ক্যারিয়ার
বার্সেলোনা ছাড়ার কারণ ও ক্যারিয়ারের গল্প বললেন নেইমার
২০১৭ সালের ২ আগস্ট, বার্সেলোনাভক্তদের হৃদয়ে আজও দিনটি অমলিন হয়ে আছে। সেদিন লিওনেল মেসির উত্তসূরি হিসেবে যাকে ভাবা হচ্ছিল, সেই নেইমারই ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেন। তারপর থেকে গুঞ্জন ছিল বিশ্বসেরা ফুটবলার হতেই মেসির ছায়া থেকে বের হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে এত বছর পর সেইসব গুঞ্জনে জল ঢেলেছেন এই ব্রাজিলীয় তারকা।
সম্প্রতি ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিওর একটি পডকাস্টে বার্সেলোনা ও পিএসজিতে থাকাকালে নিজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন নেইমার। ওই আলাপচারিতায় উঠে আসে তার বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গটি।
২০১৭ সালে ঠিক কী হয়েছিল, মেসি তোমার (পিএসজিতে) চলে যাওয়ার বিষয়টি কীভাবে নিয়েছিল?— রোমারিওর এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্রাজিলিয়ান প্রিন্স বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, বিশ্বসেরা ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছায় আমি বার্সেলোনা ছাড়িনি।’
‘বার্সায় আমার শেষ সপ্তাহে মেসি নিজেই আমাকে ডেকে বলেছিল— কেন চলে যাচ্ছ? কারণটি যদি এমন হয় যে, তুমি বিশ্বের সেরা ফুটবলার হবে, তাহলে আমিই তোমাকে বিশ্বসেরা বানাব।’
‘আমি মেসিকে বলেছিলাম যে, বিষয়টি তা নয়। এটি ব্যক্তিগত এবং তোমাকে নিয়ে আমার মধ্যে এমন কোনোকিছু নেই।’
পিএসজির বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব যে অনেকটাই প্রভাবিত করেছিল, তা স্বীকার করে নেইমার বলেন, ‘ওদের প্রস্তাবটি বার্সেলোনায় আমি যা উপার্জন করতাম, তার চেয়ে অনেক বড় ছিল।’
‘তাছাড়া নতুন দলে (পিএসজিতে) বেশ কয়েকজন ব্রাজিলীয় ফুটবলার ছিল। সেখানে আগে থেকেই থিয়াগো সিলভা ছিল। দানি আলভেস মাত্রই যোগ দিয়েছে তখন, আর মার্কিনিয়োস ও লুকাস (মৌরা) আমার বন্ধু। আমি ওদের সঙ্গে খেলতে চেয়েছিলাম।’
‘নিজেকে বলেছিলাম, আমার চারপাশে কিছু ব্রাজিলীয় (ফুটবলার) চাই। বার্সায় এখন আর কোনো ব্রাজিলীয় নেই।’
নেইমারের কথায়, ‘মেসিকে আমি আরও বলেছিলাম— আমি যাচ্ছি, একটা চান্স নিয়েই দেখি। তবে বিশ্বসেরা হতে আমি তাকে (মেসি) ছেড়েছি, কথাটা ঠিক নয়।’
৬৩ দিন আগে
ঢাকার কোথায় কফি বানানোর কোর্স করবেন? জেনে নিন কয়েকটি বারিস্তা ট্রেনিং সেন্টার
উদ্যোগী দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিদেশে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠা; দুয়ের মধ্যে একটি সাধারণ ব্যাপার হচ্ছে নতুন সংস্কৃতি বা পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। দেশের ভেতরেও সময়ের বিবর্তনে যখন নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে সংস্কৃতির সংমিশ্রণ ঘটে, তখনও এই দক্ষতার দরকার হয়।
২১ শতকের সূচনালগ্ন থেকে বাংলাদেশে যুগান্তকারি বিকাশ ঘটেছে কফি সংস্কৃতির। প্রথম দিকে অন্যান্য পানীয়ের সঙ্গে বাজারজাত করা হলেও বর্তমানে কফির রয়েছে স্বতন্ত্র বাজার। শুধু তাই নয়, কফি তৈরির শিল্পও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ সমাদর পাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গুরুত্ব পাচ্ছে কফি বানানোর প্রশিক্ষণ গ্রহণের। ইতিপূর্বে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বারিস্তা প্রশিক্ষণ চালু করে যথেষ্ট সাড়া পেয়েছে। চলুন, সেগুলোর মধ্য থেকে ঢাকার প্রসিদ্ধ কয়েকটি বারিস্তা ট্রেনিং সেন্টারের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কফি বানানো শেখার জন্য ঢাকার প্রসিদ্ধ কয়েকটি ট্রেনিং সেন্টার
.
বিন্স এ্যান বেরিস
বিশ্ব জুড়ে লিকার, চিনি ও ফলের সিরাপ ও মন্ড তৈরিতে বিখ্যাত একটি নাম মোনিন। ফরাসি ব্র্যান্ডটির পণ্যগুলো ব্যবহৃত হয় বিশ্বের নামকড়া হোটেল-রেস্টুরেন্ট এবং বার-এ। বাংলাদেশে মোনিনের একমাত্র ডিস্ট্রিবিউটর হচ্ছে বিন্স এ্যান বেরিস (বিএনবি)। বেভারিজ পণ্য নিয়ে ব্যবসার পাশাপাশি এদের গুরুত্বপূর্ণ একটি সেবা হচ্ছে বারিস্তা প্রশিক্ষণ। এখানে এসপ্রেসো, আমেরিকানো, ক্যাপুচিনো, ল্যাটে ও মোচার মতো বিভিন্ন ধরনের কফি বানানোর পদ্ধতি শেখানো হয়।
আরো পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০ কফি
প্রফেশনাল বারিস্তা কোর্সের জন্য ফি নেওয়া হয় ১৪ হাজার ৫০০ টাকা আর অগ্রিম বারিস্তা কোর্স-এ ১০ হাজার ৫০০ টাকা। বরফ চা, লেমনেড, মোজিটো, মকটেল, স্মুদি ও ফ্র্যাপের মতো পানীয়ের জন্যও একই কোর্স রয়েছে।
প্রশিক্ষণে সরাসরি বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য মোনিন স্টুডিও একটি উৎকৃষ্ট স্থান। এখানে ড্রিঙ্ক্স তৈরির এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো দিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ক্লাসের পাশাপাশি, অংশগ্রহণকারীরা পর্যাপ্ত সময় এবং সুযোগ পেয়ে থাকে অনুশীলন করার জন্য।
প্রশিক্ষকরা সবাই মোনিন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রত্যয়নপ্রাপ্ত। কোর্স শেষে অংশগ্রহণকারীদের প্রদান করা হয় একটি সার্টিফিকেট, যা কফি ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ঠিকানা: মোনিন স্টুডিও, আরএম সেন্টার, ৩এফ, ১০১ গুলশান এভিনিউ, ঢাকা।
আরো পড়ুন: গ্রীন কফি: উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও বানানোর নিয়ম
কফি ট্রেনিং সলিউশন অ্যাট বাংলাদেশ
এটি মূলত রোড ভিউ ক্যাফে রোস্টার্সের একটি স্বতন্ত্র পরিষেবা। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির বিশেষত্ব হলো, এর প্রশিক্ষণসূচীতে গ্রাহক পরিষেবা ও ক্যাফে পরিচালনা অন্তর্ভুক্ত করা। এর ফলে কফি বানানোর কৌশল শেখার পাশাপাশি, একজন প্রশিক্ষণার্থী উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন। এমনকি কোর্স সফলভাবে শেষ করার পর তিনি অন্যদের কফি তৈরি শেখানোর জন্য যোগ্য হয়ে ওঠেন।
কোর্সের শ্রেণিভাগ হলো: বেসিক, প্রোফেশনাল, এবং ল্যাটে আর্ট। কোর্স ফি শুরু হয় ৩,৫০০ টাকা থেকে।যদি কেউ স্বাভাবিক নিয়মে দলবদ্ধভাবে কোর্স না করে, ব্যক্তিগতভাবে প্রশিক্ষণ নিতে চান, তবে সে ব্যবস্থাও রয়েছে। এই ওয়ান-টু-ওয়ান কোর্সে, প্রশিক্ষকের সঙ্গে শুধু একজন প্রশিক্ষণার্থী থাকেন।
কোর্স শেষে প্রদত্ত সার্টিফিকেটটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এদের প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ৬০ শতাংশই আসে দেশে অবস্থিত বিভিন্ন নিয়োগকারী সংস্থা থেকে, যারা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগ করে।
ঠিকানা: নতুন বাজার, সৈয়দনগর অটোস্ট্যান্ড (এক্সিম ব্যাঙ্কের পিছনে), মাদানী এভিনিউ, ঢাকা।ক্যাফে ঠিকানা: ভবন নং- ৬০/এ, রোড নং- ১৩১, গুলশান-১, ঢাকা।
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইন্সটিটিউট
