কপোতাক্ষ
খুলনায় কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ভাঙন, পাইকগাছার বিস্তৃত এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা
খুলনার পাইকগাছার কপোতাক্ষের বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে কপোতাক্ষ পাড়ের হাচিমপুর আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসিন্দারা। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
গত সোমবার সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খননকৃত মরিচ্চাপ নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে ওই নদীর পানির চাপ পড়ে পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের হাচিমপুর আশ্রয়ন কেন্দ্র সংলগ্ন খননকৃত কপোতাক্ষ নদের বাঁধে।
টানা ৩ দিনের পানির আঘাতে বাঁধে ভয়াবহ ভাঙনের দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বাঁধের ২০০ ফুট এলাকা ভেঙে নদীতে পড়ে গিয়েছে এবং একাধিক স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।
বাঁধে ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ভাঙন রোধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানায় স্থানীয়রা।
দেবদুয়ার গ্রামের তোরাব হোসেন খান বলেন, মরিচ্চাপ নদীর পানির চাপের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
হাচিমপুর আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা বেবী বেগম বলেন, বাঁধ ভেঙে গেলে সর্বপ্রথমে আমরা আবাসনের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমরা ৬০ পরিবার বর্তমানে চরম ঝুঁকিতে রয়েছি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে হাচিমপুর, দেবদুয়ার, শাহপাড়াসহ চাঁদখালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুটি ইটভাটা, আবাসন ও কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
দেবদুয়ার গ্রামের আমিনুর রহমান বলেন, জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার বলেন, যেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে এটি মূল বেড়িবাঁধ নয়। এরপরও এলাকার ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, ভাঙনের বিষয় নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সাতক্ষীরা জেলা ও আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক খোঁজ খবর রাখার পাশাপাশি এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
৩ মাস আগে
কপোতাক্ষ নদ থেকে বিশালাকৃতির শিবলিঙ্গ উদ্ধার!
খুলনার পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদ থেকে একটি বিশালাকৃতির একটি শিবলিঙ্গ মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার কপিলমুনির গোলাবাটি এলাকায় জগদীশ বিশ্বাস (৬০) নামের এক জেলের জালে মূর্তিটি উঠে আসে।
স্থানীয়রা জানান, নোয়াকাটি গ্রামের মৃত সতীশ বিশ্বাসের ছেলে জগদীশ বিশ্বাস শুক্রবার রাতে গোলাবাটি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় পাটায় মাছ ধরতে গেলে তার জালে মূর্তিটি উঠে আসে। তিনি মূর্তিটি উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। রাতেই তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে মূর্তিটি এক নজর দেখার জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে জগদীশ বিশ্বাস মূর্তিটি পাইকগাছা থানায় জমা দেন।
এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, মূর্তিটি থানায় নিলে একটি সাধারণ ডায়েরি করে তা জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:নওগাঁয় পুকুর থেকে ফের কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার
নওগাঁয় ১৫ কোটি টাকার শিবলিঙ্গ উদ্ধার
জঙ্গলের ভেতর থেকে ২০ লাখ টাকা মূল্যের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার
২ বছর আগে
চালু হলো দেশের বৃহৎ গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প
দেশীয় প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়েই শেষ পর্যন্ত সচল হলো দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের রবি মৌসুম। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এ মৌসুমের সেচ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম।
এর আগে পাম্প হাউজের ৩নং পাম্পটি মেরামত করেন দেশীয় অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলীরা।
অটোকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আজাদ জানান, বিদেশি প্রকৌশলীরা যা মেরামত করতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা চেয়েছে সেখানে এরা দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকায় তা মেরামত করে দিয়েছে। একইসঙ্গে ডিজিটাল ট্রান্সমিশনের ব্যবস্থা করেছে এর মাধ্যমে ঢাকা থেকেও বসে সরাসরি পাম্পগুলো কী পরিস্থিতিতে আছে তা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: দেশের জলাশয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়া সাকার মাছ-এর ক্ষতিকর দিক
জিকে পাম্প হাইজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, হাউজের তিনটি পাম্পের মধ্যে আজ একটি চালু করা হয়েছে। আর ১ নংটির কিছু ত্রুটি রয়েছে সেটি মেরামত করে দু-একদিনের মধ্যেই সচল করা যাবে। অন্যটি অর্থাৎ ২ নংটির মেকানিক্যাল সমস্যা হয়েছে। এটিও মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে। একটি পাম্প দিয়ে এখন প্রতি সেকেন্ডে ৬৫০ কিউবিক ফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি খালের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে যেতে আরও দুই দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম বলেন, প্রকৌশলীরা একটি পাম্প সচল করায় প্রকল্পের সক্ষমতা বেড়েছে। এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে। এতে করে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। যদিও খালগুলো ভরাট হয়ে বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতা কমে এসেছে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তম চিনিকল জয়পুরহাট সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরু
২ বছর আগে
বাজারের ময়লা-আর্বজনায় ভরাট হচ্ছে কপোতাক্ষ নদ
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী কপোতাক্ষ নদ ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
৫ বছর আগে