সমস্যা
অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের সমস্যার মুখে পড়তে হবে পরবর্তী সরকারকে: কুগেলম্যান
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারকে কেবল অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জই না, দেশের বাইরের সমস্যার মুখেও পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কের অনিশ্চয়তা ও আরকান বিদ্রোহীহের নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার সীমান্ত—এসব সংকটকে দেশের বাইরের সমস্যা হিসেবে দেখছেন তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন প্রভাবশালী সাময়িকী ফরেন পলিসির সাউথ এশিয়া ব্রিফে এক লেখায় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর—সেটা যখনই হোক না কেন—ঢাকার জন্য সবকিছু সহজ হয়ে যাবে; বিষয়টি ঠিক এমন না।’
গেল সপ্তাহ ঢাকায় কাটিয়েছেন ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই পরিচালক। এক সময় ঢাকার সর্বত্র শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করা হতো। সবকিছুতে তিনি সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন।
সেই কথা উল্লেখ করে কুগেলম্যান লিখেছেন, ‘দেশজুড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এই নেতার প্রচুর ভাস্কর্য ও ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছিল। জনপরিসরে দেওয়া রাজনীতিবিদদের বক্তৃতায় তার নাম সবসময় স্মরণ করা হতো। কিন্তু আজ তাকে কোথাও পাওয়া যায় না, পুরো শহরজুড়ে এখন কেবল জেন জি বিপ্লবীদের স্মরণ করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ইউএনজি’র ৭৯তম অধিবেশন ড. ইউনূসের সরকারের জন্য বড় সুযোগ: কুগেলম্যান
ঢাকা সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ক্রমাগত অধৈর্য হয়ে পড়ছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন ও শাসন ব্যবস্থায় সংস্কারের উচ্চাভিলাষের অঙ্গীকার করলেও এখন পর্যন্ত তাদের সফলতা উল্লেখ করার মতো না।’
‘জননিরাপত্তার উন্নতি হয়েছে, যদিও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থকদের বিরুদ্ধে কিছুটা প্রতিশোধমূলক সহিংসতা রয়ে গেছে,’ বলেন তিনি।
কুগেলম্যান বলেন, ‘অনেক পুলিশ কর্মকর্তা এখনো কর্মস্থলে যোগ দেননি। গত বছরের আন্দোলনে উজ্জীবিত অ্যাকটিভিস্টরা বিভিন্ন কারণে এখনো রাস্তায় জড়ো হচ্ছেন—আন্দোলন ও বিক্ষোভ করছেন।’
কিন্তু দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়ীসহ অনেক বাংলাদেশিকে এখনো উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন এই গবেষক। বাংলাদেশের অর্থনীতি হোঁচট খাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছর হাসিনা শাসনের পতনের পর থেকে অর্থনীতির ক্রমাগত অবনতি ঘটছে।’
‘মুদ্রাস্ফীতি কমছে, কিন্তু এখনো সেটা দুই অঙ্কের কাছাকাছি। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ছিল দুই শতাংশের নিচে। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাসে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) একাত্তর শতাংশ কমেছে,’ বলেন এই পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞ।
‘এসবের বাইরেও সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে জনগণের কাছে সীমিত তথ্য আছে। যদিও ব্যাংকিং ও সংবিধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু কী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে; তা পরিষ্কার না,’ বলেন কুগেলম্যান।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বলছে যে এ জন্য সময় লাগবে। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন যে দেশের শাসন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছে হাসিনা। এখান থেকে বের হওয়ার সহজ রাস্তা নেই।’
জনগণের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ম্যান্ডেটের ঘাটতি এই সরকারকে দুর্বল করে দেবে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘গেল আগস্টে নতুন প্রশাসনকে স্বাগত জানিয়েছিল দেশের অধিকাংশ মানুষ। কিন্তু এটা কোনো নির্বাচিত সরকার না। যে কারণে এই সরকার যত দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকবে, ততবেশি নির্বাচন দেওয়ার চাপের মুখে পড়বে।’
‘ঢাকায় যে কয়েকজন লোকের সাথে আমার আলাপ হয়েছে, সে অনুসারে বলতে পারি, দুটি গোষ্ঠী এখন নির্বাচন দেখতে চাচ্ছে: ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও সামরিক বাহিনী,’ বলেন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই গবেষক।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘চলতি বছরের শেষ দিকে কিংবা আগামী বছরের জুনে নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক সময়সীমা ঘোষণা করেনি সরকার।’
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা একটি পরিপূর্ণ সংস্কার চাচ্ছেন—এবং নতুন একটি রাজনৈতিক দল গড়তে তাদের আরও সময় দরকার।’ কুগেলম্যান বলেন, ‘যদি সংস্কার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সময়ক্ষেপণ করে, তাহলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে সবকিছু উল্টে দেবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে বাণিজ্যিক ও ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র: কুগেলম্যান
