বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক শিবলু কুমার দে’র আদালতে মামলাটি দায়ের করেন প্রয়াত আহমদ শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন।
আরও পড়ুন: বাবুনগরী, মামুনুলকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি আ’লীগ ও সহযোগীদের
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন ও মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।
বাদীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:হেফাজত আমির আহমদ শফী মারা গেছেন
তিনি জানান, মামলায় বাদীসহ ছয়জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এদিকে, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে শফীর হত্যাকারী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদেরও চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাইনুদ্দীন রুহী।
আরও পড়ুন:মুফতি ফয়জুল, মামুনুলকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শাহবাগ অবরোধ
তিনি বলেন, ‘আহমদ শফী হুজুরকে হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা এবং বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের দায়িত্ব।’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় এক ছাত্র বিক্ষোভের মুখে মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদ থেকে আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে ও মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক পদ থেকে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
আরও পড়ুন: আকস্মিকভাবে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় মাওলানা মামুনুল
পরের দিনও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপণে মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আন্দোলনরত ছাত্রদের বিক্ষোভ বন্ধ না হওয়ায় পরের দিন ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে মহাপরিচালক আহমদ শফী নিজেই তার পদ থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: আহমদ শফীর জানাজা ঘিরে চট্টগ্রামে নিরাপত্তা জোরদার
পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে পড়লে আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।