মহান বিজয় দিবস
৭১–এর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে ২৪ বারবার ফিরে আসবে: অধ্যাপক কামরুল আহসান
১৬ ডিসেম্বর—বাঙালি জাতির গৌরব, আত্মপরিচয় ও বিজয়ের দিন। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দিনে জন্ম নেয় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র—বাংলাদেশ। তবে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও গণতন্ত্র, ইতিহাসের বস্তুনিষ্ঠ চর্চা ও শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে।
মহান বিজয় দিবসে এমন বাস্তবতা নিয়ে ইউএনবির সঙ্গে কথা বলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। সাক্ষাৎকারে উপাচার্য বিজয় দিবসের তাৎপর্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা, ২০২৪-পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতা, শিক্ষাব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ এবং তরুণ প্রজন্মের করণীয় নিয়ে তার মতামত তুলে ধরেছেন।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ইউএনবির জাবি প্রতিনিধি যোবায়ের হোসেন জাকির।
বিজয়ের ৫৪ বছর পূর্তিতে এ দিনের তাৎপর্য আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
এই দিনের সবচেয়ে বড় তাৎপর্য হলো, বাংলাদেশ একটি গণতন্ত্রমনা রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রধান প্রতিরোধের জায়গা ছিল জনগণের নির্বাচনি ম্যান্ডেটকে অস্বীকার করা। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা স্বাধিকার, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব—এই তিনটি বিষয়ের মধ্যেই নিহিত। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায় ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই ছিল আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।
বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে?
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গত বছরের মতো এবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রশাসনিক ভবন ও আবাসিক হলসহ বিভিন্ন দপ্তরে আলোকসজ্জা, উন্নত খাবারের ব্যবস্থা।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ও নথিবদ্ধকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিশেষ উদ্যোগ কি আছে?
আমরা চব্বিশের চেতনাকে ধারণ করে একটি আর্ট গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেছি। একইসঙ্গে ওরাল আর্কাইভে ২৪–এর ঘটনাবলী সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। চব্বিশের জন্ম হয়েছে একাত্তরের মধ্য দিয়েই। ১৯৭১–এর পর যে অপূর্ণতা ছিল, সেখান থেকেই ২৪–এর আবির্ভাব। তাই ২৪–কে ধারণ করার পাশাপাশি লালন করাও জরুরি। ৭১–এর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে ২৪ বারবার ফিরে আসবে।
পাঠক্রমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে শক্তিশালী করতে নতুন কোনো কোর্স বা উদ্যোগ কি নেওয়া হচ্ছে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ তাদের কোর্স কনটেন্ট পর্যালোচনা করবে। বিশেষ করে ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের এ বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস না জানার কারণে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমাদের আনুভূমিক ও উল্লম্ব—দুই ধরনের ইতিহাস রয়েছে। ঔপনিবেশিক বাংলায় মুসলমানদের বঞ্চনার ইতিহাস কিংবা উপমহাদেশের মুসলিম চিন্তাবিদদের অবদান যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নতুন কোনো প্রকল্প আছে কি?
আমাদের ক্যাম্পাসে অমর একুশে, শহীদ মিনার, সংশপ্তকসহ ৫২, ৭১ ও ২৪–কে ধারণ করা বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। সম্প্রতি ২৪–এর স্মরণে ‘অদম্য–২৪’ উদ্বোধন করেছি। তবে এগুলো যথেষ্ট নয়। ৭১ ও ২৪–কে স্মরণে রাখতে আরও দৃশ্যমান উদ্যোগ প্রয়োজন। অতীত স্মরণে ব্যর্থতার ফলেই আমরা দীর্ঘ স্বৈরশাসন দেখেছি।
আপনার মূল্যায়নে শিক্ষার্থীরা কি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানছে?
আমার মনে হয়, খুব সীমিতসংখ্যক শিক্ষার্থী ছাড়া অধিকাংশই সঠিক ইতিহাস জানে না। বিভিন্ন সরকার নিজেদের মতাদর্শ অনুযায়ী ইতিহাস উপস্থাপন করেছে। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের পুনরাবৃত্তি না হয়। ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান, তাকে ততটুকুই ন্যায্যভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। তা না হলে আবারও ২৪–এর মতো পরিস্থিতির জন্ম হতে পারে।
নতুন প্রজন্ম ইতিহাস থেকে যথেষ্ট শিক্ষা পাচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?