‘এসব অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তার মানে এই নয় যে লোকজন হাসিনার প্রতি স্মৃতিকাতর হয়ে যাচ্ছেন; তাদের কাছে অতীতের নিপীড়নের চেয়ে বর্তমান পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার মতো।’
তিনি বলেন, ‘এখনো চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি—বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে—অধরাই রয়ে গেছে, পাশপাশি মানুষের ধৈর্যও কমে যাচ্ছে।
৩৮ দিন আগে
স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সমস্যাগুলো বুঝতে হলে দায়িত্বশীলতা বুঝতে হবে: উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সমস্যা রয়েছে। সমস্যাগুলো বুঝতে হলে দায়িত্বশীলতা বুঝতে হবে।
তিনি বলেন, এই সমস্যাগুলো বোঝার জন্যই আমাদের এখানে আসা।
আরও পড়ুন: সরকারের উদ্দেশ্য ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা: উপদেষ্টা
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক ও সরকারি হাসপাতালগুলো পরিদর্শন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, দেশের হাসপাতালগুলো বিভিন্ন সংকটের মধ্যে চলছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে আরও উন্নত করে ঢেলে সাজাতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নরসিংদী সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীম, নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক নিয়াজুর রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. সজীব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবু কাউছার সুমন, শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোসতানশির বিল্লাহ, শিবপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চয়ন বালাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পাট, বস্ত্র ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিশ্বব্যাংককে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের
১৭৪ দিন আগে
স্বাস্থ্য বিভাগের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠপর্যায়ে যেসব সমস্যা আছে, তা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। এ সমস্য সমাধানে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবার জন্য যা যা করা দরকার, তা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সবার আগে আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায়ও যদি আমরা উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে সারাদেশ থেকে মানুষ চিকিৎসা নিতে ঢাকামুখী হবে না। আর ঢাকার সাহেবরা বিদেশমুখী হবে না।’
আরও পড়ুন: রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশের প্রত্যেক হাসপাতালে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ২০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়াবেটিস হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকদের মান অন্যান্য উন্নত দেশের চিকিৎসকদের চেয়ে কোনো অংশে কম না। শুধু আমাদের চিকিৎসার মান ও যন্ত্রপাতির উন্নয়ন করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকদের একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, কাগজে কলমে ভুল হলে তা সংশোধন করা সম্ভব। কিন্তু ভুল চিকিৎসা দিলে তা সংশোধন করা সম্ভব হয় না। আমরা দেশের প্রান্তিক এলাকার সাধারণ মানুষের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নতি করতে পারব না।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দীন আহম্মেদ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুর রহমান, পীরগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতালের পরিচালক ফয়জুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা কমিয়ে আনার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২৪৮ দিন আগে
সরকার-নাগরিকের অংশীদারিত্ব তৈরি হলে সমস্যা সমাধান সহজ হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরকার ও নাগরিকের মধ্যে অংশীদারিত্ব তৈরি হলে নাগরিক সমস্যা সমাধান সহজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, সরকার তার কাজ করবে, কিন্তু নাগরিককেও তার দায়িত্বের জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। নাগরিক অধিকার যেমন সংরক্ষণের বিষয় আছে, তেমনি তার দায়িত্ব পালনেরও বিষয় আছে।
আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার র্যাংকিং নির্ধারণ পদ্ধতির ভুল তুলে ধরা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