রন্ধনশিল্প এবং তদসংলগ্ন ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে তালিম দেওয়ার ক্ষেত্রে সুপরিচিতি রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট (আইসিআই)-এর। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন উদ্যোগটির প্রবক্তা, বিশ্বখ্যাত ভারতীয় মাস্টারশেফ ড্যানিয়েল চন্দন গোমেজ।
আইসিআই রন্ধনশিল্পের সঙ্গে উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব, এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতার মিশ্রণ ঘটিয়ে কোর্সগুলোকে একটি স্বতন্ত্র পাঠ্যক্রমের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এখানে কোর্সগুলো সাধারণত ১ মাসের দীর্ঘ পরিসরে পরিচালিত হয়।
কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে:
· গ্লোবাল রন্ধনশিল্পে ডিপ্লোমা,
· বারিস্তা,
· মকটেল,
· বেকারি এবং প্যাটিসারি পেশাগত প্রশিক্ষণ,
· হোম শেফের ক্যাটারিং কোর্স।
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
এই কোর্সগুলোতে ব্যবহারিক এবং তাত্ত্বিক পাঠের পাশাপাশি রয়েছে পৃথক অনুশীলনের সেশন।কফি পরিবেশন বা বারিস্তা কোর্সের ফি ১৫ হাজার টাকা।
ঠিকানা: ভবন নং- ৮৪ (প্রিমিয়ার ব্যাংক বিল্ডিং), কেএফসির পাশে, লিফটের ৫, রোড নং ৭এ, সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি ১৫, ঢাকা।
বাংলাদেশ স্পেশাল্টি কফি একাডেমি
শুধুমাত্র কফি বানানো প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলাদেশ স্পেশাল্টি কফি একাডেমি (বিডি-এসসিএ)।
এদের প্রাথমিক স্তরের কোর্সগুলো সাধারণত ১ থেকে ২ দিনব্যাপী হয় এবং অ্যাডভান্সড কোর্সগুলো সর্বোচ্চ ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে।
বিডি-এসসিএ কোর্সগুলো হলো:
· বেসিক ও প্রোফেশনাল বারিস্তা কোর্স,
· অ্যাডভান্সড বারিস্তা,
· ল্যাটে আর্ট ডিজাইন।
আরো পড়ুন: পেওনিয়ার থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা বিকাশে আনার পদ্ধতি
এই কোর্সগুলোর মধ্যে এসপ্রেসো তৈরিতে নিখুঁত নিষ্কাশন কৌশল এবং কফির স্বাদকে একটি অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও, পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিভিন্ন ধরণের চোলাই পদ্ধতি।কোর্সের প্রধান সুবিধাগুলো হলো: অতিরিক্ত অনুশীলন, কোর্স শেষে সার্টিফিকেট প্রদান, এবং দেশে প্রসিদ্ধ রেস্টুরেন্টের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তি।
ঠিকানা: ফ্লোর নং- ১, বাড়ি নং- ৭, রোড নং- ৫, ব্লক- ১, বনানী, ঢাকা।
বাংলাদেশ বারিস্তা ট্রেনিং একাডেমি
কফির বীজ নির্বাচন থেকে শুরু করে ল্যাটে আর্ট ও মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ পর্যন্ত, সামগ্রিক বিষয়ে দক্ষতা প্রদান করে বাংলাদেশ বারিস্তা ট্রেনিং একাডেমি (বিবিটিএ)।
এই ট্রেনিং সেন্টারটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যারিস্তা অভিজ্ঞদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তি। প্রশিক্ষকরা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং প্রশিক্ষণের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিত।
আরো পড়ুন: বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
৬৫ দিন আগে
ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
ভিডিও গেমের অনুষঙ্গ উত্থাপিত হলে স্বাভাবিকভাবেই যে বিষয়টি সামনে আসে, তা হলো শিশুদের বিনোদনের মাধ্যম। ধারণাটির সূচনা থেকেই বিনোদনের খোরাক যোগাতে বছরের পর বছর ধরে ব্যবসা করে এসেছে গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের চাহিদার আলোকে গ্রাহক শ্রেণিও সীমাবদ্ধ ছিলো সর্বোচ্চ টিনেজার পর্যন্ত। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে এই দৃশ্যপটে। বিশ্ব জুড়ে গেম খেলা এখন কেবল একটি শখ নয়, বরং অর্থ উপার্জনের একটি বিরাট মাধ্যম। শিশু থেকে বুড়ো সব বয়সের মানুষরাই এখন এই ইন্ডাস্ট্রির অনুগত গ্রাহক। পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৫ সালে এই খাতে ৩১২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে। আয়ের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে ওঠার কারণে অনেকেই রীতিমত ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিচ্ছেন গেমিংকে। চলুন, ভিডিও গেম খেলার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার কয়েকটি উপায় নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের কয়েকটি পদ্ধতি
সর্বপ্রথম যে বিষয়টি অনুধাবন করা জরুরি তা হচ্ছে, এটি কোনো তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়া নয়। যে কোনো পেশার মতো গেমিং থেকে আয়ের জন্যেও প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, নিবেদিত হওয়া এবং গেমিং সম্পর্কে গভীর জ্ঞান। সাম্প্রতিক সময়ে নিম্নোক্ত কার্যক্রমগুলো চমকপ্রদ আয়ের পথ তৈরিতে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।
লাইভ স্ট্রিমিং
একজন গেমার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুপরিচিত এবং সফল উপায়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং। এখানে গেম খেলার পুরো সেশনটিকে সরাসরি দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করা যায়। অন্যান্য যেকোনো লাইভ অনুষ্ঠান উপভোগের মতো এটিও একটি নিত্য-নৈমিত্তিক বিনোদনের উৎস। পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে ঘরে বসে নিজের কম্পিউটার একজন গেম খেলেন আর ঠিক একই সময়ে তা দেখতে পারেন লাখ লাখ উৎসাহীরা। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে তারা সরাসরি লাইক, কমেন্ট, এবং শেয়ারও করতে পারেন।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
এমন অনেকগুলো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে গেমাররা লাইভ স্ট্রিমিং করে আয় করতে পারেন। যেমন- টুইচ, কিক, ইউটিউব গেমিং, ফেসবুক গেমিং এবং ডিলাইভ। এগুলোতে কত দর্শক দেখছেন, গেমারের ফলোয়ার সংখ্যা, লাইক, শেয়ার এবং কমেন্টের উপর নির্ভর করে আয়ের মাপকাঠি নির্ধারিত হয়। সঙ্গত কারণেই এখানে দর্শকদের ধরে রাখতে গেম খেলার পাশাপাশি দরকার হয় আরও কিছু দক্ষতার। সেগুলো হলো-
ভয়েস ওভার বা ধারা বিবরণী: গেমপ্লেতে প্রাসঙ্গিক এবং বিনোদনে ভরপুর ধারা বিবরণী দর্শকদের ধরে রাখার একটি মোক্ষম উপায়। যেমন- গেমিং-এর লাইভ রি-অ্যাকশন দেওয়া, গেমের সুনির্দিষ্ট কৌশল বা চিটকোড প্রদর্শনপূর্বক টিউটোরিয়াল, অথবা দর্শকদের সঙ্গে গেমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চ্যাট করা।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: স্ট্রিমিংটিকে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উপযুক্ত উপায় হচ্ছে অনলাইন মার্কেটিং। আর সোশ্যাল মিডিয়ার বিশ্বে বিপণনের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো। কেননা এখানেই উদ্দিষ্ট দর্শকশ্রেণির এক বিশাল অংশের বিচরণ। এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনটি যত বেশি সংখ্যক দর্শকদের সামনে পৌঁছে, স্ট্রিমিং-এ ভিউ হওয়ার সম্ভাবনাও তত বাড়তে থাকে। আর এরই সঙ্গে উন্মোচন হতে শুরু করে আয়ের পথ।
