দ্বিপক্ষীয়
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে নেপালের কাঠমান্ডুতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি দপ্তর সিংহ দরবারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দীর্ঘদিনের পারস্পরিক সুসম্পর্ক, জলবায়ু পরিবর্তনে দুই দেশের সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র, বিদ্যুৎ বাণিজ্যসহ অন্যান্য সম্ভাবনা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তিন দেশের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পৃথক বৈঠক
বৈঠকে এই অঞ্চলে পরিবেশ ও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও নেপালের যৌথ অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়।
পরিবেশগত বিভিন্ন উদ্যোগে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বিষয়ে আলোচনা করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রী।
তারা নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন ও জলবায়ু সহিষ্ণুতার কৌশলগুলোতে জ্ঞান বিনিময় এবং সর্বোত্তম অনুশীলনে পারস্পরিক আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক নেপালি শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া নেপালের প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়নে নেপালের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ সময় পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী পরিবেশগত সহিষ্ণুতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু ফোরামে সক্রিয় ভূমিকার উল্লেখ করেন।
এছাড়া পরিবেশমন্ত্রী জোরদার দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা থেকে উভয় দেশের উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার দিকে বৈঠকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. রূপক সাপকোটা, প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. জনপ্রিয় কোমল ভুসাল, নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী, নেপালের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. গোবিন্দ প্রসাদ শর্মা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবিরসহ নেপাল সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অংশীদারিত্ব সংলাপ আয়োজনে জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা পর্যায়ে প্রথম বৈঠক করেছে বাংলাদেশ-জিসিসি
উপজেলা নির্বাচন: সিরাজগঞ্জে প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক, ৫ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
৭ মাস আগে
পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
উগান্ডার কাম্পালায় ১৯-২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কয়েক দফা বৈঠক করেন।
তিনি নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদ, বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেমোগাং কোয়াপে এবং বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই আলেইনিকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া কাম্পালায় কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখ এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার পাহালা নুগ্রহা মনসুরির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
তারা বাংলাদেশের নতুন সরকার ও বিশেষ করে ড. হাছান মাহমুদকে তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করায় অভিনন্দন জানান।
এসব বৈঠকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক জোরদারসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।
শনিবার ও রবিবার তার আরও কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৪ সালের ২১-২২ জানুয়ারির জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং জি-৭৭’র দক্ষিণ সম্মেলনে (সাউথ সামিট) বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ এ মুহিত এবং কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ তারেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
শ্রমবাজার ইস্যুতে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
১১ মাস আগে
নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে: ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেছেন, তিন বছর পর তার সাম্প্রতিক ভারত সফর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ভারতে তার সরকারি সফর নিয়ে বুধবার বিকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা গোটা সফরজুড়ে ভালো প্রতিবেশী হিসেবে সমতা ও সম্মানের ভিত্তিতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ভারতের আন্তরিকতা ও অঙ্গীকার লক্ষ্য করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে তার সফরের সময় (৫-৮ সেপ্টেম্বর) গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা বাস্তবায়িত হলে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সর্বোপরি পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে, এই সফর উভয় দেশকে একটি নতুন পথে এগিয়ে যাওয়াকে ত্বরান্বিত করবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি উভয় দেশের
জনগণের কল্যাণে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়া শিগগিরই একটি সমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণত হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে উভয়ই আন্তরিকতা তুলে ধরে সমতা ও সম্মানের ভিত্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের পাটপণ্যের ওপর থেকে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সফরের অনেকগুলো অর্জন তুলে ধরেন- কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করতে পারবে, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ঐকমত্য, ভারত ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ও অন্যান্য আন্তসীমান্ত রেল যোগাযোগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হওয়া এবং চিনি, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি বন্ধ করার আগে বাংলাদেশকে আগাম বার্তা দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের মুজিবনগর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পর্যন্ত ঐতিহাসিক ‘স্বাধীনতা সড়ক’ উদ্বোধনের পরিকল্পনার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
অভিন্ন নদীগুলোর দূষণের ক্ষেত্রে নদীগুলোর পরিবেশ ও নাব্যতা উন্নত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া হবে, রেল পরিষেবার মান বাড়ানোর জন্য তথ্য-প্রযু্ক্তির সমাধান বিনিময় এবং ২০২২ সালের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি সাক্ষরের জন্য কাজ শুরু করতে দু’দেশের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সফরকালে, দুই পক্ষ সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সাক্ষর করেছে যার মধ্যে রয়েছে-
সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের আওতায় কুশিয়ারা নদী থেকে বাংলাদেশে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার, বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল (সিএসআইআর) -এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা।
তিনি আরও যোগ করেন, ভারত এবং বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের (বিসিএসআইআর) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, ভারতের ভোপালে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয় (রেলওয়ে বোর্ড), সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে। ভারত এবং রেল মন্ত্রণালয়, ভারতে বাংলাদেশ রেলওয়ে
কর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার, রেল
মন্ত্রণালয় (রেলওয়ে বোর্ড), ভারত সরকার এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আইটি সিস্টেমে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক ভারতীয় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন 'প্রসার ভারতী' এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য এফওআইএস এবং অন্যান্য আইটি অ্যাপ্লিকেশন (বিটিভি) সম্প্রচারে সহযোগিতা এবং বিটিসিএল এবং এনএসআইএল-এর মধ্যে মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার
বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ কুশিয়ারা অভিন্ন নদী থেকে সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের আওতায় ১৫৩ কিউসেক পানি পাবে এবং এর ফলে রহিমপুর লিংক ক্যানেলের মাধ্যমে পাঁচ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা পাবে।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ প্রযুক্তি, সবুজ অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে।
‘আমরা বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে ভারতের প্রস্তাবিত দ্বিতীয় গেটের নির্মাণ কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে সম্মত হয়েছি। এই ভালো কাজটি শুরু করতে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই ভারত সফর করবে,’ তিনি যোগ করেন।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসামের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড থেকে জ্বালানি (ডিজেল) পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে প্রবাহিত হবে।
তিনি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প’ এর অধীনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৯ এপ্রিল, ২০১৮ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়।
‘এই প্রকল্পের আওতায় ভারত সরকারের অর্থায়নে মোট ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার (বাংলাদেশ অংশে ১২৬ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার এবং ভারতীয় অংশে পাঁচ কিলোমিটার) পাইপলাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অংশে ১২৬
দশমিক ৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইনের মধ্যে ১২৫ কিলোমিটার পাইপলাইন সম্পন্ন হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের চাহিদা মেটাতে প্রতিকূল অবস্থায় পাইপলাইন নির্মাণের ফলে জ্বালানি পরিবহন খরচ সাশ্রয় হবে এবং ভারত থেকে সহজে, দ্রুত এবং ডিজেল আমদানি করা যাবে।
পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত
তিনি বলেন, এখন রেলওয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে ভারত থেকে বছরে ৬০-৮০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা হয় এবং একবার
পাইপলাইন নির্মাণ শেষ হলে ভারত থেকে বছরে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে, চলমান প্রকল্পের অধীনে পার্বতীপুরের স্টোরেজ ক্ষমতা ১৫ হাজার মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে স্টোরেজ ক্ষমতা ২৮ হাজার ৮০০ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, জ্বালানির আমদানি উৎসকে বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে জি-টু-জি এর ভিত্তিতে ২০২২ সালের
২৮ আগস্ট ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি জ্বালানি সরবরাহকারী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
এলএনজি আমদানির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা এলাকায় বিপুল গ্যাসের চাহিদার কথা চিন্তা করে সরকার একটি আন্তসীমান্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে
ভারত থেকে বাংলাদেশে রেগ্যাসিফাইড এলএনজি (আরএলএনজি) আমদানির কথা বিবেচনা করছে। শেষ পর্যন্ত, ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেড ( আইওসিএল) এবং এইচ-এনার্জি’র প্রস্তাবের বিপরীতে পেট্রোবাংলা উভয় সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন-বাইন্ডিং সমঝোতা সাক্ষর সই করেছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ভাষা ও সংস্কৃতির মিলের কারণে আমাদের সম্পর্ক গভীর হয়েছে।’
এ ছাড়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ও স্বাধীনতার পর সহযোগিতা এই বন্ধুত্বকে বিশেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২ বছর আগে
স্বাধীনতা দিবসে কেনিয়ার পেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী
কেনিয়ার জামহুরি দিবস (স্বাধীনতা দিবস) উপলক্ষে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়েত্তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে