মাছ
মেঘনায় মাছ ধরার ট্রলারে ‘জলদস্যুদের’ হামলা, ২ জেলে গুলিবিদ্ধ
ভোলার তজুমদ্দিন ও নোয়াখালীর মধ্যবর্তী হুজুরের চর এলাকায় মেঘনা নদীতে জেলেদের দুইটি মাছ ধরার ট্রলারে ‘জলদস্যুরা’ হামলা করেছে। এ সময় দস্যুদের হামলায় দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জেলেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন- ভোলার বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের মো. মফিজলের ছেলে মো. হোসেন মাঝি এবং নোয়াখালীর রামগতি থানার চর আব্দুল্লাহ গ্রামের মো. আব্দুল রশিদের ছেলে মো. সোহেল।
তবে অন্য জেলেরা কোথায় কি অবস্থায় রয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
গুলিবিদ্ধ জেলেরা জানান, তজুমদ্দিনের সোহেল মাঝির ট্রলারের ১০ জন জেলে এবং নোয়াখালীর হোসেন মাঝির ট্রলারের ৬ জেলে রবিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে হুজুরের চর এলাকার মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছিলেন।
ওই সময় হঠাৎ ১০ জনের একটি জলদস্যু বাহিনী তাদের মাছ ধরার ট্রলার দুইটিতে হামলা চালায়। ডাকাতরা এসময় জেলেদের ট্রলারে থাকা মাছ, জাল, তেল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এতে বাধা দিতে চাইলে ডাকাতরা তাদের মারধরসহ গুলি করে। এক পর্যায়ে ডাকাতদের গুলিতে ওই দুই জেলে নদীতে পরে যায়।
র্দীঘসময় নদীতে ভাসতে থাকার পর সোমবার ভোরের দিকে স্থানীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. তায়েবুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ দুইজন এখন আশঙ্কামুক্ত। তাদের শরীরে ৭০/১০০টি ছররা গুলি রয়েছে।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন সরকার জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আহতদের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
তিনি আরও বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু: সহকর্মী
চট্টগ্রামে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন মাওলানা এমদাদুল্লাহ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ মাওলানা এমদাদুল্লাহ (৬০) এর লাশ উদ্ধার করেছে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস।
রবিবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পূর্ব সরফভাটা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীর বাজারের প্রকাশ চিতাখোলার পাশে কর্ণফুলী নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৩৮ ঘন্টা পর মাঝির লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার ভোরে নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এমদাদুল্লাহ। সেখানে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
খোঁজাখুঁজি করার পর না পেয়ে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে প্রায় একঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা কফিল উদ্দীন বলেন, সকাল সাতটার দিকে কর্ণফুলী নদীতে একজন নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৫০ মিনিটের চেষ্টায় লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে উপকূলে ভেসে এসেছে কয়েক হাজার মরা মাছ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য টেক্সাস রাজ্যের উপসাগরীয় উপকূলের একটি সমুদ্র সৈকতে কয়েক হাজার মৃত মেনহাডেন মাছ উপকূলে ভেসে এসেছে। রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই উপসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সমুদ্র সৈকত পার্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপকূলের কুইন্টানা বিচ কাউন্টি পার্ক থেকে প্রায় ৯ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে ব্রাজোস নদীর মুখের কাছে ব্রায়ান বিচের শেষ প্রান্তে মরা মাছগুলো পাওয়া গেছে।
পার্কের কর্মকর্তারা শুক্রবার থেকে উপকূলের পানিতে ভেসে থাকা অসংখ্য মরা মাছের ছবি প্রকাশ করে বলেছেন, অগভীর পানি এবং সূর্যালোকের অভাব উপকূলে অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস করে এই ‘বিপর্যয়’ সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চলমান পরিচ্ছন্নতার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আরও হাজার হাজার মাছ উপকূলে ভেসে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমে জলাশয়ের মাছ মরে যাচ্ছে
অস্ট্রেলিয়ায় তাপদাহে ভেসে আসছে লাখ লাখ মরা মাছ
কক্সবাজার সৈকতে মাছ কুড়ানোর উৎসব!