আরো পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন ছবিটি এআই দিয়ে বানানো কিনা
নেটওয়ার্কিং: ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয়তা গেমারদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া পরিচিতি বাড়ানোর একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। এতে সেই গেমারদের দর্শকদের কাছে এক্সপোজার পাওয়ার পাশাপাশি তার কাছ থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে সফল হওয়ার কার্যকরি টিপস পাওয়া যায়।
পরিসংখ্যানের তথ্যানুযায়ী, ২০২৯ সাল নাগাদ প্রায় ১০৮ কোটি লোক গেমিং লাইভস্ট্রিমের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। ফলে এত বিশাল দর্শকের চাহিদা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বাড়বে ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ ও চ্যানেল মেম্বারশিপের মতো প্ল্যাটফর্মকেন্দ্রিক আয়ের ক্ষেত্র।
গেমিং নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি
গেমিং কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য এক বিশাল প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। প্ল্যাটফর্মটিতে প্রতিদিন ২০ কোটিরও বেশি মানুষ গেমিং ভিডিও দেখেন। বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক সাবস্ক্রাইবকৃত পাঁচটি চ্যানেলের মধ্যে দুটিই গেমিং চ্যানেল। তাই গেমারদের জন্য ইউটিউব যতটা বৈচিত্র্যময় ঠিক ততটাই লাভজনক।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
ইউটিউবে গেমারদের আয়ের পথ তৈরির পদ্ধতি
অ্যাড রেভ্যিনিউ: ভিডিওতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে এই আয়ের ক্ষেত্রটি তৈরি হয়। যত সংখ্যক দর্শক এই বিজ্ঞাপন দেখেন, তাতে ক্লিক করেন কিংবা বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত ওয়েবপেজে গিয়ে কোনো কিছু ক্রয় করলে তা থেকে আয়ের একটি অংশ বরাদ্দ হয় কন্টেন্ট নির্মাতার জন্য। সঙ্গত কারণেই বিজ্ঞাপনগুলো কন্টেন্টের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হয় এবং ভিডিওর সঠিক স্থানে যুক্ত করতে হয়।
ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ: জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে চায়। আর এই জন্য তারা চ্যানেলটির মালিক বা সংশ্লিষ্ট কন্টেন্ট নির্মাতার সঙ্গে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের উপর ভিত্তি করে চুক্তি করে। এই ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ বাবদ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বিজ্ঞাপনটি ভিডিওর কিছু অংশে প্রচার করা হয়। কখনও কখনও কন্টেন্ট নির্মাতারা নিজেরাই ধারা বিবরণীর সময় পণ্যের প্রোমোশন করে দেন।
পেইড প্রোমোশন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: চ্যানেলের ভিডিওগুলোতে গেম, গেমিং গিয়ার বা প্রযুক্তি-সংক্রান্ত পণ্যের প্রচারের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট কমিশন লাভ করা যায়। এখানে যেই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার প্রোমোশন করা হবে তাদের পক্ষ থেকে প্রতি পণ্যের জন্য একটি রেফারেল লিঙ্ক কন্টেন্ট নির্মাতাকে দেওয়া হয়। সেই লিঙ্ক ভিডিওর ভেতরে অথবা ডেসক্রিপশন বক্সে উল্লেখ করা থাকে। অতঃপর দর্শকরা এই লিঙ্কের মাধ্যমে সেই পণ্যের ওয়েবপেজে গিয়ে পণ্যটি ক্রয় করলে আয়ের একটি শতাংশ কন্টেন্ট নির্মাতাকে দেওয়া হয়।
এছাড়া পোস্টকৃত ভিডিওগুলো বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন বা সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্যাম্পেইন চালিয়েও চ্যানেলটি কম সময়ে অধিক সংখ্যক দর্শকের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। পেইড ক্যাম্পেইনের জন্য জনপ্রিয় মার্কেটিং টুলগুলো হচ্ছে গুগল অ্যাড্স, বিং অ্যাড্স, ফেসবুক অ্যাড্স ও ইন্স্টাগ্রাম অ্যাড্স।
আরো পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
সুপার চ্যাট্স এবং মেম্বারশিপ: অনেক সময় নির্মাতা ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি চ্যাট করার সময় অনুদান প্রদানের বার্তা দিতে পারেন। এছাড়া স্রেফ ডেসক্রিপশন বক্সেও ক্রাউড ফান্ডিংয়ের লিঙ্ক রেখে দেওয়া যায়। পরবর্তীতে আগ্রহীরা সেখানে তাদের অনুদান দিতে পারেন। তাছাড়া ভিডিওর বাইরে বিশেষ সুবিধা দিতে নির্মাতারা দর্শকদের কাছ থেকে চ্যানেল মেম্বারশিপ নিতে পারেন। অনেক প্রসিদ্ধ ইউটিউব চ্যানেলে ফি প্রদানের ভিত্তিতে মেম্বারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি তাদের কিছু কিছু ভিডিও দেখার জন্যও অর্থ দিতে হয়।
চ্যানেলকে সম্পূর্ণরূপে আয়ের পর্যায়ে নিতে হলে দর্শকদের চাহিদার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া অপরিহার্য। গেমিংয়ের ক্ষেত্রে মূলত টিউটোরিয়াল, কৌশল নির্দেশিকা বা সাম্প্রতিক গেমের খবর, রি-অ্যাকশন এবং গেম রিলিজগুলো বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে। গেমের সুনির্দিষ্ট সাবটপিক নির্বাচনের পাশাপাশি মানসম্পন্ন কন্টেন্ট নির্মাণ, নতুনত্ব এবং মার্কেটিংয়ের দিকেও নজর রাখা জরুরি।
গেম টেস্টিং
যারা বিশদ আকারে সূক্ষ্মতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণসহ যেকোনো সিস্টেমের অসঙ্গতিগুলো খুঁজে বের করতে পারেন, তাদের জন্য চমৎকার একটি কাজ গেম নিরীক্ষণ। যেকোনো ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার টেস্টিংয়ের মতো এখন গেম টেস্টিংও একটি লাভজনক পেশা। এর জন্য বিভিন্ন ধরণের গেমপ্লের পাশাপাশি কম্পিউটার সহ নানা প্ল্যাটফর্মকেন্দ্রিক গেমের কারিগরি জ্ঞান থাকাও আবশ্যক।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
একজন গেম টেস্টার সাধারণ গেমারের দৃষ্টিকোণ থেকে গেমগুলো খেলার মাধ্যমে এর অসঙ্গতিগুলো খুঁজে বের করেন। অতঃপর সেই ত্রুটিগুলো দূর করে গেমটিকে সাধারণের কাছে আরও সহজ, আরামপ্রদ ও আনন্দদায়ক করে তোলার জন্য পরামর্শ দেন।
বর্তমানে গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো গেমপ্লে, মেকানিক্স এবং গেমের সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গেম টেস্টারদের সম্মানী হিসেবে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ের গিগ-কেন্দ্রিক বা ফ্রিল্যান্স বাজারে চটকদার গিগগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এই গেম টেস্টিং। ফ্রিল্যান্স গিগের সুযোগ দেওয়া যে কোম্পানিগুলো হলো- প্লেটেস্টক্লাউড, বেটা ফ্যামিলি এবং ইউজার টেস্টিং।
