সালমান এফ রহমান
সালমান এফ রহমান ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, ভাই আহমেদ সোহাইল ফসিহুর রহমান, ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ সোহাইলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘দুদকের পক্ষ থেকে সালমান এফ রহমানসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।’
আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সালমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দসহ ব্যাংক-কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট গে বিভিন্ন ব্যাংক হতে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের পর তা আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।
১২ দিন আগে
সালমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দসহ ব্যাংক-কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নামে লন্ডনে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বিদেশি দুই ব্যাংক হিসাব ও কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এছাড়া দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ নিয়ে আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ অন্যান্যদের নামে ব্যাংক হিসাবসমূহের তথ্য পাওয়া যায়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ হস্তান্তর/স্থানান্তর/রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। এতে সফল হলে, অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল, আদালতে বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। এজন্য সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সালমান এফ রহমানের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, পলক ও মবিনের ৪ দিনের রিমান্ড
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও তার সহযোগীদের নামে থাকা ৩৭২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।
এসব হিসাবে সর্বমোট ৫৫ কোটি ৬ লাখ ৪৭ হাজার ১১৭ টাকা রয়েছে।
গত বছরের ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
১২ দিন আগে
সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত: জামায়াতের নায়েবে আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ ডাক্তার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত। এমনিতে তাকে দরবেশ বলে? কারণ তিনি দাড়ি রেখে ডাকাতি করেন।
তিনি বলেন, সালমান এফ রহমানকে আগেই ধরা হয়েছিল। তার দাড়ি কামিয়ে লুঙ্গি পরিয়ে মানুষের সামনে আনা হয়। এমন জীবন কে চান?
আরও পড়ুন: কাতারের আমিরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লার একটি রেস্টুরেন্টে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
নায়েবে আমির বলেন, দেশের একমাত্র সমস্যা দুর্নীতি। যারা এই দেশ শাসন করেছে এত বছর ধরে, তারা কেউই দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারেনি। দুর্নীতি যদি বন্ধ হয়ে যায়, আমাদের জিডিপি দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিমুক্ত, জ্ঞানসম্পন্ন, নৈতিকতা সম্পন্ন ও মানবিক সমাজ আমাদের দরকার। এখন এটি অর্জনের সময় এসেছে। এটি ইতিহাসের একটি পরিবর্তন হতে পারে। আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছি যা আমাদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করেছে। যদি এই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে না পারি তাহলে তো আগের মতোই হবে- যেই লাউ সেই কদু।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়: জামায়াত আমির
জামায়াত নেতা তাহের বলেন, এটি আমাদের তৃতীয় স্বাধীনতা। ১৯৪৭ সালে একবার, ১৯৭১ সালে একবার ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে একবার। যদি ৭১ থেকে শুরু করেন তাহলে এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াত ইসলামের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ইসলামীর মহানগর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, যুগ্ম সম্পাদক ডা. গিয়াস উদ্দিন, ডা. মো. আরিফ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাউছার হামিদসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করেন কুমিল্লার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন বিষয়ক আলোচনা করেন সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম মজুমদার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির কবর দিন: জামায়াত আমির
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম কুমিল্লার সভাপতি ডা. জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এনডিএফ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. জুয়েল রানা।
১৭৫ দিন আগে
৮৩ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা
রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ভাই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান। বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠান ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে জনতা ব্যাংক থেকে ৯৩টি এলসি নিয়ে প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০০০ কোটি টাকা) পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির ৪ মাসের মধ্যে দেশে রপ্তানিমূল্য আসতে হয়। তবে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও রপ্তানিমূল্য বাংলাদেশে আসেনি, যা বিদেশে অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতার প্রমাণ দেয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ওই ১৭টি প্রতিষ্ঠান হলো- অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেড, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেড, অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস লিমিটেড, কোজি অ্যাপারেলস লিমিটেড, এসেস ফ্যাশন লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেড, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস লিমিটেড, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেড, পিংক মেকার গার্মেন্টস লিমিটেড, প্ল্যাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেড, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেড, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবান ফ্যাশনস লিমিটেড ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড।
বিদেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানের পুত্র আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও এ এস এফ রহমানের পুত্র আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যৌথ মালিকানাধীন আরআর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের (এফজেডই) শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও এবং সৌদি আরবের শাখায় রপ্তানি করা হয়েছে।
এছাড়াও জার্মানি, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক ও শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশেও পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি মূল্য বাংলাদেশে না এনে তারা বিদেশে পাচার করেছেন বলে সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে।
সিআইডি জানায়, বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে টাকা পাচারের জন্যে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানি করে ইচ্ছাকৃতভাবে রপ্তানিমূল্য দেশে না এনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২(শ) এর (১৪) ও (২৬) ধারায় অপরাধ করেছে অভিযুক্তরা। যা একই আইনের ৪(২)/৪(৪) ধারা অনুযায়ী দণ্ডণীয় অপরাধ।
সালমান এফ রহমান ও তার সহযোগীরা ব্যক্তিগত প্রভাব ব্যবহার করে বিদেশে অর্থপাচার করেছে- অনুসন্ধানে এ তথ্য প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগ ডিএমপির মতিঝিল থানায় ১৭টি মামলা করেছে।
এছাড়াও সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার ও অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে সিআইডি।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার: ডিএমপি
১৮৬ দিন আগে
সালমান, আকবর সোবহানসহ ৫ ব্যবসায়ীর হিসাব তলব করেছে এনবিআর
ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় সঞ্চয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঁচ ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
