চেক জালিয়াতি
চেক জালিয়াতির মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার এক বছরের কারাদণ্ড
চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামে আদালতে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২ জুন) চট্টগ্রামের ৭ম যুগ্ম মহানগর জজ মো. মহিউদ্দীনের আদালত এই রায় দেন। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাল ভোট দিতে গিয়ে রিকশাচালকের ১৫ দিনের কারাদণ্ড
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী এম এস হোসেন সাহেদ বলেন, ২০২১ সালে বাদী জসিম উদ্দিন আবিদ ইভ্যালির সিইও রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক বাউন্স বা ডিজঅনারের অভিযোগ এনে মামলা করেন। সেই মামলায় বিচারক তাদের উভয়কে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং চেকের সমপরিমাণ অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে নগরীর পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন আবিদ মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু ইভ্যালির পক্ষ থেকে তাকে মোটরসাইকেলটি দেওয়া হয়নি। পরে একটি চেক দেওয়া যায় যেটি ব্যাংকের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন আবিদ বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২ অক্টোবর চট্টগ্রাম আদালতে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এক মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পান শামীমা। ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাসেল জামিনে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
উপজেলা নির্বাচন: ফরিদপুরে জালভোট দেওয়ায় যুবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
৬ মাস আগে
আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ওসি
একটি চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল না করায় আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন। পরে আদালত ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড না করার জন্য সতর্ক করে তাকে ক্ষমা করেন।
বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল না করার কারণ ও তার অগ্রগতি তুলে ধরেন ওসি। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর আদালত পরিচালনা করেন। এর আগে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হুমায়ুন কবীরের আদালত চেক জালিয়াতির একটি মামলায় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পরে দীর্ঘ পাঁচ মাসেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল না করায় আদালত ওসি এমরান হোসেনকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এতে আদালতের আদেশ পাওয়ার পর চন্দ্রিমা থানার ওসি আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ওসি এমরান হোসেন। এসময় আদালত ওসিকে সতর্ক করে ক্ষমা করেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড না করার জন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন জ্যেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মো. হুমায়ুন কবীর।
জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে গত ২০২১ সালের ১৯ জুলাই একটি চেক জালিয়াতির মামলা হয়। পরে এই মামলায় আদালত চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দেয়। যা ৯ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর পর পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও কেন বা কি কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তাও আদালতের কাছে ব্যাখ্যা করেনি ওসি। যা আদালত অবমাননার শামিল হিসেবে গণ্য করে আদালত। এরই প্রেক্ষিতে কেন ওসির বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ পালন না করার জন্য বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে স্বশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য ওসিকে নির্দেশ প্রদান করে আদালত।
এ ব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে স্বশরীরে হাজির হয়েওয়ারেন্ট হওয়া মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেছি। পরবর্তীতে মামলাটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুনানি ২০ জুন
দুদকের মামলায় খুলনায় সাবেক ওসি সস্ত্রীক কারাগারে
২ বছর আগে
চেক জালিয়াতি: মাগুরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ২.৬৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ
চেক জালিয়াতির মাধ্যমে মাগুরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অন্তত ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
৪ বছর আগে