চূড়ান্ত পেইড গেমপ্লে টেস্টার হিসেবে নিয়োগের পূর্বে অনেক ক্ষেত্রে প্লেয়ারদের গেমের বেটা টেস্টিং প্রোগ্রামে নিয়োগ দেওয়া হয়। এটি অনেকটা চাকরিতে স্থায়ী হওয়ার পূর্বে ইন্টার্নি বা অন-দ্যা-জব ট্রেনিংয়ের মতো। এখানে মূরত গেমারের গেম নিরীক্ষণের দক্ষতা যাচাই করা হয়।
আরো পড়ুন: শীতকালে গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
গেমিং প্রতিযোগিতা
যারা গেমিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে ইচ্ছুক তাদের পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন গেমিং টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। নগদ আর্থিক পুরস্কার অর্জনের বাইরে এই টুর্নামেন্টগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে গেম প্রতিষ্ঠানগুলো এবং অন্যান্য দক্ষ প্রতিযোগিদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিংয়ের সম্ভাবনা। অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমেই সংঘটিত এই প্রতিযোগিতাগুলো সারা বিশ্বের গেমার, গেম উৎসাহী এবং গেম নির্মাতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
কিছু বৃহৎ এবং প্রসিদ্ধ টুর্নামেন্টগুলো হলো- দ্যা ইন্টারন্যাশনাল (ডোটা ২), লিগ অফ লিজেন্ডস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ও ফোর্টনাইট ওয়ার্ল্ড কাপ।
একটি বড় টুর্নামেন্টে জয়লাভের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে একজন দক্ষ গেমার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। স্পোর্টস ইভেন্টগুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান বা গেমিং সংঘগুলো স্পন্সর করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অধিকারী গেমারদের দিকে তাদের আলাদা নজর থাকে। এর মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে সেই বিজয়ীদের গেম সংক্রান্ত নানা পেশায় চাকররি ক্ষেত্র তৈরি হয়।
আরো পড়ুন: শীতে রুম হিটার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট গেমগুলোতে পারদর্শিতা থাকা অনেক গেমাররা নিজেই পুরো একটি টুর্নামেন্টের পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এটি গেম ডোমেইনে উদ্যোক্তা মনোভাবের নামান্তর। এতে এন্ট্রি ফি, স্পন্সরশিপ ডিল এবং করপোরেট অংশীদারদের মাধ্যমে অর্থায়নের সুযোগ থাকে। বিস্তৃত পরিসরে একটি নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক থাকলে এই টুর্নামেন্টগুলো দীর্ঘমেয়াদে একটি লাভজনক ব্যবসায়িক মডেলে রূপ নেয়।
গেমিং পডকাস্ট তৈরি
সম্প্রতি চিত্তাকর্ষক অনলাইন বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে পডকাস্ট। গেমিং-এর বিস্তৃতি এই মিডিয়া পর্যন্তও চলে এসেছে। গেমাররা তাদের নিজস্ব পডকাস্ট নিয়ে যুক্ত হয়েছে হাল ফ্যাশনের মূল ধারায়। গেম রিভিউ, লাইভ ভাষ্য, ইন্ডাস্ট্রির খবরাখবর, গেম ডেভেলপমেন্ট, রি-অ্যাকশন এবং গেমিং জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাত্কারগুলো স্থান পাচ্ছে গেম পডকাস্টে।
স্পন্সরশিপ ডিল, ফান্ড রাইজিং বা ডোনেশন, সরাসরি পণ্য বিক্রয় বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মতো অনলাইনের সাধারণ পদ্ধতিগুলো এখন পডকাস্টের সঙ্গেও জুড়ে গেছে। তাই এই প্ল্যাটফর্মটিও আয়ের একটি লাভজনক ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
আরো পড়ুন: শীতে ঘরের শুষ্কতা দূর করতে হিউমিডিফায়ার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম
বাজস্প্রাউট, স্পটিফাই, পডবিনের মতো স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি ইউটিউবের মতো ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটও পডকাস্ট হোস্ট করছে।
গেম নিয়ে ব্লগিং
ইউটিউব চ্যানেল যেখানে কাজ করে শুধুমাত্র ভিডিও নিয়ে, ব্লগিং সেখানে গুরুত্ব দেয় লিখিত কন্টেন্টকে। অবশ্য এখন একটি ব্লগসাইটকেও টেক্স্ট, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্টের সমন্বয়ে একটি সামগ্রিক প্ল্যাটফর্মে রূপ দেওয়া যায়। এখানেও একইভাবে জনপ্রিয়তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গেমপ্লে পর্যালোচনা, কৌশল বিশ্লেষণ, নতুন গেম বা প্রসিদ্ধ গেমের নতুন ভার্সনের আপডেট ও রি-অ্যাকশন।
এখানেও ব্লগাররা তাদের লিখিত কন্টেন্টকে উপজীব্য করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও অ্যাড রেভিনিউয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারে। এছাড়া নামী-দামী ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে নির্দিষ্ট স্পন্সরশিপের ভিত্তিতে তাদের পণ্য বা সেবার বিষয়ে পোস্ট লেখাও আয়ের একটি উপায়।
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
একটি সফল গেমিং ব্লগের নেপথ্যে প্রধান উপকরণ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান বা এসইও। এর মাধ্যমে গুগল, বিং বা ডাকডাকগো’র মতো বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে ব্লগকে নিয়ে আসা যায়। এতে করে ব্লগে পাঠক সমাগম বেশি হয়। ব্লগে পাঠকদের আনাগোণা যত বেশি হয়, সাইটে থাকা অ্যাড বা রেফারাল লিঙ্কে ক্লিক করা এবং ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ প্রাপ্তির সম্ভাবনা ততই বেশি থাকে। আর এর মধ্য দিয়েই আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পথ সুগম হয়।
শেষাংশ
ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের এই পদ্ধতিগুলোতে সফলতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন দৃঢ় সংকল্প, অধ্যবসায় এবং প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। এগুলোর মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিকাশ ঘটেছে গেমভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল ও ব্লগিংয়ের। শুধুমাত্র কারিগরি দিক থেকে বিশেষজ্ঞরা অগ্রাধিকার পেলেও ইন্ডাস্ট্রিতে পিছিয়ে নেই গেম টেস্টিংও। এই প্রতিটি উপায়ে গেমার শুধু গেমপ্লে করেই ক্ষান্ত হন না। এর পাশাপাশি তাকে যোগাযোগ এবং বিপণনেও মনোযোগী হতে হয়। একই সঙ্গে গেমপ্লেকে দর্শক ও শ্রোতাদের জন্য গ্রহণযোগ্য কন্টেন্টে রূপ দিতে হয়। আর এর পথ ধরে অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে বাড়ছে গেমিং ইভেন্ট।
ফলশ্রুতিতে, আর সব পেশার মতই সৃজনশীল ও উদ্যোগী মনোভাবকেও গেমের ডোমেনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
৬৯ দিন আগে
২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
উত্তরোত্তর ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তি খাতে এক বিপুল সমৃদ্ধির বছর হতে চলেছে ২০২৫। এর সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে চাকরির বাজারে। অধিকাংশ নিয়োগের কর্মযজ্ঞগুলোতে আধিপত্য থাকবে আইটি বা তথ্য-প্রযুক্তিগত দক্ষতার। এআই থেকে শুরু করে সাইবার নিরাপত্তার ব্যবহারিক জ্ঞান ২০২৫-এর পরেও সর্বোচ্চ চাহিদার স্থানটি ধরে রাখবে। চলুন, নতুন বছরের কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন আইটি দক্ষতাগুলো দেখে নেওয়া যাক।