তারা হলেন- সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আজিজ খান, ওরিয়ন গ্রুপের প্রধান মোহাম্মদ ওবায়দুল করিম, বেক্সিমকো গ্রুপের কো-ফাউন্ডার ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারপারসন নজরুল ইসলাম মজুমদার এবং বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আকবর সোবহান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজস্ব বাড়াতে করজাল সম্প্রসারণের কথা ভাবছেন এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান
এনবিআর সূত্র জানায়, এসব ব্যবসায়ী ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
আয়কর আইন ২০২৩-এর ২০০ ধারা অনুযায়ী, কোনো করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরের (টিআইএন) বিপরীতে কোনো কর ফাঁকির বিষয়ে সন্দেহ হলে তার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়ার ক্ষমতা এনবিআরের রয়েছে।
ব্যাংক ও এনবিএফআইগুলো আইন অনুসারে করদাতাদের অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য। ব্যাংক হিসাব লেনদেনের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার ক্ষেত্রে কর আইনে দণ্ডের বিধান রয়েছে।
সম্প্রতি ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এনবিআরের কর অঞ্চল-১৫ থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম ও ব্যবসায়ী এস আলমের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ সেলিম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে এনবিআর
২১২ দিন আগে
হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে তাদের কারও পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে সালমান ও আনিসুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মইনুল হাসান বলেন, রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে পালানোর চেষ্টাকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার: ডিএমপি
২২০ দিন আগে
সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার: ডিএমপি
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন সাঈদী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পালানোর চেষ্টাকালে ঢাকার নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় আনিসুল ও সালমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে: অতিরিক্ত ডিআইজি
২২১ দিন আগে
সালমান এফ রহমানকে ৩০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৪ শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগ
সালমান এফ রহমানকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চার কর্মকর্তা।
সোমবার (১২ আগস্ট) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে (এফআইডি) পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন- ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান ও খুরশিদ আলম, পলিসি অ্যাডভাইজার আবু ফারাহ মো. নাসের ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।
সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে এই কর্মকর্তাদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ৪ আগস্ট ইডিএফের ত্রিশ মিলিয়ন ডলার অবৈধভাবে ঋণ দেওয়ার সঙ্গে শীর্ষ কর্মকর্তারা জড়িত, তাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
এই আল্টিমেটামের পর এফআইডি সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ওই চার কর্মকর্তা।
দুই ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধান এফআইডি সচিবের কাছে এবং পলিসি অ্যাডভাইজার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক মহিউদ্দিন অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট ইডিএফ তহবিল থেকে তিন মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেন বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমান।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সহযোগীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে থাকলে রাষ্ট্রের টাকা আবার লুট হয়ে যাবে। টাকা পেলে তারা অস্ত্র কিনে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করবে। দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।’
২২২ দিন আগে
পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি আরও বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকা দরকার।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) গুলশানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশ (পিইবি) আয়োজিত 'বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স ২০২৩-২৪' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, এত বড় অর্থনীতির তুলনায় আমাদের পুঁজিবাজার আরও শক্তিশালী থাকা দরকার। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, এক্সচেঞ্জ কমিশন সবাই মিলে কাজ করতে হবে। পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুঁজিবাজার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মূল্যস্ফীতি এখনো দেশের একটি সমস্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ার কারণেই সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। একইসঙ্গে রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি হয়। তবে এখন ডলারের সংকট কাটছে। তাই ধীরে ধীরে এসব সমস্যা কেটে যাবে।’
আগামী জুলাই থেকে মূল্যস্ফীতিও কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাজস্ব আয় বাড়াতে কর হার কমানো উচিত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ এনবিআর। বারবার বলা হচ্ছে, করজালের আওতা বাড়িয়ে করহার কমিয়ে দিলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে। কিন্তু তারা প্রতিবার যারা কর দিচ্ছে, তাদের আরও বেশি চাপে ফেলা হচ্ছে। আসলে সবাইকে করের আওতায় আনতে হবে।’
আগামী বাজেটে নতুন ধরনের সংস্কার আসবে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও গতবছরের তুলনায় কমেছে। এটা আমাদের জন্য একটি সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ দরকার। দেশে ব্যবসায়ের অনুকূল পরিবেশ আছে। আমি আশাবাদী সামনে অনেক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।’
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই: ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন
২৯৬ দিন আগে
সরকার কাউকে রক্ষা করবে না: আজিজ-বেনজীর ইস্যুতে সালমান এফ রহমান
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘সরকার কোনোরকম প্রটেকশন কাউকে দেবে না। আইন নিজের গতিতে চলবে।’
বুধবার (২৯ মে) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে কল-কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনারোধ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে গঠিত জাতীয় কমিটির তৃতীয় সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশ প্রধানের অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে সরকার বিব্রত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্পষ্টভাবে বলেছেন, কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে সরকারের বিব্রত হওয়ার মতো কোনো অবস্থা বলে আমি বিশ্বাস করি না।’
আরও পড়ুন: আজিজ-বেনজীরকে নিয়ে বিব্রত নয় সরকার: ওবায়দুল কাদের
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘আইন নিজের গতিতে চলবে। উনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, একজন লোক যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, সরকার কোনোভাবেই কাউকে রক্ষা করবে না। আইন নিজের গতিতে চলবে।'
ভারতে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য খুনের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা সবাই এটা নিয়ে খুবই শকড হয়েছি। ঘটনাটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটার বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
বাজেটের পরে দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে নতুন কোনো অস্বস্তি তৈরি হবে কি না- জানতে চাইলে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এটা তো হাইপোথেটিক্যাল কোশ্চেন। বাজেট কী হবে, বাজেটের পরে কী হবে, আমরা সুস্থ থাকব না কি অসুস্থ থাকব, সেটা তো বাজেট দেখার পর আমি উত্তর দিতে পারব।'
সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সম্পদ কেলেঙ্কারি: সাবেক আইজিপি বেনজীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক
২৯৭ দিন আগে