কলেজ শিক্ষার্থী
সাঁতার শিখতে এসে শাবিপ্রবির পুকুরে ডুবে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে অর্ণব তালুকদার নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
অর্ণব তালুকদার সিলেট শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুকুরে গোসল করতে নামার পর ডুব দিয়ে আর না উঠলে উপস্থিত লোকজন ডাকাডাকি শুরু করে।
পরে সেখানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সাঁতার শেখার জন্য তিনি হয়ত এসেছিলেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে৷
তিনি বলেন, পুকুরে গোসল না করার জন্য আমরা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলাম৷ পাশে নির্দেশনা ফলকও রয়েছে৷
পুকুরের গভীরতা বেশি থাকায় যে কারো জন্য বিপদজনক হতে পারে। তাই সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান প্রক্টর।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার উত্তর উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ৬৯ রোহিঙ্গা শরণার্থী উদ্ধার
কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজিং করার সময় ডুবে গেল ক্রেন
৭ মাস আগে
ফরিদপুরে ব্রিজের নিচ থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্রিজের নিচ থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সৌরভ মালো (২১) ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মাঝিকান্দি গ্রামের স্বপন মালোর ছেলে। সৌরভ নগরকান্দা মহাবিদ্যালয়ের ডিগ্রি ১ম বর্ষে পড়ালেখা করতেন। পাশাপাশি জেলা শহরের হাজী শরিয়তুল্লাহ মাছ বাজারের আড়তে পার্টটাইম মুহুরির কাজ করতেন।
নিহত সৌরভ মালোর মামাতো ভাই সুজন মালো বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বাসে করে ঢাকা থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেয় সৌরভ। যাত্রাপথে তার মায়ের সঙ্গে কয়েকবার ফোনে কথা হয়। বিকাল ৫টার পরে ভাঙ্গা নেমে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সৌরভ।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় তাকে শহরে না গিয়ে বাড়িতে চলে আসতে বলে তার মা। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পর থেকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি সৌরভকে। পরে পরিবারের লোকজন সৌরভকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভাঙ্গা থানায় জানিয়ে রাতভর তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
সুজন মালো বলেন, শুক্রবার সকালে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ব্রিজের নিচে একটি লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা জানালে গিয়ে দেখা যায় সৌরভের লাশ।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্রিজের নিচে পাথরের ব্লকের উপর থেকে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহালে তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। ইতোমধ্যেই মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পুড়েছে শ্রমিক কলোনির ১৬ কক্ষ
ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
১১ মাস আগে
চুরি হওয়া শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন কলেজ শিক্ষার্থী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আহমদ মেডিকেল থেকে চুরি হওয়া ৪৭ দিনের শিশু ওবায়েদকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন নূর জাহান নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের হালদারপাড়ার সূর্যমুখী কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের পাশ থেকে ওই শিক্ষার্থী শিশুটিকে পেয়ে সদর মডেল থানায় নিয়ে আসেন।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম শিশুটির মা সাবিনা আক্তারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চুরি হওয়ার ৫ ঘণ্টা পর শিশু উদ্ধার
এর আগে রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে নবীনগর উপজেলা সদরের আহমদ মেডিকেল থেকে শিশুটি চুরি হয়।
শিশু ওবায়েদ নবীনগর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মাঝিকাড়া এলাকার কাউসার মিয়া-সাবিনা আক্তার দম্পতির ছেলে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, বিকালে শিশুটিকে জেলা শহরের হালদারপাড়ায় একটি স্কুলের পাশে পড়ে থাকতে দেখে কলেজ শিক্ষার্থী নূর জাহান তাকে উদ্ধার করেন। শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন নূর জাহান। পরে কনস্টেবল তানিয়াকে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে চুরি: সিরাজগঞ্জে জীবিত-মৃত ২ শিশু উদ্ধার
শিক্ষার্থী নূর জাহান জানান, লকডাউনের কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে তার বড়বোন সাথী আক্তারের বাসায় বেড়াতে আসেন। রবিবার বিকেলে হালদারপাড়া যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে একটি শিশু চিৎকার করতে দেখেন নূর জাহান। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যান।
শিশু নিখোঁজের বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ জানান, রবিবার দুপুরে সাবিনা আক্তার শিশুটিকে কোলে নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালটিতে চিকিৎসার জন্য আসেন। সেখানে চিকিৎসক তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে আল্ট্রসনোগ্রাফি কক্ষে ঢোকার আগে সাবিনা আক্তার তার সন্তানকে পাশে বসা এক অপরিচিত নারীর কোলে দিয়ে যান। আল্ট্রাসনোগ্রাফি কক্ষ থেকে বের হয়ে দেখেন নবজাতক শিশুসহ অপরিচিত নারী উধাও।
নিজের শিশুকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত মা সাবিনা আক্তার।
আরও পড়ুন: শিশু অপহরণের দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
৩ বছর আগে
মগবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর মগবাজারে শনিবার ট্রেনে কাটা পড়ে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষাথীর মৃত্যু হয়েছে।
৩ বছর আগে