২০২৫ সালে চাহিদার শীর্ষে থাকা ১২টি প্রযুক্তিগত দক্ষতা
ফুল-টাইম চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং নির্বিশেষে যেকোনো ধরনের কর্মক্ষেত্রে উচ্চ-চাহিদাসম্পন্ন আইটি দক্ষতাগুলো নিম্নরূপ:
ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট
ডিজিটালকরণের ধারাবাহিকতায় ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রশাসনের মতো সেক্টরগুলোতে প্রয়োজন হচ্ছে অ্যাপ এবং সফ্টওয়্যার।
বিভিন্ন ধরনের ডেস্কটপ সফ্টওয়্যারের পাশাপাশি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির অপরিহার্য দক্ষতা হলো ফ্রন্ট-অ্যান্ড ও ব্যাক- অ্যান্ড সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট। সঙ্গত কারণেই চাহিদা বাড়ছে ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপারদের, যা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
ক্লাউড কম্পিউটিং
বর্তমানে অধিকাংশ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই রয়েছে অনলাইন বা ক্লাউড অবকাঠামো। এই অনলাইন কাঠামো গঠন ও তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন পড়ছে ক্লাউড আর্কিটেক্ট বা ইঞ্জিনিয়ার। ফলে নিয়োগের সময় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস (এডব্লিউএস), মাইক্রোসফট আজুরে এবং গুগল ক্লাউডের মতো ক্লাউড প্ল্যাটফর্মগুলোতে বাস্তব অভিজ্ঞতাকে। এই দক্ষতাকে কেন্দ্র করে এক অভাবনীয় সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের রূপরেখা তৈরি হয়েছে, যা নিকট ভবিষ্যতে চাকরির বাজারকে নেতৃত্ব দেবে।
ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন
একটি সফ্টওয়্যার বা অ্যাপের ইন্টারফেস, নকশা এবং অপারেশন সহজবোধ্য এবং সার্বজনীন না হলে তার গ্রহণযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়ে। অপরদিকে, একটি সার্বজনীন নকশার কারণে অ্যাপ বা সফ্টওয়্যারটিকে ঘিরে ব্যবহারকারীর ইতিবাচক অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয়। আর এখানেই আসে ইউজার ইন্টারফেস এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন শেখার প্রসঙ্গ। এই দক্ষতার মাধ্যমে আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্মে ফুল-টাইম চাকরি বা ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জনের পথ সুগম হতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তা
বিভিন্ন ছোট-বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও অনলাইন হ্যাকিংয়ের শিকার হয়। শুধু তাই নয়, একজন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টও এই ডিজিটাল বিশ্বে নিরাপদ নয়।ঘনঘন এই সাইবার অপরাধের বৃদ্ধির কারণে, সংস্থা ও মানুষ উভয়েরই অনলাইন ডেটা রক্ষার জন্য দরকার হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। তাই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা, ইথিকাল হ্যাকিং এবং ঝুঁকি যাচাইয়ের দক্ষতা ২০২৫-এ কতটা মূল্যবান হতে যাচ্ছে!
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ডেটা অ্যানালাইসিস এবং বিগ ডেটা
বাস্তবায়নযোগ্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে বিপুল পরিমাণ ডেটার চুলচেরা বিশ্লেষণ জরুরি। এখানে বিশেষত্ব পায় এসকিউএল, পাইথন এবং ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন টুলগুলোর ব্যবহারিক দক্ষতা। ব্যবসা, বিপণন, ব্যাংকিং, ফিন্যান্স ও একাডেমিক গবেষণাসহ বিভিন্ন খাতে আজকাল নিয়োগ হচ্ছে ডেটা অ্যানালিস্ট এবং ডেটা সায়েন্টিস্ট। নতুন বছরে এই ধারা আরও বেগবান হবে।
পেশাদার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি পরিসংখ্যানবিদ, গণিতবিদসহ অন্যান্য সেক্টরের কর্মকর্তারাও এখন ঝুঁকে পড়ছেন এই দক্ষতাগুলো শেখার দিকে।
ডেভঅপ্স এবং অটোমেশন
খাবারের দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় কল-কারখানায় কম সময়ে উৎপাদন বাড়াতে অটোমেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রত্যেকটি ইন্ডাস্ট্রির ব্যবহৃত সফ্টওয়্যারগুলো কাজের ধরণ অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। এগুলোর চালনার ক্ষেত্রে সুবিধা পেতে হলে ডেভঅপ্স অনুশীলন এবং অটোমেশন সরঞ্জামগুলোতে সিদ্ধহস্ত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাক্টরি নির্ভর কর্মসংস্থানগুলোতে ইতোমধ্যে এর এক বিশাল অবস্থান তৈরি হয়েছে, যা সামনের বছরগুলোতে আরও প্রসারিত হবে।
এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি (এআর/ভিআর)
গেমিং, ই-স্পোর্টস এবং বিনোদন ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা এবং ই-কমার্সের মতো বিভিন্ন খাতে বিস্তৃতি পাচ্ছে অগমেন্টেড এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি। তাই গ্রাহকদের সেবা প্রদানে বাস্তব অভিজ্ঞতা তৈরিতে ভিআর প্রযুক্তির দক্ষতা আগামী দিনে ক্রমশ মূল্যবান হয়ে উঠবে।
আরো পড়ুন: শীতকালে গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি)
পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত ডিভাইসের মাধ্যমে স্মার্ট অবকাঠামো ও পণ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত আইওটি ডেভেলপমেন্ট ও সেন্সর প্রযুক্তির দক্ষতা। আগামী বছরগুলোতে স্মার্ট শহর, কারখানা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং, স্মার্ট হোম্স, স্মার্ট গ্রিড, পরিধানযোগ্য জিনিসপত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্ব বাড়বে আইওটি-দক্ষ পেশাদারদের।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মেশিন লার্নিং (এমএল)
প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এআই ও এমএল-এর সন্নিবেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাওয়ায় অনপেক্ষণীয় হয়ে পড়েছে দক্ষ পেশাদারদের উপস্থিতি। এই প্রবণতা ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিংয়ের দক্ষতা বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে প্রয়োগ করা হবে। ব্যবসা, প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা ও ফিন্যান্সের পাশাপাশি আরও নানা খাত এআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ার কারণে বিশ্বব্যাপি চাকরির বাজারে আরও পেশাদারদের প্রয়োজন হচ্ছে।
রোবটিক্স এবং অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
স্বাস্থ্যসেবা, প্রকৌশল, উৎপাদন ও পরিবহনে অভূতপূর্বভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয়করণ ব্যবস্থা। সেই বিবেচনায় বলা যেতে পারে যে, আগামী বছরটি হতে যাচ্ছে রোবটিক্স ও অটোমেশনের বছর। এই পরিপ্রেক্ষিতে পুরো সিস্টেম ডিজাইন, নিয়ন্ত্রণ, এবং স্বয়ংক্রিয়তা বজায় রাখার জন্য রোবটিক্স ও অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রচুর চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।