আরাফাত আরও বলেন, নাগরিকরা তার দায়িত্বের জায়গা থেকে নিজ দায়িত্ব পালন করলে, সরকার আর নাগরিকের মধ্যে একটা অংশীদারিত্ব তৈরি হয়। তখন সমস্যাগুলো অনেক সহজে দূর হয়।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে একটি প্রদর্শনী পরিদর্শনে শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার অভ্যাস পরিহারে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে নগর ভবনের সামনে সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অল্প বৃষ্টি হলে অনেক সময় পানি জমে যায়। এসব এলাকায় ড্রেনেজ লাইনে বিভিন্ন ধরনের বোতল, চিপসের প্যাকেটসহ অন্যান্য বর্জ্য পড়ে থাকে। খালের মধ্যে জাজিম, সোফা, ফ্রিজ, পানি পরিশোধকসহ বড় বড় পরিত্যক্ত জিনিসপত্র পড়ে থাকে। তার কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এসব বর্জ্য যাতে যত্রতত্র ফেলা না হয়, সে জন্য ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জনসচেতনতা তৈরির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য প্রদর্শনী চমৎকার একটি উদ্যোগ। এ কর্মসূচিতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করায় তাদের মধ্যে একটা সচেতনতাবোধ তৈরি হবে এবং তারা এ বিষয়গুলো সমাজের বিভিন্ন জায়গায় বলতে পারবে।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ জনসচেতনতা তৈরির এ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে। শুধু বাংলাদেশ সরকার নয়, আওয়ামী লীগ দলগতভাবে এ উদ্যোগের সঙ্গে আছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
আরও পড়ুন: সংস্কৃতিতে আরও বেশি শ্রম-মেধা বিনিয়োগ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য অধিকার আইনে গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৩০৭ দিন আগে
সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নতুন ধারণা খুঁজতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম পল্লী উন্নয়ন একাডেমিসমূহকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, গ্রামের মানুষকে সংগঠিত করে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে নতুন নতুন ধারণা খুঁজে বের করতে হবে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে পল্লী উন্নয়ন একাডেমিসমূহের সাথে এক মত বিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম।
আরও পড়ুন: নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন। গ্রামের ৬১ শতাংশ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে পল্লী উন্নয়ন একাডেমিগুলো গবেষণার মাধ্যমে নীতি ও তা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়াও তিনি গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্ব বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি পূরণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে তবে তা যতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন যেন সঠিক কাজে লাগে তা তদারকি করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প গুলোর কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো যেন মানুষের জীবনে অর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো উন্নত হওয়ায় শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো সহজ হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৪১৫ দিন আগে
দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরে দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে দেশে একটা কূটনৈতিক সংকট ছিল, নির্বাচনের পর কূটনীতিকরা মন্ত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
কূটনৈতিক সংকট কি কেটে গেছে- এমন প্রশ্নেন জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি কূটনৈতিক সংকট বলব না, আমার মনে হয়, আপনাদের মনে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। আমি সেটাই বলব একটা কূটনৈতিক সংকট হতে পারে। অবশ্যই আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের পরে সে রকম কোনো কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আইনের যেসব সমস্যা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যেসব উন্নয়ন অংশীদার আছে, সেসব উন্নয়ন অংশীজনদের সঙ্গে আইনের প্রয়োগ, আইনের ধারাগুলোর স্পষ্টিকরণ এগুলো সব সময়ই প্রয়োজন হয়। সেসব সমস্যা ও আইনের যে অবকাঠামো সেটা অনেক দিন আগে থেকেই প্রায় এক।
তিনি বলেন, ‘আইনে যেসব পরিবর্তন ভারতে হয়েছে, সেসব পরিবর্তন আমাদের দেশেও সম্ভাবনা আছে কি না এবং আমাদের দেশে আইনে যেসব পরিবর্তন করেছি সেগুলো ভারতে সম্ভাবনা আছে কি না, সে বিষয়ে আমরা সব সময় আলাপ করে থাকি। আজকেও আলাপ করেছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে বিশেষ একটি বিষয়ে আলাপ করেছি, সেটা হলো, ভারতের ভূপালে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১২০৬ জুডিসিয়াল অফিসার ট্রেনিং নিচ্ছেন। প্রায় দুই হাজার ট্রেনিং নেবেন। আমরা দেশে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি করতে যাচ্ছি। সেখানে ভারতের অভিজ্ঞতা আমাদের প্রয়োজন হবে। এসব বিষয় নিয়েই আলাপ-আলোচনা করেছি। আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
৪২১ দিন আগে
