ঝুঁকি
বাংলাদেশে এ মুহূর্তে দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১৬ লাখ টন খাদ্যদ্রব্য মজুদ আছে। তাই এ মুহূর্তে দুর্ভিক্ষ হওয়ার হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই।
মঙ্গলবার সচিবালয় সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। দাম বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটা আমরা বুঝতে পারছি। দাম কমানোর উদ্যোগ হিসেবে চাল আমদানির ওপর শুল্ক মাফ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি শিল্প কারখানা যেন উৎপাদনশীলতার মডেল হয়: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনার প্রভাবে বিশ্ব অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই এ দাম বৃদ্ধি। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।চাল আমদানি উন্মুক্ত করা হলেও, আমদানি করছে না ব্যবসায়ীরা। গম প্রায় পুরোপুরি আমদানি নির্ভর হলেও সেক্ষেত্রেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে চাল এবং গম পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তবে চালসহ পণ্যের দাম আর তেমন বাড়বে না। ২/১ টাকা এদিক সেদিক হতে পারে।
সাধারণ মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে চালসহ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। পণ্যমূল্য কিছুটা বেশি হলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মন্ত্রী বলেন, আসলে কার্পেটের নিচে ধূলা লুকিয়ে রেখে লাভ হবে না। যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাবে সারা পৃথিবীতেই শঙ্কা আছে। অন্যান্য দেশে উৎপাদন অনেক কমেছে, সেটি হলে কিছু করার থাকবে না।
তবে দেশীয় উৎপাদন এখনো যথাযথ রয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
ডিম আমদানির প্রয়োজন নেই: কৃষিমন্ত্রী
তৃতীয় দেশের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল কিনতে পারে বাংলাদেশ
সম্ভাব্য বাণিজ্য ঝুঁকি এড়াতে বাংলাদেশ তৃতীয় কোনো দেশের সহায়তায় রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে পারে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাশিয়ার তেল আমদানিতে প্রতিবেশি ভারত এক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৃতীয় পছন্দের দেশ হতে পারে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাশিয়ার তেল আমদানি করছে। ভারতের আসাম রাজ্যের নুমালিগড় তেল শোধনাগার থেকে পরিশোধিত তেল কেনার বিষয়ে ভারতের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি আছে বাংলাদেশের।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যদি দুই দেশের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি থাকে, তাহলে এই ধরনের ব্যবসা করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, কম খরচে রাশিয়ার তেল আমদানির ঝুঁকি এড়ানোর ভালো উপায় হতে পারে এটি।
একটি রুশ কোম্পানি বাংলাদেশের কাছে সস্তায় পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম; বিশেষ করে ডিজেল বিক্রির প্রস্তাব দেয়ায়, রাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম আমদানির সম্ভাবনার বিষয়টি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আলোচনায় আসে।
মস্কোভিত্তিক রুশ তেল কোম্পানি রুশনেফট সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) প্রতি ব্যারেল পেট্রোলিয়াম ৫৯ ডলারে বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে, বর্তমানে যার বৈশ্বিক বাজার মূল্য ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারের বেশি।
এছাড়া, রুশ কোম্পানিটি পরিবহন খরচসহ পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম এই মূল্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
তবে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ কোম্পানির এই প্রস্তাব সম্পর্কে কিছু জানায়নি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বৃহস্পতিবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত (এ বিষয়ে) কোনো আপডেট নেই।’
বিপিসি সূত্রে জানা যায়, রাশিয়া কাছ থেকে তেল আমদানি করার বিষয়টি, অন্য দেশ থেকে জ্বালানি আমদানির মতো না।
তারা জানায়, বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম আমদানির সম্ভাব্য ঝুঁকি মূল্যায়ন করছে। কারণ এই ধরনের আমদানির ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা ক্ষুব্ধ হতে পারে।