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমে জলাশয়ের মাছ মরে যাচ্ছে
চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ। বৃষ্টির না হওয়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে খাল, বিল, পুকুর। ফলে বাড়ছে পানির তাপমাত্রা। এই তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গার জলাশয়ের মাছ মরে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মাছচাষিরা।
কই, জিয়লসহ সব ধরনের মাছের রেণু, পোনা মরে যাওয়ার কারণে মাছচাষিদের মধ্যে আহাজারি শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে মাছ চাষ ব্যাহত হবে। মাছের সংকট দেখা দেবে।
মাছের আড়তের পাইকারি বিক্রেতারাও হতাশ। কারণ পর্যাপ্ত মাছ তারা আমদানি করতে পারছেন না। আবার যাও পারছেন, সেই মাছ অধিকাংশ গরমে স্ট্রোক করে মরা। এই অবস্থার জন্য তীব্র লোডশেডিংকে দায়ি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এঅবস্থায় পুকুরে কচুরিপানা দিয়ে পানি ঠাণ্ডা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টিপাত হয়নি। তাপমাত্রা থাকছে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর মাছ চাষের জন্য ২৫ থেকে ৩২ ডিগ্রি আদর্শ তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে মাছ মারা যাচ্ছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন পুকুরে গেলে দেখা যায়, মাছ চাষিরা তাদের মাছ বাঁচানোর পানি সেচসহ নানাভাবে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তারপরও অতিরিক্ত তাপে মরে যাচ্ছে মাছ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ১০০ দিন ও বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ
আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের হালদারপাড়ার মদন হালদার জানান, এই দুই দিনে গরমের কারণে আমাদের প্রায় ৩শ’ মণ মাছ মরে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবার গরমেই এই দুইদিনেই আমাদের ১৫-২০ লাখ টাকা লস।
জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফুলবগাদী গ্রামের জব্বার আলী ফেরি করে গ্রামে গ্রামে মাছ বিক্রি করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার সব থেকে বড় পাইকারি মাছের বাজার শহরের মাছপট্টিতে মাছ পাইকারি দরে কিনতে এসেছেন।
জব্বার আলী বলেন, ‘মাছ মইরে যাইছে, মাছ পাওয়া যাইছে না। গরমে পুকুরের পানির অবস্থা ভালো না, পানি নেই। আবার দাম বেশি।’
আমিরুল নামের একজনের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা মাছপট্টিতে কথা হয়।
তিনি বলেন, ‘পানি নেই, পানি হলি মাছের দাম কম হবে। এতি করে চাষিরাও বাচবে, যারা ফোড়ে তারাও বাঁচবে। মিয়ারাও বাঁচবে। তাড়াতাড়ি পানি হোক।’
মাছচাষি মো. আমানউল্লাহ বলেন, ‘আমার দুইটি পুকুর রয়েছে। একটা এক বিঘার। আরেকটা ৭ বিঘার খননের কাজ চলছে। কিন্তু এ বছর পুকুরের মাছগুলো বাচিঁয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। স্যালোমেশিন দিয়ে পুকুরে পানি দিচ্ছি। যে পাওয়ার পাম্প মেশিন কিনেছি, তাতে ঠিকঠাক পানি উঠছে না। গরমে মাছ ছটফট করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবগুলো পুকুরের পানিই তলানিতে নেমেছে। প্রচণ্ড গরমে মাছের রোগ দেখা দিচ্ছে। আমরা চুনসহ শ্যালো চালিয়ে পুকুরে পানির উচ্চতা বাড়াচ্ছি। সময় না হলেও কিছু মাছ তুলে বিক্রিও করে দিয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ জেলায় প্রায় ১১ হাজারের বেশি পুকুর রয়েছে। যার জলকরের আয়তন প্রায় ২৭ হাজার হেক্টর জমি। আর পুরো জেলায় ৬৫ হাজার হেক্টরের বেশি জলকর রয়েছে।
এছাড়া এ জেলায় ১২ নদী ও ১০টি হাওড় আছে। যেখানে চাষ ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবেই মাছ পাওয়া যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বার্ষিক উৎপাদন ২৩ হাজার ৭৪১ মেট্রিক টন লক্ষ মাত্রা রয়েছে।