প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবিলম্বে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সঠিক সমাধান।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবন মিলনায়তনে 'গণহত্যা ও বিচার: রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের অবস্থান' শীর্ষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাবির সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এ সেমিনার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং এবং তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন ছাড়া আমরা আর কোনো উপায় দেখছি না।
রোহিঙ্গা সংকটের ষষ্ঠ বছর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু শরণার্থীকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা এটি সমাধান নয়, বরং এটি সমস্যা বাড়ানো।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন চালুকে অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
সেমিনারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ এবং সঠিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশ। আমাদের প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্টসহ অনেক গুরুতর সমস্যা রয়েছে। যার সমাধান করার জন্য আমাদের শরণার্থী সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, যখন সামরিক জান্তা তাদের হত্যা করেছিল তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসতে এবং থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। এটি মানবিক আহ্বানের দুর্দান্ত সাড়া ছিল।
তিনি আরও বলেন, যাইহোক এখন আমাদের ২ মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী রয়েছে। তারা যখন প্রথম এসেছিল তখন আমাদের শুরুতে ধর্মান্ধতার মতো কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু আমাদের প্রশাসন খুব সফলতার সঙ্গে সেই সমস্যাগুলো পরিচালনা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা যখন রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে আসি তখন এনজিওর পক্ষ থেকে শুরুতে অনেক আপত্তি ছিল। কারণ ভাসান চর প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় তারা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তবে তারা কিছু দিন পরে আমাদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না। তাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য আরও অনেক কিছু করার আছে। কিছু শরণার্থী স্থানান্তর একটি সমাধান নয়। প্রত্যাবাসনই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান।
মন্ত্রী বলেন, সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ভারত ও চীন যদি হাত মেলায় তাহলে কোনো কিছুই তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে বাধা দেবে না।
ঢাবি ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাসহ তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশংসার দাবি রাখে। বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোও রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য পাঠাচ্ছে যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে এটা চূড়ান্ত সমাধান নয়। আমরা এর সম্পূর্ণ সমাধান চাই। আমরা তাদের নিজেদের দেশে ফিরে দেখতে চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ, মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট স্পেশালিস্ট আসিফ মুনির, প্রফেসর ড. জিয়া রহমান, ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি থাকলে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না: তথ্যমন্ত্রী
৫৭০ দিন আগে
এ অঞ্চলের দেশগুলোর সমস্যা সমাধান করে একসঙ্গে চলতে চায় বাংলাদেশ: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আলোচনা ও যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে বাংলাদেশ এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে চলতে চায়।
তিনি অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে ভালো অনুশীলন ভাগাভাগি করার ওপরও জোর দেন, কারণ বাংলাদেশ এই অঞ্চলে সহযোগিতা চায়।
প্রতিমন্ত্রী শনিবার ঢাকায় ৬ষ্ঠ ‘ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স’-এর ফাঁকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহকারী মন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক তিনটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স-এ অংশগ্রহণকারী নেতারা আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং শেখ হাসিনার অব্যাহত প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মেরিটাইম সেক্টর নিয়ে আরও কাছাকাছি আসতে পারে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
শাহরিয়ার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার অংশীদারদের কাছ থেকে সহায়তা চায়।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফরে জাপানের সঙ্গে চুক্তি ও সই করা যৌথ যোগাযোগের বিষয়টি সরকার খতিয়ে দেখছে, যাতে লক্ষ্যমাত্রাগুলো দ্রুত অনুসরণ করা যায়।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর বর্ধিষ্ণু অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো এশিয়া: শাহরিয়ার আলম