আরও পড়ুন:সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পর থেকে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের আরোপিত বিশাল অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, যদি কোন দেশ সরাসরি রাশিয়ান তেল আমদানি করে তবে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে। তাই এ বিষয়ের যেকোনও পদক্ষেপ শুধুমাত্র বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে না।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ‘রাশিয়ার কাছ থেকে পেট্রোলিয়াম আমদানির প্রস্তাব পাওয়ার পর বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য ঝুঁকি ও বিভিন্ন বিষয় মূল্যায়ন করছে।’
গত ১৬ আগস্ট একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, সরকার রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল, সার ও গম কিনতে চায়।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি তার মূখ্য সচিবকে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দায়িত্ব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারে, আমরা তাদের (রাশিয়া) কাছ থেকে আমাদের নিজস্ব মুদ্রা দিয়ে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করব। কারণ সুইফট বন্ধ এবং ডলারের দাম অনেক বেশি।’
এদিকে পাওয়ার সেলের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সরকার যদি কম দামে ডিজেল আমদানির ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আবার চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার গত ১৯ জুলাই থেকে দেশের ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে এবং ডিজেল আমদানি কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চালু করে।
এক ঘণ্টা এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার কথা থাকলেও সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় একাধারে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং থাকার অভিযোগ করে ভোক্তারা। তাদের দাবি গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরও বেশি সময় ধরে লোডশেডিং চলে।
সরকার ৭ জুলাই থেকে মার্কেট ও শপিংমল রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়।
এছাড়া, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকান, অফিস ও বাড়িতে বিভিন্ন সামাজিক জমায়েতে আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ করা হয়।
সবশেষে বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাস সংরক্ষণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ১১ আগস্ট থেকে শিল্পাঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন ছুটির দিন ঘোষণা করে সরকার।
আরও পড়ুন:জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: বিপাকে ভোলার লক্ষাধিক জেলে
উপকূলীয় ১৫ জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার ঝুঁকিতে
দেশের উপকূলীয় ১৫টি জেলার নিম্নাঞ্চল, উপকূলীয় দ্বীপ ও চরাঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
প্লাবনের আশঙ্কা থাকা জেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।
এছাড়া ঝড়ো আবহাওয়া সামুদ্রিক বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়াও, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা
জলবায়ু অভিবাসীদের ব্যাপারে অপর্যাপ্ত পদক্ষেপ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে: ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি ও শোষণের শিকার কয়েক মিলিয়ন ‘জলবায়ু অভিবাসীর’ ব্যপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছে না।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান আন্তঃসম্পর্কযুক্ত এই বিশ্বে জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে বাস্তুচ্যুতি বিশ্বকে নিরাপত্তা ঝুঁকির দিকে নিয়ে যেতে পারে।’
‘এনভায়রনমেন্ট অব পিস: সিকিউরিং আ জাস্ট এন্ড পিসফুল ট্রানজিশন ইন আ নিউ ইরা অব রিস্ক’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে দেয়া বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তার বক্তব্যে মন্ত্রী জলবায়ু-নিরাপত্তা সম্পর্ক এবং (উদ্ভূত) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি এনফোর্সমেন্ট মেকানিজম সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