আরো পড়ুন: শীতে রুম হিটার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও
ব্যবসা, নিউজ পোর্টাল ইত্যাদির ডিজিটালকরণের জন্য সবচেয়ে তাৎপর্যবহুল দুটি বিষয় হচ্ছে এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিং। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা এখন নির্ভর করে কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট টিম ম্যানেজমেন্ট, ইন্টারনেট পাঠকদের পছন্দ-অপছন্দ নিরীক্ষণ এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গ্রাহক ধরে রাখার উপর। এগুলোর প্রতিটি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং পেশাদারের বিশেষত্বের জায়গা। সুতরাং, আসছে বছর নতুন মাত্রায় উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং পেশার।
লো-কোড ও নো-কোড ডেভেলপমেন্ট
একটা সময় ছিল, যখন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি বা ব্যবহারের জন্য আবশ্যিকভাবে একজন আইটি বিশেষজ্ঞেরই দরকার হতো। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ন্যূনতম কোডিং দক্ষতাতেই অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের সুযোগ থাকে। এই কার্যক্রম দ্রুত সমাধান প্রদানের তাগিদে অনলাইন টুলস ব্যবহারে দক্ষ জনগোষ্ঠীর এক বিশাল ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে।
পরিশিষ্ট
পেশাগত ক্ষেত্রে যেখানে সর্বত্র ডিজিটাল রূপান্তর ঘটছে, সেখানে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপযুক্ত হাতিয়ার হলো এই চাহিদাসম্পন্ন প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলো। পরিবর্তনের সঙ্গে এই আলিঙ্গন কেবল ২০২৫-এ নয়, তার পরেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গঠনের জন্য সুদীর্ঘ মাইলফলক স্থাপন করবে।
আরো পড়ুন: শীতে ঘরের শুষ্কতা দূর করতে হিউমিডিফায়ার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম
৮২ দিন আগে
ক্যারিয়ারের রোমাঞ্চকর একটি কাজ ‘বিউটি সার্কাস’: জয়া আহসান
দীর্ঘদিন ‘বিউটি সার্কাস’ নিয়ে আলোচনা চললেও সিনেমাটি ঠিক কবে মুক্তি পাবে তা নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। তবে ভক্তদের সেই অপেক্ষা শেষ হচ্ছে এ মাসেই।
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ১১টি হলে মুক্তি পাবে মাহমুদ দিদার পরিচালিত এই সিনেমা।
রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়াম হলে সিনেমাটি মুক্তির উপলক্ষে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘বিউটি সার্কাস’-এ মূল চরিত্রে অভিনয় করা জয়া আহসান।
আরও পড়ুন: সেরা অভিনেত্রী হিসেবে কলকাতায় সম্মাননা পেলেন জয়া আহসান
এছাড়াও ছিলেন অভিনেতা ফেরদৌস, এবিএম সুমন, সঙ্গীতশিল্পী সুলতানা শারমিন সুমি, পরিচালক মাহমুদ দিদারসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনের সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘বাংলার আবহমান সংস্কৃতি সার্কাস নিয়ে এই সিনেমা। অভিনয় জীবনে এমন কিছু চরিত্র করার সুযোগ আসে যা নতুন অভিজ্ঞতা দেয়।
এই সিনেমার আমার চরিত্রটিও তেমন। অনেক কষ্ট করে কাজটি করেছি। আমার ক্যারিয়ারের রোমাঞ্চকর একটি কাজ ‘বিউটি সার্কাস’। আশা করি সবাই সিনেমাটি দেখবেন।’
২০১৭ সালে নওগাঁর সাপাহার ও মানিকগঞ্জে সার্কাসের বিশালযজ্ঞে ২০০ জনের নির্মাণ সঙ্গী নিয়ে প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসীর অংশগ্রহনে চিত্রধারণের কাজ করেন নির্মাতা। এর জন্য নির্মাতা বিশাল সার্কাস প্যান্ডেল নির্মাণ ও গ্রাম্যমেলার আয়োজন করেন। পরবর্তীতে মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও মহামারি করোনার জন্য পিছিয়ে যায়।
জয়া আহসান ছাড়া ‘বিউটি সার্কাস’-এ আরও অভিনয় করেন ফেরদৌস আহমেদ, তৌকির আহমেদ, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, গাজী রাকায়েত, হুমায়ূন সাধু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেও আমাকে কেউ চিনত না: জয়া আহসান
আবারও জয়া আহসানের হাতে ‘ব্ল্যাক লেডি’
৯১৬ দিন আগে
পেওনিয়ার থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা বিকাশে আনার পদ্ধতি
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে চাহিদা বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা বাংলাদেশে আনার সহজ মাধ্যমের। সেই দিক থেকে ফ্রিল্যান্সারদের যাবতীয় ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে যুগান্তকারী সুযোগ সৃষ্টি করেছে ব্র্যাক ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে বিকাশ। অনলাইন লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ার-এর যে কোন মুদ্রার অর্থ এখন বিকাশে বাংলাদেশি টাকায় আনা যাবে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বিকাশ শুরু করে এই পরিষেবাটি। দেশ জুড়ে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য এই মাধ্যমটি থেকে এখন ফ্রিল্যান্সাররাও উপকৃত হবেন। চলুন, জেনে নেয়া যাক পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার পদ্ধতি।
পেওনিয়ার কি
এটি একটি আমেরিকান আর্থিক লেনদেনের পরিষেবা সংস্থা যা অনলাইনে অর্থ স্থানান্তরের সেবা দিয়ে থাকে।
অ্যাকাউন্টধারীরা ই-ওয়ালেট, বিভিন্ন মুদ্রায় ভার্চুয়াল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং প্রিপেইড মাস্টার ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করতে পারেন। প্রাপ্ত অর্থ যে কোন দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে উত্তোলন করা যায়। এছাড়া পেওনিয়ার ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়। এটি বাংলাদেশ সহ ২০০টি দেশে ১৫০ টিরও বেশি স্থানীয় মুদ্রায় ওয়্যার ট্রান্সফার, অনলাইন পেমেন্ট এবং রিফিলযোগ্য ডেবিট কার্ড পরিষেবা প্রদান করছে।
গুগল, অ্যামাজন, এয়ারবিএনবি-এর মতো কোম্পানিগুলো বিশ্বজুড়ে শত শত অর্থ প্রদানে পেওনিয়ার ব্যবহার করে। এটি র্যাকুটেন ও ওয়ালমার্ট-এর মত ইকমার্স মার্কেটপ্লেস এবং ফাইভার ও ইনভাটো-এর মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে ব্যবহৃত হয়।
পড়ুন: বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
পেওনিয়ার থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা বিকাশ
ধাপে ধাপে পেওনিয়ার থেকে বিকাশ করার পদ্ধতি
১ - প্রথমেই যথারীতি ফোন নাম্বার ও পাঁচ অঙ্কের পিন সংখ্যা দিয়ে বিকাশ অ্যাপ-এ লগইন করতে হবে।
২ - বিকাশের হোম স্ক্রিণ থেকে ‘আরো’ অপশনে যেয়ে সেখান থেকে রেমিটেন্স-এ ক্লিক করতে হবে।
৩ - সাথে সাথে চলে আসবে পেওনিয়ার-এ যাওয়ার অপশনটি। পেওনিয়ারে ক্লিক করলে নতুন স্ক্রিণে পেওনিয়ারের তথ্য চাওয়া হবে।
