হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ
হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মারা গেছেন
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আর নেই। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছির ৬৭ বছর।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী। তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আল্লামা বাবুনগরী শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রামে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।
বাবুনগরীর খাদেম মাওলানা জুনায়েদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা হয়।
দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
পারিবারিক জীবনে তিনি ৫ মেয়ে ও এক ছেলের জনক।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে তাণ্ডব: হেফাজত নেতা নাসির উদ্দিন মুনির গ্রেপ্তার
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নামাযে জানাযা হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী (যিনি জুনায়েদ বাবুনগরী নামে অধিক পরিচিত) একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, ইসলামি বক্তা আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। বাবুনগরী ১৯৫৩ সালের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বাবুনগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবুল হাসান ও মাতা ফাতেমা খাতুন। হারুন বাবুনগরী তার নানা। মায়ের দিক দিয়ে তার বংশধারা আবু বকর সিদ্দীকের সাথে মিলিত হয়। মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী তার মামা।
আরও পড়ুন: হেফাজতের কমিটি প্রত্যাখ্যান করে যা বললেন শফীপুত্র ইউসুফ মাদানী
হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা, বিতর্কিত নেতাদের বিদায়
বাবুনগরীর প্রেস সচিব ইনামুল ৪ দিনের রিমান্ডে
তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব ও শায়খুল হাদিস, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক। এছাড়াও তিনি নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লী, মাসিক দাওয়াতুল হকের পৃষ্ঠপোষক, ইনসাফ২৪.কম ও কওমিভিশন.কমের প্রধান উপদেষ্টা সহ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে রয়েছেন।
৩ বছর আগে
হেফাজতের কমিটি প্রত্যাখ্যান করে যা বললেন শফীপুত্র ইউসুফ মাদানী
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ৩৩ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেয়া পদ প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানী।
সোমবার নতুন এ কমিটি ঘোষণার পর বিকালে নিজ হাতে লেখা এক চিঠিতে ওই পদ প্রত্যাখানের ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জুনাইদ বাবুনগরীকে আমির এবং নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব করে ৩৩ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এতে সংগঠনের প্রয়াত আমির আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানী সহকারী মহাসচিব করা হয়েছে।
ঢাকার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম খিলগাঁও মাদ্রাসায় এ সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন নুরুল ইসলাম জিহাদী।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হাঙ্গামার পর আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর নভেম্বরে যে সম্মেলন হয়, তাতে শফীর অনুসারী সবাইকে বাদ দেয়া হয়। এমনকি সম্মেলনে কাউকে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি।
গত মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে নেমে সহিংসতায় জড়ানো হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেয়া হয় ২৫ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা, বিতর্কিত নেতাদের বিদায়
ওই রাতেই গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। আর এর দেড় মাস পর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে নতুন যে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন এই কমিটিতে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক কোনো নেতাকে রাখা হয়নি। এবং ঘোষিত নতুন কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয় বির্তকিত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে।
গণমাধ্যমে পাঠানো ইউসুফ মাদানীর হাতে লেখা বিবৃতিতে হেফাজতের নতুন কমিটিকে ‘তথাকথিত’বলে উল্লেখ করা হয়।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমার নাম দেখে আমি মর্মাহত। অতএব যে বা যাহারা আমার পিতাকে কষ্ট দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আমি কখনও এক হতে পারি না।
শফীপুত্র বলেন, ‘আজকের ঘোষিত তথাকথিত হেফাজতের কমিটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।’
৩ বছর আগে
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর’ ধর্ষণ মামলা
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ওই নারী সোনারগাঁও থানায় উপস্থিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে ওই নারী তার পূর্বের দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙার পেছনে মামুনুল হককে দায়ী করেন।
এর আগে ৩ এপ্রিল সোনারগাঁও এর একটি রিসোর্টে অভিযোগকারী এই নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে এলাকাবাসী। তখন এই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন সাবেক হেফাজত নেতা মামুনুল।
আরও পড়ুন: মামুনুল ৭ দিনের রিমান্ডে
পরবর্তীতে মামুনুল ও তার স্ত্রীর মধ্যকার ফোনকল হিসেবে ফাঁস হওয়া এক অডিও ক্লিপে ওই নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেন মামুনুল।
গ্রেপ্তারের পর আরও দুই নারীর সাথে মামুনুল হক চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: এক পুলিশ কর্মকর্তার অনুরোধে বায়তুল মোকাররমে গিয়েছিলাম: আদালতকে মামুনুল
উল্লেখ্য, ২৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) মামলার বাদী ওই নারীকে রাজধানীর মোহম্মদপুরে অবস্থিত মামুনুল হকের বোনের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
৩ বছর আগে
সিলেটে হরতালে হেফাজত-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, আটক ৫