এ বিষয়ে আমার যথেষ্ট সংশয় আছে। বস্তুনিষ্ঠতার অভাবই এর মূল কারণ। ভুক্তভোগী ও শহীদ পরিবারের সাক্ষাৎকার, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, ওরাল আর্কাইভ এবং স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইতিহাস জানার সুযোগ তৈরি করা গেলে সচেতনতা বাড়বে।
স্বাধীনতার মূল চেতনা আপনার দৃষ্টিতে কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে?
আমরা এখনো বিভাজনের রাজনীতিতে ব্যস্ত। ২৪ সংঘটিত হয়েছে দেড় বছর হলো, অথচ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে পরস্পরের প্রতি বিষোদগার থামেনি। এতে করে আমরা ৭১ ও ২৪—দুটোকেই হারানোর ঝুঁকিতে আছি। বিভাজনের হাজার কারণ থাকলেও ঐক্যের একটি কারণ থাকলে সেটিকেই গ্রহণ করতে হবে। ৭১ ও ২৪–এর মতো জাতি–ধর্ম–বর্ণ–লিঙ্গ নির্বিশেষে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও শিক্ষাব্যবস্থার বড় চ্যালেঞ্জ কী?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় মাধ্যমভিত্তিক বিভাজন রয়েছে—বাংলা, ইংরেজি, মাদ্রাসা ও কারিগরি। এগুলোর মধ্যে ঐক্য তৈরি করতে হবে। শিক্ষাখাতে বাজেট অত্যন্ত কম। আন্তর্জাতিকভাবে যেখানে ৪–৬ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলা হয়, সেখানে আমরা দিচ্ছি ১–২ শতাংশ। শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান ও আর্থিক নিরাপত্তা না থাকায় মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহী হচ্ছে না। শিক্ষা কমিশন গঠন ও আমূল সংস্কার এখন সময়ের দাবি।
একাডেমিক উন্নয়ন ও গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছি এবং ভালো গবেষকদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক গবেষণায় আমাদের অবস্থান শক্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়েও আমরা একাধিকবার দেশের শীর্ষে ছিলাম। এখন শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্যও বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিজয় দিবসে শিক্ষার্থী ও তরুণদের উদ্দেশে আপনার বার্তা কী?
ইতিহাস বলে, গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে তরুণরা। অভিভাবকদের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের উদ্যম—এই দুইয়ের সমন্বয়েই দেশ এগিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ ও পাঠকক্ষে বেশি সময় দিয়ে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে, যেন ভবিষ্যতে তারা দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে।
৫ দিন আগে
স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়: মির্জা ফখরুল
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায় জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তবে গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার শত্রুরা, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একাত্তর সালে অবস্থান নিয়েছিল; আজকে তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়।
‘বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ—তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অটুট রাখবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাল্লাহ।’
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, সেই যুদ্ধ আমরা ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিলাম। এজন্য এদিনটি আমাদের কাছে বিএনপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘আমরা স্বাধীনতার ঘোষকের মাজার জিয়ারত করেছি, শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমরা আজকে শপথ নিয়েছি, আমরা স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখবার জন্য আমাদের যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রাম সবসময় অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ নিয়েছি, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা যে সংগ্রাম করছি, সেটা অবশ্যই আমরা অব্যাহত রাখব; একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসের দিনে আমি আমার দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের পক্ষ থেকে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা শহীদ হয়েছেন—তাদের প্রতি আমরা জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি।
‘একই সঙ্গে আমরা আল্লাহ তালার কাছে প্রার্থনা করছি এদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য যিনি নিরন্তর সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন সেই মহান নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। আমরা তার রোগমুক্তির জন্য পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া চাইছি।’
ফখরুল বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসবেন। তিনি এসে গণতন্ত্রের লড়াইকে আরও বেগবান করবেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহ উদ্দিন আহমদ,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলটির সহযোগী সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দল, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল, ড্যাব ও ছাত্র দলের পক্ষ থেকেও জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা নানা স্লোগান দেন।
এর আগে সকালে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
৬ দিন আগে
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
মহান বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের পর ভোর ৬টা ৫৬ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধান উপদেষ্টা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে। বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধে সংরক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিকসহ পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা জানানোর পর ড. ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সেনা কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।
৬ দিন আগে
চির গৌরবময় মহান বিজয় দিবস আজ
আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ৫৫তম বিজয় দিবস আজ। পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে মুক্ত পাখির মতো মুক্ত আকাশে ডানা মেলার দিন আজ। আজ বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন।
১৯৪৮ সালের বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের সুদীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এবং ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় এই স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ফলে এই দিনটি বীরের জাতি হিসেবে আমাদের আত্মপ্রকাশের দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ভূখণ্ডের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার দিন।
জাতীয় পর্যায়ে এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাংলাদেশে অবস্থনরত বিদেশি কূটনীতিক, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বিজয় দিবসকে ‘জাতীয় গৌরবের প্রতীক ও স্বাধীনতার চূড়ান্ত সাফল্যের স্মারক’ বলে অভিহিত করেছেন।
