্যে তিন জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অপর দুজনকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
নৌকা প্রার্থী জানিয়েছেন, হামলায় তার সমর্থক সমর্থক শরীফ, সাইফুল, নাজমুল, বাবু হালদার, মনির ও রমজানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। তবে এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তারুজ্জামান জীবন অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেন, নৌকার লোকজন তার লোকজনের উপর চড়াও হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় শার্শায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু
এদিকে হামলায় ককটেল বিস্ফোরণে সময় আতঙ্কে স্ট্রোক করে আব্দুল হক (৪৮) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত কৃষক আব্দুল হক খাসকান্দির মঞ্জিল হকের ছেলে।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, নির্বাচনী সহিংসতার কারণে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে দুই সতীন মুখোমুখি, বিপাকে স্বামী
বরিশালে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ভ্যানচালকের মৃত্যু, আটক ৩
৩ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত ৫
জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৃথক ঘটনায় দুই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার কুমারী ও ডাউকি ইউনিয়নে এই সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমারী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষের সেলিম (২৫) ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষের সমর্থক হিরণকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ডাউকি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হোসাইন বলেন, আমার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পোয়ামারি গ্রামে আমার একটি অফিস ভাঙচুর করেছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তরিকুল ইসলামের লোকজন। তারা আমার কর্মী আলী হোসেনকে মারধরসহ তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিনি খাতুনকে মেরে আহত করে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে আ'লীগের ১০ কর্মী আহত
একই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'এটা বিএনপি নাকি জামায়াতের অফিস তা কেউ জানে না। একটু ধাক্কাধাক্কিতে ভেঙে গেছে। তবে কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’
অন্যদিকে, কুমারী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, পথসভা শেষ করে আমার নির্বাচনী অফিসে আসি। এ সময় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টুর কর্মীরা হঠাৎ আমার অফিসে ভাঙচুর চালায়। তারা আমার কর্মীর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন লাগায়। এছাড়া আয়ুব আলী নামে আমার এক কর্মীকেও মারধর করে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে একই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু বলেন, আমার কর্মীরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর করেনি। উল্টো তারাই আমার একটি অফিস ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে এবং তারা রিপন ও লাভলু নামের আমার দুই কর্মীকে মারধর করেছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, কুমারী ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছে দুজনের আহতের কথা জেনেছি। এছাড়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর একটি মোটরসাইকেল কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে সেটার খোঁজ করছি। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের দুজনকে আটক করা হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘ডাউকি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের খবর পেয়েছি। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার পর আমি দুটি ইউনিয়নেই পুলিশি টহল জোরদার করেছি।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের দু’দিন পর কেন্দ্র থেকে বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার
৩ বছর আগে
কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউপি নির্বাচনের ভোট চলাকালীন সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আকতারুজ্জামান (৩৫)খুরুশকুল ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী (বর্তমান মেম্বার) শেখ কামালের ছোট ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শী ওমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার ভোট চলাকালীন ওই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী বাবুলের সমর্থকরা ব্যালট পেপার আলাদা করে জোরপূর্বক অবৈধ সীল মারার চেষ্টা করলে অপর মেম্বার প্রার্থী শেখ কামালের ভাই আকতারুজ্জামান বাধা দিলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসময় দায়ের কোপ ও গুলিবিদ্ধ হয় আকতারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: পাবনায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিএসসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান আকতারুজ্জামানের জানান, এ ঘটনায় মেম্বার প্রার্থী শেখ কামালসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে নেয়া হলে আহত আকতারুজ্জামানকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী সহিংসতায় মেহেরপুরে সহোদর ‘খুন’
৩ বছর আগে
নির্বাচনী সহিংসতায় মেহেরপুরে সহোদর ‘খুন’
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরের গাংনীতে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে ‘হত্যা’ করেছে প্রতিপক্ষরা।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলাগ্রামে এই ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে জাহারুল ইসলাম (৫৫) ও তার ভাই সাহাদুল ইসলাম (৫০)।
আরও পড়ুন: সাবেক নারী ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনে ইউপি সদস্যের লাশ
কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর ধলাগ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমান ইউপি সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুলের ভাষ্য, গ্রামের মধ্যে ভোট চাইতে গেলে প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য প্রার্থী আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় তার কর্মী ও চাচাতো দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। এ সময় তিনি প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করে।
তার ভাষ্য, কয়েক বছর আগে আমার ছোট ভাই এনামুল হোসেন নইলুকে কুপিয়ে হত্যা করে আতিয়ার রহমানসহ তার সহযোগীরা। সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: কক্সবাজারে প্রার্থীসহ ২ সহোদর গুলিবিদ্ধ
তবে এবিষয়ে বক্তব্য জানতে আতিয়ার রহমানের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলুর রহমান জানান, সহিংসতার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দু’সহদরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি জানান, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার রাফিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে আছেন। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এখনো মামলা দায়ের হয়নি। এছাড়া আহত ছয় জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
কাপ্তাইয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় ইউপি সদস্য নিহত
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নতুন বাজার মা বেকারীর সামনে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত সজিবুর রহমান ৫ ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। আহতরা হলেন-মো. আলাউদ্দিন (৪৫), মো. সালাউদ্দিন (৫৫) ও আব্দুল জলিল।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ওমর ফারুক জানিয়েছেন, রাতে আহত অবস্থায় চার জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কাপ্তাই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার সজিবুল রহমান মারা যান। অন্যদের চিকিৎসা চলছে।
পড়ুন: কাপ্তাইয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব বলেন, ‘নতুন বাজারে চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হাতাহাতি থেকে মারিমারির ঘটনা ঘটে। পরে সজিবুর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় চার জনকে পুলিশ আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।’
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর রাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে কাপ্তাইয়ের চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেথোয়াই মারমা নিহত হন।
পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কাপ্তাই লেক থেকে ৭ পর্যটক উদ্ধার
৩ বছর আগে
মোংলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নারী নিহত, আহত ৪
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ফাতেমা বেগম (৬৫) নামে এক নারী নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দু’জনকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চাঁদপাই গ্রামে রবিবার রাত ৮টার দিকে সহিসংতার এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-বর্তমান মেম্বার প্রার্থী মতিয়ার রহমান মোড়ল (৬০), বোরহান শেখ (৩৫), ইস্রাফিল শেখ (২৭) ও আউয়াল মোড়ল (৪০)।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ
নিহতের স্বজন মহসিন ও মোয়াজ্জেম মোড়লের বরাতে পুলিশ জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঁদপাই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর চাঁদপাই গ্রামের মেম্বর প্রার্থী ও বর্তমান মেম্বর মতিয়ার রহমান মোড়লের ওপর অপর মেম্বর প্রার্থী শফিকুল শেখের লোকজন হামলা চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই ফাতেমা বেগম মারা যান। এছাড়া বর্তমান মেম্বার প্রার্থী মতিয়ার রহমান মোড়লসহ চার জন গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটের ৬৫ ইউনিয়নে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ শুরু
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ফাতেমা বেগমকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। নিহতের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মতিয়ার বলেন, ‘আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষ প্রার্থী শফিকুল ও তার লোকজন। এতে আমার একজন লোক নিহত ও আমিসহ চার জন আহত হয়েছি।’
অভিযুক্ত প্রতিপক্ষ সফিকুল শেখ বলেন, ‘মতিয়ার মেম্বার টাকা বিলি করতে ছিল তখন আমরা তাকে বাধা দেই। আর যিনি মারা গেছেন তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ইউপি নির্বাচন: প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে ওই নারী কীভাবে মারা গেছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং সন্দেহভাজন দু’জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’
৩ বছর আগে
কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২
কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম (৪০) ও আব্দুল হাকিম। প্রাথমিকভাবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, মহেশখালী দ্বীপের কুতুবজোম ইউনিয়নের নোয়াপাড়া মাদরাসা কেন্দ্রে সকাল ৯ টার দিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকরা কেন্দ্র দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় আবুল কালাম মারা যান এবং ৭ জন আহত হন।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, ‘উভয়পক্ষের ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
এছাড়া কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল হালিম নামে একজন মারা গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুল হালিম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শিগগিরই ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২ পৌরসভা ও ১৪ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে
ইউপি নির্বাচন: বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ
৩ বছর আগে