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্র ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সিলেটে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ছাড়াই পালিত হয়েছে।
দিনভর মিছিল-পিকেটিং শেষে রবিবার বিকালে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ করে রাস্তা ছেড়েছেন সিলেট জেলা ও মহানগর হেফাজতের নেতা-কর্মীরা।
এর আগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনে ফজরের নামাজের পর থেকেই সিলেটে রাস্তায় নামেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। ভোর থেকে তারা মহানগরীর বিভিন্ন রাস্তায় পিকেটিং শুরু করেন এবং পথে পথে চলা যানবাহন আটকে দেন। নেতা-কর্মীরা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে ইট বিছিয়ে এবং কাগজ জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে পিকেটিং করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
এদিকে, হরতালের কারণে রবিবার সকালে সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। সিলেটের আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও বাস এবং যাত্রীবাহী গাড়িসহ চলাচল করেনি কোনো ধরনের যানবাহন। নগরীতে কিছু সংখ্যক রিকশা ও শহরতলি এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৫-২০টি মোটরসাইকেলযোগে পুরো নগরীতে ঘুরে ঘুরে হেফাজত নেতা-কর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা যায়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর বন্দরবাজারে হেফাজত ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী এবং শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও তিন দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচজন আহত ও পাঁচজন আটক হন। আহতদের মধ্যে দুজন ছাত্রলীগ কর্মী।
জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জেলা পরিষদের সামনে থেকে হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সেখানে অবস্থানরত মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মিছিল নিয়ে আবারও বন্দরবাজারস্থ কামরান চত্বরে এসে জড়ো হন।
এ সময় সিলেট বিভাগীয় ডাকঘরের সামনে হাটতে থাকা কয়েকজন হেফাজত নেতা-কর্মীকে দেখে ছাত্রলীগ ধাওয়া দেয়। তখন হেফাজত নেতা-কর্মীরা দৌঁড়ে কালিঘাটের দিকে পালিয়ে যান। পরে সেখান থেকে হঠাৎ কয়েকজন শ্রমিক ও হেফাজত কর্মী বেরিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে কামরান চত্বরের দিকে নিয়ে যান। পরে ছাত্রলীগ আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে হেফাজত নেতা-কর্মী এবং শ্রমিকদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুজন ছাত্রলীগ কর্মী।
পরে হেফাজত নেতা-কর্মী ও শ্রমিকারা পুলিশের দিকে ইট-পাটকের ছুড়লে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাম্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীর পরিস্থিতি থমথমে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
এদিকে, বিকাল ৪টার দিকে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে আবারও জড়ো হন হেফাজত নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা সমাবেশ করেন।
সমাবেশে হেফাজতের সিলেট জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা বলেন, কেন্দ্র থেকে যে কোনো নির্দেশনা আসলে ঈমানি চেতনায় তা পালনে আমরা রাস্তায় নেমে পড়বো।
সমাবেশ থেকে সোমবার সারা দেশে দোয়া মাহফিল সফলের আহ্বান জানানো হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে শুক্রবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে হেফাজত নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একাধিক প্রাণহানির ঘটে। এর প্রতিবাদে রবিবার সারা দেশে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেয় হেফাজত।
৩ বছর আগে
দোয়া ও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিল হেফাজত
চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাণহানির সাথে জড়িত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া এবং গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামী সোমবার দোয়া মাহফিল ও ২ এপ্রিল দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, ‘শুক্রবারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সামনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের গুলিতে পাঁচ কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সারা দেশে রবিবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডাকে দলটি।
হরতাল চলাকালে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ হালকা যানবাহন চলাচল করলেও কোনো ধরনের দুরপাল্লার যাত্রীবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি।
আরও পড়ুন: হেফাজতের হরতাল: হাটহাজারীতে সড়ক কেটে অবরোধ
হাটহাজারীতে শুক্রবার দুপুরে সংঘর্ষের পর থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্ররা। সেখানে শুক্রবার ইটের প্রাচীর তৈরি করে অবরোধ করলেও পরে সে দেয়াল তুলে ফেলে। রবিবার ভোর থেকে রাস্তা কেটে দিয়ে খালের মতো বিশাল লম্বা গর্ত করে অবরোধ অব্যাহত রেখেছে ছাত্ররা। এর মধ্যে শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো বিক্ষুব্ধ মাদরাসার ছাত্ররা হাটহাজারীর ডাকবাংলোতে আগুন দিয়েছে।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব শর্মা জানান, বেশ কিছু নেতা-কর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে ডাকবাংলোয় আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তারা নিচ তলার স্টোর রুমে থাকা দুটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেয়।
এর আগে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের সময় হেফাজতের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ডাকবাংলো ও স্থানীয় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কড়া নিরাপত্তায় হেফাজতের বিক্ষোভ
৩ বছর আগে
আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রামে মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক আমীর আল্লামা আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ এনে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
৩ বছর আগে