তবে এবার গরমের কারণে উৎপাদন কম হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে লক্ষযমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে মিলল সাকার মাছ
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু ২০ মে থেকে: মন্ত্রণালয়
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিগত বছরের মতো, সরকার মাছের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে এই সময়কালে সব ধরনের লোনা পানির মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। সমস্ত বাণিজ্যিক ট্রলারকে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় মার্চ-এপ্রিল সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ
আজ থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ
অস্ট্রেলিয়ায় তাপদাহে ভেসে আসছে লাখ লাখ মরা মাছ
দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় কয়েক মিলিয়ন মাছ মৃত অবস্থায় ভেসে উঠেছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এবং বিজ্ঞানীরা বলছেন যে সাম্প্রতিক বন্যা এবং গরম আবহাওয়ার পরে নদীতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মেনিন্ডি শহরের আউটব্যাক শহরের বাসিন্দারা মৃত মাছের ভয়ানক গন্ধ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় প্রকৃতির ফটোগ্রাফার জিওফ লুনি বলেছেন, ‘গন্ধ ভয়ানক ছিল, আমাকেও প্রায় একটি মুখোশ পরতে হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। উপরের দিকের সেই পানিশহরের জন্য আমাদের পাম্পিং স্টেশনে নেমে আসে। মেনিন্ডির উত্তরের বাসিন্দারা বলছে যে নদীর সর্বত্র কড এবং পার্চ ভাসছে।
প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজ ডিপার্টমেন্ট বলেছে যে, বন্যা কমে যাওয়ার কারণে সম্ভবত অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে মাছের মৃত্যু হয়েছে। উষ্ণ আবহাওয়ায় মাছের আরও অক্সিজেনের প্রয়োজন হওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
পুলিশ এই সপ্তাহে একটি ব্যাপক পরিচ্ছন্নতার সমন্বয় করতে মেনিন্দিতে একটি জরুরি অপারেশন সেন্টার চালু করেছে।
স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন কন্ট্রোলার পিটার থারটেল বলেছেন, অবিলম্বে বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ওপর গুরুত্ব ছিল।
তিনি বলেন, ‘বাসিন্দাদের উদ্বেগের কোন প্রয়োজন নেই কারণ প্রাথমিক মূল্যায়নে মেনিন্দি টাউনশিপ এবং তার চারপাশের এলাকায় পানি সরবরাহ বজায় রাখতে একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাকার মাছ নিষিদ্ধ করেছে সরকার
রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোও এলাকায় দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য যেখানে সম্ভব উচ্চ-মানের পানি ছেড়ে দেয়া শুরু করেছে।
মেনিন্ডির বাসিন্দা জ্যান ডেনিং বলেছেন, ‘আমরা সবেমাত্র পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি। তারপরে এটি ঘটেছে। এটি এমন যে আপনি একটি শুকনো জগাখিচুড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং তারপরে আপনি এই গন্ধের গন্ধ পাচ্ছেন। এটি একটি ভয়ানক গন্ধ এবং এই সমস্ত মৃত মাছ দেখতে ভয়ঙ্কর।’
সাম্প্রতিক সপ্তাহে ডার্লিং-বাকা নদীতে ব্যাপক মাছ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে একই স্থানে কয়েক হাজার মাছ পাওয়া গিয়েছিল, যখন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং ভিক্টোরিয়া রাজ্যের সীমান্তের কাছে পুনকারি এলাকায় মৃত মাছের অনেকগুলো খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ২০১৮ সালের শেষের দিকে এবং ২০১৯ সালের শুরুর দিকে তীব্র খরা পরিস্থিতির সময় মেনিন্দিতে নদীতে প্রচুর মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা অনুমান করেছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন মাছের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুই ভোল মাছ সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি!
কক্সবাজার সৈকতে মাছ কুড়ানোর উৎসব!