শুক্রবার আয়োজিত স্টকহোম+৫০ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সাইডলাইন হিসেবে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) এই বৈঠকের আয়োজন করে।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মোমেন তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত অভিবাসীদের পুনর্বাসনের বোঝা ভাগাভাগি করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন বৈশ্বিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
আসল ফোন চেনার উপায় জানা থাকলে যাবতীয় বিড়ম্বনার অবসান ঘটতে পারে ফোনটি কেনার সময়। সর্বশেষ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ কনফিগারেশনের সেটটি বাজেটের মধ্যে পেতে হলে ফোন যাচাই বাছাই আবশ্যক। বাজারে হাজারো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন থেকে পছন্দের হ্যান্ডসেটটি লুফে নিতে বাজার দরের পাশাপাশি তার কারিগরি জ্ঞানও প্রয়োজন। তবে এর মানে এই নয় যে স্মার্টফোনের ব্যাপারে একদম দক্ষ হতে হবে। এই জ্ঞান মুলত যে ফোনটি কেনা হচ্ছে তা আসল না নকল সে বিষয়ে সাবধানতার দিকে নির্দেশ করছে। অনেক সময় অসকতর্কতার কারণে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সবচেয়ে নামকরা কোম্পানির নকল ফোন কিনে প্রতারিত হতে হয়। তাই সঠিক ফোন চেনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েই আজকের এই নিবন্ধ।
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য
অরিজিনাল ফোনগুলো ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদান করে আইনগতভাবে দেশের বাজারে প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে এগুলোর আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নাম্বার সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়। একই ভাবে দেশের ভেতরে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর আইএমইআই নাম্বারও দেশের মোবাইল ফোন ডাটাবেসে নিবন্ধিত থাকে। স্বভাবতই এই অফিসিয়াল ফোনগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, ভ্যাট-ট্যাক্স না দেয়ার কারণে আমদানিকৃত নকল ফোনগুলোর দাম অপেক্ষাকৃত কম হয়। এই ফোনগুলো অবিকল অফিসিয়াল ফোনের মতোই দেখতে এবং প্রথম দিকে একদম অরিজিনাল ফোনের মতই কাজ করে। কিন্তু পরবর্তীতে ফোন ব্যবহারের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
আনঅফিসিয়াল ফোন কেনার ঝুঁকি
ম্যালওয়্যার অ্যাটাক
একটি নকল মোবাইল সেট ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি যে বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় তা হলো- ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ। এই ম্যালওয়্যার ফোনটি যে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয় সেই নেটওয়ার্ক জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য মোবাইল ফোনকেও সংক্রমিত করে ফেলতে পারে।
এই ম্যালওয়্যারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হলো কী-লগিং। এর মাধ্যমে কোন হ্যাকার যখন ফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়, তখন তারা ফোনটিতে ক্ষতিকারক লিঙ্ক পাঠাতে থাকে। ফোন ব্যবহারকারি সেই লিঙ্কে ক্লিক করা মাত্রই ফোনের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ব্যবহারকারির ব্যক্তিগত তথ্য তার অজান্তেই পাচার হয়ে যায়।
র্যানসমওয়্যারের ঝুঁকি
র্যানসমওয়্যার নকল মোবাইল ফোনে খুব সহজেই গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোকে নষ্ট করে ফেলতে পারে। ফলে ফোন ব্যবহারকারি সেই ফাইলগুলো ব্যবহার করতে পারে না। ম্যালওয়্যারের মত এটিও যে কোন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি ফোনকে সংক্রমিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’র রিয়েলমি ৯ ফোরজি ও সি৩৫
অনিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম (ওএস)
নকল মোবাইল ফোনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে আপডেট হয় না। এর ফলে ফোনটি পূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে না। ওএস ডিভাইসের মডেল, সিপিইউ কোর, র্যাম, স্টোরেজ ইত্যাদির উপর ভুল রিপোর্ট তৈরি করে। ধীরে ধীরে ফোনটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়তে থাকে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি
অরিজিনাল ফোনের নির্মাতারা তাদের ডিভাইসগুলো বাজারে বিক্রি করার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে- গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অ্যাপল, অ্যান্ড্রয়েড-এর মতো নিবন্ধিত কোম্পানিগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং সুরক্ষা মান নিশ্চিত করে থাকে। অধিকাংশ ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নির্গমনের সংস্পর্শে এড়ানোকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো সুরক্ষার প্রতিটি স্তর পূরণের জন্য মোবাইল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারির মান নিশ্চিত করে। বিশেষ করে ব্যাটারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই কোম্পানিগুলো আপসহীন ভাবে অত্যাধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে৷
আরও পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
অন্যদিকে, নকল মোবাইল, চার্জার এবং ব্যাটারিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায় না। ফলশ্রুতিতে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাইরে থেকে যায় গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি। বিভিন্ন গণযোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনা একদমি নতুন নয়। শরীরের খুব কাছাকাছি থাকায় নিমেষে টাইম বম-এ পরিণত হওয়া এই বস্তুটি গ্রাহকদের ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। নিম্নমানের ব্যাটারি মানেই এর ভেতরে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলোর বিক্রিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে অঙ্গহানীর দিকে নিয়ে যায়।
ত্রুটিপূর্ণ নেটওয়ার্ক
আনঅফিসিয়াল ফোনের গ্রাহকদের একটি সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে- নেটওয়ার্কের ব্যাঘাত ঘটা। যেমন- কল করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে শব্দ শোনা। নকল ফোনগুলো স্বাভাবিকভাবেই কল গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি কিছু কিছু স্থানে নেটওয়ার্ক বারও দেখা যায় না।
এছাড়া নকল ডিভাইসগুলোর নেটওয়ার্ক-এর গতি কম থাকে, যা গ্রাহকদেরকে চরম হতাশাজনক অভিজ্ঞতা দেয়। বেশিরভাগ লোকেশনে নকল ফোনের সিগন্যাল এবং কল ব্যর্থতার প্রবণতা বেশি থাকে। বাধ্য হয়ে ফোন কেনার অল্প সময়ের মধ্যে তারা ফোনটি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। অন্যদিকে, একটি জেনুইন ফোনে কোনো সমস্যা ছাড়াই সহজেই কল করা এবং গ্রহণ করা যায়।
আরও পড়ুন:
পরিবেশগত ঝুঁকি
নকল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারি নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি থাকে। এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান শুধু মানুষের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং পরিবেশেরও ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহৃত সস্তা এবং নিম্নমানের ধাতু ও রাসায়নিক উপাদানগুলো ল্যাবে পরীক্ষিত থাকে না। স্বভাবতই, এই ফোনগুলো হয় ত্রুটিযুক্ত এবং এতে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আশেপাশের সম্পত্তির ক্ষতি করার সম্ভাবনা থাকে।
আনঅফিসিয়াল ফোনে থাকা পারদ এবং সীসা পরিবেশের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এগুলো থেকে রাসায়নিক পদার্থ যেমন তামা, ক্যাডমিয়াম, লিথিয়াম, জিঙ্ক এবং আর্সেনিক বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারে।
আরও পড়ুন: হোমিকরসিন: বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত নতুন অ্যান্টিবায়োটিক
কিভাবে অফিসিয়াল ফোন যাচাই করবেন?
বিটিআরসি আইএমইআই নাম্বারের মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে
প্রতিটি অফিসিয়াল স্মার্টফোনে ১৫-সংখ্যার একটি আইএমইআই নাম্বার থাকে। এটি প্রতিটি ফোনের জন্যই আলাদা হয়, যা ডিভাইসের প্যাকেজিং-এও উল্লেখ থাকে। একটি আনঅফিসিয়াল ফোন থেকে একটি অফিসিয়াল ফোন চেনার জন্য এই কোডটিই যথেষ্ট।
অর্থাৎ প্রকৃত ফোন যাচাই করতে সর্বপ্রথম এই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই কোডটি খুঁজে বের করতে হবে। এই অনুসন্ধানটি দুটি উপায়ে চালানো যেতে পারে:
প্রথমটি হলো→ *#০৬# ডায়াল করলে সাথে সাথেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।
আরও পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আয় করার সেরা কিছু উপায়!