৬৭৫ দিন আগে
ঢাকার যানজট সমস্যা নয়, চ্যালেঞ্জ: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার যানজট মূলত সমস্যা নয়, এটি রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ঢাকায় মানুষ আসছে। এদের নিয়ন্ত্রণ রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ, তাই দরকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা।
আরও পড়ুন: ৩০দিনের বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ ২০২৩) স্থানীয় সময় দুপুরে ওয়াশিংটন ডিসির বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দু’দিনের ট্রান্সপোর্টেশন সামিটের প্রথমদিন শেষে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য মেগা সিটির গণপরিবহন ব্যবস্থার সংকট উত্তরণের উপায় ও জ্বালানি সাশ্রয়ী আগামীর পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হয়েছে, বাস রুটে র্যাশনালাইজেশনের মাধ্যমে সিটি বাস সার্ভিসকে নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে।
মেয়র আতিক বলেন, পরবর্তী ধাপে ঢাকার রাস্তায় জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেলের স্টেশন কেন্দ্রিক করিডোর ব্যবস্থাপনার জন্য ডিএনসিসিকে প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যার ঘনত্ব। ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে চার হাজার ৯০০। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রবেশ করছে। যা নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর।
মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য মাত্র সাত শতাংশ রাস্তা রয়েছে। যেখানে দরকার ন্যূনতম ২৫ শতাংশ। ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের গড় গতি ঘণ্টায় মাত্র ছয় কিলোমিটার, ফলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় বাসের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ৩৩ গুণ বেশি। আমি কিছু স্বল্পমেয়াদি এবং মধ্য মেয়াদি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ঢাকার বাস রুট রেশনালাইজেশনে ২৪টি রুটে ২২টি কোম্পানির বাস পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছি এবং ইতোমধ্যে তিনটি রুট চলমান। শিগগিরই আরও দুইটি রুট চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বল্পমেয়াদী কর্ম পরিকল্পনায় আরও রয়েছে স্কুল বাস চালু, অ্যাপভিত্তিক রাস্তায় কার পার্কিং ইত্যাদি। মিড টার্ম অ্যাকশনের মধ্যে আছে আইসিএম প্রোজেক্ট, ডেডিকেটেড বাস বে তৈরি।
এছাড়াও সম্মেলন থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণপরিবহন ব্যবস্থাপনার জন্য পথচারীবান্ধব ফুটপাত, প্রতিটি সড়কে আলাদা সাইকেল লেন করাসহ বেশকিছু সুপারিশ উঠে আসে।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
৭৩৪ দিন আগে
পাসপোর্ট নবায়ন সমস্যা সমাধানে সৌদি-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ
সৌদি আরবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের যাদের পাসপোর্ট নবায়ন প্রয়োজন তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য রবিবার বাংলাদেশ ও সৌদি আরব একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সফররত সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী ড. নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় বিষয়টি উত্থাপিত হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
সৌদি উপমন্ত্রী দেশটিতে বসবাসরত মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টধারী বাংলাদেশিদের বিষয়টি উত্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
সমস্যা সমাধানে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনেরও প্রস্তাব করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবে একমত হয়ে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আরও বলেন, আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় এসেছে।
তিনি বলেন, ড. নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদ ২০৩০ সালের জন্য নির্ধারিত এক্সপো ইস্যুতে বহুপক্ষীয় ফোরামে সৌদি আরবকে বাংলাদেশের সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সৌদি উপমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, এগুলো বিশ্বের দেশগুলোর অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করেছে।
তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সৌদির সহযোগিতাও চেয়েছেন।
শেখ হাসিনা সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদের জন্য শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. জাভেদ পাটোয়ারী ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট প্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবের আহ্বান সাংবাদিকদের
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
৮৫৭ দিন আগে