৪ - এ অংশে যদি পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা না থাকে, তবে এখান থেকেই পেওনিয়ারের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। আর অ্যাকাউন্ট খোলা থাকলে নিচে আপনার পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করুন সিলেক্ট করতে হবে।
পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
৫ - অতঃপর নতুন স্ক্রিণে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে পেওনিয়ারে প্রবেশ করলেই পেওনিয়ারের সাথে বিকাশ সংযুক্ত হয়ে যাবে।
৬ - সফলভাবে সংযুক্ত হওয়ার বার্তা দিয়ে নিচেই গ্রাহকের পেওনিয়ারের আইডি ও ইমেইল নাম্বার দেয়া থাকবে। তার পরেই টাকা আনতে নির্বাচন করুন টাইটেলের নিচে বিভিন্ন মুদ্রায় পেওনিয়ারে জমাকৃত অর্থগুলো উল্লেখ থাকবে। সেখান থেকে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনটি সিলেক্ট করা যাবে।
৭ - এরপর চূড়ান্তভাবে কত টাকা আনা হবে তার পরিমাণ উল্লেখ করে এগিয়ে যান-এ ক্লিক করলেই বিকাশে টাকা চলে আসবে।
এক্ষেত্রে মনে রাখা আবশ্যক যে, লেনদেনের জন্য পেওনিয়ারে অবশ্যই নূন্যতম ১০০০ টাকার সমমানের অর্থ থাকতে হবে। আলাদা করে কোন ফর্ম পূরণের ঝামেলা তো থাকছেই না, বরং যে কোন স্থান থেকে ২৪ ঘন্টা এই সেবাটি পাওয়া যাবে একদম বিনামূল্যে।
পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
শেষাংশ
পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার পদ্ধতির প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং জগতে ও রেমিটেন্স খাতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো। এর ফলে পেশাদার ফ্রিল্যান্সারদের তহবিল ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা দেশে আনার সংশয় কেটে যাওয়ায় ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার সামগ্রিক বাধা দূর হয়ে যাবে। সেই সূত্রে ফ্রিল্যান্সিং-এ আগ্রহ বাড়বে নতুন প্রজন্মের।
পড়ুন: অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
১১৩২ দিন আগে
বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
২১ শতকে বিদেশি ভাষা শিক্ষা একটি অপরিহার্য বিষয়। বিশ্বায়নের গতিশীলতায় বহুজাতি সংস্কৃতিগুলো পরস্পরের সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে সম্প্রদায়গুলো অভ্যস্ত হয়ে উঠছে একে অপরের সাথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগে। উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যত বিশ্ব নেতাদের চিহ্নিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের যাচাই-বাছাই করছে। নিয়োগকর্তারা এমন লোক খুঁজছে যারা বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ফলে নির্দিষ্ট দেশের ভাষা আয়ত্ত্বের মাধ্যমে সে দেশে বৃহত্তর একাডেমিক অর্জনের পাশাপাশি চাকরি ক্ষেত্রেও মিলছে বিস্তর সুযোগ। তাই আজকের ফিচারে থাকছে উন্নত ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক তেমনি কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিদেশি ভাষার কথা।
উন্নত ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক ১০টি বিদেশি ভাষা
ম্যান্ডারিন চাইনিজ
গত দুই দশকে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে ম্যান্ডারিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় পরিণত হয়েছে। উৎপাদন এবং রপ্তানি শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগের উদ্ভব হওয়ায় ম্যান্ডারিনে দক্ষতার চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য অভাবনীয় শিল্পের মধ্যে আছে ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিনান্স এবং লজিস্টিকস।
ম্যান্ডারিন চাইনিজ চীন এবং তাইওয়ানের ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মাতৃভাষা। এছাড়াও ভাষাটি ইন্দোনেশিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, মঙ্গোলিয়া এবং ফিলিপাইনেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সেই সূত্রে সিভিতে ম্যান্ডারিন ভাষার সংযোজন যে কোন প্রার্থীর মান উন্নত করতে পারে।
বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং ঢাকা ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব-এ ম্যান্ডারিন চাইনিজ ভাষা শেখানো হয়।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
জাপানিজ
১২০ মিলিয়নেরও বেশি জাপানিজ ভাষাভাষি মানুষের দেশ জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ইলেকট্রনিক্স এবং অটোমোবাইল শিল্পের অত্যন্ত উন্নত স্তরের অধিষ্ঠিত। সুতরাং গ্যাজেট সম্পর্কিত যে কোন ব্যবসার জন্য জাপানি ভাষা শেখা অবধারিত। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লজিস্টিকসে চাকরির সুযোগের জন্য প্রাসঙ্গিক শিল্প-মান দক্ষতার সাথে জাপানিজ ভাষা দক্ষতার অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং থ্যানেক্স জাপানিজ স্কুল জাপানিজ ভাষা শেখার জন্য সেরা জায়গা।
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
জার্মান
ইউরোপকেন্দ্রিক ক্যারিয়ারে সাফল্যের চাবিকাঠি হচ্ছে জার্মান শেখা। জার্মান ১০০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের কথিত ভাষা। এছাড়াও অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, হল্যান্ড, লিচেনস্টাইন, লুক্সেমবার্গ এবং সুইজারল্যান্ডেও ব্যাপকভাবে জার্মান বলা হয়। ইউরোপের অর্থনীতিতে চতুর্থ বৃহত্তম অবস্থানে রয়েছে জার্মানি। এখানে ফিনান্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানুফ্যাকচার, ডিজাইন বা ফার্মাসিউটিক্যাল্স ক্ষেত্রগুলোতে পেশাদারের চাহিদা প্রচুর।
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে জার্মান শেখার বিস্তর সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে। তন্মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশের জার্মান দূতাবাস স্বীকৃত গোথ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
তুর্কী
বিশ্ব জুড়ে আনুমানিক ৭৫ মিলিয়ন মানুষের মাতৃভাষা তুর্কি যা এটিকে বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি সর্বাধিক কথ্য মাতৃভাষায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তুরস্ক ছাড়াও, তুর্কি-ভাষী আছে বলকান, ককেশাস এবং পশ্চিম ইউরোপে। তুর্কি অভিবাসীদের বৃহত্তম অংশটি বাস করেন জার্মানিতে, যেখানে জার্মানির পরে তুর্কি দ্বিতীয় সর্বাধিক কথ্য ভাষা।
এখানে প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, এনার্জি, ট্যুরিজম, ফিন্যান্স, আইন, ব্যবসার মতো বৈচিত্র্যময় সেক্টরে অসংখ্য ক্যারিয়ারের সুযোগ বিদ্যমান। পাবলিক সেক্টরে কর্মজীবনে আগ্রহীদের জন্য কূটনীতি, বুদ্ধিমত্তা এবং সামরিক ক্ষেত্রগুলোতে সক্রিয়ভাবে নিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেইসাথে শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি এবং ফেলোশিপেরও ব্যবস্থা আছে।