৬ দিন আগে
আগামীকাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামীকাল (মঙ্গলবার) যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরের কার্যক্রম। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত চালু থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। বন্দর ও কাস্টমসের সকল কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে আগামী বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিজয় দিবসের ছুটিতে দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
৬ দিন আগে
চার স্তরের নিরাপত্তায় শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। পাকিস্তানের শাসন-শোষণ থেকে বাঙালির মুক্তির ৫৪তম বার্ষিকী। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
ইতোমধ্যে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রঙ-তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ এলাকায় গ্রহণ করা হয়েছে চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। এরই মধ্যে ১১ ডিসেম্বর থেকে সব দর্শনার্থীর জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে।
নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে ইতোমধ্যে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার বড় বড় কর্তাব্যক্তিরা একাধিকবার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
রাজধানী ঢাকা থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার মহাসড়কে ১৩টি সেক্টরের মাধ্যমে ৪ হাজার পুলিশের ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর থেকে সাদা পোশাকে এবং ইউনিফর্মে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, যা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে।
এ বিষয়ে ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জনগণ যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কূটনৈতিক কোরের ডিন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে নাম না জানা লাখো শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হবে। পরে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
ঢাকা জেলা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদা পোশাকে চার হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
এদিকে, তথ্য অধিদপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়েছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকার গাবতলী থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো যাবে না। ওইদিন সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে স্মৃতিসৌধের আকর্ষণীয় ফুলের বাগানের কোনোরকম ক্ষতি না করার জন্য সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
৭ দিন আগে
মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে নির্দেশনা
মহান বিজয় দিবস-২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আগামী ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ এলাকার ভেতরে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সরকারি তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতি জানানো হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা স্মৃতিসৌধ ত্যাগ না করা পর্যন্ত, অর্থাৎ সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতি আরও জানানো হয়েছে, দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঢাকার গাবতলী থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার বা ফেস্টুন লাগানো যাবে না। এছাড়া, পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় স্মৃতিসৌধের ফুলের বাগানের কোনো ক্ষতি না করার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে বিশেষভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।
১০ দিন আগে
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিতে বিজিবির শ্রদ্ধা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে এই বীর সন্তানের সমাধিতে বিজিবি মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় প্রথমে শ্রদ্ধা জানান রাঙ্গামাটির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। এরপর রাঙ্গামাটি সেক্টরের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বিউগলের করুণ সুরে এ সময় দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া এই বীর সন্তানকে সশস্ত্র সালাম দেওয়া হয়। পরে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত
এই বীর সন্তানের দেহ শনাক্তকারী ও তাকে সমাহিত করা দয়াল কৃঞ্চ চাকমাকে এ সময় আর্থিক অনুদান দেন বিজিবি রাঙ্গামাটির সেক্টর কমান্ডার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কাপ্তাই জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূইয়া ও বীরেশ্রষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইয়াছিন রানা সোহেলসহ অন্যান্যরা।
৩৭০ দিন আগে
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মাঝে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল থেকে পুনরায় সব কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান তিনি।
৩৭০ দিন আগে
আগামীকাল মহান বিজয় দিবস
আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৫৩তম বর্ষ। হাজার বছরের গর্বিত বাঙালি জাতির বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদ্যাপনের লক্ষ্যে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিন প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনৈতিকগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্থরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে ডিএনসিসির শিশুপার্কে বিনা টিকিটে প্রবেশের সুযোগ
দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বাণী দেবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
এ ছাড়াও দেশের সব জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা (চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্প পণ্যের) আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
সোমবার বিকালে বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ এ ধরনের প্রতিষ্ঠারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দর; ঢাকার সদরঘাট, পগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির বিভিন্ন ঘাট এবং চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বিজয় দিবস উলক্ষে দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘর বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। সিনেমা হলে বিনামূল্যে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র।
আরও পড়ুন: এবার বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজের বদলে বিজয় মেলা হবে
৩৭১ দিন আগে