আরেকটি অনুসন্ধান পদ্ধতি হলো ফোনের সেটিংস-এর মাধ্যমে। সেটিংস থেকে খুঁজে বের করতে হবে অ্যাবাউট ডিভাইস। এখানে ক্লিক করলে দ্বিতীয় স্ক্রিন থেকে বাছাই করতে হবে স্ট্যাটাস। অতঃপর মোবাইল স্ক্রিনে কাঙ্ক্ষিত আইএমইআই নাম্বারটি প্রদর্শন করবে।
এবার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে যে কোন ব্রাউজার (যেমন গুগল ক্রোম) থেকে imei.info ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর দৃশ্যমান ডায়ালগ বক্সে সেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই ফোনের সমস্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হবে।
এই অংশে যদি ফোনের স্ক্রিনে ফোনের তথ্য না দেখিয়ে ভিন্ন কিছু দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি নকল ফোন।
আরও পড়ুন: অভয় অ্যাপ: কিশোরীদের নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা
আইফোনের ক্ষেত্রে
প্রথমে সিম কার্ড স্লটে ফোনের সিরিয়াল নাম্বার পরীক্ষা করতে হবে। অথবা সেটিংস থেকে জেনারেল তারপর অ্যাবাউট-এ যেয়েও পাওয়া যাবে সিরিয়াল নাম্বার।
এবার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে checkcoverage.apple.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর সেখানে দেখানো ডায়লগ বক্সে সিরিয়াল নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে।
এই অংশে হ্যান্ডসেট নকল হলে স্ক্রিনে ‘অবৈধ সিরিয়াল নম্বর’ বার্তা প্রদর্শন করবে। আর যদি তা না করে তাহলে বুঝতে হবে মোবাইল ফোনটি আসল।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
এসএমএস-এর মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে যেয়ে টাইপ করতে হবে KYD, তারপর একটি স্পেস; অতঃপর ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নম্বার। অর্থাৎ ম্যাসেজটি এরকম হবে- "KYD 1234567890ABCDE"।
তারপর ম্যাসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬০০২ নাম্বারে। এর সঙ্গে সঙ্গেই একটি উত্তর আসবে আর এই উত্তরটিই নিশ্চিত করবে যে মোবাইল ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল।
শেষাংশ
শুধু সঠিক স্মার্টফোনটি কেনাই নয়; অরিজিনাল ফোন চেনার উপায় জানা মানে সেটির দীর্ঘস্থায়ী ও যথাযথ ব্যবহার। ঘন ঘন সেট বদলানোর পাশাপাশি বারবার ফোন মেরামতের ঝামেলা থেকেও রেহাই মিলবে, যদি ফোন নির্বাচনে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনের এই অবিচ্ছেদ্য বস্তুটি থেকে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো এর নিঁখুত নির্বাচন। অন্যথায়, সাময়িক ভুল সিদ্ধান্তে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয়ের মাধ্যমে এই দরকারি জিনিসটি উল্টো চরম বিপত্তির কারণ হয়ে দাড়াবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলের আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজ চালু
অভিবাসীদের জীবন বাঁচাতে ঝুঁকি কমাতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আটকাপড়া অভিবাসীদের অভিবাসন যাত্রার সময় জীবন বাঁচাতে এবং তাদের ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন রিভিউ ফোরামের (আইএমআরএফ) সাধারণ বিতর্ক পর্বে এ কথা বলেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম কোনো অবস্থাতেই জোরপূর্বক অভিবাসীদের ফেরত না পাঠানোর আহ্বান জানান ট্রানজিট ও গন্তব্য দেশগুলোর প্রতি।
আরও পড়ুন: অভিবাসীদের মানবাধিকারের ঘাটতি পূরণে বিশ্বব্যাপী সংহতির আহ্বান বাংলাদেশের
হাওরের ফসলের ঝুঁকি কমাতে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
হাওরে বোরো ধানের ঝুঁকি কমাতে স্বল্পজীবনকালীন আগামজাতের ধান চাষ, টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও সময়মতো সংস্কারে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় বৃদ্ধিতে কাজ চলছে। এছাড়া ধান পাকার পর তা দ্রুত কাটার জন্য হাওরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যাপ্ত ধান কাটার মেশিন কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার প্রদানেও গুরুত্ব দিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।শনিবার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ ও বোরো ধানখেত পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, হাওরে ১২-১৪ লাখ টন ধান হয়, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ ধান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, কোনো কোনো বছর আগাম বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে যায়। এ ঝুঁকি কমাতে ১৫-২০ দিন আগে পাকে এমন জাতের ধানচাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছে। এসব জাত চাষে কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে।ব্লাস্ট রোগ হওয়ায় ব্রি২৮ ও দেরিতে পাকার কারণে ব্রি২৯ ধান হাওরে চাষ না করার জন্য কৃষকদেরকে এসময় আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, হাওরের বিস্তীর্ণ জমিতে বছরে মাত্র একটি ফসল বোরো ধান হয়। এ ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে, সেজন্য উচ্চফলনশীল জাতের ধান যেমন ব্রিধান ৮৯, ব্রিধান ৯২ এবং বিনাধান-১৭ চাষ করতে হবে। আমরা আপনাদেরকে এসব উন্নত জাতের ধানের বীজ দেব। আপনার এগুলো চাষে এগিয়ে আসবেন।বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগামী বোরোতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হবে। এছাড়া, সারা বছর ধরে ভিজিএফসহ বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে, যাতে খাদ্যের জন্য কেউ কষ্ট না করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