বাংলাদেশে তুর্কী শেখার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
স্প্যানিশ
বিশ্বব্যাপী ৪৮০ মিলিয়নেরও বেশি স্থানীয় ভাষাভাষীদের মধ্যে স্প্যানিশ ২১টি দেশের রাষ্ট্রিয় ভাষা। এটি মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার ক্রমবর্ধমান বাজারে কর্মসংস্থানের সুযোগের গেটওয়ে।
এখানে মানব সম্পদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে মিডিয়া, এবং ব্যাংকিংয়ে। পাশাপাশি চিকিৎসা, সামাজিক, শিক্ষা এবং বিপণনেও বেশ ভালো সুযোগ আছে।
শতকরা ৮৫ ভাগ আমেরিকান নিয়োগকর্তা স্প্যানিশকে সবচেয়ে বেশি চাহিদাযুক্ত বিদেশি ভাষা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন।
অনেকটা ইংরেজির মত হওয়ায় সহজে যে কেউ স্প্যানিশ রপ্ত করতে পারে। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট খন্ডকালীন ও দীর্ঘ মেয়াদে স্প্যানিশ ভাষা শেখা যায়।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
কোরিয়ান
দক্ষিণ কোরিয়া হল বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানির চমৎকার মিলনমেলা এই দেশটি। এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানিকারক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার।
গত দশ বছরে কোরিয়া এশিয়ায় অধ্যায়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। কোরিয়ান-পপ, কোরিয়ান-ড্রামা এবং কোরিয়ান ফ্যাশনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে উত্থান হয়েছে কোরিয়ান ওয়েভ-এর। এছাড়াও কোরিয়া ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্পের নেতৃস্থানীয় শক্তি এবং ইন্টারনেট-সংযুক্ত সমাজের সাথে সবচেয়ে উদ্ভাবনী দেশগুলোর মধ্যে একটি।
বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার-এ কোরিয়ান শেখার সুযোগ আছে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ফরাসি
বিশ্ব রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতির পরিমণ্ডলে প্রবেশ করতে হলে বা আফ্রিকা ভিত্তিক শিল্পে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য ফরাসি ভাষা অবশ্যই প্রথম পছন্দ হতে হবে।
ফরাসি ভাষা ২৯টি দেশের মোট ২২০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের কথ্য ভাষা। আফ্রিকাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই ভাষাটির দ্রুত প্রসার লাভ করছে। কানাডাতেও এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
ফরাসি গুরুত্বপূর্ণ কতক কূটনৈতিক সংস্থা এবং গভর্নিং বডি যেমন জাতিসংঘ, উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), এবং ফুটবল ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) দ্বারা গৃহীত ভাষা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেস প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফরাসি ভাষা শেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
আরবি
তৈল শিল্প, এনার্জি সেক্টর বা হাই-এন্ড কনস্ট্রাকশনের কর্মীদের জন্য আরবি ভাষা দক্ষতা আবশ্যক। বিশ্বের ২৭টি দেশে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন আরবি ভাষাভাষি লোক আছে। এই একটি ভাষা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ক্যারিয়ার তৈরির সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসায়িক সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই ইংরেজির পাশাপাশি আরবি ভাষা শিক্ষা হতে পারে উন্নত ক্যারিয়ারের সেরা মাধ্যম।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশে মসজিদ-মাদ্রাসার আধিক্য থাকায় প্রচুর সুযোগ আছে আরবি শেখার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট ভালো মানের দুটি আরবি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
ইতালিয়ান
ইতালিয়ান ইতালিসহ সান মারিনো, সুইজারল্যান্ড এবং ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রীয় ভাষা। এটি ৬৫ মিলিয়ন লোকের মাতৃভাষা। এছাড়াও বিশ্ব জুড়ে ইতালীয় অভিবাসী এবং তাদের বংশধরদের সংখ্যা প্রায় কয়েক মিলিয়ন।
ফ্যাশন, ডিজাইন, চারুকলা ও সংস্কৃতি, খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন এবং বিতরণ, ফুটবল, বিলাসবহুল গাড়ি শিল্প, এমনকি ভ্যাটিকান ক্যারিয়ারের জন্য ইতালিয়ান শ্রেষ্ঠ ভাষা।
এখানে ইতালিয়ান ভাষা বলা সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে ফিয়াট, ফেরারি, ল্যাম্বোর্গিনি, ও আর্মানি’র মতো বিশ্ব বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোতে।
বাংলাদেশে ইতালিয়ান ভাষা শেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং ঢাকা ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব-এ।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
রাশিয়ান
বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন রাশিয়ান ভাষা ব্যবহারকারিদের মধ্যে বেশিরভাগই বাস করে রাশিয়ায়। বাকিরা সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র যেমন ইউক্রেন, লাটভিয়া এবং কাজাখাস্তানের বাসিন্দা।
রাশিয়ার ক্রমবিকশিত অর্থনীতির নেপথ্যে রয়েছে এর শক্তিশালী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সরবরাহ, খনি এবং তৈল ও এনার্জি সেক্টর।
জার্মানির মতো রাশিয়াও বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত পেশাগুলোতে জনপ্রিয়, তাই যে কোনও উদীয়মান বিজ্ঞানী বা প্রযুক্তিবিদের জন্য রাশিয়া স্বর্গ হতে পারে।
রাশিয়ান ভাষার জন্য উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পদক্ষেপ
পরিশেষে
পারস্পরিক যোগাযোগের দক্ষতা শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রত্যাশিত বিষয়। আর এই দক্ষতার মূলে থাকে ভাষা। কেননা কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের কাছাকাছি পৌঁছার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো তাদের মানুষগুলো যে ভাষায় কথা বলে তাদের সাথে সে ভাষাতেই কথা বলা। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিনা দ্বিধায় বিচরণের জন্য বিদেশি ভাষা শিক্ষা উৎকৃষ্ট হাতিয়ার। এর মাধ্যমেই কোন একটি নির্দিষ্ট দেশের মানুষ পুরোদস্তুর পরিণত হতে পারে বিশ্বের নাগরিকে।
১১৩৬ দিন আগে
মুহূর্তগুলো হয়ত ভুলেই যেতে চাইবেন মুশফিক
খেলা দেখতে গিয়ে এমনটা দেখতে হবে হয়তো কেউই আশা করবেন না। আর মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে তো এমনটা প্রত্যাশারই কথা না। যিনি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম একজন খেলোয়াড়, সাবেক অধিনায়ক এবং জাতীয় দলের অন্যান্য খেলোয়াদের কাছে যিনি পছন্দের তালিকায় রয়েছেন।
১৫৫৮ দিন আগে