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। পর্যটক ও স্থানীয়রা মাছ কুড়ানোর উৎসবে মেতে উঠে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কক্সবাজার সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্ট, কবিতা চত্বর পয়েন্টে ভাসতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও কুড়িয়ে নেয় এসব মাছ।
জেলা প্রশাসনের বীচ কর্মী মো. বেলাল জানান, সকালে হঠাৎ করে সাগর থেকে মাছ ভেসে আসে। প্রায় দেড় কিলোমিটার সৈকত মাছে মাছে ভরে যায়। অনেক মাছ সমুদ্রে ভাসমান রয়েছে। সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা মাছ কুড়িয়ে নেয়। অন্যদিকে খবর পেয়ে স্থানীয়রা বস্তা সহ নানা পাত্র নিয়ে এসে মাছ কুড়িয়ে নেয়। সৈকতে মাছ কুড়ানো উৎসবে পরিণত হয়।
নরসিংদী থেকে আসা পর্যটক ইকবাল হোসেন তার বন্ধু মিরাজ উদ্দিন জানান, সৈকতে হাজার হাজার মাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব মাছ কুড়িয়ে নিতে মজা লেগেছে। প্রায় ৩০ কেজির মতো মাছ কুড়িয়েছি। কুড়ানোর পর এসব মাছ স্থানীয়দের দিয়ে দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: নারী পর্যটকের জন্য কক্সবাজার সৈকতে বিশেষ জোন
কি কারণে এসব মাছ সাগর থেকে ভেসে এসেছে তা জানিয়ে মাছের ট্রলারে থাকা রহিম মিয়া নামের এক জেলে জানান, সমুদ্রে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মাছ জেলেদের টানা জালে আটকা পড়ে। পরে এসব মাছ ট্রলারে টেনে তোলার চেষ্টা করলে তা ট্রলারে তোলা সম্ভব হয়নি। এক সময় মাছসহ জাল ট্রলার থেকে ছিটকে যায়। তখন এসব মাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে সৈকতে ভেসে আসে।
তিনি আরও জানান, জালে প্রায় ছয়টি ট্রলারের সমান মাছ ধরা পড়ে। প্রায় তিন শ’ টনের মতো মাছ হবে।
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে আনসার সদস্যের মৃত্যু
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মাছ ধরতে গিয়ে বড়াল নদে পড়ে এক আনসার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ইউএনও পার্ক এলাকায় বড়াল নদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাদেকুল ইসলামের বাড়ি পৌর এলাকার দক্ষিণ মুরাদপুরে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে সাদেকুল জাল নিয়ে বাগাতিপাড়া ইউএনও পার্ক সংলগ্ন বড়াল নদের মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে পা ফসকে পানিতে পড়ে যায়। তার সঙ্গে থাকা অন্যরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পানিতে তল্লাশি চালিয়ে সাদেকুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মতলব দক্ষিণে খেলতে খেলতে খাদের পানিতে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাটে জোয়ারের পানিতে পড়ে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে
ছোট বোন শেখ রেহানার সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত নেটিজেনদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের এই মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন জয় করছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে শেয়ার করা প্রধানমন্ত্রী ও তার বোনের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়।
দৌলতদিয়ায় জেলের জালে ৩৮ কেজির বাগাড় মাছ!
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে ৩৮ কেজি ওজনের একটি বিপন্ন প্রজাতির বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে আক্কাছ শেখ নামের এক জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
আক্কাছ শেখের বাড়ি পাবনার ঢালারচর এলাকায়। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ প্রতিকেজি এক হাজার ৩০০ টাকা দরে মোট ৪৯ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি কেনেন। এবং তিনি আবার প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা দরে মোট ৫১ হাজার ৩০০ টাকা বিক্রি করেন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, শনিবার সকালে জেলে আক্কাছ শেখের জালে বাগাড় মাছটি ধরা পড়ে। দৌলতদিয়া ছয় নম্বর ফেরি ঘাটে আনলে আড়তদার বাবু সরদার ওজন দিয়ে দেখেন ৩৮ কেজি হয়েছে। বিশাল বাগাড়টি তিনি নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ এক হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে কেনেন।
মাছটির ক্রেতা শাহজাহান শেখ বলেন,সকাল ১০টার দিকে নদীতে বড় বাগাড় মাছ ধরা পড়ার খবর পাই। ছয় নম্বর ফেরি ঘাটে বাগাড়টি নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এক হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে ৪৯ হাজার ৪০০ টাকায় কিনে নেই। পরে ঢাকার গুলশান এলাকার মনির খান নামের ঠিকাদারের কাছে কেজি প্রতি ৫০ টাকায় লাভে ৫১ হাজার ৩০০ টাকায় মুঠোফোনে বিক্রি করি। দুপুর ১২টার দিকে মাছটি ঢাকার এক পরিবহনে তুলে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ২৪ কেজির বিপন্ন প্রজাতির বাগাড় ২৭ হাজারে বিক্রি