ফসল রক্ষায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও সময়মতো সংস্কারের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সকলে মিলে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাঁধগুলো অনেকক্ষেত্রে সময়মতো সংস্কার হয় না। এক্ষেত্রে বাঁধ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে বিদ্যমান নীতিমালার প্রয়োজনে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া, পানির ধারণক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নদী খননে উদ্যোগ নেয়া হবে।শ্রমিক সংকটের কথা চিন্তা করে ও দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটার জন্য হাওরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দেয়া হচ্ছে জানিয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষকবান্ধব সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার কৃষকদের দিচ্ছে।ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে আগাম বন্যা বা আকস্মিক ঢলের কারণে হাওরে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে প্রতিবছরই আতঙ্কে থাকি। বৃষ্টি আর নাহলে এ বছরের অবশিষ্ট ধানগুলো কৃষকের ঘরে তোলার বিষয়ে আমরা আশাবাদী। পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র হাওরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, দেশের অন্য অঞ্চল থেকেও যন্ত্র আনা হচ্ছে। বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, কৃষি বিভাগ ও রাজনীতিবিদরা কৃষকের পাশে রয়েছে।পরিদর্শনকালে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সুনামগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিএমডিএর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সুইট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।পরে কৃষিমন্ত্রী সদর উপজেলার জাওয়ার হাওরে স্বল্পজীবনকালীন আগামজাত বিনাধান-১৭ এবং উচ্চফলনশীল ব্রিধান ৮৯ কর্তন ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি ধান কাটার উদ্বোধন করেন ও ধান কাটার যন্ত্র ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার’ কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: দেশে এই মুহূর্তে সারের কোনো সংকট নেই: কৃষিমন্ত্রী
হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে: অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় সব সূচকেই তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল এবং এর বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখনও ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অফশোর ট্যাক্স অ্যামনেস্টি’ এবং ‘শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সঙ্কটের পটভূমিতে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির পর্যালোচনা’ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করার সময় এই পর্যবেক্ষণ এসেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং অর্থ বিভাগ গণভবনে এক সভায় এ উপস্থাপনা করে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় চলমান সংকটের কারণ এবং এর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক পর্যালোচনা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘লক্ষ্য করা গেছে যে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় সব সূচকেই তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল।’
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, খাদ্য ও অন্যান্য পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশীয় বাজারে আমদানি মূল্যস্ফীতি হিসেবে তৈরি হওয়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি সমন্বিত রাজস্ব নীতি ও মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের নববর্ষের শুভেচ্ছা
অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশের জন্য কোনো ঝুঁকি নেই। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখনো ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে।
প্রধানমন্ত্রী বিদেশি ঋণ নিয়ে এ ভালো ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, ইআরডি সচিব ইয়াসমিন ইয়াছিন প্রমুখ। আর্থিক প্রতিষ্ঠান সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পুলিশ বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী
সব দেশে টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
সুনামগঞ্জে ঝুঁকিতে বোরো ফসল, আতঙ্কে কৃষক
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর হাওর এলাকার কৃষকরা আশঙ্কা করছেন যে তারা এই বছর বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কি না। ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সামনের দিনগুলোতে এখানে আরও আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। সাধারণত, হাওর এলাকার কৃষকরা ৭-১০ দিনের মধ্যে ফসল কাটা শুরু করবেন। তবে হাওরে অকালবন্যার পানি নামতে না নামতেই আরেকটি ঢল আসার আশঙ্কা ফসলের সম্পূর্ণ ক্ষতি করতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং অন্যান্য বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১০ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্তর এবং উত্তরপূর্বাঞ্চল, তদসংলগ্ন ভারতের আসাম এবং মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটার কয়েকটি পয়েন্টের পানি বিপদসীমানা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। ফের আবহাওয়া অধিদপ্তরের এমন পূর্বাভাসে আতঙ্কে দিন-রাত কাটাচ্ছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা।
গত এক সাপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার নজরখালীর বাঁধ ভেঙে টাংগুয়ার হাওর, এরালিয়াকোনা, গুন্নাকুড়ি হাওরের প্রায় ৭ হাজার হেক্টর বোরো ধান তলিয়ে গেছে। অবশিষ্ট বাঁধ গুলো পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। বিভিন্ন বাঁধে ধস ও ফাটল দিখা দিচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক তাহিরপুর উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করতে এবছর ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) দ্বারা ৫৩ কিলোমিটার ডুবন্ত ফসল রক্ষা বাঁধ ও ১০টি ক্লোজার মেরামত করা হয়। এতে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আর এসব বাঁধের কাজ সময় মতো শুরু ও শেষ না হওয়ায় বাঁধ গুলো মজবুত হয়নি। ফলে বাঁধ দুর্বল থাকায় পাউবো’র ৬৮টি বাঁধেই ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন হাওরপারের কৃষকরা। আর বাঁধের ধসে পড়া ও ফাটলের স্থানে বাঁধ মেরামতের কাজ করছেন স্থানীয় কৃষকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এদিকে মাঘ মাসের শেষের দিকে স্থানীয়রা তাহিরপুর উপজেলার মহালিয়া হাওরের ময়নাখালি বিল সেচে মাছ ধরায় বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে ময়নাখালি বাঁধটি।
বাঁধ ভেঙে কৃষকের ক্ষতি হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) নামে প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা গরিব কৃষকদের নাম ব্যবহার করে প্রকল্প নিয়ে সরকারি টাকা লুটপাট করে লাভবান হয়েছেন, এমন অভিযোগ এখন হাওরাঞ্চলের সর্বত্রই।
পড়ুন: হাওরে ফসলের ক্ষতির ঘটনায় গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে সরকার’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে সরকার। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি মন্ত্রণালয়, দপ্তর এবং সাধারণ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে এ পরিকল্পনা প্রণীত হচ্ছে। সকলের সহযোগিতায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পনা মোতাবেক মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষম হবে বাংলাদেশ।শনিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রাক - যাচাইকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু অভিযোজনের জন্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নত বিশ্ব অর্থ, প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় এ কাজে অন্য সকল মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা দিবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ,স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যৎসামান্য গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপাদন করলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশমনে সাধ্যমতো কাজ করা হচ্ছে। গ্রিনহাউজ গ্যাস উৎপাদনের জন্যে দায়ী বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, ন্যাপ প্রণয়ন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর উপ আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান ন্যুয়েন প্রমুখ। খসড়া ন্যাপ উপস্থাপন করেন ন্যাপ প্রণয়ন কমিটির টিম লিডার বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এমিরেটস অধ্যাপক ডক্টর আইনুন নিশাত এবং সিইজিআইএস এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা খসড়া জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কের প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সরকার দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী